হজ সফরে সহজ গাইড হজ মুহাম্মাদ মোশফিকুর রহমান ১ টি
  • এ দিনের মূল কাজ হলো সূর্যোদয়ের পর মক্কা থেকে হজের ইহরাম বেঁধে মিনায় গিয়ে তাবুতে দিবা-রাত্রি যাপন করা ও পরবর্তী পাঁচ ওয়াক্ত সালাত মিনায় আদায় করা।
  • ৮ যিলহজ ইহরাম বাঁধার আগে আপনি আপনার ব্যাগ গুছিয়ে নিন। ছোট একটি ব্যাগ নেবেন যাতে সহজেই ব্যাগটি বহন করতে পারেন। কারণ এ ব্যাগ নিয়ে কয়েক মাইল হাঁটতেও হতে পারে। আপনি কিছু শুকনো খাবার, একটি বিছানার চাদর, বায়ু বালিশ, প্লেট-গ্লাস, এক সেট ইহরামের কাপড়, সাবান, তোয়ালে, টয়লেট পেপার, কাপড় ঝোলানোর হ্যাঙার, পানির বোতল, দুই সেট সাধারণ পোশাক, কুরআন শরীফ ও কিছু বই সঙ্গে নিতে পারেন। মূল্যবান জিনিসপত্র ও অতিরিক্ত টাকা-পয়সা সাবধানে ঘরে রেখে তালা দিয়ে যান অথবা সৌদি মু‘আল্লিম অফিসে জমা দিয়ে রসিদ নিয়ে রাখুন।
  • রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পালনীয় নিয়ম অনুযায়ী সুন্নাহ হলো ৮ যিলহজ মক্কায় ফজরের সালাত আদায় করার পর সকালে মিনার উদ্দেশ্যে যাত্রা করা। কিন্তু বর্তমানে যদি ২৫-৩০ লক্ষ হজযাত্রী সকাল বেলায় ৮-১০ হাজার বাস গাড়ি নিয়ে ৭-৮ কিমি রাস্তা যাওয়ার চেষ্টা করেন তবে কেমন অচলাবস্থার সৃষ্টি হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়।
  • তাই এখন সৌদি মু‘আল্লিমগণ ৮ যিলহজ মধ্যরাত হতেই হজযাত্রীদের মিনায় নিয়ে যাওয়া শুরু করেন। এতে হজের কোনো ক্ষতি হবে না। তাই আপনি জেনে নিন আপনাকে কখন মিনায় নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন আপনার এজেন্সি ও সৌদি মু‘আল্লিম। সে অনুযায়ী আপনি ইহরাম বাঁধার প্রস্তুতি নিন। সাধারণত যাত্রা শুরু করার ২-৩ ঘন্টা আগে ইহরাম বাঁধার প্রস্তুতি শুরু করা উত্তম।
  • ৮ যিলহজ ইহরামের কাপড় পরিধানের পূর্বে সাধারণ পরিচ্ছন্নতার কাজ (যদি কুরবানী করার ইচ্ছা না থাকে তবে) নখ কাটা, লজ্জাস্থানের চুল পরিস্কার, গোঁফ ছোট করা সেরে নিন। তবে দাঁড়ি ও চুল কাটবেন না। পরিচ্ছন্নতার কাজগুলো করা মুস্তাহাব।[1]
  • এরপর গোসল করা উত্তম, যদি গোসল করা সম্ভব না হয় তাহলে অবশ্যই অযু করতে হবে। ঋতুবর্তী মহিলারা গোসল করে সাধারণ কাপড় পরে নিবেন এবং হজ এর সকল বিধি-বিধান পালন করবেন, তবে ঋতু শেষ না হওয়া পর্যন্ত মসজিদে হারামে প্রবেশ করবেন না এবং সালাত আদায় করবেন না। ঋতু শেষ হলে তাওয়াফ করে নিবেন ও সালাত আদায় করবেন।[2]
  • পুরুষরা ইহরামের কাপড় পরার আগে চুলে তেল বা ‘তালবিদ’ (কোনো কিছু দিয়ে চুল জমাট করে রাখা; যাতে তা না উড়ে, সুতরাং তালবিদ) দিতে পারেন এবং শরীরে, মাথায় ও দাঁড়িতে সুগন্ধী ব্যবহার করতে পারেন; তবে ইহরাম বাঁধার পর পারবেন না। সুগন্ধী যেন আবার ইহরামের কাপড়ে না লাগে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। লেগে গেলে তা ধুয়ে ফেলবেন। মহিলারা কখনই কোনো অবস্থাতেই সুগন্ধী ব্যবহার করবেন না। মহিলাদের সুগন্ধী ব্যবহার করা হারাম।[3]
  • পুরুষরা ইহরামের কাপড় সুবিধা মতো উপায়ে পরতে পারেন; তবে এমনভাবে পরবেন যাতে নাভির উপর থেকে হাটুর নিচ পর্যন্ত আবৃত হয়ে যায় এবং ইহরামের কাপড় দিয়ে কাঁধ ও শরীর আবৃত থাকে। মহিলারা মুখমণ্ডল এবং হাতের কব্জি খোলা রাখবেন, নেকাব দ্বারা মুখমণ্ডল সবসময় ঢাকা রাখা যাবে না। তবে না-মাহরাম পুরুষদের সামনে বা মাঝে গেলে তখন মুখমণ্ডল আবৃত করবেন।
  • উত্তম হলো কোনো ফরয সালাতের পূর্বে ইহরামের কাপড় পরা ও সালাত আদায় করা এবং তারপর ইহরাম করা। আর কোনো ফরয সালাতের সময় না হলে ইহরামের কাপড় পড়ে তাহিয়্যাতুল ওযুর ২ রাকাত সালাত পড়া। সালাতের পর ইহরাম করা মুস্তাহাব। যদি কোনো ফরয সালাতের পর ইহরাম করা হয়, তাহলে স্বতন্ত্র সালাতের প্রয়োজন নেই। অন্য সময় ইহরাম করলে ২ রাকাত সালাত তাহিয়াতুল অযুর নিয়তে আদায় করে নিবেন।
  • মক্কায় আপনার হোটেল অথবা বাসা থেকে ইহরামের কাপড় পরবেন এবং এখান থেকেই আপনি ইহরাম বাঁধবেন। এমনটি করা ওয়াজিব। ইহরাম করার জন্য আপনাকে এখন কোনো মীকাতে যেতে হবে না। সৌদি স্থানীয় লোকেরাও তাদের নিজ নিজ আবাসস্থল থেকে হজের জন্য ইহরাম বাঁধবেন। শুধুমাত্র যারা মীকাতে বাইরে থেকে আসবেন তারা মীকাত থেকে হজের নিয়ত ও ইহরাম বেঁধে প্রবেশ করবেন।[4]
  • এখন যেহেতু আপনি ইহরামের কাপড় পরে ফেলেছেন এবং সালাতও আদায় করেছেন সেহেতু এখন আপনি হজের নিয়ত করতে পারেন অর্থাৎ ইহরাম করতে পারেন। এমনকি ঋতুবর্তী মহিলারাও হজের নিয়ত করবেন।
  • আপনি বলুন: “লাববাইকা হাজ্জাহ’’

‘‘আমি হজ করার জন্য হাযির’’।

  • এবার স্বশব্দে তাওহীদ সম্বলিত তালবিয়াহ পাঠ শুরু করুন এবং জামরাতুল ‘আকা‘বায় কংকর নিক্ষেপের আগ পর্যন্ত এ তালবিয়াহ পাঠ চলতে থাকবে।

لَبَّيْكَ اَللهم لَبَّيْكَ، لَبَّيْكَ لَا شَرِيْكَ لَكَ لَبَّيْكَ إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ، لَا شَرِيْكَ لَكَ

‘‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাববাইকা লা শারিকা লাকা লাববায়িক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নিয়মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক’’।

‘‘আমি হাযির, হে আল্লাহ! আমি হাযির। আমি হাযির, তোমার কোনো শরীক নেই, আমি হাযির”।

নিশ্চয় সকল প্রশংসা ও নি‘আমত তোমারই এবং রাজত্বও তোমারই, তোমার কোনো শরীক নেই”।[5]

  • হজ সম্পন্ন করতে না পারার ভয় থাকলে (যদি কোনো প্রতিবন্ধকতা, বাধা অথবা অসুস্থতার কারণে না পারেন) তবে এ দো‘আ পাঠ করবেন:

فَإِنْ حَبَسَنِيْ حَابِسٌ فَمَحِلِّيْ حَيْثُ حَبَسْتَنِيْ

‘‘ফাইন হাবাসানী হা-বিসুন, ফা মাহিল্লী হায়ছু হাবাসতানি’’।

‘‘যদি কোনো প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হই, তাহলে যেখানে তুমি আমাকে

বাধা দিবে, সেখানেই আমার হালাল হওয়ার স্থান হবে”।[6]

