৮৩১

পরিচ্ছেদঃ

৮৩১। মদীনায় এক রামাযান অবস্থান করা অন্য দেশে এক হাজার রামাযান অবস্থান করার চেয়েও অতি উত্তম। মদীনায় এক জুম’আহ আদায় করা অন্য দেশে এক হাজার জুম’আহ আদায় করার চেয়েও অতি উত্তম।

হাদীছটি বাতিল।

এটি তাবারানী (১/১১১/২) এবং ইবনু আসাকির (৮/৫১০/২) আব্দুল্লাহ ইবনু আইউব আল-মাখরামী হতে তিনি আব্দুল্লাহ ইবনু কাছীর ইবনে জাফার হতে তিনি তার পিতা হতে তিনি তার দাদা হতে ... বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি খুবই দুর্বল। এই আব্দুল্লাহ ইবনু কাছীর সম্পর্কে যাহাবী “আল-মীযান” গ্রন্থে বলেনঃ তিনি কে জানা যায় না, তার এ হাদীছটি বাতিল। আর সনদটি অন্ধকারাচ্ছন্ন। তার থেকে আব্দুল্লাহ ইবনু আইউব আল-মাখরামী এককভাবে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন। তার এ বক্তব্যকে হাফিয ইবনু হাজার “আল-লিসান” গ্রন্থে সমর্থন করেছেন।

হাদীছটি সুয়ূতী “আল-জামেউস সাগীর” গ্রন্থে তাবারানী এবং যিয়ার বর্ণনায় উল্লেখ করেছেন। মানবী তার সমালোচনা করে বলেছেনঃ হায়ছামী (৩/১৪৫,৩০১) বলেনঃ তাতে আব্দুল্লাহ ইবনু কাছীর রয়েছেন, তিনি দুর্বল।

এটির একটি শাহেদ ইবনু উমার (রাঃ) হতে এসেছে। সেটি আবু নোয়াইম "আখবারু আসবাহান" (২/৩৩৭-৩৩৮) গ্রন্থে হায়ছাম ইবনু বিশর ইবনে হাম্মাদ হতে তিনি আমর ইবনু উছমান হতে তিনি আবদুল্লাহ ইবনু নাফে’ হতে তিনি আসেম ইবনু উমার আল-উমারী হতে ... বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি দুর্বল। আসেম ইবনু উমার আল-উমারী দুর্বল। বরং ইবনু হিব্বান (২/১২৩) বলেনঃ তিনি খুবই মুনকারুল হাদীছ। তিনি নির্ভরযোগ্যদের থেকে যা তাদের হাদীছের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ নয় তাই বর্ণনা করেছেন।

আব্দুল্লাহ ইবনু নাফে’- তিনি হচ্ছেন আস-সায়েগ । হাফিয ইবনু হাজার বলেনঃ ... তার হেফযে ক্রটি ছিল।

আমর ইবনু উছমান যদি হিমসী হন তাহলে তিনি সত্যবাদী। যদি আর-রাকী হন তাহলে দুর্বল। আর হায়ছাম ইবনু বিশর ইবনে হাম্মাদ সম্পর্কে ভাল-মন্দ কিছুই পাচ্ছি না। সম্ভবত তিনিই এ সূত্রটির সমস্যা।

আমি হাদীছটি আরেকটি সূত্রে ইবনু উমার (রাঃ) হতে পেয়েছি। সেটি ইবনু আসাকির উমার ইবনু আবী বাকর আল-মুসেলী হতে তিনি আল-কাসেম ইবনু আবদিল্লাহ আল-উমারী হতে তিনি কাছীর আল-মুযানী হতে ... বর্ণনা করেছেন। তার প্রথমে নিম্নোক্ত বর্ধিত সহীহ অংশটুকু রয়েছেঃ "আমার মসজিদে সালাত আদায় করা মসজিদুল হারাম ব্যতীত অন্য স্থানে এক হাজার সালাত আদায় করার তুল্য।" তিনি এ বর্ধিত অংশটুকু আল-মুসেলীর জীবনীর মধ্যে উল্লেখ করেছেন। আবূ হাতিম হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি তার সম্পর্কে বলেনঃ তিনি যাহেবুল হাদীছ, মাতরূকুল হাদীছ। আবূ যুর’আহ হাদীছের ক্ষেত্রে দুর্বলতার দিক দিয়ে তাকে ইবনু যাবালাহ এবং ওয়াকেদীর সাথে তুলনা করেছেন।

হাফিয সাঈদ আবু উমার আল-বারদাঈ বলেনঃ তিনি সমস্যাগুলোর এক সমস্যা।

আমি (আলবানী) বলছিঃ আল-কাসেম ইবনু আবদিল্লাহ উমারী তার ন্যায় বা তার চেয়েও নিকৃষ্ট। ইমাম আহমাদ তার সম্পর্কে বলেনঃ তিনি মিথ্যা বলতেন এবং হাদীছ জাল করতেন। তিনিও মিথ্যার দোষে দোষী । সুয়ুতীর উচিত ছিল হাদীছটি “আল-জামে” গ্রন্থে উল্লেখ না করা।

বাযযার ইবনু উমার (রাঃ) হতে সংক্ষিপ্তভাবে নিম্নের বাক্যে বর্ণনা করেছেনঃ

رمضان بمكة أفضل من ألف رمضان بغير مكة

"মক্কায় এক রামাযান মক্কা ছাড়া অন্য স্থানে এক হাজার রামাযান হতে অতি উত্তম।"

এটিকেও সুয়ূতী উল্লেখ করেছেন। হায়ছামী "আল-মাজমা" (৩/১৪৫) গ্রন্থে এর বর্ণনাকারী আসেম ইবনু উমারকে দুর্বল আখ্যা দিয়ে সমস্যা বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ আসেম ইবনু উমার এককভাবে এটি বর্ণনা করেছেন। তিনি সকলের ঐকমত্যে দুর্বল। আরেক বর্ণনাকারী আব্দুল্লাহ ইবনু নাফে সম্পর্কে হাফিয ইবনু হাজারের মন্তব্য পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে। আর আমর ইবনু হাম্মাদের জীবনী পাচ্ছি না।

رمضان بالمدينة خير من ألف رمضان فيما سواها من البلدان، وجمعة بالمدينة خير من ألف جمعة فيما سواها من البلدان باطل - رواه الطبراني (1 / 111 / 2) وابن عساكر (8 / 510 / 2) عن عبد الله بن أيوب المخرمي: أخبرنا عبد الله بن كثير بن جعفر عن أبيه عن جده عن بلال بن الحارث مرفوعا. قلت: وهذا سند واه، عبد الله هذا أورده الذهبي في " الميزان " وساق له هذا الحديث وقال: " لا يدرى من ذا؟ وهذا باطل، والإسناد مظلم، تفرد به عنه عبد الله بن أيوب المخرمي، لم يحسن ضياء الدين بإخراجه في (المختارة) وأقره الحافظ في " اللسان ". وعبد الله بن أيوب المخرمي هو عبد الله بن محمد بن أيوب وهو صدوق، وله ترجمة في تاريخ بغداد (10 / 81 - 82) . والحديث أورده السيوطي في " الجامع الصغير " من رواية الطبراني والضياء عن بلال. وتعقبه المناوي بأن الهيثمي قال: (3 / 145، 301) : " فيه عبد الله بن كثير وهو ضعيف وبكلام الذهبي المذكور. وقد وجدت له شاهدا من حديث ابن عمر، أخرجه أبو نعيم في " أخبار أصبهان " (2 / 337 - 338) عن الهيثم بن بشر بن حماد: حدثنا عمرو بن عثمان: حدثنا عبد الله بن نافع عن عاصم بن عمر العمري عن عبد الله بن دينار عنه مرفوعا. قلت: وهذا سند ضعيف، عاصم بن عمر العمري ضعيف. بل قال ابن حبان (2 / 123) : " منكر الحديث جدا، يروي عن الثقات مالا يشبه حديث الأثبات وعبد الله بن نافع هو الصائغ، قال الحافظ: " ثقة صحيح الكتاب، في حفظه لين من كبار العاشرة ". وعمرو بن عثمان إن كان الحمصي فصدوق، وإن كان الرقي فضعيف. والهيثم بن بشر بن حماد لم أجد فيه جرحا ولا تعديلا، ولعله آفة هذه الطريق ووجدت له طريق آخر عن ابن عمر. أخرجه ابن عساكر (12 / 349 / 1) عن عمر بن أبي بكر الموصلي (1) عن القاسم بن عبد الله العمري عن كثير المزني عن نافع عنه مرفوعا به. وفيه زيادة صحيحة في أوله وهي: " صلاة في مسجدي كألف صلاة فيما سواه إلا المسجد الحرام " الحديث. أورده في ترجمة الموصلي هذا وروى عن أبي حاتم أنه قال فيه: " ذاهب الحديث متروك الحديث وعن أبي زرعة أنه قرنه بابن زبالة والواقدي في الضعف في الحديث وعن الحافظ سعيد بن أبي عمر البردعي أنه قال: " هو آفة من الآفات ". قلت: والقاسم بن عبد الله العمري مثله أو شر منه، فقد قال الإمام أحمد: " كان يكذب ويضع الحديث وكثير المزني هو ابن عبد الله بن عمرو بن عوف متهم أيضا بالكذب. وبهذا التمام أورده السيوطي أيضا في " الجامع " من رواية البيهقي في " الشعب " عن ابن عمر، وتعقبه المناوي بقوله: " ظاهر صنيع المصنف أن مخرجه سكت عليه، والأمر بخلافه، فإنه عقبه بالقدح في سنده فقال: هذا إسناد ضعيف بمرة انتهى بلفظه، فحذف المصنف له من سوء الصنيع قلت: وعليه فمن حسن الصنيع أن لا يورده السيوطي في كتابه أصلا، ولوساق القدح المذكور فيه! هذا، ورواه البزار مختصرا عن ابن عمر بلفظ: " رمضان بمكة أفضل من ألف رمضان بغير مكة ". أورده السيوطي أيضا. وأعله الهيثمي في " المجمع " (3 / 145) بعاصم بن عمر، وهو ضعيف كما سبق. قلت: وإسناده عند البزار (ص 102 - زوائده) هكذا: حدثنا عمرو بن حماد بن بنت حماد بن مسعدة: حدثنا عبد الله بن نافع: حدثنا عاصم بن عمر عن عبد الله بن دينار عن ابن عمر به. وقال: تفرد به عاصم بن عمر، لا نعلمه عن النبي صلى الله عليه وسلم إلا من هذا الوجه، وعاصم متفق على ضعفه ". قلت: وعبد الله بن نافع هو الصائغ المدني قال الحافظ: " ثقة صحيح الكتاب، في حفظه لين ". وعمرو بن حماد بن بنت حماد بن مسعدة لم أجد له الآن ترجمة. وروي الحديث عن ابن عباس بلفظ: " ... مائة ألف "، وإليك لفظه بتمامه معه بيان حاله


হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