পরিচ্ছেদঃ ফজর ও আসরের নামাযের ফযীলত

(৬৪৫) আবূ মূসা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি দুই ঠাণ্ডা নামায পড়ে, সে জান্নাত প্রবেশ করবে।

عَنْ أَبيْ مُوسَى أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ مَنْ صَلَّى البَرْدَيْنِ دَخَلَ الجَنَّةَ متفقٌ عَلَيْهِ

عن ابي موسى ان رسول الله ﷺ قال من صلى البردين دخل الجنة متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৬/ স্বলাত (নামায)

পরিচ্ছেদঃ ফজর ও আসরের নামাযের ফযীলত

(৬৪৬) আবূ যুহাইর উমারাহ ইবনে রুআইবাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি যে, যে ব্যক্তি সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের পূর্বে (অর্থাৎ ফজরের ও আসরের নামায) আদায় করবে, সে কখনো জাহান্নামে প্রবেশ করবে না।

وَعَنْ أَبيْ زُهَيرٍ عُمَارَةَ بنِ رُؤَيْبَةَ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ ﷺ يَقُوْلُ لَنْ يَلِجَ النَّارَ أَحَدٌ صَلَّى قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ وَقَبْلَ غُرُوبِهَا يعَني : الفَجْرَ والعَصْرَ رواه مسلم

وعن ابي زهير عمارة بن رويبة قال سمعت رسول الله ﷺ يقول لن يلج النار احد صلى قبل طلوع الشمس وقبل غروبها يعني الفجر والعصر رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৬/ স্বলাত (নামায)

পরিচ্ছেদঃ ফজর ও আসরের নামাযের ফযীলত

(৬৪৭) জুনদুব ইবনে সুফয়ান (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ফজরের নামায পড়ল, সে আল্লাহর জামানত লাভ করল। অতএব হে আদম সন্তান! লক্ষ্য রাখ, আল্লাহ যেন অবশ্যই তোমাদের কাছে তার জামানতের কিছু দাবী না করেন।

وَعَن جُنْدُبِ بنِ سُفيَانَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ صَلَّى الصُّبْحَ فَهُوَ فِي ذِمَّةِ اللهِ فَانْظُرْ يَا ابْنَ آدَمَ لاَ يَطْلُبَنَّكَ اللهُ مِنْ ذِمَّتِهِ بِشَيءٍ رواه مسلم

وعن جندب بن سفيان قال قال رسول الله ﷺ من صلى الصبح فهو في ذمة الله فانظر يا ابن ادم لا يطلبنك الله من ذمته بشيء رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৬/ স্বলাত (নামায)

পরিচ্ছেদঃ ফজর ও আসরের নামাযের ফযীলত

(৬৪৮) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের নিকট দিবারাত্রি ফিরিশতাবর্গ পালাক্রমে যাতায়াত করতে থাকেন। আর ফজর ও আসরের নামাযে তাঁরা একত্রিত হন। অতঃপর যারা তোমাদের কাছে রাত কাটিয়েছেন, তাঁরা ঊর্ধ্বে (আকাশে) চলে যান। অতঃপর আল্লাহ তা’আলা তাঁদেরকে জিজ্ঞাসা করেন—অথচ তিনি তাদের সম্পর্কে ভালভাবে পরিজ্ঞাত, তোমরা আমার বান্দাদেরকে কী অবস্থায় ছেড়ে এসেছ? তাঁরা বলেন, আমরা যখন তাদেরকে ছেড়ে এসেছি, তখন তারা নামাযে প্রবৃত্ত ছিল। আর যখন আমরা তাদের নিকট গিয়েছিলাম, তখনও তারা নামাযে প্রবৃত্ত ছিল। (বুখারী ৫৫৫, মুসলিম ১৪৬৪, নাসাঈ ৪৮৫, আহমাদ ৭৪৯১, ইবনে খুযাইমা ৩২১)

অন্য বর্ণনায় আছে, ফজর ও আসরের নামাযে রাত্রি ও দিনের ফিরিশতা একত্রিত হন। ফজরের সময় একত্রিত হয়ে রাতের ফিরিশতা উঠে যান এবং দিনের ফিরিশতা থেকে যান। অনুরূপ আসরের নামাযে একত্রিত হয়ে দিনের ফিরিশতা উঠে যান এবং রাতের ফিরিশতা থেকে যান। তাঁদের প্রতিপালক তাঁদেরকে জিজ্ঞাসা করেন, তোমরা আমার বান্দাদেরকে কী অবস্থায় ছেড়ে এলে? তাঁরা বলেন, ’আমরা তাদের কাছে গেলাম, তখন তারা নামায পড়ছিল এবং তাদের কাছ থেকে এলাম, তখনও তারা নামায পড়ছিল, সুতরাং কিয়ামতের দিন তাদেরকে মাফ করে দিন।

