৩৭ : ১০১
فَبَشَّرۡنٰهُ بِغُلٰمٍ حَلِیۡمٍ ﴿۱۰۱﴾
-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
১০১. অতঃপর আমরা তাকে এক সহিষ্ণু পুত্রের সুসংবাদ দিলাম।(১)
(১) এখান থেকে ইবরাহীম আলাইহিস সালাম ও তার বড় সন্তান ইসমাঈলের কাহিনী বর্ণিত হচ্ছে। এখানে আরও আছে ইসমাঈলের যবেহ ও তার বিনিময় দেয়ার আলোচনা। এ সূরা আস-সাফফাত ব্যতীত আর কোথাও এ ঘটনা আলোচিত হয় নি। [আত-তাফসীরুস সহীহ]
তাফসীরে জাকারিয়া(১০১) সুতরাং আমি তাকে এক ধৈর্যশীল পুত্রের সুসংবাদ দিলাম। [1]
[1] حَلِيْمٌ (ধৈর্যশীল) বলে ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, এ ছেলে বড় হয়ে ধৈর্যশীল হবে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান৩৭ : ১০২
فَلَمَّا بَلَغَ مَعَهُ السَّعۡیَ قَالَ یٰبُنَیَّ اِنِّیۡۤ اَرٰی فِی الۡمَنَامِ اَنِّیۡۤ اَذۡبَحُكَ فَانۡظُرۡ مَاذَا تَرٰی ؕ قَالَ یٰۤاَبَتِ افۡعَلۡ مَا تُؤۡمَرُ ۫ سَتَجِدُنِیۡۤ اِنۡ شَآءَ اللّٰهُ مِنَ الصّٰبِرِیۡنَ ﴿۱۰۲﴾
-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
১০২. অতঃপর তিনি যখন তার পিতার সাথে কাজ করার মত বয়সে উপনীত হলেন, তখন ইবরাহীম বললেন, হে প্রিয় বৎস! আমি স্বপ্নে দেখি যে, তোমাকে আমি যবেহ করছি(১), এখন তোমার অভিমত কি বল? তিনি বললেন, হে আমার পিতা! আপনি যা আদেশপ্ৰাপ্ত হয়েছেন তা-ই করুন। আল্লাহর ইচ্ছায় আপনি আমাকে ধৈর্যশীল পাবেন।
(১) কাতাদাহ বলেন, নবী-রাসূলদের স্বপ্ন ওহী হয়ে থাকে। তারা যখন স্বপ্নে কিছু দেখতেন সেটা বাস্তবে রূপ দিতেন। [তাবারী]
তাফসীরে জাকারিয়া(১০২) অতঃপর সে যখন তার পিতার সঙ্গে চলা-ফেরার বয়সে উপনীত হল,[1] তখন ইব্রাহীম তাকে বলল, ‘হে বেটা! আমি স্বপ্নে দেখি যে, তোমাকে যবেহ করছি; এখন তোমার অভিমত কি বল।’[2] সে বলল, ‘আব্বা! আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে, আপনি তা পালন করুন। ইনশাআল্লাহ, আপনি আমাকে ধৈর্যশীলরূপে পাবেন।’
[1] অর্থাৎ, চলাফেরা করার মত বা সাবালক হওয়ার নিকটবর্তী হল। অনেকে বলেন, তাঁর বয়স যখন তেরো বছর হল।
[2] পয়গম্বরগণের স্বপ্নও প্রত্যাদেশ ও আল্লাহর আদেশই হয়। ফলে তাঁদের জন্য তা পালন করা জরুরী। পুত্র আল্লাহর আদেশ পালনে কতটা প্রস্তুত আছে, তা জানার উদ্দেশ্যে তিনি পুত্রের সাথে পরামর্শ করেন।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান৩৭ : ১০৩
فَلَمَّاۤ اَسۡلَمَا وَ تَلَّهٗ لِلۡجَبِیۡنِ ﴿۱۰۳﴾ۚ
-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
* ইসমাঈলকে
১০৩. অতঃপর যখন তারা উভয়ে আনুগত্য প্রকাশ করলেন(১) এবং ইবরাহীম তার পুত্রকে উপুড় করে শায়িত করলেন,
(১) কাতাদাহ বলেন, যখন ইসমাঈল তার আত্মাকে আল্লাহর জন্য সোপর্দ করলেন, আর ইবরাহীম তার ছেলেকে আল্লাহর জন্য সমর্পন করলেন। [তাবারী]
তাফসীরে জাকারিয়া(১০৩) অতঃপর পিতা-পুত্র উভয়েই যখন আনুগত্য প্রকাশ করল এবং ইব্রাহীম তাকে যবেহ করার জন্য অধোমুখে[1] শায়িত করল,
[1] সকল মানুষের মুখমন্ডলের (ডানে ও বামে) দুটো جَبِين (কপালের দুই পার্শ্ব) থাকে এবং মাঝে থাকে جَبهَة (কপাল)। অতএব আয়াতের সঠিক অর্থ হবে ‘কাত করে শায়িত করল।’ অর্থাৎ এমনভাবে কাত করে শুইয়ে দিলেন, যেমন পশুকে যবেহ করার সময় ক্বিবলা মুখে কাত করে শোয়ানো হয়। কপাল বা মুখমন্ডলের উপর (অধোমুখে) শোয়ানোর অর্থ করার কারণ হল, প্রসিদ্ধি আছে যে, ইসমাঈল (আঃ) নিজেই কাত করে শোয়ানোর জন্য বলেছিলেন। যাতে তাঁর মুখমন্ডল আব্বার সামনে না থাকে এবং পিতৃস্নেহ আল্লাহর আদেশের উপর প্রাধান্য পাওয়ার সম্ভাবনা না থাকে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান৩৭ : ১০৪
وَ نَادَیۡنٰهُ اَنۡ یّٰۤاِبۡرٰهِیۡمُ ﴿۱۰۴﴾ۙ
-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
১০৪. তখন আমরা তাকে ডেকে বললাম, হে ইবরাহীম!
-
তাফসীরে জাকারিয়া(১০৪) তখন আমি ডেকে বললাম, ‘হে ইব্রাহীম!
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ান৩৭ : ১০৫
قَدۡ صَدَّقۡتَ الرُّءۡیَا ۚ اِنَّا كَذٰلِكَ نَجۡزِی الۡمُحۡسِنِیۡنَ ﴿۱۰۵﴾
-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
১০৫. আপনি তো স্বপ্নের আদেশ সত্যই পালন করলেন!—এভাবেই আমরা মুহসিনদেরকে পুরস্কৃত করে থাকি।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(১০৫) তুমি তো স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করে দেখালে।[1] নিশ্চয় আমি এইভাবে সৎকর্মপরায়ণদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।
[1] অর্থাৎ, মনের পরিপূর্ণ ইচ্ছার সাথে সন্তানকে যবেহ করার উদ্দেশ্যে মাটির উপর শুইয়ে দেওয়াতেই তুমি নিজ স্বপ্নকে বাস্তব করে দেখালে। কারণ এতে স্পষ্ট হয়ে গেল যে, আল্লাহর আদেশের তুলনায় তোমার নিকট কোন বস্তুই প্রিয়তর নয়; এমনকি নিজের একমাত্র পুত্রও নয়।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান৩৭ : ১০৬
اِنَّ هٰذَا لَهُوَ الۡبَلٰٓـؤُا الۡمُبِیۡنُ ﴿۱۰۶﴾
-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
১০৬. নিশ্চয়ই এটা ছিল এক স্পষ্ট পরীক্ষা।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(১০৬) নিশ্চয় এটা এক সুস্পষ্ট পরীক্ষা।’ [1]
[1] অর্থাৎ, স্নেহভাজন একমাত্র সন্তানকে যবেহ করার আদেশ একটা বড় পরীক্ষা ছিল; যাতে তুমি সফল হয়েছ।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান৩৭ : ১০৭
وَ فَدَیۡنٰهُ بِذِبۡحٍ عَظِیۡمٍ ﴿۱۰۷﴾
-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
* তা ছিল একটি জান্নাতী দুম্বা।
১০৭. আর আমরা তাকে মুক্ত করলাম এক বড় যবেহ এর বিনিময়ে।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(১০৭) আর আমি তার পরিবর্তে যবেহযোগ্য এক মহান জন্তু দিয়ে তাকে মুক্ত করে নিলাম।[1]
[1] ‘যবেহযোগ্য মহান জন্তু’ একটি দুম্বা ছিল, যা আল্লাহ তাআলা জান্নাত থেকে জিবরীল মারফত পাঠিয়েছিলেন। (ইবনে কাসীর) ইসমাঈল (আঃ)-এর পরিবর্তে সেই দুম্বাটি যবেহ করা হয়েছিল এবং ইবরাহীম (আঃ)-এর উক্ত সুন্নতকে কিয়ামত পর্যন্ত আল্লাহর নৈকট্য লাভের পথ ও ঈদুল আযহার সব থেকে পছন্দনীয় আমল বলে স্বীকৃতি দেওয়া হল।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান৩৭ : ১০৮
وَ تَرَكۡنَا عَلَیۡهِ فِی الۡاٰخِرِیۡنَ ﴿۱۰۸﴾ۖ
-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
১০৮. আর আমরা তার জন্য পরবর্তীদের মধ্যে সুনাম-সুখ্যাতি রেখে দিয়েছি।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(১০৮) আর এ বিষয়টি পরবর্তীদের জন্য স্মরণীয় করে রাখলাম।
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ান৩৭ : ১০৯
سَلٰمٌ عَلٰۤی اِبۡرٰهِیۡمَ ﴿۱۰۹﴾
-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
১০৯. ইবরাহীমের উপর শান্তি বৰ্ষিত হোক।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(১০৯) ইব্রাহীমের উপর শান্তি বর্ষিত হোক।
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ান৩৭ : ১১০
كَذٰلِكَ نَجۡزِی الۡمُحۡسِنِیۡنَ ﴿۱۱۰﴾
-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
১১০. এভাবেই আমরা মুহসিনদেরকে পুরস্কৃত করে থাকি।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(১১০) নিশ্চয় আমি এইভাবে সৎকর্মপরায়ণদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ান