পরিচ্ছেদঃ চুক্তি ও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করার নিষেধাজ্ঞা

আল্লাহ তাআলা বলেন,

يا أَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوا أَوْفُوا بالْعُقُوْدِ

অর্থাৎ, হে বিশ্বাসিগণ! তোমরা চুক্তিসমূহ পূর্ণ কর। (সূরা মায়েদাহ-৫:১)

তিনি আরো বলেছেন,

وَأَوْفُوا بِالْعَهْدِ إِنَّ الْعَهْدَ كَانَ مَسْئُوْلاً

অর্থাৎ, আর প্রতিশ্রুতি পালন করো; নিশ্চয়ই প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে কৈফিয়ত তলব করা হবে (সূরা বানী ঈসরাঈল ৩৪)


(২২৬৩) আব্দুল্লাহ ইবনে আমর বিন আ’স (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, চারটি স্বভাব যার মধ্যে থাকবে সে খাঁটি মুনাফিক্ব গণ্য হবে। আর যে ব্যক্তির মাঝে তার মধ্য হতে একটি স্বভাব থাকবে, তা ত্যাগ না করা পর্যন্ত তার মধ্যে মুনাফিকদের একটি স্বভাব থেকে যাবে। (সে স্বভাবগুলি হল,) ১। তার কাছে আমানত রাখা হলে খিয়ানত করে। ২। কথা বললে মিথ্যা বলে। ৩। ওয়াদাহ করলে তা ভঙ্গ করে এবং ৪। ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হলে অশ্লীল ভাষা বলে।

وَعَنْ عَبدِ اللهِ بنِ عَمرِو بنِ العَاصِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا : أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ أَرْبَعٌ مَنْ كُنَّ فِيْهِ كَانَ مُنَافِقًا خَالِصًا وَمَنْ كَانَتْ فِيْهِ خَصْلَةٌ مِّنْهُنَّ كَانَ فِيهِ خَصْلَةٌ مِنَ النِّفَاقِ حَتّٰـى يَدَعَها : إِذَا اؤْتُمِنَ خَانَ وَإِذَا حَدَّثَ كَذَبَ وَإِذَا عَاهَدَ غَدَرَ وَإِذَا خَاصَمَ فَجَرَ متفق عَلَيْهِ

وعن عبد الله بن عمرو بن العاص رضي الله عنهما ان رسول الله ﷺ قال اربع من كن فيه كان منافقا خالصا ومن كانت فيه خصلة منهن كان فيه خصلة من النفاق حتى يدعها اذا اوتمن خان واذا حدث كذب واذا عاهد غدر واذا خاصم فجر متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ চুক্তি ও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করার নিষেধাজ্ঞা

(২২৬৪) ইবনে মাসঊদ, ইবনে উমার ও আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তাঁরা বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কিয়ামতের দিনে প্রত্যেক বিশ্বাসঘাতকের জন্য একটি করে (বিশেষ) পতাকা নির্দিষ্ট হবে। বলা হবে যে, এটা অমুক ব্যক্তির (বিশ্বাসঘাতকতার) প্রতীক।

وعَنِ ابنِ مَسعودٍ وَابنِ عُمَرَ وَأَنَسٍ رَضِيَ الله عَنهُم - قَالُوا : قَالَ النَّبِيُّ ﷺلِكُلِّ غادِرٍ لِواءٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ يُقَالُ : هَذِهِ غَدْرَةُ فُلاَنٍ متفق عَلَيْهِ

وعن ابن مسعود وابن عمر وانس رضي الله عنهم قالوا قال النبي ﷺلكل غادر لواء يوم القيامة يقال هذه غدرة فلان متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ চুক্তি ও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করার নিষেধাজ্ঞা

(২২৬৫) আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কিয়ামতের দিনে প্রত্যেক বিশ্বাসঘাতকের পাছায় একটা পতাকা থাকবে, যাকে তার বিশ্বাসঘাতকতা অনুপাতে উঁচু করা হবে। জেনে রেখো! রাষ্ট্রনায়ক (বিশ্বাসঘাতক হলে তার) চেয়ে বড় বিশ্বাসঘাতক আর অন্য কেউ হতে পারে না।

وَعَنْ أَبِـيْ سَعِيدٍ الخـُدرِيّ أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ قَالَ لِكُلِّ غَادِرٍ لِوَاءٌ عِنْدَ اسْتِهِ يومَ القِيَامَةِ يُرْفَعُ لَهُ بِقَدَرِ غَدْرِهِ أَلاَ وَلاَ غَادِرَ أَعْظَمُ غَدْراً مِنْ أَمِيرِ عَامَّةٍ رواه مسلم

وعن ابي سعيد الخدري ان النبي ﷺ قال لكل غادر لواء عند استه يوم القيامة يرفع له بقدر غدره الا ولا غادر اعظم غدرا من امير عامة رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ চুক্তি ও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করার নিষেধাজ্ঞা

(২২৬৬) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, মহান আল্লাহ বলেছেন, তিন প্রকার লোক এমন আছে, কিয়ামতের দিন যাদের প্রতিবাদী স্বয়ং আমি; (১) সে ব্যক্তি, যে আমার নামে অঙ্গীকারাবদ্ধ হল, পরে তা ভঙ্গ করল। (২) সে ব্যক্তি, যে স্বাধীন মানুষকে (প্রতারণা দিয়ে) বিক্রি ক’রে তার মূল্য ভক্ষণ করল। (৩) সে ব্যক্তি, যে কোন মজুরকে খাটিয়ে তার নিকট থেকে পুরাপুরি কাজ নিল, কিন্তু তার মজুরী দিল না।

وَعَنْ أَبِـيْ هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ قَالَ الله تَعَالَـى : ثَلاَثَةٌ أَنَا خَصْمُهُمْ يَوْمَ القِيَامَةِ : رَجُلٌ أَعْطَى بِي ثُمَّ غَدَرَ وَرَجُلٌ بَاعَ حُرَّاً فَأَكَلَ ثَمَنَهُ وَرَجُلٌ اسْتَأجَرَ أَجِيْرًا فَاسْتَوْفَى مِنْهُ وَلَمْ يُعْطِهِ أَجْرَهُ رواه البخاري

وعن ابي هريرة عن النبي ﷺ قال قال الله تعالى ثلاثة انا خصمهم يوم القيامة رجل اعطى بي ثم غدر ورجل باع حرا فاكل ثمنه ورجل استاجر اجيرا فاستوفى منه ولم يعطه اجره رواه البخاري

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ চুক্তি ও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করার নিষেধাজ্ঞা

(২২৬৭) আবূ হুরাইরা (রাঃ) বলেন, একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিছু লোকের এক মজলিসে হাদীস বয়ান করছিলেন, এমন সময় এক বেদুঈন এসে তাঁকে জিজ্ঞাসা করল, ’কিয়ামত কখন হবে?’ আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বয়ান করতেই থাকলেন। অতঃপর বয়ান শেষ করে তিনি বললেন, কিয়ামত সম্পর্কে প্রশ্নকারী কোথায়? লোকটি বলল, ’এই যে আমি, হে আল্লাহর রসূল!’ তিনি বললেন, যখন আমানত নষ্ট করা হবে, তখন কিয়ামতের অপেক্ষা কর। লোকটি বলল, ’আমানত কিভাবে নষ্ট হবে?’ তিনি বললেন, যখন কোন অযোগ্য লোকের হাতে নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হবে, তখন কিয়ামতের অপেক্ষা কর।

عَنْ أَبِـيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ إِذَا ضُيِّعَتْ الْأَمَانَةُ فَانْتَظِرْ السَّاعَة قَالَ كَيْفَ إِضَاعَتُهَا يَا رَسُولَ اللهِ؟ قَالَ إِذَا أُسْنِدَ الْأَمْرُ إِلَى غَيْرِ أَهْلِهِ فَانْتَظِرْ السَّاعَةَ

عن ابي هريرة رضي الله عنه قال قال رسول الله ﷺ اذا ضيعت الامانة فانتظر الساعة قال كيف اضاعتها يا رسول الله قال اذا اسند الامر الى غير اهله فانتظر الساعة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ চুক্তি ও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করার নিষেধাজ্ঞা

(২২৬৮) আনাস (রাঃ) বলেন, আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রায় খুতবাতে বলতেন, যার আমানতদারী নেই, তার ঈমান নেই। আর যে অঙ্গীকার পালন করে না, তার দ্বীন নেই।

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ مَا خَطَبَنَا نَبِيُّ اللهِ ﷺ إِلَّا قَالَ لَا إِيْمَانَ لِمَنْ لَا أَمَانَةَ لَهُ وَلَا دِينَ لِمَنْ لَا عَهْدَ لَهُ

عن انس بن مالك قال ما خطبنا نبي الله ﷺ الا قال لا ايمان لمن لا امانة له ولا دين لمن لا عهد له

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ চুক্তি ও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করার নিষেধাজ্ঞা

(২২৬৯) আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তাআলা বলেন, কিয়ামতের দিন আমি তিন ব্যক্তির প্রতিবাদী হব; তন্মধ্যে প্রথম হল সেই ব্যক্তি, যে আমার নামে কিছু দেওয়ার প্রতিশ্রুতি করল অতঃপর তা ভঙ্গ করল। দ্বিতীয় হল সেই ব্যক্তি, যে কোন স্বাধীন ব্যক্তিকে বিক্রয় করে তার মূল্য ভক্ষণ করল। আর তৃতীয় হল সেই ব্যক্তি, যে কোন মজুর খাটিয়ে তার নিকট থেকে পুরোপুরি কাজ নিল অথচ সে তার মজুরী (পূর্ণরূপে) আদায় করল না।

عَنْ أَبِـيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ قَالَ اللهُ : ثَلَاثَةٌ أَنَا خَصْمُهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ رَجُلٌ أَعْطَى بِـيْ ثُمَّ غَدَرَ وَرَجُلٌ بَاعَ حُرًّا فَأَكَلَ ثَمَنَهُ وَرَجُلٌ اسْتَأْجَرَ أَجِيرًا فَاسْتَوْفَى مِنْهُ وَلَمْ يُعْطِ أَجْرَهُ

عن ابي هريرة رضي الله عنه عن النبي ﷺ قال قال الله ثلاثة انا خصمهم يوم القيامة رجل اعطى بي ثم غدر ورجل باع حرا فاكل ثمنه ورجل استاجر اجيرا فاستوفى منه ولم يعط اجره

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ চুক্তি ও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করার নিষেধাজ্ঞা

(২২৭০) যায়দ বিন সাবেত (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মানুষের মধ্য থেকে সর্বপ্রথম যে জিনিস উঠিয়ে নেওয়া হবে, তা হল আমানত। আর সর্বশেষ যা অবশিষ্ট থাকবে, তা হল নামায। আর কোন কোন নামাযী আছে, মহান আল্লাহর কাছে যার কোন অংশ নেই।

عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ أوَّلُ مَا يُرْفَعُ مِنَ النّاسِ اَلْأمَانَةُ وآخِرُ ما يَبْقٰـى مِنْ دِيْنِهِمُ الصَّلَاةُ ورُبَّ مُصَلٍ لَا خَلاقَ لهُ عِنْدَ اللهِ تَعَالٰـى

عن زيد بن ثابت قال قال رسول الله ﷺ اول ما يرفع من الناس الامانة واخر ما يبقى من دينهم الصلاة ورب مصل لا خلاق له عند الله تعالى

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ চুক্তি ও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করার নিষেধাজ্ঞা

(২২৭১) মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ যার্র গিফারী (রাঃ) কে অসিয়ত করে বলেছিলেন, আমি তোমাকে অসিয়ত করছি, তুমি গোপনে ও প্রকাশ্যে আল্লাহর ভয় রাখবে, খারাপ কিছু করলে ভাল কাজ করবে, কারো নিকট হতে অবশ্যই কিছু চাইবে না; এমনকি সওয়ারীর পিঠে বসে থাকা অবস্থায় তোমার হাত হতে চাবুকটি পড়ে গেলেও, তা কাউকে তুলে দিতে বলবে না। কোন আমানত গ্রহণ করবে না। আর দু’জনের মাঝে মীমাংসাকারী হবে না।

عَنْ أَبِـيْ ذَرٍّ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ لَهُ أُوصِيْكَ بِتَقْوَى اللهِ فِي سِرِّ أَمْرِكَ وَعَلَانِيَتِهِ وَإِذَا أَسَأْتَ فَأَحْسِنْ وَلَا تَسْأَلَنَّ أَحَدًا شَيْئًا وَإِنْ سَقَطَ سَوْطُكَ وَلَا تَقْبِضْ أَمَانَةً وَلَا تَقْضِ بَيْنَ اثْنَيْنِ

عن ابي ذر ان رسول الله ﷺ قال له اوصيك بتقوى الله في سر امرك وعلانيته واذا اسات فاحسن ولا تسالن احدا شيىا وان سقط سوطك ولا تقبض امانة ولا تقض بين اثنين

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ চুক্তি ও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করার নিষেধাজ্ঞা

(২২৭২) আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে তোমার কাছে আমানত রেখেছে, তার আমানত তাকে ফেরৎ দাও এবং যে তোমার খিয়ানত করেছে, তুমি তার খিয়ানত করো না।

عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ أَدِّ الأَمَانَةَ إِلَى مَنِ ائْتَمَنَكَ وَلاَ تَخُنْ مَنْ خَانَكَ

عن ابى هريرة قال قال رسول الله ﷺ اد الامانة الى من اىتمنك ولا تخن من خانك

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ চুক্তি ও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করার নিষেধাজ্ঞা

(২২৭৩) আব্দুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমার মধ্যে চারটি জিনিস হলে দুনিয়ার আর কিছু না পেলেও তোমার বয়ে যাবে না; ১। আমানত রক্ষা করা, ২। সত্য কথা বলা, ৩। চরিত্র সুন্দর করা এবং ৪। হালাল খাদ্য খাওয়া।

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ أَرْبَعٌ إِذَا كُنَّ فِيكَ فَلَا عَلَيْكَ مَا فَاتَكَ مِنْ الدُّنْيَا حِفْظُ أَمَانَةٍ وَصِدْقُ حَدِيثٍ وَحُسْنُ خَلِيقَةٍ وَعِفَّةٌ فِي طُهْرٍ

عن عبد الله بن عمرو ان رسول الله ﷺ قال اربع اذا كن فيك فلا عليك ما فاتك من الدنيا حفظ امانة وصدق حديث وحسن خليقة وعفة في طهر

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ চুক্তি ও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করার নিষেধাজ্ঞা

(২২৭৪) আনাস (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যদি তোমরা পছন্দ কর যে, আল্লাহ ও তাঁর রসূল তোমাদেরকে ভালবাসুন, তাহলে তিনটি গুণের হিফাযত কর;

১। সত্য কথা বলা,

২। আমানত আদায় করা এবং

৩। প্রতিবেশীর সাথে সদ্ব্যবহার করা।

عَنْ أَنَسٍ قَالَ قَالَ النَّبِـيُّ ﷺ إِنْ كُنْتُمْ تُـحِبُّوْنَ أَنْ يُّـحِبَّكُمُ اللهُ وَ رَسُوْلَهُ فَحَافِظُوْا عَلٰـى ثَلَاثِ خِصَالٍ : صِدْقُ الْـحَدِيْثِ وَأَدَاءُ الْأَمَانَةِ وَ حُسْنُ الْـجَوَارِ

عن انس قال قال النبي ﷺ ان كنتم تحبون ان يحبكم الله و رسوله فحافظوا على ثلاث خصال صدق الحديث واداء الامانة و حسن الجوار

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ চুক্তি ও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করার নিষেধাজ্ঞা

(২২৭৫) উবাদাহ বিন স্বামেত (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা নিজেদের পক্ষ থেকে আমার জন্য ছয়টি জিনিসের যামিন হয়ে যাও, আমি তোমাদের জন্য জান্নাতের যামিন হয়ে যাব; কথা বললে সত্য কথা বল, ওয়াদা করলে পূরণ কর, তোমাদের নিকট আমানত রাখা হলে তা আদায় কর, লজ্জাস্থানের হিফাযত কর, চক্ষু অবনত কর এবং হাতকে সংযত রাখ।

عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ قَالَ اضْمَنُوا لِي سِتًّا مِنْ أَنْفُسِكُمْ أَضْمَنْ لَكُمْ الْجَنَّةَ : اصْدُقُوا إِذَا حَدَّثْتُمْ وَأَوْفُوا إِذَا وَعَدْتُمْ وَأَدُّوا إِذَا اؤْتُمِنْتُمْ وَاحْفَظُوا فُرُوجَكُمْ وَغُضُّوا أَبْصَارَكُمْ وَكُفُّوا أَيْدِيَكُمْ

عن عبادة بن الصامت ان النبي ﷺ قال اضمنوا لي ستا من انفسكم اضمن لكم الجنة اصدقوا اذا حدثتم واوفوا اذا وعدتم وادوا اذا اوتمنتم واحفظوا فروجكم وغضوا ابصاركم وكفوا ايديكم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ চুক্তি ও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করার নিষেধাজ্ঞা

(২২৭৬) ইয়ায বিন হিমার মুজাশিয়ী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জাহান্নামবাসী পাঁচ ব্যক্তি; (১) সেই দুর্বল শ্রেণীর ব্যক্তি, যার (পাপ ও অন্যায় থেকে দূরে থাকার মতো) জ্ঞান নেই। যারা তোমাদের অনুগত, যারা পরিবার চায় না, ধন-সম্পদ ও চায় না। (২) খিয়ানতকারী ব্যক্তি, যে তুচ্ছ কোন জিনিসের লোভে পড়লেই তাতে খিয়ানত করে। (৩) এমন ব্যক্তি, যে সকাল-সন্ধ্যায় তোমার পরিবার ও সম্পদের ব্যাপারে ধোঁকা দেয়। (৪) কৃপণ ব্যক্তি এবং (৫) দুশ্চরিত্র চোয়াড়।

عَنْ عِيَاضِ بْنِ حِمَارٍ الْمُجَاشِعِىِّ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ وَأَهْلُ النَّارِ خَمْسَةٌ الضَّعِيفُ الَّذِى لاَ زَبْرَ لَهُ الَّذِينَ هُمْ فِيكُمْ تَبَعًا لاَ يَتْبَعُونَ أَهْلًا وَلاَ مَالًا وَالْخَائِنُ الَّذِى لاَ يَخْفَى لَهُ طَمَعٌ وَإِنْ دَقَّ إِلاَّ خَانَهُ وَرَجُلٌ لاَ يُصْبِحُ وَلاَ يُمْسِى إِلاَّ وَهُوَ يُخَادِعُكَ عَنْ أَهْلِكَ وَمَالِكَ

عن عياض بن حمار المجاشعى ان رسول الله ﷺ قال واهل النار خمسة الضعيف الذى لا زبر له الذين هم فيكم تبعا لا يتبعون اهلا ولا مالا والخاىن الذى لا يخفى له طمع وان دق الا خانه ورجل لا يصبح ولا يمسى الا وهو يخادعك عن اهلك ومالك

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ চুক্তি ও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করার নিষেধাজ্ঞা

(২২৭৭) আবুদ দারদা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে পাঁচটি জিনিস পালন করবে, সে বেহেশ্তে প্রবেশ করবে। (১) ঠিকমত ওযূ ক’রে, ঠিকমত রুকূ-সিজদা ক’রে যথা সময়ে পাঁচ ওয়াক্ত নামাযে যত্নবান হওয়া। (২) রমযানের রোযা পালন করা। (৩) সামর্থ্য থাকলে হজ্জ করা। (৪) খুশী মনে যাকাত দেওয়া। এবং (৫) আমানত আদায় করা।’’ তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হল, ’আমানত আদায় করা কী?’ তিনি বললেন, ’’নাপাকীর গোসল করা। আদম সন্তানের উপর আল্লাহর এটি দ্বীন-বিষয়ক বড় আমানত।

عَنْ أَبِى الدَّرْدَاءِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ خَمْسٌ مَنْ جَاءَ بِهِنَّ مَعَ إِيمَانٍ دَخَلَ الْجَنَّةَ مَنْ حَافَظَ عَلَى الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ عَلَى وُضُوئِهِنَّ وَرُكُوعِهِنَّ وَسُجُودِهِنَّ وَمَوَاقِيتِهِنَّ وَصَامَ رَمَضَانَ وَحَجَّ الْبَيْتَ إِنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلاً وَأَعْطَى الزَّكَاةَ طَيِّبَةً بِهَا نَفْسُهُ وَأَدَّى الأَمَانَةَ قَالُوا يَا أَبَا الدَّرْدَاءِ وَمَا أَدَاءُ الأَمَانَةِ قَالَ الْغُسْلُ مِنَ الْجَنَابَةِ

عن ابى الدرداء قال قال رسول الله ﷺ خمس من جاء بهن مع ايمان دخل الجنة من حافظ على الصلوات الخمس على وضوىهن وركوعهن وسجودهن ومواقيتهن وصام رمضان وحج البيت ان استطاع اليه سبيلا واعطى الزكاة طيبة بها نفسه وادى الامانة قالوا يا ابا الدرداء وما اداء الامانة قال الغسل من الجنابة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবুদ দারদা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ চুক্তি ও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করার নিষেধাজ্ঞা

(২২৭৮) সা’দ (রাঃ) বলেন, মক্কা বিজয়ের দিন (প্রতারক) আব্দুল্লাহ বিন সা’দ উসমান বিন আফফানের নিকট আত্মগোপন করেছিল। তিনি তাকে নিয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকটে দাঁড় করালেন। তিনি বললেন, ’হে আল্লাহর রসূল! আব্দুল্লাহর বায়আত গ্রহণ করুন।’ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার দিকে মাথা তুলে তিনবার দেখলেন। তিনি তার বায়আত গ্রহণ করতে ইচ্ছুক ছিলেন না। অতঃপর তৃতীয়বারের পরে তিনি তার বায়আত গ্রহণ করলেন। পরবর্তীতে তিনি সাহাবাগণকে বললেন, তোমাদের মধ্যে কি কেউ বুদ্ধিমান লোক ছিল না, আমি যখন তার বায়আত গ্রহণ না করে হাত গুটিয়ে নিচ্ছিলাম, তখন সে তাকে হত্যা ক’রে দিত?’’ তাঁরা বললেন, ’আপনার মনে কী ছিল, তা তো জানতাম না হে আল্লাহর রসূল! আপনি আপনার চোখ দ্বারা ইঙ্গিত করলেন না কেন?’ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’কোন নবীর জন্য সঙ্গত নয় যে, তাঁর খিয়ানতকারী চোখ হবে।

عَنْ سَعْدٍ قَالَ لَمَّا كَانَ يَوْمُ فَتْحِ مَكَّةَ أَمَّنَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ النَّاسَ إِلاَّ أَرْبَعَةَ نَفَرٍ وَامْرَأَتَيْنِ وَسَمَّاهُمْ وَابْنُ أَبِى سَرْحٍ فَذَكَرَ الْحَدِيثَ قَالَ وَأَمَّا ابْنُ أَبِى سَرْحٍ فَإِنَّهُ اخْتَبَأَ عِنْدَ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ فَلَمَّا دَعَا رَسُوْلُ اللهِ ﷺ النَّاسَ إِلَى الْبَيْعَةِ جَاءَ بِهِ حَتّٰـى أَوْقَفَهُ عَلَى رَسُوْلِ اللهِ ﷺ فَقَالَ يَا نَبِىَّ اللهِ بَايِعْ عَبْدَ اللهِ فَرَفَعَ رَأْسَهُ فَنَظَرَ إِلَيْهِ ثَلاَثًا كُلُّ ذَلِكَ يَأْبَى فَبَايَعَهُ بَعْدَ ثَلاَثٍ ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى أَصْحَابِهِ فَقَالَ أَمَا كَانَ فِيكُمْ رَجُلٌ رَشِيدٌ يَقُومُ إِلَى هَذَا حَيْثُ رَآنِى كَفَفْتُ يَدِى عَنْ بَيْعَتِهِ فَيَقْتُلُهُ فَقَالُوا مَا نَدْرِى يَا رَسُولَ اللهِ مَا فِى نَفْسِكَ أَلاَ أَوْمَأْتَ إِلَيْنَا بِعَيْنِكَ قَالَ إِنَّهُ لاَ يَنْبَغِى لِنَبِىٍّ أَنْ تَكُونَ لَهُ خَائِنَةُ الأَعْيُنِ

عن سعد قال لما كان يوم فتح مكة امن رسول الله ﷺ الناس الا اربعة نفر وامراتين وسماهم وابن ابى سرح فذكر الحديث قال واما ابن ابى سرح فانه اختبا عند عثمان بن عفان فلما دعا رسول الله ﷺ الناس الى البيعة جاء به حتى اوقفه على رسول الله ﷺ فقال يا نبى الله بايع عبد الله فرفع راسه فنظر اليه ثلاثا كل ذلك يابى فبايعه بعد ثلاث ثم اقبل على اصحابه فقال اما كان فيكم رجل رشيد يقوم الى هذا حيث رانى كففت يدى عن بيعته فيقتله فقالوا ما ندرى يا رسول الله ما فى نفسك الا اومات الينا بعينك قال انه لا ينبغى لنبى ان تكون له خاىنة الاعين

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ চুক্তি ও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করার নিষেধাজ্ঞা

(২২৭৯) আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কিয়ামতের অন্যতম নিদর্শন হল, অশ্লীলতা ব্যাপক হবে, আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করা হবে, খিয়ানতকারীকে আমানতদার এবং আমানতদারকে খিয়ানতকারী বিবেচনা করা হবে।

عَنْ أَنَسٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ إِنَّ مِنْ أَشْرَاطِ السَّاعَةِ اَلْفُحْشَ وَالتَّفَحُّشَ وَقَطِيْعَةَ الْأَرْحَامِ وَائْتِمَانَ الْـخَائِنِ وَتَـخْوِيْنَ الْأَمِيْن

عن انس قال قال رسول الله ﷺ ان من اشراط الساعة الفحش والتفحش وقطيعة الارحام واىتمان الخاىن وتخوين الامين

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ চুক্তি ও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করার নিষেধাজ্ঞা

(২২৮০) আব্দুল্লাহ বিন আমর বিন আস বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ অশ্লীলতাকে ঘৃণা করেন। সেই সত্তার কসম, যাঁর হাতে আমার প্রাণ আছে! ততদিন কিয়ামত কায়েম হবে না, যতদিন না আমানতদারকে খিয়ানতকারী ও খিয়ানতকারীকে আমানতদার বিবেচনা করা হয়েছে, অশ্লীলতা ব্যাপক হয়েছে, আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করা হয়েছে এবং প্রতিবেশীর খারাপ ব্যবহার প্রকাশ পেয়েছে।

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ اللهَ يُبْغِضُ الْفُحْشَ وَالتَّفَحُّشَ وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتّٰـى يُخَوَّنَ الْأَمِينُ وَيُؤْتَمَنَ الْخَائِنُ حَتّٰـى يَظْهَرَ الْفُحْشُ وَالتَّفَحُّشُ وَقَطِيعَةُ الْأَرْحَامِ وَسُوءُ الْـجِوَارِ

عن عبد الله بن عمرو بن العاص قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ان الله يبغض الفحش والتفحش والذي نفس محمد بيده لا تقوم الساعة حتى يخون الامين ويوتمن الخاىن حتى يظهر الفحش والتفحش وقطيعة الارحام وسوء الجوار

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ চুক্তি ও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করার নিষেধাজ্ঞা

(২২৮১) আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সেই সত্তার কসম, যাঁর হাতে আমার প্রাণ আছে! ততদিন কিয়ামত কায়েম হবে না, যতদিন না অশ্লীলতা ও কৃপণতা ব্যাপক হবে, খিয়ানতকারীকে আমানতদার এবং আমানতদারকে খিয়ানতকারী বিবেচনা করা হবে, উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন লোক ধ্বংস হয়ে যাবে এবং হীন ও নীচ লোক প্রকাশ (প্রাধান্য ও নেতৃত্ব) পাবে।

عَنْ أَبِـيْ هُرَيْرَةَ عَنْ رَسُوْلِ اللهِ ﷺ أَنَّهُ قَالَ وَالَّذِيْ نَفْسُ مُـحَمَّدٍ بِيَدِهِ، لَا تَقُوْمُ السَّاعَةُ حَتّٰـى يَظْهَرَ الْفُحْشُ وَالْبُخْلُ، وَيـُخَوَّنُ الأَمِينُ وَيُؤْتَمَنُ الْخَائِنُ، وَيَهْلِكُ الْوُعُولُ وَيَظْهَرُ التُّحُوتُ

عن ابي هريرة عن رسول الله ﷺ انه قال والذي نفس محمد بيده لا تقوم الساعة حتى يظهر الفحش والبخل ويخون الامين ويوتمن الخاىن ويهلك الوعول ويظهر التحوت

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ চুক্তি ও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করার নিষেধাজ্ঞা

(২২৮২) আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মানুষের নিকট এমন ধোকাব্যঞ্জক যুগ আসবে, যাতে মিথ্যাবাদীকে সত্যবাদীরূপে এবং সত্যবাদীকে মিথ্যাবাদীরূপে পরিগণিত করা হবে। যখন খেয়ানতকারীকে আমানতদার মনে করা হবে এবং আমানতদার আমানতে খেয়ানত করবে। যখন জনসাধারণের ব্যাপারে তুচ্ছ লোক মুখ চালাবে।

عَنْ أَبِـيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ إِنَّهَا سَتَأْتِي عَلَى النَّاسِ سِنُونَ خَدَّاعَةٌ يُصَدَّقُ فِيهَا الْكَاذِبُ وَيُكَذَّبُ فِيهَا الصَّادِقُ وَيُؤْتَمَنُ فِيهَا الْخَائِنُ وَيُخَوَّنُ فِيهَا الْأَمِينُ وَيَنْطِقُ فِيهَا الرُّوَيْبِضَةُ قِيلَ وَمَا الرُّوَيْبِضَةُ قَالَ السَّفِيهُ يَتَكَلَّمُ فِي أَمْرِ الْعَامَّةِ

عن ابي هريرة قال قال رسول الله ﷺ انها ستاتي على الناس سنون خداعة يصدق فيها الكاذب ويكذب فيها الصادق ويوتمن فيها الخاىن ويخون فيها الامين وينطق فيها الرويبضة قيل وما الرويبضة قال السفيه يتكلم في امر العامة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ২১ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 পরের পাতা »