৬. ১. ২৯. ৩. অপরিবর্তনীয়তা বনাম অস্থিরচিত্ততা

বাইবেলে বলা হয়েছে যে, ঈশ্বর তাঁর মন পরিবর্তন করেন না (গণনাপুস্তক ২৩/১৯-২০; যিশাইয় ১৫/২৯; যাকোব ১/১৭ ইত্যাদি)। কিন্তু এর বিপরীতে অন্যান্য স্থানে বলা হয়েছে যে, তিনি মন পরিবর্তন করেন (আদিপুস্তক ৬/৬; যাত্রাপুস্তক ৩২/১৪; গণনাপুস্তক ১৪/২০; ১ শমূয়েল ১৫/৩৫; ২ শমূয়েল ২৪/১৬... ইত্যাদি)।

ঈশ্বর বলছেন: ‘‘আমি মাবুদ, আমার পরিবর্তন নেই’’ (মালাখি ৩/৬)। অন্যত্র: ‘‘যাঁহাতে অবস্থান্তর কিমবা পরিবর্তনের ছায়া নাই।’’ (যাকোব ১/১৭)

কিন্তু বাইবেল বলছে, ঈশ্বর বাউরের পুত্র বালামকে আগন্তুকদের সাথে যেতে নির্দেশ দিলেন। এরপর তিনি যখন যাত্রা শুরু করলেন তখন ঈশ্বরই ক্রোধান্বিত হয়ে তাকে হত্যার জন্য ফেরেশতা পাঠালেন: ‘‘সেই রাতে আল্লাহ এসে বালামকে বললেন, এই লোকেরা যখন তোমাকে ডাকতে এসেছে তখন তুমি তাদের সংগে যাও, কিন্তু আমি তোমাকে যা বলব তুমি কেবল তাই করবে। পরদিন সকালে বালাম ঘুম থেকে উঠে তাঁর গাধীর উপর গদি চাপিয়ে মোয়াবীয় নেতাদের সংগে চললেন। কিন্তু তাঁকে যেতে দেখে আল্লাহ তাঁর উপর রেগে গেলেন।’’ (গণনা/শুমারী ২২/২০-২২, মো.-০৬)

 বড়ই অদ্ভুত কথা! আল্লাহ রাতে তাকে যেতে বললেন আর সকালে তাকে যেতে দেখে রাগ করলেন। এই কি ঈশ্বরের অপরিবর্তনীয়তার নমুনা?

সাধু পল পুরাতন নিয়মের বিধানগুলো পরিবর্তন ও বাতিল করেছেন।  ‘শনিবার’ পালনের নির্দেশ চিরস্থায়ী, চিরন্তন ও অপরিবর্তনীয় (আদিপুস্তক ২/১-৩; যাত্রাপুস্তক ২০/৮-১১; গণনা পুস্তক ১৫/৩২-৩৬; দ্বিতীয় বিবরণ ৫/১২-১৫)। কিন্তু খ্রিষ্টানরা শনিবারের পরিবর্তে রবিবারকে গ্রহণ করেছেন। ঐশ্বরিক বিধানের এরূপ পরিবর্তন কি ঈশ্বরের পরিবর্তনহীনতা ও অবস্থান্তরহীনতা প্রমাণ করে?