পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কিয়ামতের পূর্বলক্ষণসমূহ এবং দাজ্জালের বর্ণনা

৫৪৮৪-[২১] ফাতিমাহ বিনতু কায়স (রাঃ) তামীম আদ্ দারী-এর ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, তামীম আদ দারী বলেছেন, সেই দ্বীপে প্রবেশ করলে আমি সেখানে এমন একটি নারীর সাক্ষাৎ পেলাম যার মাথার কেশ এত লম্বা যে, তা জমিনে হিচড়িয়ে চলে। তামীম প্রশ্ন করলেন, তুমি কে? সে বলল, আমি ’জাসসাসাহ্ (গোপন তথ্য অন্বেষণকারিণী)। অতঃপর সে বলল , তুমি এ প্রাসাদের দিকে যাও। অতএব আমি সেখানে আসলাম। সেখানে লম্বা লম্বা চুলবিশিষ্ট এমন এক ব্যক্তিকে দেখলাম যে দৃঢ়ভাবে লোহার শিকলে বাঁধা, আসমান জমিনের মাঝখানে লাফালাফি করছে। আমি প্রশ্ন করলাম, তুই কে? সে বলল, আমি দাজ্জাল। (আবূ দাউদ)

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَابُ الْعَلَامَاتِ بَيْنَ يَدَيِ السَّاعَةِ وَذِكْرِ الدَّجَّالِ)

عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ فِي حَدِيثِ تَمِيمٍ الدَّارِيِّ: قَالَتْ: قَالَ: فَإِذَا أَنَا بِامْرَأَةٍ تَجُرُّ شَعَرَهَا قَالَ: مَا أَنْتِ؟ قَالَتْ: أَنَا الْجَسَّاسَةُ اذْهَبْ إِلَى ذَلِكَ الْقَصْرِ فَأَتَيْتُهُ فَإِذَا رَجُلٌ يَجُرُّ شَعَرَهُ مُسَلْسَلٌ فِي الْأَغْلَالِ يَنْزُو فِيمَا بَيْنُ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ. فَقُلْتُ: مَنْ أَنْتَ؟ قَالَ: أَنا الدَّجَّال . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

حسن ، رواہ ابوداؤد (4325) ۔
(صَحِيح)

عن فاطمة بنت قيس في حديث تميم الداري قالت قال فاذا انا بامراة تجر شعرها قال ما انت قالت انا الجساسة اذهب الى ذلك القصر فاتيته فاذا رجل يجر شعره مسلسل في الاغلال ينزو فيما بين السماء والارض فقلت من انت قال انا الدجال رواه ابو داودحسن رواہ ابوداود 4325 ۔صحيح

ব্যাখ্যা: (فَإِذَا أَنَا بِامْرَأَةٍ) তামীম আদ দারী-এর বর্ণিত হাদীসে বলা হয়েছে, আমি একজন মহিলার পাশ দিয়ে গেলাম। এখানে মহিলাটি ছিল দাজ্জালের গুপ্তচর। অন্য হাদীসে দাব্বাতুল আরয বলা হয়েছে। সম্ভবত উক্ত মহিলাকেই দাব্বা বলা হয়েছে। কেননা দাব্বা বলতে ‘আরবীতে প্রত্যেকই প্রাণীকে বুঝায় যারা জমিনে চলাচল করে। যেমন আল্লাহ তা'আলার বাণী, (مَا مِنۡ دَآبَّۃٍ فِی الۡاَرۡضِ اِلَّا عَلَی اللّٰهِ رِزۡقُهَا) “পৃথিবীতে চলমান প্রতিটি প্রাণীর রিকের দায়িত্ব আল্লাহর”- (সূরা হুদ ১১: ৬)। (মিরকাতুল মাফাতীহ; ‘আওনুল মা'বুদ ৭ম খণ্ড, হা. ৪৩২০)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৭: ফিতনাহ (كتاب الْفِتَن)

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কিয়ামতের পূর্বলক্ষণসমূহ এবং দাজ্জালের বর্ণনা

৫৪৮৫-[২২] ’উবাদাহ্ ইবনুস সামিত (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সা.) হতে বর্ণনা করেন। তিনি (সা.) বলেছেন: আমি তোমাদের কাছে দাজ্জালের কথা বারংবার আলোচনা করেছি, তবুও এই আশঙ্কা করছি যে, তোমরা তার প্রকৃত অবস্থা বুঝতে নাও পার। (জেনে রাখ) মাসীহে দাজ্জাল হবে খাটো, পায়ের নলা লম্বা লম্বা চুল খুব কোঁকড়ানো, এক চোখ কানা, অপর চোখ সমান। অর্থাৎ একেবারে ভিতরেও ডুবে থাকেনি এবং বাইরেও উঠে থাকেনি। এরপরও যদি তোমরা সন্দেহে পড়ে যাও, তাহলে এ কথা স্মরণ রাখ যে, তোমাদের প্রভু কানা নন। (আবূ দাউদ)

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَابُ الْعَلَامَاتِ بَيْنَ يَدَيِ السَّاعَةِ وَذِكْرِ الدَّجَّالِ)

وَعَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنِّي حَدَّثْتُكُمْ عَنِ الدَّجَّالِ حَتَّى خَشِيتُ أَنْ لَا تَعْقِلُوا. إِنَّ الْمَسِيحَ الدَّجَّالَ قَصِيرٌ أَفْحَجُ جَعْدٌ أَعْوَرُ مَطْمُوسُ الْعَيْنِ لَيْسَتْ بِنَاتِئَةٍ وَلَا حَجْرَاءَ فَإِنْ أُلْبِسَ عَلَيْكُمْ فَاعْلَمُوا أَنَّ رَبَّكُمْ لَيْسَ بِأَعْوَرَ» رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

حسن ، رواہ ابوداؤد (4320) ۔
(صَحِيح)

وعن عبادة بن الصامت عن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال اني حدثتكم عن الدجال حتى خشيت ان لا تعقلوا ان المسيح الدجال قصير افحج جعد اعور مطموس العين ليست بناتىة ولا حجراء فان البس عليكم فاعلموا ان ربكم ليس باعور رواه ابو داودحسن رواہ ابوداود 4320 ۔صحيح

ব্যাখ্যা: (إِنِّي حَدَّثْتُكُمْ عَنِ الدَّجَّالِ) উবাদাহ্ ইবনুস্ সামিত (রাঃ) বলেন, আমি দাজ্জাল সম্পর্কে তোমাদেরকে যত বিবরণ দিয়েছি যাতে আমার ভয় হচ্ছে যে, তোমরা তার সম্পর্কে ভুলেই যাবে, কিছুই বুঝতে পারবে না। এজন্যই তোমরা ভালোভাবে বুঝে নাও।
(فَإِنْ أُلْبِسَ عَلَيْكُمْ فَاعْلَمُوا أَنَّ رَبَّكُمْ لَيْسَ بِأَعْوَرَ) যদি তোমাদের দাজ্জাল সম্পর্কে সংশয় সৃষ্টি করা হয় প্রভু অর্থাৎ দাজ্জাল তোমাদেরকে অলৌকিক কিছু প্রদর্শন করে নিজেকে ইলাহ বলে দাবী করে আর তোমরা তা বুঝতে অক্ষম হও তাহলে জেনে রেখো তোমাদের প্রভু কিন্তু ত্রুটিমুক্ত। দাজ্জাল হবে ত্রুটিপূর্ণ। তার একচক্ষু আলোহীন হবে আরেক চক্ষু আঙ্গুরের মতো ফুলা হবে, উপরের দিকে উঠানো থাকবে। এটিই প্রমাণ করবে সে একজন মিথ্যাবাদী। ইলাহ হওয়ার উপযুক্ত নয়। (মিরকাতুল মাফাতীহ; 'আওনুল মা'বুদ ৭ম খণ্ড, হা. ৪৩২০)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৭: ফিতনাহ (كتاب الْفِتَن)

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কিয়ামতের পূর্বলক্ষণসমূহ এবং দাজ্জালের বর্ণনা

৫৪৮৬-[২৩] আবূ উবায়দাহ্ ইবনুল জাররাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) - কে বলতে শুনেছি। (রাসূল [সা.] বলেছেন) নূহ আলাইহিস সালাম-এর পরে এমন কোন নবী আগমন করেননি, যিনি স্বীয় জাতিকে দাজ্জাল সম্পর্কে ভীতি প্রদর্শন করেননি। আমিও তদ্রূপ তোমাদেরকে ভীতি প্রদর্শন করছি। তারপর তিনি (সা.) আমাদেরকে তার বাস্তব অবস্থা সম্পর্কে বললেন, হয়তো তোমাদের কেউ, যে আমাকে দেখেছে অথবা যে আমার কথা শুনেছে, সে দাজ্জালকে পেতে পারে। তারা প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রাসূল। তখন আমাদের অন্তরসমূহের অবস্থা কিরূপ হবে? বললেন, বর্তমানে যেরূপ আছে। অর্থাৎ আজ যেমন তখনো তেমন বা এটা অপেক্ষা শ্রেয়। (তিরমিযী ও আবূ দাউদ)

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَابُ الْعَلَامَاتِ بَيْنَ يَدَيِ السَّاعَةِ وَذِكْرِ الدَّجَّالِ)

وَعَن أَي عُبَيْدَةَ بْنِ الْجَرَّاحِ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِنَّهُ لَمْ يَكُنْ نَبِيٌّ بَعْدَ نُوحٍ إِلَّا قَدْ أَنْذَرَ الدجالَ قومَه وإِني أُنذركموه» فرصفه لَنَا قَالَ: «لَعَلَّهُ سَيُدْرِكُهُ بَعْضُ مَنْ رَآنِي أَوْ سَمِعَ كَلَامِي» . قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ فَكَيْفَ قُلُوبُنَا يَوْمَئِذٍ؟ قَالَ: «مِثْلُهَا» يَعْنِي الْيَوْمَ «أوخير» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَأَبُو دَاوُد

حسن ، رواہ الترمذی (2234 وقال : غریب) و ابوداؤد (4756)

وعن اي عبيدة بن الجراح قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول انه لم يكن نبي بعد نوح الا قد انذر الدجال قومه واني انذركموه فرصفه لنا قال لعله سيدركه بعض من راني او سمع كلامي قالوا يا رسول الله فكيف قلوبنا يومىذ قال مثلها يعني اليوم اوخير رواه الترمذي وابو داودحسن رواہ الترمذی 2234 وقال غریب و ابوداود 4756

ব্যাখ্যা: (إِنَّهُ لَمْ يَكُنْ نَبِيٌّ بَعْدَ نُوحٍ إِلَّا قَدْ أَنْذَرَ الدجالَ) নূহ আলায়হিস সালাম-এর পর প্রত্যেক নবীই তাদের সম্প্রদায়কে দাজ্জাল সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। নূহ আলায়হিস সালাম ও তার জাতিকে দাজ্জাল সম্পর্কে সতর্ক করেছেন কিন্তু তার পরবর্তীগণ আরো বেশি করে সতর্ক করেছেন। অত্র হাদীসে নূহ আলায়হিস সালাম-এর পর বলতে নূহ আলায়হিস সালাম কে বাদ দিয়ে নয় বরং তিনি সহ বুঝানো হয়েছে।
(لَعَلَّهُ سَيُدْرِكُهُ بَعْضُ مَنْ رَآنِي) যারা আমাকে দেখেছে তারা হয়তো অচিরেই দাজ্জালের দেখা পেতে পারে। অর্থাৎ তার আগমন অতি নিকটে। আর যারা আমার কথা শুনেছে তারাও অথবা যারা আমার হাদীস শুনেছে তথা যাদের কাছে আমার হাদীস পৌছেছে, তারাও দাজ্জালের দেখা পেতে পারে যদিও কিছু দিন দেরি হয়। হাদীসে উল্লেখিত (أو) অব্যয়টি বর্ণনাকারীর পক্ষ থেকে সন্দেহমূলক নয় বরং ধরণ উল্লেখ উদ্দেশ্য। তথা যারা আমাকে দেখেছে আমার কথা শুনেছে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)

বিশেষ দ্রষ্টব্য:
সকল নবী 'আলায়হিস সালাম দাজ্জাল সম্পর্কে সতর্ক করেছেন এবং তার জন্য আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করতে বলা হয়েছে এমনকি সলাতের মধ্যেও। তথাপি কুরআনুল কারীমে স্পষ্ট তার সম্পর্কে কোন স্পষ্ট বর্ণনা নেই, এর মধ্যে কি হিকমাত নিহিত রয়েছে? এর উত্তর কয়েকভাবে দেয়া যেতে পারে।
এক: আল্লাহ তা'আলার এই বাণীর মধ্যে উল্লেখ রয়েছে: (... یَوۡمَ یَاۡتِیۡ بَعۡضُ اٰیٰتِ رَبِّکَ لَا یَنۡفَعُ نَفۡسًا اِیۡمَانُهَا لَمۡ تَکُنۡ اٰمَنَتۡ مِنۡ قَبۡلُ اَوۡ کَسَبَتۡ فِیۡۤ اِیۡمَانِهَا خَیۡرًا...)
“যেদিন তোমার রবের পক্ষ থেকে কোন নিদর্শন প্রকাশ পাবে সেদিন ঐসব ব্যক্তির ঈমান কোনই কাজে আসবে না যারা ইতোপূর্বে ঈমান আনয়ন করেনি এবং ঈমান অনুযায়ী সৎকাজ করেনি?”
(সূরা আল আ'আম ৬: ১৫৮)
ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) তাঁর সুনান গ্রন্থে আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনটি আলামত যখন প্রকাশ পাবে তখন ঐ সব ব্যক্তির ঈমান কোনই কাজে আসবে না যারা ইতোপূর্বে ঈমান আনেনি। দাজ্জালের আগমন, দাব্বাতুল আরয এবং সূর্য পশ্চিমদিক থেকে উদিত হওয়া।

দুই: পবিত্র কুরআনে ‘ঈসা আলায়হিস সালাম -এর অবতীর্ণ হওয়ার প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে। যেমন, আল্লাহ তা'আলা বলেন, (وَ اِنۡ مِّنۡ اَهۡلِ الۡکِتٰبِ اِلَّا لَیُؤۡمِنَنَّ بِهٖ قَبۡلَ مَوۡتِهٖ) “আহলে কিতাবদের মধ্যে যত শ্রেণি রয়েছে তারা সবাই ঈমান আনবে ‘ঈসা আলায়হিস সালাম -এর ওপর তাদের মৃত্যুর পূর্বেই।” (সূরা আন্ নিসা ৪ : ১৫৯)
সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত যে, “ঈসা আলায়হিস সালাম দাজ্জালকে হত্যা করবেন। আল্লাহ তা'আলা একজনের উল্লেখ দ্বারা তার বিপরীতটা উল্লেখ না করাকে যথেষ্ট মনে করেছেন।

তিন: আল্লাহ তা'আলা তাকে হীন ও তুচ্ছ ভেবে তার নাম কুরআনে উল্লেখ না করে তার পরবর্তী ইয়াজুজ মাজুজ সম্পর্কে উল্লেখ করেছেন। যা পরোক্ষভাবে উল্লেখ হয়ে যায়। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৬ষ্ঠ খণ্ড, হা, ২২৩৪)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৭: ফিতনাহ (كتاب الْفِتَن)

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কিয়ামতের পূর্বলক্ষণসমূহ এবং দাজ্জালের বর্ণনা

৫৪৮৭-[২৪] ’আমর ইবনু হুরায়স (রহিমাহুল্লাহ) আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: দাজ্জাল পূর্বাঞ্চলের খুরাসান এলাকা থেকে বের হবে, এমন এক গোত্র তার আনুগত্য গ্রহণ করবে যাদের চেহারা হবে ঢালের মতো চ্যাপ্টা। (তিরমিযী)

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَابُ الْعَلَامَاتِ بَيْنَ يَدَيِ السَّاعَةِ وَذِكْرِ الدَّجَّالِ)

وَعَنْ عَمْرِو بْنِ حُرَيْثٍ عَنْ أَبِي بَكْرٍ الصّديق قَالَ: حَدَّثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: الدَّجَّالُ يَخْرُجُ مِنْ أَرْضٍ بِالْمَشْرِقِ يُقَالُ لَهَا: خُرَاسَانُ يَتْبَعُهُ أَقْوَامٌ كَأَنَّ وُجُوهَهُمُ المجانّ المطرقة . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ

حسن ، رواہ الترمذی (2237 وقال : حسن غریب) ۔
(صَحِيح)

وعن عمرو بن حريث عن ابي بكر الصديق قال حدثنا رسول الله صلى الله عليه وسلم قال الدجال يخرج من ارض بالمشرق يقال لها خراسان يتبعه اقوام كان وجوههم المجان المطرقة رواه الترمذيحسن رواہ الترمذی 2237 وقال حسن غریب ۔صحيح

ব্যাখ্যা: (الدَّجَّالُ يَخْرُجُ مِنْ أَرْضٍ بِالْمَشْرِقِ) দাজ্জাল পূর্বদিক থেকে যাকে সিরিয়া বলা হয় সেই দেশে আত্মপ্রকাশ করবে। আর যারা তাকে অনুসরণ করবে তাদের মুখের আকৃতি হবে ঢালের মতো প্রশস্ত মুখবিশিষ্ট। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ, তুহফাতুল আহওয়াযী ৬ষ্ঠ খণ্ড, হা. ২২৩৭)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৭: ফিতনাহ (كتاب الْفِتَن)

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কিয়ামতের পূর্বলক্ষণসমূহ এবং দাজ্জালের বর্ণনা

৫৪৮৮-[২৫] ’ইমরান ইবনু হুসায়ন (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: যে ব্যক্তি দাজ্জালের আগমনের সংবাদ শুনে, সে যেন তার নিকট থেকে দূরে সরে থাকে। আল্লাহর শপথ! কোন ব্যক্তি নিজেকে মুমিন ধারণা করে তার কাছে যাবে, কিন্তু তার তেলেসমাতি কর্মকাণ্ডের ধোঁকায় পড়ে সে তার অনুকরণ করে ফেলবে। (আবূ দাউদ)

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَابُ الْعَلَامَاتِ بَيْنَ يَدَيِ السَّاعَةِ وَذِكْرِ الدَّجَّالِ)

وَعَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ سَمِعَ بالدجال فلينأ مِنْهُ فو الله إِنَّ الرَّجُلَ لَيَأْتِيهِ وَهُوَ يَحْسِبُ أَنَّهُ مُؤْمِنٌ فَيَتَّبِعُهُ مِمَّا يَبْعَثُ بِهِ مِنَ الشُّبُهَاتِ» رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

اسنادہ صحیح ، رواہ ابوداؤد (4319) ۔
(صَحِيح)

وعن عمران بن حصين قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من سمع بالدجال فلينا منه فو الله ان الرجل لياتيه وهو يحسب انه مومن فيتبعه مما يبعث به من الشبهات رواه ابو داوداسنادہ صحیح رواہ ابوداود 4319 ۔صحيح

ব্যাখ্যা: (مَنْ سَمِعَ بالدجال فلينأ مِنْهُ) যে দাজ্জালের আত্মপ্রকাশের কথা শুনবে, সে যেন তার থেকে দূরে থাকে এবং তার থেকে দূরে থাকাই সৌভাগ্যবান হবে। কেননা সে তার অলৌকিক কর্মকাণ্ডের জন্য বিশ্বাস করে তার অনুসরণ করে ফেলতে পারে, যা তাকে কাফির বানিয়ে দিবে। (মিরকাতুল মাফাতীহ; ‘আওনুল মা'বুদ ৭ম খণ্ড, হা, ৪৩১১)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৭: ফিতনাহ (كتاب الْفِتَن)

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কিয়ামতের পূর্বলক্ষণসমূহ এবং দাজ্জালের বর্ণনা

৫৪৮৯-[২৬] আসমা বিনতু ইয়াযীদ ইবনুস সাকান (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সা.) বলেছেন: দাজ্জাল চল্লিশ বছর জমিনে থাকবে। এর বছর হবে মাসের মতো, মাস হবে সপ্তাহের মতো এবং সপ্তাহ হবে এক দিনের মতো। আর দিন হবে খেজুরের একটি শুকনা ডাল আগুনে পুড়ে নিঃশেষ হওয়ার সময়ের মতো। (শারহুস্ সুন্নাহ্)

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَابُ الْعَلَامَاتِ بَيْنَ يَدَيِ السَّاعَةِ وَذِكْرِ الدَّجَّالِ)

وَعَن أَسمَاء بنت يزِيد بن السَّكن قَالَتْ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَمْكُثُ الدَّجَّالُ فِي الْأَرْضِ أَرْبَعِينَ سَنَةً السَّنَةُ كَالشَّهْرِ وَالشَّهْرُ كَالْجُمُعَةِ وَالْجُمُعَةُ كَالْيَوْمِ وَالْيَوْمُ كَاضْطِرَامِ السَّعَفَةِ فِي النَّارِ» . رَوَاهُ فِي «شَرْحِ السُّنَّةِ»

اسنادہ حسن ، رواہ البغوی فی شرح السنۃ (15 / 62 ح 4264) [و احمد (6 / 454 ح 28123 ، 6 / 459 ح 28152)] ۔
(صَحِيح)

وعن اسماء بنت يزيد بن السكن قالت قال النبي صلى الله عليه وسلم يمكث الدجال في الارض اربعين سنة السنة كالشهر والشهر كالجمعة والجمعة كاليوم واليوم كاضطرام السعفة في النار رواه في شرح السنةاسنادہ حسن رواہ البغوی فی شرح السنۃ 15 62 ح 4264 و احمد 6 454 ح 28123 6 459 ح 28152 ۔صحيح

ব্যাখ্যা: (يَمْكُثُ الدَّجَّالُ فِي الْأَرْضِ أَرْبَعِينَ سَنَةً) দাজ্জাল পৃথিবীতে ৪০ বছর অবস্থান করবে। ইতোপূর্বে হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, দাজ্জাল ৪০ দিন অবস্থান করবে। অতএব উভয় হাদীসের মধ্যে সমন্বয় হবে অবস্থা ও পরিমাণে তারতম্যের মাধ্যমে যেমনটি অত্র হাদীসে ইঙ্গিত বহন করছে। একটি বছর একটি মাসের মতো দ্রুত শেষ হয়ে যাবে। মাস একটি জুমু'আর মতো তথা সপ্তাহের মত মনে হবে। আর সপ্তাহ দিনের মতো মনে হবে। আর দিন এত দ্রুত শেষ হবে যেমন একটি খেজুর গাছের ডাল আগুনে পুড়তে যতটুকু সময় লাগে ততটুকু সময় মনে হবে, তথা একটি দিন একটি ঘণ্টার ন্যায় দ্রুত শেষ হবে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৭: ফিতনাহ (كتاب الْفِتَن)

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কিয়ামতের পূর্বলক্ষণসমূহ এবং দাজ্জালের বর্ণনা

৫৪৯০-[২৭] আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: আমার উম্মতের সত্তর হাজার লোক দাজ্জালের আনুগত্য স্বীকার করবে, তাদের মাথায় থাকবে সবুজ বর্ণের নিকাব। (শারহুস্ সুন্নাহ্)

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَابُ الْعَلَامَاتِ بَيْنَ يَدَيِ السَّاعَةِ وَذِكْرِ الدَّجَّالِ)

وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَتْبَعُ الدَّجَّالَ مِنْ أُمَّتِي سَبْعُونَ أَلْفًا عَلَيْهِمُ السِّيجَانُ» . رَوَاهُ فِي شرح السّنة

اسنادہ ضعیف جذا ، رواہ البغوی فی شرح السنۃ (15 / 62 ح 4265) * فیہ ابو ھارون العبدی متروک متھم و حدیث مسلم (2944)، (7392) یخالفہ ۔
(ضَعِيف)

وعن ابي سعيد الخدري قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم يتبع الدجال من امتي سبعون الفا عليهم السيجان رواه في شرح السنةاسنادہ ضعیف جذا رواہ البغوی فی شرح السنۃ 15 62 ح 4265 فیہ ابو ھارون العبدی متروک متھم و حدیث مسلم 2944 7392 یخالفہ ۔ضعيف

ব্যাখ্যা: (يَتْبَعُ الدَّجَّالَ مِنْ أُمَّتِي) আমার উম্মতের একটি দল (তারা হবে ইস্ফাহানের ইয়াহূদী মতাবলম্বী) তাদের সংখ্যা হবে ৭০ হাজার যাদের মাথায় সবুজ রং অংকিত মুকুট থাকবে। ইবনুল মালিক (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, ৭০ হাজার লোক সকলেই যদি সম্পদশালী হন তাহলে দরিদ্রের অবস্থা কি হতে পারে? মিরক্বাতুল মাফাতীহ গ্রন্থকার বলেন, দরিদ্ররা আল্লাহর নিরাপত্তায় থাকবে তাদের অনুসরণ করবে না। তবে যারা সম্পদের লোভী হবে তারা অনুসরণ করবে। যেমনটি ধনীরা আরো সম্পদশালী হওয়ার জন্য তার অনুসরণ করবে। যদিও অনুসৃত ব্যক্তি, বাতিলপন্থী হয়ে থাকে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৭: ফিতনাহ (كتاب الْفِتَن)

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কিয়ামতের পূর্বলক্ষণসমূহ এবং দাজ্জালের বর্ণনা

৫৪৯১-[২৮] আসমা বিনতু ইয়াযীদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) আমার গৃহে ছিলেন এবং দাজ্জাল সম্পর্কে আলোচনা প্রসঙ্গে বললেন, দাজ্জালের আগমনের পূর্বের তিন বছর এরূপ হবে যে, এটার প্রথম বছর আসমান তার এক-তৃতীয়াংশ বর্ষণ এবং জমিন তার এক-তৃতীয়াংশ ফলন বন্ধ রাখবে। দ্বিতীয় বছর আসমান তার দুই-তৃতীয়াংশ বর্ষণ তার জমিন তার দুই-তৃতীয়াংশ ফলন বন্ধ রাখবে। আর শেষ তৃতীয় বছর আসমান তার সমস্ত বর্ষণ এবং জমিন তার সমুদয় ফলন বন্ধ রাখবে, ফলে ক্ষুরবিশিষ্ট প্রাণী (যেমন- গরু, ছাগল প্রভৃতি) এবং শিকারী দাঁতবিশিষ্ট জন্তু (যেমন- হিংস্র জানোয়ার) নিঃশেষ হয়ে যাবে। দাজ্জালের সর্বাধিক মারাত্মক ফিতনাহ এটা হবে যে, সে কোন বেদুঈনের কাছে এসে বলবে, বল তো, যদি আমি তোমার মৃত উটগুলো জীবিত করে দেই, তাহলে তুমি কি বিশ্বাস করবে যে, আমি তোমাদের প্রভু? সে বলবে, হ্যাঁ, তখন শয়তান তার উটের আকৃতিতে উত্তম স্তন এবং মোটাতাজা কুঁজবিশিষ্ট অবস্থায় সামনে উপস্থিত হবে। তিনি (সা.) বলেন, অতঃপর দাজ্জাল এমন এক ব্যক্তির কাছে আসবে যার ভাই এবং পিতা মারা গেছে। তাকে বলবে, তুমি বল তো, যদি আমি তোমার পিতা ও ভাইদের জীবিত করে দেই তবে কি তুমি আমাকে তোমার প্রভু বলে বিশ্বাস করবে না? সে বলবে, হ্যা, নিশ্চয় বিশ্বাস করব। তখন শায়তান তার পিতা ও ভাইয়ের হুবহু আকৃতি ধারণ করে আসবে। আসমা (রাঃ) বলেন, এ পর্যন্ত আলোচনা করে তিনি (সা.) স্বীয় কোন প্রয়োজনে বাইরে গেলেন, এবং পরে ফিরে আসলেন।

এদিকে দাজ্জালের এ সমস্ত তাণ্ডবের কথা শুনে উপস্থিত লোকেরা ভীষণ দুশ্চিন্তায় পতিত হলো। আসমা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) তখন দরজায় উভয় বাজুতে হাত রেখে বললেন, হে আসমা’! কি হয়েছে? আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! দাজ্জাল সম্পর্কে আলোচনায় আপনি তো আমাদের কলিজা বের করে ফেলেছেন। তখন তিনি বললেন, (দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই) সে যদি বের হয় আর আমি জীবিত থাকি, আমিই তখন দলীল-প্রমাণের দ্বারা তাকে প্রতিহত করব। আর যদি আমি জীবিত না থাকি তখন প্রত্যেক মুমিনের সাহায্যকারী হিসেবে আল্লাহই হবে আমার স্থলাভিষিক্ত। আসমা (রাঃ) বলেন, আমি প্রশ্ন করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর শপথ, আমাদের অবস্থা হলো আমরা আটার খামির তৈরি করি এবং রুটি তৈরি করে অবসর হতে না হতেই পুনরায় ক্ষুধায় অস্থির হয়ে পড়ি। অতএব সেই দুর্ভিক্ষের সময় মুমিনের অবস্থা কেমন হবে? জবাবে তিনি (সা.) বললেন, সেই বস্তুই তাদের ক্ষুধা নিবারণের জন্য যথেষ্ট হবে যা আকাশবাসীদের জন্য যথেষ্ট হয়ে থাকে। আর তা হলো তাসবীহ ও তাক্বদীস (অর্থাৎ আল্লাহর যিকর ও পবিত্রতা বর্ণনা করা)। (আহমাদ)

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَابُ الْعَلَامَاتِ بَيْنَ يَدَيِ السَّاعَةِ وَذِكْرِ الدَّجَّالِ)

وَعَن أسماءَ بنتِ يزيدَ قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي بَيْتِي فَذَكَرَ الدَّجَّالَ فَقَالَ: إِنَّ بَيْنَ يَدَيْهِ ثَلَاث سِنِين سنة تمسلك السَّمَاءُ فِيهَا ثُلُثَ قَطْرِهَا وَالْأَرْضُ ثُلُثَ نَبَاتِهَا. وَالثَّانِيَةُ تُمْسِكُ السَّمَاءُ ثُلُثَيْ قَطْرِهَا وَالْأَرْضُ ثُلُثَيْ نَبَاتِهَا. وَالثَّالِثَةُ تُمْسِكُ السَّمَاءُ قَطْرَهَا كُلَّهُ وَالْأَرْضُ نَبَاتَهَا كُلَّهُ. فَلَا يَبْقَى ذَاتُ ظِلْفٍ وَلَا ذَاتُ ضِرْسٍ مِنَ الْبَهَائِمِ إِلَّا هَلَكَ وَإِنَّ مِنْ أَشَدِّ فِتْنَتِهِ أَنَّهُ يَأْتِي الْأَعْرَابِيَّ فَيَقُولُ: أَرَأَيْتَ إِنْ أَحْيَيْتُ لَكَ إِبِلَكَ أَلَسْتَ تَعْلَمُ أَنِّي رَبُّكَ؟ فَيَقُولُ بَلَى فَيُمَثِّلُ لَهُ الشَّيْطَانَ نَحْوَ إِبِلِهِ كَأَحْسَنِ مَا يَكُونُ ضُرُوعًا وَأَعْظَمِهِ أَسْنِمَةً . قَالَ: وَيَأْتِي الرَّجُلَ قَدْ مَاتَ أَخُوهُ وَمَاتَ أَبُوهُ فَيَقُولُ: أَرَأَيْتَ إِنْ أَحْيَيْتُ لَكَ أَبَاكَ وَأَخَاكَ أَلَسْتَ تَعْلَمُ أَنِّي رَبُّكَ؟ فَيَقُولُ: بَلَى فَيُمَثِّلُ لَهُ الشَّيَاطِينَ نَحْوَ أَبِيهِ وَنَحْوَ أَخِيهِ . قَالَتْ: ثُمَّ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِحَاجَتِهِ ثُمَّ رَجَعَ وَالْقَوْمُ فِي اهْتِمَامٍ وَغَمٍّ مِمَّا حَدَّثَهُمْ. قَالَتْ: فَأَخَذَ بِلَحْمَتَيِ الْبَابِ فَقَالَ: «مَهْيَمْ أَسْمَاءُ؟» قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ لَقَدْ خَلَعْتَ أَفْئِدَتَنَا بِذِكْرِ الدَّجَّالِ. قَالَ: «إِنْ يَخْرُجْ وَأَنَا حَيٌّ فَأَنَا حَجِيجُهُ وَإِلَّا فإِنَّ رَبِّي خليفتي علىكل مُؤْمِنٍ» فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ وَاللَّهِ إِنَّا لَنَعْجِنُ عَجِينَنَا فَمَا نَخْبِزُهُ حَتَّى نَجُوعَ فَكَيْفَ بِالْمُؤْمِنِينَ يَوْمَئِذٍ؟ قَالَ: «يُجْزِئُهُمْ مَا يُجْزِئُ أَهْلَ السماءِ من التسبيحِ والتقديسِ» . رَوَاهُ أَحْمد

حسن ، رواہ احمد (6 / 453 ۔ 454 ح 28120) [و الطبرانی (24 / 158 ح 405 و سندہ حسن ۔ 161)] * انظر النھایۃ فی الفتن و الملاحم (ح 263 بتحقیقی) لمزید التحقیق ۔ * قلت : قتادۃ لم ینفرد بہ ، بل تابعہ ثابت و حجاج بن الاسود و عبد العزیز بن صھیب بہ ، فالحدیث حسن ۔
(ضَعِيف)

وعن اسماء بنت يزيد قالت كان رسول الله صلى الله عليه وسلم في بيتي فذكر الدجال فقال ان بين يديه ثلاث سنين سنة تمسلك السماء فيها ثلث قطرها والارض ثلث نباتها والثانية تمسك السماء ثلثي قطرها والارض ثلثي نباتها والثالثة تمسك السماء قطرها كله والارض نباتها كله فلا يبقى ذات ظلف ولا ذات ضرس من البهاىم الا هلك وان من اشد فتنته انه ياتي الاعرابي فيقول ارايت ان احييت لك ابلك الست تعلم اني ربك فيقول بلى فيمثل له الشيطان نحو ابله كاحسن ما يكون ضروعا واعظمه اسنمة قال وياتي الرجل قد مات اخوه ومات ابوه فيقول ارايت ان احييت لك اباك واخاك الست تعلم اني ربك فيقول بلى فيمثل له الشياطين نحو ابيه ونحو اخيه قالت ثم خرج رسول الله صلى الله عليه وسلم لحاجته ثم رجع والقوم في اهتمام وغم مما حدثهم قالت فاخذ بلحمتي الباب فقال مهيم اسماء قلت يا رسول الله لقد خلعت افىدتنا بذكر الدجال قال ان يخرج وانا حي فانا حجيجه والا فان ربي خليفتي علىكل مومن فقلت يا رسول الله والله انا لنعجن عجيننا فما نخبزه حتى نجوع فكيف بالمومنين يومىذ قال يجزىهم ما يجزى اهل السماء من التسبيح والتقديس رواه احمدحسن رواہ احمد 6 453 ۔ 454 ح 28120 و الطبرانی 24 158 ح 405 و سندہ حسن ۔ 161 انظر النھایۃ فی الفتن و الملاحم ح 263 بتحقیقی لمزید التحقیق ۔ قلت قتادۃ لم ینفرد بہ بل تابعہ ثابت و حجاج بن الاسود و عبد العزیز بن صھیب بہ فالحدیث حسن ۔ضعيف

ব্যাখ্যা: (إِنَّ بَيْنَ يَدَيْهِ ثَلَاث سِنِين) দাজ্জালের সামনে অথবা তার আগমনের সময়কে তিন ভাগে ভাগ করা হবে। আর বিভিন্নভাবে বরকত চলে যাবে। প্রথম বছরে আকাশ আল্লাহর হুকুমে এক-তৃতীয়াংশ বৃষ্টি বর্ষণ করবে এবং জমিন দুই-তৃতীয়াংশ ফসল ফলাবে। আর তৃতীয়বর্ষে আকাশ এক ফোটা পানিও বর্ষণ করবে না এবং জমি কোন ফসল জন্মাবে না, তখন দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিবে। আর দেশের ধনভাণ্ডার ও সম্পদ দাজ্জালের অধীনে থাকবে এবং সর্বপ্রকার নি'আমাত ও ফল-ফসল তার আয়ত্বে থাকবে। সকল পশু পাখি অনাহারে মারা যাবে। তখন তার ফিতনাহ্ প্রকট আকার ধারণ করবে এবং মানুষের ঈমান নষ্ট করবে।
(إِنْ يَخْرُجْ وَأَنَا حَيٌّ فَأَنَا حَجِيجُهُ) (রাসূল সা. বলেন) যদি আমার জীবদ্দশায় দাজ্জাল আবির্ভূত হয় তাহলে আমি সাহসিকতার সাথে দলীল প্রমাণের মাধ্যমে তাকে পরাজিত করব। আর আমি যদি না থাকি তাহলে আমার প্রতিপালক আমার পক্ষ থেকে প্রতিটি মু'মিনকে সাহায্য করবেন। যেহেতু তিনি তার দীনের একমাত্র সংরক্ষক এবং তার নবী কে সাহায্যকারী এবং যারা তার প্রতি ঈমান আনবে তাদের অভিভাবক। অন্য বর্ণনায় বলা হয়েছে, প্রতিটি ব্যক্তি নিজে নিজেই প্রতিরোধ করবে। অর্থাৎ নিজের ওপর আপতিত ফিতনাকে ঈমানের দৃঢ়তা ও দলীল প্রমাণের সাহায্যে প্রতিরোধ করবে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ; ইবনু মাজাহ ৩য় খণ্ড, হা, ৪০৭৭).


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৭: ফিতনাহ (كتاب الْفِتَن)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৮ পর্যন্ত, সর্বমোট ৮ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে