অধ্যায় ও পরিচ্ছেদ তালিকা সর্বমোট হাদিস | হাদিসের ব্যাপ্তি
১/ ওহীর সূচনা (كتاب بدء الوحى) ৬ টি | ১-৬ পর্যন্ত 1/ Revelation
  • ১/ রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর প্রতি কিভাবে ওহী শুরু হয়েছিল
  • ২/ ঈমান (كتاب الإيمان) ৫০ টি | ৭-৫৬ পর্যন্ত 2/ Belief
  • ২/ রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর বাণীঃ ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি
  • ৩/ ঈমানের বিষয়সমূহ
  • ৪/ প্রকৃত মুসলিম সে-ই, যার জিহ্বা ও হাত থেকে অন্য মুসলিম নিরাপদ থাকে
  • ৫/ ইসলামে কোন কাজটি উত্তম
  • ৬/ খাবার খাওয়ানো ইসলামী গুন
  • ৭/ নিজের জন্য যা পছন্দনীয়, ভাইয়ের জন্যও তা পছন্দ করা ঈমানের অংশ
  • ৮/ রাসুলুল্লাহ (ﷺ)-কে ভালোবাসা ঈমানের অঙ্গ
  • ৯/ ঈমানের স্বাদ
  • ১০/ আনসারকে ভালোবাসা ঈমানের লক্ষণ
  • ১১/ পরিচ্ছদ নেই
  • ১২/ ফিতনা থেকে পলায়ন দ্বীনের অংশ
  • ১৩/ নাবী করীম (ﷺ) এর বাণী, আমি তোমাদের তুলনায় আল্লাহকে সম্পর্কে অধিক জ্ঞানী। আর মারেফাত (আল্লাহ্‌র পরিচয়) অন্তরের কাজ। যেমন আল্লাহ্‌ ইরশাদ করেছেনঃ কিন্তু তিনি তোমাদের অন্তরের সংকল্পের জন্য দায়ী করবেন। (২ঃ ২২৫)
  • ১৪/ কুফরীতে ফিরে যাওয়াকে আগুনে নিক্ষিপ্ত হবার ন্যায় অপছন্দ করা ঈমানের অঙ্গ
  • ১৫/ আমলের দিক থেকে ঈমানদারদের শ্রেষ্ঠত্বের স্তরভেদ
  • ১৬/ লজ্জা ঈমানের অঙ্গ
  • ১৭/ যদি তারা তওবা করে, সালাত কায়েম করে ও যাকাত দেয়, তবে তাদের পথ ছেড়ে দেবে (৯:৫)
  • ১৮/ যে বলে ঈমান আমলেরই নাম
  • ১৯/ ইসলাম গ্রহন যদি খাঁটি না হয় বরং বাহ্যিক আনুগত্য প্রদর্শনের জন্য বা হত্যার ভয়ে হয়।
  • ২০/ সালামের প্রচলন করা ইসলামের অন্তর্ভুক্ত
  • ২১/ স্বামীর প্রতি অকৃতজ্ঞতা আর এক কুফর অন্য কুফর থেকে ছোট।
  • ২২/ পাপ কাজ জাহেলী যুগের স্বভাব
  • ২৩/ যুলুমের প্রকারভেদ
  • ২৪/ মুনাফিকের আলামত
  • ২৫/ লায়লাতুল কদরে ইবাদতে রাত্রি জাগরণ ঈমানের অন্তর্ভুক্ত
  • ২৬/ জিহাদ ঈমানের অন্তর্ভুক্ত
  • ২৭/ রমযানের রাতে নফল ইবাদত ঈমানের অঙ্গ
  • ২৮/ সওয়াবের আশায় রমযানের সিয়াম পালন ঈমানের অঙ্গ
  • ২৯/ দ্বীন সহজ
  • ৩০/ সালাত ঈমানের অন্তর্ভুক্ত
  • ৩১/ উত্তমরূপে ইসলাম গ্রহন
  • ৩২/ আল্লাহ্‌ তা'আলার কাছে সবচাইতে পছন্দনীয় আমল সেটাই যা নিয়মিত করা হয়
  • ৩৩/ ঈমানের বাড়া-কমা।
  • ৩৪/ যাকাত ইসলামের অঙ্গ।
  • ৩৫/ জানাযার অনুগমন ঈমানের অঙ্গ
  • ৩৬/ অজ্ঞাতসারে মুমিনের আমল নষ্ট হওয়ার আশংকা
  • ৩৭/ জিবরীল (আঃ) কর্তৃক রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে ঈমান, ইসলাম, ইহসান ও কিয়ামতের জ্ঞান সম্পর্কে প্রশ্ন
  • ৩৮/ পরিচ্ছদ নেই
  • ৩৯/ দ্বীন রক্ষাকারীর ফজিলত
  • ৪০/ গণীমতের এক পঞ্চমাংশ প্রদান ঈমানের অন্তর্ভুক্ত
  • ৪১/ আমল নিয়ত ও সওয়াব আশা অনুযায়ী প্রত্যেক মানুষের প্রাপ্য তার নিয়ত অনুযায়ী।
  • ৪২/ নাবী (ﷺ) এর বানীঃ দ্বীন হল কল্যাণ কামনা করা, আল্লাহর রেজমন্দির জন্য, তাঁর রাসুলের জন্য, মুসলিম নেত্রীবৃন্দের জন্য এবং সকল মুসলিমের জন্য।
  • ৩/ ইলম বা জ্ঞান (كتاب العلم) ৮০ টি | ৫৭-১৩৬ পর্যন্ত 3/ Knowledge
  • ৪৪/ আলোচনায় মশগুল অবস্থায় ইলম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে আলোচনা শেষ করার পর প্রশ্নকারীর উত্তর প্রদান
  • ৪৫/ উচ্চস্বরে ইলমের আলচনা
  • ৪৬/ মুহাদ্দিসের উক্তিঃ হাদ্দাসানা, আখবারানা ও আম্বা'আনা
  • ৪৭/ শাগরিদগনের জ্ঞান পরীক্ষার জন্য উস্তাদের কোন বিষয় উত্থাপন করা
  • ৪৮/ হাদিস পড়া ও মুহাদ্দিসের কাছে পেশ করা
  • ৪৯/ শায়খ কর্তৃক ছাত্রকে হাদিসের কিতাব প্রদান এবং আলিম কর্তৃক ইলমের কথা লিখে বিভিন্ন দেশে প্রেরণ।
  • ৫০/ মজলিসের শেষ প্রান্তে বসা এবং মজলিসের ভিতরে ফাক দেখে সেখানে বসা
  • ৫১/ নাবী করীম (ﷺ) এর বানীঃ যাদের কাছে হাদিস পৌঁছানো হয় তাদের মধ্যে অনেকে এমন আছে, যে শ্রোতা (বর্ণনাকারী'র) চাইতে বেশী মুখস্থ রাখতে পারে।
  • ৫৩/ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ওয়ায-নসীহতে ও ইলম শিক্ষা দানে উপযুক্ত সময়ের প্রতি লক্ষ্য রাখতেন, যাতে লোকজন বিরক্ত না হয়ে পড়ে।
  • ৫৪/ ইলম শিক্ষার্থীদের জন্য দিন নির্দিষ্ট করা
  • ৫৫/ আল্লাহ্ যার কল্যাণ চান, তাকে দ্বীনের জ্ঞান দান করেন
  • ৫৬/ ইলমের ক্ষেত্রে সঠিক অনুধাবন
  • ৫৭/ ইলম ও হিকমতের ক্ষেত্রে সমতুল্য হওয়ার আগ্রহ
  • ৫৮/ সমুদ্রে খিযর (আঃ)-এর কাছে মূসা (আঃ)-এর যাওয়া
  • ৫৯/ নবী (ﷺ) এর উক্তিঃ হে আল্লাহ্! আপনি তাকে কিতাব (কুরআন) শিক্ষা দিন।
  • ৬০/ বালকদের কোন বয়সের শোনা কথা গ্রহণীয়।
  • ৬১/ ইলম হাসিলের জন্য বের হওয়া
  • ৬২/ ইলম শিক্ষার্থী ও শিক্ষাদাতার ফযীলত।
  • ৬৩/ ইলমের বিলুপ্তি ও মূর্খতার প্রসার
  • ৬৪/ ইলমের ফযীলত
  • ৬৫/ প্রাণী বা অন্য বাহনে আসীন অবস্থায় ফতোয়া দেওয়া।
  • ৬৬/ হাত ও মাথার ইশারায় মাসয়ালার জবাব দান
  • ৬৭/ আবুল কায়েস গোত্রের প্রতিনিধি দলকে ঈমান এবং ইলমের হিফাজত করা এবং পরবর্তীদেরকে তা অবহিত করার বাপারে নবী (ﷺ) এর উৎসাহ দান।
  • ৬৮/ উদ্ভূত মাসআলার জন্য সফর করা এবং নিজের পরিজনদের শিক্ষা দেওয়া ।
  • ৬৯/ পালাক্রমে ইলম শিক্ষা করা ।
  • ৭০/ অপছন্দনীয় কিছু দেখলে ওয়ায-নাসীহত বা শিক্ষাদানের সময় রাগ করা
  • ৭১। ইমাম বা মুহাদ্দিসের সামনে হাঁটু গেড়ে বসা
  • ৭২। ভালবাবে বুঝবার জন্য কোন কথা তিনবার বলা
  • ৭৩। আপন দাসী ও পরিবারবর্গকে শিক্ষা দান
  • ৭৪। আলিম কর্তৃক মহিলাদের নসীহত করা ও দীনী ইলম শিক্ষা দেওয়া
  • ৭৫। হাদিসের প্রতি আগ্রহ
  • ৭৬। কিভাবে ইলম তুলে নেয়া হবে
  • ৭৭। ইলম শিক্ষার জন্য মহিলাদের ব্যাপারে কি আলাদা দিন নির্ধারণ করা যায়?
  • ৭৮। কোন কথা শুনে না বুঝলে জানার জন্য পুনরায় জিজ্ঞেস করা
  • ৭৯। উপস্থিত ব্যাক্তি অনুপস্থিত ব্যাক্তির কাছে ইলম পৌঁছে দেবে
  • ৮০। নবী করীম (ﷺ) এর উপর মিথ্যারোপ করার গুনাহ
  • ৮১। ইলম লিপিবদ্ধ করা
  • ৮২। রাতে ইলম শিক্ষাদান এবং ওয়ায-নসিহত করা
  • ৮৩। রাতে ইলমের আলোচনা করা
  • ৮৪। ইলম মুখস্ত করা
  • ৮৫। আলিমদের কথা শোনার জন্য লোকদের চুপ করানো
  • ৮৬। আলিমদের জন্য মুস্তাহাব এই যে, তাঁকে যখন প্রশ্ন করা হয়ঃ সবচাইতে জ্ঞানী কে? তখন তিনি ইহা আল্লাহর উপর ন্যাস্ত করবেন।
  • ৮৭। আলিমের বসা থাকা অবস্থায় দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করা
  • ৮৮। কংকর মারার সময় কোন মাসআলা জিজ্জেস করা
  • ৮৯। আল্লাহ্‌ তায়ালার বাণীঃ (وَمَا أُوتِيتُمْ مِنْ الْعِلْمِ إِلَّا قَلِيلًا) তোমাদেরকে ইলম দেওয়া হয়েছে অতি অল্পই।
  • ৯০। কোন কোন মুস্তাহাব কাজ এই আশঙ্কায় ছেড়ে দেওয়া যে,কিছু লোক ভুল বুঝতে পারে এবং তারা এর চাইতে অধিকতর বিভ্রান্তিতে পড়তে পারে
  • ৯১। বুঝতে না পারার আশংকায় ইল্‌ম শিক্ষায় কোন এক গোত্র ছেড়ে আর এক গোত্র বেছে নেওয়া।
  • ৯২। ‘ইলম শিক্ষা করতে লজ্জাবোধ করা।
  • ৯৩। নিজে লজ্জাবোধ করলে অন্যকে প্রশ্ন করতে বলা
  • ৯৪। মসজিদে ইলম ও মাসআলা-মাসায়েল আলোচনা করা
  • ৯৫। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের চাইতে বেশী উত্তর দেওয়া
  • ৪/ উযূ (كتاب الوضوء) ১০৯ টি | ১৩৭-২৪৫ পর্যন্ত 4/ Ablutions (Wudu)
  • ৯৭। পবিত্রতা ছাড়া সালাত কবুল হয় না
  • ৯৮। উযূর ফযীলত এবং উযূর প্রভাবে যাদের উযুর অঙ্গ–প্রত্যঙ্গ উজ্জ্বল হবে
  • ৯৯। সন্দেহের কারনে উযূ করতে হয় না যতক্ষণ না (উযূ ভঙ্গের) নিশ্চিত বিশ্বাস জন্মে
  • ১০০। হালকাভাবে উযূ করা
  • ১০১। পূর্ণরূপে উযূ করা।
  • ১০২। এক আঁজলা পানি দিয়ে দু'হাতে মুখমণ্ডল ধোয়া
  • ১০৩। সর্বাবস্থায়, এমনকি সহবাসের সময়েও বিসমিল্লাহ বলা
  • ১০৪। শৌচাগারে কি বলতে হয়?
  • ১০৫। শৌচাগারের কাছে পানি রাখা
  • ১০৬। মল-মূত্র ত্যাগের সময় কিবলামুখি হবে না, তবে ঘরের মধ্যে দেয়াল অথবা তেমন কোন আড়াল থাকলে ভিন্ন কথা।
  • ১০৭। দুই ইটের ওপর বসে মলমূত্র ত্যাগ করা
  • ১০৮। মহিলাদের বাইরে যাওয়া
  • ১০৯। ঘরে মলমূত্র ত্যাগ করা
  • ১১০। পানি দ্বারা ইসতিনজা করা
  • ১১১। পবিত্রতা হাসিলের জন্য কারো সাথে পানি নিয়ে যাওয়া।
  • ১১২। ইসতিনজার জন্য পানির সাথে (লৌহ ফলকযুক্ত) লাঠি নিয়ে যাওয়া
  • ১১৩। ডান হাতে ইসতিনজা করার নিষেধাজ্ঞা
  • ১১৪। প্রস্রাব করার সময় ডান হাত দিয়ে পুরূষাঙ্গ ধরবে না
  • ১১৫। পাথর দিয়ে ইসতিনজা করা
  • ১১৬। গোবর দিয়ে ইসতিনজা না করা
  • ১১৭। উযূতে একবার করে ধোয়া
  • ১১৮। উযূতে দু’বার করে ধোয়া
  • ১১৯। উযূতে তিনবার করে ধোয়া
  • ১২০। উযূর মধ্যে নাকে পানি দেয়ে নাক পরিষ্কার করা ‘উসমান (রা), আবদুল্লাহ ইবন যায়দ (রা) ও ইবন ‘আব্বাস (রা) নবী থেকে এ কথা বর্ণনা করেছেনঃ
  • ১২১। (ইসতিনজার জন্য) বেজোড় সংখ্যক ঢিলা-কুলুখ ব্যবহার করা
  • ১২২। দু’পা ধোয়া এবং মাসেহ না করা
  • ১২৩। উযূতে কুলি করা।
  • ১২৪। পায়ের গোড়ালী ধোয়া।
  • ১২৫। চপ্পল পরা অবস্থায় উভয় পা ধোয়া কিন্তু চপ্পলের উপর মাসেহ না করা
  • ১২৬। উযূ এবং গোসলে ডান দিক থেকে শুরু করা
  • ১২৭। সালাতের সময় নিকটবর্তি বলে উযূর পানি তালাশ করা।
  • ১২৮। যে পানি দেয়ে মানুষের চুল ধোয়া হয়।
  • ১২৯। কুকুর যদি পাত্র থেকে পানি পান করে
  • ১৩০। সম্মুখ এবং পেছনের রাস্তা দিয়ে কিছু নির্গত হওয়া ছাড়া অন্য কারণে যিনি উযূর প্রয়োজন মনে করেন না
  • ১৩১। শ্রদ্ধেয় জনকে কোন ব্যক্তির উযূ করিয়ে দেওয়া
  • ১৩২। বিনা উযূতে কুরআন প্রভৃতি পাঠ করা।
  • ১৩৩। পূর্ণ বেহুশী ছাড়া উযূ না করা
  • ১৩৪। পূর্ণ মাথা মসেহ করা।
  • ১৩৫। উভয় পা গিরা পর্যন্ত ধোয়া
  • ১৩৬। মানুষের উযূর অবশিষ্ট পানি ব্যবহার করা।
  • ১৩৭। পরিচ্ছেদ নাই
  • ১৩৮। এক আঁজলা পানি দিয়ে কুলি করা ও নাকে পানি দেওয়া
  • ১৩৯। একবার মাথা মসেহ করা
  • ১৪০। নিজ স্ত্রীর সাথে উযূ করা এবং স্ত্রীর উযূর অবশিষ্ট পানি (ব্যবহার করা)।
  • ১৪১। বেহুশ লোকদের ওপর নবী (ﷺ) এর উযূর পানি ছিটিয়ে দেওয়া
  • ১৪২। গামলা, কাঠ ও পাথরের পাত্রে উযূ-গোসল করা
  • ১৪৩। গামলা থেকে উযূ করা
  • ১৪৪। এক মুদ (পানি) দিয়ে উযূ করা
  • ১৪৫। উভয় মোজার ওপর মসেহ করা
  • ১৪৬। পবিত্র অবস্থায় উভয় পা (মোজায়) প্রবেশ করানো
  • ১৪৭। বকরীর গোশত এবং ছাতু খেয়ে উযূ না করা।
  • ১৪৮। ছাতু খেয়ে উযূ না করে কেবল কুলি করা
  • ১৪৯ দুধ পান করলে কি কুলি করতে হবে?
  • ১৫০। ঘুমের পরে উযূ করা এবং দু’একবার ঝিমালে বা মাথা ঝুঁকে পড়লে উযূ না করা
  • ১৫১। হাদস ছাড়া উযূ করা
  • ১৫২। পেশাবের অপবিত্রতা থেকে সতর্ক না থাকা কবীরা গুনাহ
  • ১৫৩। পেশাব ধোয়া সম্বন্ধে যা বর্ণিত হয়েছে।
  • ১৫৪। পরিচ্ছেদ নাই।
  • ১৫৫। এক বেদুঈনকে মসজিদে পেশাব শেষ করা পর্যন্ত নবী (ﷺ) এবং অন্যান্য লোকের পক্ষ থেকে অবকাশ দেওয়া।
  • ১৫৬। মসজিদে পেশাবের উপর পানি ঢেলে দেওয়া
  • ১৫৭। শিশুদের পেশাব
  • ১৫৮। দাঁড়িয়ে এবং বসে পেশাব করা
  • ১৫৯। সঙ্গীর কাছে বসে পেশাব করা এবং দেয়ালের আড়ালে করা
  • ১৬০। মহল্লার আবর্জনা ফেলার স্থানে পেশাব করা
  • ১৬১। রক্ত দুয়ে ফেলা।
  • ১৬২। বীর্য ধোয়া এবং ঘষে ফেলা এবং স্ত্রীলোক থেকে যা লেগে যায় তা ধুয়ে ফেলা
  • ১৬৩। জানাবাতের নাপাকী বা অন্য কিছু ধোয়ার পর যদি ভিজা দাগ থেকে যায়
  • ১৬৪। উট, চতুস্পদ জন্তু ও বকরীর পেশাব এবং বকরীর খায়াড় প্রসঙ্গে
  • ১৬৫। ঘি এবং পানিতে নাপাকী পড়া।
  • ১৬৬। স্থির পানিতে পেশাব করা
  • ১৬৭। মুসল্লীর পিঠের উপর ময়লা বা মৃত জন্তু ফেললে তার সালাত নষ্ট হবে না।
  • ১৬৮। থুথু, শ্লেষ্মা ইত্যাদি কাপড়ে লেগে গেলে।
  • ১৬৯। নাবীয (খেজুর, কিসমিস, মনাক্কা ইত্যাদি ভিজানো পানি) এবং নেশাকারক পানীয় দ্বারা উযূ করা না-জায়েয।
  • ১৭০। পিতার মুখমণ্ডল থেকে কন্যা কর্তৃক রক্ত ধুয়ে ফেলা।
  • ১৭১। মিসওয়াক করা।
  • ১৭৩। উযূ সহ রাতে ঘুমাবার ফযীলত
  • ৫/ গোসল (كتاب الغسل) ৪৪ টি | ২৪৬-২৮৯ পর্যন্ত 5/ Bathing (Ghusl)
  • ১৭৪। গোসলের পূর্বে উযূ করা
  • ১৭৫। স্বামী-স্ত্রীর একসাথে গোসল
  • ১৭৬। এক সা’ বা অনুরূপ পাত্রের পানিতে গোসল
  • ১৭৭। মাথায় তিনবার পানি ঢালা
  • ১৭৮। একবার পানি ঢেলে গোসল করা
  • ১৭৯। গোসলে হিলাব* বা খুশবু ব্যবহার করা।
  • ১৮০। জানাবাতের গোসলে কুলি করা ও নাকে পানি দেওয়া
  • ১৮১। পরিচ্ছন্নতার জন্য মাটিতে হাত ঘষা
  • ১৮২। যখন জানাবাত ছাড়া হাতে কোন নাপাকী না থাকে, ফরয গোসলের আগে হাত না ধুয়ে পানির পাত্রে তা প্রবেশ করানো যায় কি?
  • ১৮৩। গোসলের সময় ডান হাত থেকে বাম হাতের উপর পানি ঢালা।
  • ১৮৪। গোসল ও উযূর অঙ্গ পৃথকভাবে ধোয়া।
  • ১৮৫। একাধিকবার বা একাধিক স্ত্রীর সাথে সংগত হওয়ার পর একবার গোসল করা।
  • ১৮৬। মযী বের হলে তা ধুয়ে ফেলা ও উযূ করা।
  • ১৮৭। খুশবু লাগিয়ে গোসল করার পর খুশবুর তাসির থেকে গেলে।
  • ১৮৮। চুল খিলাল করা এবং চামড়া ভিজেছে বলে নিশ্চিত হওয়ার পর তাতে পানি ঢালা।
  • ১৮৯। জানাবাত অবস্থায় যে উযূ করে সমস্ত শরীর ধোয় কিন্তু উযূর প্রত্যঙ্গগুলো দ্বিতীয়বার ধোয় না।
  • ১৯০। মসজিদের ভিতরে নিজের জানাবাতের কথা স্মরণ হলে তখনেই বেরিয়ে পড়বে, তায়াম্মুম করতে হবে না
  • ১৯১। জানাবাতের গোসলের পর দু’হাত ঝাড়া
  • ১৯২। মাথার ডান দিক থেকে গোসল শুরু করা।
  • ১৯৩। নির্জনে বিবস্ত্র হয়ে গোসল করা এবং পর্দা করে গোসল করা। পর্দা করে গোসল করাই উত্তম।
  • ১৯৪। লোকদের সামনে গোসলের সময় পর্দা করা।
  • ১৯৫। মহিলাদের ইহ্তিলাম (স্বপ্নদোষ) হলে।
  • ১৯৬। জুনুবী ব্যক্তির ঘাম, নিশ্চয় মুসলিম অপবিত্র নয়
  • ১৯৭। জানাবাতের সময় বের হওয়া এবং বাজার ইত্যাদিতে চলাফেরা করা।
  • ১৯৮। জুনুবী ব্যক্তির গোসলের আগে উযূ করে ঘরে অবস্থান করা।
  • ১৯৯। জুনুবীর নিদ্রা
  • ২০০. পরিচ্ছেদঃ জুনুবী উযূ করে ঘুমাবে।
  • ২০১। দু’লজ্জাস্থান পরস্পর মিলিত হলে।
  • ২০২। স্ত্রী অঙ্গ থেকে কিছু লাগলে ধুয়ে ফেলা
  • ৬/ হায়য (كتاب الحيض) ৩৭ টি | ২৯০-৩২৬ পর্যন্ত 6/ Menstrual Periods
  • ২০৩। হায়যের ইতিকথা।
  • ২০৪। হায়যের সময় স্বামীর মাথা ধুয়ে দেওয়া ও চুল আঁচড়িয়ে দেওয়া
  • ২০৫। স্ত্রীর হায়য অবস্থায় তার কোলে মাথা রেখে কুরআন তিলাওয়াত করা।
  • ২০৬। নিফাসকে হায়য বলা
  • ২০৭। হায়য অবস্থায় স্ত্রীর সাথে মেলামেশা করা
  • ২০৮। হায়য অবস্থায় সওম ছেড়ে দেওয়া
  • ২০৯। হায়য অবস্থায় কা’বার তাওয়াফ ছাড়া হজ্জের অন্যান্য কাজ করা যায়।
  • ২১০। ইসতিহাযা
  • ২১১। হায়যের রক্ত ধুয়ে ফেলা
  • ২১২। মুসতাহাযা’র ই’তিকাফ
  • ২১৩। হায়য অবস্থায় পরিহিত পোশাকে সালাত আদায় করা যায় কি?
  • ২১৪। হায়য থেকে পবিত্রতার গোসলে সুগন্ধি ব্যাবহার।
  • ২১৫। হায়য এর পরে পবিত্রতা অর্জনের সময় দেহ ঘষামাজা করা, গোসলের পদ্ধতি এবং মিশকযুক্ত বস্ত্রখন্ড দিয়ে রক্তের চিহ্ন পরিষ্কার করা।
  • ২১৬। হায়যের গোসলের বিবরণ।
  • ২১৭। হায়যের গোসলের সময় চুল আঁচড়ানো
  • ২১৮। হায়যের গোসলে চুল খোলা
  • ২১৯। আল্লাহর বাণী "পূর্ণাকৃতি ও অপূর্ণাকৃতি গোশত পিণ্ড” (২২ঃ:৫) প্রসঙ্গে
  • ২২০। ঋতুবতী কিভাবে হজ্জ ও উমরার ইহরাম বাঁধবে?
  • ২২১। হায়য শুরু ও শেষ হওয়া।
  • ২২২। হায়যকালীন সালাতের কাযা নেই।
  • ২২৩। ঋতুবতী মহিলার সঙ্গে হায়যের কাপড় পরিহিত অবস্থায় একত্রে শয়ন
  • ২২৪। হায়যের জন্য সতন্ত্র কাপড় পরিধান করা
  • ২২৫। ঋতুবতী মহিলাদের উভয় ঈদ ও মুসলিমদের দু’আর সমাবেশে উপস্থিত হওয়া এবং ঈদগাহ থেকে দূরে অবস্থান করা
  • ২২৬। একই মাসে তিন হায়য হলে সম্ভাব্য হায়য ও গর্ভধারণের ব্যাপারে স্ত্রীলিকোর কথা গ্রহণযোগ্য।
  • ২২৭। হায়াযের দিনগুলো ছাড়া হলুদ এবং মেটে রং দেখা
  • ২২৮। ইস্তিহাযার শিরা
  • ২২৯। তাওয়াফে যিয়ারতের পর স্ত্রীলোকের হায়য শুরু হলে
  • ২৩০। ইস্তিহাযাগ্রস্তা নারীর পবিত্রতা দেখা।
  • ২৩১। নিফাস অবস্থায় মৃত স্ত্রীলকের সালাতে জানাযা ও তাঁর পদ্ধতি
  • ২৩২। পরিচ্ছেদ নাই।
  • ৭/ তায়াম্মুম (كتاب التيمم) ১৫ টি | ৩২৭-৩৪১ পর্যন্ত 7/ Rubbing hands and feet with dust (Tayammum)
  • ২৩৩। আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ “এবং তোমরা পানি না পেলে পাক মাটি দিয়ে তায়াম্মুম করবে এবং তা তোমরা তোমাদের মুখ ও হাতে বুলাবে” (৪ঃ৪৩)
  • ২৩৪। পরিচ্ছেদঃ মাটি ও পানি পাওয়া না গেলে
  • ২৩৫। মুকীম অবস্থায় পানি না পেলে এবং সালাত ছুটে যাওয়ার ভয় থাকলে তায়াম্মুম করা।
  • ২৩৬। তায়াম্মুমের জন্য মাটিতে হাত মারার পর হস্তদ্বয়ে ফুঁ দেওয়া
  • ২৩৭। মুখমণ্ডল ও হস্তদ্বয়ে তায়াম্মুম করা
  • ২৩৮। পাক মাটি মুসলিমদের উযূর পানির স্থলবর্তী। পবিত্রতার জন্য পানির পরিবর্তে এটাই যথেষ্ট।
  • ২৩৯। জুনুবী ব্যক্তির রোগ বৃদ্ধির, মৃত্যুর বা তৃষ্ণার্ত থেকে যাওয়ার আশঙ্কা বোধ হলে তায়াম্মুম করা।
  • ২৪০। তায়াম্মুমের জন্য মাটিতে একবার হাত মারা
  • ২৪১। পরিচ্ছেদ নাই।
  • ৮/ সালাত (كتاب الصلاة) ১৫৫ টি | ৩৪২-৪৯৬ পর্যন্ত 8/ Prayers (Salat)
  • ২৪২। মি’রাজে কিভাবে সালাত ফরজ হল?
  • ২৪৩। সালাত আদায়ের সময় কাপড় পরার প্রয়জনীয়তা।
  • ২৪৪। সালাতে কাঁধে তহবন্দ বাঁধা।
  • ২৪৫। এক কাপড় গায়ে জড়িয়ে সালাত আদায় করা করা।
  • ২৪৬। কেউ এক কাপড়ে সালাত আদায় করলে সে যেন উভয় কাঁধের উপর (কিছু অংশ) রাখে
  • ২৪৭। কাপড় যদি সংকীর্ণ হয়
  • ২৪৮। শামী জুব্বা পরে সালাত আদায় করা।
  • ২৪৯। সালাতে ও তার বাইরে বিবস্ত্র হওয়া অপছন্দনীয়
  • ২৫০। জামা, পায়জামা, জাঙ্গিয়া কাবা পরে সালাত আদায় করা
  • ২৫১। লজ্জাস্থান ঢাকা
  • ২৫২। চাদর গায়ে না দিয়ে সালাত আদায় করা
  • ২৫৩। ঊরু সম্পর্কে বর্ণনা।
  • ২৫৪। মহিলারা সালাত আদায় করতে কয়টি কাপড় পরবে।
  • ২৫৫। কারুকার্য খচিত কাপড়ে সালাত আদায় করা এবং ঐ কারুকার্যে দৃষ্টি পড়া
  • ২৫৬। ক্রুশ চিহ্ন অথবা ছবিযুক্ত কাপড়ে সালাত ফাসিদ হবে কিনা এবং এ সম্মন্ধে নিষেধাজ্ঞা
  • ২৫৭। রেশমী জুব্বা পরে সালাত আদায় করা ও পরে তা খুলে ফেলা
  • ২৫৮। লাল কাপড় পরে সালাত আদায় করা
  • ২৫৯। ছাদ, মিম্বর ও কাঠের উপর সালাত আদায় করা।
  • ২৬০। মুসল্লীর কাপড় সিজদা করার সময় স্ত্রীর গায়ে লাগা
  • ২৬১। চাটায়ের উপর সালাত আদায় করা।
  • ২৬২। ছোট চাটায়ের উপর সালাত আদায় করা
  • ২৬৩। বিছানায় সালাত আদায় করা।
  • ২৬৪। প্রচণ্ড গরমের সময় কাপড়ের উপর সিজদা করা।
  • ২৬৫। জুতা পরে সালাত আদায় করা
  • ২৬৬। মোজা পরে সালাত আদায় করা
  • ২৬৭। সিজদা পূর্ণভাবে না করলে
  • ২৬৮। সিজদায় বাহুমূল খোলা রাখা এবং দু’পাশ আলগা রাখা
  • ২৬৯। কিবলামূখী হওয়ার ফযীলত।
  • ২৭০। মদীনা, সিরিয়া ও (মদীনার) পূর্ব দিকের অধিবাসীদের কিবলা পূর্বে বা পশ্চিমে নয়। কারণ নবী (ﷺ) বলেছেনঃ তোমরা পায়খানা বা পেশাব করতে কিবলামুখী হবে না, বরং তোমরা (উত্তর অঞ্চলের অধিবাসীরা) পূর্বদিকে কিংবা পশ্চিম দিকে মুখ ফিরাবে
  • ২৭১। মহান আল্লাহর বাণীঃ মাকামে ইবরাহীমকে সালাতের স্থান রূপে গ্রহন কর (২:১২৫)
  • ২৭২। যেখানেই হোক (সালাতে) কিবলামুখী হওয়া।
  • ২৭৩। কিবলা সম্পর্কে বর্ণনা।
  • ২৭৪। মসজিদে থুথু হাতের সাহায্যে পরিষ্কার করা
  • ২৭৫। কাঁকর দিয়ে মসজিদ থেকে নাকের শ্লেস্মা পরিষ্কার করা।
  • ২৭৬। সালাতে ডান দিকে থুথু ফেলবে না
  • ২৭৭। থুথু যেন বাঁ দিকে অথবা পায়ের নীচে ফেলে
  • ২৭৮। মসজিদে থুথু ফেলার কাফফারা
  • ২৭৯। মসজিদে কফ পুঁতে ফেলা
  • ২৮০। থুথু ফেলতে বাধ্য হলে তা কাপড়ের কিনারে ফেলবে।
  • ২৮১। সালাত পূর্ণ করার ও কিবলার ব্যাপারে লোকদেরকে ইমামের উপদেশ দান।
  • ২৮২। অমুক গোত্রের মসজিদ বলা যায় কি?
  • ২৮৪। মসজিদে যাকে খয়ার দাওয়াত দেয়া হয়, আর যিনি তা কবুল করেন।
  • ২৮৫। মসজিদে বিচার করা ও নারী-পুরুষের মধ্যে লি’য়ান করা।
  • ২৮৬। কারো ঘরে প্রবেশ করলে যেখানে ইচ্ছা বা যেখানে নির্দেশ করা হয় সেখানেই সালাত আদায় করবে। এ ব্যাপারে বেশী খোঁজাখুঁজি করবে না।
  • ২৮৭। ঘরে মসজিদ তৈরী করা।
  • ২৮৮। মসজিদে প্রবেশ ও অন্যান্য কাজ ডান দিক থেকে আরম্ভ করা।
  • ২৮৯। জাহিলি যুগের মুশরিকদের কবর খুড়ে ফেলে মসজিদ নির্মাণ করা।
  • ২৯০। ছাগল থাকার স্থানে সালাত আদায় করা।
  • ২৯১। উট রাখার স্থানে সালাত আদায় করা।
  • ২৯২। চুলা আগুন বা এমন কোন বস্তু যার উপাসনা করা হয়, তা সামনে রেখে কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টি হাসিল করারই উদ্দেশ্যে সালাত আদায় করা।
  • ২৯৩। কবরস্থানে সালাত আদায় করা মাকরূহ।
  • ২৯৪। আল্লাহর গযবে বিধ্বস্ত ও আযাবের স্থানে সালাত আদায় করা।
  • ২৯৫। গির্জায় সালাত আদায় করা।
  • ২৯৬। পরিচ্ছেদ নাই।
  • ২৯৭। নবী (ﷺ) এর উক্তিঃ আমার জন্য জমিনকে সালাত আদায়ের স্থান ও পবিত্র হাসিলের উপায় করা হয়েছে।
  • ২৯৮। মসজিদে মহিলাদের ঘুমানো
  • ২৯৯। মসজিদে পুরুষের ঘুমানো।
  • ৩০০। সফর থেকে ফিরে আসার পর সালাত।
  • ৩০১। তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে সে যেন বসার পূর্বে দু’রাকাত সালাত আদায় করে নেয়।
  • ৩০২। মসজিদে হাদাস হওয়া (উযূ নষ্ট হওয়া)
  • ৩০৩। মসজিদ নির্মাণ করা।
  • ৩০৪। মসজিদ নির্মাণে সহযোগিতা।
  • ৩০৫। কাঠের মিম্বর তৈরী ও মসজিদ নির্মাণে কাঠমিস্ত্রী ও রাজমিস্ত্রীর সাহায্য গ্রহণ করা।
  • ৩০৬। যে ব্যক্তি মসজিদ নির্মাণ করে।
  • ৩০৭। মসজিদ অতিক্রম কালে তীরের ফলক ধরে রাখবে।
  • ৩০৮। মসজিদ অতিক্রম করা।
  • ৩০৯। মসজিদে কবিতা পাঠ
  • ৩১০। বর্শা নিয়ে মসজিদে প্রবেশ
  • ৩১১। মসজিদের মিম্বরে ক্রয়-বিক্রয়ের আলোচনা
  • ৩১২। মসজিদে ঋণ পরিশোধের তাগাদা দেওয়া ও চাপ সৃষ্টি করা
  • ৩১৩। মসজিদে ঝাড়ু দেয়া এবং ন্যাকড়া, আবর্জনা ও কাঠ খড়ি কুড়ানো
  • ৩১৪। মসজিদে মদের ব্যবসা হারাম ঘোষণা করা
  • ৩১৫। মসজিদের জন্য খাদিম।
  • ৩১৬। কয়েদী অথবা ঋণগ্রস্ত ব্যক্তিকে মসজিদে বেঁধে রাখা
  • ৩১৭। ইসলাম গ্রহণের সময় গোসল করা এবং এবং কয়েদীকে মসজিদে বাঁধা।
  • ৩১৮। রোগী ও অন্যদের জন্য মসজিদে তাঁবু স্থাপন
  • ৩১৯। প্রয়োজনে উট নিয়ে মসজিদে প্রবেশ করা।
  • ৩২০। পরিচ্ছেদ নাই।
  • ৩২১। মসজিদে ছোট দরজা ও পথ বানানো
  • ৩২২। বায়তুল্লাহ ও অন্যান্য মসজিদের দরজা রাখা ও তালা লাগানো।
  • ৩২৩। মসজিদে মুশরিকের প্রবেশ
  • ৩২৪। মসজিদে আওয়াজ উঁচু করা
  • ৩২৫। মসজিদে হাল্কা বাঁধা ও বসা
  • ৩২৬। মসজিদে চিত হয়ে শোয়া
  • ৩২৭। লোকের অসুবিধা না হলে রাস্তায় মসজিদ বানানো বৈধ।
  • ৩২৮। বাজারের মসজিদে সালাত আদায়।
  • ৩২৯। মসজিদ ও অন্যান্য স্থানে এক হাতের আঙুল অন্য হাতের আঙুল প্রবেশ করানো
  • ৩৩০। মদীনার রাস্তার মসজিদসমূহ এবং যে সকল স্থানে নবী (ﷺ) সালাত আদায় করেছিলেন
  • ৩৩১। ইমামের সুতরাই মুকতাদীর জন্য যথেষ্ট
  • ৩৩২। মুসল্লী ও সুতরার মাঝখানে কি পরিমাণ দূরত্ব থাকা উচিত
  • ৩৩৩। বর্শা সামনে রেখে সালাত আদায়
  • ৩৩৪। লৌহযুক্ত ছড়ি সামনে রেখে সালাত আদায়
  • ৩৩৫। মক্কা ও অন্যান্য স্থানে সুতরা
  • ৩৩৬। স্তম্ভ (থাম) সামনে রেখে সালাত আদায়।
  • ৩৩৭। জামা’আত ব্যতীত স্তম্ভসমূহের মাঝখানে সালাত আদায় করা
  • ৩৩৮। পরিচ্ছেদ নাই।
  • ৩৩৯। উটনী, উট, গাছ ও হাওদা সামনে রেখে সালাত
  • ৩৪০। চৌকি সামনে রেখে সালাত আদায় করা
  • ৩৪১। সম্মুখ দিয়ে অতিক্রমকারীকে মুসল্লীর বাধা দেয়া উচিত।
  • ৩৪২। মুসল্লীর সম্মুখ দিয়ে গমন কারীর গুনাহ
  • ৩৪৩। কারো দিকে মুখ করে সালাত আদায়।
  • ৩৪৪। ঘুমন্ত ব্যক্তির পেছনে সালাত আদায়
  • ৩৪৫। মহিলার পেছন থেকে নফল সালাত আদায়
  • ৩৪৬। কোন কিছু সালাত নষ্ট করে না বলে যিনি মত পোষণ করেন
  • ৩৪৭। সালাতে নিজের ঘাড়ে কোন ছোট মেয়েকে তুলে নেয়া
  • ৩৪৮। এমন বিছানা সামনে রেখে সালাত আদায় করা যাতে ঋতুবতী মহিলা রয়েছে
  • ৩৪৯। সিজদার সুবিধার্থে নিজ স্ত্রীকে সিজদার সময় স্পর্শ করা
  • ৩৫০। মুসল্লীর দেহ থেকে মহিলা কর্তৃক নাপাকী পরিষ্কার করা
  • ৯/ সালাতের ওয়াক্তসমূহ (كتاب مواقيت الصلاة) ৭৯ টি | ৪৯৭-৫৭৫ পর্যন্ত 9/ Time of Prayers
  • ৩৫১। সালাতের সময় ও তার ফযীলত।
  • ৩৫২। আল্লাহ্‌ তায়ালার বাণীঃ আল্লাহর প্রতি নিবিষ্ট চিত্ত হয়ে এবং তোমরা তাঁকে ভয় করো আর সালাত কায়িম করো, এবং মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হয় না।
  • ৩৫৩। সালাত কায়েমের বায়'আত গ্রহণ।
  • ৩৫৪। সালাত হল (গুনাহর) কাফফারা।
  • ৩৫৫। যথাসময়ে সালাত আদায়ের ফযীলত।
  • ৩৫৬। পাঁচ ওয়াক্তের সালাত (গুনাসমূহের) কাফ্‌ফারা।
  • ৩৫৭। নির্ধারিত সময় থেকে বিলম্বে সালাত আদায় করে তার হক নষ্ট করা।
  • ৩৫৮। মুসল্লী সালাতে তার মহান প্রতিপালকের সাথে গোপনে কথা বলে।
  • ৩৫৯। প্রচণ্ড গরমের সময় যুহরের সালাত ঠাণ্ডায় আদায় করা।
  • ৩৬০। সফরকালে গরম কমে গেলে যুহরের সালাত আদায়।
  • ৩৬১। যুহরের ওয়াক্ত হয় সূর্য ঢলে পড়লে।
  • ৩৬২। যুহারের সালাত আসরের ওয়াক্তের আগ পর্যন্ত বিলম্ব করা।
  • ৩৬৩। আসরের ওয়াক্ত
  • ৩৬৪। আসরের ওয়াক্ত।
  • ৩৬৫। যে ব্যাক্তির আসরের সালাত ফাউত হল তার গুনাহ।
  • ৩৬৬। যে ব্যাক্তি আসরের সালাত ছেড়ে দিল তার গুনাহ
  • ৩৬৭। আসরের সালাতের ফযীলত
  • ৩৬৮। সূর্যাস্তের পূর্বে যে ব্যাক্তি আসরের এক রাকআত পায়।
  • ৩৬৯। মাগরিবের ওয়াক্ত। আতা রহঃ বলেন, রুগ্ন ব্যাক্তি মাগরিব ও ইশার সালাত একত্রে আদায় করতে পারে।
  • ৩৭০। মাগরিবকে ইশা বলা যিনি পছন্দ করেন না।
  • ৩৭১। ইশা ও আতামা এর বর্ণনা এবং যিনি এতে কোন আপত্তি করেন না।
  • ৩৭২। ইশার সালাতের ওয়াক্ত লোকজন জামায়েত হয়ে গেলে বা বিলম্বে এলে
  • ৩৭৩। ইশার সালাতের ফযীলত
  • ৩৭৪। ইশার সালাতের আগে ঘুমানো মাকরূহ।
  • ৩৭৫। ঘুম প্রবল হলে ইশার আগে ঘুমানো।
  • ৩৭৬। রাতের অর্ধাংশ পর্যন্ত ইশার ওয়াক্ত।
  • ৩৭৭। ফজরের সালাতের ফযীলত
  • ৩৭৮। ফজরের ওয়াক্ত
  • ৩৭৯। যে ব্যাক্তি ফজরের এক রাকআত পেল।
  • ৩৮০। যে ব্যাক্তি সালাতের এক রাকআত পেল।
  • ৩৮১। ফজরের পর সূর্য উঠার আগে সালাত আদায়।
  • ৩৮২। সূর্যাস্তের পূর্ব মুহূর্তে সালাত আদায়ের উদ্যোগ নিবে না।
  • ৩৮৩। যিনি আসরের ও ফজরের পর ব্যাতিত অন্য সাময়ে সালাত আদায় মাকরূহ মনে করেন না।
  • ৩৮৪। আসরের পর কাযা বা অনুরূপ কোন সালাত আদায় করা।
  • ৩৮৫। মেঘলা দিনে শীগ্র সালাত আদায় করা
  • ৩৮৬। ওয়াক্ত চলে যাওয়ার পর আযান দেওয়া।
  • ৩৮৭। ওয়াক্ত চলে যাওয়ার পর লোকদের নিয়ে জামা'আতে সালাত আদায় করা।
  • ৩৮৮। কেউ যদি কোন ওয়াক্তের সালাত আদায় করতে ভুলে যায়, তাহলে যখন স্মরণ হবে, তখন সে তা আদায় করে নিবে। সে সালাত ব্যাতিত অন্য সালাত পুনরায় আদায় করতে হবে না।
  • ৩৮৯। একাধিক সালাতের কাযা ধারাবাহিকভাবে আদায় করা।
  • ৩৯০। ইশার সালাতের পর গল্প গুজব করা মাকরূহ।
  • ৩৯১। ইশার পর জ্ঞানচর্চা ও কল্যাণকর বিষয়ের আলোচনা।
  • ৩৯২। পরিবার-পরিজন ও মেহমানদের সাথে রাতে কথাবার্তা বলা।
  • ১০/ আযান (كتاب الأذان) ২৫৬ টি | ৫৭৬-৮৩১ পর্যন্ত 10/ Call of Prayers (Adhaan)
  • ৩৯৩। আযানের সূচনা।
  • ৩৯৪। দু' দু'বার আযানের শব্দ বলা।
  • ৩৯৫। কাদ কামাতিস - সালাতু ব্যাতিতি ইকামাতের শব্দগুলো একবার করে বলা।
  • ৩৯৬। আযানের ফযীলত।
  • ৩৯৭। আযানের স্বর উচ্চ করা।
  • ৩৯৮। আযানের কারণে রক্তপাত থেকে নিরাপত্তা পাওয়া।
  • ৩৯৯। মুয়াজ্জিনের আযান শুনলে যা বলতে হয়।
  • ৪০০। আযানের দু'আ
  • ৪০১। আযানের ব্যাপারে কুরআহর মাধ্যমে নির্বাচন।
  • ৪০২। আযানের মধ্যে কথা বলা।
  • ৪০৩। সময় বলে দেওয়ার লোক থাকলে অন্ধ ব্যাক্তি আযান দিতে পারে।
  • ৪০৪। ফজরের ওয়াক্ত হওয়ার পর আযান দেওয়া।
  • ৪০৫। ফজরের ওয়াক্ত হওয়ার আগে আযান দেওয়া।
  • ৪০৬। আযান ইকামতের মধ্যে ব্যাবধান কতটুকু।
  • ৪০৭। ইকামতের জন্য অপেক্ষা করা।
  • ৪০৮। কেউ ইচ্ছা করলে আযান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ে সালাত আদায় করতে পারেন।
  • ৪০৯। সফরে এক মুয়াজ্জিন যেন আযান দেয়।
  • ৪১০। মুসাফিরদের জামা'আত হলে আযান ও আকামত দেওয়া; আরাফা ও মুযদালিফার হুকুমও অনুরূপ প্রচণ্ড শীতের রাতে ও বৃষ্টির সময় মুয়াজ্জিনের এ মর্মে ঘোষণা করা যে, আবাসস্থলই সালাত।
  • ৪১১. মুয়ায্‌যিন কি আযানের সময় ডানে বামে মুখ ফিরাবেন এবং এদিক সেদিক তাকাতে পারবেন?
  • ৪১২. আমাদের সালাত ফাওত হয়ে গেছে’ কারো এরুপ বলা অপছন্দনীয়। বরং আমরা সালাত পাইনি’ এরুপ বলা উচিত। তবে এ ব্যাপারে নবী (ﷺ) যা বলেছেন তাই সঠিক।
  • ৪১৩। সালাতের (জামা’আত) দিকে দৌড়ে আসবে না, বরং শান্তি ও ধীরস্থির ভাবে আসবে।
  • ৪১৪। ইকামতের সময় ইমামকে দেখলে লোকেরা কখন দাঁড়াবে।
  • ৪১৫। তাড়াহুড়া করে সালাতের দিকে দৌড়াতে নেই বরং শান্ত ও ধীরস্থিরভাবে দাঁড়াবে।
  • ৪১৬। কোন কারণে মসজিদ থেকে বের হওয়া যায় কি?
  • ৪১৭। ইমাম যদি বলেন আমি ফিরে আসা পর্যন্ত তোমরা অপেক্ষা কর, তাহলে মুক্তাদিগণ তার জন্য অপেক্ষা করবে।
  • ৪১৮। আমরা সালাত আদায় করিনি’ কারোও এরুপ বলা।
  • ৪১৯। ইকামাতের পর ইমামের কোন প্রয়োজন দেখা দিলে।
  • ৪২০। সালাতের ইকামাত হয়ে গেলে কথা বলা।
  • ৪২১। জামা’আতে সালাত আদায় করা ওয়াজিব।
  • ৪২২। জামা’আতে সালাত আদায়ের ফযীলত।
  • ৪২৩। জামা’আতে ফজরের সালাত আদায়ের ফযীলত।
  • ৪২৪। আউয়াল ওয়াক্তে যোহরের সালাতে যাওয়ার ফযীলত।
  • ৪২৫। (মসজিদে গমনে) প্রতি কদমে সাওয়াবের আশা রাখা।
  • ৪২৬। ইশার সালাত জামা’আতে আদায় করার ফযীলত।
  • ৪২৭। দু’ব্যক্তি বা তার বেশি হলেই জামা’আত।
  • ৪২৮। যিনি সালাতের অপেক্ষায় মসজিদে বসে থাকেন, তাঁর এবং মসজিদের ফযিলত।
  • ৪২৯। সকাল- বিকেল মসজিদে যাওয়ার ফযীলত।
  • ৪৩০। ইকামত হয়ে গেলে ফরয ব্যতীত অন্য কোন সালাত নেই।
  • ৪৩১। কি পরিমাণ রোগ থাকা সত্ত্বেও জামা’আতে শামিল হওয়া উচিত।
  • ৪৩২। বৃষ্টি এবং অন্য কোন ওযর নিজ আবাসে সালাত আদায়ের অনুমতি।
  • ৪৩৩। যারা উপস্থিত হয়েছে তাদের নিয়েই কি ইমাম সালাত আদায় শুরু করবে এবং বৃষ্টির দিনে কি জুমু’আর খুৎবা দিবে?
  • ৪৩৪। খাবার উপস্থিত, এসময় সালাতের ইকামত হল।
  • ৪৩৫। খাবার হাতে থাকা অবস্থায় ইমামকে সালাতের দিকে আহ্বান করলে।
  • ৪৩৬। গার্হস্থ কর্মে ব্যস্ত থাকা অবস্থায় ইকামত হলে, সালাতের জন্য বের হওয়া।
  • ৪৩৭। যিনি কেবলমাত্র রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সালাত ও তাঁর সুন্নাত শিক্ষা দেয়ার উদ্দেশ্যে লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করেন।
  • ৪৩৮। বিজ্ঞ ও মর্যাদাশীল ব্যক্তিই ইমামতির অধিক হকদার।
  • ৪৩৯। কারণবশত ইমামের পাশে দাঁড়ানো।
  • ৪৪০। কোন ব্যাক্তি লোকদের ইমামতি করার জন্য অগ্রসর হলে যদি পূর্ব নির্ধারিত ইমাম এসে যান তাহলে তিনি পিছে সরে আসুন বা না আসুন উভয় অবস্থায় তাঁর সালাত আদায় হয়ে যাবে। এ মর্মে আয়িশা (রাঃ) থেকে হাদীস বর্ণিত আছে।
  • ৪৪১. একাধিক ব্যক্তি কিরাআতে সমান হলে, তাদের মধ্যে বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি ইমাম হবেন।
  • ৪৪২. ইমাম অন্য লোকদের কাছে উপস্থিত হলে, তাদের ইমামতি করতে পারেন।
  • ৪৪৩. ইমাম নির্ধারন করা হয় অনুসরণ করার জন্য।
  • ৪৪৪. মুক্তাদিগন কখন সিজদায় যাবেন? আনাস (রাঃ) বলেন, যখন ইমাম সিজদা করেন তখন তোমরাও সিজদা করবে।
  • ৪৪৫. ইমামের আগে মাথা উঠানো গুনাহ।
  • ৪৪৬. গোলাম, আযাদকৃত গোলাম, অবৈধ সন্তান, বেদুঈন ও নাবালিগের ইমামতি।
  • ৪৪৭. যদি ইমাম সালাত সম্পুর্ণ ভাবে আদায় না করেন আর মুক্তাদিগণ তা সম্পুর্ণভাবে আদায় করেন।
  • ৪৪৮. ফিতনাবাজ ও বিদ’আতীর ইমামতি।
  • ৪৪৯. দু’জনে সালাত আদায় করলে, মুক্তাদী ইমামের ডানপাশে সোজাসুজি দাঁড়াবে।
  • ৪৫০. যদি কেউ ইমামের বাম পাশে দাঁড়ায় এবং ইমাম তাকে ডান পাশে নিয়ে আসেন, তবে কারো সালাত নষ্ট হয় না।
  • ৪৫১. যদি ইমাম ইমামতির নিয়ত না করেন এবং পরে কিছু লোক এসে শামিল হয় এবং তিনি তাদের ইমামতি করেন।
  • ৪৫২. যদি ইমাম সালাত দীর্ঘ করেন এবং কেউ প্রয়োজনবশত (জামাআত থেকে) বেরিয়ে এসে (একাকী) সালাত আদায় করে।
  • ৪৫৩. ইমাম কর্তৃক সালাতে কিয়াম সংক্ষিপ্ত করা এবং রুকু ও সেজদা পুর্ণ ভাবে আদায় করা।
  • ৪৫৪. একাকী সালাত আদায় করলে ইচ্ছানুসারে দীর্ঘায়িত করতে পারে।
  • ৪৫৫. ইমাম সালাত দীর্ঘায়িত করলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা। আবু উসাইদ (র.) তাঁর ছেলেকে বলেছিলেন, বেটা! তুমি আমাদের সালাত দীর্ঘায়িত করে ফেলেছ।
  • ৪৫৬. সালাত সংক্ষেপে এবং পুর্ণভাবে আদায় করা।
  • ৪৫৭. শিশুর কান্নাকাটির কারণে সালাত সংক্ষেপ করা।
  • ৪৫৮. নিজের সালাত আদায় করার পর অন্যে লোকের ইমামতি করা।
  • ৪৫৯. লোকদেরকে ইমামের তাকবীর শোনান।
  • ৪৬০. কোন ব্যক্তির ইমামের ইকতিদা করা এবং অন্যদের সেই মুক্তাদির ইকতিদা করা।
  • ৪৬১. ইমামের সন্দেহ হলে মুক্তাদিদের মত গ্রহণ করা।
  • ৪৬২. সালাতে ইমাম কেঁদে ফেললে।
  • ৪৬৩. ইকামতের সময় এবং এর পরে কাতার সোজা করা।
  • ৪৬৪. কাতার সোজা করার সময় মুকতাদির প্রতি ইমামের ফিরে দেখা।
  • ৪৬৫. প্রথম কাতার
  • ৪৬৬. কাতার সোজা করা সালাতের পুর্ণতার অঙ্গ।
  • ৪৬৭. কাতার সোজা না করার গুনাহ।
  • ৪৬৮. কাতারে কাঁধের সাথে কাঁধ ও পায়ের সাথে পা মেলানো।
  • ৪৬৯. কেউ ইমামের বাম পাশে দাঁড়ালে ইমাম তাকে পিছনে ঘুরিয়ে ডানপাশে দাঁড় করালে সালাত আদায় হবে।
  • ৪৭০. মহিলা একজন হলেও ভিন্ন কাতারে দাঁড়াবে।
  • ৪৭১. মসজিদ ও ইমামের ডানদিক।
  • ৪৭২. ইমাম ও মুক্তাদির মধ্যে দেয়াল বা সুতরা থাকলে।
  • ৪৭৩. রাতের সালাত।
  • ৪৭৪. ফরয তাকবীর বলা ও সালাত শুরু করা।
  • ৪৭৫. সালাত শুরু করার সময় প্রথম তাকবীরের সাথে সাথে উভয় হাত উঠানো।
  • ৪৭৬. তাকবীরে তাহরীমা, রুকুতে যাওয়া এবং রুকু থেকে উঠার সময় উভয় হাত উঠানো।
  • ৪৭৭. উভয় হাত কতটুকু উঠাবে। আবূ হুমাইদ (র.) তাঁর সাথীদের বলেছেন যে, নবী (সাঃ) কাঁধ বরাবর হাত উঠাতেন।
  • ৪৭৮. দু’রাকাআত আদায় করে দাঁড়াবার সময় দু’হাত উঠানো।
  • ৪৭৯. সালাতে ডান হাত বাম হাতের উপর রাখা।
  • ৪৮০. সালাতে খুশু’ (বিনয়, নম্রতা, একাগ্রতা, নিষ্ঠা ও তন্ময়তা)।
  • ৪৮১. তাকবীরে তাহরীমার পরে কি পড়বে।
  • ৪৮২. পরিচ্ছেদ নাই
  • ৪৮৩. সালাতে ইমামের দিকে তাকানো।
  • ৪৮৪. সালাতে আসমানের দিকে চোখ তুলে তাকানো।
  • ৪৮৫. সালাতে এদিক ওদিক তাকান।
  • ৪৮৬. সালাতের মধ্যে কোন কিছু ঘটলে বা কোন কিছু দেখলে বা কিবলার দিকে থুথু দেখলে, সে দিকে তাকান। সাহল (র.) বলেছেন, আবূ বকর (রাঃ) তাকালেন এবং নবী (ﷺ)-কে দেখলেন।
  • ৪৮৭. সব সালাতেই ইমাম ও মুকতাদীর কিরাআত পড়া যরুরী, মুকীম অবস্থায় হোক বা সফরে, সশব্দ কিরাআতের সালাত হোক বা নিঃশব্দের, সব সালাতেই ইমাম ও মুকতাদীর কিরাআত পড়া যরুরী।
  • ৪৮৮. যুহরের সালাতে কিরাআত পড়া।
  • ৪৮৯. আসরের সালাতে কিরাআত।
  • ৪৯০. মাগরিবের সালাতে কিরাআত।
  • ৪৯১. ইশার সালাতে সশব্দে কিরাআত।
  • ৪৯২. ইশার সালাতে সিজদার আয়াত (সম্বলিত সূরা) তিলওয়াত।
  • ৪৯৩. ইশার সালাতে কিরাআত।
  • ৪৯৪. প্রথম দু’রাকাআতে কিরায়াত দীর্ঘ করা ও শেষ দু’রাকায়াতে তা সংক্ষেপ করা।
  • ৪৯৫. ফজরের সালাতে কিরাআত। উম্মে সালামা (রা.) বলেন, নবী (সাঃ) সূরা তূর পড়েছেন।
  • ৪৯৬. ফজরের সালাতে স্বশব্দে কিরাআত।
  • ৪৯৭. এক রাকাআতে দু’সূরা মিলিয়ে পড়া, সূরার শেষাংশ পড়া, এক সূরার আগে আরেক সূরা পড়া এবং সূরার প্রথমাংশ পড়া।
  • ৪৯৮. শেষ দু’রাকাইতে সূরা ফাতিহাহ্ পড়া।
  • ৪৯৯. যুহরে ও আসরে নিঃশব্দে কিরাআত পড়া।
  • ৫০০. ইমাম আয়াত শুনিয়ে পাঠ করলে।
  • ৫০১. প্রথম রাকাআতে কিরাআতে দীর্ঘ করা।
  • ৫০২. ইমামের সশব্দে ‘আমীন’ বলা।
  • ৫০৩. আমীন বলার ফযীলত
  • ৫০৪. মুকতাদীর সশব্দে ‘আমীন’ বলা।
  • ৫০৫. কাতারে পৌছার আগেই রুকূতে চলে গেলে।
  • ৫০৬. রুকূ’তে তাকবীর পূর্ণভাবে বলা।
  • ৫০৭. সিজদার তাকবীর পূর্ণভাবে বলা।
  • ৫০৮. সিজদা থেকে দাঁড়ানোর সময় তাকবীর বলা।
  • ৫০৯. রুকূ’তে হাঁটুর উপর হাত রাখা। আবূ হুমাইদ (রা.) তাঁর সঙ্গীদের সামনে বলেছেন, নবী (ﷺ) (রুকূ’র সময়) দু’হাত দিয়ে উভয় হাঁটুতে ভর দিতেন।
  • ৫১০. যদি কেউ সঠিকভাবে রুকু’ না করে।
  • ৫১২. রুকূ’ পূর্ণ করার সময় সীমা এবং এতে মধ্যম পন্থা ও ধীরস্থিরতা অবলম্বন।
  • ৫১৩. যে ব্যক্তি সঠিক রুকু’ করেনি তাকে পুণরায় সালাত আদায়ের জন্য নবী (ﷺ) এর নির্দেশ।
  • ৫১৪. রুকূ’তে দু’আ।
  • ৫১৫. রুকূ’ থেকে মাথা উঠানোর সময় ইমাম ও মুকতাদী যা বলবেন।
  • ৫১৬. ‘আল্লাহুম্মা রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদ’-এর ফযীলত।
  • ৫১৭. পরিচ্ছেদ নাই
  • ৫১৮. রুকূ’ থেকে মাথা উঠানের পর স্থির হওয়া। আবূ হুমাইদা (র.) বর্ণনা করেন, নবী (ﷺ) উঠে এমনভাবে সোজা হয়ে দাঁড়াতেন যে, মেরুদন্ডের হাড় যথাস্থানে ফিরে আসতো।
  • ৫১৯. সিজদায় যাওয়ার সময় তাকবীর বলতে বলতে নত হওয়। নাফি’ (র.) বলেন, ইবন উমর (রা.) সিজদায় যাওয়ার সময় হাঁটু রাখার আগে হাত রাখতেন।
  • ৫২০. সিজদার ফযীলত
  • ৫২১. সিজদার সময় দু’বাহু পার্শ্ব দেশ থেকে পৃথক রাখা।
  • ৫২৩. পূর্ণভাবে সিজদা না করলে।
  • ৫২৪. সাত অঙ্গ দ্বারা সিজদা করা।
  • ৫২৫. নাক দ্বারা সিজদা করা।
  • ৫২৬. নাক দ্বারা কাদামাটির উপর সিজদা করা।
  • ৫২৭. কাপড়ে গিরা লাগানো ও তা বেঁধে নেওয়া এবং সতর প্রকাশ হয়ে পড়ার আশংকায় কাপড় জড়িয়ে নেওয়া।
  • ৫২৮. (সালাতের মধ্যে মাথার) চুল একত্র করবে না।
  • ৫২৯. সালাতের মধ্যে কাপড় টেনে না ধরা।
  • ৫৩০. সিজদায় তাসবীহ ও দু’আ পাঠ।
  • ৫৩১. দু' সিজদার মধ্যে অপেক্ষা করা।
  • ৫৩২. সিজদায় কনুই বিছিয়ে না দেওয়া। আবূ হুমাইদ (রা.) বর্ণনা করেন, নবী (ﷺ) সিজদা করেছেন এবং তাঁর দু’হাত রেখেছেন, কিন্তু বিছিয়েও দেননি আবার তা গুটিয়েও রাখেন নি।
  • ৫৩৩. সালাতের বেজোড় রাকাআতে সিজদা থেকে উঠে বসার পড় দাঁড়ানো।
  • ৫৩৪. রাকাআত শেষে কিভাবে জমিতে ভর দিয়ে দাঁড়াবে।
  • ৫৩৫. দু’ সিজদার শেষে উঠার সময় তাকবীর বলবে। ইবন যুবায়র (রা.) উঠার সময় তাকবীর বলতেন।
  • ৫৩৬. তাশাহহুদে বসার পদ্ধতি।
  • ৫৩৭. যারা প্রথম বৈঠকে তাশাহহুদ ওয়াজিব নয় বলে মনে করেন। কেননা, নবী (ﷺ) দু’ রাকাআত শেষে (তাশাহহুদ না পড়ে) দাঁড়ালেন এবং আর (বসার জন্য) ফেরেন নি।
  • ৫৩৮. প্রথম বৈঠকে তাশাহহুদ পাঠ করা।
  • ৫৩৯. শেষ বৈঠকে তাশাহহুদ পড়া।
  • ৫৪০. সালামের পূর্বে দু’আ।
  • ৫৪১. তাশাহহুদের পর যে দু’আটি বেছে নেওয়া হয়, অথচ তা ওয়াজিব নয়।
  • ৫৪২. সালাত শেষ হওয়া পযন্ত যিনি কপাল ও নাকের ধুলাবালি মোছেন নি।
  • ৫৪৩. সালাম ফিরান
  • ৫৪৪. ইমামের সালাম ফিরানের সময় মুকতাদীগণও সালাম ফিরাবে।
  • ৫৪৫. যারা ইমামের সালামের জবাব দেওয়া প্রয়োজন মনে করেন না এবং সালাতের সালামকেই যথেষ্ট মনে করেন।
  • ৫৪৬. সালামের পর যিকর।
  • ৫৪৭. সালাম ফিরানোর পর ইমাম মুক্তাদীগণের দিকে ফিরবেন ।
  • ৫৪৮. সালামের পরে ইমামের মুসাল্লায় বসে থাকা।
  • ৫৪৯. মুসল্লীদের নিয়ে সালাত আদায়ের পর কোন প্রয়োজনীয় কথা মনে পড়লে তাদের ডিঙ্গিয়ে যাওয়া।
  • ৫৫০. সালাত শেষে ডান বা বাঁ দিকে ফিরে যাওয়া।
  • ৫৫১. কাচা রসুন, পিয়াজ ও দুর্গন্ধ যুক্ত মশলা বা তরকারী।
  • ৫৫২. শিশুদের উযূ করা, কখন তাদের উপর গোসল ও পবিত্রতা অর্জন ওয়াজিব হয় এবং সালাতের জামা’আতে, দু’ঈদে এবং জানাযায় তাদের হাযির হওয়া এবং কাতারবন্দী হওয়া ।
  • ৫৫৩. রাতে ও অন্ধকারে মহিলাগণের মসজিদের উদ্দেশ্যে বের হওয়া।
  • ৫৫৪. পুরুষগণের পিছনে মহিলাগণের সালাত।
  • ৫৫৬. মসজিদে যাওয়ার জন্য স্বামীর নিকট মহিলার অনুমতি চাওয়া।
  • ১১/ জুমু'আ (كتاب الجمعة) ৬৩ টি | ৮৩২-৮৯৪ পর্যন্ত 11/ Friday prayer (Jumu'a)
  • ৫৫৭. জুমু’আ ফরয হওয়া।
  • ৫৫৮. জুমু’আর দিন গোসল করার ফযীলত। শিশু কিংবা মহিলাদের জুমু’আর দিনে (সালাতের জন্য) হাযির হওয়া কি প্রয়োজন ?
  • ৫৫৯. জুমু’আর জন্য সুগন্ধি ব্যবহার ।
  • ৫৬০. জুমু’আর ফযীলত ।
  • ৫৬১. জুমু’আর জন্য তৈল ব্যবহার ।
  • ৫৬২. যা আছে তার মধ্য থেকে উত্তম কাপড় পরিধান করবে ।
  • ৫৬৩. জুমু’আর দিন মিসওয়াক করা।
  • ৫৬৪. অন্যের মিসওয়াক দিয়ে মিসওয়াক করা।
  • ৫৬৫. জুমু’আর দিন ফজরের সালাতে কী পড়তে হবে?
  • ৫৬৬. গ্রামে ও শহরে জুমু’আর সালাত ।
  • ৫৬৭. মহিলা, বালক-বালিকা এবং অন্য যারা জুমু’আয় হাযির হয় না, তাদের কি গোসল করা প্রয়োজন? ইবন উমর (রাঃ) বলেছেন, যাদের উপর সালাত ওয়াজিব, শুধু তাদের গোসল করা প্রয়োজন ।
  • ৫৬৮. বৃষ্টির কারণে জুমু’আর সালাতে হাযির না হওয়ার অবকাশ ।
  • ৫৬৯. কতদুর থেকে জুমু’আর সালাতে আসবে এবং জুমু’আ কার উপর ওয়াজিব? কেননা, আল্লাহ তা’আলা বলেছেনঃ জুমু’আর দিন যখন সালাতের জন্য আহ্বান করা হয়, (তখন) আল্লাহ্‌র যিকরের দিকে দৌড়িয়ে যাও।
  • ৫৭০. সূর্য হেলে গেলে জুমু’আর ওয়াক্ত হয়।
  • ৫৭১. জুমু’আর দিন যখন সূর্যের তাপ প্রখর হয় ।
  • ৫৭২. জুমু’আর জন্য পায়ে হেঁটে চলা।
  • ৫৭৩. জুমু’আর দিন সালাতে দু’জনের মধ্যে ফাঁক না করা ।
  • ৫৭৪. জুমু’আর দিন কোন ব্যক্তি তার ভাইকে উঠিয়ে দিয়ে তার জায়গায় বসবে না ।
  • ৫৭৫. জুমু’আর দিনের আযান ।
  • ৫৭৬. জুমু’আর দিন এক মুয়াজ্জিনের আযান দেওয়া ।
  • ৫৭৭. ইমাম মিম্বরের উপর বসে জবাব দিবেন, যখন আযানের আওয়ায শুনবেন।
  • ৫৭৮. আযানের সময় মিম্বারের উপর বসা।
  • ৫৭৯. খুতবার সময় আযান।
  • ৫৮০. মিম্বরের উপর খুতবা দেওয়া। আনাস (রাঃ) বলেছেন, নবী করীম (ﷺ) মিম্বর থেকে খুতবা দিতেন।
  • ৫৮১. দাঁড়িয়ে খুতবা দেওয়া। আনাস (রাঃ) বলেছেন, নবী (ﷺ) দাঁড়িয়ে খুতবা দিতেন।
  • ৫৮২. খুতবার সময় মুসাল্লীগণের ইমামের দিকে আর ইমাম মুসাল্লীগণের দিকে মুখ করা। ইবন উমর ও আনাস (রাঃ) ইমামের দিকে মুখ করতেন।
  • ৫৮৩. খুতবায় আল্লাহ্‌র প্রশংসার পর ‘আম্‌মা বা’দু’ বলা।
  • ৫৮৪. জুমু’আর দিন খুতবার মাঝে বসা।
  • ৫৮৫. মনোযোগসহ খুতবা শোনা ।
  • ৫৮৬. ইমাম খুতবা দেওয়ার সময় কাউকে আসতে দেখলে তাকে দু’ রাকা’আত সালাত আদায়ের আদেশ দেওয়া।
  • ৫৮৭. ইমাম খুতবা দেওয়ার সময় যিনি মসজিদে আসবেন তার সংক্ষেপে দু’ রাকা’আত সালাত আদায় করা।
  • ৫৮৮. খুতবায় দু’হাত উঠানো ।
  • ৫৮৯. জুমু’আর দিন খুতবায় বৃষ্টির জন্য দু’আ ।
  • ৫৯০. জুমু’আর দিন ইমাম খুতবা দেওয়ার সময় অন্যকে চুপ করানো। যদি কেউ তার সাথীকে (মুসল্লীকে) বলে চুপ থাক, তাহলে সে একটি অনর্থক কথা বললো।
  • ৫৯১. জুমুআর দিনের সে মুহূর্তটি।
  • ৫৯২. জুমু’আর সালাতে কিছু মুসল্লী যদি ইমামের নিকট থেকে চলে যান তা হলে ইমাম ও অবশিষ্ট মুসল্লীগণের সালাত জায়িয হবে।
  • ৫৯৩. জুমু’আর (ফরয সালাতের) আগে ও পরে সালাত আদায় করা ।
  • ৫৯৪. মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ “অতঃপর যখন সালাত শেষ হবে তখন তোমরা যমীনে ছড়িয়ে পড়বে এবং আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ সন্ধান করবে।
  • ৫৯৫. জুমু’আর পরে কায়লূলা (দুপুরের শয়ন ও হালকা নিদ্রা) ।
  • ১২/ শত্রুভীতি অবস্থায় সালাত (كتاب صلاة الخوف) ৬ টি | ৮৯৫-৯০০ পর্যন্ত 12/ Fear Prayer
  • ৫৯৬. খাওফের সালাত (শত্রুভীতি অবস্থায় সালাত)।
  • ৫৯৭. পদাতিক বা আরোহী অবস্থায় খাওফের সালাত ।
  • ৫৯৮. খাওফের সালাতে মুসল্লীগণের একাংশ অন্য অংশকে পাহারা দিবে।
  • ৫৯৯. দুর্গ অবরোধ ও শত্রুর মুখোমুখী অবস্থায় সালাত।
  • ৬০০. শত্রুর পশ্চাদ্ধাবনকারী ও শত্রুতাড়িত ব্যক্তির আরোহী অবস্থায় ও ইশারায় সালাত আদায় করা।
  • ৬০১. তাকবীর বলা, ফজরের সালাত সময় হওয়া মাত্র আদায় করা এবং শত্রুর উপর অতর্কিত আক্রমন ও যুদ্ধাবস্থায় সালাত।
  • ১৩/ দুই ঈদ (كتاب العيدين) ৩৬ টি | ৯০১-৯৩৬ পর্যন্ত 13/ The Two Festivals (Eids)
  • ৬০২. দুই ঈদ ও এতে সুন্দর পোশাক পরা
  • ৬০৩. ঈদের দিন বর্ষা ও ঢালের খেলা।
  • ৬০৪. মুসলিমগণের প্রতি উভয় ঈদের রীতিনীতি।
  • ৬০৫. ঈদুল ফিতরের দিন বের হওয়ার আগে আহার করা।
  • ৬০৬. কুরবানীর দিন আহার করা।
  • ৬০৭. মিম্বর না নিয়ে ঈদগহে গমন।
  • ৬০৮. পায়ে হেঁটে বা সাওয়ারীতে আরোহণ করে ঈদের জামাআতে যাওয়া এবং আযান ও ইকামত ছাড়া খুতবার পূর্বে সালাত আদায় করা।
  • ৬০৯. ঈদের সালাতের পর খুতবা।
  • ৬১০. ঈদের জামা’আতে এবং হারাম শরীফে অস্ত্রবহণ নিষিদ্ধ।
  • ৬১১. ঈদের সালাতের জন্য সকাল সকাল রওয়ানা হওয়া।
  • ৬১২. তাশরীকের দিনগুলোতে আমলের ফযীলত।
  • ৬১৩. মিনা এর দিনগুলোতে এবং সকালে আরাফায় যাওয়ার সময় তাকবীর বলা।
  • ৬১৪. ঈদের দিন বর্শা সামনে পুতে সালাত আদায়।
  • ৬১৫. ঈদের দিন ইমামের সামনে বল্লম অথবা বর্শা বহন করা।
  • ৬১৬. মহিলাদের এবং মাসিকচলা মহিলাদের ঈদগাহে গমন।
  • ৬১৭. বালকদের ঈদগাহে গমন।
  • ৬১৮. ঈদের খুতবা দেওয়ার সময় মুসল্লীগণের দিকে ইমামের মুখ করে দাঁড়ানো।
  • ৬১৯. ঈদগাহে চিহ্ন রাখা।
  • ৬২০. ঈদের দিন মহিলাগণের প্রতি ইমামের উপদেশ দেওয়া।
  • ৬২১. ঈদের সালাতে যাওয়ার জন্য মহিলাগনের ওড়না না থাকলে।
  • ৬২২. ঈদগাহে ঋতুমতী মহিলাগনের পৃথক অবস্থান।
  • ৬২৩. কুরবানীর দিন ঈদগাহে নাহর ও যবেহ।
  • ৬২৪. ঈদের খুতবার সময় ইমাম ও লোকদের কথা বলা এবং খুতবার সময় ইমামের নিকট কোন প্রশ্ন করা হলে।
  • ৬২৫. ঈদের দিন ফিরার সময় যে ব্যক্তি ভিন্ন পথে আসে।
  • ৬২৬. কেই ঈদের সালাত না পেলে সে দু’রাকা’আত সালাত আদায় করবে।
  • ৬২৭. ঈদের সালাতের পুর্বে ও পরে সালাত আদায় করা।
  • ১৪/ বিতর সালাত (كتاب الوتر) ১৪ টি | ৯৩৭-৯৫০ পর্যন্ত 14/ Witr Prayer
  • ৬২৮. বিতরের বিবরণ।
  • ৬২৯. বিতরের সময়।
  • ৬৩০. বিতরের জন্য নবী করীম (ﷺ) কর্তৃক তার পরিবারবর্গকে জাগানো।
  • ৬৩১. রাতের সর্বশেষ সালাত যেন বিতর হয়।
  • ৬৩২. সাওয়ারী জন্তুর উপর বিতরের সালাত।
  • ৬৩৩. সফর অবস্থায় বিতর।
  • ৬৩৪. রুকুর আগে ও পরে কুনূত পাঠ করা।
  • ১৫/ বৃষ্টির জন্য দু'আ (كتاب الاستسقاء) ৩২ টি | ৯৫১-৯৮২ পর্যন্ত 15/ Invoking Allah for Rain (Istisqaa)
  • ৬৩৫. বৃষ্টির জন্য দু'আ এবং দু'আর উদ্দেশ্যে নবী (ﷺ) এর বের হওয়া।
  • ৬৩৬. নবী (ﷺ) এর দু'আ ইউসুফ (আঃ) এর যমানার দুর্ভিক্ষের বছরগুলোর মত (এদের উপরেও) কয়েক বছর দুর্ভিক্ষ দিন।
  • ৬৩৭. অনাবৃষ্টির সময় লোকদের ইমামের নিকট বৃষ্টির জন্য দু’আর আবেদন।
  • ৬৩৮. ইসতিসকায় চাদর উল্টানো।
  • ৬৪০. জামে মসজিদে বৃষ্টির জন্য দু’আ।
  • ৬৪১. কিবলার দিকে মুখ না করে জুমু’আর খুতবায় বৃষ্টির জন্য দু’আ করা।
  • ৬৪২. মিম্বারে দাঁড়িয়ে বৃষ্টির জন্য দোয়া।
  • ৬৪৩. বৃষ্টির দু’আর জন্য জুমু’আর সালাতকে যথেষ্ঠ মনে করা।
  • ৬৪৪. অধিক বৃষ্টির কারণে রাস্তার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে দু’আ করা।
  • ৬৪৫. বলা হয়েছে, জুমু’আর দিন বৃষ্টির জন্য দু’আ করার সময় নবী (ﷺ) তাঁর চাঁদর উল্টান নি।
  • ৬৪৬. বৃষ্টির জন্য ইমামকে দু’আ করার অনুরোধ করা হলে তা প্রত্যাখ্যান না করা।
  • ৬৪৭. দুর্ভিক্ষের সময় মুশরিকরা মুসলিমদের নিকট বৃষ্টির জন্য দু’আর আবেদন করলে।
  • ৬৪৮. অধিক বর্ষনের সময় এ রূপ দু’আ করা “যেন পার্শ্ববর্তী এলাকায় বৃষ্টি হয় আমাদের এলাকায় হয়।
  • ৬৪৯. দাঁড়িয়ে ইসতিসকার দু’আ করা।
  • ৬৫০. ইসতিসকায় সশব্দে কিরাআত পাঠ।
  • ৬৫১. নবী (ﷺ) কিভাবে মানুষের দিকে পিঠ ফিরালেন।
  • ৬৫২. ইসতিসকার সালাত দু’রাকাআত।
  • ৬৫৩. ঈদগাহে ইসতিসকা।
  • ৬৫৪. বৃষ্টির জন্য দু’আর সময় কিবলামুখী হওয়া।
  • ৬৫৫. ইসতিসকায় ইমামের সঙ্গে লোকদের হাত উঠানো।
  • ৬৫৬. ইসতিসকায় ইমামের হাত উঠানো।
  • ৬৫৭. বৃষ্টিপাতের সময় কি পড়তে হয়।
  • ৬৫৮. বৃষ্টিতে কেউ এমনভাবে ভিজে যাওয়া যে, দাঁড়ি বেয়ে পানি ঝরালো।
  • ৬৫৯. যখন বায়ু প্রবাহিত হয়।
  • ৬৬০. নবী (ﷺ) এর উক্তি, “আমাকে পূবালী হাওয়া দিয়ে সাহায্য করা হয়েছে”।
  • ৬৬১. ভুমিকম্প ও কিয়ামতের আলামত সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে।
  • ৬৬২. আল্লাহ্‌ তা’লার বাণীঃ وَتَجْعَلُونَ رِزْقَكُمْ أَنَّكُمْ تُكَذِّبُونَ এবং তোমরা মিথ্যা আরোপকেই তোমাদের উপজীব্য করেছ। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, 'রিযক' দ্বারা এখানে 'কৃতজ্ঞতা' বুঝানো হয়েছে।
  • ৬৬৩. কখন বৃষ্টি হবে তা মহান আল্লাহ্‌ ব্যতীত কেউ জানে না।
  • ১৬/ সূর্যগ্রহন (كتاب الكسوف) ২৩ টি | ৯৮৩-১০০৫ পর্যন্ত 16/ Eclipses
  • ৬৬৪. সুর্যগ্রহণের সময় সালাত।
  • ৬৬৫. সূর্যগ্রহণের সময় সাদাকা করা।
  • ৬৬৬. সালাতুল কুসূফের জন্য ‘আস-সালাতু জামিয়াতুন’ বলে আহ্বান।
  • ৬৬৭. সূর্যগ্রহণের সময় ইমামের খুৎবা।
  • ৬৬৮. ‘কাশাফাতিশ শামসু’ বলবে, না ‘খাসাফাতিশ শামসু’ বলবে? আল্লাহ্‌ তা’লা বলেছে, ওয়া খাসাফাল কামারু’।
  • ৬৬৯. নবী (ﷺ) এর উক্তিঃ আল্লাহ্‌ তা’লা সূর্যগ্রহণ দিয়ে তাঁর বান্দাদের সতর্ক করেন।
  • ৬৭০. সূর্যগ্রহণের সময় কবর আযাব থেকে পানাহ চাওয়া।
  • ৬৭১. সূর্যগ্রহনের সালাতে দীর্ঘ সিজদা করা।
  • ৬৭২. সূর্যগ্রহণের সালাত জামা’আতে আদায় করা।
  • ৬৭৩. সূর্যগ্রহণের সময় পুরুষদের সঙ্গে মহিলাদের সালাত।
  • ৬৭৪. সূর্যগ্রহনের সময় গোলাম আযাদ করা পছন্দনীয়।
  • ৬৭৫. মসজিদে সূর্যগ্রহণের সালাত।
  • ৬৭৬. কারো মৃত্যু বা জন্মের কারণে সূর্যগ্রহণ হয় না।
  • ৬৭৭. সূর্যগ্রহণের সময় আল্লাহ্‌র যিকর।
  • ৬৭৮. সূর্যগ্রহনের সময় দু'আ।
  • ৬৮০. চন্দ্রগ্রহণের সালাত।
  • ৬৮১. সূর্যগ্রহনের সালাতে প্রথম রাকা’আত হবে দীর্ঘতর।
  • ৬৮২. সূর্যগ্রহণের সালাতে সশব্দে কিরআত পাঠ।
  • ১৭/ কুরআন তিলওয়াতে সিজদা (كتاب سجود القرآن) ১৩ টি | ১০০৬-১০১৮ পর্যন্ত 17/ Prostration During Recital of Qur'an
  • ৬৮৩. কুরআন তিলাওয়াতের সিজ্দা ও এর পদ্ধতি।
  • ৬৮৪. সূরা তানযীলুস্-সাজদা-এর সিজদা।
  • ৬৮৫. সূরা সোয়াদ- এর সিজ্দা।
  • ৬৮৬. সূরা আন্ নাজ্‌মের- এর সিজদা।
  • ৬৮৭. মুশরিকদের সাথে মুসলিমগণের সিজদা করা আর মুশরিকরা অপবিত্র। তাদের উযু হয় না। আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা.) বিনা উযুতে তিলাওয়াতের সিজদা করেছেন।
  • ৬৮৮. যিনি সিজ্দার আয়াত তিলাওয়াত করলেন। অথচ সিজ্দা করলেন না।
  • ৬৮৯ সূরা ‘ইযাস্ সামাউন্ শাক্কাত’ এর সিজ্দা।
  • ৬৯০. তিলাওয়াতকারীর সিজদার কারণে সিজদা করা।
  • ৬৯১. ইমাম যখন সিজদার আয়াত তিলাওয়াত করেন তখন লোকের ভীড়।
  • ৬৯২. যাঁরা অভিমত প্রকাশ করেন যে, আল্লাহ্ তা’আলা তিলাওয়াতের সিজদা ওয়াজিব করেন নি।
  • ৬৯৩. সালাতে সিজ্দার আয়াত তিলাওয়াত করে সিজ্দা করা।
  • ৬৯৪. ভীড়ের কারণে সিজ্দা দিতে জায়গা না পেলে।
  • ১৮/ সালাতে কসর করা (كتاب التقصير) ৩৫ টি | ১০১৯-১০৫৩ পর্যন্ত 18/ Shortening The Prayer (At-Taqseer)
  • ৬৯৫. কসর সম্পর্কে বর্ণনা এবং কতদিন অবস্থান পর্যন্ত কসর চলবে।
  • ৬৯৬. মিনায় সালাত।
  • ৬৯৭. নবী করীম (ﷺ) বিদায় হজ্জে কত দিন অবস্থান করেছিলেন?
  • ৬৯৮. কত দিনের সফরে সালাত কসর করবে।
  • ৬৯৯. যখন নিজ আবাসস্থল থেকে বের হবে তখন থেকেই কসর করবে। আলী (রা.) বের হওয়ার পরই কসর করলেন। অথচ তাঁকে বলা হল, এ তো কূফা। তিনি বললেন, না, যতক্ষণ পর্যন্ত কূফায় প্রবেশ না করি।
  • ৭০০. সফরে মাগরিবের সালাত তিন রাকা’আত আদায় করা।
  • ৭০১. সাওয়ারীর উপরে সাওয়ারী যে দিকে মুখ করে সেদিকে ফিরে নফল সালাত আদায় করা।
  • ৭০২. জন্তুর উপর ইশারায় সালাত আদায় করা।
  • ৭০৩. ফরয সালাতের জন্য সাওয়া্রী থেকে অবতরণ করা।
  • ৭০৪. গাধার উপর নফল সালাত আদায় করা।
  • ৭০৫. সফরকালে ফরয সালাতের আগে ও পরে নফল সালাত আদায় না করা।
  • ৭০৬. সফরে ফরয সালাতের আগে ও পরে নফল আদায় করা।
  • ৭০৭. সফরে মাগরিব ও ইশার সালাত একত্রে আদায় করা।
  • ৭০৮. মাগরিব ও ইশা একত্রে আদায় করলে আযান দিবে, না ইকামাত?
  • ৭০৯. সূর্য ঢলে পড়ার আগে সফরে রওয়ানা হলে যুহরের সালাত আসরের সময় পর্যন্ত বিলম্বিত করা।
  • ৭১০. সূর্য ঢলে পড়ার পর সফর শুরু করলে যুহরের সালাত আদায় করে সাওয়ারীতে আরোহণ করা।
  • ৭১১. উপবিষ্ট ব্যক্তির সালাত।
  • ৭১২. উপবিষ্ট ব্যক্তির ইশারায় সালাত আদায়।
  • ৭১৩. বসে সালাত আদায় করতে না পারলে কাত হয়ে শুয়ে সালাত আদায় করবে।
  • ৭১৪. বসে সালাত আদায় করলে সুস্থ হয়ে গেলে কিংবা একটু হালকাবোধ করলে, বাকী সালাত (দাঁড়িয়ে) পূর্ণভাবে আদায় করবে।
  • ১৯/ তাহাজ্জুদ বা রাতের সালাত (كتاب التهجد) ১১১ টি | ১০৫৪-১১৬৪ পর্যন্ত 19/ Prayer At Night (Tahajjud)
  • ৭১৫. তাহজ্জুদ (ঘুম থেকে জেগে) সালাত আদায় করা। মহান আল্লাহর বাণীঃ “ আর আপনি রাতের এক অংশে তাহজ্জুদ আদায় করুন, যা আপনার জন্য অতিরিক্ত কর্তব্য”।
  • ৭১৬. রাত জেগে ইবাদত করার ফযীলত।
  • ৭১৭. রাতের সালাতে সিজ্দা দীর্ঘ করা।
  • ৭১৮. অসুস্থ ব্যক্তির তাহজ্জুদ আদায় না করা।
  • ৭১৯. তাহজ্জুদ ও নফল ইবাদতের প্রতি নবী (ﷺ) এর উৎসাহ প্রদান, অবশ্য তিনি তা ওয়াজিব করেন নি।
  • ৭২০. নবী (ﷺ) এর তাহজ্জুদের সালাতে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়ানোর ফলে তাঁর উভয় কদম মুবারক ফুলে যেতো।
  • ৭২১. সাহরীর সময় যে ঘুমিয়ে পড়েন।
  • ৭২২. সাহরীর পর ফজরের সালাত পর্যন্ত জাগ্রত থাকা।
  • ৭২৩. তাহজ্জুদের সালাত দীর্ঘায়িত করা।
  • ৭২৪. নবী (ﷺ) এর সালাত কিরূপ ছিল এবং রাতে তিনি কত রাকা’আত সালাত আদায় করতেন?
  • ৭২৫. নবী (ﷺ) এর ইবাদাতে রাত জাগরণ এবং তাঁর ঘুমানো আর রাত জাগার যতটুক রহিত করা হয়েছে।
  • ৭২৬. রাতের বেলা সালাত আদায় না করলে গ্রীবাদেশ শয়তানের গ্রন্থী বেধে দেওয়া।
  • ৭২৭. সালাত আদায় না করে ঘুমিয়ে পড়লে শয়তান তার কানে পেশাব করে দেয়।
  • ৭২৮. রাতের শেষভাগে দু’আ করা ও সালাত আদায় করা। আল্লাহ্পাক ইরশাদ করেছেনঃ রাতের সামান্য পরিমাণ (সময়) তাঁরা নিদ্রারত থাকেন, শেষ রাতে তাঁরা েইসতিগ্ফর করেন। (সূরা আয্-যারিয়াতঃ ১৮)।
  • ৭২৯. যে ব্যক্তি রাতের প্রথমাংশে ঘুমিয়ে থাকে এবং শেষ অংশকে (ইবাদাত দ্বারা) প্রাণবন্ত রাখে।
  • ৭৩০. রামাযানে ও অন্যান্য সময়ে নবী (ﷺ) এর রাত জেগে ইবাদাত।
  • ৭৩১. রাতে ও দিনে তাহারাত (পবিত্রতা) হাসিল করার ফযীলত এবং উযূ করার পর রাতে ও দিনে সালাত আদায়ের ফযীলত।
  • ৭৩২. ইবাদতে কঠোরতা অবলম্বন অপছন্দনীয়।
  • ৭৩৩. রাত জেগে ইবাদাতকারীর ঐ ইবাদাত বাদ দেওয়া মাকরূহ।
  • ৭৩৪. পরিচ্ছেদ নাই
  • ৭৩৫. যে ব্যক্তি রাত জেগে সালাত আদায় করে তাঁর ফযীলত।
  • ৭৩৬. ফজরের (সুন্নাত) দু’ রাকা’আত নিয়মিত আদায় করা।
  • ৭৩৭. ফজরের দু’ রাকা’আত সুন্নাতের পর ডান কাতে শোয়া।
  • ৭৩৮. দু’ রাকা’আত (ফজরের সুন্নাত) এর পর কথাবার্তা বল এবং না শোয়া।
  • ৭৩৯. নফল সালাত দু’রাকা’আত করে আদায় করা।
  • ৭৪০. ফজরের (সুন্নাত) দু’রাকা’আতের পর কথাবার্তা বলা।
  • ৭৪১. ফজরের (সুন্নাত) দু’ রাকা’আতের হিফাযত আর যারা এ দু’ রাকা’আতকে নফল বলেছেন।
  • ৭৪২. ফজরের (সুন্নাত) দু’ রাকা’আতে কতটুকু কিরাআত পড়া হবে।
  • ৭৪৩. ফরয সালাতের পর নফল সালাত ।
  • ৭৪৪. ফরযের পর নফল সালাত আদায় না করা।
  • ৭৪৫. সফরে সালাতুয্‌-যুহা (চাশ্‌ত) আদায় করা।
  • ৭৪৬. যারা চাশ্‌ত-এর সালাত আদায় করেন না, তবে বিষয়টিকে প্রশস্ত মনে করেন (বাধ্যতামূলক মনে করেন না)।
  • ৭৪৭. মুকীম অবস্থায় চাশ্‌ত-এর সালাত আদায় করা। ইতবান ইব্‌ন মালিক (রা.) বিষয়টি নবী করীম (সাঃ) থেকে উল্লেখ করেছেন।
  • ৭৪৮. যুহরের (ফরযের) পূর্বে দু’ রাকা’আত সালাত।
  • ৭৪৯. মাগরিবের আগে সালাত ।
  • ৭৫০. নফল সালাত জামা’আতে আদায় করা।
  • ৭৫১. নফল সালাত ঘরে আদায় করা ।
  • ৭৫১. মক্কা ও মদীনার মসজিদে সালাতের ফযীলত।
  • ৭৫২. কুবা মসজিদ
  • ৭৫৩. প্রতি শনিবার যিনি কুবা মসজিদে আসেন।
  • ৭৫৪. পায়ে হেঁটে কিংবা আরোহণ করে কুবা মসজিদে যাওয়া।
  • ৭৫৫. কবর ও (মসজিদে নববীর) মিম্বরের মধ্যবর্তী স্থানের ফযীলত।
  • ৭৫৬. বায়তুল মুকাদ্দাস-এর মসজিদ।
  • ৭৫৭. সালাতের সাথে সংশ্লিষ্ট কাজ সালাতের মধ্যে হাতের সাহায্যে করা।
  • ৭৫৮. সালাতে কথা বলা নিষিদ্ধ হওয়া ।
  • ৭৫৯. সালাতে পুরুষদের জন্য যে 'তাসবীহ্‌' ও 'তাহ্‌মীদ' বৈধ ।
  • ৭৬০. সালাতে যে ব্যক্তি প্রত্যক্ষভাবে কারো নাম নিলো অথবা কাউকে সালাম করল অথচ সে তা জানেও না।
  • ৭৬১. সালাতে মহিলাদের 'তাস্‌ফীক' ।
  • ৭৬২. উদ্ভূত কোন কারণে সালাতে থাকা অবস্থায় পিছনে চলে আসা অথবা সামনে এগিয়ে যাওয়া।
  • ৭৬৩. মা তার সালাত রত সন্তানকে ডাকলে ।
  • ৭৬৪. সালাতের মধ্যে কংকর সরানো ।
  • ৭৬৫. সালাতে সিজদার জন্য কাপড় বিছানো ।
  • ৭৬৬. সালাতে যে কাজ জায়িয।
  • ৭৬৭. সালাতে থাকাকালে পশু ছুটে গেলে।
  • ৭৬৮. সালাতে থাকাবস্থায় থু থু ফেলা ও ফুঁ দেওয়া।
  • ৭৭০. মুসল্লিকে আগে বাড়তে অথবা অপেক্ষা করতে বলা হলে সে যদি অপেক্ষা করে তবে এতে দোষ নেই।
  • ৭৭১. সালাতে সালামের জবাব দিবে না ।
  • ৭৭২. কিছু ঘটলে সালাতে হাত তোলা ।
  • ৭৭৩. সালতে কোমরে হাত রাখা ।
  • ৭৭৪. সালাতে মুসল্লীর কোন বিষয় চিন্তা করা। উমর (রা.) বলেছেন, আমি সালাতের মধ্যে আমার সেনাবাহিনী বিন্যাসের চিন্তা করে থাকি।
  • ৭৭৫. ফরয সালাতে দু' রাকা'আতের পর দাঁড়িয়ে পড়লে সিজ্‌দায়ে সাহু প্রসঙ্গে ।
  • ৭৭৬. সালাত পাঁচ রাকা'আত আদায় করলে ।
  • ৭৭৭. দ্বিতীয় বা তৃতীয় রাকা'আতে সালাম ফিরিয়ে নিলে সালাতের সিজ্‌দার ন্যায় তার চাইতে দীর্ঘ দু'টি সিজ্‌দা করা।
  • ৭৭৮. সিজ্‌দায়ে সাহু'র পর তাশাহ্‌হুদ না পড়লে।
  • ৭৭৯. সিজ্‌দায় সাহুতে তাক্‌বীর বলা ।
  • ৭৮০. সালাত তিন রাকা'আত আদায় করা হল না কি চার রাকা'আত তা মনে করতে না পারলে বসা অবস্থায় দু'টি সিজ্‌দা করা।
  • ৭৮১. ফরয ও নফল সালাতে ভুলে হলে।
  • ৭৮২. সালাতে থাকা অবস্থায় কেউ তার সঙ্গে কথা বললে এবং তা শুনে যদি সে হাত দিয়ে ইশারা করে।
  • ৭৮৩. সালাতের মধ্যে ইশারা করা।
  • ২০/ জানাযা (كتاب الجنائز) ১৪৮ টি | ১১৬৫-১৩১২ পর্যন্ত 20/ Funerals (Al-Janaa'Iz)
  • ৭৮৪. জানাযা সম্পর্কিত হাদীস এবং যার শেষ কালাম 'লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহু'।
  • ৭৮৫. জানাযায় অনুগমনের নির্দেশ ।
  • ৭৮৬. কাফন পরানোর পর মৃত ব্যক্তির কাছে যাওয়া।
  • ৭৮৭. মৃত ব্যক্তির পরিজনের কাছে তার মৃত্যুর সংবাদ পৌঁছান।
  • ৭৮৮. জানাযার সংবাদ দেওয়া।
  • ৭৮৯. সন্তানের মৃত্যুতে সাওয়াবের আশায় সবর করার ফযীলত। আল্লাহ্‌ তা'আলার বাণীঃ "আর সবরকারীদের সুসংবাদ প্রদান করুন"।
  • ৭৯০. কবরের কাছে কোন মহিলাকে বলা, সবর কর।
  • ৭৯১. বরই পাতার দ্বারা মৃতকে গোসল ও উযূ করানো।
  • ৭৯২. বেজোড় সংখ্যায় গোসল দেওয়া মুস্‌তাহাব ।
  • ৭৯৩. মৃত ব্যক্তির (গোসল) ডান দিক থেকে শুরু করা ।
  • ৭৯৪. মৃত ব্যক্তির উযূর স্থানসমূহ।
  • ৭৯৫. পুরুষের ইযার দিয়ে মহিলার কাফন দেওয়া যায় কি?
  • ৭৯৬. গোসলে কর্পূর ব্যবহার করবে শেষবারে।
  • ৭৯৭. মহিলাদের চুলকে খুলে দেওয়া।
  • ৭৯৮. মৃতের গায়ে কিভাবে কাপড় জড়ানো হব।
  • ৭৯৯. মহিলাদের চুলকে তিনটি বেণী করা।
  • ৮০০. মহিলার চুল তিনটি বেণী করে তার পিছনে রাখা।
  • ৮০১. কাফনের জন্য সাদা কাপড়।
  • ৮০২. দু' কাপড়ে কাফন দেওয়া ।
  • ৮০৩. মৃত ব্যক্তির জন্য সুগন্ধি ব্যবহার ।
  • ৮০৪. মুহ্‌রিম ব্যক্তিকে কিভাবে কাফন দেওয়া হবে।
  • ৮০৫. সেলাইকৃত বা সেলাইবিহীন কামীস দিয়ে কাফন দেওয়া এবং কামীস ব্যাতীত কাফন দেওয়া।
  • ৮০৬. কামীস ব্যাতীত কাফন।
  • ৮০৭. পাগড়ী ব্যতীত কাফন
  • ৮০৮. মৃত ব্যক্তির সম্পদ থেকে কাফন দেওয়া।
  • ৮০৯. একখানা কাপড় ব্যতীত আর কোন কাপড় পাওয়া না গেলে।
  • ৮১০. মাথা বা পা আবৃত করা যায় এতটুকু ব্যতীত অন্য কোন কাফন না পাওয়াগেলে, তা দিয়ে কেবল মাথা ঢাকা হবে।
  • ৮১১. নবী (ﷺ) এর যামানায় যে নিজের কাফন তৈরী করে রাখল, অথচ তাঁকে এতে নিষেধ করা হয়নি।
  • ৮১২. জানাযার পিছনে মহিলাদের অনুগমণ।
  • ৮১৩. স্বামী ব্যতীত অন্যের জন্য স্ত্রী লোকের শোক প্রকাশ।
  • ৮১৪. কবর যিয়ারত।
  • ৮১৫. নবী (ﷺ)-এর বাণী: পরিজনের কান্নার কারণে মৃত ব্যক্তি কে আযাব দেওয়া হয়, যদি বিলাপ করা তার অভ্যাস হয়ে থাকে। কারণ আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন: তোমরা নিজেদের এবং তোমাদের পরিবার পরিজনদের জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা কর। (সূরা তাহরীম: ৬) এবং নবী (সা:) বলেছেন: তোমাদের প্রত্যেকেই দায়িত্ব প্রাপ্ত এবং প্রত্যেকেই তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। কিন্তু তা যদি তার অভ্যাস না হয়ে থাকে তা হলে তার বিধান হবে যা আয়িশা (রা.) উদ্ধুত করেছেন: নিজ বোঝা বহনকারী কোন ব্যক্তি অপরের বোঝা বহন করবে না (সূরা ফাতির : ১৮)। আর এ হলো আল্লাহ্‌ পাকের এ বাণীর ন্যায়- “কোন (গুনাহের) বোঝা বহনকারী ব্যক্তি যদি কাকেও তা বহন করতে আহবান করে তবে তা থেকে এর কিছুই বহন করা হবে না। (সূরা ফাতির: ১৮)। আর বিলাপ ছাড়া কান্নার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। নবী (সা:) বলেছেন: অন্যায়ভাবে কাউকে খুন করা হলে সে খুনের অপরাধের অংশ প্রথম আদম সন্তান (কাবিল) এর উপর বর্তাবে। আর তা এ কারণে যে, সেই প্রথম ব্যক্তি য়ে খুনের প্রবর্তন করেছে।
  • ৮১৬. মৃতের জন্য বিলাপ অপচন্দনীয়।
  • ৮১৭. পরিচ্ছেদ নাই।
  • ৮১৮. যারা জামার বুক ছিড়েঁ ফেলে তারা আমাদের তরীকাভুক্ত নয়।
  • ৮১৯. সা’দ ইবন খাওলা (রা.)-এর প্রতি নবী (ﷺ) এর শোক প্রকাশ।
  • ৮২১. যারা গাল চাপড়ায় তারা আমাদের তরীকাভূক্ত নয়।
  • ৮২২. বিপদকালে হায়, ধ্বংস বলাও জাহিলীয়াত যুগের মত চিৎকার করা নিষেধ।
  • ৮২৩. যে ব্যক্তি মুসীবত কালে এমনভাবে বসে পড়ে যে, তার মধ্যে দু:খ বোধের পরিচয় পাওয়া যায়।
  • ৮২৪. মুসীবতের সময় দুঃখ প্রকাশ না করা।
  • ৮২৫. বিপদের প্রথম অবস্থায়ই প্রকৃত সবর।
  • ৮২৬. নবী (ﷺ) এর বাণীঃ তোমার কারণে আমরা অবশ্যই শোকাভিভূত।
  • ৮২৭. পীড়িত ব্যক্তির কাছে কান্নাকাটি করা।
  • ৮২৮. কান্না ও বিলাপ নিষিদ্ধ হওয়া এবং তাতে বাধা প্রদান করা।
  • ৮২৯. জানাযার জন্য দাঁড়ানো।
  • ৮৩০.জানাযার জন্য দাড়ানো হলে কখন বসবে।
  • ৮৩১. যে ব্যক্তি জানাযার অনুগমণ করবে, সে লোকদের কাঁধ থেকে তা নামিয়ে না রাখা পর্যন্ত বসবে না আর বসে পড়লে তাকে দাড়াবার আদেশ করা হবে।
  • ৮৩২. যে ব্যক্তি ইয়াহূদীর জানাযা দেখে দাঁড়ায়।
  • ৮৩৩. পুরুষরা জানাযা বহণ করবে মহিলারা নয়।
  • ৮৩৪. জানাযার কাজ দ্রুত সম্পাদন করা।
  • ৮৩৫. খাটিয়ায় থাকাকালে মৃত ব্যক্তির উক্তিঃ আমাকে নিয়ে এগিয়ে চল।
  • ৮৩৬. জানাযার সালাতের ইমামের পিছনে দু’বা তিন কাতারে দাঁড়ানো ।
  • ৮৩৭. জানাযার সালাতের কাতার।
  • ৮৩৮. জানাযার সালাতে পুরুষদের সাথে বালকদের কাতার।
  • ৮৩৯. জানাযার সালাতের নিয়ম।
  • ৮৪০. জানাযার অনুগমণ করার ফযীলত।
  • ৮৪১. মৃতের দাফন হয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা।
  • ৮৪২. জানাযার সালতে বয়স্কদের সাথে বালকদেরও শরীক হওয়া।
  • ৮৪৩. মুসল্লা (ঈদগাহ বা যানাযার জন্য নির্ধারিত স্থানে) এবং মসজিদে জানাযার সালাত আদায় করা।
  • ৮৪৪. কবরের উপরে মসজিদ বানানো অপছন্দনীয়।
  • ৮৪৫. নিফাস অবস্থায় মারা গেলে তার জানাযার সালাত।
  • ৮৪৬. নারী ও পুরুষের (জানাযার সালাতে) ইমাম কোথায় দাঁড়াবেন?
  • ৮৪৭. জানাযার সালাতে চার তাকবীর বলা
  • ৮৪৮. জানাযার সালাতে সূরা ফাতিহা তিলাওয়াত করা।
  • ৮৪৯. দাফনের পর কবরকে সামনে রেখে (জানাযার) সালাত আদায়।
  • ৮৫০. মৃত ব্যক্তি (দাফনকারীদের) জুতার শব্দ শুনতে পায়।
  • ৮৫১. যে ব্যক্তি বায়তুল মুকাদ্দাস বা অনুরূপ কোন স্থানে দাফন হওয়া পছন্দ করেন।
  • ৮৫২. রাতের বেলা দাফন করা। আবূ বকর (রা.)-কে রাতে দাফন করা হয়েছিল।
  • ৮৫৩. কবরের উপর মাসজিদ নির্মাণ করা।
  • ৮৫৪. মেয়েলোকের কবরে যে অবতরণ করে।
  • ৮৫৫. শহীদের জন্য জানাযার সালাত।
  • ৮৫৬. একই কবরে দু’ বা তিনজনকে দাফন করা।
  • ৮৫৭. যারা শহীদগণকে গোসল দেওয়ার অভিমত পোষণ করেন না।
  • ৮৫৮. কবরে প্রথম কাকে রাখা হবে।
  • ৮৫৯. কবরের উপরে ইয্খির বা অন্য কোন ঘাস দেওয়া।
  • ৮৬০. কোন কারণে মৃত ব্যক্তিকে (লাশ) কবর বা লাহ্দ থেকে বের করা যাবে কি?
  • ৮৬১. কবরকে লাহ্দ (বগলী) ও শাক্ক (সিন্দুক) বানানো।
  • ৮৬২. বালক (অপ্রাপ্ত বয়স্ক) ইসলাম প্রহণ করে মারা গেলে তার জন্য জানাযা সালাত আদায় করা হবে কি? বালকের নিকট ইসলামের দাওয়াত পেশ করা যাবে কি?
  • ৮৬৩. মুশরিক ব্যক্তি মৃত্যুকালে (কালিমা-ই-তাওহীদ) লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহু উচ্চারণ করলে।
  • ৮৬৪. কবরের উপরে খেজুরের ডাল পূঁতে দেয়া।
  • ৮৬৫. কবরের পাশে কোন মুহাদ্দিস এর ওয়ায করা আর তার সংগীদের তার আশেপাশে বসা।
  • ৮৬৬. আত্মহত্যাকারী প্রসংগে।
  • ৮৬৭. মুনাফিকদের জানাযার সালাত আদায় করা এবং মুশরিকদের জন্য মাগফিরাত কামনা করা মাকরূহ হওয়া।
  • ৮৬৮. মৃত ব্যক্তির সম্পর্কে লোকদের সদগুণ আলোচনা।
  • ৮৬৯. কবর আযাব প্রসংগে।
  • ৮৭০. কবরে আযাব থেকে পানাহ চাওয়া।
  • ৮৭১. গীবত এবং পেশাবে (অসতর্কতা)- এর কারণে কবর আযাব।
  • ৮৭২. মৃত ব্যক্তির সামনে সকালে ও সন্ধ্যায় (জান্নাত ও জাহান্নামে তার অবস্থানস্থল) উপস্থাপন করা হয়।
  • ৮৭৩. খাটিয়ার উপর থাকাবস্থায় মৃত ব্যক্তির কথা বলা।
  • ৮৭৪. মুসলিমদের (না-বালিগ) সন্তানদের বিষয়ে যা বলা হয়েছে।
  • ৮৭৫. মুশরিকদের শিশু সন্তান প্রসঙ্গে।
  • ৮৭৬. পরিচ্ছেদ নাই।
  • ৮৭৭. সোমবারে মৃত্যু।
  • ৮৭৮. আকস্মিক মৃত্যু।
  • ৮৭৯. নবী (ﷺ), আবু বকর, উমর (রাঃ) এর কবরের বর্ণনা।
  • ৮৮০. মৃতদের গালি দেওয়া নিষিদ্ধ।
  • ৮৮১. দুষ্ট প্রকৃতির মৃতদের আলোচনা।
  • ২১/ যাকাত (كتاب الزكاة) ১১২ টি | ১৩১৩-১৪২৪ পর্যন্ত 21/ Obligatory Charity Tax (Zakat)
  • ৮৮২. যাকাত ওয়াজিব হওয়া।
  • ৮৮৩. যাকাত দেওয়ার বায়‘আত। (মহান আল্লার বাণীঃ) যদি তারা তওবা করে এবং সালাত আদায় করে ও যাকাত প্রদান করে তবে তারা তোমাদের দীনী ভাই। ( ৯ : ১১)
  • ৮৮৪. যাকাত প্রদানে অস্বীকৃতি জ্ঞাপনকারীর গুনাহ। মহান আল্লার বাণীঃ যারা সোনা-রুপা জমা করে রাখে এবং আল্লাহর পথে তা ব্যয় করেনা…. (জাহান্নামে শাস্তি প্রদানকালে তাদেরকে বলা হবে) এখন সম্পদ জমা করে রাখার প্রতিফল ভোগ কর। (৯:৩৪-৩৫)
  • ৮৮৫. যে সম্পদের যাকাত আদায় করা হয় তা কানয (জমাকৃত সম্পদ) এর অন্তর্ভুক্ত নয়। নবী (ﷺ) এর এ উক্তির কারণে যে, পাঁচ উকিয়া এর কম পরিমাণ সম্পদে যাকাত নেই।
  • ৮৮৬. সম্পদ যথাস্থানে ব্যয় করা
  • ৮৮৯. হালাল উপার্জন থেকে সাদকা এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহর বানীঃ আল্লাহ সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন ও সাদকা বর্ধিত করেন, অকৃতজ্ঞ পাপীকে ভালবাসেন না। যারা ঈমান আনে এবং সৎ কাজ করে, সালাত কায়েম করে, যাকাত দেয়, তাদের পুরস্কার তাদের প্রতিপালকের নিকট আছে। তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না। (২:২৭৬-২৭৭)
  • ৮৯০. ফেরত দেয়ার পূর্বেই সাদকা করা।
  • ৮৯১. জাহান্নাম থেকে আত্মরক্ষা কর, এক টুকরা খেজুর অথবা সামান্য কিছু সাদকা করে হলেও। আল্লাহর বাণীঃ যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে ও নিজেদের আত্মার দৃঢ়তার জন্যে ধন-সম্পদ ব্যয় করে, তাদের উপমা কোন উচ্চভূমিতে অবস্থিত একটি উদ্যান …… এবং যাতে সর্বপ্রকার ফলমূল আছে। (২:২৬৫-৬৬)
  • ৮৯২. সুস্থ কৃপণের সাদকা দেওয়ার ফযীলত। এ পর্যায়ে আল্লাহর বাণীঃ আমি তোমাদেরকে যে রিযক দিয়েছি তোমরা তা হতে ব্যয় করবে তোমাদের কারো মৃত্যু আসার পূর্বে ….. শেষ পর্যন্ত। (৬৩:১০) আরো ইরশাদ হয়েছেঃ হে মু’মিনগণ! আমি যা তোমাদেরকে দিয়েছি তা থেকে তোমরা ব্যয় কর সেদিন আসার পূর্বে যেদিন ক্রয়-বিক্রয়, বন্ধুত্ব এবং সুপারিশ থাকবেনা….. শেষ পর্যন্ত। (২:২৫৪)
  • ৮৯৩. পরিচ্ছেদ নাই।
  • ৮৯৬. সাদকাদাতা অজান্তে (ফকীর মনে করে) কোন ধনী ব্যক্তিকে সাদকা দিলে
  • ৮৯৭. আজান্তে কেউ তার পুত্রকে সাদকা করলে
  • ৮৯৮. সাদকা ডান হাতে প্রদান করা
  • ৮৯৯. যে ব্যক্তি নিজ হাতে সাদকা না দিয়ে খাদেমকে তা দিয়ে দেওয়ার আদেশ করে।
  • ৯০০. প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ থাকা ব্যতীত সাদকা না করা। যে ব্যক্তি সাদকা করতে চায়; অথচ সে নিজে দরিদ্র বা তার পরিবার-পরিজন অভাবগ্রস্হ অথবা সে ঋণগ্রস্হ, এ অবস্হায় তার জন্য সাদকা করা, গোলাম আযাদ করা ও দান করার চেয়ে ঋণ পরিশোধ করা কর্তব্য। এরূপ সাদকা করা আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য নয়। অন্যের সম্পদ বিনষ্ট করার অধিকার তার নেই।
  • ৯০২. যে ব্যক্তি যথাশীঘ্র সাদকা দেওয়া পছন্দ করে
  • ৯০৩. সাদকা দেওয়ার জন্য উৎসাহ প্রদান ও সুপারিশ করা
  • ৯০৪. সাধ্যানুসারে সাদকা করা।
  • ৯০৫. সাদকা গুনাহ মিটিয়ে দেয়।
  • ৯০৬. মুশরিক থাকাকালে সাদকা করার পর যে ইসলাম গ্রহন করে (তার সাদকা কবূল হবে কিনা)
  • ৯০৭. মালিকের আদেশে ফাসাদের উদ্দেশ্য ব্যতীত খাদিমের সাদকা করার সওয়াব
  • ৯০৮. ফাসাদের উদ্দেশ্য ব্যতীত স্ত্রী তার স্বামীর ঘর থেকে কিছু সাদকা করলে বা কাউকে আহার করালে স্ত্রী এর সওয়াব পাবে।
  • ৯০৯. মহান আল্লার বাণীঃ যে ব্যক্তি দান করে এবং তাকওয়া অবলম্বন (আল্লহকে ভয়) করে এবং যা উত্তম তা গ্রহন করে আমি তার জন্য সহজ পথ সুগম করে দেব। আর যে ব্যক্তি কার্পণ্য করে ও নিজেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ মনে করে … (৯২: ৫-৮)। হে আল্লহ তার দানে উত্তম প্রতিদান দিন।
  • ৯১০. সাদকা দানকারী ও কৃপণের দৃষ্টান্ত
  • ৯১২. প্রত্যেক মুসলিমের সাদকা করা উচিত। কারো নিকট সাদকা দেওয়ার মত কিছু না থাকলে সে যেন সৎকাজ করে।
  • ৯১৩. যাকাত ও সাদ্কা কি পরিমাণ দিতে হবে এবং যে বকরী সাদ্কা করে।
  • ৯১৪. রূপার যাকাত
  • ৯১৫. পণ্যদ্রব্য দ্বারা যাকাত আদায় করা।
  • ৯১৬. পৃথকগুলো একত্রিত করা যাবেনা। আর একত্রিতগুলো পৃথক করা যাবেনা।
  • ৯১৭. দুই অংশীদার (এর একজনের নিকট থেকে সমুদয় মালের যাকাত উসুল করা হলে) একজন অপরজন থেকে তার প্রাপ্য অংশ আদায় করে নিবে। তাউস ও ‘আতা (র) বলেন, প্রত্যেক অংশীদার যদি নিজের মালের পরিচয় করতে সমর্থ হয়, তা হলে (যাকাতের ক্ষেত্রে) তাদের মাল একত্রিত করা হবেনা। সুফিয়ান (সাওরী) (র) বলেন, (দুই অংশীদারের) প্রত্যেকের বকরীর সংখ্যা চল্লিশ পূর্ণ না হলে যাকাত ফরয হবেনা ।
  • ৯১৮. উটের যাকাত।
  • ৯১৯. যার ঊপর বিনতে মাখায যাকাত দেওয়া ওয়াজিব হয়েছে অথচ তার কাছে তা নেই
  • ৯২০. বকরীর যাকাত
  • ৯২১. অধিক বয়সে দাঁত পড়া বৃদ্ধ ও ত্রুটিপূর্ণ বকরী এবং পাঁঠা যাকাত হিসাবে গ্রহণ করা হবেনা, তবে উসূলকারী যা ইচ্ছা করেন।
  • ৯২২. বকরীর (চার মাস বয়সের মাদী) বাচ্চা যাকাত হিসাবে গ্রহণ করা।
  • ৯২৩. যাকাতের ক্ষেত্রে মানুষের ঊত্তম মাল নেওয়া হবে না।
  • ৯২৪. পাঁচ উটের কমে যাকাত নেই।
  • ৯২৫. গরুর যাকাত।
  • ৯২৬. নিকটাত্মীয়দেরকে যাকাত দেওয়া।
  • ৯২৭. মুসলিমের উপর তার ঘোড়ার কোন যাকাত নেই
  • ৯২৮. মুসলিমের উপর তার গোলামের কোন যাকাত নেই
  • ৯২৯. ইয়াতীমকে সাদকা দেওয়া
  • ৯৩০. স্বামী ও পোষ্য ইয়াতীমকে যাকাত দেওয়া। এ প্রসঙ্গে নবী (ﷺ) থেকে আবূ সা‘ঈদ (রাঃ) হাদীস বর্ণনা করেছেন।
  • ৯৩১. আল্লহর বাণীঃ দাসমুক্তির জন্য, ঋনভারাক্রান্তদের জন্য ও আল্লহর পথে (৯ : ৬০)।
  • ৯৩২. যাচনা থেকে বিরত থাকা
  • ৯৩৩. যাকে আল্লাহ সাওয়াল ও অন্তরের লোভ ছাড়া কিছু দান করেন। (আল্লাহর বাণী) তাদের (ধনীদের) সম্পদে হক রয়েছে যাচনাকারী ও বঞ্চীতের (৫১:১৯)
  • ৯৩৪. সম্পদ বাড়ানোর জন্য যে মানুষের কাছে সাওয়াল করে
  • ৯৩৫. মহান আল্লাহর বাণীঃ তারা মানুষের কাছে নাছোড় হয়ে যাচনা করেনা। (২:২৭৩) আর ধনী হওয়ার পরিমাণ কত? নবী (সাঃ) এর বাণী এবং এতটুকু পরিমাণ সম্পদ তার কাছে নেই, যা তাকে অভাবমুক্ত করতে পারবে। (আল্লাহ বলেন) তা প্রাপ্য অভাবগ্রস্হ লোকদের, যারা আল্লাহর পথে এমনভাবে ব্যাপৃত যে, দেশময় ঘোরাফেরা করতে পারে না, (তারা) যাচনা না করার কারণে অজ্ঞ লোকেরা তাদেরকে অভাবমুক্ত বলে ধারণা করে, নিশ্চয় আল্লাহ সে বিষয়ে সবিশেষ অবহিত। (২:২৭৩)
  • ৯৩৬. খেজুরের পরিমাণ আন্দাজ করা
  • ৯৩৭. বৃষ্টির পানি ও প্রবাহিত পানি দ্বারা সিক্ত ভূমির উৎপাদিত ফসলের উপর ‘উশর। উমর ইব্ন ‘আবদুল ‘আযীয (র) মধুর ওপর (উশর) ওয়াজিব মনে করেননি।
  • ৯৩৮. পাঁচ ওসাক-এর কম ঊৎপন্ন দ্রব্যের যাকাত নেই
  • ৯৩৯. খেজুর সংগ্রহের সময় যাকাত দিতে হবে এবং শিশুকে যাকাতের খেজুর নেওয়ার অনুমতি দেওয়া যাবে কি?
  • ৯৪০. এমন ফল বা খেজুর গাছ, অথবা (ফসল) সহ জমি, কিংবা শুধু (জমির) ফসল বিক্রয় করা, যেগুলোর উপর যাকাত বা ‘উশর ফরয হয়েছে, আর ঐ যাকাত বা ‘উশর অন্য ফল বা ফসল দ্বারা আদায় করা বা এমন ফল বিক্রয় করা যেগুলোর উপর সাদকা ফরয হয়নি। নবী (ﷺ)-এর উক্তিঃ ব্যবহারযোগ্য না হওয়া পর্যন্ত ফল বিক্রয় করবে না, কাজেই ব্যবহারযোগ্য হওয়ার পর কাকেও বিক্রি করতে নিষেধ করেন নি এবং কার উপর যাকাত ওয়াজিব হবে আর কার উপর ওয়াজিব হবে না, তা নির্দিষ্ট করেন নি।
  • ৯৪১. নিজের সদাকাকৃত বস্তু কেনা যায় কি? অন্যের সদাকাকৃত বস্তু ক্রয় করতে দোষ নেই। কেননা নবী (ﷺ) বিশেষভাবে সাদাকা প্রদানকারীকে তা ক্রয় করতে নিষেধ করেছেন, অন্যকে নিষেধ করেন নি।
  • ৯৪২. নবী (ﷺ) ও তার বংশধরদের সাদকা দেওয়া সম্পর্কে আলোচনা
  • ৯৪৩. নবী (ﷺ) এর সহধর্মীণীদের আযদকৃত দাস-দাসীদের সাদকা দেওয়া
  • ৯৪৪. সাদকার প্রকৃতি পরিবর্তন হলে।
  • ৯৪৫. ধনীদের থেকে সাদকা গ্রহন করা এবং যে কোন স্থানের অভাবগ্রস্থদের মধ্যে বিতরন করা
  • ৯৪৬. সাদকাদাতার জন্য ইমামের কল্যাণ কামনা ও দু'আ এবং মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ তাদের সম্পদ থেকে সদকা গ্রহন করবেন, এর দ্বারা তাদেরকে পবিত্র ও পরিশোধিত করবেন। আপনি তাদের জন্য দু'আ করবেন, আপনার দু'আ তাদের জন্য চিত্ত স্বস্তিকর (৯ঃ ১০৩)
  • ৯৪৮. রিকাযে এক-পঞ্চমাংশ ওয়াজিব। ইমাম মালেক ও ইবন ইদরীস (রহঃ) (ইমাম শাফি'য়ী) বলেন, জাহিলী যুগের ভূগর্ভে প্রেথিত সম্পদই রিকায। তার অল্প ও অধিক পরিমানে এক-পঞ্চমাংশ ওয়াজিব হবে। আর মা'দীন রিকায নয়। নবী (সাঃ) বলেছেনঃ মা'দীনে (খননের ঘটনায়) নিসাব নেই, রিকাযের এক-পঞ্চমাংশ ওয়াজিব। উমর ইবন আবদুল আযীয (রহঃ) মা'দীন এর চল্লিশ ভাগের এক ভাগ গ্রহন করতেন। হাসান (রহঃ) বলেন, যুদ্ধের মাধ্যমে অধিকৃত ভূমির রিকাযে এক পঞ্চমাংশ ওয়াজিব এবং সন্ধিকৃত ভূমির রিকাযের যাকাত ওয়াজিব। শত্রুর ভূমিতে লুকতা পাওয়া গেলে লোকদের মধ্যে তা ঘোষণা করবে। বস্তুটি শত্রুর হলে তাতে এক পঞ্চমাংশ ওয়াজিব। জনৈক ব্যক্তি [ইমাম আবু হানিফা (রহঃ)] বলেন, মা'দিন রিকাযই, (তার প্রকারবিশেষ মাত্র) জাহেলী যুগের প্রেথিত সম্পদের ন্যায়। তার যুক্তি হলঃ أَرْكَزَ الْمَعْدِنُ তখন বলা হয়, যখন খনি থেকে কিছু উত্তোলন করা হয়। তাকে বলা যায়, কাউকে কিছু দান করলে এবং এতে সে এ দিয়ে প্রচুর লাভবান হলে অথবা কারো প্রচুর ফল উৎপাদিত হলে বলা হয় أَرْكَزْتَ এরপর তিনি নিজেই স্ব-বিরোধী কথা বলেন। তিনি বলেন, মা'দিন থেকে উত্তোলিত সম্পদ গোপন রাখায় ও এক পঞ্চমাংশ না দেওয়ায় কোন দোষ নেই।
  • ৯৪৯. মহান আল্লাহর বাণীঃ এবং যে সব কর্মচারী যাকাত উসুল করে (৯ঃ ৬০) এবং যাকাত উসুলকারীর ইমামের নিকট হিসাব প্রদান।
  • ৯৫০. যাকাতের উট ও তার দুধ মুসাফিরের জন্য ব্যবহার করা
  • ৯৫১. ইমাম নিজ হাতে যাকাতের উটে চিহ্ন দেওয়া।
  • ৯৫২. সাদাকাতুল ফিতর ফরয। আবুল 'আলীয়া' 'আতা' ও ইবন সীরীন (রহঃ) এর অভিমত হলো সাদাকাতুল ফিতর আদায় করা ফরয।
  • ৯৫৩. মুসলিমদের গোলাম ও অন্যান্যদের পক্ষ থেকে সাদাকাতুল ফিতর আদায় করা।
  • ৯৫৪. সাদাকাতুল ফিতর এক সা' পরিমাণ যব।
  • ৯৫৫. সাদাকাতুল ফিতর এক সা' পরিমাণ খাদ্য।
  • ৯৫৬. সাদাকাতুল ফিতর এক সা পরিমাণ খেজুর।
  • ৯৫৭. (সাদাকাতুল ফিতর) এক সা পরিমাণ কিসমিস।
  • ৯৫৮. ঈদের সালাতের পূর্বেই সাদাকাতুল ফিতর আদায় করা।
  • ৯৫৯. আযাদ গোলামের পক্ষ থেকে সাদাকাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব।
  • ৯৬০. অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও প্রাপ্ত বয়স্কদের পক্ষ থেকে সাদাকাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব।
  • ২২/ হাজ্জ (হজ্জ/হজ) (كتاب الحج) ৩৪৫ টি | ১৪২৫-১৭৬৯ পর্যন্ত 22/ Pilgrimmage
  • ৯৬১. হজ্জ ফরজ হওয়া ও এর ফযীলত। মহান আল্লাহর বাণীঃ এবং মানুষের মধ্যে যার সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য রয়েছে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে সেই ঘরের হজ্জ করা অবশ্য কর্তব্য এবং কেউ প্রত্যাখ্যান করলে সে জেনে রাখুক আল্লাহ্‌ বিশ্বজগতের মুখাপেক্ষী নন। (৩ঃ ৯৭)
  • ৯৬২. মহান আল্লাহর বাণীঃ তারা তোমার নিকট আসবে পায়ে হেঁটে ও সর্বপ্রকার ক্ষীনকায় উটগুলোর পিঠে, তারা আসবে দূর-দুরান্তের পথ অতিক্রম করে যাতে তারা তাদের কল্যাণময় স্থানগুলোয় উপস্থিত হতে পারে। (২২ঃ ২৭) فِجَاجًا অর্থ হল প্রশস্ত পথ।
  • ৯৬৩. উটের হাওদায় আরোহণ করে হজ্জে গমন।
  • ৯৬৪. হজ্জে মাবরুর (মাকবুল হজ্জ) এর ফযীলত।
  • ৯৬৫. হজ্জ ও উমরার মীকাত নির্ধারণ।
  • ৯৬৬. মহান আল্লাহর বাণীঃ তোমরা পাথেয়ের ব্যবস্থা কর। আত্মসংযমই শ্রেষ্ঠ পাথেয় (২ঃ ১৯৭)
  • ৯৬৭. মক্কাবাসীদের জন্য হজ্জ ও উমারার ইহরাম বাঁধার স্থান।
  • ৯৬৮. মদীনাবাসীদের মীকাত ও তার যুল-হুলায়ফা পৌঁছার পূর্বে ইহরাম বাঁধবে না।
  • ৯৬৯. সিরিয়াবাসীদের ইহরাম বাঁধার স্থান।
  • ৯৭০. নজদবাসীদের ইহরাম বাঁধার স্থান।
  • ৯৭১. মীকাতের ভিতরের অধিবাসীদের ইহরাম বাঁধার স্থান।
  • ৯৭২. ইয়ামানবাসীদের ইহরাম বাঁধার স্থান।
  • ৯৭৩. যাতু’ইরক ইরাকবাসীদের মীকাত।
  • ৯৭৪. যুলহুলায়ফায় সালাত।
  • ৯৭৫. (হজ্জের সফরে) “শাজারা” এর রাস্তা দিয়ে নবী (ﷺ) এর গমন।
  • ৯৭৬. নবী (ﷺ) এর বাণীঃ ‘আকীক বরকতময় উপত্যকা।
  • ৯৭৭. (ইহরামের) কাপড়ে খালূক থাকলে তিনবার ধোওয়া।
  • ৯৭৮. ইহরাম বাঁধাকালে সুগন্ধি ব্যবহার ও কি প্রকার কাপড় পরে ইহরাম বাঁধবে এবং চুল দাঁড়ি আঁচড়াবে ও তেল লাগাবে।
  • ৯৭৯. যে চুলে আঠালো দ্রব্য লাগিয়ে ইহরাম বাঁধে।
  • ৯৮০. যুল হুলায়ফার মসজিদের নিকট থেকে ইহরাম বাঁধে।
  • ৯৮১. মুহরীম ব্যক্তি যে প্রকার কাপড় পরবে না।
  • ৯৮২. হজ্জের সফরে বাহনে একাকী আরোহণ করা ও অপরের সাথে আরোহণ করা।
  • ৯৮৩. মুহরীম ব্যক্তি কি প্রকার কাপড়, চাদর ও লুঙ্গী পরবে। আয়িশা (রাঃ) ইহরাম অবস্থায় কুসুমী রঙ্গে রঞ্জিত কাপড় পরেন এবং তিনি বলেন, নারীগন ঠোঁট ও মুখমণ্ডল আবৃত করবে না। ওয়ারস ও জাফরান রঙ্গে রঞ্জিত কাপড়ও পরবে না।
  • ৯৮৪. ভোর পর্যন্ত যুল-হুলায়ফার রাত যাপন করা। ইবন উমর (রাঃ) নবী (ﷺ) থেকে এ বিষয় বর্ণনা করেছেন।
  • ৯৮৫. উচ্চস্বরে তালবিয়া পাঠ করা।
  • ৯৮৬. তালবিয়া এর শব্দসমূহ।
  • ৯৮৭. তালবিয়া পাঠ করার পূর্বে সাওয়ারীতে আরোহণকালে তাহমীদ, তাসবীহ ও তাকবীর পাঠ করা।
  • ৯৮৮. সাওয়ারী আরোহীকে নিয়ে সোজা দাঁড়িয়ে গেলে তালবিয়া পাঠ করবে।
  • ৯৮৯. কিবলামুখী হয়ে তালবীয়া পাঠ করা।
  • ৯৯০. নীচু ভূমিতে অবতরণকালে তালবিয়া পাঠ করা।
  • ৯৯১. হায়েয ও নিফাস অবস্থায় মহিলাগন কিরূপে ইহরাম বাঁধবে?
  • ৯৯২. নবী (ﷺ) এর জীবনকালে তার ইহরামের অনুরূপ যিনি ইহরাম বেঁধেছেন, ইবন উমর (রাঃ) নবী (ﷺ) থেকে এ সম্পর্কিত বর্ণনা করেছেন।
  • ৯৯৩. মহান আল্লাহর বাণীঃ "হজ্জ হয় সুবেদিত মাসগুলোতে। তারপর যে কেউ এ মাসগুলোতে হজ্জ করা স্থির করে, তার জন্য হজ্জের সময়ে স্ত্রী সম্ভোগ, অন্যায় আচরন ও কলহ বিবাদ বিধেয় নয়।" (২ঃ ১৯৭) এবং তার বাণীঃ "নতুন চাঁদ সম্পর্কে লোকেরা আপনাকে প্রশ্ন করে, বলুন তা মানুষ এবং হজ্জের জন্য সময় নির্দেশক।" (২ঃ ১৮৯)
  • ৯৯৪. তামাত্তু, কিরান ও ইফরাদ হজ্জ করা এবং যার সাথে কুরবানীর পশু নেই তার জন্য হজ্জের ইহরাম ছেড়ে দেওয়া।
  • ৯৯৫. হজ্জ এর নাম উল্লেখ করে যে তালবিয়া পাঠ করে
  • ৯৯৬. নবী (ﷺ) এর যুগে হজ্জে তামাত্তু
  • ৯৯৮. মক্কা প্রবেশের সময় গোসল করা
  • ৯৯৯. দিনে ও রাতে মক্কায় প্রবেশ করা
  • ১০০০. কোন দিক দিয়ে মক্কায় প্রবেশ করবে
  • ১০০১. কোন দিক থেকে মক্কা থেকে বের হবে
  • ১০০২. মক্কা ও তার ঘরবাড়ীর ফযীলত এবং মহান আল্লাহর বানীঃ এবং সেই সময়কে স্মরণ করুন যখন কা’বাঘরকে মানব জাতির মিলন কেন্দ্র ও নিরাপত্তার স্থান করেছিলাম এবং বলেছিলাম, তোমরা ইব্রাহীমের দাঁড়াবার স্থানকেই সালাতের স্থানরূপে গ্রহন কর এবং ইব্রাহীম ও ইসমাইলকে তাওয়াফকারী, ইতিকাফকারী, রুকু ও সিজদাকারীদের জন্য আমার ঘরকে পবিত্র রাখতে আদেশ দিয়েছিলাম। স্মরণ করুন যখন ইবরাহীম বলেছিলেন, হে আমার প্রতিপালক! একে নিরাপদ শহর করুন আর এর অধিবাসীদের মধ্যে যারা আল্লাহ্‌ ও পরকালে বিশ্বাসী তাদেরকে ফলমূল হতে জীবিকা প্রদান করুন। তিনি বললেন, যে কেউ কুফরী করবে তাকেও কিছুকালের জন্য জীবনোপভোগ করতে দিব। তারপর তাকে জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করতে বাধ্য করব এবং তা কত নিকৃষ্ট পরিনাম! স্মরণ করুন, যখন ইবরাহীম ও ইসমাইল কা’বা ঘরের প্রাচীর তুলেছিলেন তখন তারা বলেছিলেন, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের এ কাজ গ্রহন করুন, নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞাতা। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের উভয়কে আপনার একান্ত অনুগত করুন এবং আমাদের বংশধর হতে আপনার এক অনুগত উম্মত করুন। আমাদেরকে ইবাদতের নিয়ম-পদ্ধতি দেখিয়ে দিন এবং আমাদের প্রতি ক্ষমাশীল হন, আপনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (২ঃ ১২৫-১২৮)
  • ১০০৩. হারামের ফযীলত ও মহান আল্লাহর বাণীঃ আমি তো আদিষ্ট হয়েছি এই নগরীর রব্বের ইবাদত করতে। যিনি একে করেছেন সম্মানিত, সব কিছু তারই। আমি আরো আদিষ্ট হয়েছি, যেন আমি আত্মসমার্পনকারীদের অন্তর্ভুক্ত হই। (২৭ঃ ৩৭) এবং তার বানীঃ আমি কি তাদের এক নিরাপদ হারামে প্রতিষ্ঠিত করিনি, যেখানে সব রকম ফলমূল আমদানি হয় আমার দেয়া রিযক স্বরূপ কিন্তু তাদের অধিকাংশই তা জানে না। (২৬ঃ ৫৭)
  • ১০০৪. কাউকে মক্কায় অবস্থিত বাড়ির (ও যমীনের) উত্তরাধিকার বানান, তার ক্রয়-বিক্রয় এবং বিশেষভাবে মসজিদুল হারামে সকল মানুষের সমঅধিকার ও এ পর্যায়ে আল্লাহর বাণীঃ যারা কুফরী করে এবং মানুষকে নিবৃত্ত করে আল্লাহর রাস্তা থেকে ও মসজিদুল হারাম থেকে যা আমি স্থানীয় ও বহিরাগত সকলের জন্য সমান করেছি। আর যে ইচ্ছা করে সীমালঙ্ঘন করে তাতে পাপ কার্যের, তাকে আমি আস্বাদন করাব মর্মন্তুদ শাস্তির (২২ঃ ২৫) ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেন, الْبَادِي অর্থ হল الطَّارِي (আগন্তুক) ও مَعْكُوفًا অর্থ হল مَحْبُوسًا (আবদ্ধ)।
  • ১০০৫. নবী (ﷺ) এর মক্কায় অবতরণ, আবু আবদুল্লাহ [ইমাম বুখারী (রহঃ)] বলেন, (মক্কার কোন কোন) ঘরবাড়ি আকীলের দিকে সম্পর্কিত করা হয়েছে এবং ঘরবাড়িগুলোর উত্তরাধিকার হওয়া যায় আর তা বেচাকেনা করা যায়
  • ১০০৭. মহান আল্লাহর বানীঃ পবিত্র কা'বাঘর ও পবিত্র মাস আল্লাহ্‌ মানুষের কল্যাণের জন্য নির্ধারিত করেছেন। ... আল্লাহ্‌ সর্ববিষয়ে সর্বজ্ঞ। (৫ঃ৯৭)
  • ১০০৮. কা'বা ঘরের গিলাফ পরানো
  • ১০০৯. কা’বাঘর ধ্বংস করে দেওয়া।
  • ১০১০. হাজরে আসওয়াত সম্পর্কে আলোচনা।
  • ১০১১. কা’বা ঘরের দরজা বন্ধ করা এবং কা’বাঘরের ভিতর যে কোণে ইচ্ছা সালাত আদায় করা
  • ১০১২. কা’বার ভিতর সালাত আদায় করা
  • ১০১৩. কা’বার ভিতরে যে প্রবেশ করেনি।
  • ১০১৪. কা’বা ঘরের ভিতরে চারদিকে তাকবীর বলা
  • ১০১৫. রমলের সূচনা কি ভাবে হয়
  • ১০১৬. মক্কায় উপনীত হয়ে তাওয়াফের শুরুতে হাজরে আসওয়াত ইস্তিলাম (চুম্বন ও স্পর্শ) করা এবং তিন চক্কর রমল করা
  • ১০১৭. হজ্জ ও উমরায় (তাওয়াফে) রমল করা
  • ১০১৮. ছড়ির মাধ্যমে হাজরে আসওয়াদ ইস্তিলাম করা
  • ১০১৯. যে কেবল দুই ইয়ামানী রুকনকে ইস্তিলাম করে।
  • ১০২০. হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করা
  • ১০২১. হাজরে আসওয়াদের কাছে পৌঁছে তার দিকে ইশারা করা
  • ১০২২. হাজরে আসওয়াদ এর কাছে তাকবীর বলা
  • ১০২৩. মক্কায় উপনীত হয়ে বাড়ি ফিরার পূর্বে বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করা। তারপর দু’রাক’আত সালাত আদায় করে সাফার দিকে (সা‘য়ী করতে) যাওয়া
  • ১০২৪. পুরুষের সাথে মহিলাদের তাওয়াফ করা।
  • ১০২৫. তাওয়াফ করার সময় কথা বলা
  • ১০২৬. তাওয়াফের সময় রজ্জু দিয়ে কাউকে টানতে দেখলে বা অশোভনীয় কোন কিছু দেখলে তা থেকে বাধা দিবে
  • ১০২৭. বিবস্ত্র হয়ে বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করবে না এবং কোন মুশরিক হজ্জ করবে না
  • ১০২৯. নবী করীম (ﷺ) তাওয়াফের সাত চক্কর পূর্ণ করে দু’ রাকা’আত সালাত আদায় করেছেন। নাফি (রহঃ) বলেন, ইবন ‘উমর (রাঃ) প্রতি সাত চক্কর শেষে দু’ রাক’আত সালাত আদায় করতেন। ইসমা‘ঈল ইবন উমাইয়া (রহঃ) বলেন, আমি যুহরীকে বললাম, ‘আতা (রহঃ) বলেন, তাওয়াফের দু’ রাক‘আতের ক্ষেত্রে ফরয সালাত আদায় করে নিলে তা যথেষ্ঠ হবে। তখন যুহরি (রহঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর তরীকা অবলম্বন করাই উত্তম, যতবার নবী করীম (ﷺ) (তাওয়াফের) সাত চক্কর পূর্ণ করেছেন, ততবার তার পর দু’ রাক‘আত সালাত আদায় করেছেন।
  • ১০৩০. প্রথম তাওয়াফ (তাওয়াফে কুদুম)-পর ‘আরাফায় গিয়ে তথা হতে ফিরে আসার পূর্ব পর্যন্ত বায়তুল্লাহর নিকটবর্তী না হওয়া (তাওয়াফ না করা)
  • ১০৩১. তাওয়াফের দু’ রাক’আত সালাত মাসজিদুল হারামের বাইরে আদায় করা ‘উত্তম [ইবন খাত্তাব (রা)] দু’ রাক’আত সালাত হারাম সীমানার বাইরে আদায় করেছেন
  • ১০৩২. তাওয়াফের দু’ রাক’আত সালাত মাকামে ইবরাহীমের পিছনে আদায় করা
  • ১০৩৩. ফজর ও ‘আসর-এর (সালাতের) পর তাওয়াফ করা।
  • ১০৩৪. অসুস্থ ব্যক্তির সাওয়ার হয়ে তাওয়াফ করা
  • ১০৩৫. হাজীদের পানি পান করানো
  • ১০৩৬. যমযম প্রসঙ্গ।
  • ১০৩৭. হজ্জে কিরানকারীর তাওয়াফ
  • ১০৩৮. উযুসহ তাওয়াফ করা
  • ১০৩৯. সাফা ও মারওয়ার মধ্যে সা’য়ী করা ওয়াজিব এবং একে আল্লাহর নিদর্শন বানানো হয়েছে
  • ১০৪০. সাফা ও মারওয়ার মাঝে সা’য়ী করা।
  • ১০৪১. ঋতুবতী নারীর পক্ষে বায়তুল্লাহর তাওয়াফ ব্যতীত হজ্জের অন্য সকল কার্য সম্পন্ন করা এবং বিনা উযুতে সাফা ও মারওয়ার মধ্যে সা’য়ী করা
  • ১০৪৩. যিলহজ্জ মাসের আট তারিখ হাজী কোথায় যুহরের সালাত আদায় করবে?
  • ১০৪৪. মিনায় সালাত আদায় করা
  • ১০৪৫. ‘আরাফার দিনে সাওম
  • ১০৪৬. সকালে মিনা থেকে ‘আরাফা যাওয়ার সময় তালবিয়া ও তাকবীর বলা
  • ১০৪৭. ‘আরাফার দিনে দুপুরে (উকূফের স্থানে) যাওয়া
  • ১০৪৮. ‘আরাফায় সওয়ারীর উপর ওকূফ করা
  • ১০৫০. ‘আরাফায় খুতবা সংক্ষিপ্ত করা
  • ১০৫২. আরাফায় ওকূফ করা
  • ১০৫৩. ‘আরাফা থেকে ফিরার পথে চলার গতি
  • ১০৫৪. ‘আরাফা ও মুযদালিফার মধ্যবর্তী স্থানে অবতরণ
  • ১০৫৫. (‘আরাফা থেকে) প্রত্যাবর্তনের সময় নবী (ﷺ) ধীরে চলার নির্দেশ দিতেন এবং তাঁদের প্রতি চাবুকের সাহায্যে ইশারা করতেন
  • ১০৫৬. মুযদালিফায় দু’ ওয়াক্ত সালাত একসাথে আদায় করা
  • ১০৫৭. দু’ ওয়াক্ত সালাত একসাথে আদায় করা এবং এ দুয়ের মাঝে কোন নফল সালাত আদায় না করা
  • ১০৫৮. মাগরিব এবং ‘ইশা উভয় সালাতের জন্য আযান ও ইকামাত দেওয়া
  • ১০৫৯. যারা পরিবারের দুর্বল লোকদের রাতে আগে পাঠিয়ে দিয়ে মুযদালিফায় ওকূফ করে ও দু’আ করে এবং চাঁদ ডুবে যাওয়ার পর আগে পাঠাবে
  • ১০৬০. মুযদালিফায় ফজরের সালাত কোন সময় আদায় করবে?
  • ১০৬১. মুযদালিফা হতে কখন রওয়ানা হবে?
  • ১০৬২. কুরবানীর দিন সকালে জামরায়ে ‘আকাবাতে কংকর নিক্ষেপের সময় তাকবীর ও তালবিয়া বলা এবং চলার পথে কাউকে সওয়ারীতে পেছনে বসানো
  • ১০৬৩. (আল্লাহর বাণীঃ) তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি হজ্জের প্রাক্কালে উমরা দ্বারা লাভবান হতে চায়, সে সহজলভ্য কুরবানী করবে ... হারামের বাসিন্দা নয় (২ঃ ১৯৬)
  • ১০৬৪. কুরবানীর উটের পিঠে সাওয়ার হওয়া।
  • ১০৬৫. যে ব্যক্তি কুরবানীর জানোয়ার সঙ্গে নিয়ে যায়
  • ১০৬৬. রাস্তা থেকে কুরবানীর পশু খরিদ করা
  • ১০৬৭. যে ব্যক্তি যুল-হুলায়ফা থেকে (কুরবানীর পশুকে) ইশ’আর এবং কিলাদা করে পরে ইহরাম বাঁধে।
  • ১০৬৮. উট এবং গরুর জন্য কিলাদা পাকান
  • ১০৬৯. কুরবিনীর পশু ইশ’আর করা।
  • ১০৭০. যে নিজ হাতে কিলাদা বাঁধে
  • ১০৭১. বকরীর গলায় কিলাদা পরানো
  • ১০৭২. পশমের তৈরি কিলাদা
  • ১০৭৩. জুতার কিলাদা ঝুলান
  • ১০৭৪. কুরবানীর উটের পিঠে আবরন পরানো। ইবন ‘উমর (রা) শুধু কুজের স্থানের ঝুল ফেড়ে দিতেন। আর তা নহর করার সময় নষ্ট করে দেওয়ার আশঙ্কায় ঝুলটি খুলে নিতেন এবং পরে তা সাদকা করে দিতেন
  • ১০৭৫. যে ব্যক্তি রাস্তা থেকে কুরবানীর জন্তু খরিদ করে ও তাঁর গলায় কিলাদা বাঁধে
  • ১০৭৬. স্ত্রীদের পক্ষে থেকে তাদের নির্দেশ ছাড়া স্বামী কর্তৃক কুরবানী করা।
  • ১০৭৭. মিনাতে নবী (ﷺ)-এর কুরবানী করার স্থানে কুরবানি করা
  • ১০৭৮. যে ব্যক্তি নিজ হাতে কুরবানী করে
  • ১০৭৯. উট বাঁধা অবস্থায় কুরবানী করা
  • ১০৮০. উট দাঁড় করিয়ে কুরবাণী করা।
  • ১০৮১. কুরবানীর জানোয়ারের কোন কিছুই কসাইকে দেওয়া যাবে না।
  • ১০৮২. কুরবানীর জানোয়ারের চামড়া সাদকা করা।
  • ১০৮৩. কুরবানীর জানোয়ারের পিঠের আবরণ সাদ্‌কা করা।
  • ১০৮৪. (আল্লাহর বাণী): এবং স্মরণ করুন, যখন আমি ইবরাহীমের জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছিলাম সে ঘরের স্থান, তখন বলেছিলাম, আমার সঙ্গে কোন শরীক স্থির করবে না এবং আমার ঘরকে পবিত্র রাখবে- তাদের জন্য যারা তাওয়াফ করে এবং যারা দাঁড়ায়, রুকূ’ করে ও সিজ্‌দা করে এবং হজ্জের ঘোষনা করে দিন মানুষের নিকট, তারা আপনার নিকট আসবে পায়ে হেঁটে সর্বপ্রকার ক্ষীণকায় উটের পিঠে। এরা আসবে দূর-দূরান্তর পথ অতিক্রম করে।... তার রবের নিকট তার জন্য এই-ই উত্তম (২২: ২৬-৩০)।
  • ১০৮৫. মাথা কামানোর আগে কুরবানী করা।
  • ১০৮৬. ইহরামের সময় মাথায় আঁঠালো বস্তু লাগান ও মাথা কামানো।
  • ১০৮৭. হালাল হওয়ার সময় মাথার চুল কামানো ও ছোট করা।
  • ১০৮৮. ‘উমরা আদায়ের পর তামাত্তু’কারীর চুল ছাটা।
  • ১০৮৯. কুরবানীর দিন তাওয়াফে যিয়ারত করা।
  • ১০৯০. ভুলক্রমে বা অজ্ঞতাবশত কেউ যদি সন্ধ্যার পর কংকর মারে অথবা কুরবানী করার আগে মাথা কামিয়ে ফেলে।
  • ১০৯১. জামরার নিকট সাওয়ারীতে আরোহণ অবস্থায় ফাতোয়া দেওয়া।
  • ১০৯২. মিনার দিনগুলোতে খুতবা প্রদান।
  • ১০৯৩. (হাজীদের) পানি পান করানোর ব্যবস্থাকারীদের ও অন্যান্য লোকদের (উযর বশত) মিনার রাতগুলোতে মক্কায় অবস্থান করা।
  • ১০৯৪. কংকর মারা। জাবির (রা) বলেন, নবী (সাঃ) কুরবানীর দিন চাশতের সময় এবং পরবর্তী দিনগুলোতে সূর্য ঢলে যাওয়ার পর কংকর মেরেছেন
  • ১০৯৫. বাতন ওয়াদী (উপত্যকার নীচুস্থান) থেকে কংকর মারা
  • ১০৯৬. জামরায় সাতটি কংকর মারা। এ কথাটি ইব্‌ন ‘উমর (রাঃ) নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন।
  • ১০৯৭. বায়তুল্লাহকে বাম দিকে রেখে জামরায়ে ‘আকাবায় কংকর মারা।
  • ১০৯৮. প্রতিটি কংকরের সাথে তাকবীর বলা। নবী (ﷺ) থেকে ইবন উমর (রাঃ) এ কথাটি বর্ণনা করেছেন।
  • ১১০০. অপর দুই জামরায় কংকর মেরে সমতল জায়গায় গিয়ে কেবলামুখী হয়ে দাঁড়ান
  • ১১০১. নিকটবর্তী এবং মধ্যবর্তী জামরার কাছে উভয় হাত তোলা।
  • ১১০২. দুই জামরার কাছে (দাঁড়িয়ে) দু’আ করা
  • ১১০৩. কংকর মারার পর খুশবু লাগান এবং তাওয়াফে যিয়ারতের আগে মাথা কামানো
  • ১১০৪. বিদায়ী তাওয়াফ
  • ১১০৫. তাওয়াফে যিয়ারতের পর যদি কোন মহিলার হায়েয আসে
  • ১১০৬. (মিনা থেকে) প্রত্যাবর্তনের দিন আবতাহ নামক স্থানে ‘আসরের সালাত আদায় করা।
  • ১১০৭. মুহাসসাব
  • ১১০৮. মক্কায় প্রবেশের আগে যু-তুয়াতে অবতরণ এবং মক্কা থেকে প্রত্যাবর্তনের সময় যুল-হুলাইফার বাতহাতে অবতরণ
  • ১১১০. (হজ্জের) মৌসুমে ব্যবহার করা এবং জাহিলী যুগের বাজারে বেচা-কেনা
  • ১১১১. মুহাসসাব থেকে শেষ রাতে রওয়ানা হওয়া
  • ১১১২. উমরা ওয়াজিব হওয়া এবং তার ফযীলত।
  • ১১১৩. যে ব্যক্তি হজ্জের আগে ‘উমরা আদায় করল
  • ১১১৪. নবী (ﷺ) কতবার উমরা করেছেন
  • ১১১৫. রমযান মাসে ‘উমরা আদায় করা
  • ১১১৬. মুহাসসাবের রাতে ও অন্য সময়ে ‘উমরা করা
  • ১১১৭. তান’ঈম থেকে ‘উমরা করা।
  • ১১১৮. হজ্জের পর ‘উমরা আদায় করাতে কুরবানী ওয়াজিব হয় না।
  • ১১১৯. কষ্ট অনুপাতে ‘উমরার সাওয়াব
  • ১১২০. ‘উমরা আদায়কারী ‘উমরার তাওয়াফ করে রওয়ানা হলে, তা কি তার জন্য বিদায়ী তাওয়াফের পরিবর্তে যাথেষ্ট হবে?
  • ১১২১. হজ্জে যে কাজ করা হয় ‘উমরাতেও তাই করবে
  • ১১২২. ‘উমরা আদায়কারী কখন হালাল হবে।
  • ১১২৩. হজ্জ, ‘উমরা ও জিহাদ থেকে প্রত্যাবর্তন করে কি (দু’আ) বলবে
  • ১১২৪. আগমনকারী হাজীদের খোশ-আমদের জানান এবং একই বাহনে তিনজন একত্রে সওয়ার হওয়া
  • ১১২৫. সকালে বাড়ি পৌছা
  • ১১২৬. বিকালে বাড়িতে প্রবেশ করা
  • ১১২৭. শহরে পৌছে রাতের বেলা পরিবারের কাছে প্রবেশ করবে না
  • ১১২৮. মদীনা পৌছে যে ব্যক্তি তার উটনী দ্রুত চালায়
  • ১১২৯. মহান আল্লাহর বাণীঃ তোমারা দরজা দিয়ে ঘরে প্রবেশ কর
  • ১১৩০. সফর ‘আযাবের একটি অংশ
  • ১১৩১. মুসাফিরের সফর দ্রুত করা ও করে শীঘ্র বাড়ি ফেরা
  • ১১৩৩. ‘উমরা আদায়কারী ব্যক্তি যদি আবরুদ্ধ হয়ে যায়
  • ১১৩৪. হজ্জে বাধাপ্রাপ্ত হওয়া
  • ১১৩৫. বাধাপ্রাপ্ত হলে মাথা কামানোর আগে কুরবানী করা
  • ১১৩৬. যার মতে বাধাপ্রাপ্ত ব্যক্তির উপর কাযা ওয়াজিব নয়। রাওহ (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, কাযা ঐ ব্যক্তির উপর ওয়াজিব, যে তার হজ্জ স্ত্রী উপভোগ করে নষ্ট করে দিয়েছে। তবে প্রকৃত ওযর কিংবা অন্য বাধা থাকলে সে হালাল হয়ে যাবে এবং তাকে (কাযার জন্য) ফিরে আসতে হবে না। বাধাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নিকট কুরবাণীর পশু থাকলে সেখানেই কুরবানী দিয়ে (হালাল হয়ে যাবে) যদি পশু কুরবানীর স্থানে পাঠাতে অক্ষম হয়। আর যদি সে তা পাঠাতে পারে তা হলে কুরবানীর জানোয়ারটি তার স্থানে না পৌছা পর্যন্ত হালা হবে না। ইমাম মালিক (রহঃ) ও অন্যান্য উলামায়ে কিরাম বলেন, সে যে কোন স্থানে কুরবানীর পশুটি যবেহ করে মাথা মুড়িয়ে নিতে পারবে। তার উপর কোন কাযা নেই। কেননা, হুদায়বিয়াতে তাওয়াফের আগে এবং কুরবানীর জানোয়ার বায়তুল্লাহয় পৌছার পূর্বে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও সাহাবীগন যবেহ করেছেন, মাথা কামিয়েছেন এবং হালাল হয়ে গিয়েছেন। এর কোন উল্লেখও নেই যে, এরপর নবী করীম (ﷺ) কাউকে কাযা করার বা (পুনরায় হজ্জ আদায় করার জন্য) ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছেন, অথচ হুদায়বিয়া হারাম শরীফের বাইরে অবস্থিত।
  • ১১৩৭. মহান আল্লাহর বাণীঃ ‘তোমাদের মধ্যে যদি কেউ পীড়িত হয় কিংবা মাথায় ক্লেশ থাকে তবে সিয়াম কিংবা সাদকা অথবা কুরবানীর দ্বারা তার ফিদয়া দিবে। ‘এ ব্যাপারে তাকে ইখতিয়ার দেওয়া হয়েছে। তবে সিয়াম পালন করলে তিন দিন করবে।
  • ১১৩৮. মহান আল্লাহর বাণীঃ অথবা সাদকা অর্থাৎ ছয়জন মিসকীনকে খাওয়ানো
  • ১১৩৯. ফিদয়ার দেয় খাদ্য অর্ধ সা’ পরিমাণ
  • ১১৪০. নুসূক হলো বকরী কুরবানী
  • ১১৪১. মহান আল্লাহর বাণীঃ স্ত্রী সম্ভোগ নেই
  • ১১৪২. মহান আল্লাহর বানীঃ হজ্জের সময়ে অন্যায় আচরন ও ঝগড়া-বিবাদ নেই (২ঃ ১৯৭)
  • ১১৪৪. মুহরিম নয় এমন কোন ব্যক্তি যদি শিকার করে শিকারকৃত জন্তু মুহরিমকে উপহার দেয় তাহলে মুহরিম তা খেতে পারবে। ইবন ‘আব্বাস (রা) ও আনাস (রা) শিকার ছাড়া অন্ন কোন প্রানী যবেহ করাতে মুহরিমের কোন অসুবিধা আছে বলে মনে করেন না। যেমন উট, বকরী, গরু, মুরগী ও ঘোড়া। বলা হয় عَدْل অর্থ مِثْل (অনুরূপ) এবং عِدْلٌ অর্থ زِنَةُ (সমান) قِيَامًا এর অর্থ হল قِوَامًا (কল্যাণ) এবং يَعْدِلُونَ এর অর্থ হল يَجْعَلُونَ له عَدْلاً (সমকক্ষ দাঁড় করানো)
  • ১১৪৫. মুহরিম ব্যক্তিগন শিকার জন্তু দেখে হাসাহাসি করার ফলে যদি ইহরামবিহীন ব্যক্তিরা তা বুঝে ফেলে
  • ১১৪৬. শিকার জন্তু হত্যা করার ব্যাপারে মুহরিম কোন হালাল ব্যক্তিকে সাহায্য করবে না
  • ১১৪৭. ইহরামধারী ব্যক্তি শিকার জন্তুর প্রতি ইশারা করবে না, জার ফলে ইহরামবিহীন ব্যক্তি শিকার করে নেয়
  • ১১৪৮. মুহরিম ব্যক্তিকে জীবিত জংলী গাধা হাদিয়া দিলে সে তা কবূল করবে না
  • ১১৪৯. মুহরিম ইহরাম অবস্থায় কি কি প্রাণী বধ করতে পারে
  • ১১৫০. হারম শরীফের কোন গাছ কাটা যাবে না । ইবন ‘আব্বাস (রাঃ) নবী করীম (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন যে, হারম শরীফের কাঁটাও কর্তন করা যাবে না
  • ১১৫১. হারমের কোন শিকার জন্তুকে তাড়ান যাবে না
  • ১১৫২. মক্কাতে লড়াই করা অবৈধ, আবূ শুরায়হ (রাঃ) করীম (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন যে, মক্কাতে কোন রক্তপাত করা যাবে না
  • ১১৫৩. মুহরিমের জন্য সিংগা লাগানো। ইবন ‘উমর (রাঃ) তাঁর ছেলেকে ইহরাম অবস্থায় লোহা গরম করে দাগ দিয়েছিলেন। মুহরিম সুগন্ধিবিহীন ঔষধ ব্যবহার করতে পারে
  • ১১৫৪. ইহরাম অবস্থায় বিবাহ করা
  • ১১৫৫. মুহরিম পুরুষ ও মহিলার জন্য নিষিদ্ধ সুগন্ধি সমূহ। আয়শা (রাঃ) বলেন, মুহরিম নারী ওয়ারস কিংবা জাফরানে রঞ্জিত কাপড় পরিধান করবে না
  • ১১৫৬. মুহরিম ব্যক্তি গোসল করা। ইবন ‘আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, মুহরিম ব্যক্তি গোসলখানায় প্রবেশ করতে পারবে। ইবন ‘উমর এবং আয়িশা (রাঃ) মুহরিম ব্যক্তি কর্তৃক শরীর চুলকানোতে কোন দোষ আছে বলে মনে করেন না
  • ১১৫৭. চপ্পল না থাকা অবস্থায় মুহরিম ব্যক্তির জন্য মোজা পরিধান করা
  • ১১৫৮. লুঙ্গি না পেলে (মুহরিম ব্যক্তি) পায়জামা পরিধান করবে।
  • ১১৫৯. মুহরিম ব্যক্তির অস্ত্র ধারন করা।
  • ১১৬০. মক্কা ও হারম শরীফে ইহরাম ব্যতীত প্রবেশ করা। ইবন ‘উমর (রাঃ) ইহরাম ছাড়া মক্কায় প্রবেশ করেছিলেন। নবী করীম (ﷺ) হজ্জ ও উমরা আদায়েস সংকল্পকারী লোকেদেরই ইহরাম বাঁধার আদেশ করেছিলেন। কাঠ বহনকারী এবং অন্যান্যদের জন্য তিনি ইহরাম বাঁধার কথা উল্লেখ করেন নি
  • ১১৬১. অজ্ঞাতবশতঃ যদি কেউ জামা পরে ইহরাম বাঁধে । ‘আতা (র) বলেন, অজ্ঞাতবশতঃ বা ভুলক্রমে যদি কেউ সুগন্ধি মাখে অথবা জামা পরিধান করে, তাহলে তাঁর উপর কোন কাফফারা নেই
  • ১১৬২. মুহরিম ব্যক্তির ‘আরাফাতে মৃত্যু হলে নবী করীম (ﷺ) তাঁর পক্ষে হতে হজ্জের বাকী রুকুন গুলো আদায় করার জন্য আদেশ প্রদান করেন নি
  • ১১৬৩. ইহরাম অবস্থায় মৃত্যু হলে তাঁর বিধান
  • ১১৬৪. মৃত ব্যক্তির পক্ষ হতে হজ্জ বা মানত আদায় করা। মহিলার পক্ষ থেকে পুরুষ হজ্জ আদায় করতে পারে
  • ১১৬৫. যে ব্যক্তি সওয়ারীতে বসে থাকতে সক্ষম নয়, তাঁর পক্ষ হতে হজ্জ আদায় করা
  • ১১৬৬. পুরুষের পক্ষে মহিলার হজ্জ আদায় করা
  • ১১৬৭. বালকদের হজ্জ আদায় করা
  • ১১৬৮. মহিলাদের হজ্জঃ আহমদ ইবন মুহাম্মদ (রহঃ) ...’আব্দুর রহমান ইবন’আওফ (রাঃ) হতে বর্নিত, যে বছর তিনি নবী করীম (ﷺ) এর সকল স্ত্রীকে হজ্জ আদায় করার অনুমতি দিয়েছিলেন এবং তাঁদের সাথে ‘উসমান ইবন ‘আফফান (রাঃ) এবং কে পাঠিয়েছিলেন
  • ১১৬৯. যে ব্যক্তি পায়ে হেটে কা’বার যিয়ারত করার মানত করে
  • ১১৭০. মদীনা হারম হওয়া
  • ১১৭১. মদীনার ফজীলত। মদীনা (অবাঞ্ছিত) লোকদেরকে বহিষ্কার করে দেয়
  • ১১৭২. মদীনার অপর নাম তাবা
  • ১১৭৩. মদীনার কংকরময় দু’টি এলাকা
  • ১১৭৪. যে ব্যক্তি মদীনা থেকে বিমুখ হয়
  • ১১৭৫. ঈমান মদীনার দিকে ফিরে আসবে
  • ১১৭৬. মদীনাবাসীর সাথে প্রতারনাকারীর পাপ
  • ১১৭৭. মদীনার প্রস্তর নির্মিত দুর্গসমূহ
  • ১১৭৮. দাজ্জাল মদীনায় প্রবেশ করতে পারবে না
  • ১১৭৯. মদীনা অপবিত্র লোকদেরকে বহিষ্কার করে দেয়
  • ১১৮০. পরিচ্ছেদ নাই
  • ১১৮১. মদীনার কোন এলাকা পরিত্যাগ করা বা জনশুন্য করা নবী করীম (সাঃ) অপছন্দ করতেন
  • ১১৮২. পরিচ্ছেদ নাই
  • ২৩/ সাওম বা রোজা (كتاب الصوم) ১১২ টি | ১৭৭০-১৮৮১ পর্যন্ত 23/ Fasting
  • ১১৮৩. রমযানের সাওম ওয়াজিব হওয়া প্রসঙ্গে। মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ হে মু’মিনগন! তোমাদের জন্য সিয়াম ফরজ করা হল, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর, যেন তোমরা মুত্তাকি হও (২:১৮৩)
  • ১১৮৪. সাওমের ফযীলত
  • ১১৮৫. সাওম (গোনাহের) কাফফারা
  • ১১৮৬. সাওম পালনকারীর জন্য রায়্যান
  • ১১৮৭. রমজান বলা হবে, না রমযান মাস বলা হবে? আর যাদের মতে উভয়টি বলা যায়। নবী (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রমযানের সিয়াম পালন করবে এবং আরো বলেছেনঃ তোমরা রমযানের আগে সিয়াম পালন করবে না
  • ১১৮৮. চাঁদ দেখা
  • ১১৮৯. যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সওয়াবের আশায় নিয়তসহ সিয়াম পালন করবে। ‘আয়িশা (রাঃ) নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন, কিয়ামতের দিন নিয়ত অনুযায়ী লোকদের উঠানো হবে।
  • ১১৯০. নবী (ﷺ) রমযানে সর্বাধিক দান করতেন
  • ১১৯১. সাওম পালনের সময় মিথ্যা বলা ও সে অনুযায়ী আমল বর্জন না করা
  • ১১৯২. কাউকে গালি দেওয়া হলে সে কি বলবে, আমি তো সাওম পালনকারী?
  • ১১৯৩. অবিবাহিত ব্যক্তি যে নিজের উপর আশংকা করে, তার জন্য সাওম
  • ১১৯৪. নবী করীম (ﷺ) এর বাণীঃ যখন তোমরা চাঁদ দেখবে তখন সাওম শুরু করবে আবার যখন চাঁদ দেখবে তখন ইফতার বন্ধ করবে।
  • ১১৯৫. ঈদের দুই মাস কম হয় না
  • ১১৯৬. নবী (সাঃ) এর বাণীঃ আমরা লিখি না এবং হিসাবও করি না
  • ১১৯৭. রমযানের একদিন বা দু’দিন আগে সাওম শুরু করবে না
  • ১১৯৮. মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ সিয়ামের রাতে তোমাদের স্ত্রীসম্ভোগ বৈধ হয়েছে। তাঁরা তোমাদের পরিচ্ছদ এবং তোমরা ও তাঁদের পরিচ্ছদ। আল্লাহ জানতেন, তোমরা নিজেদের প্রতি অবিচার করেছিলে, তারপর তিনি তোমাদের প্রতি ক্ষমাশীল হয়েছেন এবং তোমাদের অপরাধ ক্ষমা করে দিয়েছেন। সুতরাং এখন তোমরা তাঁদের সাথে সঙ্গত হও এবং আল্লাহ যা তোমাদের জন্য বিধিবদ্ধ করেছেন তা কামনা কর। (২ঃ ১৮৭)
  • ১১৯৯. মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ তোমরা পানাহার কর যতক্ষন না কাল রেখা থেকে ভোরের সাদা রেখা স্পষ্ট রুপে তোমাদের নিকট প্রতিভাত না হয়। তারপর রাত পর্যন্ত সিয়াম পূর্ন কর। এ বিষয় নবী করীম (ﷺ) থেকে বারা (রাঃ) হাদীস বর্ননা করেছেন
  • ১২০০. নবী (ﷺ) এর বাণীঃ বিলালের আযান যেন তোমাদের সাহরী থেকে বিরত না রাখে
  • ১২০১. সাহরী খাওয়ায় তাড়াতাড়ি করা
  • ১২০২. সাহরী ও ফজরের সালাতের মাঝে ব্যবধানের পরিমান
  • ১২০৩. সাহরীতে রয়েছে বরকত কিন্তু তা ওয়াজিব নয়। কেননা নবী (ﷺ) ও তাঁর সাহাবীগন একটানা সাওম পালন করেছেন অথচ সেখানে সাহরির কোন উল্লেখ নেই
  • ১২০৪. যদি কেউ দিনের বেলা সাওমের নিয়ত করে।
  • ১২০৫. জুনুবী (অপবিত্র) অবস্থায় সাওম পালনকারীর ভোর হওয়া
  • ১২০৬. সায়িম কর্তৃক স্ত্রী স্পর্শ করা।
  • ১২০৭. সায়িমের চুমু খাওয়া।
  • ১২০৮. সাওম পালনকারীর গোসল করা
  • ১২০৯. সাওম পালনকারী যদি ভুলবশতঃ আহার করে বা পানাহার করে ফেলে।
  • ১২১০. সায়িমের জন্য কাঁচা বা শুকনো মিসওয়াক ব্যবহার করা।
  • ১২১২. রমযানে সহবাস করা। আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে একটি মারফু হাদিস বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি ওযর এবং রোগ ব্যতীত রমযানের একটি সাওম ভেঙ্গে ফেলল, তার সারা জীবনের সাওমের দ্বারাও এ কাযা আদায় হবে না, যদিও সে সারা জীবন সাওম পালন করে। ইবন মাসউদ (রাঃ)ও অনুরূপ কথাই বলেছেন। সা’ঈদ ইবন মুসায়্যাব, শাবী, ইবন যুবায়র, ইবরাহীম, কাতাদা এবং হাম্মাম (রহঃ) বলেছেন, তার স্থলে একদিন কাযা করবে।
  • ১২১৩. যদি রমযানে স্ত্রী সঙ্গম করে এবং তার নিকট কিছু না থাকে এবং তাকে সাদকা দেওয়া হয়, তা হলে সে যেন তা কাফফারা স্বরূপ দিয়ে দেয়
  • ১২১৪. রমযানে রোযাদার অবস্থায় যে ব্যক্তি স্ত্রী সহবাস করেছে সে ব্যক্তি কি কাফফারা থেকে তার অবাবগ্রস্ত পরিবারকে খাওাতে পারবে?
  • ১২১৫. সাওম পালনকারীর শিঙ্গা লাগানো বা বমি করা।
  • ১২১৬. সফরে সওম পালন করা বা না করা
  • ১২১৭. রমযানের কয়েকদিন সওম করে যদি কেউ সফর আরম্ভ করে
  • ১২১৮. প্রচণ্ড গরমের জন্য যে ব্যক্তির উপর ছায়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে তাঁর সম্পর্কে নাবী (ﷺ) এর বাণীঃ সফরে সওম পালন করায় নেকী নেই
  • ১২১৯. সওম পালন করা ও না করার ব্যাপারে নাবী (ﷺ) এর সাহাবীগণ একে অন্যের প্রতি দোষারোপ করতেন না
  • ১২২০. সফর অবস্থায় সাওম ভঙ্গ করা, যাতে লোকেরা দেখতে পায়
  • ১২২১. এ (রোযা) যাদেরকে অতিশয় কষ্ট দেয় তাদের কর্তব্য এর পরিবর্তে ফিদয়া একজন মিসকিনকে খাদ্য দান করা (২ঃ ১৮৪)
  • ১২২২. রমযানের কাযা কখন আদায় করা হবে?
  • ১২২৩. ঋতুবতী মহিলা সালাত ও সওম উভয়ই ত্যাগ করবে
  • ১২২৪. সাওমের কাযা যিম্মায় রেখে যার মৃত্যু হয়। হাসান (রহঃ) বলেন, তাঁর পক্ষ হতে ত্রিশজন লোক একদিন সওম পালন করলে হবে।
  • ১২২৫. সায়িমের জন্য কখন ইফতার করা হালাল।
  • ১২২৬. পানি বা সহজলভ্য অন্য কিছু দিয়ে ইফতার করবে
  • ১২২৭. ইফতার ত্বরান্বিত করা
  • ১২২৮. রমযানে ইফতারের পরে যদি সূর্য দেখা যায়
  • ১২২৯. বাচ্চাদের সওম পালন করা।
  • ১২৩০. সওমে বিসাল (বিরতিহীন সওম) আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ “রাতের আগমন পর্যন্ত সওম পূর্ণ কর” (আল-বাক্বারা ২:১৮৭)। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাতে সাওম পালন করা যাবে না বলে যিনি অভিমত ব্যক্ত করেছেন, নাবী(সাঃ) উম্মতের উপর দয়াপরবশ হয়েও তাঁদের স্বাস্থ্য রক্ষার খাতিরে সওমে বিসাল হতে নিষেধ করেছেন এবং কোন বিষয়ে বাড়াবাড়ি করা নিন্দনীয়।
  • ১২৩১. যে ব্যক্তি অধিক পরিমাণে সাওমে বেসাল পালন করে তাকে শাস্তি প্রদান। আনাস (রাঃ) নবী করীম (সাঃ) হতে এ বর্ণনা করেছেন।
  • ১২৩২. সাহরীর সময় পর্যন্ত সওমে বিসাল পালন করা
  • ১২৩৩. কোন ব্যক্তি তাঁর ভাইয়ের নফল সওম ভাঙ্গার জন্য কসম দিলে এবং তার জন্য এ সাওমের কাযা ওয়াজিব মনে না করলে, যখন সাওম পালন না করা তার জন্য উত্তম হয়।
  • ১২৩৪. শা’বান (মাস) এর সাওম
  • ১২৩৫. নাবী (ﷺ) এর সাওম পালন করা ও না করার বর্ণনা
  • ১২৩৬. (নফল) সাওমের ব্যাপারে মেহমানের হক
  • ১২৩৭. নফল সওমে শরীরের হক
  • ১২৩৮. পুরা বছর সাওম পালন করা
  • ১২৩৯. সাওম পালনের ব্যাপারে পরিবার-পরিজনের অধিকার। আবূ জুহায়ফাহ (রাঃ) নাবী (সাঃ) হতে এরূপ বর্ণনা করেছেন।
  • ১২৪০. একদিন সাওম পালন করা ও একদিন ছেড়ে দেওয়া
  • ১২৪১. দাঊদ (আঃ) এর সাওম
  • ১২৪২. সিয়ামুল বীয ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ (এর সাওম)
  • ১২৪৩. কারো সাথে সাক্ষাৎ করতে গিয়ে (নফল) সাওম ভঙ্গ না করা
  • ১২৪৪. মাসের শেষভাগে সাওম পালন করা
  • ১২৪৫. জুমু’আর দিনে সাওম পালন করা। যদি জুমু’আর দিন সাওম পালনরত অবস্থায় ভোর হয় তবে তার উচিত সাওম ছেড়ে দেওয়া। অর্থাৎ যদি এর আগের দিনে সাওম পালন না করে থাকে এবং পরের দিনে সাওম পালনের ইচ্ছা না থাকে।
  • ১২৪৬. সাওম পালনের (উদ্দেশে) কোন দিন কি নির্দিষ্ট করা যায়?
  • ১২৪৭. ‘আরাফাতের দিনে সাওম পালন করা
  • ১২৪৮. ঈদুল ফিতরের দিনে সাওম পালন করা
  • ১২৪৯. কুরবানীর দিন সাওম পালন
  • ১২৫০. আইয়্যামে তাশরীকে সাওম পালন করা
  • ১২৫১. আশুরার দিনে সাওম পালন করা
  • ২৪/ তারাবীহর সালাত (كتاب صلاة التراويح) ১৬ টি | ১৮৮২-১৮৯৭ পর্যন্ত 24/ Praying at Night in Ramadaan (Taraweeh)
  • ১২৫২. কিয়ামে রমযান-এর (রমযানে তারাবীহর সালাতের) ফযীলত
  • ১২৫৩. লাইলাতুল ক্বদর এর ফযীলত। আর মহান আল্লাহর বাণীঃ “নিশ্চয়ই আমি নাযিল করেছি এ কুর’আন মহিমান্বিত রাতে। আর আপনি কি জানেন মহিমান্বিত রাত কি? মহিমান্বিত রাত হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ। সেই রাতে প্রত্যেক কাজের জন্য ফেরেশতাগণ এবং রূহ তাদের প্রতিপালকের আদেশক্রমে অবতীর্ণ হয়। সেই রাত শান্তি শান্তি, ফজর হওয়া পর্যন্ত।“ (আল ক্বাদরঃ ৯৭:১-৫) ইবন উয়াইনা (রহঃ) বলেন, কুরআন মাজীদে যে স্থলে مَا أَدْرَاكَ উল্লেখ করা হয়েছে আল্লাহ্‌ তা'আলা সে সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে অবহিত করেছেন। আর যে স্থলে وَمَا يُدْرِيكَ উল্লেখ করা হয়েছে তা তাকে অবহিত করেন নি।
  • ১২৫৪. (রমযানের) শেষের সাত রাতে লাইলাতুল ক্বদর অনুসন্ধান করো
  • ১২৫৫. রমযানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে লাইলাতুল ক্বাদর সন্ধান করা; এ প্রসঙ্গে উবাদা (রাঃ) থেকে রেওয়ায়াত রয়েছে।
  • ১২৫৬. মানুষের পারস্পরিক ঝগড়া-বিবাদের কারণে লাইলাতুল ক্বদ্রের সুনির্দিষ্ট জ্ঞান উঠিয়ে নেয়া
  • ১২৫৭. রমযানের শেষ দশকের ‘আমল
  • ২৫/ ই'তিকাফ (كتاب الاعتكاف) ২১ টি | ১৮৯৮-১৯১৮ পর্যন্ত 25/ Retiring to a Mosque for Remembrance of Allah (I'tikaf)
  • ১২৫৮. রমযানের শেষ দশকে ই‘তিকাফ এবং ই‘তিকাফ সব মসজিদেই হয়। কারণ মহান আল্লাহর বাণীঃ ”আর যতক্ষণ তোমরা ই‘তকাফ অবস্থায় মাসজিদসমূহে অবস্থান কর ততক্ষণ পর্যন্ত স্ত্রীদের সাথে মেলামেশা করো না। এগুলো আল্লাহর সীমারেখা। অতএব তোমরা এর নিকটবর্তী হয়ো না। এভাবে আল্লাহ তাঁর নিদর্শনাবলী মানব জাতির জন্যে সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেন, যাতে তারা তাকওয়া অবলম্বন করে।“ (আল-বাক্বরহঃ ২:১৮৭)
  • ১২৫৯. ঋতুবতী নারী কর্তৃক ই‘তিকাফকারীর চুল আঁচড়িয়ে দেওয়া
  • ১২৬০. (প্রাকৃতিক) প্রয়োজন ছাড়া ই‘তিকাফরত ব্যক্তি (তার) ঘরে প্রবেশ করতে পারবে না
  • ১২৬১. ই‘তিকাফকারীর (মাথা) ধৌত করা
  • ১২৬২. রাতে ই‘তিকাফ করা
  • ১২৬৩. নারীদের ই‘তিকাফ করা
  • ১২৬৪. মসজিদের অভ্যন্তরে তাঁবু খাটানো
  • ১২৬৫. কোন প্রয়োজনে ই‘তিকাফরত ব্যক্তি কি মসজিদের দরজা পর্যন্ত বের হতে পারেন?
  • ১২৬৬. ই‘তিকাফ এবং নাবী (ﷺ) কর্তৃক (রমযানের) বিশ তারিখ সকালে বেরিয়ে আসা
  • ১২৬৭. মুস্তাহাযা (প্রদর স্রাবযুক্ত) নারীর ই‘তিকাফ করা
  • ১২৬৮. ইতিকাফ অবস্থায় স্বামীর সঙ্গে স্ত্রীর সাক্ষাৎ করা
  • ১২৬৯. ই‘তিকাফকারীর নিজের উপর সৃষ্ট সন্দেহ অপনোদন করা
  • ১২৭০. ই‘তিকাফ হতে সকাল বেলা বের হওয়া
  • ১২৭১. শাওয়াল মাসে ই‘তিকাফ করা
  • ১২৭২. যিনি ই‘তিকাফকারীর জন্য সওম পালন জরুরী মনে করেন না
  • ১২৭৩. জাহিলিয়্যাতের যুগে ই‘তিকাফ করার মানত করে পরে ইসলাম কবুল করা
  • ১২৭৪. রমযানের শেষ দশকে ই‘তিকাফা করা
  • ১২৭৫. ই‘তিকাফ করার ইচ্ছা করে পরে কোন কারণে তা হতে বেরিয়ে যাওয়া ভাল মনে করা
  • ১২৭৬. ই‘তকাফকারী মাথা ধোয়ার উদ্দেশ্যে তার মাথা ঘরে প্রবেশ করানো
  • ২৬/ ক্রয় - বিক্রয় (كتاب البيوع) ১৭৮ টি | ১৯১৯-২০৯৬ পর্যন্ত 26/ Sales and Trade
  • ১২৭৭. মহান আল্লাহ্ তায়ালার এই বাণী সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে (ইরশাদ করছেন): সালাত সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়বে এবং মহান আল্লাহ্ তায়ালার অনুগ্রহ সন্ধান করবে ও মহান আল্লাহ্ তায়ালাকে অধিক স্মরন করবে, যাতে তোমরা সফলকাম হও। যখন তারা দেখল ব্যাবসায় কৌতুক, তখন তারা আপনাকে দাঁড়ান অবস্থায় রেখে সেদিকে ছুটে গেল। বলুন, মহান আল্লাহ্ তায়ালার নিকট যা আছে, তা ক্রীড়া-কৌতুক ও ব্যাবসা অপেক্ষা উৎকৃষ্ট। মহান আল্লাহ্ তায়ালা সর্বশ্রেষ্ঠ রিযিকদাতা। (৬২:১০-১১)। আর মহান আল্লাহ্ তায়ালার বানী: তোমরা নিজেদের মধ্যে অন্যের অর্থ-সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করোনা। কিন্তু তোমাদের পরস্পর রাযী হয়ে ব্যাবসা করা বৈধ।
  • ১২৭৮. হালাল সুস্পষ্ট, হারামও সুস্পষ্ট, উভয়ের মাঝে অস্পষ্ট বিষয় রয়েছে।
  • ১২৭৯. সন্দেহজনক কাজের ব্যাখ্যা। হযরত হাসসান ইবন আবু সিনান (রঃ) বলেন, আমি পরহেযগারী থেকে বেশী সহজ কাজ দেখতে পাইনি। (তা হলো) যা তোমার কাছে সন্দেহযুক্ত মনে হয়, তা পরিত্যাগ করে সন্দেহমুক্ত কাজ করো।
  • ১২৮০. সন্দেহযুক্ত থেকে বাঁচা
  • ১২৮১. ওয়াসওয়াসা ইত্যাদিকে যে সন্দেহ বলে গন্য করে না
  • ১২৮২. মহান আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার বাণীঃ যখন তারা দেখল ব্যাবসা ও কৌতুক তখন তারা সে দিকে ছুটে গেল। (৬২:১১)
  • ১২৮৩. যে ব্যক্তি কোথা থেকে সম্পদ উপার্জন করল, তার পরোয়া করে না
  • ১২৮৪. কাপড় ও অন্যান্য দ্রব্যের ব্যাবসা।
  • ১২৮৫. ব্যাবসা-বানিজ্যের উদ্দেশ্যে বের হওয়া। মহান আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ো এবং মহান আল্লাহ্ তা’আলার অনুগ্রহের সন্ধান করো। (৬২:১০)
  • ১২৮৭. মহান আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ যখন তারা দেখল ব্যাবসা ও কৌতুক তখন তারা আপনাকে দাঁড়ানো অবস্থায় রেখে সেদিকে ছুটে গেল। (৬২:১১) এবং মহান আল্লাহ্ তা’আলার বানী: সে সব লোক, যাদেরকে ব্যাবসা-বানিজ্য ও ক্রয়-বিক্রয় মহান আল্লাহ্ তা’আলার যিকির থেকে গাফিল রাখেনা। হযরত কাতাদা (রাঃ) বলেন, সাহাবীগন (রাঃ) ব্যাবসা-বানিজ্য করতেন বটে, কিন্তু যখন তাদের সামনে মহান আল্লাহ্ তা’আলার কোন হক এসে উপস্থিত হতো, যতক্ষন না তাঁরা এ হক মহান আল্লাহ্ তা’আলার সমীপে আদায় করে দিতেন, ততক্ষন ব্যাবসা-বানিজ্য ও ক্রয়-বিক্রয় মহান আল্লাহ্ তা’আলার ‍যিকির থেকে গাফেল করতে পারতনা।
  • ১২৮৮. মহান আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ তোমরা যা উপার্জন কর, তন্মধ্যে উৎকৃষ্ট থেকে ব্যায় কর। (২:২৬৭)
  • ১২৮৯. যে ব্যক্তি জীবিকায় বৃদ্ধি কামনা করে
  • ১২৯০. রাসূলূল্লাহ্ (ﷺ) কর্তৃক বাকীতে খরিদ করা
  • ১২৯১. লোকের উপার্জন এবং নিজ হাতে কাজ করা
  • ১২৯২. ক্রয়-বিক্রয়ে নম্রতা ও সদ্ব্যবহার। আর যে ব্যক্তি তার পাওনার তাগাদা করে সে যেন অন্যায় বর্জন করে তাগাদা করে।
  • ১২৯৩. সচ্ছল ব্যক্তিকে অবকাশ দেওয়া
  • ১২৯৪. অভাবগ্রস্থকে অবকাশ প্রদান করা
  • ১২৯৫. ক্রেতা-বিক্রেতা কর্তৃক কোন কিছু গোপন না করে পন্যের পূর্ন অবস্থা বর্ননা করা এবং একে অন্যের কল্যান কামনা করা। আদ্দা ইবন খালিদ (রাঃ) থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, রাসূলূল্লাহ্ (সাঃ) আমাকে লিখে দেন যে, এটি রাসূলূল্লাহ্ (সাঃ) আদ্দা ইবন খালিদ থেকে ক্রয় করলেন। এ হলো এক মুসলিমের সঙ্গে আর এক মুসলিমের ক্রয়-বিক্রয়। এতে নেই কোন খুঁত, কোন অবৈধতা এবং গায়িলা। কাতাদা (রঃ) বলেন, গায়িলা অর্থ ব্যভিচার, চুরি ও পালানোর অভ্যাস। ইবরাহীম নাখয়ী (রঃ) কে বলা হলো, কোন কোন দালাল খুরাসান ও সিজিস্তান এর খাসবারশি নাম উচ্চারন করে এবং বলে, এটি কালকে এসেছে খুরাসান থেকে, আর এটি আজ এসেছে সিজিস্তান থেকে। তিনি এরুপ বলাকে খুবই গর্হিত মনে করলেন। উকবা ইবন আমির (রঃ) বলেন, কোন ব্যক্তির জন্য বৈধ নয় যে, সে কোন পন্য বিক্রি করছে এবং এর দোষ-ত্রুটি জেনেও তা প্রকাশ করেনা।
  • ১২৯৬. মিশ্রিত খেজুর বিক্রি করা
  • ১২৯৭. গোশত বিক্রেতা ও কসাই প্রসঙ্গে
  • ১২৯৮. মিথ্যা বলা ও দোষ গোপন করায় ক্রয়-বিক্রয়ের বরকত নষ্ট হওয়া
  • ১২৯৯. মহান আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ হে মু’মিনগন, তোমরা চক্র বৃদ্ধি হারে সুদ খেয়োনা এবং মহান আল্লাহ্ তা’আলা-কে ভয় করো, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। (৩:১৩০)
  • ১৩০০. সুদ গ্রহনকারী, তার সাক্ষী ও লেখক। মহান আল্লাহ্ তা’আলার বানী: যারা সুদ খায়, তারা সেই ব্যক্তিরই ন্যায় দাঁড়াবে, যাকে শয়তান স্পর্শ দ্বারা পাগল করে। এ জন্য যে, তারা বলে, বেচাকেনা সুদের মতো ..... তারা অগ্নির অধিবাসী, সেখানে তারা স্থায়ী হবে। (২:২৭৫)
  • ১৩০১. সুদদাতা। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ হে মু’মিনগন, তোমরা মহান আল্লাহ্ তা’আলাকে ভয় কর এবং সুদের যা বকেয়া আছে, তা ছেড়ে দাও। ........ কর্মফল পুরোপুরি দেওয়া হবে আর তাদের প্রতি কোনরুপ অন্যায় করা হবেনা। (২:২৭৮-৭৮১) ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন। এটিই শেষ আয়াত, যা রাসূলূল্লাহ্ (সাঃ) এর উপর নাযিল হয়েছে।
  • ১৩০২. (মহান আল্লাহ্ তা’আলার বানী) : মহান আল্লাহ্ তা’আলা সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন এবং দানকে বর্ধিত করেন। মহান আল্লাহ্ তা’আলা কোন অকৃতজ্ঞ পাপীকে ভালোবাসেন না। (২: ২৭৬)
  • ১৩০৩. ক্রয়-বিক্রয়ে কসম খাওয়া নিষিদ্ধ
  • ১৩০৪. স্বর্নকার প্রসঙ্গে। তাউস (রঃ) ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলূল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেন, মক্কার কাঁচা ঘাস কাটা যাবেনা। আব্বাস (রাঃ) বললেন, কিন্তু ইযখির ঘাস ব্যতীত। কেননা তা মক্কাবাসীদের কর্মকারদের ও তাদের ঘরের কাজে ব্যাবহৃত হয়। রাসূলূল্লাহ্ (সাঃ) বলেন, আচ্ছা, ইযখির ঘাস ব্যতীত।
  • ১৩০৫. তীরের ফলক প্রস্তুতকারী ও কর্মকার প্রসঙ্গে
  • ১৩০৬. দরজী প্রসঙ্গে
  • ১৩০৭. তাঁতী প্রসঙ্গে
  • ১৩০৮. সূত্রধর প্রসঙ্গে
  • ১৩০৯. ইমাম কর্তৃক নিজেই প্রয়োজনীয় বস্তু খরিদ করা।
  • ১৩১০. জন্তু ও গাধা খরিদ করা। জন্তু বা উট খরিদ কালে বিক্রেতা যদি তার পিঠে আরোহী অবস্থায় থাকে, তবে তার অবতরনের পূর্বেই কি ক্রেতার হস্তগত হয়েছে বলে গন্য হতে পারে? হযরত ইবন উমর (রাঃ) বর্ননা করেন যে, রাসূলূল্লাহ্ (সাঃ) উমর (রাঃ) কে বললেন, আমার কাছে তা অর্থাৎ অবাধ্য উটটি বিক্রয় করে দাও।
  • ১৩১১. জাহিলী যুগে যে সকল বাজার ছিল এরপর ইসলামী যুগে সেগুলোতে লোকদের বেচাকেনা করা
  • ১৩১২. অতি পিপাসাকাতর অথবা চর্মরোগে আক্রান্ত উট ক্রয় করা। হায়িম অর্থ সকল বিষয়ে মধ্যপন্থা বিরোধী
  • ১৩১৩. ফিতনার সময় বা অন্য সময়ে অস্ত্র বিক্রি করা। ইমরান ইবন হুসাইন (রাঃ) ফিতনার ‍সময় অস্ত্র বিক্রি করাকে ভালো মনে করেন নি।
  • ১৩১৪. আতর বিক্রেতা ও মেশক বিক্রি করা।
  • ১৩১৫. শিংগা লাগানো
  • ১৩১৬. পুরুষ এবং মহিলার জন্য যা পরিধান করা নিষিদ্ধ তার ব্যাবসা করা
  • ১৩১৭. পন্যের মালিক মূল্য বলার অধিক হকদার
  • ১৩১৮. (ক্রেতা-বিক্রেতার) খিয়ার কতক্ষন পর্যন্ত থাকবে?
  • ১৩১৯. খিয়ারের সময়-সীমা নির্ধারন না করলে ক্রয়-বিক্রয় বৈধ হবে কি?
  • ১৩২০. ক্রেতা-বিক্রেতা বিচ্ছিন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাদের উভয়ের ইখতিয়ার থাকবে। ইবন উমর (রাঃ), শুরাইহ্, শা’বী, তাউস ও ইবন আবু মুলায়কা (রঃ) এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
  • ১৩২১. ক্রয়-বিক্রয় শেষে এক অপরকে ইখতিয়ার প্রদান করলে ক্রয়-বিক্রয় সাব্যস্ত হয়ে যাবে।
  • ১৩২২. বিক্রেতার ইখতিয়ার থাকলে ক্রয়-বিক্রয় বৈধ হবে কি?
  • ১৩২৪. ক্রয়-বিক্রয়ে প্রতারনা করা দোষনীয়
  • ১৩২৫. বাজার সম্পর্কে যা উল্লেখ করা হয়েছে। আবদুর রহমান ইবন আউফ (রাঃ) বলেন, আমরা মদীনায় আগমনের পর জিজ্ঞাসা করলাম, এমন কোন বাজার আছে কি, যেখানে ব্যাবসা বানিজ্য হয়? সে বলল, কায়নুকার বাজার আছে। আনাস (রাঃ) বলেন আবদুর রাহমান (রাঃ) বললেন, আমাকে বাজারের রাস্তা দেখিয়ে দাও। হযরত উমর (রাঃ) বলেন, আমাকে বাজারের ক্রয়-বিক্রয় গাফেল করে রেখেছে।
  • ১৩২৬. বাজারে চীৎকার করা অপছন্দনীয়
  • ১৩২৭. মেপে দেওয়ার দায়িত্ব বিক্রেতা ও দাতার উপর।
  • ১৩২৮. মেপে দেওয়া মুস্তাহাব
  • ১৩২৯. রাসূলূল্লাহ্ (ﷺ) এর সা’ ও মুদ এর বরকত। এ প্রসঙ্গে আয়িশা ছিদ্দিকা (রাঃ) সূত্রে হাদীস বর্ণিত রয়েছে।
  • ১৩৩০. খাদ্য বিক্রি ও মজুতদারী সম্পর্কে যা উল্লেখ করা হয়।
  • ১৩৩১. অধিকারে আনার পূর্বে খাদ্য বিক্রি করা এবং যে পন্য নিজের নিকট নেই তা বিক্রি করা
  • ১৩৩২. অনুমানে পরিমান ঠিক করে খাদ্যদ্রব্য খরিদ করে নিজের ঘরে না এনে তা বিক্রয় করা যিনি বৈধ মনে করেননা এবং এরুপ করা শাস্তিযোগ্য।
  • ১৩৩৩. যদি কোন ব্যক্তি দ্রব্য সামগ্রী বা জানোয়ার খরিদ করে হস্তগত করার পূর্বে তা বিক্রতার নিকটই রেখে দেয়, এরপর বিক্রেতা সে পন্য বিক্রি করে দেয় বা বিক্রেতা মারা যায়। ইবন উমর (রাঃ) বলেন, যদি বিক্রয়কালে বিক্রিত পশু জীবিত ও যথাযথ অবস্থায় থাকে (এবং পরে তার কোন ক্ষতি হয়) তবে তা ক্রেতার মাল নষ্ট হয়েছে বলে গন্য হবে।
  • ১৩৩৪. কেউ যেন তার ভাইয়ের ক্রয়-বিক্রয়ের উপর ক্রয়-বিক্রয় না করে, দর-দাম করার উপর দর-দাম না করে যতক্ষন সে তাকে অনুমতি না দেয় বা ত্যাগ না করে।
  • ১৩৩৫. নিলামের মাধ্যমে বিক্রি। আতা (রঃ) বলেন, আমি লোকদের (সাহাবায়ে কিরামকে) দেখেছি যে, তারা গনীমতের মাল অধিক মূল্য দানকারীর কাছে বিক্রি করাতে দোষ মনে করতেন না।
  • ১৩৩৬. প্রতারনামূলক দালালী এবং এরুপ ক্রয়-বিক্রয় জায়িজ নয় বলে যিনি অভিমত ব্যক্ত করেছেন। ইবন আবু আওফা (রাঃ) বলেন, দালাল হলো সুদখোর, খিয়ানতকারী। আর দালালী হলো প্রতারনা, যা বাতিল ও অবৈধ। রাসূলূল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, প্রতারনার ঠিকানা জাহান্নাম। যে এরুপ আমল করে যা আমাদের শরীআতের পরিপন্থী, তা পরিত্যাজ্য।
  • ১৩৩৭. প্রতারনামূলক বিক্রি এবং গর্ভস্থিত বাচ্চা গর্ভ থেকে খালাস হওয়ার পর তা গর্ভবতী হয়ে বাচ্চা প্রসব করা পর্যন্ত মেয়াদে বিক্রি।
  • ১৩৩৮. স্পর্শের মাধ্যমে ক্রয়-বিক্রয়। আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলূল্লাহ্ (সাঃ) এরুপ বেচা-কেনা থেকে নিষেধ করেছেন।
  • ১৩৩৯. পারস্পরিক নিক্ষেপের মাধ্যমে ক্রয়-বিক্রয় করা। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলূল্লাহ্ (সাঃ) এরুপ ক্রয়-বিক্রয় নিষেধ করেছেন।
  • ১৩৪০. বিক্রেতার প্রতি নিষেধ যে, উটনী, গাভী ও বকরী এবং প্রত্যেক দুগ্ধবতী জন্তুর দুধ সে যেন জমা করে না রাখে। মুসাররাত সে জন্তুকে বলা হয়, যার দুধ কয়েক দিন দোহন না করে আটকিয়ে এবং জমা করে রাখা হয়। তাসরিয়ার মূল অর্থ: পানি আটকিয়ে রাখা। এ থেকে বলা হয় صَرَّيْتُ الْمَاءَ আমি পানি আটকিয়ে রেখেছি বলবে, যখন তুমি পানি আটকিয়ে রাখবে।
  • ১৩৪১. দুধ আটকিয়ে রাখা পশুর ক্রেতা ইচ্ছা করলে ফেরত দিতে পারে এবং দোহিত দুধের বিনিময়ে এক সা’ পরিমান খেজুর দিবে।
  • ১৩৪২. ব্যভিচারী গোলামের বিক্রয়। (কাযী) শুরায়হ (রঃ) বলেন, ক্রেতা ইচ্ছা করলে ব্যভিচারের দোষের কারনে গোলাম ফেরত দিতে পারে।
  • ১৩৪৩. মহিলার সাথে ক্রয়-বিক্রয়
  • ১৩৪৪. পারিশ্রমিক ছাড়া শহরবাসী কি গ্রামবাসীর পক্ষে বিক্রয় করতে পারে? সে কি তার সাহায্য এবং উপকার করতে পারে? রাসূলূল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ তার ভাইয়ের সাহায্য কামনা করে, তখন সে যেন তার উপকার করে। এ বিষয়ে আতা (রঃ) অনুমতি প্রদান করেছেন।
  • ১৩৪৫. পারিশ্রমিকের বিনিময়ে গ্রামবাসীর পক্ষে শহরবাসীর বিক্রয় করা, যারা নিষিদ্ধ মনে করেন।
  • ১৩৪৬. দালালীর মাধ্যমে শহরবাসী যেন গ্রামবাসীর পক্ষে বিক্রয় না করে। ইবন সীরীন ও ইবরাহীম (নাখয়ী) (রঃ) ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের জন্য তা নাজায়েজ বলেছেন। ইবরাহীম (রঃ) বলেন, আরববাসী বলে, بِعْ لِي ثَوْبًا তারা এর অর্থ গ্রহন করে খরিদ করার, অর্থাৎ আমাকে একটি কাপড় খরিদ করে দাও
  • ১৩৪৭. (শহরে প্রবেশের পূর্বে কমমূল্যে খরিদের আশায়) বনিক দলের সাথে সাক্ষাৎ করা নিষেধ। এরুপ ক্রয় করা প্রত্যাখ্যাত। কেননা এরুপ ক্রেতা অন্যায়কারী ও অপরাধী হবে, যদি তা জ্ঞাত থাকে। ক্রয়-বিক্রয়ে এ এক রকমের ধোঁকা, আর ধোঁকা জায়িয নয়।
  • ১৩৪৮. (বনিক দলের সাথে) সাক্ষাতের সীমা
  • ১৩৪৯. ক্রয়-বিক্রয়ে এমন শর্ত করা যা অবৈধ
  • ১৩৫০. খেজুরের বিনিময়ে খেজুর বিক্রি করা
  • ১৩৫১. কিসমিসের বিনিময়ে কিসমিস ও খাদ্য দ্রব্যের বিনিময়ে খাদ্যদ্রব্য বিক্রয় করা
  • ১৩৫২. যবের বিনিময়ে যব বিক্রি করা
  • ১৩৫৩. স্বর্নের বিনিময়ে স্বর্ন বিক্রয় করা
  • ১৩৫৪. রৌপ্যের বিনিময়ে রৌপ্য বিক্রয়
  • ১৩৫৫. দীনারের বিনিময়ে দীনার বাকীতে ক্রয়-বিক্রয় করা।
  • ১৩৫৬. বাকীতে স্বর্নের বিনিময়ে রৌপ্যের ক্রয়-বিক্রয়
  • ১৩৫৭. নগদ-নগদ রৌপের বিনিময়ে স্বর্ন বিক্রয়
  • ১৩৫৮. মুযাবানা ক্রয়-বিক্রয়। এর অর্থ হলোঃ তাজা খেজুরের বিনিময়ে শুকনা খেজুর, তাজা আঙ্গুরের বিনিময়ে কিসমিসের ক্রয়-বিক্রয় করা আর আরায়া এর ক্রয়-বিক্রয়। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলূল্লাহ্ (সাঃ) মুযাবানা ও মুহাকালা থেকে নিষেধ করেছেন।
  • ১৩৫৯. স্বর্ন ও রৌপ্যের বিনিময়ে গাছের মাথায় ফল বিক্রি করা
  • ১৩৬০. আরিয়্যা এর ব্যাখ্যা। ইমাম মালিক (রঃ) বলেন, আরিয়্যা এর অর্থ-কোন একজন কর্তৃক কাউকে খেজুর গাছ (তার ফল খাওয়ার জন্য) দান করা। পরে ঐ ব্যক্তির বাগানে প্রবেশের কারনে সে বিরক্তিবোধ করে, ফলে তাকে অনুমতি দেওয়া হয় যে, সে শুকনো ফলের বিনিময়ে গাছগুলো (এর ফল) ঐ ব্যক্তির নিকট থেকে খরিদ করে নিবে।১ মুহাম্মাদ ইবন ইদরীস (ইমাম শাফিঈ (রঃ) বলেন শুকনো খেজুর এর বিক্রি নগদ নগদ এবং মাপের মাধ্যমে হবে, অনুমানে হবেনা। (ইমাম বুখারী (রঃ) বলেন) ইমাম শাফিঈ (রঃ) এর মতের সমর্থন পাওয়া যায় সাহল ইবন আবু হাসমা (রাঃ) এর এ উক্তির দ্বারা بِالأَوْسُقِ الْمُوَسَّقَةِ সুনির্দিষ্ট মাপের মাধ্যমে। ইবন ইসহাক (রঃ), নাফি’ (রঃ) এর সুত্রে ইবন উমর (রাঃ) থেকে বর্ননা করেন যে, মালিক কর্তৃক তার বাগান থেকে একটি বা ‍দু’টি খেজুর গাছ দান করাকে আরায়্যা বলা হয়। সুফিয়ান ইবন হুসায়ন (রঃ) ইয়াযীদ (রঃ) থেকে বর্ননা করেন যে, আরায়্যা হলো কিছু সংখ্যক খেজুর গাছ, গরীব-মিসকিনদের দান করা হতো, কিন্তু তারা খেজুর পাকা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারতনা বিধায় তাদের অনুমতি দেওয়া হতো যে, তারা যে পরিমান খেজুরের ইচ্ছা, তা বিক্রি করে দিবে।
  • ১৩৬১. ফলের উপযোগিত প্রকাশ পাওয়ার পূর্বে তা বিক্রয় করা। লাইস (রঃ) ... যায়দ ইবন সাবিত (রাঃ) থেকে বর্নিত, রাসূলূল্লাহ্ (সাঃ) এর সময়ে লোকেরা (গাছের) ফলের বেচা-কেনা করত। আবার যখন লোকদের ফল পাড়ার এবং তাদের মূল্য দেওয়ার সময় হতো, তখন ক্রেতা ফলে পোকা ধরেছে, নষ্ট হয়ে গিয়েছে, শুকিয়ে গিয়েছে এসব অনিষ্টকারী আপদের কথা উল্লেখ করে ঝগড়া করত। তখন এ ব্যাপারে রাসূলূল্লাহ্ (সাঃ) এর নিকটে অনেক অভিযোগ পেশ হতে লাগল, তখন তিনি বললেন, তোমরা যদি এ ধরনের বেচা-কেনা বাদ দিতে না চাও, তবে ফলের উপযোগিতা প্রকাশ পাওয়ার পর তার বেচা-কেনা করবে। অনেক অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ার কারনে তিনি এ কথাটি পরামর্শ স্বরুপ বলেছেন। রাবী বলেন, হযরত খারিজা ইবন যায়দ (রঃ) আমাকে বলেছেন যে, হযরত যায়দ ইবন ছাবিত (রাঃ) সুরাইয়্যা তারকা উদিত হওয়ার পর ফলের হলুদ ও লাল রংয়ের পূর্ন প্রকাশ না হ্ওয়া পর্যন্ত তাঁর বাগানের ফল বিক্রি করতেননা। আবু আবদুল্লাহ [ইমাম বুখারী (রঃ)] বলেন, আলী ইবন বাহর (রঃ) ... যায়দ (রাঃ) থেকে এ হাদীস বর্ননা করেছেন।
  • ১৩৬২. খেজুর উপযোগী হওয়ার পূর্বে তা বিক্রয় করা
  • ১৩৬৩. ফলের উপযোগিতা প্রকাশ হওয়ার পূর্বে বিক্রি করার পরে যদি তাতে মড়ক দেখা দেয়, তবে তা বিক্রেতার হবে।
  • ১৩৬৪. ‍নির্ধারিত মেয়াদে বাকীতে খাদ্য ক্রয় করা
  • ১৩৬৫. উৎকৃ্ষ্ট খেজুরের বিনিময়ে খেজুর বিক্রি করতে চাইলে
  • ১৩৬৬. তাবীরকৃত খেজুর গাছ অথবা ফসলকৃত জমি বিক্রয় করলে বা ভাড়ায় নিলে।
  • ১৩৬৭. মাপে খাদ্যের বদলে ফসল বিক্রি করা
  • ১৩৬৮. মূল খেজুর গাছ বিক্রি করা
  • ১৩৬৯. কাঁচা ফল ও শস্য বিক্রি করা
  • ১৩৭০. খেজুরের মাথি বিক্রয় করা এবং খাওয়া
  • ১৩৭১. ক্রয়-বিক্রয়, ইজারা, মাপ ও ওজন ইত্যাদির ব্যাপারে বিভিন্ন শহরে প্রচলিত রেওয়াজ ও নিয়ম গ্রহনীয়। এ বিষয়ে তাদের নিয়্যত ও প্রসিদ্ধ পন্থা-ই অবলম্বন করা হবে। শুরাইহ (রঃ) তাঁতী সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমাদের মাঝে প্রচলিত নিয়ম-নীতি (তোমাদের কাজ-কারবারে) গ্রহনযোগ্য। আবদুল ওহাব (রঃ) আয়্যুব (রঃ) সূত্রে মুহাম্মাদ ইবনে সীরীন (রঃ) থেকে বর্ননা করেন, দশ টাকায় ক্রীত বস্তু এগার টাকায় বিক্রি করতে কোন দোষ নেই, খরচের জন্য লাভ গ্রহন করা যায়। রাসূলূল্লাহ্ (সাঃ) [আবু সুফিয়ান (রাঃ) এর স্ত্রী] হিন্দাকে বলেছিলেন, তোমার ও তোমার সন্তানাদির জন্য যা প্রয়োজন, তা বিধিসম্মতভাবে গ্রহন করতে পার। মহান আল্লাহ্ তা’আলা বলেন, যে অভাবগ্রস্থ, সে যেন সংগত পরিমানে ভোগ করে (৪:৬)। একবার হাসান বসরী (রঃ) আবদুল্লাহ ইবন মিরদাস (রঃ) থেকে গাধা ভাড়া করেন এবং জিজ্ঞাসা করেন, ভাড়া কত? ইবন মিরদাস (রঃ) বলেন, দুই দানিক। এরপর তিনি এতে আরোহন করেন। দ্বিতীয় বার এসে তিনি বলেন, গাধাটি আন। এরপর তিনি গাধায় আরোহন করলেন, কিন্তু কোন ভাড়া ঠিক করলেন না। পরে অর্ধ দিরহাম (৩ দানিক) পাঠিয়ে দিলেন (তিনি দয়া করে এক দানিক বেশী দিলেন)।
  • ১৩৭২. এক শরীকের অপর শরীক থেকে ক্রয় করা
  • ১৩৭৩. এজমালী সম্পত্তি, বাড়িঘর ও আসবাবপত্রের বিক্রয়
  • ১৩৭৪. বিনা অনুমতিতে অন্যের জন্য কিছু খরিদ করার পর সে রাযী হলে।
  • ১৩৭৫. মুশরিক ও শত্রুপক্ষের সাথে বেচা-কেনা।
  • ১৩৭৬. শত্রুপক্ষ থেকে গোলাম খরিদ করা, হেবা করা এবং আযাদ করা। রাসূলূল্লাহ্ (সাঃ) সালমান ফারসী (রাঃ) কে বলেন, (তোমার মনিবের সাথে) মুক্তির জন্য চুক্তি কর। সালমান (রাঃ) আসলে স্বাধীন ছিলেন, লোকেরা তাকে অন্যায়ভাবে গোলাম বানিয়ে বিক্রি করে দেয়। আম্মার, সুহাইব ও বিলাল (রাঃ) কে বন্দী করে গোলাম বানানো হয়েছিল। মহান আল্লাহ্ তা’আলা বলেন: মহান আল্লাহ্ তা’আলা জীবনোপকরনে তোমাদের কাউকে কারো উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন। যাদেরকে শ্রেষ্ঠত্ব দেওয়া হয়েছে, তারা তাদের অধীনস্থ দাস-দাসীদেরকে নিজেদের জীবনোপকরন থেকে এমন কিছু দেয়না, যাতে ওরা এ বিষয়ে তাদের সমান হয়ে যায়। তবে কি ওরা মহান আল্লাহ্ তা’আলার অনুগ্রহ অস্বীকার করে? (১৬:৭১)
  • ১৩৭৭. পাকা করার পূর্বে মৃত জন্তুর চামড়ার ব্যাবহার
  • ১৩৭৮. শুকর হত্যা করাঃ জাবির (রাঃ) বলেন, রাসূলূল্লাহ্ (ﷺ) শুকর বিক্রয় হারাম করেছেন।
  • ১৩৭৯. মৃত জন্তুর চর্বি গলানো বৈধ নয় এবং তার তেল বিক্রি করাও বৈধ নয়। জাবির (রাঃ) রাসূলূল্লাহ্ (ﷺ) থেকে তা বর্ণনা করেছেন।
  • ১৩৮০.প্রাণী ব্যতীত অন্য বস্তুর ছবি বিক্রয় এবং এ সম্পর্কে যা নিষিদ্ধ।
  • ১৩৮১. শরাবের ব্যাবসা হারাম। জাবির (রাঃ) বলেন, রাসূলূল্লাহ্ (ﷺ) শরাব বিক্রি করা হারাম করেছেন।
  • ১৩৮২. আযাদ মানুষ বিক্রেতার পাপ
  • ১৩৮৩. গোলামের বিনিময়ে গোলাম এবং জানোয়ারের বিনিময়ে জানোয়ার বাকীতে বিক্রয়। ইবন উমর (রাঃ) চারটি উটের বিনিময়ে পাপ্য একটি আরোহনযোগ্য উট এই শর্তে খরিদ করেন যে, মালিক তা ‘রাবাযা’ নামক স্থানে হস্তান্তর করবে। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, অনেক সময় একটি উট দুটি উট অপেক্ষা উত্তম হয়। রাফি ইবন খাদীজ (রাঃ) দুটি উটের বিনিময়ে একটি উট খরিদ করে দুটি উটের একটি (তখনই) দিলেন আর বললেন, আর একটি উট ইনশাআল্লাহ্ আগামীকাল যথারীতি দিয়ে দিব। ইবন মুসাইয়্যিব (রঃ) বলেন, জানোয়ারের মধ্যে কোন ‘রিবা’ হয়না। দুই উটের বিনিময়ে এক উট, দুই বকরীর বিনিময়ে এক বকরী বাকীতে বিক্রয় করলে সুদ হয়না। ইবন সীরীন (রঃ) বলেন, দুই উটের বিনিময়ে এক উট এবং এক দিরহামের বিনিময়ে এক দিরহাম বাকী বিক্রি করাতে কোন দোষ নেই।
  • ১৩৮৪. গোলাম বিক্রয় করা
  • ১৩৮৫. মুদাব্বার গোলাম বিক্রয় করা
  • ১৩৮৬. ইসতিবরা অর্থাৎ জরায়ু গর্ভমুক্ত কি-না তা জানার পূর্বে বাঁদীকে নিয়ে সফর করা। হাসান বসরী (রঃ) তাকে চুম্বন করা বা তার সাথে মিলামিশা করায় কোন দোষ মনে করেননা। ইবন উমর (রাঃ) বলেন, সহবাসকৃত দাসীকে দান বা বিক্রি বা আযাদ করলে এক হায়য পর্যন্ত তার জরায়ু মুক্ত কি-না দেখতে হবে। কুমারীর বেলায় ইসতিবরার প্রয়োজন নেই। আতা (রঃ) বলেন, (অপর কর্তৃক) গর্ভবতী নিজ দাসীকে যৌনাঙ্গ ব্যতীত ভোগ করতে পারবে। মহান আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ নিজেদের স্ত্রী অথবা অধিকারভুক্ত বাঁদী ব্যতীত, এতে তারা নিন্দনীয় হবেনা......। (২৩:৬)
  • ১৩৮৭. মৃত জন্তু ও মূর্তি বিক্রয়
  • ১৩৮৮. কুকুরের মূল্য
  • ২৭/ সলম (كتاب السلم) ১৭ টি | ২০৯৭-২১১৩ পর্যন্ত 27/ Sales In which A Price Is Paid For Goods To Be Delivered Later (As-Salam)
  • ১৩৮৯. নির্দিষ্ট পরিমানে সলম করা
  • ১৩৯০. নির্দিষ্ট ওযনে সলম করা
  • ১৩৯১. যার কাছে মূল বস্তু নেই, তার সঙ্গে সলম করা।
  • ১৩৯২. খেজুরে সলম করা
  • ১৩৯৩. সলম ক্রয়-বিক্রয়ে যামিন ‍নিযুক্ত করা
  • ১৩৯৪. সলম ক্রয়-বিক্রয়ে ব্ন্ধক রাখা
  • ১৩৯৫. নির্দিষ্ট মেয়াদে সলম (পদ্ধতিতে) ক্রয়-বিক্রয়। ইবন আব্বাস ও সাঈদ (রাঃ) এবং আসওয়াদ ও হাসান বসরী (রঃ) এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন। ইবন উমর (রাঃ) বলেন, নির্দিষ্ট মেয়াদে ও নির্দিষ্ট দামের ভিত্তিতে খাদ্য (বাকীতে) বিক্রয় করায় দোষ নেই। অবশ্য যদি তা এমন ফসলে না হয়, যা আহারযোগ্য হয়নি।
  • ১৩৯৬. উটনী বাচ্চা প্রসবের মেয়াদে সলম করা
  • ২৮/ শুফআ (كتاب الشفعة) ৩ টি | ২১১৪-২১১৬ পর্যন্ত 28/ Shufa
  • ১৩৯৭. ভাগ-বাটোয়ারা হয়নি এমন যমীনে শুফআ এর অধিকার। যখন (ভাগ-বাটোয়ারা হয়ে) সীমানা নির্ধারিত হয়ে যায়, তখন আর শুফআ এর অধিকার থাকেনা।
  • ১৩৯৮. বিক্রয়ের পূর্বে শুফআ এর অধিকারীর নিকট (বিক্রয়ের) প্রস্তাব করা। হযরত হাকাম (রঃ) বলেন, বিক্রয়ের পূর্বে যদি অধিকারপ্রাপ্ত ব্যক্তি বিক্রয়ের অনুমতি দেয়, তবে তার শুফআ এর অধিকার থাকেনা। শাবী (রঃ) বলেন, যদি কারো উপস্থিতিতে তার শুফআ এর যমীন বিক্রি হয়, আর সে এতে কোন আপত্তি না করে, তবে (বিক্রয়ের পরে) তার শুফআ এর অধিকার থাকে না।
  • ১৩৯৯. কোন প্রতিবেশী অধিকতর নিকটবর্তী
  • ২৯/ ইজারা (كتاب الإجارة) ২৫ টি | ২১১৭-২১৪১ পর্যন্ত 29/ Hiring
  • ১৪০০. সৎ ব্যক্তিকে শ্রমিক নিয়োগ করা। মহান আল্লাহ্ তা’আলা বলেছেন: কারন তোমার মজদুর হিসাবে উত্তম হলো সে ব্যক্তি, যে শক্তিশালী, বিশ্বস্থ। (২৮:২৬)। বিশ্বস্থ খাজাঞ্চি নিয়োগ করা এবং কোন পদপ্রার্থীকে উক্ত পদে নিয়োগ না করা।
  • ১৪০১. কয়েক কীরাতের (আরবী মুদ্রা) বিনিময়ে বকরী চরানো
  • ১৪০২. প্রয়োজনে অথবা কোন মুসলিম পাওয়া না গেলে মুশরিকদেরকে মজদুর নিয়োগ করা। নবী (ﷺ) খায়বারের ইয়াহুদীদেরকে চাষাবাদের কাজে নিয়োগ করেন।
  • ১৪০৩. যদি কোন ব্যক্তি এ শর্তে কোন শ্রমিক নিয়োগ করে যে, সে তিন দিন অথবা এক মাস অথবা এক বছর পর কাজ করে দিবে, তবে তা জায়িয। যখন নির্দিষ্ট সময় এসে যাবে, তখন উভয়েই তাদের নির্ধারিত শর্ত সমুহের উপর বহাল থাকবে।
  • ১৪০৪. যুদ্ধে শ্রমিক নিয়োগ।
  • ১৪০৬. পতনোম্মুখ কোন দেয়াল খাড়া করে দেওয়ার জন্য মজদুর নিয়োগ করা বৈধ।
  • ১৪০৭. দুপুর পর্যন্ত সময়ের জন্য শ্রমিক নিয়োগ করা
  • ১৪০৮. আসরের সালাত পর্যন্ত মজদুর নিয়োগ করা
  • ১৪০৯. মজদুরকে পারিশ্রমিক প্রদান না করার গুনাহ।
  • ১৪১০. আসর থেকে রাত পর্যন্ত মজদুর নিয়োগ করা
  • ১৪১১. কোন লোককে মজদুর নিয়োগ করার পর সে মজুরী না নিলে নিয়োগকর্তা সে ব্যক্তির মজুরীর টাকা কাজে খাটাল। ফলে তা বৃদ্ধি পেল এবং যে ব্যক্তি অন্যের সম্পদ কাজে লাগালো এতে তা বৃদ্ধি পেল।
  • ১৪১২. নিজেকে পিঠে বোঝা বহনের কাজে নিয়োজিত করে পাপ্ত মজুরী থেকে সাদকা করা এবং বোঝা বহনকারীর মজুরী
  • ১৪১৩. দালালীর মজুরী। ইব্‌ন সীরীন, আতা, ইবরাহীম ও হাসান (র.) দালালীর মজুরীতে কোন দোষ মনে করেনি। ইব্‌ন আব্বাস (রা.) বলেন, যদি কেউ বলে যে, তুমি এ কাপড়টি বিক্রি করে দাও। এতো এতো এর উপর যা বেশী হয় তা তোমার, এতে কোন দোষ নেই। ইব্‌ন সীরীন (র.) বলেন, যদি কেউ বলে যে, এটা এত এত দামে বিক্রি করে দাও, লাভ যা হবে, তা তোমার, অথবা তা তোমার ও আমার মধ্যে সমান হারে ভাগ হবে, তবে এতে কোন দোষ নেই। নবী (স) বলেছেন, মুসলিমগণ তাদের পরস্পরের শর্তানুযায়ী কাজ করবে।
  • ১৪১৪. কোন (মুসলিম) ব্যক্তি নিজেকে দারুল হারবের কোন মুশরিকের মুজদুর বানাতে পারবে কি?
