রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সম্মান ও ভালবাসার অংশ তাঁর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে ভালবাসা। তাঁর সাহাবীগণকে, তাঁর পরিবার ও বংশধরদেরকে, তাঁর উম্মাতকে, তাঁর একনিষ্ঠ অনুসারীদেরকে এবং তাঁর সুন্নাতের ধারক ও প্রচারকদেরকে তাঁর কারণে সম্মান করা ও ভালবাসা তাঁরই ভালবাসার প্রকাশ। বিশেষত তাঁর সাহাবী ও আহলূ বাইতের বিষয়টি কুরআন ও হাদীসে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

৩. ২. ১০. ১. আহলু বাইত

কুরআনের আলোকে আমরা দেখি যে, ইসলাম বিশ্বজনীন ধর্ম। এখানে কোনো বংশ, রক্ত, বর্ণ বা দেশের কোনো ‘পবিত্রতা’, ‘অলৌকিকত্ব’ বা বিশেষ অধিকার ঘোষণা করা হয় নি। হাদীসের শিক্ষাও অনরূপ। কুরআন কারীমে বংশ, বর্ণ বা দেশ নির্বিশেষে সকল সাহাবীর প্রশংসা করা হয়েছে তাঁদের কর্ম ও ত্যাগের কারণে, বংশ বা বর্ণের কারণে নয়।

আমরা ইতোপূর্বে দেখেছি যে, দীন পালন ও বুঝার ক্ষেত্রে কুরআন কারীমে সাহাবীগণকে আদর্শস্থানীয় বলে ঘোষণা করা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর বংশের মানুষেরাও সাহাবীগণের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। তাঁর প্রতি ঈমান, তাঁকে ভালবাসা, সাহায্য করা ইত্যাদি বিষয়ে তাঁর অগ্রণী ছিলেন। এছাড়া কুরআন কারীমে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর আত্মীয়তার ভালবাসা রক্ষা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন:

قُلْ لا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ أَجْرًا إِلا الْمَوَدَّةَ فِي الْقُرْبَى

‘‘বল, ‘আমি এর বিনিময়ে তোমাদের নিকট থেকে আত্মীয়তার সৌহার্দ্য ব্যতীত অন্য কোনো প্রতিদান চাই না।’’[1]

যাইদ ইবনু আরকাম (রা) বলেন : রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একদিন মক্কা ও মদীনার মধ্যবর্তী ‘খুম’ নামক স্থানে আমাদের মাঝে বক্তৃতা করলেন। তিনি আল্লাহর প্রশংসা ও গুণগান করলেন। এরপর তিনি ওয়ায করলেন ও উপদেশ প্রদান করলেন। অতঃপর তিনি বললেন:

أَمَّا بَعْدُ أَلا أَيُّهَا النَّاسُ فَإِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ يُوشِكُ أَنْ يَأْتِيَ رَسُولُ رَبِّي فَأُجِيبَ وَأَنَا تَارِكٌ فِيكُمْ ثَقَلَيْنِ أَوَّلُهُمَا كِتَابُ اللَّهِ فِيهِ الْهُدَى وَالنُّورُ فَخُذُوا بِكِتَابِ اللَّهِ وَاسْتَمْسِكُوا بِهِ ... ثُمَّ قَالَ وَأَهْلُ بَيْتِي أُذَكِّرُكُمُ اللَّهَ فِي أَهْلِ بَيْتِي... ثلاثا.

‘‘হে মানুষেরা, তোমরা মনোযোগ দিয়ে শোনো। আমি একজন মানুষ মাত্র। হয়ত শীঘ্রই আমার প্রভুর দূত এসে পড়বেন এবং আমি তার ডাকে সাড়া দিয়ে চলে যাব। আমি তোমাদের মধ্যে দুটি মহাগুরুত্বপূর্ণ বিষয় রেখে যাচ্ছি। প্রথমত আল্লাহর কিতাব, যার মধ্যে রয়েছে পথের দিশা ও আলো। তোমরা আল্লাহর কিতাবকে গ্রহণ করবে এবং দৃঢ়ভাবে ধারণ করবে। .... এরপর তিনি বললেন : ‘এবং আমার বাড়ির মানুষ বা পরিবার-পরিজন। আমি আমার পরিবার পরিজনের বিষয়ে তোমাদেরকে আল্লাহর কথা মনে রাখতে উপদেশ প্রদান করছি।’ এ কথা তিনি তিনবার বলেন।’’[2]

ইবনু আববাস (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন,

أَحِبُّوا اللَّهَ (لِمَا يَغْذُوكُمْ مِنْ نِعَمِهِ) وَأَحِبُّونِي (بِحُبِّ اللَّهِ) وَأَحِبُّوا أَهْلَ بَيْتِي (بِحُبِّي)

‘‘তোমরা আল্লাহকে ভালবাসবে কারণ তিনি তোমাদেরকে অগণিত নিয়ামত প্রদান করেন, এবং আল্লাহর ভালবাসায় আমাকে ভালবাসবে এবং আমার ভালবাসায় আমার বাড়ির মানুষদের (পরিবার, বংশধর ও আতমীয়দের) ভালবাসবে।’’[3]

৩. ২. ১০. ২. সাহাবীগণ

ইসলামের শত্রুগণ বাহ্যিক বিরোধিতা, যুদ্ধ ও প্রতিরোধের মাধ্যমে ইসলামের অগ্রযাত্রা রোধ করতে সক্ষম না হয়ে মুসলিম সেজে গোপনে ইসলামের মধ্যে বিভ্রান্তি ঢুকিয়ে ইসলামের অগ্রযাত্র রোধ করতে চেষ্টা করে। এ ছাড়া কোনো কোনো মুসলিম নিজের আবেগ তাড়িত উদ্দীপনায় অন্ধ হয়ে সাহাবীগণের মর্যাদা উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হয়। এভাবে মুসলিম উম্মাহর মধ্যে এ বিষয়ে অনেক বিভ্রান্তি জন্ম নেয়।

আমরা ইফতিরাক বা মুসলিম উম্মাহর ফিরকা ও দলাদলির বিষয়ে আলোচনার সময় দেখব যে, মুসলিম উম্মাহর প্রথম দুটি বিভক্তি ও বিভ্রান্তি- খারিজীগণের বিভক্তি ও শিয়াগণের বিভক্তি- ছিল এ বিষয় কেন্দ্রিক। খারিজীগণ কুরআন ও হাদীস বুঝার ক্ষেত্রে ও পালন করার ক্ষেত্রে সাহাবীগণের জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও মতামতের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করে। তার নিজেরা কুরআন পড়ে বা হাদীস পড়ে যা বুঝত তাই চূড়ান্ত ও সঠিক বুঝ বলে মনে করত এবং তাদের বুঝের বিপরীতে সাহাবীগণের বুঝকে বিভ্রান্তি ও কুফ্র বলে আখ্যায়িত করত।

অন্যদিকে শীয়াগণ ইহূদীদের ষড়যন্ত্রে বিভ্রান্ত হয়ে সাহাবীগণকে ইসলামের শত্রু বলে গণ্য করে। তারা নবী-পরিবারের ভালবাসাকে সাহাবীগণের ভালবাসার পরিপন্থী বলে গণ্য করে। এ বিষয়ে অগণিত মিথ্যা তারা প্রচার করে। গত কয়েক শতাব্দী যাবত পাশ্চাত্য প্রাচ্যবিদগণও সাহাবীগণের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেন। এ সকল প্রচারের একটিই উদ্দেশ্য, তা হলো ইসলামের মর্মমূলে আঘাত করা ও ইসলামের সৌধকে ভেঙ্গে ফেলা। কারণ সাহাবীগণের সততা প্রশ্নবিদ্ধ হলে ইসলামের সত্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যায়; কারণ তাদের মাধ্যমেই ইসলাম প্রচারিত হয়েছে।

আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের মূল ভিত্তিই রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সুন্নাত ও সাহাবীগণের জামা‘আত অনুসরণ করা। এ বিষয়ে আমরা কুরআন ও হাদীসের কিছু নির্দেশনা ইসলামী আকীদার উৎস অধ্যায়ে আলোচনা করেছি। ইফতিরাক বা বিভক্তি বিষয়ক অধ্যায়ে আমরা এ বিষয়ে আরো আলোচনা করব। এখানে সংক্ষেপে সাহাবীগণের বিষয়ে কুরআন-হাদীসের নির্দেশনা উল্লেখ করছি।

 (১) কুরআন কারীমে অনেক স্থানে সাহাবীগণের প্রশংসা ও তাদের ধার্মিকতার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। কয়েক স্থানে স্পষ্টত তাঁদের জান্নাতের সুসংবাদ প্রদান করা হয়েছে। এক স্থানে আল্লাহ বলেন:

لا يَسْتَوِي مِنْكُمْ مَنْ أَنْفَقَ مِنْ قَبْلِ الْفَتْحِ وَقَاتَلَ أُولَئِكَ أَعْظَمُ دَرَجَةً مِنَ الَّذِينَ أَنْفَقُوا مِنْ بَعْدُ وَقَاتَلُوا وَكُلا وَعَدَ اللَّهُ الْحُسْنَى وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ

‘‘তোমাদের মধ্যে যারা (মক্কা) বিজয়ের পূর্বে ব্যয় করেছে এবং সংগ্রাম করেছে তারা এবং পরবর্তীরা সমান নয়; তারা মর্যাদায় শ্রেষ্ঠ তাদের চেয়ে যারা পরবর্তীকালে ব্যয় করেছে এবং সংগ্রাম করেছে। তবে আল্লাহ উভয়কে কল্যাণের (জান্নাতের) প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’’[4]

রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সকল সাহাবীর ঢালাও প্রশংসা করে ও তাঁদের ধার্মিকতা, সততা ও বিশ্বস্ততার ঘোষণা দিয়ে মহান আল্লাহ বলেন:  

وَلَكِنَّ اللَّهَ حَبَّبَ إِلَيْكُمْ الإِيمَانَ وَزَيَّنَهُ فِي قُلُوبِكُمْ وَكَرَّهَ إِلَيْكُمْ الْكُفْرَ وَالْفُسُوقَ وَالْعِصْيَانَ أُوْلَئِكَ هُمْ الرَّاشِدُونَ

‘‘কিন্তু আল্লাহ তোমাদের নিকট ঈমানকে প্রিয় করেছেন এবং তাকে তোমাদের হৃদয়গ্রাহী করেছেন। তিনি কুফ্রী, পাপ ও অবাধ্যতাকে তোমাদের নিকট অপ্রিয় করেছেন। তারাই সৎপথ অবলম্বনকারী।’’[5]

(২) বিশেষত প্রথম অগ্রবর্তী মুহাজির ও আনসারগণের জন্য মহান আল্লাহ জান্নাত প্রস্ত্তত রেখেছেন বলে ঘোষণা করা হয়েছে। নিষ্ঠার সাথে তাঁদের অনুসরণ করাই অন্যদের জন্য জান্নাতের পথ বলে জানানো হয়েছে। প্রথম অধ্যায়ে আকীদার বিষয়ে সাহাবীগণের মতামতের গুরুত্ব আলোচনাকালে আমরা এ বিষয়ে কুরআনের আয়াত উল্লেখ করেছি। আমরা দেখেছি যে, এ বিষয়ে মহান আল্লাহ বলেছেন: ‘‘মুহাজির ও আনসারদিগের মধ্যে যারা প্রথম অগ্রগামী এবং যারা নিষ্ঠার সাথে তাদের অনুসরণ করেছেন, আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট। এবং তিনি তাদের জন্য প্রস্ত্তত করেছেন জান্নাত, যার নিম্নদেশে নদী প্রবাহিত, যেথায় তারা চিরস্থায়ী হবে। এ মহাসাফল্য।’’[6]

(৩) বাইয়াতুর রিদওয়ান ও তাবূক যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের জান্নাতের বিষয়ে সুস্পষ্ট সুসংবাদ প্রদান করা হয়েছে। আল্লাহ বলেন:

لَقَدْ رَضِيَ اللَّهُ عَنْ الْمُؤْمِنِينَ إِذْ يُبَايِعُونَكَ تَحْتَ الشَّجَرَةِ

‘‘মুমিনগণ যখন বৃক্ষতলে আপনার নিকট ‘বাইয়াত’ গ্রহণ করল, তখন আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হলেন।’’[7]

তাবূকের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল সাহাবীর প্রশংসায় মহান আল্লাহ বলেন:

لَكِنْ الرَّسُولُ وَالَّذِينَ آمَنُوا مَعَهُ جَاهَدُوا بِأَمْوَالِهِمْ وَأَنفُسِهِمْ وَأُوْلَئِكَ لَهُمْ الْخَيْرَاتُ وَأُوْلَئِكَ هُمْ الْمُفْلِحُونَ

‘‘কিন্তু রাসূল এবং যারা তার সংগে ঈমান এনেছে, তারা নিজ সম্পদ ও জীবন দ্বারা আল্লাহর পথে জিহাদ করেছে; তাদের জন্যই কল্যাণ আছে এবং তারাই সফলকাম।’’[8]

(৪) মহান আল্লাহ কুরআনে মুমিনগণকে তিনভাগে বিভক্ত করে উল্লেখ করেছেন। প্রথমে মুহাজির এবং আনসারগণের উল্লেখ করে তাঁদের প্রশংসা করেন। এরপর পরবর্তী মুমিনদের বিষয়ে বলেন:

وَالَّذِينَ جَاءُوا مِنْ بَعْدِهِمْ يَقُولُونَ رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا وَلإِخْوَانِنَا الَّذِينَ سَبَقُونَا بِالإِيمَانِ وَلا تَجْعَلْ فِي قُلُوبِنَا غِلا لِلَّذِينَ آَمَنُوا رَبَّنَا إِنَّكَ رَءُوفٌ رَحِيمٌ

‘‘তাদের পরে যারা আগমন করল তার বলে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক, আমাদেরকে এবং ঈমানে অগ্রণী আমাদের পূর্ববর্তী ভ্রাতাগণকে ক্ষমা কর এবং মুমিনদের বিরুদ্ধে আমাদের অন্তরে হিংসা বিদ্বেষ রেখ না। হে আমাদের প্রতিপালক, তুমি তো দয়াদ্র, পরমদয়ালু।’’[9]

এভাবে আমরা দেখছি যে, কুরআনের নির্দেশ অনুসারে পরবর্তী সকল প্রজন্মের মুমিনদের দায়িত্ব সকল আনসার ও মুজাহির সাহাবীর জন্য দু‘আ করা এবং তাদেরকে অন্তর দিয়ে ভালবাসা। অন্তরে কোনো সাহাবীর প্রতি হিংসা বা বিদ্বেষভাব ঈমানের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

(৫) অগণিত হাদীসে সাহাবীগণের মর্যাদা বর্ণনা করা হয়েছে এবং জান্নাতের সুসংবাদ প্রদান করা হয়েছে। এক হাদীসে উমর ইবনুল খাত্তাব (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন :

أَكْرِمُوْا أَصْحَابِيْ (فَإِنَّهُمْ خِيَارُكُمْ)، ثُمَّ الَّذِيْنَ يَلُوْنَهُمْ ثُمَّ الَّذِيْنَ يُلُوْنَهُمْ، ثُمَّ يَظْهَرُ الْكَذِبُ.

‘‘তোমরা আমার সাহাবীগণকে সম্মান করবে; কারণ তাঁরাই তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ। তাঁদের পরে তাঁদের পরবর্তী যুগের মানুষেরা এবং এরপর তাঁদের পরবর্তী যুগের মানুষেরা। এরপর মিথ্যা প্রকাশিত হবে।’’[10]

আবূ হুরাইরা ও আবূ সাঈদ (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন:

لا تَسُبُّوا أَصْحَابِي فَلَوْ أَنَّ أَحَدَكُمْ أَنْفَقَ مِثْلَ أُحُدٍ ذَهَبًا مَا بَلَغَ مُدَّ أَحَدِهِمْ وَلا نَصِيفَهُ

‘‘তোমরা আমার সাহাবীগণকে গালি দেবে না। কারণ তোমাদের কেউ যদি উহদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ দান করে তবুও সে তাদের কারো এক মুদ্দ (প্রায় অর্ধ কেজি) বা তার অর্ধেক পরিমান দানের সমপর্যায়ে পৌঁছাতে পারবে না।’’[11]

কুরআন ও হাদীসের এ সকল নির্দেশনার আলোকে সাহাবীগণের বিষয়ে মুসলিমগণ নিম্নরূপ আকীদা পোষণ করেন:

(১) মানব জাতির মধ্যে নবীগণের পরেই রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাহাবীগণের মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব এবং সাহাবীগণের মধ্যে খুলাফায়ের রাশেদীনের শ্রেষ্ঠত্ব।

(২) খুলাফায়ে রাশেদীনের মধ্যে মর্যাদার তারতম্য তাঁদের খিলাফাতের দায়িত্বের ক্রম অনুসারে।

(৩) অন্য সকল সাহাবীও মহান মর্যাদার অধিকারী। কোনো সাহাবীকেই কোনো মুমিন সামান্যতম অমর্যাদা, অবজ্ঞা বা ঘৃণা করতে পারেন না। তাঁদের কারো বিষয়েই কোনো অমর্যাদাকর কথা কোনো মুমিন কখনো বলেন না।

ষষ্ঠ অধ্যায়ে বিদ‘আত ও বিভক্তি আলোচনাকালে আমরা সাহাবীগণের বিষয়ে ‘আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের’ বিশ্বাস ও মূলনীতি বিষয়ে ইমামগণের মতামত উল্লেখ করব ইনশা আল্লাহ।

[1] সূরা (৪২) শূরা: ২৩ আয়াত।
[2] মুসলিম, আস-সহীহ ৪/১৮৭৩।
[3] তিরমিযী, আস-সুনান ৫/৬৬৪; হাকিম, আল-মুসতাদরাক ৩/১৬২। তিরমিযী হাদীসটিকে হাসান বলেছেন। হাকিম ও যাহাবী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।
[4] সূরা (৫৭) হাদীদ: ১০ আয়াত।
[5] সূরা (৪৯) হুজুরাত, ৭ আয়াত।
[6] সূরা (৯) তাওবা, আয়াত ১০০।
[7] সূরা (৪৮) ফাত্হ, আয়াত ১৮।
[8] সূরা (৯) তাওবা, ৮৮ আয়াত।
[9] সূরা (৫৯) হাশর: ১০ আয়াত।
[10] নাসাঈ, আস-সুনানুল কুবরা ৫/৩৮৭; আল-মাকদিসী, আল-আহাদীসুল মুখতারাহ ১/১৯৩, ২৬৬, ২৬৮; তাহাবী, শারহু মা‘আনীল আসার ৪/১৫০; মা’মার ইবনু রাশিদ, আল-জামি ১১/৩৪১; আবদ ইবনু হুমাইদ, মুসনাদ, পৃ: ৩৭। হাদীসটির সনদ সহীহ।
[11] বুখারী, আস-সহীহ ৩/১৩৪৩; মুসলিম, আস-সহীহ ৪/১৯৬৭।