وَعَنْ أَبيْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ يَتَعَاقَبُونَ فِيكُمْ مَلاَئِكَةٌ بِاللَّيْلِ وَمَلاَئِكَةٌ بِالنَّهَارِ وَيجْتَمِعُونَ فِي صَلاَةِ الصُّبْحِ وَصَلاَةِ العَصْرِ ثُمَّ يَعْرُجُ الَّذِينَ بَاتُوا فِيكُمْ فَيَسْأَلُهُمُ اللهُ ـ وَهُوَ أعْلَمُ بِهِمْ ـ كَيْفَ تَرَكْتُمْ عِبَادي ؟ فَيَقُوْلونَ : تَرَكْنَاهُمْ وَهُمْ يُصَلُّونَ وَأتَيْنَاهُمْ وَهُمْ يُصَلُّونَ متفقٌ عَلَيْهِ

وعن ابي هريرة قال قال رسول الله ﷺ يتعاقبون فيكم ملاىكة بالليل وملاىكة بالنهار ويجتمعون في صلاة الصبح وصلاة العصر ثم يعرج الذين باتوا فيكم فيسالهم الله وهو اعلم بهم كيف تركتم عبادي فيقولون تركناهم وهم يصلون واتيناهم وهم يصلون متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৬/ স্বলাত (নামায)

পরিচ্ছেদঃ ফজর ও আসরের নামাযের ফযীলত

(৬৪৯) জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ বাজালী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট পূর্ণিমার রাতে বসে ছিলাম। তিনি চাঁদের দিকে তাকিয়ে বললেন, নিঃসন্দেহে তোমরা (পরকালে) তোমাদের প্রতিপালককে ঠিক এইভাবে দর্শন করবে, যেভাবে তোমরা এই পূর্ণিমার চাঁদ দর্শন করছ। তাঁকে দেখতে তোমাদের কোন অসুবিধা হবে না। সুতরাং যদি তোমরা সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের আগে (নিয়মিত) নামায পড়তে পরাহত না হতে সক্ষম হও (অর্থাৎ এ নামায ছুটে না যায়), তাহলে অবশ্যই তা বাস্তবায়ন কর। (বুখারী ৫৫৪, মুসলিম ১৪৬৬, আহমাদ ১৯১৯০)

অন্য বর্ণনায় আছে, তিনি চৌদ্দ তারীখের রাতের চাঁদের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বললেন...। (বুখারী ৪৮৫১)

وَعَن جَرِيرِ بنِ عَبدِ الله البَجَليِّ قَالَ : كُنَّا عَندَ النبيِّ ﷺ فَنَظَرَ إِلَى القَمَرِ لَيْلَةَ البَدْرِ فَقَالَ إنَّكُمْ سَتَرَونَ رَبَّكُمْ كَمَا تَرَوْنَ هَذَا القَمَرَ لاَ تُضَامُونَ في رُؤْيَتهِ فَإنِ اسْتَطَعْتُمْ أَنْ لاَ تُغْلَبُوا عَلَى صَلاَةٍ قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ وَقَبْلَ غُرُوبِهَا فَافْعَلُوا متفقٌ عَلَيْهِ وفي رواية فَنَظَرَ إِلَى القَمَرِ لَيْلَةَ أرْبَعَ عَشْرَةَ

وعن جرير بن عبد الله البجلي قال كنا عند النبي ﷺ فنظر الى القمر ليلة البدر فقال انكم سترون ربكم كما ترون هذا القمر لا تضامون في رويته فان استطعتم ان لا تغلبوا على صلاة قبل طلوع الشمس وقبل غروبها فافعلوا متفق عليه وفي رواية فنظر الى القمر ليلة اربع عشرة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৬/ স্বলাত (নামায)

পরিচ্ছেদঃ ফজর ও আসরের নামাযের ফযীলত

(৬৫০) বুরাইদা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আসরের নামায ত্যাগ করল, নিঃসন্দেহে তার আমল নষ্ট হয়ে গেল।

وَعَن بُرَيْدَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ تَرَكَ صَلاَةَ العَصْرِ فَقَدْ حَبِطَ عَمَلُهُ رواه البخاري

وعن بريدة قال قال رسول الله ﷺ من ترك صلاة العصر فقد حبط عمله رواه البخاري

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৬/ স্বলাত (নামায)

পরিচ্ছেদঃ ফজর ও আসরের নামাযের ফযীলত

(৬৫১) ইবনে উমার (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তির আসরের নামায ছুটে গেল, তার যেন পরিবার ও ধন-মাল লুণ্ঠন হয়ে গেল।

عَنْ اِبْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ الَّذِى تَفُوتُهُ صَلاَةُ الْعَصْرِ كَأَنَّمَا وُتِرَ أَهْلَهُ وَمَالَهُ

عن ابن عمر ان رسول الله ﷺ قال الذى تفوته صلاة العصر كانما وتر اهله وماله

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৬/ স্বলাত (নামায)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৭ পর্যন্ত, সর্বমোট ৭ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে