পরিচ্ছেদঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - হাঁচি দেয়া এবং হাই তোলা

৪৭৩৮-[৭] আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যখন হাঁচি আসত, তখন তিনি নিজের হাত বা কাপড় দ্বারা মুখ ঢেকে ফেলতেন এবং হাঁচির শব্দকে নিচু রাখতেন। (তিরমিযী ও আবূ দাঊদ)[1]

ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান ও সহীহ।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا عَطَسَ غَطَّى وَجْهَهُ بِيَدِهِ أَوْ ثَوْبِهِ وَغَضَّ بِهَا صَوْتَهُ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيح

عن ابي هريرة ان النبي صلى الله عليه وسلم كان اذا عطس غطى وجهه بيده او ثوبه وغض بها صوته رواه الترمذي وابو داود وقال الترمذي هذا حديث حسن صحيح

ব্যাখ্যাঃ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণী : (غَطَّى وَجْهَهٗ بِيَدِه أَوْ ثَوْبِه) এর মর্মার্থ হলো, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন হাঁচি দিতেন তখন স্বীয় হাত কিংবা কাপড় দ্বারা চেহারা আবৃত করে রাখতেন। এটা এজন্য যে, একদিকে মাজলিসের আদব রক্ষেত হয় এবং অন্যদিকে হাঁচি দেয়ার সময় মানুষের চেহারা এমন অস্বাভাবিক হয়ে যায় যা অপরের কাছে খারাপ লাগতে পারে। তাই মানুষের দৃষ্টি আড়াল করার জন্য চেহারা ঢেকে নেয়া হয়। আবার মুখে যদি হাত বা কাপড় না দেয়া হয়, তবে মুখের থুথু, কফ, নাকের ভিতরের ময়লা অন্যের শরীরে কিংবা নিজের শরীরে পড়েও জামা-কাপড় অপরিষ্কার হতে পারে। আবার হাঁচির আওয়াজ বড় হলেও অপরের বিরক্তির কারণ হতে পারে, তাই মুখে হাত বা কাপড় দিতে হয়।

(غَضَّ بِهَا صَوْتَهٗ) এর মর্মার্থ হলো : রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন হাঁচি দিতেন, তখন তিনি হাঁচির আওয়াজকে যদি সংযত না করা হয় তবে এটা মাজলিসের লোকের মধ্যে আতঙ্কের কারণ হতে পারে। বলা বাহুল্য যে, উক্ত কারণেই রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাঁচির সময় আওয়াজকে সংযত রাখতেন। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৫: শিষ্টাচার (كتاب الآداب)

পরিচ্ছেদঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - হাঁচি দেয়া এবং হাই তোলা

৪৭৩৯-[৮] আবূ আইয়ূব (রাঃ) হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন তোমাদের কারো হাঁচি আসে, সে যেন বলে, ’’আল-হামদু লিল্লাহি ’আলা- কুল্লি হা-ল’’ অর্থাৎ- সর্বাবস্থায় মহান আল্লাহর প্রশংসা। আর যে ব্যক্তি তার উত্তর দেবে সে যেন বলে, ’’ইয়ারহামুকাল্ল-হ’’ অর্থাৎ- আল্লাহ তোমাকে দয়া করুন! এরপর তার উত্তরে পুনরায় হাঁচিদাতা বলবে, ’’ইয়াহ্ দীকুমুল্ল-হু ওয়া ইউসলিহু বা-লাকুম’’ অর্থাৎ- আল্লাহ তোমাকে সঠিক পথপ্রদর্শন করুন এবং তোমার অবস্থা ভালো করুন! (তিরমিযী ও দারিমী)[1]

وَعَن أبي أَيُّوب أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِذا عطسَ أحدكُم فلْيقلْ: الحمدُ لله عَلَى كُلِّ حَالٍ وَلْيَقُلِ الَّذِي يَرُدُّ عَلَيْهِ: يَرْحَمك الله وَليقل هُوَ: يهديكم وَيصْلح بالكم رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ والدارمي

وعن ابي ايوب ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال اذا عطس احدكم فليقل الحمد لله على كل حال وليقل الذي يرد عليه يرحمك الله وليقل هو يهديكم ويصلح بالكم رواه الترمذي والدارمي

ব্যাখ্যাঃ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উক্তি (وَيصْلح بالكم) উল্লেখিত বাক্যোংশ بال শব্দটি ৩টি অর্থে ব্যবহার হতে পারে।

১. কলব বা অন্তর অর্থে হতে পারে। ২. স্বচ্ছল জীবন যাপন হতে পারে। ৩. স্থান বা অবস্থা, অত্র হাদীসে তৃতীয় অর্থে ব্যবহার হওয়া অধিক প্রযোজ্য। ইমাম নাবাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেনঃ হাঁচিদাতা ‘‘আলহামদুলিল্লা-হ’’ এর চেয়ে বেশি করে শব্দ যোগ করে বলতে পারে। যেমন- (اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ عَلٰى كُلِّ حَالٍ) ‘‘আল-হামদু লিল্লাহি ‘আলা- কুল্লি হা-ল’’। শ্রোতাগণ বলবেন يرحمك الله ‘‘ইয়ারহামুকাল্ল-হ’’ অথবা يرحكم الله ‘‘ইয়ারহাকুমুল্ল-হ’’। এগুলো সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত রয়েছে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৫: শিষ্টাচার (كتاب الآداب)

পরিচ্ছেদঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - হাঁচি দেয়া এবং হাই তোলা

৪৭৪০-[৯] আবূ মূসা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইয়াহূদীগণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকটে ইচ্ছা করে এ উদ্দেশে হাঁচি দিত, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের হাঁচির জবাবে ’’ইয়াহদীকুমুল্ল-হু ওয়া ইউসলিহু বা-লাকুম’’ অর্থাৎ- ’’আল্লাহ তা’আলা তোমাদেরকে হিদায়াত করুন’’ এবং তোমাদের অবস্থা ভালো করুন’’ বলেন। (তিরমিযী ও আবূ দাঊদ)[1]

وَعَنْ أَبِي مُوسَى قَالَ: كَانَ الْيَهُودُ يَتَعَاطَسُونَ عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَرْجُونَ أَنْ يَقُولَ لَهُمْ: يَرْحَمُكُمُ اللَّهُ فَيَقُولُ: «يَهْدِيكُمُ اللَّهُ وَيُصْلِحُ بَالَكُمْ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ

وعن ابي موسى قال كان اليهود يتعاطسون عند النبي صلى الله عليه وسلم يرجون ان يقول لهم يرحمكم الله فيقول يهديكم الله ويصلح بالكم رواه الترمذي وابو داود

ব্যাখ্যাঃ অত্র হাদীস দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট কিছু সংখ্যক ইয়াহূদী উপস্থিত হয়ে তারা ইচ্ছা করে হাঁচি দিত। এজন্য যে, তারা আশা করত যেন রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের জন্য রহমাতের দু‘আ করেন। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের হাঁচির জবাবে দু‘আ করেছেন ‘‘ইয়াহদীকুমুল্ল-হু ওয়া ইউসলিহু বা-লাকুম’’ (আল্লাহ তা‘আলা তোমাদেরকে হিদায়াত দান করুক ও তোমাদের অবস্থা ভালো করুক)। তাদের জন্য এরূপ দু‘আ এজন্য করেছেন যাতে তারা কুফরী ধ্যান-ধারণা ও মতাদর্শ হতে ইসলামের দিকে প্রত্যাবর্তন করে। তাদের জন্য (يَرْحَمُكُمُ اللهُ) ‘‘ইয়ারহামুকুমুল্ল-হ’’ বলেননি, কেননা রহমত শুধু মু’মিনদের জন্য নির্দিষ্ট। ‘আল্লামা ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেনঃ সম্ভবত তারা সত্য জেনে ছিল কিন্তু তাদেরকে ইসলাম গ্রহণ করা হতে বাধা প্রদান করেছিল তাদের অন্ধ অনুসরণ এবং তাদের নেতৃত্বের ভালোবাসা। সম্ভবত তাঁরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে আশা করেছিল যেন রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের জন্য রহমত রহম করার জন্য দু‘আ করেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের জন্য রহম করার জন্য দু‘আ করেনি বরং হিদায়াতের জন্যই দু‘আ করেছেন। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৫: শিষ্টাচার (كتاب الآداب)

পরিচ্ছেদঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - হাঁচি দেয়া এবং হাই তোলা

৪৭৪১-[১০] হিলাল ইবনু ইয়াসাফ (রহিমাহুল্লাহ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমরা সালিম ইবনু ’উবায়দ (রাঃ)-এর সঙ্গে ছিলাম। জনতার মধ্য হতে জনৈক ব্যক্তি হাঁচি দিলো এবং (’আলহামদুলিল্লা-হ’র পরিবর্তে) ’’আসসালা-মু ’আলাইকুম’’ বলল (এ ধারণায় যে, হয়তো বা এটাও জায়িয আছে)। তখন সালিম(রাঃ) তার জবাবে বললেনঃ ’’তোমার ওপর এবং তোমার মায়ের ওপর সালাম।’’ লোকটি এতে মনে ব্যথা পেল। তখন সালিম(রাঃ) বললেনঃ আমি তো এটা আমার পক্ষ হতে বলিনি; বরং এটা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন বলেছিলেন, যখন এক ব্যক্তি তাঁর সম্মুখে হাঁচি দিলো এবং বলল : ’’আসসালা-মু ’আলাইকুম’’, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ’’তোমার ওপর এবং তোমার মায়ের উপর সালাম।’’ যখন তোমাদের কারো হাঁচি আসে, সে যেন ’’আলহামদু লিল্লা-হি রব্বিল ’আ-লামীন’’ বলে এবং যে তার জবাব দেয়, সে যেন ’’ইয়ারহামুকাল্ল-হ’’ বলে এবং হাঁচিদাতা যেন তার জবাবে ’’ইয়াগফিরুল্ল-হু লী ওয়া লাকুম’’ (অর্থাৎ- আল্লাহ তা’আলা তোমাকে ও আমাকে ক্ষমা করুন) বলে। (তিরমিযী ও আবূ দাঊদ)[1]

وَعَن
هلالِ بن يسَاف قَالَ: كُنَّا مَعَ سَالِمِ بْنِ عُبَيْدٍ فَعَطَسَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ فَقَالَ: السَّلَامُ عَلَيْكُمْ. فَقَالَ لَهُ سَالِمٌ: وَعَلَيْكَ وَعَلَى أُمِّكَ. فَكَأَنَّ الرَّجُلَ وَجَدَ فِي نَفْسِهِ فَقَالَ: أَمَا إِنِّي لَمْ أَقُلْ إِلَّا مَا قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذْ عَطَسَ رَجُلٌ عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: السَّلَامُ عَلَيْكُمْ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: عَلَيْكَ وَعَلَى أُمِّكَ إِذَا عَطَسَ أَحَدُكُمْ فَلْيَقُلْ: الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ وَلْيَقُلْ لَهُ مَنْ يَرُدُّ عَلَيْهِ: يرحمكَ اللَّهُ وَليقل: يغْفر لي وَلكم رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَأَبُو دَاوُد

وعنهلال بن يساف قال كنا مع سالم بن عبيد فعطس رجل من القوم فقال السلام عليكم فقال له سالم وعليك وعلى امك فكان الرجل وجد في نفسه فقال اما اني لم اقل الا ما قال النبي صلى الله عليه وسلم اذ عطس رجل عند النبي صلى الله عليه وسلم فقال السلام عليكم فقال النبي صلى الله عليه وسلم عليك وعلى امك اذا عطس احدكم فليقل الحمد لله رب العالمين وليقل له من يرد عليه يرحمك الله وليقل يغفر لي ولكم رواه الترمذي وابو داود

ব্যাখ্যাঃ (وَعَلَيْكَ وَعَلٰى أُمِّكَ) এর মর্মার্থ : কোন এক ব্যক্তি হাঁচির সময় ‘‘আসসালা-মু ‘আলাইকুম’’ বললে সালিম ইবনু ‘উবায়দ  তার জবাবে বললেন, ‘‘ওয়া ‘আলায়কা ওয়া ‘আলা- উম্মিকা’’ অর্থাৎ তোমার ওপর ও তোমার মায়ের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক। এ কথাটি আপাতদৃষ্টিতে তিরস্কারমূলক হলেও তা প্রকৃতপক্ষ সালিম এর উক্তি ছিল না। ইবনু মালিক (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেনঃ সম্ভাবনা রয়েছে সালিম ‘আলহামদুলিল্লা-হ’-এর পরিবর্তে ‘‘আসসালা-মু ‘আলাইকুম’’ বলেছেন। আরো সম্ভাবনা রয়েছে যে, সে ভুল করে ‘আলহামদুলিল্লা-হ’-এর পরিবর্তে ‘‘আসসালা-মু ‘আলাইকুম’’ বলেছেন।

ইমাম নাবাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেনঃ হাঁচিদাতা যখন ‘আলহামদুলিল্লা-হ’ ছাড়া অন্য কোন শব্দ দিয়ে বলবে তখন সে তার জবাব পাওয়ার উপযুক্ত নয়। কোন ব্যক্তি যদি হাঁচির সময় ‘আলহামদুলিল্লা-হ’ বা ‘‘আলহামদুলিল্লা-হি রব্বিল ‘আ-লামীন’’ বলে। তখন তার উত্তরে ‘‘ইয়ারহামুকাল্ল-হ’’ বলবে।

অতঃপর হাঁচিদাতা তার উত্তরে পুনরায় ‘‘ইয়াহদীকুমুল্ল-হু ওয়া ইউসলিহু বা-লাকুম’’ বা ‘‘ইয়াগফিরুল্ল-হু লী ওয়া লাকুম’’ বলবে। এছাড়া ‘‘আসসালা-মু ‘আলাইকুম’’ অথবা অন্য কোন বাক্য ব্যবহার করা উচিত নয়। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৫: শিষ্টাচার (كتاب الآداب)

পরিচ্ছেদঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - হাঁচি দেয়া এবং হাই তোলা

৪৭৪২-[১১] ’উবায়দ ইবনু রিফা’আহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ হাঁচিদাতার হাঁচির জবাব তিনবার (পর্যন্ত) দাও। তারপরে যদি আরো হাঁচি দেয়, তবে তোমার ইচ্ছা; জবাব দেবে অথবা দেবে না। [আবূ দাঊদ ও তিরমিযী। আর ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ এ হাদীসটি গরীব।][1]

وَعَن عبيد
بن رِفَاعَة عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «شَمِّتِ الْعَاطِسَ ثَلَاثًا فَإِنْ زَادَ فَشَمِّتْهُ وَإِنْ شِئْتَ فَلَا» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيب

وعن عبيدبن رفاعة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال شمت العاطس ثلاثا فان زاد فشمته وان شىت فلا رواه ابو داود والترمذي وقال هذا حديث غريب

ব্যাখ্যাঃ অত্র হাদীসের মাধ্যমে মুসলিমদের শিক্ষা দেয়া হয়েছে এক বৈঠকে যদি কোন ব্যক্তি একাধিকবার হাঁচি দেয় তাহলে শ্রোতার করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে হাঁচির জবাব দেয়া ওয়াজিব যা প্রত্যেক মুসলিমের পালন করা আবশ্যক। কিন্তু এ ব্যাপারে সংখ্যা নির্ধারিত হয়েছে। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা মুসলিম ভাইয়ের তিনবার হাঁচির জবাব দাও। তবে একই ব্যক্তি একই বৈঠকে যদি তিনবারের বেশি হাঁচি দেয়, তখন জবাব দেয়া শ্রোতার ইচ্ছাধীন হয়ে যায়। শ্রোতা ইচ্ছা করলে জবাব দিতেও পারে আবার জবাব নাও দিতে পারে। তবে তিনবারের বেশি হাঁচি হলে জবাব দেয়া মুস্তাহাব। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৫: শিষ্টাচার (كتاب الآداب)

পরিচ্ছেদঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - হাঁচি দেয়া এবং হাই তোলা

৪৭৪৩-[১২] আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তুমি তোমার মুসলিম ভাইয়ের হাঁচির জবাব তিনবার পর্যন্ত দাও। এর চেয়ে যদি বেশি হাঁচি দেয়, তবে মনে করতে হবে যে, এটা তার সর্দি-কফের ব্যাধি। (আবূ দাঊদ)[1]

রাবী বলেনঃ আমি যতটুকু জানি যে, আবূ হুরায়রা(রাঃ) এ হাদীসটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে মারফূ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

وَعَن أبي
هريرةَ قَالَ: «شَمِّتْ أَخَاكَ ثَلَاثًا فَإِنْ زَادَ فَهُوَ زُكَامٌ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَقَالَ: لَا أَعْلَمُهُ إِلَّا أَنَّهُ رَفَعَ الْحَدِيثَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

وعن ابيهريرة قال شمت اخاك ثلاثا فان زاد فهو زكام رواه ابو داود وقال لا اعلمه الا انه رفع الحديث الى النبي صلى الله عليه وسلم

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৫: শিষ্টাচার (كتاب الآداب)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৬ পর্যন্ত, সর্বমোট ৬ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে