পরিচ্ছেদঃ মদ্যপান

(১৬৬৮) ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, আমি শুনেছি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মদ হল যাবতীয় অশ্লীলতার প্রধান এবং সবচেয়ে বড় পাপ। যে ব্যক্তি তা পান করল, সে যেন নিজ মা, খালা ও ফুফুর সাথে ব্যভিচার করল!

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِي اللهُ تَعَالَى عَنْهُمَا، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ ﷺ، يَقُولُ الْخَمْرُ أُمُّ الْفَوَاحِشِ وَأَكْبَرُ الْكَبَائِرِ مَنْ شَرِبَهَا وَقَعَ عَلَى أُمِّهِ وَخَالَتِهِ وَعَمَّتِهِ

عن ابن عباس رضي الله تعالى عنهما قال سمعت رسول الله ﷺ يقول الخمر ام الفواحش واكبر الكباىر من شربها وقع على امه وخالته وعمته

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৬/ দণ্ডবিধি

পরিচ্ছেদঃ মদ্যপান

(১৬৬৯) আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোন ব্যভিচারী যখন ব্যভিচার করে, তখন মু’মিন থাকা অবস্থায় সে ব্যভিচার করতে পারে না। কোন চোর যখন চুরি করে, তখন মু’মিন থাকা অবস্থায় সে চুরি করতে পারে না এবং কোন মদ্যপায়ী যখন মদ্যপান করে, তখন মু’মিন থাকা অবস্থায় সে মদ্যপান করতে পারে না।

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ إِنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ لاَ يَزْنِى الزَّانِي حِينَ يَزْنِي وَهُوَ مُؤْمِنٌ وَلاَ يَسْرِقُ السَّارِقُ حِينَ يَسْرِقُ وَهُوَ مُؤْمِنٌ وَلاَ يَشْرَبُ الْخَمْرَ حِينَ يَشْرَبُهَا وَهُوَ مُؤْمِنٌ

عن ابي هريرة ان رسول الله ﷺ قال لا يزنى الزاني حين يزني وهو مومن ولا يسرق السارق حين يسرق وهو مومن ولا يشرب الخمر حين يشربها وهو مومن

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৬/ দণ্ডবিধি

পরিচ্ছেদঃ মদ্যপান

(১৬৭০) ইবনে উমার (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মদ পানকারীকে, মদ পরিবেশনকারীকে, তার ক্রেতা ও বিক্রেতাকে, তার প্রস্তুতকারককে, যার জন্য প্রস্তুত করা হয় তাকে, তার বাহককে ও যার জন্য বহন করা হয় তাকে আল্লাহ অভিশাপ করেছেন। (আবূ দাউদ ৩৬৭৪, ইবনে মাজাহ ৩৩৮০)

ইবনে মাজার বর্ণনায় আছে, ’তার মূল্য ভক্ষণকারীও (অভিশপ্ত)।’ (সহীহুল জামে’ ৫০৯১)

عَنِ ابنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ لَعَنَ اللهُ الْخَمْرَ وَشَارِبَهَا وَسَاقِيَهَا وَبَائِعَهَا وَمُبْتَاعَهَا وَعَاصِرَهَا وَمُعْتَصِرَهَا وَحَامِلَهَا وَالْمَحْمُولَةَ إِلَيْهِ

عن ابن عمر قال قال رسول الله ﷺ لعن الله الخمر وشاربها وساقيها وباىعها ومبتاعها وعاصرها ومعتصرها وحاملها والمحمولة اليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৬/ দণ্ডবিধি

পরিচ্ছেদঃ মদ্যপান

(১৬৭১) আনাস বিন মালিক (রাঃ) বলেছেন, মদের সাথে সর্ম্পৃক্ত দশ প্রকার মানুষের উপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অভিসম্পাত করেছেন। তার প্রস্ত্তরকারীর উপর, যে প্রস্তুত করায় তার উপর, তার পানকারীর উপর, যে তা বয়ে নিয়ে যায় তার উপর, যার জন্য বয়ে নিয়ে যায় তার উপর, যে পান করায় তার উপর, যে তা বিক্রি করে তার উপর, যে (বিক্রি ক’রে) তার অর্থ খায় তার উপর এবং যে ক্রয় করে ও যার জন্য ক্রয় করা হয় তাদের উপর।

عن أَنَسٍ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: لَعَنَ رَسُولُ اللهِ ﷺ فِي الْخَمْرِ عَشْرَةً عَاصِرَهَا وَمُعْتَصِرَهَا وَشَارِبَهَا وَحَامِلَهَا وَالْمَحْمُولَةُ إِلَيْهِ وَسَاقِيَهَا وَبَائِعَهَا وَآكِلَ ثَمَنِهَا وَالْمُشْتَرِي لَهَا وَالْمُشْتَرَاةُ لَهُ

عن انس بن مالك قال لعن رسول الله ﷺ في الخمر عشرة عاصرها ومعتصرها وشاربها وحاملها والمحمولة اليه وساقيها وباىعها واكل ثمنها والمشتري لها والمشتراة له

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৬/ দণ্ডবিধি

পরিচ্ছেদঃ মদ্যপান

(১৬৭২) ইবনে উমার (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ’’প্রত্যেক প্রমত্ততা (জ্ঞানশূন্যতা) আনয়নকারী বস্তুই হল মদ এবং প্রত্যেক প্রমত্ততা আনয়নকারী বস্তুই হল হারাম। আর যে ব্যক্তি দুনিয়াতে মদ পান করতে করতে তাতে অভ্যাসী হয়ে মারা যায়, সে ব্যক্তি আখেরাতে (জান্নাতে পবিত্র) মদ পান করতে পাবে না।’’ (বেহেশতে যেতে পারবে না।)

عَنِ ابنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ كُلُّ مُسْكِرٍ خَمْرٌ وَكُلُّ مُسْكِرٍ حَرَامٌ وَمَنْ شَرِبَ الْخَمْرَ فِى الدُّنْيَا فَمَاتَ وَهُوَ يُدْمِنُهَا لَمْ يَتُبْ لَمْ يَشْرَبْهَا فِى الآخِرَةِ

عن ابن عمر قال قال رسول الله ﷺ كل مسكر خمر وكل مسكر حرام ومن شرب الخمر فى الدنيا فمات وهو يدمنها لم يتب لم يشربها فى الاخرة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৬/ দণ্ডবিধি

পরিচ্ছেদঃ মদ্যপান

(১৬৭৩) জাবের (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে বস্তুর বেশী পরিমাণ মাদকতা আনে তার অল্প পরিমাণও হারাম।

عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَا أَسْكَرَ كَثِيرُهُ فَقَلِيلُهُ حَرَامٌ

عن جابر بن عبد الله قال قال رسول الله ﷺ ما اسكر كثيره فقليله حرام

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৬/ দণ্ডবিধি

পরিচ্ছেদঃ মদ্যপান

(১৬৭৪) আবূ দারদা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, আমাকে আমার বন্ধু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন যে, তুমি আল্লাহর সাথে কোন কিছুকে শরীক করো না -যদিও (এ ব্যাপারে) তোমাকে হত্যা করা হয় অথবা জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ইচ্ছাকৃত ফরয নামায ত্যাগ করো না। কারণ যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় নামায ত্যাগ করে, তার উপর থেকে (আল্লাহর) দায়িত্ব উঠে যায়। আর মদ পান করো না, কারণ মদ হল প্রত্যেক অমঙ্গলের (পাপাচারের) চাবিকাঠি।

عَنْ أَبِى الدَّرْدَاءِ قَالَ: أَوْصَانِي خَلِيلِي صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : أَنْ لاَ تُشْرِكْ بِاللهِ شَيْئًا وَإِنْ قُطِّعْتَ وَحُرِّقْتَ وَلاَ تَتْرُكْ صَلاَةً مَكْتُوبَةً مُتَعَمِّدًا فَمَنْ تَرَكَهَا مُتَعَمِّدًا فَقَدْ بَرِئَتْ مِنْهُ الذِّمَّةُ وَلاَ تَشْرَبِ الْخَمْرَ فَإِنَّهَا مِفْتَاحُ كُلِّ شَرٍّ

