৩৯

পরিচ্ছেদঃ

 ذِكْرُ اسْتِعْجَالِ الْمُصْطَفَى صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي تَلَقُّفِ الْوَحْيِ عِنْدَ نُزُولِهِ عَلَيْهِ

ওহী নাযিলের সময় তা ধরে রাখার (মুখস্ত রাখার) জন্য নাবী মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের তাড়াহুড়া করার বর্ণনা:


৩৯. ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। আল্লাহর বাণীঃ ’’কুরআনের কারণে আপনার জিহ্বা দ্রুত নাড়াচাড়া করবেন না’, এ আয়াত প্রসঙ্গে বলেন, ওয়াহী নাযিল হওয়া শুরু হলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুবই চেষ্টা করতেন ওহী (মুখস্ত রাখা)-এর ব্যাপারে। তিনি তার ঠোঁট দুটি নাড়াতেন। বর্ণনাকারী বলেন, ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বললেন, আমি ঠোঁট দু’টি সেভাবে নাড়ছি, যেভাবে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে দু’টো নেড়েছিলেন। এ অবস্থায় আল্লাহ্ নাযিল করলেনঃ ’’তাড়াতাড়ি ওয়াহী আয়ত্ত করার জন্য তুমি তোমার জিহবা দ্রুততার সঙ্গে চালিত করো না, এর সংরক্ষণ ও পাঠ করাবার দায়িত্ব আমারই’’- (সূরাহ আল-ক্বিয়ামহ ৭৫/১৬-১৭)।

তিনি বলেন,  جَمْعُهُ – (সংরক্ষণ করা) -এর অর্থ আপনার বুকে সংরক্ষণ করা, যেন পরে তা পড়তে সক্ষম হন। “সুতরাং আমরা যখন তা পাঠ করি, তুমি সে পাঠের অনুসরণ কর”- (সূরাহ আল-ক্বিয়ামাহ ৭৫/১৮)। তিনি বলেন: এর অর্থ হচ্ছে আপনি তা শুনুন এবং চুপ থাকুন। (“এরপর এর বর্ণনা করার দায়িত্ব আমাদের উপর।”) অর্থাৎ আপনার কুরআন পাঠের দায়িত্ব আমাদের উপর। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে জিব্রীল (আঃ) আসতেন, তিনি তখন মনোযোগ সহকারে তা শুনতেন। এরপর জিব্রীল (আঃ) যখন চলে যেতেন, তখন তিনি ঠিক তেমনি তা পাঠ করতেন, যেমনি তিনি তাঁকে পাঠ করিয়েছিলেন।[1]

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْجُنَيْدِ حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَبِي عَائِشَةَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ فِي قَوْلِهِ: {لَا تُحَرِّكْ بِهِ لِسَانَكَ لِتَعْجَلَ بِهِ} [القيامة: 16] قَالَ: [ص: 169] كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعَالِجُ مِنَ التَّنْزِيلِ شِدَّةً كَانَ يُحَرِّكُ شَفَتَيْهِ فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: أَنَا أُحَرِّكُهُمَا كَمَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يحركهم فَأَنْزَلَ اللَّهُ: {لَا تُحَرِّكْ بِهِ لِسَانَكَ لِتَعْجَلَ بِهِ * إِنَّ عَلَيْنَا جَمَعَهُ وَقُرْآنَهُ} [القيامة: 16 ـ 17] قَالَ: جمعه في صدرك ثم تقرأه {فَإِذَا قَرَأْنَاهُ فَاتَّبِعْ قُرْآنَهُ} [القيامة: 18] قَالَ: فَاسْتَمِعْ لَهُ وَأَنْصِتْ {ثُمَّ إِنَّ عَلَيْنَا بَيَانَهُ} [القيامة: 19] ثُمَّ إِنَّ عَلَيْنَا أَنْ تَقْرَأَهُ قَالَ: فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إذا أَتَاهُ جِبْرِيلُ اسْتَمَعَ فَإِذَا انْطَلَقَ جِبْرِيلُ قَرَأَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَمَا كَانَ أقرأه = [1: 3] [تعليق الشيخ الألباني] صحيح: ق.