৫০০৯

পরিচ্ছেদঃ ২১১৯. খাযীরা সম্পর্কে। নযর বলেছেন: খাযীরা ময়দা দিয়ে এবং হারীরা দুধ দিয়ে তৈরী করা হয়

৫০০৯। ইয়াহইয়া ইবনু বুকায়র (রহঃ) ... ইতবান ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি ছিলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বদর যুদ্ধে অংশ গ্রহনকারী আনসার সাহাবীদের একজন। একবার তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বলেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়েছে। আমি আমার গোত্রের লোকদের নিয়ে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করি। কিন্তু বৃষ্টি হলে আমার ও তাদের মধ্যকার উপত্যকায় পানি প্রবাহিত হয়। তখন আমি তাদের মসজিদে আসতে পারি না যে তাদের নিয়ে সালাত আদায় করব। তাই, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার আকাঙ্ক্ষা আপনি এসে যদি আমার ঘরে সালাত আদায় করতেন। তাহলে আমি সে স্থানে সালাতের জন্য নির্ধারন করে নিতাম। তিনি বললেনঃ ইনশাআল্লাহ আমি অচিরেই তা করবো।

ইতবান (রাঃ) বলেন পুরোভাবে সূর্য কিছু উপরে উঠলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও আবূ বকর (রাঃ) আসলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনুমতি চাইলেন। আমি তাকে অনুমতি দিলাম। তিনি না বসেই তৎক্ষনাৎ ঘরে প্রবেশ করে আমাকে বললেনঃ তোমার ঘরের কোন স্থানে আমার সালাত আদায় করা তোমার পছন্দ? আমি ঘরের এক দিকে ইঙ্গিত করলাম। তিনি সেখানে দাঁড়িয়ে তাকবীর বললেন। আমরা কাতার ধরলাম। তিনি দু’রাকআত সালাত আদায় করে সালাম ফিরালেন।

আমরা যে খাযীরা তৈরী করেছিলাম তা খাওয়ার জন্য তাকে বললাম। তার মহল্লার বহু সংখ্যক লোক ঘরে প্রবেশ করতে লাগল। তারপর তারা সমবতে হলে তাদের একজন বললোঃ মালিক ইবনু দুখশান কোখায়? অন্য একজন বললোঃ সে মুনাফিক? অন্য একজন বললোঃ সে মুনাফিক সে আল্লাহ ও তার রাসুলকে ভালবাসে না।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এমন কথা বলোনা। তুমি কি জানো না, সে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য লা-ইলাহা ইলাল্লাহ পড়েছে? লোকটি বললোঃ আল্লাহ ও তার রাসুল-ই ভাল জানেন। সে পূনরায় বললোঃ কিন্তু আমরা যে মুনাফিকদের সাথে তার সম্পর্ক ও তাদের প্রতি শুভ কামনা দেখতে পাই? তিনি বললেনঃ আল্লাহ তো জাহান্নামকে ঐ ব্যাক্তির জন্য হারাম করে দিয়েছেন যে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ পাঠ করলো। ইবনু শিহাব বলেনঃ এরপর আমি হুসায়ন ইবনু মুহাম্মদ আনসারী যিনি ছিলেন বানূ সালিমের একজন নেতৃস্থানীয় লোক তাকে মাহমুদের এ হাদীসের সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি এর সত্যতা স্বীকার করলেন।

باب الْخَزِيرَةِ وَقَالَ النَّضْرُ الْخَزِيرَةُ مِنَ النُّخَالَةِ، وَالْحَرِيرَةُ مِنَ اللَّبَنِ

حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي مَحْمُودُ بْنُ الرَّبِيعِ الأَنْصَارِيُّ، أَنَّ عِتْبَانَ بْنَ مَالِكٍ ـ وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِمَّنْ شَهِدَ بَدْرًا مِنَ الأَنْصَارِ ـ أَنَّهُ أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أَنْكَرْتُ بَصَرِي وَأَنَا أُصَلِّي لِقَوْمِي، فَإِذَا كَانَتِ الأَمْطَارُ سَالَ الْوَادِي الَّذِي بَيْنِي وَبَيْنَهُمْ، لَمْ أَسْتَطِعْ أَنْ آتِيَ مَسْجِدَهُمْ فَأُصَلِّيَ لَهُمْ، فَوَدِدْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنَّكَ تَأْتِي فَتُصَلِّي فِي بَيْتِي، فَأَتَّخِذُهُ مُصَلًّى‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ سَأَفْعَلُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ ‏"‏‏.‏ قَالَ عِتْبَانُ فَغَدَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبُو بَكْرٍ حِينَ ارْتَفَعَ النَّهَارُ، فَاسْتَأْذَنَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَأَذِنْتُ لَهُ فَلَمْ يَجْلِسْ حَتَّى دَخَلَ الْبَيْتَ، ثُمَّ قَالَ لِي ‏"‏ أَيْنَ تُحِبُّ أَنْ أُصَلِّيَ مِنْ بَيْتِكَ ‏"‏‏.‏ فَأَشَرْتُ إِلَى نَاحِيَةٍ مِنَ الْبَيْتِ فَقَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَكَبَّرَ، فَصَفَفْنَا، فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ سَلَّمَ وَحَبَسْنَاهُ عَلَى خَزِيرٍ صَنَعْنَاهُ، فَثَابَ فِي الْبَيْتِ رِجَالٌ مِنْ أَهْلِ الدَّارِ ذَوُو عَدَدٍ فَاجْتَمَعُوا، فَقَالَ قَائِلٌ مِنْهُمْ أَيْنَ مَالِكُ بْنُ الدُّخْشُنِ فَقَالَ بَعْضُهُمْ ذَلِكَ مُنَافِقٌ لاَ يُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ‏.‏ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لاَ تَقُلْ، أَلاَ تَرَاهُ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ‏.‏ يُرِيدُ بِذَلِكَ وَجْهَ اللَّهِ ‏"‏‏.‏ قَالَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ‏.‏ قَالَ قُلْنَا فَإِنَّا نَرَى وَجْهَهُ وَنَصِيحَتَهُ إِلَى الْمُنَافِقِينَ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ فَإِنَّ اللَّهَ حَرَّمَ عَلَى النَّارِ مَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ‏.‏ يَبْتَغِي بِذَلِكَ وَجْهَ اللَّهِ ‏"‏‏.‏ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ ثُمَّ سَأَلْتُ الْحُصَيْنَ بْنَ مُحَمَّدٍ الأَنْصَارِيَّ أَحَدَ بَنِي سَالِمٍ وَكَانَ مِنْ سَرَاتِهِمْ عَنْ حَدِيثِ مَحْمُودٍ فَصَدَّقَهُ‏.‏


Narrated 'Urban bin Malik: who attended the Badr battle and was from the Ansar, that he came to the Prophet (ﷺ) and said, "O Allah's Apostle! I have lost my eyesight and I lead my people in the prayer (as an Imam). When it rains, the valley which is between me and my people, flows with water, and then I cannot go to their mosque to lead them in the prayer. O Allah's Messenger (ﷺ)! I wish that you could come and pray in my house so that I may take it as a praying place. The Prophet (ﷺ) said, "Allah willing, I will do that." The next morning, soon after the sun had risen, Allah's Messenger (ﷺ) came with Abu Bakr. The Prophet (ﷺ) asked for the permission to enter and I admitted him. The Prophet (ﷺ) had not sat till he had entered the house and said to me, "Where do you like me to pray in your house?" I pointed at a place in my house whereupon he stood and said, "Allahu Akbar." We lined behind him and he prayed two rak`at and finished it with Taslim. We then requested him to stay for a special meal of Khazira which we had prepared. A large number of men from the adjoining area gathered in the house. One of them said, "Where is Malik bin Ad-Dukhshun?" Another man said, "He is a hypocrite and does not love Allah and His Apostle." The Prophet said, "Do not say so. Do you not think that he has said: "None has the right to be worshipped but Allah," seeking Allah's pleasure? The man said, "Allah and His Apostle know better, but we have always seen him mixing with hypocrites and giving them advice." The Prophet (ﷺ) said, "Allah has forbidden the (Hell) Fire for those who testify that none has the right to be worshipped but Allah, seeking Allah's pleasure. "