হিতোপদেশ ১৫/৩ বলছে: ‘‘সদাপ্রভুর চক্ষু সর্বস্থানেই আছে, তাহা অধম ও উত্তমদের প্রতি দৃষ্টি রাখে।’’ কিন্তু আদিপুস্তক ৩/৯ বলছে: ‘‘তাহাতে আদম ও তাঁহার স্ত্রী সদাপ্রভু ঈশ্বরের সম্মুখ হইতে উদ্যানস্থ বৃক্ষসমূহের মধ্যে লুকাইলেন। তখন সদাপ্রভু ঈশ্বর আদমকে ডাকিয়া কহিলেন, তুমি কোথায়?’’

তাহলে সদাপ্রভুর চক্ষু কিভাবে সর্বস্থানে সবার প্রতি দৃষ্টি রাখল? আদম ও তাঁর স্ত্রী যখন উদ্যানস্থ বৃক্ষসমূহের মধ্যে লুকালেন, তখন তিনি আদম কোথায় আছেন তা জানতে তাঁকে প্রশ্ন করতে বাধ্য হলেন।

২ বংশাবলি ১৬/৯ বলছে: ‘‘সদাপ্রভুর চক্ষু পৃথিবীর সর্বত্র ভ্রমণ করে।’’

কিন্তু আদিপুস্তক ১১/৫ বলছে: ‘‘পরে মনুষ্য-সন্তানেরা যে নগর ও উচ্চগৃহ নির্মাণ করিতেছিল তাহা দেখিতে সদাপ্রভু নামিয়া আসিলেন।’’

সদাপ্রভুর চক্ষু কিভাবে পৃথিবীর সর্বত্র ভ্রমণ করল! পৃথিবীতে মানুষদের নির্মাণকর্ম দেখতে তিনি নিচে নেমে আসতে বাধ্য হলেন!!

গীতসংহিতার ১৩৯/৩: ‘‘তুমিই আমার উপবেশন ও আমার উত্থান জানিতেছ, তুমি দূর হইতে আমার সঙ্কল্প বুঝিতেছ।’’ কিন্তু আদিপুস্তক ১৮/২০-২১: ‘‘পরে সদাপ্রভু কহিলেন, সদোম ও ঘমোরার ক্রন্দন অত্যধিক, এবং তাহাদের পাপ অতিশয় ভারী; আমি নিচে গিয়া দেখিব, আমার নিকটে আগত ক্রন্দনানুসারে তাহারা সর্বতোভাবে করিয়াছে কি না; যদি না করিয়া থাকে তাহা জানিব।’’

এখানে দেখুন! তিনি মানুষের সকল কর্ম ও চিন্তা অবগত! অথচ সদোম ও ঘমোরা বাসীদের যে ক্রন্দন তার নিকট পৌঁছাচ্ছে তাদের কর্ম তদ্রূপ কিনা তা জানার জন্য তাঁকে নিচে নেমে স্বচক্ষে দেখতে হল।

ঈশ্বরের সর্বব্যাপী জ্ঞান প্রসঙ্গে গীতসংহিতা ১৩৯/৬ বলছে: ‘‘এই জ্ঞান আমার নিকটে অতি আশ্চর্য, তাহা উচ্চ, আমার বোধের অগম্য।’’

কিন্তু যাত্রাপুস্তক ৩৩/৫: ‘‘তোমরা এখন আপন আপন গাত্র হইতে আভরণ দূর কর, তাহাতে জানিতে পারিব, তোমাদের বিষয়ে আমার কি করা কর্তব্য।’’

এখানে ইস্রায়েল সন্তানদের গায়ের পোশাক খুলে দেহ না দেখে ঈশ্বর জানতে পারলেন না যে, তাদের বিষয়ে কী করণীয়!!