লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ
১৩৮০। পরিবারের মালিক কখনও সফল হয় না।
হাদীসটি বাতিল।
হাদীসটিকে ইবনু আদী “আলকামেল” গ্রন্থে (১/১৯৩), তার থেকে সাহমী “তারীখু জুরজান” গ্রন্থে (২৮৪/৪৮৮), তার সূত্রে ইবনুল জাওযী "আলমওযুয়াত" গ্রন্থে ২/২৮১) আহমাদ ইবনু হাফস সা’দী হতে, তিনি আহমাদ ইবনু সালামাহ কাসাঈ হতে, তিনি সুফইয়ান হতে, তিনি হিশাম ইবনু উরওয়া হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি আয়েশা (রাঃ) হতে মারফূ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
ইবনু আদী বলেনঃ এটি ইবনু ওয়াইনার উক্তি। এটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে মুনকার। বর্ণনাকারী আহমাদ ইবনু সালামাহ্ নির্ভরযোগ্যদের উদ্ধৃতিতে বাতিল হাদীস বর্ণনা করেন এবং তিনি হাদীস চোর।
ইবনু আদী আরেক বর্ণনাকারী আহমাদ ইবনু হাফস সম্পর্কে বলেনঃ তিনি কতিপয় মুনকার হাদীস বর্ণনা করেছেন যেগুলোর মুতাবা’য়াত করা হয়নি। অতঃপর তিনি তার কয়েকটি হাদীস উল্লেখ করেছেন। সবগুলোই হিশাম ইবনু উরওয়ার বর্ণনায় তার পিতা হতে বর্ণিত, তিনি আয়েশা (রাঃ) হতে বিভিন্ন সনদে আহমাদ ইবনু হাফসের জন্য বর্ণনা করেছেন যেমনটি হাফিয ইবনু হাজার "আললিসান" গ্রন্থে বলেছেন।
ইবনু জাওযী হাদীসটি উল্লেখ করার পর বলেছেনঃ এ হাদীস রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উদ্ধৃতিতে বাতিল। তিনি এটি কখনও বলেননি এবং তার বাণীগুলো এর বিপরীত।
অতঃপর তিনি পূর্বোক্ত ইবনু আদীর মন্তব্যগুলো উল্লেখ করেছেন। সুয়ুতী "আললাআলী" গ্রন্থে (২/১৮০-১৮১) ও ইবনু ইরাক "তানযীহুশ শারীয়াহ" গ্রন্থে তার কথাকে সমর্থন করেছেন।
দায়লামী হাদীসটিকে "মুসনাদুল ফিরদাউস" গ্রন্থে (৩৯-৪০) ইবনু আদীর সূত্রে তার সনদে আইউব ইবনু নূহ আলমুতাওঈ হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি মুহাম্মাদ ইবনু আজলান হতে, তিনি সাঈদ হতে, তিনি আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে মারফু’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
এ বর্ণনায় হাদীসটিকে সুয়ুতী "যাইলুল আহাদীসিল মাওযুয়াহ" গ্রন্থে (পৃঃ ১৭৫-১৭৬) উল্লেখ করে বলেছেনঃ ইবনু আদী বলেনঃ এটি মুনকার।
ইবনু ইরাক "তানযীহুশ শারীয়াহ" গ্রন্থে (২/২০৩) তার অনুসরণ করে আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসের সাথে উল্লেখ করেছেন। তারা দু’জন এর সনদ সম্পর্কে কোন কথা বলেননি। অনুরূপভাবে সাখাবীও "মাকাসিদুল হাসানাহ" গ্রন্থে একই কাজ করেছেন।
অথচ সনদটি খুবই অন্ধকারাচ্ছন্ন। ইবনু আজলানের নিচের বর্ণনাকারীদের কারো জীবনী কোন গ্রন্থে পাচ্ছি না। সে গ্রন্থগুলোর মধ্যে “আলকামেল”ও রয়েছে, এর মধ্যে এ হাদীসটি পায়নি।
যারকানী “মুখতাসারুল মাকাসিদ” গ্রন্থে (নং ৮৬৫) বলেনঃ হাদীসটি খুবই দুর্বল।
আমি (আলবানী) বলছিঃ যারকানী এ কথা বলেছেন শুধুমাত্র হাদীসটির সনদের দিকে দৃষ্টি দিয়ে। ভাষার দিকে দৃষ্টি দেননি। কারণ তিনি যখন হাদীসটির সনদের মধ্যে সুস্পষ্টত মিথ্যুক এবং জালকারী কোন ব্যক্তিকে পাননি তখন তিনি খুবই দুর্বল হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। বিশেষ করে দায়লামীর সনদে। কিন্তু সমালোচক মুহাদ্দিসগণের নিকট এরূপ করা ভালো নয়। যেমন ইবনু তাইমিয়্যাহ, ইবনুল কাইয়্যিম, হাফিয যাহাবী প্রমুখ। কারণ যখন কোন হাদীসের ভাবাৰ্থ বাতিল (অগ্রহণযোগ্য) হিসেবে গণ্য হয় তখন এ অবস্থায় তারা হাদীসটিকে বানোয়াট হিসেবে সিদ্ধান্ত দিতে দেরী করেন না। আর এরূপ ঘটনাই ঘটেছে এ হাদীসটির ক্ষেত্রে। ইবনুল জাওযী এবং যিনি তার অনুসরণ করেছেন তিনিও এ দিকেই ইঙ্গিত প্রদান করে বলেছেনঃ কোনক্রমেই রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কথা বলেননি। তার অন্যান্য বাণীগুলোও এর বিপরীত।
তিনি এর দ্বারা সেই সব হাদীসের দিকে ইঙ্গিত করেছেন যেগুলো স্ত্রী এবং পরিবারের সদস্যদের জন্য অর্থ ব্যয় করার ফাযীলাত সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে। সেগুলো সংখ্যার দিক দিয়ে অনেক। যেগুলোর মধ্যে নিম্নোক্ত হাদীস রয়েছেঃ
রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এক ব্যক্তি যে দীনার খরচ করে সেগুলোর মধ্যে সর্বোত্তম দীনার হচ্ছে সে যা তার পরিবারের জন্য খরচ করে, এবং সেই দীনার সে যা খরচ করে তার পশুর জন্য আল্লাহর পথে জিহাদ করার লক্ষ্যে, এবং সেই দীনার সে যা খরচ করে তার সাথীগণের জন্য আল্লাহর পথে জিহাদ করার লক্ষ্যে।
হাদীসটি ইমাম মুসলিম (৯৯৪), বুখারী “আদাবুল মুফরাদ” গ্রন্থে (৭৪৮), তিরমিযী (১৯৬৬), ইবনু মাজাহ (২৭৬০) ও আহমাদ (৫/২৮৪) আবু কিলাবাহ সূত্রে আবু আসমা হতে, তিনি সাওবান (রাঃ) হতে তিনি বলেনঃ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ...।
ما أفلح صاحب عيال قط باطل - أخرجه ابن عدي في " الكامل " (1/193) وعنه السهمي في " تاريخ جرجان " ( 284/488) ومن طريقه ابن الجوزي في " الموضوعات " (2/281) عن أحمد بن حفص السعدي: حدثني أومن طريقه ابن الجوزي في " الموضوعات " (2/281) عن أحمد بن حفص السعدي: حدثني أحمد بن سلمة الكسائي: حدثنا سفيان عن هشام بن عروة عن أبيه عن عائشة مرفوعا. وقال ابن عدي: " هذا الكلام من قول ابن عيينة، وهذا منكر عن النبي صلى الله عليه وسلم، وأحمد بن سلمة حدث عن الثقات بالبواطيل، ويسرق الحديث وقال في أحمد بن حفص: " حدث بأحاديث منكرة لم يتابع عليها ". ثم ساق له عدة أحاديث كلها من رواية هشام بن عروة عن أبيه عن عائشة بأسانيد لأحمد بن حفص إليه مختلفة كما قال الحافظ في " اللسان وقال ابن الجوزي عقب الحديث: " هذا حديث باطل عن رسول الله صلى الله عليه وسلم ما قاله قط، وأقواله على ضد هذا ثم ذكر ما تقدم عن ابن عدي. وأقره السيوطي في " اللآلي " (2/180 - 181) وابن عراق في " تنزيه الشريعة " وغيرهم ورواه الديلمي في " مسند الفردوس " (39 - 40) من طريق ابن عدي بإسناده عن أيوب بن نوح المطوعي: حدثني أبي: حدثني محمد بن عجلان (الأصل: محمد بن محمد ابن عجلان) عن سعيد عن أبي هريرة مرفوعا به وبهذه الرواية ذكره السيوطي في " ذيل الأحاديث الموضوعة " (ص 175 - 176) وقال: " قال ابن عدي: هذا منكر وتبعه ابن عراق في " تنزيه الشريعة " (2/203) قرنه مع حديث عائشة رضي الله عنها، ولم يتكلما على إسناده بشيء، وكذلك فعل السخاوي في " المقاصد الحسنة"، وهو إسناد مظلم جدا، كل من دون ابن عجلان لم أجد لهم ذكرا في شيء من كتب التراجم، ومنها الكامل " لابن عدي، ولا وجدت هذا الحديث فيه، خلاف ما يوهمه صنيع السيوطي في نقله عن ابن عدي إنكاره إياه، فهو إنما قال هذا في حديث عائشة كما تقدم. ثم إن الحديث قال فيه الزرقاني في " مختصر المقاصد " (رقم 865 - تحقيق الأستاذ الصباغ) " ضعيف جدا فأقول: يبدو لي أن الزرقاني في هذا القول نظر فقط إلى سند الحديث دون متنه، فإنه لما لم يجد في إسناده من صرحوا برميه بالكذب والوضع، وبخاصة إسناد الديلمي - اقتصر ه، ودينار ينفقه على أصحابه في سبيل الله ". أخرجه مسلم (994) والبخاري في " الأدب المفرد " (748) والترمذي (1967) وصححه وابن ماجه (2760) وأحمد (5/284) من طريق أبي قلابة عن أبي أسماء عن ثوبان قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: فذكره. وزادوا جميعا إلا ابن ماجه: " قال أبو قلابة [من قبله] : وبدأ بالعيال. ثم قال أبو قلابة: وأي رجل أعظم أجرا من رجل ينفق على عيال صغار يعفهم، أوينفعهم الله به ويغنيهم وما بين المعكوفتين لأحمد تنبيه قول أبي قلابة هذا هو موقوف عليه ليس من تمام الحديث كما تراه مصرحا مفصولا عن الحديث، وقد وهم السخاوي رحمه الله فرفعه إلى النبي صلى الله عليه وسلم لإبطال حديث الترجمة، فقال عقبه: " وصح قوله صلى الله عليه وسلم: وأي رجل أعظم أجرا من رجل.. " إلخ ونقله عنه الشيخ العجلوني في " كشف الخفاء " (2177) ، ثم الأستاذ الصباغ في تعليقه على " الأسرار المرفوعة في الأخبار الموضوعة " (رقم 396)