৪৭৪১

পরিচ্ছেদঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - হাঁচি দেয়া এবং হাই তোলা

৪৭৪১-[১০] হিলাল ইবনু ইয়াসাফ (রহিমাহুল্লাহ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমরা সালিম ইবনু ’উবায়দ (রাঃ)-এর সঙ্গে ছিলাম। জনতার মধ্য হতে জনৈক ব্যক্তি হাঁচি দিলো এবং (’আলহামদুলিল্লা-হ’র পরিবর্তে) ’’আসসালা-মু ’আলাইকুম’’ বলল (এ ধারণায় যে, হয়তো বা এটাও জায়িয আছে)। তখন সালিম(রাঃ) তার জবাবে বললেনঃ ’’তোমার ওপর এবং তোমার মায়ের ওপর সালাম।’’ লোকটি এতে মনে ব্যথা পেল। তখন সালিম(রাঃ) বললেনঃ আমি তো এটা আমার পক্ষ হতে বলিনি; বরং এটা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন বলেছিলেন, যখন এক ব্যক্তি তাঁর সম্মুখে হাঁচি দিলো এবং বলল : ’’আসসালা-মু ’আলাইকুম’’, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ’’তোমার ওপর এবং তোমার মায়ের উপর সালাম।’’ যখন তোমাদের কারো হাঁচি আসে, সে যেন ’’আলহামদু লিল্লা-হি রব্বিল ’আ-লামীন’’ বলে এবং যে তার জবাব দেয়, সে যেন ’’ইয়ারহামুকাল্ল-হ’’ বলে এবং হাঁচিদাতা যেন তার জবাবে ’’ইয়াগফিরুল্ল-হু লী ওয়া লাকুম’’ (অর্থাৎ- আল্লাহ তা’আলা তোমাকে ও আমাকে ক্ষমা করুন) বলে। (তিরমিযী ও আবূ দাঊদ)[1]

وَعَن
هلالِ بن يسَاف قَالَ: كُنَّا مَعَ سَالِمِ بْنِ عُبَيْدٍ فَعَطَسَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ فَقَالَ: السَّلَامُ عَلَيْكُمْ. فَقَالَ لَهُ سَالِمٌ: وَعَلَيْكَ وَعَلَى أُمِّكَ. فَكَأَنَّ الرَّجُلَ وَجَدَ فِي نَفْسِهِ فَقَالَ: أَمَا إِنِّي لَمْ أَقُلْ إِلَّا مَا قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذْ عَطَسَ رَجُلٌ عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: السَّلَامُ عَلَيْكُمْ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: عَلَيْكَ وَعَلَى أُمِّكَ إِذَا عَطَسَ أَحَدُكُمْ فَلْيَقُلْ: الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ وَلْيَقُلْ لَهُ مَنْ يَرُدُّ عَلَيْهِ: يرحمكَ اللَّهُ وَليقل: يغْفر لي وَلكم رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَأَبُو دَاوُد

وعنهلال بن يساف قال كنا مع سالم بن عبيد فعطس رجل من القوم فقال السلام عليكم فقال له سالم وعليك وعلى امك فكان الرجل وجد في نفسه فقال اما اني لم اقل الا ما قال النبي صلى الله عليه وسلم اذ عطس رجل عند النبي صلى الله عليه وسلم فقال السلام عليكم فقال النبي صلى الله عليه وسلم عليك وعلى امك اذا عطس احدكم فليقل الحمد لله رب العالمين وليقل له من يرد عليه يرحمك الله وليقل يغفر لي ولكم رواه الترمذي وابو داود

ব্যাখ্যাঃ (وَعَلَيْكَ وَعَلٰى أُمِّكَ) এর মর্মার্থ : কোন এক ব্যক্তি হাঁচির সময় ‘‘আসসালা-মু ‘আলাইকুম’’ বললে সালিম ইবনু ‘উবায়দ  তার জবাবে বললেন, ‘‘ওয়া ‘আলায়কা ওয়া ‘আলা- উম্মিকা’’ অর্থাৎ তোমার ওপর ও তোমার মায়ের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক। এ কথাটি আপাতদৃষ্টিতে তিরস্কারমূলক হলেও তা প্রকৃতপক্ষ সালিম এর উক্তি ছিল না। ইবনু মালিক (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেনঃ সম্ভাবনা রয়েছে সালিম ‘আলহামদুলিল্লা-হ’-এর পরিবর্তে ‘‘আসসালা-মু ‘আলাইকুম’’ বলেছেন। আরো সম্ভাবনা রয়েছে যে, সে ভুল করে ‘আলহামদুলিল্লা-হ’-এর পরিবর্তে ‘‘আসসালা-মু ‘আলাইকুম’’ বলেছেন।

ইমাম নাবাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেনঃ হাঁচিদাতা যখন ‘আলহামদুলিল্লা-হ’ ছাড়া অন্য কোন শব্দ দিয়ে বলবে তখন সে তার জবাব পাওয়ার উপযুক্ত নয়। কোন ব্যক্তি যদি হাঁচির সময় ‘আলহামদুলিল্লা-হ’ বা ‘‘আলহামদুলিল্লা-হি রব্বিল ‘আ-লামীন’’ বলে। তখন তার উত্তরে ‘‘ইয়ারহামুকাল্ল-হ’’ বলবে।

অতঃপর হাঁচিদাতা তার উত্তরে পুনরায় ‘‘ইয়াহদীকুমুল্ল-হু ওয়া ইউসলিহু বা-লাকুম’’ বা ‘‘ইয়াগফিরুল্ল-হু লী ওয়া লাকুম’’ বলবে। এছাড়া ‘‘আসসালা-মু ‘আলাইকুম’’ অথবা অন্য কোন বাক্য ব্যবহার করা উচিত নয়। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৫: শিষ্টাচার (كتاب الآداب)