বিশুদ্ধ মতানুসারে উমরা করা ওয়াজিব।[1] আর তা জীবনে একবার। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«الإِسْلاَمُ أَنْ تَشْهَدَ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللهِ وَأَنْ تُقِيمَ الصَّلاَةَ وَتُؤْتِيَ الزَّكَاةَ وَتَحُجَّ وَتَعْتَمِرَ وَتَغْتَسِلَ مِنَ الْجَنَابَةِ وَتُتِمَّ الْوُضُوءَ وَتَصُومَ رَمَضَانَ».

‘ইসলাম হচ্ছে তোমার সাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল; সালাত কায়েম করা; যাকাত প্রদান করা; হজ করা ও উমরা করা; নাপাকি থেকে পবিত্র হওয়ার গোসল করা; পূর্ণরূপে উযু করা এবং রমযানের সিয়াম পালন করা।’[2]

আয়েশা রা. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট জিজ্ঞাসা করলেন, মহিলাদের কি জিহাদ আছে? উত্তরে তিনি বললেন,

«نَعَمْ ، عَلَيْهِنَّ جِهَادٌ ، لاَ قِتَالَ فِيهِ : الْحَجُّ وَالْعُمْرَةُ».

‘হ্যাঁ, তাদেরও জিহাদ[3] আছে, তাতে কোন লড়াই নেই। তা হলো, হজ ও উমরা।’[4]

ইবন উমর রা. বলেন,

لَيْسَ مِنْ أَحَدٍ إِلاَّ وَعَلَيْهِ حَجَّةٌ وَعُمْرَةٌ وَاجِبَتَانِ لاَ بُدَّ مِنْهُمَا فَمَنْ زَادَ بَعْدَ ذَلِكَ خَيْرٌ وَتَطَوُّعٌ.

‘প্রত্যেকের ওপর একবার হজ ও একবার উমরা ওয়াজিব,[5] যা অবশ্যই আদায় করতে হবে। যে এরপর অতিরিক্ত করবে, তা হবে উত্তম ও নফল।’[6]

জাবের রা. বলেন,

لَيْسَ مِنْ خَلْقِ اللَّهِ أَحَدٌ إِلاَّ وَعَلَيْهِ عُمْرَةٌ وَاجِبَةٌ.

‘আল্লাহর প্রতিটি মাখলূক (সামর্থবান মানুষ)-এর ওপর অবশ্যই উমরা ওয়াজিব।’[7]

ইবন আব্বাস রা. বলেন,

الْحَجُّ وَالْعُمْرَة وَاجِبَتَانِ.

হজ ও উমরা উভয়টা ওয়াজিব।’[8]

[1]. ইমাম আবূ হানীফা রহ.-এর মতে উমরা করা সুন্নত। প্রমাণ, জাবের রা. থেকে বর্ণিত হাদীস : উমরা করা ওয়াজিব কি-না রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। উত্তরে তিনি বলেছেন, لاَ وَأَنْ تَعْتَمِرَ خَيْرٌ لَكَ ‘না, তবে যদি উমরা করো তা হবে তোমার জন্য উত্তম।’ উভয়পক্ষের দলীল-প্রমাণ পর্যালোচনা করলে যারা ওয়াজিব বলেছেন তাদের মতই প্রাধান্যযোগ্য বলে মনে হয়।

[2]. ইবন খুযাইমা : ৩০৬৫; ইবনে হিববান : ১৭৩।

[3]. জিহাদ খুবই কষ্টসাধ্য আমল। মহিলাদের জন্য হজ (পুরুষদের তুলনায়) অধিক কষ্টসাধ্য কাজ। সেহেতু তা মহিলাদের জিহাদ। মহিলাদের অনেক প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়। তাছাড়া শারীরিকভাবেও অনেক কাজ কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়া আরো অনেক ব্যাখ্যা রয়েছে।

[4]. মুসনাদে আহমদ : ২২২৫২; ইবন মাজাহ্‌হ : ১০৯২; ইবন খুযাইমা : ৩০৪৭।

[5]. সুন্নাহের পরিভাষায় ফরয ও ওয়াজিব উভয়টির জন্য ওয়াজিব শব্দ ব্যবহার করা হয়।

[6]. ইবন খুযাইমাহ : ৩০৬৬; হাকেম : ২৩৭১; বুখারী, তা‘লিকাহ।

[7]. ইবন খুযাইমা : ৩০৭৬।

[8]. মুহাল্লা : ৫/৮।