পরিচ্ছেদঃ আমরা যে দুই সালাতের বর্ণনা করলাম, তন্মধ্যে এই সালাত ছিল পরের সালাত
২১২২. আনাস বিন মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বশেষ যে সালাত সাহাবীদের সাথে আদায় করেছেন, তা তিনি আদায় করেছিলেন এক কাপড়ে তাওয়াশ্শুহ[1] করে।” এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো আবূ বকর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর পিছনে বসে সালাত আদায় করেছিলেন।”[2]
আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “এই হাদীস অন্তর থেকে এই সংশয় দূর করে দেয় যে, এসব হাদীসের মাঝে আদৌ কোন বৈপরীত্ব আছে। আর কোন সংশয়কারী ব্যক্তি এই সংশয় করতে পারে না যে, আমরা হাদীসগুলোর মাঝে যেভাবে সমন্নয় সাধন করেছি, তা ইমাম শাফে‘ঈ রহিমাহুল্লাহর কথার সাথে সাংঘর্ষিক। কেননা আমরা আমাদের কিতাবে যেসব মূলনীতি নিয়ে আলোচনা করেছি অথবা আমাদের লেখনীতে আমরা যেসব শাখাগত নিয়ম উদ্ভাবন করেছি- তার প্রত্যেকটি ইমাম শাফে‘ঈর বক্তব্য এবং তাঁর কিতাব যা এসেছে, তা থেকে এই মতের দিকে ফিরে আসবে। যদিও সেই কিতাবের মতটি তাঁর মত হিসেবে প্রশিদ্ধি লাভ করে থাকে। কেননা আমি ইবনু খুযাইমাহ রহিমাহুল্লাহকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, “আমি মুযানী রহিমাহুল্লাহকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, “আমি ইমাম শাফে‘ঈ রহিমাহুল্লাহকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, “যখন তোমাদের কাছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সহীহ হাদীস পৌঁছবে, তখন তোমরা হাদীস গ্রহণ করবে আর আমার কথা পরিত্যাগ করবে। ইমাম শাফে‘ঈ রহিমাহুল্লাহ হাদীস সংকলন, অনুধাবন প্রভৃতিতে প্রচুর প্রয়াস থাকা, হাদীসের সম্মান রক্ষার জন্য প্রতিরোধ গড়ে তোলা, সুন্নাহর বিরোধীদের উৎপাটন করা সত্তেও, তিনি বলেছেন, “যখন কোন সহীহ হাদীস পাওয়া যাবে, তবে সেটাই তাঁর কথা, তাঁর কিতাবে তাঁর যে কথা রয়েছে, তা থেকে এই কথার দিকে প্রত্যাবর্তনকারী। এটি সেই কথার অন্তর্ভুক্ত যা আমরা ‘আল মুবায়্যিন’ কিতাবে উল্লেখ করেছি যে, ইমাম শাফে‘ঈ রহিমাহুল্লাহর তিনটি বক্তব্য রয়েছে, ইসলামে এমন কথা আগে কেউ বলেননি, এবং তাঁর পরে কেউ এমন কথা বললে, সেই কথার উৎস হবেন ইমাম শাফে‘ঈ রহিমাহুল্লাহ।
প্রথম বক্তব্য: যা আমরা বর্ণনা করলাম। (যখন তোমাদের কাছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সহীহ হাদীস পৌঁছবে, তখন তোমরা হাদীস গ্রহণ করবে আর আমার কথা পরিত্যাগ করবে।)
দ্বিতীয় বক্তব্য: আমাকে মুহাম্মাদ বিন মুনযির বিন সা‘ঈদ রহিমাহুল্লাহ হাসান বিন মুহাম্মাদ বিন সাব্বাহ যা‘ফারানী রহিমাহুল্লাহ থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেন, “আমি ইমাম শাফে‘ঈ রহিমাহুল্লাহকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, “আমি যাদের সাথেই মুনাযারা করেনি, কারো ব্যাপারেই আমি চায়নি যে, তিনি ভুল করুক!”
তৃতীয় বক্তব্য: আমি মূসা বিন মুহাম্মাদ দাইলামীকে আনতাকিয়াতে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, “আমি রাবী‘ বিন সুলাইমানকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, আমি ইমাম শাফে‘ঈ রহিমাহুল্লাহকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, “আমি কামনা করি যে, লোকজন আমার এসব কিতাব থেকে ইলম অর্জন করুক আর সেসবকে আমার দিকে সম্পর্কিত না করুক!”
[2] তিরমিযী: ৩৬৩; তাহাবী, শারহু মা‘আনিল আসার: ১/৪০৬; বাইহাকী, দালাইলুন নুবুওওয়াহ: ৭/১৯২; মুসনাদ আহমাদ: ৩/১৫৯; নাসাঈ: ২/৭৯।
হাদীসটিকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে হাসান বলেছেন। (আত তা‘লীকাতুল হিসান: ২১২২)
ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ هَذِهِ الصَّلَاةَ كَانَتْ آخِرَ الصَّلَاتَيْنِ اللَّتَيْنِ وَصَفْنَاهُمَا قَبْلُ
2122 - أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْهَمْدَانِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سُوَيْدٍ الرَّمْلِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا أَيُّوبُ بْنُ سُلَيْمَانَ قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي أُوَيْسٍ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بِلَالٍ عَنْ حُمَيْدٍ الطَّوِيلِ عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: آخِرُ صَلَاةٍ صَلَّاهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَ الْقَوْمِ فِي ثوبٍ واحدٍ مُتَوَشِّحاً بِهِ - يريد قاعداً خلف أبي بكرٍ ـ.
الراوي : أَنَس بْن مَالِكٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 2122 | خلاصة حكم المحدث: صحيح
قَالَ أَبُو حَاتِمٍ ـ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ـ: هَذَا الْخَبَرُ يَنْفِي الِارْتِيَابَ عَنِ الْقُلُوبِ أَنَّ شَيْئًا مِنْ هَذِهِ الْأَخْبَارِ يُضَادُّ مَا عَارَضَهَا فِي الظَّاهِرِ وَلَا يَتَوَهَّمَنَّ مُتَوَهِّمٌ أَنَّ الْجَمْعَ بَيْنَ الْأَخْبَارِ عَلَى حَسْبِ مَا جَمَعْنَا بَيْنَهَا فِي هَذَا النَّوْعِ مِنْ أَنْوَاعِ السُّنَنِ يُضَادُّ قَوْلَ الشَّافِعِيِّ ـ رَحْمَةُ اللَّهِ وَرِضْوَانُهُ عَلَيْهِ ـ وَذَلِكَ أَنَّ كُلَّ أَصْلٍ تَكَلَّمْنَا عَلَيْهِ فِي كُتُبِنَا أَوْ فَرْعٍ اسْتَنْبَطْنَاهُ مِنَ السُّنَنِ فِي مُصَنَّفَاتِنَا هِيَ ـ كُلُّهَا ـ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ وَهُوَ رَاجِعٌ عَمَّا فِي كُتُبِهِ وَإِنْ كَانَ ذَلِكَ الْمَشْهُورَ مِنْ قَوْلِهِ وَذَاكَ أَنِّي سَمِعْتُ ابْنَ خُزَيْمَةَ يَقُولُ: سَمِعْتُ الْمُزَنِيَّ يَقُولُ: سَمِعْتُ الشَّافِعِيَّ يَقُولُ: إِذَا صَحَّ لَكُمُ الْحَدِيثُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَخُذُوا بِهِ وَدَعُوا قُولِي.
وَللِشَّافِعِيِّ ـ رَحْمَةُ اللَّهِ عَلَيْهِ ـ فِي كَثْرَةِ عِنَايَتِهِ بِالسُّنَنِ وَجَمْعِهِ لَهَا وتفقُّهه فِيهَا وذَبِّه عَنْ حَرِيمِهَا وَقَمْعِهِ مَنْ خَالَفَهَا زَعَمَ أَنَّ الْخَبَرَ إِذَا صَحَّ فَهُوَ قَائِلٌ بِهِ رَاجِعٌ عَمَّا تَقَدَّمَ مِنْ قَوْلِهِ فِي كُتُبِهِ وَهَذَا مِمَّا ذَكَرْنَاهُ فِي كِتَابِ ((الْمُبَيِّنِ)) أَنَّ لِلشَّافِعِيِّ ـ رَحِمَهُ اللَّهُ ـ ثَلَاث كَلِمَاتٍ مَا تَكَلَّمُ بِهَا أَحَدٌ فِي الْإِسْلَامِ قَبْلَهُ وَلَا تَفَوَّهَ بِهَا أَحَدٌ بَعْدَهُ إِلَّا وَالْمَأْخَذُ فِيهَا كَانَ عَنْهُ:
إِحْدَاهَا: مَا وَصَفْتُ
وَالثَّانِيَةُ: أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُنْذِرِ بْنِ سَعِيدٍ عَنِ الْحَسَنِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ الصَّبَّاحِ الزَّعْفَرَانِيِّ قَالَ: سَمِعْتُ الشَّافِعِيَّ يَقُولُ: مَا نَاظَرْتُ أحداً قط فأحببت أن يُخطىء.
وَالثَّالِثَةُ: سَمِعْتُ مُوسَى بْنَ مُحَمَّدٍ الدَّيْلَمِيَّ بِأَنْطَاكِيَّةَ يَقُولُ: سَمِعْتُ الرَّبِيعَ بْنَ سُلَيْمَانَ يَقُولُ: سَمِعْتُ الشَّافِعِيَّ يَقُولُ: وَدِدْتُ أَنَّ النَّاسَ تَعَلَّمُوا هَذِهِ الكتب ولم ينسبوها إلي.