পরিচ্ছেদঃ কোন ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মিম্বার ও কবরের মাঝে কোন ভালো কাজ করবে, সে ব্যক্তির জান্নাতের বাগিচাসমূহ হতে একটি বাগিচা লাভ করা প্রসঙ্গে বর্ণনা
৩৭৪২. আবূ হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “আমার বাড়ি ও মিম্বারের মধ্যবর্তী জায়গা জান্নাতের বাগিচাসমূহের মধ্য হতে একটি বাগিচা। আর আমার মিম্বার আমার হাওযে কাওসারের উপর স্থাপিত।”[1]
আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “এই দুই হাদীসের বক্তব্যের মর্মার্থ, যা আমরা আমাদের কিতাবে আগেও বলেছি, সেটা হলো আরবরা তাদের ভাষায় কোন কোন সময় কোন জিনিস উল্লেখ করেন, কিন্তু উদ্দেশ্য নেন সেই জিনিসের উপকরণ। যেহেতু কোন মুসলিম যখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মিম্বারের কাছে ভালো আমল করে আল্লাহর নৈকট্যে চলে যান এবং তার আমল কবূল হওয়া ও তার বিনিময়ে জান্নাত প্রাপ্তির আশা করা যায়, তখন তার অভীষ্ট লক্ষ্য তথা জান্নাতের স্থলে উপকরণ তথা মিম্বারের কথা ব্যবহার করা হয়েছে।
অনুরুপ কথা তাঁর বক্তব্যের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তিনি বলেছেন, “এটা জান্নাতের বাগিচাসমূহের মাঝে একটি বাগিচা।”
অনুরুপভাবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বক্তব্য “আমার মিম্বার আমার হাওযে কাওসারের উপর” কেননা দুনিয়ায় এই জায়গায় ইবাদত করার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি হাওযে কাওসারের পানি পান ও জান্নাতে একটি বাগিচা প্রাপ্তির আশা করে থাকে।
এটা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এই বক্তব্যের মতই। তিনি বলেছেন “রোগীকে দেখতে যাওয়া ব্যক্তি জান্নাতের বাগানে থাকে।” কেননা রোগীকে দেখতে যাওয়া ব্যক্তির জন্য এর মাধ্যমে জান্নাতের একটি বাগিচা প্রাপ্তির আশা করা হয়। এটাই হলো উদ্দেশ্য। এই উদ্দিষ্ট বিষয়ের ক্ষেত্রে তার উপকরণকে ব্যবহার করা হয়েছে।
এটা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এই বক্তব্যের মতও। তিনি বলেছেন “জান্নাত তরবারীর ছায়ার নিচে।” এরকম আরো বহু দৃষ্টান্ত রয়েছে। মহান আল্লাহ ফায়সালা করলে ও চাইলে সেসব আমরা এই কিতাবে পরবর্তীতে আলোচনা করবো।
ذِكْرُ رَجَاءِ نَوَالِ الْمَرْءِ الْمُسْلِمِ بِالطَّاعَةِ رَوْضَةً مِنْ رِيَاضِ الْجَنَّةِ إِذَا أَتَى بِهَا بَيْنَ القبر والمنبر
3742 - أَخْبَرَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي مَعْشَرٍ بِحَرَّانَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا يَحْيَى الْقَطَّانُ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ عَنْ خُبَيْبِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ حَفْصِ بْنِ عَاصِمٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ: عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ: (مَا بَيْنَ بَيْتِي وَمِنْبَرِي رَوْضَةٌ مِنْ رِيَاضِ الْجَنَّةِ وَمِنْبَرِي عَلَى حوضي) الراوي : أَبُو هُرَيْرَةَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة أو الرقم: 3742 | خلاصة حكم المحدث: حسن صحيح - ((ظلال الجنة)) (731): ق. قَالَ أَبُو حَاتِمٍ: خِطَابُ هَذَيْنِ الْخَبَرَيْنِ مِمَّا نَقُولُ فِي كُتُبِنَا بِأَنَّ الْعَرَبَ تُطْلِقُ فِي لُغَتِهَا اسْمَ الشَّيْءِ الْمَقْصُودِ عَلَى سَبَبِهِ فَلَمَّا كَانَ الْمُسْلِمُ إِذَا تَقَرَّبَ إِلَى بَارِئِهِ جَلَّ وَعَلَا بِالطَّاعَةِ عِنْدَ مِنْبَرِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ورُجِيَ لَهُ قَبُولُهَا وَثَوَابُهُ عَلَيْهَا الْجَنَّةُ أَطْلَقَ اسْمَ الْمَقْصُودَ ـ الَّذِي هُوَ الْجَنَّةِ ـ عَلَى سَبَبِهِ ـ الَّذِي هُوَ الْمِنْبَرِ ـ. وَكَذَلِكَ قَوْلُهُ: (رَوْضَةٌ مِنْ رِيَاضِ الْجَنَّةِ) وَكَذَلِكَ قَوْلُهُ صلى الله عليه وسلم: (مِنْبَرِي عَلَى حَوْضِي) لِرَجَاءِ الْمَرْءِ نَوَالَ الشُّرْبِ مِنَ الْحَوْضِ وَالتَّمَكُّنِ مِنْ رَوْضَةٍ مِنْ رِيَاضِ الْجَنَّةِ بِطَاعَتِهِ فِي الدُّنْيَا فِي ذَلِكَ الْمَوْضِعِ. وَهَذَا كَقَوْلِهِ صلى الله عليه وسلم: (عَائِدُ الْمَرِيضِ فِي مَخْرَفَةِ الْجَنَّةِ) لَمَّا كَانَ عَائِدُ الْمَرِيضِ فِي وَقْتِ عِيَادَتِهِ يُرْجَى لَهُ بِهَا التَّمَكُّنُ مِنْ مَخْرَفَةِ الْجَنَّةِ وَهُوَ الْمَقْصُودُ أَطْلَقَ اسْمَ ذَلِكَ الْمَقْصُودِ عَلَى سَبَبِهِ. وَنَحْوُ هَذَا قَوْلُهُ صلى الله عليه وسلم: (الْجَنَّةُ تَحْتَ ظِلَالِ السُّيُوفِ) وَلِهَذَا نَظَائِرٌ كَثِيرَةٌ سَنَذْكُرُهَا فِيمَا بَعْدُ مِنْ هَذَا الْكِتَابِ إِنْ قَضَى اللَّهُ ذَلِكَ وَشَاءَهُ.