পরিচ্ছেদঃ
১৭৬১। যে ব্যক্তি হিকমাত শুনার জন্য বসে, অতঃপর তার সাথীর উদ্ধৃতিতে শুধুমাত্র শ্রবণকৃত নিকৃষ্টগুলো বর্ণনা করে তার উদাহরণ সেই ব্যক্তির ন্যায় যে এক রাখালের নিকট এসে বলেঃ হে রাখাল! তোমার ছাগলের পাল হতে একটি ছাগল আমাকে দাও যেটি যবেহ করার উপযুক্ত। সে তখন তাকে বললঃ তুমি যাও সর্বোত্তমটির কান ধরে নিয়ে আস। ফলে সে গেল, এরপর সে ছাগলের পালের একটি কুকুরের কান ধরে নিয়ে আসলো।
হাদীসটি দুর্বল।
এটিকে ইবনু মাজাহ (৪১৭২), আহমাদ (২/৩৫৩, ৪০৫, ৫০৮), ইবনুল আ’রাবী তার “মুজাম” গ্রন্থে (১/২৩৯), আবুশ শাইখ "আলআমসাল" গ্রন্থে (২৯১) ও আব্দুল গানী মাকদেসী “আলইলম” গ্রন্থে (১/১৯) হাম্মাদ ইবনু সালামাহ হতে, তিনি আলী ইবনু যায়েদ হতে, তিনি আউস ইবনু খালেদ হতে, তিনি আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে মারফু’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
অতঃপর মাকদেসী ইয়াযীদ ইবনু হারূন হতে, তিনি হাম্মাদ ইবনু সালামাহ হতে বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি বলেছেনঃ আলী ইবনু যায়েদ হতে, তিনি ইউসুফ ইবনু মিহরান হতে, তিনি আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এর পর মাকদেসী বলেছেনঃ এ সনদটি হাসান। তিনি এরূপই বলেছেন। অথচ আলী ইবনু যায়েদ হচ্ছেন ইবনু জাদ’য়ান যিনি দুর্বল।
আর ইয়াযীদের বর্ণনায় ইউসুফ ইবনু মিহরানকে উল্লেখ করাটা হচ্ছে শায। কারণ ইমাম আহমাদের নিকট এ সূত্রে এবং অন্যান্য সূত্রেও আউস ইবনু খালেদকেই বর্ণনাকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আর এ আউস হচ্ছেন মাজহুল যেমনটি "আততাকরীব" গ্রন্থে এসেছে। এটি হচ্ছে দ্বিতীয় সমস্যা।
হাদীসটিকে সুয়ূতী “আলজামেউস সাগীর” গ্রন্থে ইমাম আহমাদ ও ইবনু মাজার বর্ণনায় উল্লেখ করেছেন। আর মানবী বলেছেনঃ তিনি হাদীসটি হাসান হওয়ার চিহ্ন ব্যবহার করেছেন। হাফিয ইরাকী বলেনঃ তার সনদটি দুর্বল। আর তার ছাত্র হাইসামী বলেনঃ এর সনদে আলী ইবনু যায়েদ রয়েছেন। তার দ্বারা দলীল গ্রহণ করার ব্যাপারে মতভেদ করা হয়েছে।
مثل الذي يجلس يسمع الحكمة، ثم لا يحدث عن صاحبه إلا بشر ما يسمع، كمثل رجل أتى راعيا، فقال: يا راعي! أجزرني شاة من غنمك، قال: اذهب فخذ بأذن خيرها، فذهب فأخذ بأذن كلب الغنم
ضعيف
-
رواه ابن ماجة (4172) وأحمد (2 / 353 و405 و508) وابن الأعرابي في " معجمه " (239 / 1) وأبو الشيخ في " الأمثال " (291) وعبد الغني المقدسي في " العلم " (19 / 1) عن حماد بن سلمة عن علي بن زيد عن أوس بن خالد عن أبي هريرة مرفوعا. ثم رواه المقدسي عن يزيد بن هارون: حدثنا حماد بن سلمة به، إلا أنه قال: عن علي بن زيد عن يوسف بن مهران عن ابن عباس مرفوعا. ثم قال المقدسي: " هذا إسناد حسن "! كذا قال، وعلي بن زيد ضعيف، وهو ابن جدعان. وقوله في رواية يزيد: " يوسف بن مهران شاذ، فإنه عند أحمد من هذا الوجه مثلما وقع في الوجوه الأخرى: " أوس بن خالد ". وأوس هذا مجهول، كما في " التقريب "، فهذه علة أخرى. والحديث أورده السيوطي في " الجامع الصغير " من رواية أحمد وابن ماجة، فقال المناوي: " رمز لحسنه. قال الحافظ العراقي: سنده ضعيف، وبينه تلميذه الهيثمي، فقال: فيه علي بن زيد (الأصل: يزيد) مختلف في الاحتجاج ب