عن ابى الدرداء قال اوصاني خليلي صلى الله عليه وسلم ان لا تشرك بالله شيىا وان قطعت وحرقت ولا تترك صلاة مكتوبة متعمدا فمن تركها متعمدا فقد برىت منه الذمة ولا تشرب الخمر فانها مفتاح كل شر

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবুদ দারদা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৬/ দণ্ডবিধি

পরিচ্ছেদঃ মদ্যপান

(১৬৭৫) আব্দুল্লাহ বিন আমর বিন আস (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মদ যাবতীয় নোংরামির মূল। যে কেউ তা পান করবে, তার ৪০ দিনের নামায কবুল হবে না। যে ব্যক্তি তার মূত্রথলিতে ঐ মদের কিছু পরিমাণ রাখা অবস্থায় মারা যাবে, তার জন্য জান্নাত হারাম হয়ে যাবে এবং যে কেউ তা নিজ পেটে রেখে মারা যাবে, সে জাহেলী যুগের মরণ মরবে।

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ الْخَمْرُ أُمُّ الْخَبَائِثِ فَمَنْ شَرِبَهَا لَمْ تُقْبَلْ مِنْهُ صَلاتُهُ أَرْبَعِينَ يَوْمًا، فَإِنْ مَاتَ وَهِيَ فِي بَطْنِهِ مَاتَ مَيْتَةً جَاهِلِيَّةً

عن عبد الله بن عمرو بن العاص قال قال رسول الله ﷺ الخمر ام الخباىث فمن شربها لم تقبل منه صلاته اربعين يوما فان مات وهي في بطنه مات ميتة جاهلية

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৬/ দণ্ডবিধি

পরিচ্ছেদঃ মদ্যপান

(১৬৭৬) উসমান বিন আফফান (রাঃ) বলেছেন, ’’তোমরা মদ থেকে দূরে থাকো। কারণ তা হল সকল নোংরা কাজের প্রধান। তোমাদের পূর্বযুগে একটি লোক ছিল, যে সর্বদা আল্লাহর ইবাদত করত এবং লোকজন থেকে দূরে থাকত। এক ভ্রষ্ট মেয়ে তাকে ভালোবেসে ফেলল। সে এক সময় তার দাসী দ্বারা কোন ব্যাপারে সাক্ষ্য দেওয়ার নাম ক’রে তাকে ডেকে পাঠাল। সে দাসীর সাথে এসে তার বাড়িতে প্রবেশ করল। এক একটা দরজা পার হতে তা বন্ধ করা হল। অবশেষে এক সুন্দরী মহিলার নিকট পৌঁছল। তার সাথে ছিল একটি কিশোর ও মদের পাত্র।

মেয়েটি বলল, ’আমি আসলে তোমাকে কোন সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ডেকে পাঠাইনি। আমি তোমাকে ডেকেছি আমার সাথে মিলন করার জন্য অথবা এই কিশোরকে খুন করার জন্য অথবা এই মদ পান করার জন্য। তাতে যদি তুমি অস্বীকার কর, তাহলে আমি চিৎকার ক’রে তোমার নামে অপবাদ দিয়ে তোমাকে লাঞ্ছিত করব।’

সুতরাং সে যখন নিরুপায় অবস্থা দেখল, তখন মদপানকে হালকা মনে করল। বলল, ’ঠিক আছে, আমাকে এক গ্লাস মদ দাও।’ সে তা পান করল। কিন্তু সে দ্বিতীয় গ্লাস চাইল। অতঃপর নেশায় চুর হলে সে মেয়েটির সাথে ব্যভিচার করল এবং সবশেষে কিশোরটিকেও খুন ক’রে বসল।

সুতরাং তোমরা মদপান থেকে দূরে থাকো। যেহেতু বান্দার মধ্যে মদ ও ঈমান কখনই একত্র হতে পারে না। আর হলে অদূর ভবিষ্যতে একটি তার সঙ্গীকে বহিষ্কার ক’রে দেয়।

عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ اجْتَنِبُوا الخ مْرَ فَإنَّهَا أُمُ الْخَبَائِثِ إِنَّهُ كاَنَ رَجُلٌ مِمَّن خَلَا قَبْلَكُمْ يَتَعَبَّدُ فَعَلِقَتْهُ اِمْرَأة أَغوَتْهُ فَأرسَلَتْ إليْهِ جَارِيَتُهَا فقَالَتْ لَهُ : إِنَّهَا تَدْعُوكَ لِلشَّهَادَةِ فَانْطَلَقَ مَعَ جَارِيَتِهَا فَطَفِقَ كُلَّمَا دَخَلَ بَابًا أَغْلَقَتْهُ دُونَهُ حَتَّى أَفْضَى إِلَى اِمْرَأَةٍ وَضِيْئَةٍ عِنْدَهَا غُلَامٌ وَبَاطِيَةُ خمْرٍ فَقَالَتْ: وَاللهِ مَا دَعَوْتُكَ لِلشَّهَادَةِ وَلَكِنْ دَعَوْتُكَ لِتَقَعَ عليَّ أَوْ تَشرَبَ مِنْ هَذِهِ الْخَمْرِ كَأسًا أو تَقْتُلَ هَذَا الغُلاَمَ قَالَ : فَاسْقِيْنِيْ مِنْ هَذِهِ الخَمْرِ كَأسًا فسَقَتْهُ كَأْسًا فَقَالَ: زَيْدُوْنِي فَلَمْ يَرِم حَتَّى وَقَعَ عَلَيْهَا وَقَتَلَ الْغُلَامُ فَاجْتَنِبُوْ الخَمْرَ فَإِنَّهَا وَاللهِ لَا يَجْتَمِعُ الْإِيْمَانُ وَإِدمان الخَمْرُ إِلَّا ويُوشِكُ أَنْ يُخْرِجَ أحدُهُمَا صَاحِبَهُ

عن عثمان بن عفان رضي الله عنه قال اجتنبوا الخ مر فانها ام الخباىث انه كان رجل ممن خلا قبلكم يتعبد فعلقته امراة اغوته فارسلت اليه جاريتها فقالت له انها تدعوك للشهادة فانطلق مع جاريتها فطفق كلما دخل بابا اغلقته دونه حتى افضى الى امراة وضيىة عندها غلام وباطية خمر فقالت والله ما دعوتك للشهادة ولكن دعوتك لتقع علي او تشرب من هذه الخمر كاسا او تقتل هذا الغلام قال فاسقيني من هذه الخمر كاسا فسقته كاسا فقال زيدوني فلم يرم حتى وقع عليها وقتل الغلام فاجتنبو الخمر فانها والله لا يجتمع الايمان وادمان الخمر الا ويوشك ان يخرج احدهما صاحبه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৬/ দণ্ডবিধি

পরিচ্ছেদঃ মদ্যপান

(১৬৭৭) জাবের (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি ইয়ামানের এক শহর জাইশান থেকে (মদীনায়) আগমন করল। সে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে তার দেশের লোকেরা পান করে এমন ভুট্টা থেকে প্রস্তুত ’মিযর’ নামক এক পানীয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করল। আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’তা কি মাদকতা আনে?’’ লোকটি বলল, ’জী হ্যাঁ।’ আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, প্রত্যেক মাদকতা আনয়নকারী বস্তু মাত্রই হারাম। আর যে ব্যক্তি মাদকদ্রব্য সেবন করবে তার জন্য আল্লাহর প্রতিশ্রুতি আছে যে, তাকে তিনি ’ত্বীনাতুল খাবাল’ পান করাবেন। লোকেরা বলল, ’হে আল্লাহর রসূল! ত্বীনাতুল খাবাল কী জিনিস?’ তিনি বললেন, জাহান্নামীদের ঘাম অথবা পুঁজ।

عَنْ جَابِرٍ أَنَّ رَجُلاً قَدِمَ مِنْ جَيْشَانَ وَجَيْشَانُ مِنَ الْيَمَنِ فَسَأَلَ النَّبِىَّ ﷺ عَنْ شَرَابٍ يَشْرَبُونَهُ بِأَرْضِهِمْ مِنَ الذُّرَةِ يُقَالُ لَهُ الْمِزْرُ فَقَالَ النَّبِىُّ ﷺ أَوَمُسْكِرٌ هُوَ قَالَ نَعَمْ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ كُلُّ مُسْكِرٍ حَرَامٌ إِنَّ عَلَى اللهِ عَزَّ وَجَلَّ عَهْدًا لِمَنْ يَشْرَبُ الْمُسْكِرَ أَنْ يَسْقِيَهُ مِنْ طِينَةِ الْخَبَالِ قَالُوا يَا رَسُولَ اللهِ وَمَا طِينَةُ الْخَبَالِ قَالَ عَرَقُ أَهْلِ النَّارِ أَوْ عُصَارَةُ أَهْلِ النَّارِ

عن جابر ان رجلا قدم من جيشان وجيشان من اليمن فسال النبى ﷺ عن شراب يشربونه بارضهم من الذرة يقال له المزر فقال النبى ﷺ اومسكر هو قال نعم قال رسول الله ﷺ كل مسكر حرام ان على الله عز وجل عهدا لمن يشرب المسكر ان يسقيه من طينة الخبال قالوا يا رسول الله وما طينة الخبال قال عرق اهل النار او عصارة اهل النار

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৬/ দণ্ডবিধি

পরিচ্ছেদঃ মদ্যপান

(১৬৭৮) ইবনে উমার (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ’’যে ব্যক্তি মদ পান করবে, সে ব্যক্তির ৪০ দিনের নামায কবুল হবে না। কিন্তু এরপর যদি সে তওবা করে, তবে আল্লাহ তার তওবা গ্রহণ করে নেবেন। অন্যথা যদি সে পুনরায় পান করে, তাহলে অনুরূপ তার ৪০ দিনের নামায কবুল হবে না। যদি এর পরেও সে তওবা করে, তবে আল্লাহ তার তওবা কবুল করে নেবেন। অন্যথা যদি সে তৃতীয়বার পান করে, তাহলে অনুরূপ তার ৪০ দিনের নামায কবুল হবে না। কিন্তু এর পরেও যদি সে তওবা করে, তবে আল্লাহ তার তওবা গ্রহণ করে নেবেন। অন্যথা যদি সে চতুর্থবার তা পান করে, তাহলে অনুরূপ তার ৪০ দিনের নামায কবুল হবে না। কিন্তু এরপরে সে যদি তওবা করে, তবে আল্লাহ তার তওবা কবুল করেন না, তিনি তার প্রতি ক্রোধান্বিত হন এবং (পরকালে) তাকে ’খাবাল নদী’ থেকে পানীয় পান করাবেন।’’

ইবনে উমার (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করা হল, ’হে আবূ আব্দুর রহমান! ’খাবাল-নদী’ কী?’ উত্তরে তিনি বললেন, ’তা হল জাহান্নামবাসীদের পুঁজ দ্বারা প্রবাহিত (জাহান্নামের) এক নদী।’

عَنِ ابنِ عُمَرَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ شَرِبَ الْخَمْرَ لَمْ يَقْبَلِ اللهُ لَهُ صَلاَةً أَرْبَعِينَ صَبَاحًا فَإِنْ تَابَ تَابَ اللهُ عَلَيْهِ فَإِنْ عَادَ لَمْ يَقْبَلِ اللهُ لَه صَلاَةً أَرْبَعِينَ صَبَاحًا فَإِنْ تَابَ تَابَ اللهُ عَلَيْهِ فَإِنْ عَادَ لَمْ يَقْبَلِ اللهُ لَهُ صَلاَةً أَرْبَعِينَ صَبَاحًا فَإِنْ تَابَ تَابَ اللهُ عَلَيْهِ فَإِنْ عَادَ الرَّابِعَةَ لَمْ يَقْبَلِ اللهُ لَهُ صَلاَةً أَرْبَعِينَ صَبَاحًا فَإِنْ تَابَ لَمْ يَتُبِ اللهُ عَلَيْهِ وَسَقَاهُ مِنْ نَهْرِ الْخَبَالِ قِيلَ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَمَا نَهْرُ الْخَبَالِ؟ قَالَ نَهْرٌ مِنْ صَدِيدِ أَهْلِ النَّارِ

عن ابن عمر قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من شرب الخمر لم يقبل الله له صلاة اربعين صباحا فان تاب تاب الله عليه فان عاد لم يقبل الله له صلاة اربعين صباحا فان تاب تاب الله عليه فان عاد لم يقبل الله له صلاة اربعين صباحا فان تاب تاب الله عليه فان عاد الرابعة لم يقبل الله له صلاة اربعين صباحا فان تاب لم يتب الله عليه وسقاه من نهر الخبال قيل يا ابا عبد الرحمن وما نهر الخبال قال نهر من صديد اهل النار

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৬/ দণ্ডবিধি

পরিচ্ছেদঃ মদ্যপান

(১৬৭৯) ইবনে আব্বাস (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি মদ্যপানে অভ্যাস থাকা অবস্থায় মারা যাবে, সে ব্যক্তি মূর্তিপূজকের মতো (পাপী) হয়ে আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করবে।

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ مَنْ مَاتَ مُدْمِنَ خَمْرٍ لَقِيَ اللهَ كَعَابِدِ وَثَنٍ

عن ابن عباس عن النبي ﷺ قال من مات مدمن خمر لقي الله كعابد وثن

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৬/ দণ্ডবিধি

পরিচ্ছেদঃ মদ্যপান

(১৬৮০) ইবনে উমার (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, "—আর তিন ব্যক্তি জান্নাতে যাবে না; পিতা-মাতার নাফরমান ছেলে, মদপানে অভ্যাসী মাতাল এবং দান করার পর যে বলে ও গর্ব করে বেড়ায় এমন খোঁটাদানকারী ব্যক্তি।" (আহমাদ ৬১৮০, নাসাঈর কুবরা ২৩৪৩, হাকেম ২৫৬২, সহীহুল জামে’ ৩০৭১) অন্য বর্ণনায় আছে,

ثَلَاثَةٌ قَدْ حَرَّمَ اللهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى عَلَيْهِمْ الْجَنَّةَ مُدْمِنُ الْخَمْرِ وَالْعَاقُّ وَالدَّيُّوثُ الَّذِي يُقِرُّ فِي أَهْلِهِ الْخُبْثَ

তিন শ্রেণীর লোকের জন্য আল্লাহ তাবারাকা অতাআলা জান্নাত হারাম করে দিয়েছেন। অব্যাহতভাবে মদ পানকারী, পিতা-মাতার অবাধ্যজন এবং এমন বেহায়া, যে তার পরিবারের অশ্লীলতাকে মেনে নেয়। (আহমাদ ৫৩৭২, ৬১১৩)

عَنِ ابنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ وثَلاثَةٌ لا يَدْخُلُونَ الجَنَّةَ العاقُّ لِوَالِدَيْهِ والمُدْمِنُ الخَمْرَ والمَنَّانُ بِما أعْطَى

عن ابن عمر قال قال رسول الله ﷺ وثلاثة لا يدخلون الجنة العاق لوالديه والمدمن الخمر والمنان بما اعطى

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৬/ দণ্ডবিধি

পরিচ্ছেদঃ মদ্যপান

(১৬৮১) আবূ মালিক আশআরী (রাঃ) শুনেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমার উম্মতের একদল লোক মদের নাম পরিবর্তন করে তা অবশ্যই পান করবে।

عن أبي مَالِكٍ الأَشْعَرِىُّ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللهِ ﷺ يَقُولُ لَيَشْرَبَنَّ نَاسٌ مِنْ أُمَّتِى الْخَمْرَ يُسَمُّونَهَا بِغَيْرِ اسْمِهَا

عن ابي مالك الاشعرى انه سمع رسول الله ﷺ يقول ليشربن ناس من امتى الخمر يسمونها بغير اسمها

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৬/ দণ্ডবিধি
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১৪ পর্যন্ত, সর্বমোট ১৪ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে