৩৭৩৪

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - প্রশাসনিক কর্মস্থলে কাজ করা এবং তা গ্রহণের দায়িত্বে ভয় করা

৩৭৩৪-[৪] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি বিচারকের পদ কামনা করে এবং তা চেয়ে নেয়, সে পদ যেন তার নিজের দিকে (স্বীয় বোঝা) সোপর্দ করা হয়। আর যে ব্যক্তিকে উক্ত পদে বাধ্য-বাধকতাভাবে দেয়া হয়, আল্লাহ তা’আলা তার সাহায্যার্থে একজন মালাক (ফেরেশ্তা) অবতরণ করেন। তিনি তার কাজ-কর্মগুলো সুষ্ঠু-সুন্দরভাবে পরিচালনা করেন। (তিরমিযী, আবূ দাঊদ, ইবনু মাজাহ্)[1]

وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنِ ابْتَغَى الْقَضَاءَ وَسَأَلَ وُكِلَ إِلَى نَفْسِهِ وَمَنْ أُكْرِهَ عَلَيْهِ أَنْزَلَ اللَّهُ عَلَيْهِ مَلَكًا يُسَدِّدُهُ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه

وعن انس قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من ابتغى القضاء وسال وكل الى نفسه ومن اكره عليه انزل الله عليه ملكا يسدده رواه الترمذي وابو داود وابن ماجه

ব্যাখ্যা: ‘আল্লামা ত্বীবী (রহঃ) বলেনঃ অত্র হাদীসে ابْتَغٰى তথা চাওয়া এবং سَأَلَ তথা আবেদন করা, একই জাতীয় দু’টি শব্দ একত্রে আসার কারণ হলো সে নেতৃত্ব চায় প্রকাশ্যে জনসম্মুখে এটা বুঝাবার জন্য। কেননা নেতৃত্বের প্রতি মানুষের ওপর কর্তৃত্বের প্রতি অন্তর সর্বদা আশান্বিত থাকে। সুতরাং যারা এগুলো থেকে বিরত থাকলো তারা নিরাপদে থাকলো আর যারা তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করলো তারা ধ্বংস হলো। সুতরাং বাধ্যবাধকতা না থাকলে নেতৃত্বের সাথে সংশ্লিষ্ট হওয়া ঠিক নয় আর যদি বাধ্য করা হয় তাহলে সেখানে অন্তরের প্রবৃত্তিকে দমানো হলো আর যখন প্রবৃত্তিকে দমানো সম্ভব হবে তখন সঠিকতায় পৌঁছানো সম্ভব হবে। যারা বলে থাকেন যাকে বিচারপতি বানানো হলো তার ওপর আবশ্যক হলো তার সব খারাপ চিন্তাধারা, কুপ্রবৃত্তি মন থেকে মুছে ফেলা এ কথা ঠিক না, তাদের প্রতিউত্তরে আমি বলবো না, কথা ঠিক কারণ ইমাম দারাকুত্বনী, বায়হাক্বী ও ত্ববারানী মারফূ‘ সূত্রে যে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন তা এ কথারই সমার্থক। সেখানে বলা হয়েছে, ‘‘যাকে মুসলিমদের বিচারপতি বানানো হলো সে যেন তার আচার-ব্যবহার, ইশারা ইঙ্গিতে, উঠা-বসা সবক্ষেত্রেই ইনসাফ বজায় রাখে।’’

ত্ববারানী ও বায়হাক্বী-এর অন্য বর্ণনা উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণনা এসেছে, ‘‘যাকে মুসলিমদের বিচারপতি বানিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে সে যেন বাদী-বিবাদীর কারো ওপরই তার কন্ঠস্বর উঁচু না করে। ইমাম আবূ দাঊদ, ইমাম তিরমিযী ও ইমাম ইবনু মাজাহ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৪র্থ খন্ড, হাঃ ১৩৩৪; ‘আওনুল মা‘বূদ ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ৩৫৭৫; মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৮: প্রশাসন ও বিচারকার্য (كتاب الإمارة والقضاء)