৩২৮২

পরিচ্ছেদঃ ১১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - খুল্‘ই (খুলা‘ তালাক) ও তালাক প্রসঙ্গে

৩২৮২-[৯] ’আমর ইবনু শু’আয়ব তাঁর পিতার মাধ্যমে দাদা হতে বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মানুষের যে বিষয়ের মালিকানা বা অধিকার নেই, তার কোনো নযর (মানৎ) হয় না, যার মালিকানা নেই তার কোনো দাস মুক্ত করার অধিকার নেই। বিবাহ বন্ধন ব্যতীত তার তালাক নেই। (তিরমিযী)[1]

আর ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, মালিকানা ছাড়া কেনা-বেচা নেই।

وَعَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا نَذْرَ لِابْنِ آدَمَ فِيمَا لَا يَمْلِكُ وَلَا عِتْقَ فِيمَا لَا يَمْلِكُ وَلَا طَلَاقَ فِيمَا لَا يَمْلِكُ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَزَادَ أَبُو دَاوُدَ: «وَلَا بَيْعَ إِلَّا فِيمَا يملك»

ব্যাখ্যা: ‘নযর’ বা মানৎ ইসলামে একটি ‘ইবাদাত। কেউ যদি কোনো কিছু দান বা হেবার জন্য মানৎ করে তবে তার ওপর অবশ্যই মালিকানা স্বত্ত্ব প্রতিষ্ঠিত থাকতে হবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আদাম সন্তানের কারো কোনো বস্তুর উপর মালিকানা স্বত্ত্ব প্রতিষ্ঠিত না হলে তাতে নযর বা মানৎ বৈধ নয়। যদি সে কোনো কৃতদাসের ব্যাপারে বলে যে, আমি আল্লাহর ওয়াস্তে এ দাসটি মুক্ত করবো অথচ এই মানতের সময় সে তার মালিকই হয়নি, তাহলে তার এই মানৎ সহীহ হবে না। আর এই মানতের পর যদি মালিক হয় তবে তাকে মুক্ত করতে হবে না।

আবূ দাঊদ-এর বর্ণনায় এসেছে ‘মালিকানা স্বত্ত্ব প্রতিষ্ঠার পূর্বে ক্রয়-বিক্রয় নেই’। এর ব্যাখ্যা পূর্বানুরূপ। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৪র্থ খন্ড, হাঃ ১১৮১)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আমর ইবনু শু‘আয়ব (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