  • তালবিয়াহ একটু উচু আওয়াজে পাঠ করা উত্তম। তবে তালবিয়াহ খুব উচ্চস্বরে অথবা সমস্বরে পাঠ করবেন না যা অন্যদের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এমনভাবে তালবিয়াহ পাঠ করাও সুন্নাত নয়, বরং বিদ‘আত। আর মহিলারা তালবিয়াহ পাঠ করবেন কোমল স্বরে অথবা মনে মনে। এখন আপনার হজের নিয়ত করা ও ইহরাম করা হয়ে গেছে; এ ইহরাম করার কাজটি ছিল ফরয।
  • মনে রাখবেন এখন আপনি ইহরাম অবস্থায় আছেন। এখন আপনার ওপর ইহরামের সকল বিধি-নিষেধ প্রযোজ্য। ইহরাম অবস্থায় কি কি কাজ অনুমোদিত আর কি কি নিষিদ্ধ তা পৃষ্ঠা----- থেকে দেখে মনে রাখুন।
  • ইহরাম করার পরে ইহরামকে কেন্দ্র করে কোনো নির্দিষ্ট সালাত নেই। ইহরাম করার পরে ৮ যিলহজ কা‘বা শরীফ তাওয়াফ বা সাফা-মারওয়ায় সা‘ঈ করার ব্যাপারেও কোনো নির্দেশনা হাদীসে কোথাও পাওয়া যায় না। তাই এমন অতিরিক্ত কিছু ভিত্তিহীন আমল নেকীর আশায় করতে যাওয়া ঠিক হবে না।
  • আপনার হজ এজেন্সি ইতিমধ্যেই মু‘আল্লিম অফিস থেকে মিনার তাবু কার্ড সংগ্রহ করে ফেলবেন ও আপনাদেরকে বুঝিয়ে দিবেন এবং আপনাদের সৌদি মু‘আল্লিম অফিস সবার মিনায় যাওয়ার জন্য পরিবহণের ব্যবস্থাও করবেন।
  • হজ সফর পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে একটি তথ্য আপনাদের জানিয়ে দিতে চাই যাতে আপনি এ সার্বিক ব্যবস্থাপনার বিষয়টি বুঝতে পারেন। হজের পূর্বে বাংলাদেশের বিভিন্ন হজ এজেন্সি বা দল হজের বিভিন্ন সেবা বিষয়ে চুক্তি করেন সৌদি সরকার কর্তৃক লাইসেন্সপ্রাপ্ত সৌদি আরবের বিভিন্ন সৌদি মু‘আল্লিম এর সাথে। আপনি হজে যাবেন একটি দল বা এজেন্সির সাথে, যার একজন গাইড আপনাদের সদা বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করবেন পুরো হজ সফর ধরে। কিন্তু এ হজ গাইড এর ক্ষমতা সীমাবদ্ধ। বাংলাদেশে অবস্থানকালে এ হজ গাইড তার নিজ দায়িত্বে পাসপোর্ট, ভিসা, বিমান টিকিট এর কাজ করেন। কিন্তু যখনই আপনি সৌদি আরবে যাবেন তখন এ হজ গাইড আবার সকল বিষয়ের ব্যবস্থাপনার জন্য নির্ভরশীল সৌদি মু‘আল্লিম এর উপর। আপনাদের বাস সার্ভিস, খাওয়া-দাওয়া, হোটেল, তাবু ইত্যাদি সৌদি মু‘আল্লিম এর ব্যবস্থাপনার ওপর নির্ভরশীল। এক একজন সৌদি মু‘আল্লিম আবার ৫/১০ টি দল ম্যানেজ করেন। তাই অনেক সময় আপনার গাইড তার দেওয়া বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেন না সৌদি মুআল্লিমের কারণে। যেমন উদাহরন: সৌদি মু‘আল্লিম আপনাদের হজ গাইডকে বলবেন, আপনার সকল হাজীদের প্রস্তুত হতে বলেন, মিনায় যাওয়ার বাস আসবে রাত ২টায়। এরপর দেখবেন ৫টা বেজে গেছে কিন্তু বাসের খবর নেই! আপনি দোষ দিবেন গাইডকে, কিন্তু গাইডের করার কিছু নেই। গাইড খুব জোর মু‘আল্লিমকে একটু তাগাদা দিতে পারেন, অনুরোধ করতে পারেন।
  • আপনি যখন হজ সফরের জন্য আপনার নিজ বাড়ি থেকে বের হচ্ছিলেন তখন আপনাকে কিন্তু ৩টি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস ব্যাগে নিতে বলা হয়েছিল! ধৈর্য, ত্যাগ ও ক্ষমা! আপনার হজকে সহজ করার জন্য এ ৩টি বিষয় প্রয়োগ করা খুব বেশি প্রয়োজন পড়বে। হজের সফরে বিভিন্ন চরিত্র ও মেজাজের লোকের সাথে একসাথে থাকতে হয় তাই অনেক সময় অনেক কথা ও কাজে মতপার্থক্য হয়। তাই রাগারাগি বা কথা কাটাকাটি না করে ধৈর্য্যের সাথে বনিবনা করে পার করতে হবে।
  • ৮ যিলহজ বাসযোগে আপনার দলসহ মিনার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন এবং আশা করা যায় ২-৩ ঘন্টার মধ্যেই তাবুতে পৌঁছে যাবেন। যানজটের কারণে মিনায় পৌঁছতে আপনাকে কিছুটা পথ হাঁটতেও হতে পারে। অনেকে পায়ে হেঁটে প্যডেস্ট্রিয়ান টানেলের (সুড়ঙ্গ পথ) রাস্তা দিয়ে মিনায় যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। যদি তাবু জামারাতের কাছাকাছি হয় ও সাথে পূর্বে হজ করা অভিজ্ঞতা সম্পন্ন লোক থাকে তবে তার সাথে পায়ে হেঁটে যেতে পারেন। তবে পুরোটা পথ পায়ে হেঁটে না যাওয়াই উত্তম, কারণ এতে আপনি পরিশ্রান্ত হয়ে পড়তে পারেন। রাস্তায় চলতে চলতে তালবিয়াহ পাঠ অব্যাহত রাখুন। সবসময় দলবদ্ধ হয়ে থাকার চেষ্টা করুন। এ সময়ই কিন্তু অনেক লোক দলছাড়া হয়ে হারিয়ে যান। তাই সাবধান থাকুন।
  • তাবু কার্ডের মাধ্যমে আপনার তাবুটি খুঁজে বের করুন। তাবুর ভিতরে গিয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম ও খাবার গ্রহণ করুন। তাবুর ভিতরে কুরআন তিলাওয়াত, তসবিহ তাহলিল, ইসতিগফার, দো‘আ, যিকিরের মাধ্যমে সময়কে কাজে লাগান। তালবিয়াহ পাঠ অব্যাহত রাখুন। মিনায় অবস্থান করা সাদা-সিধে জীবন যাপনের প্রতীক। মিনায় আজকে রাত্রিযাপন করা মুস্তাহাব বা সুন্নাত।
  • এখন পরবর্তী পাঁচ ওয়াক্ত সালাত (যোহর, আসর, মাগরিব, এশা ও ফজর) মিনাতেই আদায় করবেন। হজের সময় মিনা, আরাফা ও মুজদালিফায় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কার ভিতরের ও বাইরের লোকদের নিয়ে কসর করে সকল সালাত পড়েছেন। এক্ষেত্রে তিনি মুকিম ও মুসাফিরের মধ্যে কোনো পার্থক্য করেন নি অর্থাৎ মক্কার লোকদের চার রাকাত করে পড়তে বলেন নি। এমন কসর করে সালাত পড়া সুন্নাত। সকল চার রাকাত বিশিষ্ট ফরয সালাতসমূহকে দুই রাকাআতে সংক্ষিপ্ত করে পড়বেন মানে কসর করে পড়বেন (মাগরিব ও ফজর ব্যতীত)। কোনো সুন্নাত সালাত আদায়ের প্রয়োজনীয়তা নেই কসর অবস্থায়। তবে এ সালাত গুলো কাজা করে অথবা দুই ওয়াক্ত সালাতকে একত্রে জমা করে পড়া যাবে না। শুধুমাত্র ফজরের দুই রাকাত সুন্নাত এবং এশার পরে এক/তিন.. রাকাত বিতর সালাত আদায় করবেন।
  • তাবুর ভিতরে গ্রুপ জামাআত করা উত্তম অথবা একা একাও সালাত পড়তে পারেন। খাইফ মসজিদের কাছাকাছি তাবুর অবস্থান হলে মসজিদে গিয়ে জামা‘আতে সালাত আদায় করা সবচেয়ে উত্তম। মিনার খাইফ মসজিদ ঐতিহাসিক মসজিদ।

৯ যিলহজ সূর্যোদয় পর্যন্ত মিনায় অবস্থান করা সুন্নাত। তারপর আরাফার উদ্দেশ্যে যাত্রা করতে হবে। মিনায় অবস্থান করে সালাত আদায় করা, কুরআন তিলাওয়াত, তাসবীহ-তাহলিল, দো‘আ ও যিকির করা ছাড়া আর কোনো বিশেষ কাজ নেই। তাই তাবুর মধ্যে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে অথবা গল্পগুজব ও ঘুরাঘুরি না করে মিনার এ মূল্যবান সময়গুলোকে কাজে লাগানো উত্তম।

[1] সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৪৬৪

[2] মুসনাদে আহমদ, আবু দাউদ

[3] সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৬৩৫

[4] মুসনাদে আহমদ-৬/৪২১; সহীহ বুখারী ও মুসলিম

[5] সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৫৪৬০, ৫৯১৫; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১১৮৪

[6] মিশকাত, হাদীস নং ২৭১১