পরিচ্ছেদঃ আমানত আদায় করার গুরুত্ব

আল্লাহ তাআলা বলেন,

إِنَّ اللهَ يَأْمُرُكُمْ أَنْ تُؤَدُّوا الْأَمَانَاتِ إِلٰـى أَهْلِهَا

অর্থাৎ, আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন যে, আমানত তার মালিককে প্রত্যর্পণ করবে। (সূরা নিসা ৫৮)

তিনি আরো বলেন,

إِنَّا عَرَضْنَا الْأَمَانَةَ عَلَى السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ وَالْجِبَالِ فَأَبَيْنَ أَنْ يَحْمِلْنَهَا وَأَشْفَقْنَ مِنْهَا وَحَمَلَهَا الإنْسَانُ إِنَّهُ كَانَ ظَلُوْماً جَهُوْلاً

অর্থাৎ, নিশ্চয়ই আমি আকাশ, পৃথিবী ও পর্বতমালার প্রতি এ আমানত অর্পণ করতে চেয়েছিলাম। ওরা ভয়ে বহন করতে অস্বীকার করল; কিন্তু মানুষ তা বহন করল। নিশ্চয় সে অতিশয় যালেম ও অতিশয় অজ্ঞ। (সূরা আহযাব ৭২)


(৩৪২০) আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’মুনাফিকের চিহ্ন তিনটি; (১) কথা বললে মিথ্যা বলে। (২) ওয়াদা করলে তা ভঙ্গ করে এবং (৩) তার কাছে আমানত রাখা হলে তার খিয়ানত করে।’’ (বুখারী ৩৩, মুসলিম ২২০)

মুসলিমের অন্য বর্ণনায় আছে, ’’যদিও সে রোযা রাখে এবং নামায পড়ে ও ধারণা করে যে, সে মুসলিম (তবু সে মুনাফিক)।’’ (মুসলিম ২২২)

وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ آيةُ المُنافقِ ثلاثٌ : إِذَا حَدَّثَ كَذَبَ وَإِذَا وَعدَ أخْلَفَ، وَإِذَا اؤْتُمِنَ خَانَ مُتَّفَقٌ عَلَيهِ وفي رواية وَإِنْ صَامَ وَصَلَّى وَزَعَمَ أنَّهُ مُسْلِمٌ

وعن ابي هريرة ان رسول الله ﷺ قال اية المنافق ثلاث اذا حدث كذب واذا وعد اخلف واذا اوتمن خان متفق عليه وفي رواية وان صام وصلى وزعم انه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ আমানত আদায় করার গুরুত্ব

(৩৪২১) হুযাইফাহ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিকট দু’টি হাদীস বর্ণনা করেছেন। একটি তো আমি প্রত্যক্ষ করেছি এবং দ্বিতীয়টির জন্য অপেক্ষায় রয়েছি। তিনি আমাদের কাছে বর্ণনা করেছেন যে, আমানত মানুষের অন্তরের অন্তস্তলে অবতীর্ণ হয়েছে। অতঃপর কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে। তারপর তারা কুরআন থেকে জ্ঞানার্জন করেছে। তারপর তারা নবীর হাদীস থেকেও জ্ঞানার্জন করেছে। এরপর আমাদেরকে আমানত তুলে নেওয়া সম্পর্কে বর্ণনা করেছেন, ’’মানুষ এক ঘুম ঘুমানোর পর তার অন্তর থেকে আমানত তুলে নেওয়া হবে। তখন একটি বিন্দুর মত তার চিহ্ন অবশিষ্ট থাকবে। পুনরায় মানুষ এক ঘুম ঘুমাবে। আবারো তার অন্তর থেকে আমানত উঠিয়ে নেওয়া হবে। তখন জ্বলন্ত আগুন গড়িয়ে তোমার পায়ে পড়লে যেমন একটা ফোস্কা পড়ে কালো দাগ দেখতে পাওয়া যায় তার মত চিহ্ন থাকবে। তুমি তাকে ফোলা দেখবে; কিন্তু বাস্তবে তাতে কিছুই থাকবে না।’’ অতঃপর (উদাহরণ স্বরূপ) তিনি একটি কাঁকর নিয়ে নিজ পায়ে গড়িয়ে দিলেন।

(তারপর বলতে লাগলেন,) ’’সে সময় লোকেরা বেচাকেনা করবে কিন্তু প্রায় কেউই আমানত আদায় করবে না। এমনকি লোকে বলাবলি করবে যে, অমুক বংশে একজন আমানতদার লোক আছে। এমনকি (দুনিয়াদার) ব্যক্তি সম্পর্কে মন্তব্য করা হবে, সে কতই না অদম্য! সে কতই না বিচক্ষণ! সে কতই না বুদ্ধিমান! অথচ তার অন্তরে সরিষার দানা পরিমাণ ঈমানও থাকবে না।’’ (হুযাইফা বলেন,) ইতিপূর্বে আমার উপর এমন যুগ অতিবাহিত হয়ে গেছে, যখন কারো সাথে বেচাকেনা করতে কোন পরোয়া করতাম না। কারণ সে মুসলিম হলে তার দ্বীন তাকে আমার (খিয়ানত থেকে) বিরত রাখবে। আর খ্রিষ্টান অথবা ইয়াহুদী হলে তার শাসকই আমার হক ফিরিয়ে দেবে। কিন্তু বর্তমানের অবস্থা হচ্ছে এই যে, আমি অমুক অমুক ছাড়া বেচাকেনা করতে প্রস্তুত নই।

وَعَن حُذَيفَةَ بنِ اليَمَانِ قَالَ : حَدَّثَنَا رَسُوْلُ الله ﷺ حَدِيثَينِ قَدْ رأيْتُ أحَدَهُمَا وأنا أنتظرُ الآخَر : حَدَّثَنَا أَنَّ الأمَانَةَ نَزلَت في جَذرِ قُلُوبِ الرِّجَالِ ثُمَّ نَزَلَ القُرآنُ فَعَلِمُوا مِنَ القرآن وَعَلِمُوا مِنَ السُّنَّةِ ثُمَّ حَدَّثَنَا عَن رَفعِ الأمَانَةِ فَقَالَ يَنَامُ الرَّجُلُ النَّوْمَةَ فَتُقْبَضُ الأَمَانَةُ مِنْ قَلْبهِ فَيَظَلُّ أثَرُهَا مِثلَ الوَكْتِ ثُمَّ يَنَامُ النَّومَةَ فَتُقْبَضُ الأَمَانَةُ مِنْ قَلْبهِ فَيَظَلُّ أثَرُهَا مِثلَ أَثَرِ المَجْلِ، كَجَمْرٍ دَحْرَجْتَهُ عَلَى رِجْلِكَ فَنَفِطَ فَتَرَاهُ مُنْتَبراً وَلَيسَ فِيهِ شَيءٌ ثُمَّ أخَذَ حَصَاةً فَدَحْرَجَهُ عَلَى رِجْلِهِ فَيُصْبحُ النَّاسُ يَتَبَايعُونَ فَلا يَكَادُ أحدٌ يُؤَدّي الأَمَانَةَ حَتّٰـى يُقَالَ : إنَّ في بَني فُلان رَجُلاً أميناً حَتّٰـى يُقَالَ لِلرَّجُلِ : مَا أجْلَدَهُ مَا أَظْرَفَهُ مَا أعْقَلَهُ وَمَا في قَلْبِهِ مِثْقَالُ حَبَّة مِن خَرْدَل مِنْ إيمَان وَلَقدْ أتَى عَلَيَّ زَمَانٌ وَمَا أُبَالِي أيُّكُمْ بَايَعْتُ : لَئن كَانَ مُسْلِماً لَيَرُدَّنَّهُ عليَّ دِينهُ وَإنْ كَانَ نَصْرانِيّاً أَوْ يَهُودِياً لَيَرُدَّنَّهُ عَلَيَّ سَاعِيهِ وَأَمَّا اليَوْمَ فَمَا كُنْتُ أُبَايعُ مِنْكُمْ إلاَّ فُلاناً وَفُلاناً مُتَّفَقٌ عَلَيهِ

وعن حذيفة بن اليمان قال حدثنا رسول الله ﷺ حديثين قد رايت احدهما وانا انتظر الاخر حدثنا ان الامانة نزلت في جذر قلوب الرجال ثم نزل القران فعلموا من القران وعلموا من السنة ثم حدثنا عن رفع الامانة فقال ينام الرجل النومة فتقبض الامانة من قلبه فيظل اثرها مثل الوكت ثم ينام النومة فتقبض الامانة من قلبه فيظل اثرها مثل اثر المجل كجمر دحرجته على رجلك فنفط فتراه منتبرا وليس فيه شيء ثم اخذ حصاة فدحرجه على رجله فيصبح الناس يتبايعون فلا يكاد احد يودي الامانة حتى يقال ان في بني فلان رجلا امينا حتى يقال للرجل ما اجلده ما اظرفه ما اعقله وما في قلبه مثقال حبة من خردل من ايمان ولقد اتى علي زمان وما ابالي ايكم بايعت لىن كان مسلما ليردنه علي دينه وان كان نصرانيا او يهوديا ليردنه علي ساعيه واما اليوم فما كنت ابايع منكم الا فلانا وفلانا متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ আমানত আদায় করার গুরুত্ব

(৩৪২২) হুযাইফাহ ও আবূ হুরাইরাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’বরকতময় মহান আল্লাহ (কিয়ামতের দিন) সকল মানুষকে একত্রিত করবেন। অতঃপর মু’মিনগণ উঠে দাঁড়াবে; এমনকি জান্নাতও তাদের নিকটবর্তী ক’রে দেওয়া হবে। (যার কারণে তাদের জান্নাত যাওয়ার ইচ্ছা প্রবল হয়ে যাবে)। সুতরাং তারা আদম (সালাওয়াতুল্লাহি আলাইহি)র নিকট আসবে। অতঃপর বলবে, ’হে আমাদের পিতা! আমাদের জন্য (আল্লাহর কাছে) জান্নাত খুলে দেওয়ার আবেদন করুন।’ তিনি বলবেন, ’(তোমরা কি জান না যে,) একমাত্র তোমাদের পিতার ভুলই তোমাদেরকে জান্নাত থেকে বহিষ্কার করেছে? সুতরাং আমি এর যোগ্য নই। তোমরা আমার ছেলে ইব্রাহীম খলীলুল্লাহর নিকট যাও।’’ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ’’অতঃপর তারা ইব্রাহীমের নিকট যাবে।’’ ইব্রাহীম বলবেন, ’আমি এর উপযুক্ত নই। আমি আল্লাহর খলীল (বন্ধু) ছিলাম বটে, কিন্তু আমি এত উচ্চ মর্যাদার অধিকারী নই। (অতএব) তোমরা মূসার নিকট যাও, যার সঙ্গে আল্লাহ সরাসরি কথা বলেছেন।’ ফলে তারা মূসার নিকট যাবে। কিন্তু তিনি বলবেন, ’আমি এর যোগ্য নই। তোমরা আল্লাহর কালেমা ও তাঁর রূহ ঈসার নিকট যাও।’ কিন্তু ঈসাও বলবেন, ’আমি এর উপযুক্ত নই।’

অতঃপর তারা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আসবে। সুতরাং তিনি দাঁড়াবেন। অতঃপর তাঁকে (দরজা খোলার) অনুমতি দেওয়া হবে। আর আমানত ও আত্মীয়তার বন্ধনকে ছেড়ে দেওয়া হবে। সুতরাং উভয়ে পুল সিরাত্বের দু’দিকে ডানে ও বামে দাঁড়িয়ে যাবে। অতঃপর তোমাদের প্রথম দল বিদ্যুতের মত গতিতে (অতি দ্রুতবেগে) পুল পার হয়ে যাবে। আমি (আবূ হুরাইরা) বললাম, ’আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কুরবান হোক! বিদ্যুতের মত গতিতে পার হওয়ার অর্থ কি?’ তিনি বললেন, ’’তুমি কি দেখনি যে, বিদ্যুৎ কিভাবে চোখের পলকে যায় ও আসে?’’ অতঃপর (দ্বিতীয় দল) বাতাসের মত গতিতে (পার হবে)। তারপর (পরবর্তী দল) পাখী উড়ার মত এবং মানুষের দৌড়ের মত গতিতে। তাদেরকে তাদের নিজ নিজ আমল (সিরাত্ব) পার করাবে। আর তোমাদের নবী পুল-সিরাতের উপর দাঁড়িয়ে থাকবেন। তিনি বলবেন, ’’হে প্রভু! বাঁচাও, বাঁচাও!’’ শেষ পর্যন্ত বান্দাদের আমলসমূহ অক্ষম হয়ে পড়বে। এমনকি কোন কোন ব্যক্তি পাছা ছেঁচ্ড়াতে ছেঁচ্ড়াতে (সিরাত্ব) পার হবে। আর সিরাত্বের দুই পাশে আঁকড়া ঝুলে থাকবে। যাকে ধরার জন্য সে আদিষ্ট তাকে ধরে নেবে। অতঃপর (কিছু লোক) জখম হলেও বেঁচে যাবে। আর কিছু লোককে হাত-পা বেঁধে (পিছন থেকে ধাক্কা দিয়ে) জাহান্নামে ফেলা হবে। সেই সত্তার কসম, যার হাতে আবূ হুরাইরার প্রাণ আছে! নিশ্চয় জাহান্নামের গভীরতা সত্তর বছরের (দূরত্বের পথ)।

وَعَن حُذَيفَةَ وَأبي هُرَيرَةَ رَضِيَ الله عَنهُمَا قَالاَ : قَالَ رَسُوْلُ الله ﷺ يَجمَعُ اللهُ تبَارَكَ وَتَعَالَى النَّاسَ فَيَقُومُ المُؤمِنُونَ حَتّٰـى تُزْلَفَ لَهُمُ الجَنَّةُ فَيَأتُونَ آدَمَ صَلَواتُ اللهِ عَلَيهِ فَيقُولُونَ : يَا أَبَانَا اسْتَفْتِحْ لَنَا الجَنَّةَ فَيقُولُ : وَهَلْ أخْرَجَكُمْ مِنَ الجَنَّةِ إلاَّ خَطيئَةُ أبيكُمْ لَسْتُ بِصَاحِبِ ذلِكَ اذْهَبُوا إِلَى ابْنِي إِبْراهيمَ خَلِيل اللهِ قَالَ : فَيَأتُونَ إبرَاهِيمَ فَيَقُولُ إبراهيم : لَسْتُ بِصَاحِبِ ذلِكَ إِنَّمَا كُنْتُ خَليلاً مِنْ وَرَاءَ وَرَاءَ، اعْمَدُوا إِلَى مُوسَى الَّذِي كَلَّمَهُ الله تَكليماً। فَيَأتُونَ مُوسَى فَيَقُولُ : لستُ بِصَاحِبِ ذلِكَ اذْهَبُوا إِلَى عِيسى كلمةِ اللهِ ورُوحه فيقول عيسى : لستُ بصَاحبِ ذلِكَ فَيَأتُونَ مُحَمَّداً ﷺ فَيَقُومُ فَيُؤذَنُ لَهُ وتُرْسَلُ الأَمَانَةُ وَالرَّحِمُ فَيَقُومانِ جَنْبَتَي الصِّرَاطِ يَمِيناً وَشِمَالاً فَيَمُرُّ أوَّلُكُمْ كَالبَرْقِ قُلْتُ : بأبي وَأمِّي أيُّ شَيءٍ كَمَرِّ البَرقِ ؟ قَالَ ألَمْ تَرَوا كَيْفَ يمُرُّ وَيَرْجِعُ في طَرْفَةِ عَيْن ثُمَّ كَمَرّ الرِّيحِ ثُمَّ كَمَرِّ الطَّيْرِ وَشَدِّ الرِّجَال تَجْري بهمْ أعْمَالُهُمْ وَنَبيُّكُمْ قَائِمٌ عَلَى الصِّراطِ يَقُولُ : رَبِّ سَلِّمْ سَلِّمْ حَتّٰـى تَعْجِزَ أعْمَالُ العِبَادِ حَتّٰـى يَجِيء الرَّجُلُ لا يَسْتَطِيعُ السَّيْرَ إلاَّ زَحْفاً وَفي حَافَتي الصِّراطِ كَلاَلِيبُ معَلَّقَةٌ مَأمُورَةٌ بِأخْذِ مَنْ أُمِرَتْ بِهِ فَمَخْدُوشٌ نَاجٍ وَمُكَرْدَسٌ في النَّارِ وَالَّذِي نَفْسُ أَبي هُرَيْرَةَ بِيَدِهِ إنَّ قَعْرَ جَهَنَّمَ لَسَبْعُونَ خَرِيفاً رواه مسلم

وعن حذيفة وابي هريرة رضي الله عنهما قالا قال رسول الله ﷺ يجمع الله تبارك وتعالى الناس فيقوم المومنون حتى تزلف لهم الجنة فياتون ادم صلوات الله عليه فيقولون يا ابانا استفتح لنا الجنة فيقول وهل اخرجكم من الجنة الا خطيىة ابيكم لست بصاحب ذلك اذهبوا الى ابني ابراهيم خليل الله قال فياتون ابراهيم فيقول ابراهيم لست بصاحب ذلك انما كنت خليلا من وراء وراء اعمدوا الى موسى الذي كلمه الله تكليما فياتون موسى فيقول لست بصاحب ذلك اذهبوا الى عيسى كلمة الله وروحه فيقول عيسى لست بصاحب ذلك فياتون محمدا ﷺ فيقوم فيوذن له وترسل الامانة والرحم فيقومان جنبتي الصراط يمينا وشمالا فيمر اولكم كالبرق قلت بابي وامي اي شيء كمر البرق قال الم تروا كيف يمر ويرجع في طرفة عين ثم كمر الريح ثم كمر الطير وشد الرجال تجري بهم اعمالهم ونبيكم قاىم على الصراط يقول رب سلم سلم حتى تعجز اعمال العباد حتى يجيء الرجل لا يستطيع السير الا زحفا وفي حافتي الصراط كلاليب معلقة مامورة باخذ من امرت به فمخدوش ناج ومكردس في النار والذي نفس ابي هريرة بيده ان قعر جهنم لسبعون خريفا رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ আমানত আদায় করার গুরুত্ব

(৩৪২৩) আবূ খুবাইব আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, যখন আমার পিতা যুবাইর) ’জামাল’ যুদ্ধের দিন দাঁড়ালেন, তখন তিনি আমাকে ডাকলেন। সুতরাং আমি তাঁর পাশে দাঁড়ালাম। অতঃপর তিনি বললেন, ’হে বৎস! আজকের দিন যারা খুন হবে সে অত্যাচারী হবে অথবা অত্যাচারিত। আমার ধারণা যে, আমি আজকে অত্যাচারিত হয়ে খুন হয়ে যাব। আর আমার সবচেয়ে বড় চিন্তা আমার ঋণের। (হে আমার পুত্র!) তুমি কি ধারণা করছ যে, আমার ঋণ আমার কিছু সম্পদ অবশিষ্ট রাখবে (অর্থাৎ, ঋণ পরিশোধ করার পর কিছু মাল বেঁচে যাবে)?’ অতঃপর তিনি বললেন, ’হে আমার পুত্র! তুমি আমার সম্পত্তি বিক্রি ক’রে আমার ঋণ পরিশোধ ক’রে দিয়ো।’ আর তিনি এক তৃতীয়াংশ সম্পদ অসিয়ত করলেন এবং এক তৃতীয়াংশের এক তৃতীয়াংশ তাঁর অর্থাৎ, আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর (রাঃ) এর ছেলেদের জন্য অসিয়ত করলেন। তিনি বললেন, ’যদি ঋণ পরিশোধ করার পর আমার কিছু সম্পদ বেঁচে যায়, তাহলে তার এক তৃতীয়াংশ তোমার ছেলেদের জন্য।’

(হাদীসের এক রাবী) হিশাম বলেন, আব্দুল্লাহর কিছু ছেলে যুবাইরের কিছু ছেলে খুবাইব ও আববাদের সমবয়স্ক ছিল। সে সময় তাঁর নয়টি ছেলে ও নয়টি মেয়ে ছিল। আব্দুল্লাহ বলেন, অতঃপর তিনি (যুবাইর) তাঁর ঋণের ব্যাপারে আমাকে অসিয়ত করতে থাকলেন এবং বললেন, ’হে বৎস! যদি তুমি ঋণ পরিশোধ করতে অপারগ হয়ে যাও, তাহলে তুমি এ ব্যাপারে আমার মওলার সাহায্য নিও।’ তিনি (আব্দুল্লাহ) বলেন, আল্লাহর কসম! তাঁর উদ্দেশ্য আমি বুঝতে পারলাম না। পরিশেষে আমি বললাম, ’আববাজান! আপনার মওলা কে?’ তিনি বললেন, ’আল্লাহ।’ আব্দুল্লাহ বলেন, অতঃপর আল্লাহর কসম! আমি তাঁর ঋণের ব্যাপারে যখনই কোন অসুবিধায় পড়েছি তখনই বলেছি, ’হে যুবাইরের মওলা! তুমি তাঁর পক্ষ থেকে তাঁর ঋণ আদায় করে দাও।’ সুতরাং আল্লাহ তা আদায় করে দিয়েছেন।

আব্দুল্লাহ বলেন, (সেই যুদ্ধে) যুবাইর খুন হয়ে গেলেন এবং তিনি (নগদ) একটি দীনার ও দিরহামও ছেড়ে গেলেন না। কেবল জমি-জায়গা ছেড়ে গেলেন; তার মধ্যে একটি জমি ’গাবাহ’ ছিল আর এগারোটি ঘর ছিল মদীনায়, দু’টি বাসরায়, একটি কুফায় এবং একটি মিসরে। তিনি বলেন, আমার পিতার ঋণ এইভাবে হয়েছিল যে, কোন লোক তাঁর কাছে আমানত রাখার জন্য মাল নিয়ে আসত। অতঃপর যুবাইর (রাঃ) বলতেন, ’না, (আমানত হিসাবে নয়) বরং তা আমার কাছে ঋণ হিসাবে থাকবে। কেননা, আমি তা নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছি।’ (কারণ আমানত নষ্ট হলে তা আদায় করা জরুরী নয়, কিন্তু ঋণ আদায় করা সর্বাবস্থায় জরুরী)।

তিনি কখনও গভর্নর হননি, না কদাচ তিনি ট্যাক্স, খাজনা বা অন্য কোন অর্থ আদায় করার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। (যাতে তাঁর মাল সংগ্রহে কোন সন্দেহ থাকতে পারে।) অবশ্য তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ বকর, উমর ও উসমান (রাঃ) দের সঙ্গে জিহাদে অংশ নিয়েছিলেন (এবং তাতে গনীমত হিসাবে যা পেয়েছিলেন সে কথা ভিন্ন)।

আব্দুল্লাহ বলেন, একদা আমি তাঁর ঋণ হিসাব করলাম, তো (সর্বমোট) ২২ লাখ পেলাম। অতঃপর হাকীম ইবনে হিযাম আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন। হাকীম বললেন, ’হে ভাতিজা! আমার ভাই (যুবাইর)এর উপর কত ঋণ আছে?’ আমি তা গোপন করলাম এবং বললাম, ’এক লাখ।’ পুনরায় হাকীম বললেন, ’আল্লাহর কসম! আমার মনে হয় না যে, তোমাদের সম্পদ এই ঋণ পরিশোধে যথেষ্ট হবে।’ আব্দুল্লাহ বললেন, ’কী রায় আপনার যদি ২২ লাখ হয়?’ তিনি বললেন, ’আমার মনে হয় না যে, তোমরা এ পরিশোধ করার ক্ষমতা রাখো। সুতরাং তোমরা যদি কিছু পরিশোধে অসমর্থ হয়ে পড়, তাহলে আমার সহযোগিতা নিও।’

যুবাইর এক লাখ সত্তর হাজারের বিনিময়ে ’গাবাহ’ কিনেছিলেন। অতঃপর আব্দুল্লাহ সেটি ১৬ লাখের বিনিময়ে বিক্রি করলেন। অতঃপর তিনি দাঁড়িয়ে ঘোষণা করলেন যে, ’যুবাইরের উপর যার ঋণ আছে সে আমার সঙ্গে ’গাবাহ’তে সাক্ষাৎ করুক।’ (ঘোষণা শুনে) আব্দুল্লাহ ইবনে জা’ফর তাঁর নিকট এলেন। যুবাইরকে দেওয়া তাঁর ৪ লাখ ঋণ ছিল। তিনি আব্দুল্লাহকে বললেন, ’তোমরা যদি চাও, তবে এ ঋণ তোমাদের জন্য মকুব ক’রে দেব?’ আব্দুল্লাহ বললেন, ’না।’ তিনি বললেন, ’যদি তোমরা চাও যে, ঋণ (এখন আদায় না করে) পরে আদায় করবে, তাহলে তাও করতে পার।’ আব্দুল্লাহ বললেন, ’না।’ তিনি বললেন, ’তাহলে তুমি আমাকে এই জমির এক অংশ দিয়ে দাও।’ আব্দুল্লাহ বললেন, ’এখান থেকে এখান পর্যন্ত তোমার রইল।’

অতঃপর আব্দুল্লাহ ঐ জমি (ও বাড়ি)র কিছু অংশ বিক্রি ক’রে তাঁর (পিতার) ঋণ পরিপূর্ণরূপে পরিশোধ ক’রে দিলেন। আর ঐ ’গাবাহ’র সাড়ে চার ভাগ বাকী থাকল। অতঃপর তিনি মুআবিয়াহর কাছে এলেন এমতাবস্থায় যে, তাঁর কাছে আমর ইবনে উসমান, মুনযির ইবনে যুবাইর এবং ইবনে যামআহ উপস্থিত ছিলেন। মুআবিয়াহ তাঁকে বললেন, ’গাবাহর কত দাম হয়েছে?’ তিনি বললেন, ’প্রত্যেক ভাগের এক লাখ।’ তিনি বললেন, ’কয়টি ভাগ বাকী রয়ে গেছে?’ তিনি বললেন, ’সাড়ে চার ভাগ।’ মুনযির ইবনে যুবাইর বললেন, ’আমি তার মধ্যে একটি ভাগ এক লাখে নিয়ে নিলাম।’ আমর ইবনে উসমান বললেন, ’আমিও এক ভাগ এক লাখে নিয়ে নিলাম।’ ইবনে যামআহ বললেন, ’আমিও এক ভাগ এক লাখে নিয়ে নিলাম।’ অবশেষে মুআবিয়াহ বললেন, ’আর কত ভাগ বাকী থাকল?’ তিনি বললেন, ’দেড় ভাগ।’ তিনি বললেন, ’আমি দেড় লাখে তা নিয়ে নিলাম।’

আব্দুল্লাহ বলেন, ’আব্দুল্লাহ ইবনে জা’ফর তাঁর ভাগটি মুআবিয়ার কাছে ছয় লাখে বিক্রি করলেন।’

অতঃপর যখন ইবনে যুবাইর ঋণ পরিশোধ ক’রে শেষ করলেন, তখন যুবাইরের ছেলেরা বলল, ’(এবার) তুমি আমাদের মধ্যে আমাদের মীরাস বন্টন ক’রে দাও।’ তিনি বললেন, ’আল্লাহর কসম! আমি তোমাদের মধ্যে (তা) বন্টন করব না, যতক্ষণ না আমি চার বছর হজ্জের মৌসমে ঘোষণা করব যে, যুবাইরের উপর যার ঋণ আছে সে আমাদের কাছে আসুক, আমরা তা পরিশোধ ক’রে দেব।’ অতঃপর তিনি প্রত্যেক বছর (হজ্জের) মৌসমে ঘোষণা করতে থাকলেন। অবশেষে যখন চার বছর পার হয়ে গেল, তখন তিনি তাদের মধ্যে (মীরাস) বন্টন ক’রে দিলেন এবং এক তৃতীয়াংশ মাল (যাদেরকে দেওয়ার অসিয়ত ছিল তাদেরকে তা) দিয়ে দিলেন। আর যুবাইরের চারটি স্ত্রী ছিল। প্রত্যেক স্ত্রীর ভাগে পড়ল বারো লাখ ক’রে। তাঁর সর্বমোট পরিত্যক্ত সম্পদ ছিল পাঁচ কোটি দু’লাখ।

وعَنْ أَبِي خُبَيْبٍ عَبدِ اللهِ بنِ الزُّبَيرِ رَضِيَ الله عَنهُمَا قَالَ : لَمَّا وَقفَ الزُّبَيْرُ يَوْمَ الجَمَل دَعَانِي فَقُمْتُ إِلَى جَنْبه فَقَالَ : يَا بُنَيَّ، إنَّهُ لاَ يُقْتَلُ اليَومَ إلاَّ ظَالِمٌ أَوْ مَظْلُومٌ، وَإنِّي لا أراني إلاَّ سَأُقْتَلُ اليوم مظلوماً، وإنَّ مِنْ أكبرَ هَمِّي لَدَيْنِي أفَتَرَى دَيْننا يُبقي من مالِنا شَيئاً ؟ ثُمَّ قَالَ : يَا بُنَيَّ بعْ مَا لَنَا وَاقْضِ دَيْنِي وَأوْصَى بِالثُّلُثِ وَثُلُثِهِ لِبَنِيهِ يعني لبني عبد الله بن الزبير ثُلُثُ الثُّلُث قَالَ : فَإنْ فَضَلَ مِنْ مَالِنَا بَعْدَ قَضَاءِ الدَّينِ شَيء فَثُلُثُه لِبَنِيكَ قَالَ هِشَام : وَكَانَ بَعْضُ وَلَدِ عَبْدِ اللهِ قَدْ وَازى بَعْضَ بَنِي الزُّبَيْرِ خُبيبٍ وَعَبَّادٍ وَلهُ يَوْمَئذٍ تِسْعَةُ بَنينَ وَتِسْعُ بَنَات قَالَ عَبدُ الله : فَجَعلَ يُوصينِي بدَيْنِهِ وَيَقُولُ : يَا بُنَيَّ إنْ عَجَزْتَ عَن شَيْءٍ مِنْهُ فَاسْتَعِنْ عَلَيهِ بِمَوْلاَيَ قَالَ : فَوَاللهِ مَا دَرَيْتُ مَا أرَادَ حَتّٰـى قُلْتُ : يَا أبَتِ مَنْ مَوْلاَكَ ؟ قَالَ : الله قَالَ : فَوَاللهِ مَا وَقَعْتُ في كُرْبةٍ مِنْ دَيْنِهِ إلاَّ قُلْتُ : يَا مَوْلَى الزُّبَيْرِ اقْضِ عَنْهُ دَيْنَهُ فَيَقْضِيَهُ قَالَ : فَقُتِلَ الزُّبَيْرُ وَلَم يَدَعْ دِينَاراً وَلا دِرْهماً إلاَّ أرَضِينَ مِنْهَا الغَابَةُ وإحْدَى عَشْرَةَ دَاراً بالمَدِينَةِ وَدَارَيْنِ بالبَصْرَةِ ودَاراً بالكُوفَةِ ودَاراً بمِصْرَ قَالَ : وَإِنَّمَا كَانَ دَيْنُهُ الَّذِي كَانَ عَلَيهِ أنَّ الرَّجُلَ كَانَ يَأتِيهِ بالمال فَيَسْتَودِعُهُ إيَّاهُ فَيَقُولُ الزُّبَيْرُ : لا وَلَكِنْ هُوَ سَلَفٌ إنِّي أخْشَى عَلَيهِ الضَّيْعَةَ وَمَا وَليَ إمَارَةً قَطُّ وَلا جِبَايَةً ولا خراجاً وَلاَ شَيئاً إلاَّ أنْ يَكُونَ في غَزْوٍ مَعَ رسولِ الله ﷺ أَوْ مَعَ أَبي بَكْرٍ وَعُمَرَ وَعُثْمَانَ قَالَ عَبدُ الله: فَحَسَبْتُ مَا كَانَ عَلَيهِ مِن الدَّيْنِ فَوَجَدْتُهُ ألْفيْ ألْفٍ وَمئَتَي ألْف فَلَقِيَ حَكِيمُ بنُ حِزَام عَبْدَ الله بْنَ الزُّبَيْرِ فَقَالَ : يَا ابْنَ أخِي كَمْ عَلَى أخي مِنَ الدَّيْنِ ؟ فَكَتَمْتُهُ وَقُلْتُ : مِئَةُ ألْف فَقَالَ حَكيمٌ : واللهِ مَا أرَى أمْوَالَكُمْ تَسَعُ هذِهِ فَقَالَ عَبْدُ اللهِ : أرَأيْتُكَ إنْ كَانَتْ ألْفَي ألف وَمئَتَيْ ألْف ؟ قَالَ : مَا أرَاكُمْ تُطيقُونَ هَذَا فَإنْ عَجَزْتُمْ عَنْ شَيءٍ مِنْهُ فَاسْتَعِينُوا بي قَالَ : وَكَانَ الزُّبَيرُ قَد اشْتَرَى الغَابَةَ بِسَبْعِينَ ومئة ألف فَبَاعَهَا عَبدُ اللهِ بِألْفِ ألْف وَسِتّمِئَةِ ألْف ثُمَّ قَامَ فَقَالَ : مَنْ كَانَ لَهُ عَلَى الزُّبَيرِ شَيْء فَلْيُوافِنَا بِالغَابَةِ فَأتَاهُ عَبدُ اللهِ بنُ جَعفَر وَكَانَ لَهُ عَلَى الزُّبَيرِ أرْبَعمئةِ ألْف فَقَالَ لعَبدِ الله : إنْ شِئْتُمْ تَرَكْتُهَا لَكمْ ؟ قَالَ عَبدُ الله : لا قَالَ : فَإنْ شِئتُمْ جَعَلْتُمُوهَا فِيمَا تُؤَخِّرُونَ إنْ إخَّرْتُمْ فَقَالَ عَبدُ الله : لا قَالَ : فَاقْطَعُوا لِي قطْعَةً قَالَ عَبدُ الله : لَكَ مِنْ هاهُنَا إِلَى هَاهُنَا فَبَاعَ عَبدُ اللهِ مِنهَا فَقَضَى عَنْهُ دَينَه وَأوْفَاهُ وَبَقِيَ مِنْهَا أرْبَعَةُ أسْهُم وَنِصْفٌ فَقَدِمَ عَلَى مُعَاوِيَة وَعنْدَهُ عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ وَالمُنْذِرُ بْنُ الزُّبَيْرِ وَابْنُ زَمْعَةَ فَقَالَ لَهُ مُعَاويَةُ : كَمْ قُوِّمَتِ الغَابَةُ ؟ قَالَ : كُلُّ سَهْم بمئَة ألف، قَالَ : كَمْ بَقِيَ مِنْهَا ؟ قَالَ: أرْبَعَةُ أسْهُم وَنصْفٌ، فَقَالَ المُنْذِرُ بْنُ الزُّبَيرِ : قَدْ أخَذْتُ مِنْهَا سَهماً بِمئَةِ ألفٍ قَالَ عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ : قَدْ أخَذْتُ مِنْهَا سَهْماً بمئَةِ ألْفٍ وَقالَ ابْنُ زَمْعَةَ : قَدْ أخَذْتُ سَهْماً بِمئَةِ ألْفٍ فَقَالَ مُعَاويَةُ : كَمْ بَقِيَ مِنْهَا ؟ قَالَ : سَهْمٌ ونصْفُ سَهْم قَالَ : قَدْ أخَذْتُهُ بخَمْسِينَ وَمئَةِ ألْف قَالَ : وَبَاعَ عَبدُ الله بْنُ جَعفَر نَصيبهُ مِنْ مُعَاوِيَةَ بِسِتِّمِئَةِ ألْفٍ فَلَمَّا فَرَغَ ابْنُ الزُّبَيرِ مِنْ قَضَاءِ دَيْنِهِ قَالَ بَنُو الزُّبَيرِ : اقسمْ بَينَنَا ميراثَنا قَالَ : وَاللهِ لا أقْسِمُ بَيْنَكُمْ حَتّٰـى أنَادِي بالمَوْسم أرْبَعَ سنينَ : ألا مَنْ كَانَ لَهُ عَلَى الزُّبَيرِ دَيْنٌ فَلْيَأتِنَا فَلْنَقْضِهِ فَجَعَلَ كُلّ سَنَةٍ يُنَادِي في المَوْسِمِ فَلَمَّا مَضَى أرْبَعُ سنينَ قَسَمَ بيْنَهُمْ وَدَفَعَ الثُّلُثَ وَكَانَ للزُّبَيْرِ أرْبَعُ نِسْوَةٍ فَأصَابَ كُلَّ امرَأةٍ ألْفُ ألف وَمِئَتَا ألْف فَجَميعُ مَالِه خَمْسُونَ ألفَ ألْفٍ وَمِئَتَا ألْفٍ رواه البخاري

وعن ابي خبيب عبد الله بن الزبير رضي الله عنهما قال لما وقف الزبير يوم الجمل دعاني فقمت الى جنبه فقال يا بني انه لا يقتل اليوم الا ظالم او مظلوم واني لا اراني الا ساقتل اليوم مظلوما وان من اكبر همي لديني افترى ديننا يبقي من مالنا شيىا ثم قال يا بني بع ما لنا واقض ديني واوصى بالثلث وثلثه لبنيه يعني لبني عبد الله بن الزبير ثلث الثلث قال فان فضل من مالنا بعد قضاء الدين شيء فثلثه لبنيك قال هشام وكان بعض ولد عبد الله قد وازى بعض بني الزبير خبيب وعباد وله يومىذ تسعة بنين وتسع بنات قال عبد الله فجعل يوصيني بدينه ويقول يا بني ان عجزت عن شيء منه فاستعن عليه بمولاي قال فوالله ما دريت ما اراد حتى قلت يا ابت من مولاك قال الله قال فوالله ما وقعت في كربة من دينه الا قلت يا مولى الزبير اقض عنه دينه فيقضيه قال فقتل الزبير ولم يدع دينارا ولا درهما الا ارضين منها الغابة واحدى عشرة دارا بالمدينة ودارين بالبصرة ودارا بالكوفة ودارا بمصر قال وانما كان دينه الذي كان عليه ان الرجل كان ياتيه بالمال فيستودعه اياه فيقول الزبير لا ولكن هو سلف اني اخشى عليه الضيعة وما ولي امارة قط ولا جباية ولا خراجا ولا شيىا الا ان يكون في غزو مع رسول الله ﷺ او مع ابي بكر وعمر وعثمان قال عبد الله فحسبت ما كان عليه من الدين فوجدته الفي الف ومىتي الف فلقي حكيم بن حزام عبد الله بن الزبير فقال يا ابن اخي كم على اخي من الدين فكتمته وقلت مىة الف فقال حكيم والله ما ارى اموالكم تسع هذه فقال عبد الله ارايتك ان كانت الفي الف ومىتي الف قال ما اراكم تطيقون هذا فان عجزتم عن شيء منه فاستعينوا بي قال وكان الزبير قد اشترى الغابة بسبعين ومىة الف فباعها عبد الله بالف الف وستمىة الف ثم قام فقال من كان له على الزبير شيء فليوافنا بالغابة فاتاه عبد الله بن جعفر وكان له على الزبير اربعمىة الف فقال لعبد الله ان شىتم تركتها لكم قال عبد الله لا قال فان شىتم جعلتموها فيما توخرون ان اخرتم فقال عبد الله لا قال فاقطعوا لي قطعة قال عبد الله لك من هاهنا الى هاهنا فباع عبد الله منها فقضى عنه دينه واوفاه وبقي منها اربعة اسهم ونصف فقدم على معاوية وعنده عمرو بن عثمان والمنذر بن الزبير وابن زمعة فقال له معاوية كم قومت الغابة قال كل سهم بمىة الف قال كم بقي منها قال اربعة اسهم ونصف فقال المنذر بن الزبير قد اخذت منها سهما بمىة الف قال عمرو بن عثمان قد اخذت منها سهما بمىة الف وقال ابن زمعة قد اخذت سهما بمىة الف فقال معاوية كم بقي منها قال سهم ونصف سهم قال قد اخذته بخمسين ومىة الف قال وباع عبد الله بن جعفر نصيبه من معاوية بستمىة الف فلما فرغ ابن الزبير من قضاء دينه قال بنو الزبير اقسم بيننا ميراثنا قال والله لا اقسم بينكم حتى انادي بالموسم اربع سنين الا من كان له على الزبير دين فلياتنا فلنقضه فجعل كل سنة ينادي في الموسم فلما مضى اربع سنين قسم بينهم ودفع الثلث وكان للزبير اربع نسوة فاصاب كل امراة الف الف ومىتا الف فجميع ماله خمسون الف الف ومىتا الف رواه البخاري

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ আমানত আদায় করার গুরুত্ব

(৩৪২৪) জাবের বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন কেউ কোন কথা বলে এদিক-ওদিক তাকায়, তবে তা আমানত।

عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ إِذَا حَدَّثَ الرَّجُلُ بِالْحَدِيثِ ثُمَّ الْتَفَتَ فَهِىَ أَمَانَةٌ

عن جابر بن عبد الله قال قال رسول الله ﷺ اذا حدث الرجل بالحديث ثم التفت فهى امانة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ আমানত আদায় করার গুরুত্ব

(৩৪২৫) আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমার কাছে যে আমানত রেখেছে, তা তাকে প্রত্যর্পণ কর এবং যে তোমার খেয়ানত করেছে, তার খেয়ানত করো না।

عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ أَدِّ الأَمَانَةَ إِلَى مَنِ ائْتَمَنَكَ وَلاَ تَخُنْ مَنْ خَانَكَ

عن ابى هريرة قال قال رسول الله ﷺ اد الامانة الى من اىتمنك ولا تخن من خانك

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ আমানত আদায় করার গুরুত্ব

(৩৪২৬) আনাস বিন মালিক (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রায় খুতবাতে বলতেন, যার আমানতদারী নেই, তার ঈমান নেই। আর যে অঙ্গীকার পালন করে না, তার দ্বীন নেই।

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ : قَلَّمَا خَطَبَنَا نَبِيُّنَا ﷺ أَوْ قَالَ النَّبِىُّ ﷺ إِلاَّ قَالَ فِى خُطْبَتِهِ لاَ إِيمَانَ لِمَنْ لاَ أَمَانَةَ لَهُ وَلاَ دِينَ لِمَنْ لاَ عَهْدَ لَهُ

عن انس بن مالك قال قلما خطبنا نبينا ﷺ او قال النبى ﷺ الا قال فى خطبته لا ايمان لمن لا امانة له ولا دين لمن لا عهد له

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ আমানত আদায় করার গুরুত্ব

(৩৪২৭) খাওলাহ আনসারিয়্যাহ (রাঃ) বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, অনেক লোক আছে, যারা আল্লাহর মালে নাহক তসরুফ (তাসার্রুফ) করে থাকে। তাদের জন্য কিয়ামতে জাহান্নাম অপেক্ষা করছে।

عَنْ خَوْلَةَ الْأَنْصَارِيَّةِ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ ﷺ يَقُولُ إِنَّ رِجَالًا يَتَخَوَّضُونَ فِي مَالِ اللهِ بِغَيْرِ حَقٍّ فَلَهُمْ النَّارُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ

عن خولة الانصارية رضي الله عنها قالت سمعت النبي ﷺ يقول ان رجالا يتخوضون في مال الله بغير حق فلهم النار يوم القيامة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ আমানত আদায় করার গুরুত্ব

(৩৪২৮) আদী বিন আমীরাহ কিন্দী (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, তোমাদের মধ্যে যাকে আমরা কোন চাকরী দান করলাম, অতঃপর সে একটি সুচ বা তার থেকে বড় কিছু গোপন (করে আত্মসাৎ) করল, সে আসলে খেয়ানত করল এবং কিয়ামতের দিন সে তা নিয়ে উপস্থিত হবে।

عَنْ عَدِىِّ بْنِ عَمِيرَةَ الْكِنْدِىِّ قَالَ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ يَقُولُ مَنِ اسْتَعْمَلْنَاهُ مِنْكُمْ عَلَى عَمَلٍ فَكَتَمَنَا مِخْيَطًا فَمَا فَوْقَهُ كَانَ غُلُولاً يَأْتِى بِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ

عن عدى بن عميرة الكندى قال سمعت رسول الله ﷺ يقول من استعملناه منكم على عمل فكتمنا مخيطا فما فوقه كان غلولا ياتى به يوم القيامة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৯ পর্যন্ত, সর্বমোট ৯ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে