৩১ সূরাঃ লুকমান | Luqman | سورة لقمان - আয়াতঃ ১১
৩১:১১ هٰذَا خَلۡقُ اللّٰهِ فَاَرُوۡنِیۡ مَاذَا خَلَقَ الَّذِیۡنَ مِنۡ دُوۡنِهٖ ؕ بَلِ الظّٰلِمُوۡنَ فِیۡ ضَلٰلٍ مُّبِیۡنٍ ﴿۱۱﴾
هذا خلق الله فارونی ماذا خلق الذین من دونهٖ بل الظلمون فی ضلل مبین ۱۱

এ আল্লাহর সৃষ্টি; অতএব আমাকে দেখাও, তিনি ছাড়া আর যারা আছে তারা কী সৃষ্টি করেছে! বরং যালিমরা সুস্পষ্ট গোমরাহীতে রয়েছে। আল-বায়ান

এগুলো আল্লাহর সৃষ্টি। কাজেই আমাকে দেখাও তিনি ছাড়া অন্যেরা কী সৃষ্টি করেছে। বরং যালিমরা সুস্পষ্ট গুমরাহীতে ডুবে আছে। তাইসিরুল

এটা আল্লাহর সৃষ্টি! তিনি ছাড়া অন্যরা কি সৃষ্টি করেছে আমাকে দেখাও। সীমালংঘনকারীরাতো স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে রয়েছে। মুজিবুর রহমান

This is the creation of Allah. So show Me what those other than Him have created. Rather, the wrongdoers are in clear error. Sahih International

১১. এটা আল্লাহর সৃষ্টি! সুতরাং তিনি ছাড়া অন্যরা কি সৃষ্টি করেছে আমাকে দেখাও। বরং যালিমরা স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে রয়েছে।(১)

(১) অর্থাৎ যখন এরা এ বিশ্ব-জাহানে আল্লাহ ছাড়া আর কারো কোন সৃষ্টি চিহ্নিত করতে পারেনি এবং একথা সুস্পষ্ট যে, তারা তা করতে পারে না তখন তাদের যারা স্রষ্টা নয় এমন সত্ত্বকে আল্লাহর একচ্ছত্র ও সার্বভৌম কর্তৃত্বে শরীক করা, তাদের সামনে আনুগত্যের শিরা নত করা এবং তাদের কাছে প্রার্থনা করা ও অভাব মোচন করার জন্য আবেদন জানানোকে সুস্পষ্ট নিৰ্বদ্ধিতা ছাড়া আর কী বলা যেতে পারে?

তাফসীরে জাকারিয়া

(১১) এ আল্লাহর সৃষ্টি![1] তিনি ব্যতীত অন্যেরা কি সৃষ্টি করেছে আমাকে দেখাও তো।[2] বরং সীমালংঘনকারীরা স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে রয়েছে।

[1] هٰذَا (এ) শব্দ দ্বারা আল্লাহর ঐ সকল সৃষ্টিকৃত বস্তুর প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে, যার উল্লেখ পূর্ববর্তী আয়াতসমূহে রয়েছে।

[2] যাদের তোমরা ইবাদত কর এবং সাহায্যের জন্য যাদেরকে ডেকে থাকো তারা আকাশ ও পৃথিবীর কোন্ বস্তুটি সৃজন করেছে? তাদের সৃজনকৃত একটি বস্তুও দেখাও তো। অতএব যখন সকল বস্তুর সৃষ্টিকর্তা একমাত্র আল্লাহ তাআলা, তখন ইবাদতের একমাত্র অধিকারীও তিনিই। তিনি ছাড়া বিশ্বজগতে আর এমন কেউ নেই, যে ইবাদতের যোগ্য হতে পারে এবং তার নিকট সাহায্য প্রার্থনা করা যেতে পারে।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান