পরিচ্ছেদঃ অহংকার প্রদর্শন ও গর্ববোধ করা অবৈধ

আল্লাহ তাআলা বলেন,

تِلْكَ الدَّارُ الْآخِرَةُ نَـجْعَلُهَا لِلَّذِيْنَ لَا يُرِيْدُوْنَ عُلُوًا فِي الْأَرْضِ وَلَا فَسَادًا وَالْعَاقِبَةُ لِلْمُتَّقِيْنَ

অর্থাৎ, এ পরলোকের আবাস; যা আমি নির্ধারিত করি তাদেরই জন্য যারা এ পৃথিবীতে উদ্ধত হতে ও বিপর্যয় সৃষ্টি করতে চায় না। সাবধানীদের জন্য শুভ পরিণাম। (সূরা ক্বস্বাস ৮৩)

তিনি অন্য জায়গায় বলেন,

وَلا تَمْشِ فِي الْأَرْضِ مَرَحًا

অর্থাৎ, ভূ-পৃষ্ঠে দম্ভভরে বিচরণ করো না, তুমি তো কখনোই পদভারে ভূ-পৃষ্ঠ বিদীর্ণ করতে পারবে না এবং উচ্চতায় তুমি কখনোই পর্বত-প্রমাণ হতে পারবে না। (সূরা ইসরা ৩৭)

তিনি আরো বলেন,

وَلَا تُصَعِّرْ خَدَّكَ لِلنَّاسِ وَلَا تَمْشِ فِـي الْأَرْضِ مَرَحًا إنَّ اللهَ لاَ يُـحِبُّ كُلَّ مُـخْتَالٍ فَخُوْرٍ

অর্থাৎ, মানুষের জন্য নিজের গাল ফুলায়ো না এবং পৃথিবীতে উদ্ধতভাবে বিচরণ করো না; কারণ আল্লাহ কোন উদ্ধত, অহংকারীকে ভালবাসেন না। (সূরা লুকমান ১৮)

’গাল ফুলায়ো না’ অর্থাৎ, অহংকারের সাথে চেহারা বিকৃত করো না। মহান আল্লাহ কারূন সম্বন্ধে বলেন,

إنَّ قَارُوْنَ كَانَ مِنْ قَوْمِ مُوسٰى فَبَغٰى عَلَيْهِمْ وَاٰتَيْنَاهُ مِنَ الكُنُوْزِ مَا إنَّ مَفَاتِحَهُ لتَنُوءُ بِالعُصْبَةِ أُولِي القُوَّةِ إِذْ قَالَ لَهُ قَوْمُهُ لَا تَفْرَحْ إنَّ اللهَ لَا يُحِبُّ الْفَرِحِيْنَ -إِلٰى قَوْلِه تَعَالٰى فَخَسَفْنَا بِهِ وَبِدَارِهِ الأَرْضَ

অর্থাৎ, কারূন ছিল মূসার সম্প্রদায়ভুক্ত, কিন্তু সে তাদের প্রতি যুলুম করেছিল। আমি তাকে ধনভাণ্ডার দান করেছিলাম যার চাবিগুলি বহন করা একদল বলবান লোকের পক্ষেও কষ্টসাধ্য ছিল। স্মরণ কর, তার সম্প্রদায় তাকে বলেছিল, দম্ভ করো না, আল্লাহ দাম্ভিকদেরকে পছন্দ করেন না। আল্লাহ যা তোমাকে দিয়েছেন তার মাধ্যমে পরলোকের কল্যাণ অনুসন্ধান কর। আর তুমি তোমার ইহলোকের অংশ ভুলে যেয়ো না। তুমি (পরের প্রতি) অনুগ্রহ কর, যেমন আল্লাহ তোমার প্রতি অনুগ্রহ করেছেন এবং পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করতে চেয়ো না। আল্লাহ অবশ্যই বিপর্যয় সৃষ্টিকারীকে ভালবাসেন না। সে বলল, ’এ সম্পদ আমি আমার জ্ঞানবলে প্রাপ্ত হয়েছি।’ সে কি জানত না আল্লাহ তার পূর্বে বহু মানবগোষ্ঠীকে ধ্বংস করেছেন যারা তার থেকেও শক্তিতে ছিল প্রবল, সম্পদে ছিল প্রাচুর্যশালী? আর অপরাধীদেরকে তাদের অপরাধ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাও করা হবে না।

কারূন তার সম্প্রদায়ের সম্মুখে জাঁকজমক সহকারে বাহির হল। যারা পার্থিব জীবন কামনা করত তারা বলল, আহা! কারূনকে যা দেওয়া হয়েছে সেরূপ যদি আমাদেরও থাকত; প্রকৃতই সে মহা ভাগ্যবান। আর যাদেরকে জ্ঞান দেওয়া হয়েছিল তারা বলল, ধিক্ তোমাদের! যারা বিশ্বাস করে ও সৎকাজ করে তাদের জন্য আল্লাহর পুরস্কারই শ্রেষ্ঠ। আর ধৈর্যশীল ব্যতীত তা অন্য কেউ পায় না। অতঃপর আমি কারূনকে ও তার প্রাসাদকে মাটিতে ধসিয়ে দিলাম। তার স্বপক্ষে এমন কোন দল ছিল না যে আল্লাহর শাস্তির বিরুদ্ধে তাকে সাহায্য করতে পারত এবং সে নিজেও আত্মরক্ষায় সক্ষম ছিল না। (সূরা ক্বস্বাস ৭৬-৮১)


(২১৬৬) আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’যার অন্তরে অণু পরিমাণ অহঙ্কার থাকবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।’’ একটি লোক বলল, ’মানুষ তো ভালবাসে যে, তার পোশাক সুন্দর হোক ও তার জুতো সুন্দর হোক, (তাহলে)?’ তিনি বললেন, আল্লাহ সুন্দর, তিনি সৌন্দর্যকে ভালবাসেন। (সুন্দর পোশাক ও সুন্দর জুতো ব্যবহার অহংকার নয়, বরং) অহংকার হল, সত্য প্রত্যাখ্যান করা এবং মানুষকে তুচ্ছজ্ঞান করা।

وَعَن عَبْدِ اللهِ بنِ مَسْعُودٍ عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ لاَ يَدْخُلُ الْـجَنَّةَ مَنْ كَانَ في قَلْبِهِ مِثْقَالُ ذَرَّةٍ مِنْ كِبْرٍ فَقَالَ رَجُلٌ : إنَّ الرَّجُلَ يُحِبُّ أنْ يَكُونَ ثَوْبُهُ حَسَنًا ونَعْلُهُ حَسَنَةً ؟ قَالَ إنَّ اللهَ جَمِيلٌ يُحِبُّ الجَمَالَ الكِبْرُ : بَطَرُ الْـحَقِّ وَغَمْطُ النَّاسِ رواه مسلم

وعن عبد الله بن مسعود عن النبي ﷺ قال لا يدخل الجنة من كان في قلبه مثقال ذرة من كبر فقال رجل ان الرجل يحب ان يكون ثوبه حسنا ونعله حسنة قال ان الله جميل يحب الجمال الكبر بطر الحق وغمط الناس رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ অহংকার প্রদর্শন ও গর্ববোধ করা অবৈধ

(২১৬৭) সাওবান (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তির প্রাণ তার দেহত্যাগ করে এবং সে সেই সময় তিনটি জিনিস থেকে মুক্ত থাকে, সে ব্যক্তি বেহেশত প্রবেশ করবে; (আর সে ৩টি জিনিস হল,) অহংকার, ঋণ ও খিয়ানত।

عَنْ ثَوْبَانَ عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ مَنْ فَارَقَ الرُّوحُ الْجَسَدَ وَهُوَ بَرِيءٌ مِنْ ثَلَاثٍ دَخَلَ الْجَنَّةَ الْكِبْرِ وَالدَّيْنِ وَالْغُلُولِ

عن ثوبان عن النبي ﷺ قال من فارق الروح الجسد وهو بريء من ثلاث دخل الجنة الكبر والدين والغلول

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাওবান (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ অহংকার প্রদর্শন ও গর্ববোধ করা অবৈধ

(২১৬৮) সালামাহ ইবনে আকওয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট তার বাম হাত দ্বারা খেল। তিনি বললেন, ’’তোমার ডান হাত দ্বারা খাও।’’ সে বলল, ’আমি অপারগ।’ তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম), তুমি (যেন ডান হাতে খেতে) না পারো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কথা মানতে তাকে অহংকারই বাধা দিয়েছিল। বর্ণনাকারী বলেন, ’(তারপর) থেকে সে তার ডান হাত মুখ পর্যন্ত উঠাতে পারেনি।

وَعَن سَلَمَةَ بنِ الْأَكْوَعِ أنّ رَجُلًا أكَلَ عِنْدَ رَسُوْلِ اللهِ ﷺ بِشِمَالِهِ فَقَالَ كُلْ بيَمِينِكَ قَالَ : لاَ أسْتَطِيعُ قَالَ لَا اسْتَطَعْتَ مَا مَنَعَهُ إِلاَّ الكِبْرُ قَالَ : فما رفَعها إِلَى فِيهِ رواه مسلم

وعن سلمة بن الاكوع ان رجلا اكل عند رسول الله ﷺ بشماله فقال كل بيمينك قال لا استطيع قال لا استطعت ما منعه الا الكبر قال فما رفعها الى فيه رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ অহংকার প্রদর্শন ও গর্ববোধ করা অবৈধ

(২১৬৯) হারেসাহ ইবনে অহাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, আমি তোমাদেরকে জাহান্নামীদের সম্পর্কে অবহিত করব না কি? (তারা হল) প্রত্যেক রূঢ় স্বভাব, কঠিন হৃদয় দাম্ভিক ব্যক্তি।

وَعَن حَارِثَةَ بنِ وهْبٍ قَالَ : سَمِعتُ رَسُولَ اللهِ ﷺ يَقُوْلُ أَلَا أُخْبِرُكُمْ بِأهْلِ النَّارِ ؟ كُلُّ عُتُلٍّ جَوّاظٍ مُسْتَكْبِرٍ مُتَّفَقٌ عَلَيهِ

وعن حارثة بن وهب قال سمعت رسول الله ﷺ يقول الا اخبركم باهل النار كل عتل جواظ مستكبر متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ অহংকার প্রদর্শন ও গর্ববোধ করা অবৈধ

(২১৭০) আমর বিন শুআইব, তিনি তাঁর পিতা হতে, তিনি তাঁর দাদা হতে বর্ণনা করেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, অহংকারীদেরকে কিয়ামতের দিন মানুষের আকৃতিতেই পিঁপড়ের মত ছোট আকারে জমা করা হবে। তাদেরকে সর্বদিক থেকে লাঞ্ছনা ঘিরে ধরবে। তাদেরকে ’বূলাস’ নামক দোযখের এক কারাগারে রাখা হবে। আগুন তাদেরকে ঘিরে ফেলবে এবং তাদেরকে জাহান্নামীদের রক্ত-পুঁজ পান করানো হবে।

وعَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ قَالَ يُحْشَرُ الْمُتَكَبِّرُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَمْثَالَ الذَّرِّ فِي صُوَرِ النَّاسِ يَعْلُوهُمْ كُلُّ شَيْءٍ مِنْ الصَّغَارِ حَتّٰـى يَدْخُلُوا سِجْنًا فِي جَهَنَّمَ يُقَالُ لَهُ بُولَسُ فَتَعْلُوَهُمْ نَارُ الْأَنْيَارِ يُسْقَوْنَ مِنْ طِينَةِ الْخَبَالِ عُصَارَةِ أَهْلِ النَّارِ

وعن عمرو بن شعيب عن ابيه عن جده ان النبي ﷺ قال يحشر المتكبرون يوم القيامة امثال الذر في صور الناس يعلوهم كل شيء من الصغار حتى يدخلوا سجنا في جهنم يقال له بولس فتعلوهم نار الانيار يسقون من طينة الخبال عصارة اهل النار

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ অহংকার প্রদর্শন ও গর্ববোধ করা অবৈধ

(২১৭১) আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জান্নাত এবং জাহান্নাম পরস্পরের মধ্যে ঝগড়া করল। জাহান্নাম বলল, ’আমার মধ্যে বড় বড় উদ্ধত এবং অহংকারীরা বসবাস করবে।’ আর জান্নাত বলল, ’আমার মধ্যে দুর্বল এবং মিসকীনরা বসবাস করবে।’ অতঃপর আল্লাহ তাআলা তাদের মধ্যে মীমাংসা করলেন যে, ’হে জান্নাত! তুমি আমার অনুগ্রহ, আমি তোমার দ্বারা যার প্রতি ইচ্ছা অনুগ্রহ করব। এবং হে দোযখ! তুমি আমার শাস্তি, আমি তোমার দ্বারা যাকে ইচ্ছা তাকে শাস্তি দেব। আর তোমাদের দুটোকেই পরিপূর্ণ করা আমার দায়িত্ব।

وَعَن أَبِـيْ سَعِيدٍ الخُدرِي عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ احْتَجَّتِ الجَنَّةُ وَالنَّارُ فَقَالَت النَّارُ : فِيَّ الْجَبَّارُونَ والمُتَكَبِّرُونَ وَقَالَتِ الجَنَّةُ : فيَّ ضُعَفَاءُ النَّاسِ وَمَسَاكِينُهُم فَقَضَى اللهُ بَينَهُمَا : إِنَّكِ الجَنَّةُ رَحْمَتِي أرْحَمُ بِكِ مَنْ أشَاءُ وَإنَّكِ النَّارُ عَذَابِي أُعَذِّبُ بِكِ مَنْ أشَاءُ وَلِكِلَيْكُمَا عَلَيَّ مِلْؤُهَا رواه مسلم

وعن ابي سعيد الخدري عن النبي ﷺ قال احتجت الجنة والنار فقالت النار في الجبارون والمتكبرون وقالت الجنة في ضعفاء الناس ومساكينهم فقضى الله بينهما انك الجنة رحمتي ارحم بك من اشاء وانك النار عذابي اعذب بك من اشاء ولكليكما علي ملوها رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ অহংকার প্রদর্শন ও গর্ববোধ করা অবৈধ

(২১৭২) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন সে ব্যক্তির দিকে (রহমতের দৃষ্টিতে) তাকিয়ে দেখবেন না, যে অহংকারের সাথে তার লুঙ্গি (প্যান্ট্, পায়জামা মাটিতে) ছেঁচড়াবে।

وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ لاَ يَنْظُرُ اللهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِلٰى مَنْ جَرَّ إزَارَهُ بَطَرًا متفقٌ عَلَيْهِ

وعن ابي هريرة ان رسول الله ﷺ قال لا ينظر الله يوم القيامة الى من جر ازاره بطرا متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ অহংকার প্রদর্শন ও গর্ববোধ করা অবৈধ

(২১৭৩) উক্ত রাবী থেকেই বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন তিন প্রকার লোকের সাথে কথা বলবেন না, তাদেরকে পবিত্র করবেন না এবং তাদের দিকে (অনুগ্রহের দৃষ্টিতে) তাকাবেন না এবং তাদের জন্য রয়েছে কষ্টদায়ক শাস্তি, (১) ব্যভিচারী বৃদ্ধ, (২) মিথ্যাবাদী বাদশাহ এবং (৩) অহংকারী গরীব।

وَعَنهُ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ ثَلاَثَةٌ لاَ يُكَلِّمُهُمُ اللهُ يَوْمَ الْقِيَامَة وَلاَ يُزَكِّيْهِمْ وَلَا يَنْظُرُ إلَيْهِمْ وَلَهُمْ عَذَابٌ ألِيْمٌ : شَيْخٌ زَانٍ وَمَلِكٌ كَذَّابٌ وَعَائِلٌ مُسْتَكْبِرٌ رواه مسلم

وعنه قال قال رسول الله ﷺ ثلاثة لا يكلمهم الله يوم القيامة ولا يزكيهم ولا ينظر اليهم ولهم عذاب اليم شيخ زان وملك كذاب وعاىل مستكبر رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ অহংকার প্রদর্শন ও গর্ববোধ করা অবৈধ

(২১৭৪) সাবেক রাবী থেকেই বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তাআলা বলেন, সম্মান আমার লুঙ্গি এবং গর্ব আমার চাদর। (অর্থাৎ, খাস আমার গুণ।) সুতরাং যে ব্যক্তি আমার কাছ থেকে এর মধ্য থেকে যে কোন একটি টেনে নিতে চাইবে, আমি তাকে শাস্তি দেব।

وَعَنهُ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ قَالَ الله عَزَّ وَجَلَّ : العِزُّ إِزَارِي وَالكِبرِيَاءُ رِدَائِي فَمَنْ يُنَازِعُنِي فِي وَاحِدٍ مِنهُمَا فَقَد عَذَّبْتُهُ رواه مسلم

وعنه قال قال رسول الله ﷺ قال الله عز وجل العز ازاري والكبرياء رداىي فمن ينازعني في واحد منهما فقد عذبته رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ অহংকার প্রদর্শন ও গর্ববোধ করা অবৈধ

(২১৭৫) উক্ত রাবী থেকেই বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, একদা (পূর্ববর্তী উম্মতের) এক ব্যক্তি একজোড়া পোশাক পরে, গর্বভরে, মাথা আঁচড়ে অহংকারের সাথে চলাফেরা করছিল। ইত্যবসরে আল্লাহ তার (পায়ের নীচের মাটিকে) ধসিয়ে দিলেন। সুতরাং সে কিয়ামত দিবস পর্যন্ত মাটির গভীরে নেমে যেতেই থাকবে।

وَعَنْهُ : أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ بَيْنَمَا رَجُلٌ يَمشِي فِي حُلَّةٍ تُعْجِبُهُ نَفْسُهُ مُرَجِّلٌ رَأسَهُ يَخْتَالُ فِي مَشْيَتهِ إِذْ خَسَفَ اللهُ بِهِ فَهُوَ يَتَجَلْجَلُ فِـي الْأَرْضِ إِلٰى يَوْمِ الْقِيَامَةِ متفقٌ عَلَيْهِ

وعنه ان رسول الله ﷺ قال بينما رجل يمشي في حلة تعجبه نفسه مرجل راسه يختال في مشيته اذ خسف الله به فهو يتجلجل في الارض الى يوم القيامة متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ অহংকার প্রদর্শন ও গর্ববোধ করা অবৈধ

(২১৭৬) ইবনে উমার (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি মনে মনে গর্বিত হবে অথবা চলনে অহমিকা প্রকাশ করবে, সে ব্যক্তি যখন আল্লাহ তাআলার সাথে সাক্ষাৎ করবে, তখন তিনি তার উপর ক্রোধান্বিত থাকবেন।

وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قال مَنْ تَعَظَّمَ فِي نَفْسِهِ أَوْ اخْتَالَ فِي مِشْيَتِهِ لَقِيَ اللهَ وَهُوَ عَلَيْهِ غَضْبَانُ

وعن ابن عمر ان رسول الله ﷺ قال من تعظم في نفسه او اختال في مشيته لقي الله وهو عليه غضبان

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ অহংকার প্রদর্শন ও গর্ববোধ করা অবৈধ

(২১৭৭) ইয়ায ইবনে হিমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, মহান আল্লাহ আমাকে প্রত্যাদেশ করেছেন যে, তোমরা পরস্পরের প্রতি নম্রতা ও বিনয় ভাব প্রদর্শন কর। যাতে কেউ যেন অন্যের প্রতি অত্যাচার না করতে পারে এবং কেউ কারো সামনে গর্ব প্রকাশ না করে।

بغي শব্দের অর্থঃ সীমালংঘন করা, অত্যাচার করা, বিদ্রোহাচরণ করা ইত্যাদি।

وَعَنْ عِيَاضِ بنِ حِمَارٍ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ إِنَّ اللهَ تَعَالَى أَوْحَى إِلَيَّ أَنْ تَوَاضَعُوا حَتّٰـى لاَ يَبْغِيَ أَحَدٌ عَلَى أَحَدٍ وَلاَ يَفْخَرَ أَحَدٌ عَلَى أَحَدٍ رواه مسلم

وعن عياض بن حمار قال قال رسول الله ﷺ ان الله تعالى اوحى الي ان تواضعوا حتى لا يبغي احد على احد ولا يفخر احد على احد رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ অহংকার প্রদর্শন ও গর্ববোধ করা অবৈধ

(২১৭৮) মুআবিয়া (রাঃ) প্রমুখাৎ বর্ণিত, আল্লাহর রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি পছন্দ করে যে লোক তার সম্মানার্থে দাঁড়িয়ে থাকুক সে যেন নিজের বাসস্থান দোযখে বানিয়ে নেয়।

وَعَنْ مُعَاوِيَةَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قال مَنْ أَحَبَّ أَنْ يَّمْثُلَ لَهُ الرِّجَالُ قِيَامًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ

وعن معاوية ان رسول الله ﷺ قال من احب ان يمثل له الرجال قياما فليتبوا مقعده من النار

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ অহংকার প্রদর্শন ও গর্ববোধ করা অবৈধ

(২১৭৯) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি (গর্বভরে) বলে, লোকেরা সব ধ্বংস হয়ে গেল, সে তাদের মধ্যে সর্বাধিক বেশি ধ্বংসোন্মুখ। (মুসলিম ৬৮৫০)

وَعَنْ أَبِـيْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ إِذَا قَالَ الرَّجُلُ : هَلَكَ النَّاسُ فَهُوَ أَهْلَكُهُمْ رواه مسلم

وعن ابي هريرة ان رسول الله ﷺ قال اذا قال الرجل هلك الناس فهو اهلكهم رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১৪ পর্যন্ত, সর্বমোট ১৪ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে