৩৭৩৫

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - প্রশাসনিক কর্মস্থলে কাজ করা এবং তা গ্রহণের দায়িত্বে ভয় করা

৩৭৩৫-[৫] আবূ বুরায়দাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বিচারক তিন শ্রেণীর হয়। তন্মধ্যে এক প্রকারের (বিচারকদের) জন্য জান্নাত আর দু’ প্রকারের জন্য রয়েছে জাহান্নাম। সে বিচারক জান্নাতে যাবেন, যিনি হক চিনলেন এবং তদানুযায়ী ফায়সালা করেন। আর যে বিচারক হক উপলব্ধি করেও বিচার-ফায়সালার মধ্যে অন্যায়-অবিচার করে, সে বিচারক জাহান্নামী এবং যে বিচারক অজ্ঞতার সাথে বিচার-ফায়সালা করে, সেও জাহান্নামী। (আবূ দাঊদ ও ইবনু মাজাহ্)[1]

وَعَنْ بُرَيْدَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: الْقُضَاةُ ثَلَاثَةٌ: وَاحِدٌ فِي الْجَنَّةِ وَاثْنَانِ فِي النَّارِ فَأَمَّا الَّذِي فِي الْجَنَّةِ فَرَجُلٌ عَرَفَ الْحَقَّ فَقَضَى بِهِ وَرَجُلٌ عَرَفَ الْحَقَّ فَجَارَ فِي الْحُكْمِ فَهُوَ فِي النَّارِ وَرَجُلٌ قَضَى لِلنَّاسِ عَلَى جَهْلٍ فَهُوَ فِي النَّارِ . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَهْ

ব্যাখ্যা: বিচারপতি তিন শ্রেণীর, একশ্রেণী জান্নাতী বাকী দু’শ্রেণী জাহান্নামী।

‘আল্লামা ত্বীবী (রহঃ) এ হাদীসের ব্যাখ্যায় গুরুত্বপূর্ণ মতামত ব্যক্ত করেছেন, তিনি বলেছেনঃ হাদীসটির মধ্যে (فَأَمَّا الَّذِىْ فِى الْجَنَّةِ) এ অংশটিকে পূর্বের অংশের সাথে মিলানো বা সম্পৃক্ত করা হয়েছে এবং স্পষ্ট কোনো প্রকার বিশ্লেষণমূলক অধ্যায় ব্যবহার থেকে বিরত থাকা হয়েছে যাতে করে তাদের সম্পৃক্ততা আরো প্রগাঢ় হয়। আমরা এখানে স্পষ্ট শব্দটি এজন্য বলেছি যে, হাদীসের ইবারতে فَهُوَ فِى النَّارِ না হয়ে فَأَمَّا الَّذِي فِي النَّارِ হলে তখন এভাবে ব্যবহারটাই বেশী শ্রুতিমধুর, এরূপ ব্যবহারের একটি দৃষ্টান্ত আমরা কুরআন থেকে দিতে পারি।

আ-লি ‘ইমরান এর ৭ নং আয়াত فَأَمَّا الَّذِينَ فِي قُلُوبِهِمْ زَيْغٌ فَيَتَّبِعُونَ مَا تَشَابَهَ مِنْهُ এখানে পরবর্তী وَالرَّاسِخُونَ فِي الْعِلْمِ অংশটি فَأَمَّا لرَّاسِخُونَ فِي الْعِلْمِ হওয়া প্রয়োজন ছিল তা কিন্তু হয়নি এটাই হলো ভাষার শৈথিলতা। হাদীসটি ইমাম আবূ দাঊদ ও ইমাম ইবনু মাজাহ বর্ণনা করেছেন।

আল জামি‘ আস্ সগীরে এসেছে,

الْقُضَاةُ ثَلَاثَةٌ اثْنَانِ فِي النَّارِ وَوَاحِدٌ فِي الْجَنَّةِ رَجُلٌ عَلِمَ الْحَقَّ فَقَضٰى بِه فَهُوَ فِي الْجَنَّةِ وَرَجُلٌ قَضٰى لِلنَّاسِ عَلٰى جَهْلٍ فَهُوَ فِي النَّارِ وَرَجُلٌ عَرَفَ الْحَقَّ فَجَارَ فِي الْحُكْمِ فَهُوَ فِي النَّارِ

অর্থাৎ বিচারক তিন শ্রেণীর, দু’শ্রেণী জাহান্নামী আর এক শ্রেণী জান্নাতী- যে সত্য জানলো সে অনুযায়ী ফায়সালা করলো সে জান্নাতী, যে না জেনে বিচার করলো সে জাহান্নামী আর যে জানলো কিন্তু বিচার কাজে জুলুম করলো সেও জাহান্নামী। (‘আওনুল মা‘বূদ ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ৩৫৭০; মিরকাতুল মাফাতীহ)