লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ
১৭৬০। যে ব্যক্তি জুম’য়ার দিন ইমাম কর্তৃক খুতবাহ দেয়ার সময় কথা বলে তার উদাহরণ হচ্ছে সেই গাধার ন্যায় যে সফরের বোঝা বহন করে। আর যে তাকে উদ্দেশ্য করে বলেঃ চুপ কর, তার জুম’য়াই হয় না।
হাদীসটি দুর্বল।
এটিকে আহমাদ (১/২৩০), ইবনু আবী শাইবাহ (২/১২৫), ত্ববারানী (৩/১৬৭/২), বাযযার (৬৪৪), বাহশাল "তারীখু অসিত" (পৃঃ ১৩৮) ও রামহুরমুযী "আলআমসাল" গ্রন্থে (পৃঃ ৯১) তারা সকলে ইবনু নুমায়ের হতে, তিনি মুজালিদ হতে, তিনি শা’বী হতে, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
বাযযার বলেনঃ হাদীসটিকে এ ভাষায় আমরা একমাত্র এ সনদেই চিনি। এটিকে ইবনু নুমায়ের মুজালিদ হতে এককভাবে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ মুজালিদের কারণে এ সনদটি দুর্বল। তিনি হচ্ছেন ইবনু সাঈদ। হাফিয ইবনু হাজার প্রমুখ বলেনঃ তিনি শক্তিশালী নন। সম্ভবত এ কারণেই মুনযেরী হাদীসটিকে "আততারগীব" গ্রন্থে (১/২৫৭) দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। আর মানবী তার দ্বারা সমস্যা বর্ণনা করেছেন এবং অন্য একটি সমস্যার কথাও বলেছেন। তিনি শুধুমাত্র ইমাম আহমাদের উদ্ধৃতিতে উল্লেখ করার পর বলেছেনঃ এ হাদীসটির ব্যাপারে হাসানের চিহ্ন ব্যবহার করা হয়েছে। অথচ এর সনদে মুহাম্মাদ ইবনু নুমায়ের রয়েছেন, যাকে হাফিয যাহাবী "আযযুয়াফা" গ্রন্থে উল্লেখ করে বলেছেনঃ তাকে দারাকুতনী দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। আর বর্ণনাকারী মুজালিদ হামদানী সম্পর্কে ইমাম আহমাদ বলেনঃ তার হাদীস কিছুই না, আর দারাকুতনী একে দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সমস্যা বর্ণনার ব্যাপারে কয়েকভাবে বিরূপ মন্তব্য রয়েছেঃ
(১) এর সনদের বর্ণনাকারীদের মধ্যে এমন কেউ নেই যার নাম মুহাম্মাদ ইবনু নুমায়ের, যাকে দারাকুতনীর পক্ষ থেকে দুর্বল আখ্যা দেয়া হয়েছে। এখানে রয়েছেন অন্য ব্যক্তি যিনি ফারইয়াবী হিসেবে পরিচিত। হাফিয যাহাবী “আলমীযান” গ্রন্থে বলেনঃ আমি তাকে চিনি না। আর সুলাইমানী তাকে হাদীস জালকারীদের মধ্যে গণ্য করেছেন।
(২) হাফিয যাহাবীর “আযযুয়াফা" গ্রন্থের উদ্ধৃতিতে মানবী যাকে উল্লেখ করেছেন, আসলে এ নামে কাউকে এ গ্রন্থে পাওয়া যায় না। তার মধ্যে যার কথা উল্লেখ করা হয়েছে তিনি হচ্ছেন মুহাম্মাদ ইবনু নুসাইর অসেতী যিনি হাবীব ইবনু আবূ সাবেত হতে বর্ণনা করেছেন। আর এ ব্যক্তিকেই দারাকুতনী দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন।
“আলমীযান” গ্রন্থে এরূপ কথাই উল্লেখ করা হয়েছে। বাহ্যিকভাবে যা বুঝা যাচ্ছে তাতে মানবীর নিকট বিকৃতভাবে ইবনু নুসাইরের স্থলে ইবনু নুমায়ের নাম উল্লেখিত হয়েছে।
(৩) আর এ ইবনু নুসায়েরের স্তর ইবনু নুমায়ের চেয়ে উঁচু।
(৪) মুহাম্মাদ ইবনু নুমায়ের যেই হোক না কেন তাকে ইমাম আহমাদের সনদে উল্লেখ করা হয়নি। কারণ তিনি বলেনঃ ইবনু নুমায়ের বর্ণনা করেন মুজালিদ হতে ... আর ত্ববারানী বলেনঃ মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু নুমায়ের তার পিতা হতে, তিনি মুজালিদ হতে ... বর্ণনা করেন।
এ থেকে স্পষ্ট হচ্ছে যে, ইমাম আহমাদের শাইখ হচ্ছেন ইবনু নুমায়ের, তিনি হচ্ছেন আবদুল্লাহ ইবনু নুমায়ের, মুহাম্মাদ ইবনু নুমায়ের নন, যেমনটি মানবী ধারণা করেছেন। আর এ আব্দুল্লাহ ইবনু নুমায়ের নির্ভরযোগ্য, বুখারী এবং মুসলিমের বর্ণনাকারী। অনুরূপভাবে তার ছেলে মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল্লাহ ইবনু নুমায়ের নির্ভরযোগ্য বরং তার পিতার চেয়েও বেশী নির্ভরযোগ্য যেমনটি আবু দাউদ বলেছেন।
মোটকথাঃ হাদীসটির সমস্যা হচ্ছে একমাত্র মুজালিদ ইবনু সাঈদ। আর তিনিই হাদীসটি দুর্বল হওয়ার জন্য যথেষ্ট। মানবীর “আততাইসীর” গ্রন্থের কথায় আশ্চর্যাম্বিত হতে হয়, কিভাবে তিনি বললেনঃ সনদটি হাসান।
সতর্কবাণীঃ খুৎবাহ চলাকালীন সময়ে কথা বলা নিষেধ হওয়া মর্মে হাদীসটির শেষ বাক্যের সমর্থনে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ)-কে সত্যায়ণ করার ব্যাপারে শাহেদ বর্ণিত হয়েছেঃ উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) আবু যার (রাঃ)-কে লক্ষ্য করে বলেছিলেনঃ “তোমার সালাত হতে তোমার জন্য শুধুমাত্র তুমি যে ক্রটি করলে তাই রয়েছে (মিলবে) ... আর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার এ কথাকে সত্যায়ণ করেন।” দেখুন “সহীহুত তারগীব অততারহীব” (১/৩০৩-৩০৪) ও "ইরওয়াউল গালীল" (৬১৯) হাদীসের ব্যাখ্যা।
مثل الذي يتكلم يوم الجمعة، والإمام يخطب مثل الحمار يحمل أسفارا، والذي يقول له: أنصت، لا جمعة له ضعيف - رواه أحمد (1 / 230) وابن أبي شيبة (2 / 125) والطبراني (3 / 167 / 2) والبزار (644 - الكشف) وبحشل في " تاريخ واسط " (ص 138) والرامهرمزي في " الأمثال " (ص 91 - باكستان) كلهم عن ابن نمير عن مجالد عن الشعبي عن ابن عباس مرفوعا. وقال البزار: " لا نعلمه بهذا اللفظ إلا بهذا الإسناد، تفرد به ابن نمير عن مجالد قلت: وهذا إسناد ضعيف، من أجل مجالد، وهو ابن سعيد، قال الحافظ وغيره: " ليس بالقوي ". وكأنه لذلك ضعفه المنذري في " الترغيب " (1 / 257) . وأعله المناوي به وبعلة أخرى، فقال بعد ما عزاه أصله لأحمد وحده: " رمز لحسنه، وفيه محمد بن نمير، أورده الذهبي في " الضعفاء " وقال: " ضعفه الدارقطني "، ومجالد الهمداني، قال أحمد: ليس حديثه بشيء، وضعفه الدارقطني " قلت: وفي هذا الإعلال نظر من وجوه الأول: أنه ليس في الرواة من اسمه محمد بن نمير مضعفا من قبل الدارقطني. وإنما هنا آخر يعرف بالفاريابي، قال الذهبي في " الميزان ": " لا أعرفه، عده السليماني فيمن يضع الحديث " الثاني: أنه لا يوجد في " ضعفاء الذهبي " ما نقله المناوي عنه أصلا، وإنما فيه " محمد بن نصير الواسطي عن حبيب بن أبي ثابت، ضعفه الدارقطني ". ونحوه في " الميزان "، فالظاهر أن اسم " نصير " تحرف على المناوي إلى " نمير "! الثالث: أن ابن نصير هذا أعلى طبقة من ابن نمير الذي روى هذا الحديث كما يأتي الرابع: أن محمد بن نمير - أيا كان - ليس له ذكر في إسناد أحمد، فإنه قال: حدثنا ابن نمير عن مجالد ... وإنما له ذكر في الطبراني فإنه قال: حدثنا محمد بن عبد الله بن نمير: أخبرنا أبي عن مجالد ... ومن هذا يتبين أن ابن نمير شيخ أحمد، ليس هو محمد بن نمير كما ظن المناوي، وإنما هو عبد الله بن نمير، وهو ثقة من رجال الشيخين. وكذلك ابنه محمد بن عبد الله بن نمير، بل هو أثبت من أبيه كما قال أبو داود وبالجملة، فليس في الحديث، سوى مجالد بن سعيد، وهو كاف في تضعيف الحديث، فالعجب من المناوي كيف قال في " التيسير ": " إسناده حسن "؟ تنبيه : يشهد للجملة الأخيرة من الحديث تصديقه صلى الله عليه وسلم لأبي بن كعب في قوله لمن تكلم أثناء الخطبة: " مالك من صلاتك إلا ما لغوت ". انظر " صحيح الترغيب " (1 / 303 - 304)