-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৩১. সুতরাং সে বিশ্বাস করে নি এবং সালাতও আদায় করে নি।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৩১) সে সত্য বলে মানেনি এবং নামায পড়েনি। [1]
[1] অর্থাৎ, এই ব্যক্তি না রসূল (সাঃ) এবং কুরআনকে সত্যজ্ঞান করেছে, আর না নামায আদায় করেছে। অর্থাৎ, সে আল্লাহর ইবাদতও করেনি।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৩২. বরং সে মিথ্যারোপ করেছিল এবং মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৩২) বরং সে মিথ্যা মনে করেছিল ও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। [1]
[1] অর্থাৎ, রসূল (সাঃ)-কে মিথ্যাজ্ঞান করেছে এবং ঈমান আনয়ন ও আনুগত্য করা হতে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৩৩. তারপর সে তার পরিবার পরিজনের কাছে চলে গিয়েছিল অহংকার করে,
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৩৩) অতঃপর সে তার পরিবার পরিজনের নিকট ফিরে গিয়েছিল দম্ভভরে। [1]
[1] يَتَمَطَّى অর্থাৎ দম্ভভরে ও অহংকারের সাথে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৩৪. দুর্ভোগ তোমার জন্য, দুর্ভোগ!
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৩৪) দুর্ভোগ তোমার জন্য দুর্ভোগ।
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৩৫. আবার দুর্ভোগ তোমার জন্য, দুর্ভোগ!(১)
(১) أَوْلَىٰ অর্থ ধ্বংস, দুর্ভোগ। সর্বনাশ হোক তোমার! মন্দ, ধ্বংস এবং দুর্ভাগ্য হোক তোমার! এখানে কাফিরদেরকে খুবই মারাত্মকভাবে সাবধান করে দেয়া হয়েছে। [ফাতহুল কাদীর] ইবন কাসীর বলেনঃ এটি একটি শ্লেষ বাক্যও হতে পারে। কুরআন মজীদের আরো এক জায়গায় এ ধরনের বাক্য প্রয়োগ করা হয়েছে। বলা হয়েছে যে, জাহান্নামে আযাব দেয়ার সময় পাপী লোকদের বলা হবেঃ “নাও, এর মজা আস্বাধন করে নাও। তুমি অতি বড় সম্মানী মানুষ কিনা।” [সূরা আদ-দুখান: ৪৯]
তাফসীরে জাকারিয়া(৩৫) আবার দুর্ভোগ তোমার জন্য দুর্ভোগ। [1]
[1] এটা তিরস্কার বাক্য। এর প্রকৃত গঠন ছিল এই রকম, أَوْلاَكَ اللهُ مَا تَكْرَهُهُ আল্লাহ তোমাকে এমন জিনিসের সম্মুখীন করুক, যা তোমার কাছে অপছন্দনীয়! (অনুবাদে ‘তোমার জন্য দুর্ভোগ’ বলে সে কথা প্রকাশ করা হয়েছে।)
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৩৬. মানুষ কি মনে করে যে, তাকে এমনি ছেড়ে দেয়া হবে(১)?
(১) আয়াতের অর্থ হলো, মানুষ কি নিজেকে মনে করে যে তার স্রষ্টা তাকে এ পৃথিবীতে দায়িত্বহীন করে ছেড়ে দিয়েছেন? এ-কথাটিই কুরআন মজীদের অন্য একস্থানে এভাবে বলা হয়েছে যে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা'আলা কাফেরদের বলবেন, “তোমরা কি মনে করেছে যে, আমি তোমাদের অনৰ্থক সৃষ্টি করেছি? তোমাদেরকে কখনো আমার কাছে ফিরে আসতে হবে না?” [সূরা আল মুমিনুন: ১১৫] এ দু'টি স্থানে মৃত্যুর পরের জীবনের অনিবার্যতার প্রমাণ প্রশ্নের আকারে পেশ করা হয়েছে। প্রশ্নের তাৎপর্য হলো আখেরাত যে অবশ্যই হবে তার প্রমাণ। [দেখুন, ইবন কাসীর]
তাফসীরে জাকারিয়া(৩৬) মানুষ কি মনে করে যে, তাকে নিরর্থক ছেড়ে দেওয়া হবে? [1]
[1] অর্থাৎ, তাকে কিছুর আদেশ করা হবে না এবং কিছু থেকে নিষেধ করা হবে না, তার হিসাব হবে না এবং কোন শাস্তিও না? অথবা তাকে কবরে চিরদিনের জন্য ছেড়ে দেওয়া হবে এবং সেখান হতে তাকে পুনর্জীবিত করা হবে না?
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৩৭. সে কি বীর্যের স্খলিত শুক্রবিন্দু ছিল না?
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৩৭) সে কি স্খলিত শুক্রবিন্দু ছিল না?
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৩৮. তারপর সে ‘আলাকা’য় পরিণত হয়। অতঃপর আল্লাহ তাকে সৃষ্টি করেন এবং সুঠাম করেন।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৩৮) অতঃপর সে রক্তপিন্ডে পরিণত হয়। তারপর আল্লাহ তাকে সৃষ্টি করেন এবং সুঠাম বানান। [1]
[1] فَسَوَّى অর্থাৎ, তাকে সুন্দর সুবিন্যস্ত করে পূর্ণ আকৃতি দিয়ে তার মধ্যে আত্মা দান করেছেন।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৩৯. অতঃপর তিনি তা থেকে সৃষ্টি করেন যুগল—নর ও নারী।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৩৯) অতঃপর তিনি তা হতে সৃষ্টি করেন জোড়া জোড়া নর ও নারী।
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৪০. তবুও কি সে স্রষ্টা মৃতকে পুনর্জীবিত করতে সক্ষম নন?(১)
(১) এক বর্ণনায় এসেছে, সাহাবীগণের একজন তার ঘরের ছাদে সালাত আদায় করত; যখনই সূরা আল-কিয়ামাহ এর এ আয়াতে পৌছত তখনই সে বলত: পবিত্র ও মহান তুমি, অবশ্যই হ্যাঁ, লোকেরা তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে তা শুনেছি।” [আবু দাউদ: ৮৮৪]
তাফসীরে জাকারিয়া(৪০) সেই স্রষ্টা কি মৃতকে পুনর্জীবিত করতে সক্ষম নন? [1]
[1] অর্থাৎ, যে আল্লাহ মানুষকে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন অবস্থার উপর অতিক্রম করিয়ে সৃষ্টি করেছেন তিনি কি মৃত্যুর পর পুনরায় তাকে জীবিত করতে সক্ষম নন? উক্ত আয়াত পাঠ করে বলতে হয় سُبْحَانَكَ فَبَلى (সুবহা-নাকা ফাবালা), অর্থাৎ তুমি পবিত্র, অবশ্যই (তুমি সক্ষম)। (আবূ দাঊদ ৮৮৩, ৮৮৪নং, বাইহাক্বী)
তাফসীরে আহসানুল বায়ান