৯২৯

পরিচ্ছেদঃ

৯২৯। তিনি তার দু হাটুর উপর ভর করে সিজদায় যেতেন। কোন ঠেস লাগাতেন না।

হাদীছটি দুর্বল।

এটি ইবনু হিব্বান তার "সাহীহ" (নং ৪৯৭) গ্রন্থে মুয়ায ইবনু মুহাম্মাদ ইবনে মুয়ায সূত্রে তার পিতা হতে তিনি তার দাদা হতে ... বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি দুর্বল। এতে পর্যায়ক্রমে মাজহুল বর্ণনাকারীদের সমাবেশ ঘটেছে। ইবনুল মাদীনী বলেনঃ আমরা এই মুহাম্মাদ ইবনু মুয়াযকে, তার পিতাকে ও তার দাদাকে চিনি না। এ সনদটি মাজহুল।

“আল-মীযান” ও “আল-লিসান" গ্রন্থে অনুরূপ বক্তব্যই এসেছে। হাফিয ইবনু হাজার "আত-তাকরীব" গ্রন্থে এই মুহাম্মাদ সম্পর্কে বলেনঃ তিনি মাজহুল। আর তার ছেলে মুয়ায সম্পর্কে বলেনঃ তিনি মাকৰূল।

আমি (আলবানী) বলছিঃ ইবনু হিব্বান কর্তৃক তাদেরকে নির্ভরযোগ্য আখ্যা দেয়ার দিকে দৃষ্টি দিয়ে ধোকায় পড়া যাবে না। কারণ এ বিষয়ে তার মতটি শায। কারণ তিনি তাতে জামহুরে মুহাদ্দেছের ঐকমত্যের প্রসিদ্ধ মতের উপর চলেননি। বিশেষ করে এখানে তার বর্ণনাটি সহীহ হাদীছের বিপরীতে হওয়ার কারণে।

আমার নিকট একটি নতুন তথ্য উদঘাটিত হয়েছে। যে বিষয়ে ইবনু হিব্বানের সিদ্ধান্তটি শায হিসাবে গণ্য হওয়াকেই শক্তিশালী করছে। আমি ১৩৯৬ সালে হজ্জের মওসুমে তার "আল-মাজরূহীন" গ্রন্থের একটি কপি পেয়েছি। তিনি তাতে একজন বর্ণনাকারীকেও মাজহুল হিসাবে দোষী করেছেন, এখন পর্যন্ত এরূপ দেখছিনা। এটি প্রমাণ করছে যে, মাজহুল হওয়াটা তার নিকট কোন দূষণীয় বিষয় নয়!

আলোচ্য হাদীছের অর্থবোধক আরেকটি হাদীছ হচ্ছে ওয়ায়েল ইবনু হুজরের হাদীছ, তিনি বলেনঃ ’আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেখেছি তিনি যখন সিজদা করতেন, তখন দু’ হাতের পূর্বে দু হাঁটু রাখতেন। আর যখন দাঁড়াতেন তখন দু’ হাঁটু উঠানোর পূর্বেই দু হাত উঠাতেন।’

এটি আবু দাউদ (১/১৩৪), নাসাঈ (১/১৬৫), তিরমিযী (২/৫৬), তাহাবী (১/১৫০), ইবনু হিব্বান তার "সাহীহ" (নং ৪৮৭) গ্রন্থে, দারাকুতনী (১৩১-১৩২), হাকিম (১/২২৬) ও তার থেকে বাইহাকী (২/৯৮) ইয়াযীদ ইবনু হারূণ সূত্রে তিনি শুরায়িক হতে তিনি আসেম ইবনু কুলায়িব হতে তিনি তার পিতা হতে ... বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি দুর্বল। মুহাদ্দিছগণ সনদটির ব্যাপারে মতভেদ করেছেন। ইমাম তিরমিযী বলেনঃ এ হাদীছটি হাসান গারীব। এভাবে শুরায়িক ছাড়া অন্য কেউ বর্ণনা করেছেন বলে জানি না। হাকিম বলেনঃ ইমাম মুসলিম শুরায়িক দ্বারা দলীল গ্রহণ করেছেন। হাফিয যাহাবীও তার সাথে ঐকমত্য পোষণ করেছেন। তারা দু’জনে যেরূপ বলেছেন আসলে সেরূপ নয়। সামনের আলোচনায় তার বিবরণ আসবে। ইবনুল কাইয়্যিম “আয-যাদ" (১/৭৯) গ্রন্থে বলেনঃ হাদীছটি সহীহ।

দারাকুতনী তাদের বিরোধিতা করে বলেছেনঃ শুরায়িক হতে ইয়াযীদ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। আসেম হতে শুরায়িক ছাড়া অন্য কেউ বর্ণনা করেননি। আর শুরায়িক এককভাবে বর্ণনা করলে তিনি তাতে শক্তিশালী নন।

ইমাম বুখারীও তাদের বিপরীত কথা বলেছেন। অতঃপর বাইহাকী তার "সুনান" (২/৯৯) গ্রন্থে বলেছেনঃ এ হাদীছটি শুরায়িক আল-কাযীর এককভাবে বর্ণনাকৃত হাদীছগুলোর অন্তর্ভুক্ত। হুমাম এ সূত্রে মুরসাল সনদে তার মুতাবায়াত করেছেন। ইমাম বুখারী ও অন্যান্য পূর্ববর্তী হাফিযগণ এরূপই উল্লেখ করেছেন।

এটিই হচ্ছে হক। যিনি ইনসাফ করবেন এবং সত্যিকার গবেষণার হক আদায় করবেন তিনি তাতে সন্দেহ করবেন না। অর্থাৎ সনদটি দুর্বল। এর কারণ দু’টিঃ

১। শুরায়িক কর্তৃক এককভাবে বর্ণনাকৃত।

২। তার বিরোধিতা করা হয়েছে। দারাকুতনী তার সম্পর্কে কী বলেছেন, তা একটু পূর্বেই অবগত হয়েছেন।

হাফিয ইবনু হাজার "আত-তাকবীর" গ্রন্থে বলেনঃ তিনি সত্যবাদী, বহু ভুল করতেন। তাকে যখন কুফার কাযীর দায়িত্ব দেয়া হয় তখন তার মুখস্থ বিদ্যায় পরিবর্তন ঘটেছিল।

আমি (আলবানী) বলছিঃ তার মত ব্যক্তির দ্বারা এককভাবে বর্ণনার ক্ষেত্রে দলীল গ্রহণ করা যায় না। অতএব যেখানে তার বিপরীত বর্ণনা এসেছে সেখানে কিভাবে তার দ্বারা দলীল গ্রহণ চলে। হাকিম ও যাহাবী যে বলেছেনঃ ইমাম মুসলিম তার দ্বারা দলীল গ্রহণ করেছেন, এটি তাদের দু’জনের ধারণা মাত্র। কারণ ইমাম মুসলিম তার থেকে বর্ণনা করেছেন মুতাবা’য়াতের ক্ষেত্রে। যেমনটি "আত-তারগীব ওয়াত তারহীব" গ্রন্থের খাতেমাতে মুনযেরী স্পষ্টভাবে বলেছেন। হাকিম এরূপ বহু সন্দেহের মধ্যে পড়েছেন আর যাহাবী তার অনুসরণ করেছেন। তারা উভয়ে এই শুরায়িকের হাদীছকে সহীহ আখ্যা দিয়েছেন। অথচ এটি হাসান হওয়ার যোগ্য নয়।

শুরায়িকের বর্ণনার মতন (ভাষা) ও সনদ উভয় দিক দিয়েই বিরোধিতা করা হয়েছেঃ

ভাষার দিক দিয়েঃ হাদীছটি একদল নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী আসেম হতে বর্ণনা করেছেন। তাতে তারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সালাতের বিবরণ শুরায়িকের বর্ণনার সালাতের বিবরণের চেয়েও বেশী পূর্ণ করে দিয়েছেন। তা সত্ত্বেও তারা সাজদা করা ও সিজদা হতে উঠার পদ্ধতি আসেম হতে মোটেই উল্লেখ করেননি। যেমনটি আবু দাউদ, নাসাঈ, আহমাদ ও অন্য বিদ্বানগণ যায়েদাহ, ইবনু উয়াইনাহ ও শুজা ইবনুল ওয়ালীদ সূত্রে আসেম হতে বর্ণনা করেছেন। তাদের সকলের সম্মিলিত বর্ণনা প্রমাণ করছে যে, আসেমের হাদীছে সাজদার যে পদ্ধতি শুরায়িকের একক বর্ণনা হতে এসেছে তা মুনকার।

আর সনদে বিরোধিতাঃ সেটি হচ্ছে এই যে, হুমাম বলেনঃ আমাদেরকে শাফীক আবুল লাইছ হাদীছটি বর্ণনা করে বলেছেনঃ আমাকে আসেম ইবনু কুলায়িব তার পিতা হতে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সিজদা দিতেন তখন তার দু হাত যমীনে পড়ার পূর্বেই তার দু’ হাঁটু যমীনে পড়তো।

এটি আবু দাউদ ও বাইহাকী বর্ণনা করেছেন। তিনি (বাইহাকী) বলেনঃ আফফান বলেছেন, এ হাদীছটি গারীব।

আমি (আলবানী) বলছিঃ শাফীক শুরায়িকের বিরোধিতা করে সনদটিকে মুরসাল করে ফেলেছেন। কিন্তু এই শাফীক শুরায়িকের চেয়ে উত্তম নয়। কারণ তিনি মাজহুল, তাকে চেনা যায় না। যেমনটি যাহাবী ও অন্য বিদ্বানগণ বলেছেন।

হুমামের নিকট হাদীছটির আরেকটি সনদ রয়েছে। কিন্তু সেটিও ক্রটিযুক্ত। তিনি বলেনঃ আমাদেরকে মুহাম্মাদ ইবনু জাহাদাহ হাদীছ বর্ণনা করেছেন, তিনি আব্দুল জাব্বার ইবনে ওয়ায়েল ইবনু হুযুর হতে তিনি তার পিতা হতে তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেনঃ তিনি যখন সালাতে প্রবেশ করতেন তখন দু’ হাত উত্তোলন করতেন ...। অতঃপর যখন সিজদা করার ইচ্ছা করতেন তখন তার দু’ হাত যমীনে পড়ার পূর্বেই তার দু’ হাঁটু যমীনে পড়তো। আর যখন দাঁড়াতেন তখন তার দু হাঁটু ও তার দু’ রানের উপর ভর করে দাঁড়াতেন।’

এটি আবু দাউদ ও বাইহাকী বর্ণনা করেছেন। এর সমস্যা হচ্ছে ইনকিতা’ (সনদে বিচ্ছিন্নতা)। ইমাম নাবাবী “আল-মাজমূ শারহুল মুহাযয্যাব” (৩/৪৪৬) গ্রন্থে বলেনঃ হাদীছটি দুর্বল। কারণ হাফিযগণ এ মর্মে ঐকমত্য হয়েছেন যে, আব্দুল জাব্বার তার পিতা হতে শুনেননি এবং তাকে পাননি।

এ অধ্যায়ে আরেকটি হাদীছ রয়েছে। সেটিও ক্রটিযুক্ত। সেটি আলা ইবনু ইসমাঈল আল-আত্তার হাফস ইবনু গিয়াছ হতে তিনি আসেম হতে তিনি আনাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ ’আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তাকবীরের সাথে সাথে ঝুঁকে পড়তে দেখেছি। তার দু’ হাঁটু তার দু হাতের চেয়ে অগ্রণী হয়ে যেত।

এটি দারাকুতনী (১৩২), হাকিম (১/২২৬), তার থেকে বাইহাকী (২/৯৯), আল-হাযেৰ্মী “আল-ইতিবার” (৫৫) গ্রন্থে, ইবনু হাযম “আল-মুহাল্লাহ" (৪/১২৯) গ্রন্থে এবং যিয়া আল-মাকদেসী “আল-আহাদীছুল মুখতারাহ" গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।

দারাকুতনী ও বাইহাকী বলেনঃ আলী ইবনু ইসমাঈল হাদীছটি এককভাবে বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ তিনি মাজহুল। যেমনটি ইবনুল কাইয়্যিম "যাদুল মায়াদ" (১/৮১) গ্রন্থে বলেছেন, আর তার পূর্বে বাইহাকী বলেছেন যেমনটি ইবনু হাজারের “আত-তালখীস” গ্রন্থে এসেছে। ইবনু আবী হাতিম "আল-ইলাল" (১/১৮৮) গ্রন্থে তার পিতার উদ্ধৃতিতে বলেনঃ এ হাদীছটি মুনকার।

আমি (আলবানী) বলছিঃ হাকিম ও যাহাবী যে বলেছেনঃ হাদীছটি শাইখায়েনের শর্তানুযায়ী সহীহ, এটি তাদের দু’জন হতে এই আলার অবস্থা সম্পর্কে বড় ধরনের অবহেলা। তিনি শাইখায়েনের বর্ণনাকারীদের অন্তর্ভুক্তও নন! হাফিয ইবনু হাজার তার জীবনীতে "আল-লিসান" গ্রন্থে বলেনঃ উমার ইবনু হাফস ইবনে গিয়াছ তার বিরোধিতা করেছেন। এ উমার তার পিতা হতে বর্ণনার ক্ষেত্রে মানুষের মধ্যে সর্বাপেক্ষা নির্ভরযোগ্য। তিনি তার পিতা হাফস হতে তিনি আমাশ হতে তিনি ইবরাহীম হতে তিনি আলকামাহ হতে আর অন্য ব্যক্তি উমার হতে মওকুফ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। এটিই নিরাপদ।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এটি তাহাবী (১/১৫১) উল্লেখিত সনদে ইব্রাহীম হতে তিনি আব্দুল্লাহর সাথী আলকামাহ ও আল-আসওয়াদ হতে বর্ণনা করেছেন। তারা উভয়ে বলেনঃ আমরা উমার (রাঃ) হতে হেফয করেছি তিনি তার সালাতে রুকু’র পরে তার দু’ হাঁটুর উপর ভর করে সিজদা করেন যেমনিভাবে উট বসে পড়ে। তিনি তার দু’ হাঁটুকে তার দু’ হাত রাখার পূর্বেই রাখেন। এ সনদটি সহীহ।

আমি (আলবানী) বলছিঃ হাদীছটি আব্দুর রাযযাক অনুরূপভাবে (২৯৫৫) বর্ণনা করেছেন।

এ আছারটির ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ সতর্কবাণীঃ

তা হচ্ছে এই যে, উট বসে তার দু হাঁটুর উপর ভর করে। অর্থাৎ তার সম্মুখের দু’ পায়ের উপর ভর করে। যখন অবস্থা এই, তখন মুসল্লির জন্য অপরিহার্য এই যে, যেরূপ উট তার দু হাঁটুর উপর ভর করে বসে সে তার ন্যায় দু হাঁটুর উপর ভর করে বসবে না। বহু হাদীছে উটের ন্যায় বসা নিষেধ সাব্যস্ত হওয়ার কারণে। যার কোন কোনটিতে তার ব্যাখ্যা সহ এসেছে। যেমন আবু হুরাইরাহ (রাঃ)-এর মারফু হাদীছে এসেছেঃ


إذا سجد أحدكم فلا يبرك كما يبرك البعير، وليضع يديه قبل ركبتيه

"তোমাদের কোন ব্যক্তি যখন সিজদা করবে তখন সে যেন উট বসার ন্যায় না বসে। সে যেন তার দু হাত দু হাঁটু রাখার পূর্বেই রাখে।"

এটি আবু দাউদ ভাল সনদে বর্ণনা করেছেন। আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে অন্য ভাষায় এসেছেঃ

كان النبي صلى الله عليه وسلم إذا سجد بدأ بوضع يديه قبل ركبتيه

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সিজদা করতেন তখন তার দু হাঁটুর পূর্বে তার দু’হাত রাখা শুরু করতেন।

এটি ইমাম তাহাবী “শারহুল মা’আনী” (১/১৪৯) গ্রন্থে কিছু পূর্বে উল্লেখিত সনদে বর্ণনা করেছেন। এ ছাড়া তিনি তার একটি শাহেদ ইবনু উমারের হাদীছ হতে বর্ণনা করেছেন। যাতে তার ও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আমলের কথা বলা হয়েছে। তার সনদটি সহীহ। হাকিম ও যাহাবী তাকে সহীহ আখ্যা দিয়েছেন।

এই সহীহ হাদীছগুলো পূর্বের হাদীছগুলো যে মুনকার তার প্রমাণ বহন করছে।

হাদীছগুলোর কোন কোনটি দুর্বল হওয়ার প্রমাণ বহন করছে আবু কিলাবার নিম্নোক্ত হাদীছটিও। তিনি বলেনঃ

’মালেক ইবনুল হুওয়াইরিছ আমাদের নিকট এসে বলতেনঃ আমি কি তোমাদেরকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সালাতের বিবরণ দিব না? তিনি সালাতের ওয়াক্ত ছাড়া অন্য সময়ে সালাত আদায় করতেন। তিনি যখন প্রথম রাকাআতের দ্বিতীয় সিজদা হতে তার মাথা উঠাতেন তখন সোজা হয়ে বসতেন। অতঃপর যমীনের উপর ভর দিয়ে দাড়াতেন।’

এটি ইমাম শাফে’ঈ “আল-উম্মু" (১/১০১) গ্রন্থে, নাসাঈ (১/১৭৩) এবং বাইহাকী (২/১২৪-১৩৫) শাইখায়েনের শর্তানুযায়ী সহীহ সনদে বর্ণনা করেছেন। ইমাম বুখারীও (২/২৪১) আবু কিলাবাহ হতে অনুরূপভাবে অন্য সূত্রে বর্ণনা করেছেন।

এতে স্পষ্ট প্রমাণ মিলছে যে, দ্বিতীয় রাকাআতের জন্য দাঁড়ানোর সময় সুন্নাত হচ্ছে যমীনের উপর ভর দিয়ে দাঁড়ানো। অর্থাৎ হাত দ্বারা। এর অর্থ হচ্ছে হাত দিয়ে ঠেস লাগানো যেমনটি "ফতহুল বারী" গ্রন্থে এসেছে। তিনি বলেনঃ আব্দুর রাযযাক ইবনু উমার হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি যখন সিজদা হতে তার মাথা উঠিয়ে দাঁড়াতেন তখন তার দু হাতের উপর ভর করে দাড়াতেন।’

যদিও এটির সনদে আল-উমারী নামক দুর্বল বর্ণনাকারী রয়েছেন, তবুও এটি ভর দিয়ে উঠার ক্ষেত্রে শক্তিশালী শাহেদ। যার বিবরণ ৯৬৭ নং হাদীছে আসবে।

كان يخر على ركبتيه، ولا يتكىء ضعيف - أخرجه ابن حبان في " صحيحه " (رقم 497 - موارد) من طريق معاذ بن محمد بن معاذ بن أبي بن كعب عن أبيه عن جده عن أبي بن كعب عن النبي صلى الله عليه وسلم: فذكره. قلت: وهذا سند ضعيف مسلسل بالمجهولين، قال ابن المديني: " لا نعرف محمد بن معاذ هذا، ولا أباه، ولا جده في الرواية، وهذا إسناد مجهول ". كذا في " الميزان " و" اللسان ". وقال الحافظ في ترجمة محمد هذا من " التقريب ". " مجهول ". وقال في ابنه معاذ: " مقبول قلت: وأما ابن حبان فأوردهم في " الثقات " على قاعدته في توثيق المجهولين، ثم أخرج حديثهم في صحيحه كما ترى، فلا تغتر بذلك، فإنه قد شذ في ذلك عن التعريف الذي اتفق عليه جماهير المحدثين في الحديث الصحيح وهو: " ما رواه عدل، ضابط، عن مثله ". فأين العدالة، وأين الضبط في مثل هؤلاء المجهولين. لاسيما وقد رووا منكرا من الحديث خالفوا به الصحيح الثابت عنه صلى الله عليه وسلم من غير طريق كما سيأتي بيانه ولقد بدا لي شيء جديد يؤكد شذوذ ابن حبان المذكور، ذلك أنني حصلت نسخة من كتابه القيم " المجروحين " في موسم حج السنة الماضية (1396) فلم أر له فيه راويا واحدا جرحه بالجهالة حتى الآن فهذا يؤكد أن الجهالة عنده ليست جرحا! هذا، وفي معناه حديث وائل بن حجر قال: " رأيت النبي صلى الله عليه وسلم إذا سجد وضع ركبتيه قبل يديه، وإذا نهض رفع يديه قبل ركبتيه أخرجه أبو داود (1 / 134) والنسائي (1 / 165) والترمذي (2 / 56) والطحاوي (1 / 150) وابن حبان في " صحيحه " (رقم 487 - موارد) والدارقطني (131 - 132) والحاكم (1 / 226) وعنه البيهقي (2 / 98) كلهم من طريق يزيد بن هارون: أخبرنا شريك (1) عن عاصم بن كليب عن أبيه عنه قلت: وهذا سند ضعيف، وقد اختلفوا فيه، فقال الترمذي عقبه: " هذا حديث حسن غريب، لا نعرف أحدا رواه مثل هذا عن شريك ". وقال الحاكم: " احتج مسلم بشريك "! ووافقه الذهبي! وليس كما قالا، على ما يأتي بيانه، وقال ابن القيم في " الزاد " (1 / 79) وقد ذكر الحديث: " هو الصحيح "، وخالفهم الدارقطني فقال عقبه: " تفرد به يزيد عن شريك، ولم يحدث به عاصم بن كليب غير شريك، وشريك ليس بالقوي فيما يتفرد به وخالفهم أيضا البخاري ثم البيهقي فقال هذا في " سننه " (2 / 99) : " هذا حديث يعد في أفراد شريك القاضي، وإنما تابعه همام من هذا الوجه مرسلا، هكذا ذكره البخاري وغيره من الحفاظ المتقدمين رحمهم الله تعالى وهذا هو الحق الذي لا يشك فيه كل من أنصف، وأعطى البحث حقه من التحقيق العلمي، أن هذا الإسناد ضعيف، وله علتان: الأولى: تفرد شريك به. والأخرى: المخالفة. وقد سمعت آنفا الدارقطني يقول في شريك: إنه ليس بالقوي فيما يتفرد به، وفي " التقريب ": " صدوق، يخطىء كثيرا، تغير حفظه منذ ولي القضاء بالكوفة ". قلت: فمثله لا يحتج به إذا تفرد فكيف إذا خالف كما يأتي بيانه، وقول الحاكم والذهبي: " احتج به مسلم " من أوهامهما، فإنما أخرج له مسلم في المتابعات كما صرح بذلك المنذري في خاتمة " الترغيب والترهيب وكثيرا ما يقع الحاكم في مثل هذا الوهم ويتبعه عليه الذهبي على خلاف ما يظن به، فيصححان أحاديث شريك على شرط مسلم، وهي لا تستحق التحسين فضلا عن التصحيح، فكيف على شرط مسلم؟ فليتنبه لهذا من أراد البصيرة في دينه، وأحاديث نبيه صلى الله عليه وسلم وأما المخالفة التي سبقت الإشارة إليها فهي من جهتين: المتن والسند فأما المتن، فقد روى الحديث جماعة من الثقات عن عاصم بن كليب به، فذكروا صفة صلاته صلى الله عليه وسلم بأتم مما ذكره شريك عن عاصم، ومع ذلك فلم يذكروا كيفية السجود والنهوض عنه إطلاقا كما أخرجه أبو داود والنسائي وأحمد وغيرهم عن زائدة وابن عيينة وشجاع بن الوليد كلهم عن عاصم به (1) . فدل ذلك على أن ذكر الكيفية في حديث عاصم منكر لتفرد شريك به دون الثقات وأما المخالفة في السند، فهو أن هماما قال: حدثنا شقيق أبو الليث قال: حدثني عاصم بن كليب عن أبيه. " أن النبي صلى الله عليه وسلم كان إذا سجد وقعت ركبتاه إلى الأرض قبل أن تقع كفاه ". أخرجه أبو داود والبيهقي وقال: " قال عفان: وهذا الحديث غريب " (2) قلت: فقد خالف شريكا شقيق فأرسله، ولكن شفيقا هذا ليس خيرا من شريك، فإنه مجهول لا يعرف، كما قال الذهبي وغيره. ولهمام فيه إسناد آخر، ولكنه معلول أيضا، فقال: حدثنا محمد بن جحادة عن عبد الجبار بن وائل بن حجر عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم: " كان إذا دخل في الصلاة رفع يديه ... فلما أراد أن يسجد وقعت ركبتاه على الأرض قبل أن تقع كفاه ... فإذا نهض، نهض على ركبتيه، واعتمد على فخذيه ". أخرجه أبو داود والبيهقي (3) وعلته الانقطاع، فقال النووي في " المجموع شرح المهذب " (3 / 446) : " حديث ضعيف لأن عبد الجبار بن وائل اتفق الحفاظ على أنه لم يسمع من أبيه شيئا، ولم يدركه وفي الباب حديث آخر معلول أيضا، رواه أبو العلاء بن إسماعيل العطار: حدثنا حفص بن غياث عن عاصم الأحول عن أنس قال: " رأيت رسول الله صلى الله عليه وسلم انحط بالتكبير فسبقت ركبتاه يديه أخرجه الدارقطني (132) والحاكم (1 / 226) وعنه البيهقي (2 / 99) والحازمي في " الاعتبار " (55) وابن حزم في " المحلى " (4 / 129) والضياء المقدسي في " الأحاديث المختارة ". وقال الدارقطني والبيهقي: تفرد به العلاء بن إسماعيل ". قلت: وهو مجهول كما قال ابن القيم في " الزاد " (1 / 81) ومن قبله البيهقي كما في " التلخيص " لابن حجر، وقال ابن أبي حاتم في " العلل " (1 / 188) عن أبيه: " هذا حديث منكر ". قلت: وأما قول الحاكم والذهبي: " حديث صحيح على شرط الشيخين " فغفلة كبيرة منهما عن حال العلاء هذا ، مع كونه ليس من رجال الشيخين! وقال الحافظ في ترجمته من " اللسان ": " وقد خالفه عمر بن حفص بن غياث، وهذا من أثبت الناس في أبيه، فرواه عن أبيه عن الأعمش عن إبراهيم عن علقمة وغيره عن عمر موقوفا عليه، وهذا هو المحفوظ قلت: أخرجه الطحاوي (1 / 151) بالسند المذكور عن إبراهيم عن أصحاب عبد الله علقمة والأسود فقالا: حفظنا عن عمر في صلاته أنه خر بعد ركوعه على ركبتيه كما يخر البعير، وضع ركبتيه قبل يديه. وسنده صحيح قلت: وقد صرح الأعمش عنده بالتحديث، ورواه عبد الرزاق (2955) نحوه. وفي هذا الأثر تنبيه هام، وهو أن البعير يبرك على ركبتيه، يعني اللتين في مقدمتيه، وإذا كان كذلك لزم أن لا يبرك المصلي على ركبتيه كما يبرك البعير، لما ثبت في أحاديث كثيرة من النهي عن بروك كبروك الجمل، وجاء في بعضها توضيح ذلك من حديث أبي هريرة مرفوعا بلفظ: " إذا سجد أحدكم فلا يبرك كما يبرك البعير، وليضع يديه قبل ركبتيه رواه أبو داود بسند جيد، وفي رواية عن أبي هريرة بلفظ: " كان النبي صلى الله عليه وسلم إذا سجد بدأ بوضع يديه قبل ركبتيه ". أخرجه الطحاوي في " شرح المعاني " (1 / 149) هو الذي قبله بالسند المشار إليه آنفا، وروى له شاهدا من حديث ابن عمر من فعله وفعل النبي صلى الله عليه وسلم. وسنده صحيح، وصححه الحاكم والذهبي فهذه الأحاديث الثابتة تدل على نكارة الأحاديث المتقدمة جميعها، ومما يدل على ضعف بعضها من جهة ما فيها من الزيادة في هيئة القيام إلى الركعة الثانية، حديث أبي قلابة قال: " كان مالك بن الحويرث يأتينا فيقول: ألا أحدثكم عن صلاة رسول الله صلى الله عليه وسلم؟ فيصلى في غير وقت الصلاة، فإذا رفع رأسه من السجدة الثانية في أول ركعة استوى قاعدا، ثم قام فاعتمد على الأرض ". أخرجه الإمام الشفاعي في " الأم " (1 / 101) والنسائي (1 / 173) والبيهقي (2 / 124 - 135) بإسناد صحيح على شرط الشيخين، وقد أخرجه البخاري (2 / 241) من طريق أخرى عن أبي قلابة نحوه. ففيه دلالة صريحة على أن السنة في القيام إلى الركعة الثانية إنما هو الاعتماد، أي باليد، لأنه افتعال من العماد، والمراد به الإتكاء وهو باليد كما في " الفتح " قال: " وروى عبد الرزاق عن ابن عمر أنه كان يقوم إذا رفع رأسه من السجدة معتمدا على يديه قبل أن يرفعهما "، قلت: وفيه عنده (2964، 2969) العمري وهو ضعيف، لكن الاعتماد فيه شاهد قوي سأذكره بإذن الله تحت الحديث الآتي برقم (967) فقد ثبت مما تقدم أن السنة الصحيحة إنما هو الاعتماد على اليدين في الهو ي إلى السجود وفي القيام منه، خلافا لما دلت عليه هذه الأحاديث الضعيفة، فكان ذلك دليلا آخر على ضعفها


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