  • ১৪১৫. আরব কবীলায় সূরা ফাতিহা পড়ে ঝাড়-ফুঁক করার বিনিময়ে কিছু দেওয়া হলে। ইব্‌ন আব্বাস (রা.) নবী (সঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, পারিশ্রমিক গ্রহনের ব্যাপারে অধিক হকদার হল আল্লাহ্‌র কিতাব। শা’বী (র.) বলেন শিক্ষক কোনরূপ (পারিশ্রমিকের) শর্তারোপ করবে না। তবে (বিনা শর্তে) যদি তাকে কিছু দেওয়া হয় তিনি তা গ্রহণ করতে পারেন। হাকাম (র.) বলেন, আমি এমন কারো কথা শুনিনি, যিনি শিক্ষকের পারিশ্রমিক গ্রহণ করাটাকে অপছন্দ মনে করেছেন। হাসান (বাসরী) (র.) শিক্ষকের পারিশ্রমিক বাবত দশ দিরহাম দিয়েছেন। ইব্‌ন সীরীন (র.) বণ্টকারীর পারিশ্রমিক গ্রহণ করাতে কোন দোষ মনে করেন নি। তিনি বলেন, বিচারে ঘুষ গ্রহণকে সুহত বলা হয়। লোকেরা অনুমান করার জন্য অনুমানকারীদের পারিশ্রমিক প্রদান করত।
  • ১৪১৬. গোলামের উপর মাসুল নির্ধারণ এবং বাঁদীর মাসুলের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখা
  • ১৪১৭. শিংগা প্রয়োগকারীর উপার্জন।
  • ১৪১৮. কোন ব্যক্তির কোন গোলামের মালিকের সাথে এ মর্মে সুপারিশ করা সে যেন তার উপর ধার্যকৃত মাসুল কমিয়ে দেয়।
  • ১৪১৯. পতিতা বা দাসীর উপার্জন। ইবরাহীম (র.) বিলাপকারিনী ও গায়িকার পারিশ্রমিক গ্রহণ মাকরূহ মনে করেন। আল্লাহ্‌ তা’আলা বলেনঃ তোমাদের বাঁদী সতীত্ব রক্ষা করতে চাইলে পার্থিব জীবনের ধন লালশায় তাদেরকে ব্যভিচারে লিপ্ত হতে বাধ্য করো না- আল্লাহ্‌ অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও দয়াবান। (২৪:৩৩) মুজাহিদ (র.) বলেন فَتَيَاتِكُمْ অর্থ তোমাদের দাসীরা।
  • ১৪২০. পশুকে পাল দেওয়া
  • ১৪২১. যদি কেউ জমি ইজারা নেয় এবং তাদের দু’জনের কেউ মারা যায়।
  • ৩০/ হাওয়ালা (كتاب الحوالات) ৩ টি | ২১৪২-২১৪৪ পর্যন্ত 30/ Transfer Of A Debt From One Person To Another (Al-Hawaala)
  • ১৪২২. হাওয়ালা করা। হাওয়ালা করার পর পুনরায় হাওয়ালাকারীর নিকট দাবী করা যায় কি? হাসান এবং কাতাদা (র.) বলেন, যে দিন হাওয়ালা করা হল, সে দিন যদি সে মালদার হয় তাহলে হাওয়ালা জায়িয হবে। ইব্‌ন আব্বাস (রা.) বলেন, দু’জন অংশীদার অথবা উত্তরাধিকারী পরস্পরের মধ্যে এভাবে বণ্টন করল যে একজন নগদ সম্পদ নিল, অন্যজন সে ব্যক্তির অপরের নিকট পাওনা সম্পদ নিল। এমতাবস্থায় যদি কারো সম্পদ নষ্ট হয়ে যায়, তবে অন্যজনের নিকট তা আবার দাবী করা যাবে না।
  • ১৪২৩. যখন (ঋণ) কোন ধনী ব্যক্তির হাওয়ালা করা হয়, তখন (তা মেনে নেওয়ার পর) তার পক্ষে প্রত্যাখ্যান করার ইখতিয়ার নেই। যখন কাউকে কোন ধনী ব্যক্তির হাওয়ালা করা হয় সে যেন তা মেনে নেয় এর অর্থ হোল যদি কারোর তোমার কাছে কোনকিছু পাওনা থাকে আর তুমি তা কোন ধনী ব্যক্তির হাওয়ালা করে থাক এবং সে তোমার পক্ষ থেকে তার দায়িত্ব গ্রহণ করে থাকে তারপর যদি তুমি নিঃস্ব হয়ে যাও তবে প্রাপক হাওয়ালা গ্রহণকারী ব্যক্তির অনুসরণ করবে এবং তার থেকে পাওনা উশুল করবে।
  • ৩১/ যামিন হওয়া (كتاب الكفالة) ৭ টি | ২১৪৫-২১৫১ পর্যন্ত 31/ Kafalah
  • ১৪২৬. আল্লাহ্‌ তা’আলার বাণীঃ যাদের সাথে তোমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ তাদের অংশ দিয়ে দিবে (৪:৩৩)।
  • ১৪২৭. যদি কোন ব্যক্তি কোন মৃত ব্যক্তির ঋণের যামানত গ্রহণ করে, তবে তার এ দায়িত্ব প্রত্তাহারের ইখতিয়ার নেই। হাসান (র.) এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
  • ১৪২৮. নবী (ﷺ)-এর যুগে আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) কর্তৃক (মুশরিকদের) নিরাপত্তা দান এবং তার চুক্তি সম্পাদন।
  • ৩২/ ওয়াকালাত (كتاب الوكالة) ১৭ টি | ২১৫২-২১৬৮ পর্যন্ত 32/ Representation, Authorization, Business By Proxy
  • ১৪২৯. বণ্টন ইত্যাদির ক্ষেত্রে এক শরীক অন্য শরীকের ওয়াকীল হওয়া। নবী (ﷺ) তাঁর হজ্জের কুরবানীর পশুতে আলী (রা.)-কে শরীক করেন। পরে তা বণ্টন করে দেওয়ার আদেশ দেন।
  • ১৪৩০. দারুল হার্‌ব বা দারুল ইসলামে কোন মুসলিম কর্তৃক দারুল হারবে বসবাসকারী অমুসলিমকে ওয়াকিল বানানো বৈধ।
  • ১৪৩১. সোনা-রূপার ক্রয়-বিক্রয়ে ও ওযনে বিক্রয়যোগ্য বস্তুসমূহের ওয়াকীল নিয়োগ। উমর ও ইব্‌ন উমর (রা.) সোনা-রূপার ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যাপারে ওয়াকিল নিয়োগ করেছিলেন।
  • ১৪৩২. যখন রাখাল অথবা ওয়াকিল দেখে যে, কোন বকরী মারা যাচ্ছে অথবা কোন জিনিস নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, তখন সে তা যবেহ্‌ করে দিবে এবং যে জিনিসটা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়, সে জিনিসটাকে ঠিক করে দেবে।
  • ১৪৩৩. উপস্থিত ও অনুপস্থিত ব্যক্তিকে ওয়াকীল নিয়োগ করা জায়িয। আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌ন আমর (রা.) তাঁর পরিবারের ওয়াকীলকে লিখে পাঠান, যেন সে তাঁর ছোট-বড় সকলের তরফ থেকে সাদকায়ে ফিত্‌র আদায় করে দেয়, অথচ সে অনুপস্থিত ছিল।
  • ১৪৩৪. ঋণ পরিশোধ করার জন্য ওয়াকীল নিয়োগ
  • ১৪৩৫. কোন ওয়াকীলকে অথবা কোন সম্প্রদায়ের সুপারিশকারীকে কোন বস্তু হিবা কড়া জায়িয। কেননা নবী (ﷺ) হাওয়াযিন গোত্রের প্রতিনিধি দলকে যখন তারা গনীমতের মাল ফেরত চেয়েছিল বলেছিলেন, আমি আমার অংশটা তোমাদেরকে দিয়ে দিচ্ছি।
  • ১৪৩৬. যদি কোন ব্যক্তি কোন লোককে কিছু প্রদানের জন্য ওয়াকীল নিয়োগ করে, কিন্তু কত দিবে তা উল্লেখ করেনি, তবে সে প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী দিবে।
  • ১৪৩৭. মহিলা কর্তৃক বিয়ের ব্যাপারে ইমামকে ওয়াকীল নিয়োগ করা।
  • ১৪৩৯. যদি ওয়াকীল কোন দ্রব্য এভাবে বিক্রি করে যে, তা বিক্রি শরীআতের দৃষ্টিতে ফাসিদ, তবে তার বিক্রি গ্রহণযোগ্য নয়
  • ১৪৪০. ওয়াক্‌ফকৃত সম্পদে ওয়াকীল নিয়োগ, ও তার ব্যয়ভার বহন এবং তার বন্ধু- বান্ধবকে খাওয়ানো, আর নিজেও শরী’আত সম্মতভাবে খাওয়া।
  • ১৪৪১. (শরীআত নির্ধারিত) দণ্ড প্রয়োগের জন্য ওয়াকীল নিয়োগ
  • ১৪৪২. কুরবানীর উট ও তার দেখাশোনার জন্য ওয়াকীল নিয়োগ
  • ১৪৪৩. যখন কোন লোক তার ওয়াকীলকে বলল, এ মাল আপনি যেখানে ভালো মনে করেন, খরচ করুন, এবং ওয়াকীল বলল, আপনি যা বলেছেন, তা আমি শুনেছি।
  • ৩৩/ বর্গাচাষ (كتاب المزارعة) ২৮ টি | ২১৬৯-২১৯৬ পর্যন্ত 33/ Agriculture
  • ১৪৪৫. আহারের জন্য ফসল ফলানো এবং ফলবান বৃক্ষ রোপণের ফযীলত।
  • ১৪৪৬. কৃষি যন্ত্রপাতি নিয়ে ব্যস্ত থাকার পরিনতি সম্পর্কে সতর্কীকরণ ও নির্দেশিত সীমা অতিক্রম করা প্রসঙ্গে।
  • ১৪৪৭. খেত-খামার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কুকুর পোষা
  • ১৪৪৮. হাল-চাষের কাজে গরু ব্যবহার করা
  • ১৪৪৯. যখন কোন ব্যক্তি বলে যে, তুমি খেজুর ইত্যাদির বাগানে কাজ কর, আর তুমি উৎপাদিত ফলে আমার অংশীদার হও।
  • ১৪৫০. খেজুর গাছ ও অন্যান্য গাছ কেটে ফেলা। আনাস (রা.) বলেন, নবী (সঃ) খেজুর গাছ কেটে ফেলার আদেশ দেন এবং টা কেটে ফেলা হয়।
  • ১৪৫১. পরিচ্ছেদ নাই
  • ১৪৫২. অর্ধেক বা এর কাছাকাছি পরিমান ফসলের শর্তে ভাগে চাষাবাদ করা এবং কাইস ইব্‌ন মুসলিম (র.) আবূ জা’ফর (রা.) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, মদীনাতে মুহাজিরদের এমন কোন পরিবার ছিল না, যারা এক-তৃতীয়াংশ কিংবা এক-চতুর্থাংশ ফসলের শর্তে ভাগে চাষ করতেন না। আলী, সা’দ ইব্‌ন মালিক, আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌ন মাসউদ (রা.) উমর ইব্‌ন আবদুল আযীয, কাসিম, উরওয়াহ (র.) এবং আবূ বকর, উমর ও আলী (রা.)-এর বংশধর এবং ইব্‌ন সীরীন (র.) ও ভাগে চাষ করেছেন। আবদুর রহমান ইব্‌ন আসওয়াদ (রা.) বলেন, আমি আবদুর রাহমান ইব্‌ন ইয়াযীদের ক্ষেতে শরীক ছিলাম। উমর (রা.) লোকদের সাথে এ শর্তে জমি বর্গা দিয়েছেন যে, উমর (রা.) বীজ দিলে তিনি ফসলের অর্ধেক পাবেন। আর যদি তারা বীজ দেয় তবে তাদের জন্য এই পরিমাণ হবে। হাসান (র.) বলেন, যদি ক্ষেত তাদের মধ্যে কোন একজনের হয়, আর দু’জনেই তাতে খরচ করে, তা হলে উৎপন্ন ফসল সমান হারে ভাগ করে নেয়ার মধ্যে কোন দোষ নেই। যুহরী (র.) ও এ মত পোষণ করেন। হাসান (র.) বলেন, আধা-আধি শর্তে তুলা চাষ করতে কোন দোষ নেই। ইবরাহীম, ইব্‌ন সীরীন, ‘আতা, হাকাম, যুহরী ও কাতাদা (র.) বলেন, তাঁতীকে এক-তৃতীয়াংশ কিংবা এক-চতুর্থাংশের শর্তে কাপড় বুনতে দেয়ায় কোন দোষ নেই। মা’মার (র.) বলেন, (উপার্জিত অর্থের) এক-তৃতীয়াংশ বা এক-চতুর্থাংশের শর্তে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য গবাদী পশু ভাড়া দেয়াতে কোন দোষ নেই।
  • ১৪৫৩. বর্গাচাষে যদি বছর নির্দিষ্ট না করে
  • ১৪৫৪. পরিচ্ছেদ নাই
  • ১৪৫৫. ইয়াহুদীদেরকে জমি বর্গা দেওয়া
  • ১৪৫৬. পরিচ্ছেদঃ বর্গাচাষে যেসব শর্ত করা অপছন্দনীয়
  • ১৪৫৭. যদি কেউ অন্যদের মাল দিয়ে তাদের অনুমতি ছাড়া কৃষি কাজ করে এবং তাতে তাদের কল্যাণ নিহিত থাকে।
  • ১৪৫৮. নবী (ﷺ)-এর সাহাবীগণের ওয়াক্‌ফ ও খাজনার জমি এবং তাঁদের বর্গাচাষ ও চুক্তি ব্যবস্থা। নবী (ﷺ) উমর (রা.)-কে বললেন, তুমি মূল জমিটা এ শর্তে সাদকা করো যে, তা আর বিক্রি করা যাবে না। কিন্তু তার উৎপাদন ব্যয় করা হবে। তখন তিনি এভাবেই সাদকা করলেন।
  • ১৪৫৯. অনাবাদী জমি আবাদ করা। কূফার অনাবাদ জমি সম্পর্কে আলী (রা.)-এর এ মত ছিল (আবাদকারী তার মালিক হবে)। উমর (রা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন অনাবাদ জমি আবাদ করবে সে তার মালিক হবে। আমর ইব্‌ন আউফ (রা.) সূত্রে নবী (সঃ) থেকে এরূপ বর্ণিত হয়েছে এবং তিনি বলেছেন, তা হবে যে ক্ষেত্রে কোন মুসলিমের হক নাই, আর জালিম ব্যক্তির তাতে হক নাই। জাবির (রা.) কর্তৃক নবী (ﷺ) থেকে এ সম্পর্কিত রিওয়ায়াত বর্ণিত হয়েছে।
  • ১৪৬০. পরিচ্ছেদ নাই
  • ১৪৬১. যদি জমির মালিক বলে যে, আমি তোমাকে ততদিন থাকতে দিব যত দিন আল্লাহ্‌ তোমাকে রাখেন এবং কোন নির্দিষ্ট সময়ের উল্লেখ করল না। তখন তারা উভয়ে যত দিন রাজী থাকে ততদিন এ চুক্তি কার্যকর থাকবে।
  • ১৪৬২. নবী (ﷺ)-এর সাহাবীগণ (রা.) কৃষিকাজ ও ফল-ফসল উৎপাদনে একে অপরকে সহযোগিতা করতেন।
  • ১৪৬৩. সোনা-রূপার বিনিময়ে জমি ইজারা দেওয়া।
  • ১৪৬৪. পরিচ্ছেদ নাই
  • ১৪৬৫. বৃক্ষ রোপণ প্রসঙ্গে
  • ৩৪/ পানি সিঞ্চন (كتاب المساقاة) ৩০ টি | ২১৯৭-২২২৬ পর্যন্ত 34/ Distribution Of Water
  • ১৪৬৬. পানি বণ্টনের হুকুম।
  • ১৪৬৭. যিনি বলেন, পানির মালিক পানি ব্যাবহারের বেশী হকদার, তার জমি পরিসিঞ্চিত না হওয়া পর্যন্ত। কেননা রাসূলুল্লাহ্‌ (ﷺ) বলেছেন, অতিরিক্ত পানি ব্যবহার করতে যেন কাউকে নিষেধ করা না হয়
  • ১৪৬৮. কেউ যদি নিজের জায়গায় কুপ খনন করে (এবং তাতে যদি কেউ পড়ে মারা যায়) তা হলে মালিক তার জন্য দায়ী নয়
  • ১৪৬৯. কূপ নিয়ে বিবাদ এবং এ ব্যাপারে ফয়সালা।
  • ১৪৭০. যে ব্যক্তি মুসাফিরকে পানি দিতে অস্বীকার করে, তার পাপ
  • ১৪৭১. নদী-নালায় বাঁধ দেওয়া
  • ১৪৭২. নীচু জমির আগে উঁচু জমিতে সিঞ্চন
  • ১৪৭৩. উঁচু জমির মালিক পায়ে টাখনু পর্যন্ত পানি ভরে নিবে
  • ১৪৭৪. পানি পান করানোর ফযীলত
  • ১৪৭৫. যাদের মতে হাউজ ও মশ্‌কের মালিক, সে পানির অধিক হক্‌দার
  • ১৪৭৬. সংরক্ষিত চারণভূমি রাখা আল্লাহ্‌ ও তাঁর রাসূলুল্লাহ্‌ (সা) ছাড়া আর কারো অধিকার নেই
  • ১৪৭৭. নহর থেকে মানুষ ও চতুস্পদ জন্তুর পানি পান করা
  • ১৪৭৮. শুকনো লাকড়ী ও ঘাস বিক্রি করা
  • ১৪৭৯. জায়গীর
  • ১৪৮১. পানির কাছের উটের দুধ দোহন করা
  • ১৪৮২. খেজুরের বা অন্য কিছুর বাগানে কোন লোকের চলার পথ কিংবা পানির কূপ থাকা। রাসূলুল্লাহ্‌ (ﷺ) বলেছেন, কোন ব্যক্তি যদি খেজুর গাছের তাবীর (স্ত্রী পুষ্পরেণু সংমিশ্রনের পর) করার পর ও তা বিক্রি করে, তা হরে তার ফল বিক্রেতার, চলার পথও পানির কূপ বিক্রেতার, যতক্ষণ ফল তুলে নেওয়া না হয়। আরিয়্যার মালিকেরও এই হুকুম।
  • ৩৫/ ঋন গ্রহন (كتاب فى الاستقراض) ২৩ টি | ২২২৭-২২৪৯ পর্যন্ত 35/ Loans
  • ১৪৮৩. যে ধারে খরিদ করে অথচ তার কাছে তার মূল্য নেই কিংবা তার সঙ্গে নেই
  • ১৪৮৪. যে ব্যক্তি মানুষের সম্পদ গ্রহণ করে পরিশোধ করার উদ্দেশ্যে অথবা বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে
  • ১৪৮৫. ঋণ পরিশোধ করা। আর আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ আমানত তার হকদারকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আল্লাহ্‌ তোমাদের নির্দেশ দিচ্ছেন। আর যখন তোমরা মানুষের মধ্যে বিচার পরিচালনা করবে, তখন ন্যায় পরায়ণতার সাথে বিচার করবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের যে উপদেশ দেন তা কত উৎকৃষ্ট। আল্লাহ সব শুনেন, সব দেখেন (৪:৫৮)।
  • ১৪৮৬. উট ধার নেওয়া
  • ১৪৮৭. সুন্দরভাবে (প্রাপ্য) তাগাদা করা
  • ১৪৮৮. কম বয়সের উটের বদলে বেশী বয়সের উট দেয়া যায় কি?
  • ১৪৮৯. উত্তমরূপে ঋন পরিশোধ করা
  • ১৪৯০. ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি যদি পাওনাদারে প্রাপ্য থেকে কম পরিশোধ করে অথবা পাওনাদার তার প্রাপ্য মাফ করে দেয় তবে তা বৈধ
  • ১৪৯১. ঋণদাতার সঙ্গে কথা বলা এবং ঋণ খেজুর অথবা অন্য কিছুর বিনিময়ে অনুমান করে আদায় করা জায়িয
  • ১৪৯২. ঋণ থেকে পানাহ চাওয়া
  • ১৪৯৩. ঋণগ্রস্ত মৃত ব্যক্তির উপর সালাতে জানাযা
  • ১৪৯৪. ধনী ব্যক্তির (ঋণ আদায়ে) টালবাহানা করা জুলুম
  • ১৪৯৫. হকদারের বলার অধিকার রয়েছে।
  • ১৪৯৬. ক্রয়- বিক্রয়, ঋণ ও আমানত এর ব্যাপারে কেউ যদি তার মাল নিঃসম্বলের নিকট পায়, তবে সে-ই অধিক হকদার।
  • ১৪৯৮. গরীব বা অভাবী ব্যক্তির মাল বিক্রি করে তা পাওনাদারদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া অথবা তার নিজের খরচের জন্য দিয়ে দেওয়া
  • ১৫০০. ঋণ থেকে কমিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে সুপারিশ
  • ১৫০১. ধন-সম্পত্তি বিনষ্ট করা নিষিদ্ধ। আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ আল্লাহ অশান্তি পছন্দ করেন না (২:২০৫) আল্লাহ্‌ অশান্তি সৃষ্টিকারীদের কর্ম সার্থক করেন না (১০:৮১)। তারা বলেনঃ হে শুআয়ব! তোমার সালাত কি তোমাকে নির্দেশ দেয় যে, আমাদের পিতৃপুরুষেরা যার ইবাদত করত, আমাদের তা বর্জন করতে হবে এবং আমরা ধন-সম্পদ সম্পর্কে যা করি তাও না? (১১:৮৭) আল্লাহ্‌ তা’আলা আরো বলেছেনঃ এবং তোমরা তোমাদের সম্পদ নির্বোধদের হাতে অর্পণ করো না (৪:৫)। এই প্রেক্ষিতে অপব্যয় ও প্রতারণা নিষিদ্ধ হওয়া সম্পর্কে।
  • ১৫০২. গোলাম তার মালিকের সম্পদের রক্ষক। সে তার মালিকের অনুমতি ব্যতীত তা ব্যয় করবে না।
  • ৩৬/ কলহ- বিবাদ (كتاب الخصومات) ১৫ টি | ২২৫০-২২৬৪ পর্যন্ত 36/ Khusoomat
  • ১৫০৩. ঋণগ্রস্তকে স্থানান্তরিত করা এবং মুসলিম ও ইয়াহুদীর মধ্যে কলহ-বিবাদ
  • ১৫০৪. যিনি বোকা ও নির্বোধ ব্যক্তির লেন-দেন করা প্রত্যাখ্যান করেছেন। যদিও ইমাম (কাযী) তার লেন-দেনে বাধা আরোপ করেননি। জাবির (রা) থেকে বর্ণিত যে, সাদকা দানকারীকে নিষেধ করার পূর্বে সে যে সাদকা করছিল, রাসূলুল্লাহ্‌ (সা) তাকে তা ফেরত দিয়েছেন। এরপর (অনুরূপ অবস্থায়) তাকে সাদকা করা থেকে নিষেধ করেছেন। ইমাম মালি (র) বলেন, কারো উপর যদি ঋণ থাকে এবং তার কাছে একটি গোলাম ছাড়া আর কিছুই না থাকে, আর সে যদি গোলামটি আযাদ করে তবে তার এ আযাদ করা জায়িয নয়। যে ব্যক্তি কোন নির্বোধ বা এ ধরনের কোন লোকের সম্পত্তি বিক্রি করে এবং বিক্রি মূল্য তাকে দিয়ে দেয় ও তাকে তার অবস্থার উন্নতি ও অর্থকে যথাযথ ব্যবহার করতে নির্দেশ দেয়। এরপর যদি সে তার অর্থ নষ্ট করে দেয় তাহলে সে তাকে অর্থ ব্যবহার করা থেকে বিরত রাখবে। কেননা, রাসূলুল্লাহ্‌ (সা) সম্পদ বিনষ্ট করতে নিষেধ করেছেন। যে লোককে ক্রয়-বিক্রয়ে ধোঁকা দেওয়া হত, তাকে রাসূলুল্লাহ্‌ (সা) বলেছেন, যখন তুমি ক্রয়-বিক্রয় করবে তখন বলে দিবে, ধোঁকা দিবে না। আর রাসূলুল্লাহ্‌ (সা) তার মাল গ্রহণ করেন নি।
  • ১৫০৫. বিবাদমানদের পরস্পরের কথাবর্তা
  • ১৫০৭. মৃত ব্যক্তির ওসী হওয়ার দাবী
  • ১৫০৮. কারো দ্বারা অনিষ্ট হওয়ার আশংকা থাকলে তাকে বন্দী করা। কুরআন, সুন্নাহ্‌ ও ফরযসমূহ শিখাবার উদ্দেশ্যে ইব্‌ন আব্বাস (রা) ইকরিমাকে পায়ে বেড়ী দিয়ে আটকিয়ে রাখতেন
  • ১৫০৯. হারাম শরীফে (কাউকে) বেঁধে রাখা এবং বন্দী করা। নাফি ইব্‌ন আবদুল হারিস (রা) কয়েদখানা বানাবার উদ্দেশ্যে মক্কায় সাফওয়ান ইব্‌ন উমাইয়ার কাছ থেকে এই শর্তে একটি ঘর ক্রয় করেছিলেন যে, যদি উমর (রা) রাযী হন তবে ক্রয় পূর্ণ হবে। আর যদি তিনি রাযী না হন তা হলে সাফওয়ান চারশত দিনার পাবে। ইব্‌ন যবায়র (রা) মক্কায় বন্দী করেছেন
  • ১৫১০. (ঋণদাতা ঋণী ব্যক্তির) পিছনে লেগে থাকা
  • ১৫১১. ঋণের তাগাদা করা
  • ৩৭/ পড়ে থাকা বস্তু উঠান (كتاب فى اللقطة) ১৩ টি | ২২৬৫-২২৭৭ পর্যন্ত 37/ Lost Things Picked Up By Someone (Luqaata)
  • ১৫১২. পড়ে থাকা বস্তুর মালিক আলামতের বিবরণ দিলে মালিককে ফিরিয়ে দিবে
  • ১৫১৩. হারিয়ে যাওয়া উট
  • ১৫১৪. হারিয়ে যাওয়া বকরী
  • ১৫১৫. এক বছরের পরেও যদি পড়েথাকা বস্তুর মালিক পাওয়া না যায় তা হলে সেটা যে পেয়েছে তারই হবে
  • ১৫১৭. পথে খেজুর পাওয়া গেলে
  • ১৫১৮. মক্কাবাসীদের পড়ে থাকা জিনিসের কিভাবে ঘোষণা দেওয়া হবে। তাউস (র) ইব্‌ন আব্বাস (রা) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্‌ (সা) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্‌ (সা) বলেছেন, মককায় পড়ে থাকা জিনিস কেবল সেই ব্যক্তি উঠাবে, যে তার ঘোষণা দিবে। খালিদ (র), ইকরিমা (রা) এর মাধ্যমে ইব্‌ন আব্বাস (রা) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্‌ (সা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, মক্কায় পড়ে থাকা জিনিস কেবল সেই ব্যক্তি উঠাবে যে তার ঘোষনা দিবে। আহমদ ইব্‌ন সাঈদ (র).... ইব্‌ন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্‌ (সা) বলেছেন, সেখানকার গাছ কাটা যাবে না, সেখানকার শিকার কাড়ানো যাবে না এবং সেখানকার পড়েথাকা জিনিস যে ঘোষণা দিবে, সে ব্যতীত অন্য কারো জন্য তুলে নেওয়া হালাল হবে না, সেখানকার ঘাস কাটা যাবে না। তখন আব্বাস (রা) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্‌! ইযখির (এক প্রকার ঘাস) ব্যতীত। তখন রাসূলুল্লাহ্‌ (সা) বললেন, ইযখির ব্যতীত (অর্থাৎ ইযখির ঘাস কাটা যাবে)।
  • ১৫১৯. অনুমতি ব্যতীত কারো পশু দোহন করা যাবে না
  • ১৫২০. পড়ে থাকা জিনিসের মালিক এক বছর পড়ে আসলে তার জিনিস তাকে ফিরিয়ে দিবে। কারণ সেটা ঠিল তার কাছে আমানত স্বরূপ
  • ১৫২১. পড়ে থাকা বস্তু যাতে নষ্ট না হয় এবং কোন অনুপযুক্ত ব্যক্তি যাতে তুলে না নেয় সে জন্য তা তুলে নিবে কি?
  • ১৫২২. যে ব্যক্তি পড়ে থাকা জিনিসের ঘোষনা দিয়েছে, কিন্তা তা সরকারের কাছে জমা দেয় নি
  • ১৫২৩. পরিচ্ছেদ নাই
  • ৩৮/ যুলম ও কিসাস (كتاب المظالم) ৪৩ টি | ২২৭৮-২৩২০ পর্যন্ত 38/ Oppressions
  • ১৫২৫. অপরাধের দন্ড
  • ১৫২৬. আল্লাহ্‌ তা’আলার বাণীঃ সাবধান! জালিমদের উপর আল্লাহর লা’নত (১১:১৮)।
  • ১৫২৭. মুসলিম মুসলিমের প্রতি জুলুম করবে না এবং তাকে অপমানিতও করবে না
  • ১৫২৮. তোমার ভাইকে সাহায্য কর, সে যালিম হোক বা মাযলুম
  • ১৫২৯. মাজলুমকে সাহায্য করা
  • ১৫৩২. জুলুম কিয়ামতের দিন অনেক অন্ধকারের রূপ ধারন করবে
  • ১৫৩৩. মাযলুমের ফরিয়াদকে ভয় করা এবং তা থেকে বেঁচে থাকা
  • ১৫৩৪. মাযলুম জালিমকে মাফ করে দিল; এমতাবস্থায় সে জালিমের জুলুমের কথা প্রকাশ করতে পারবে কি?
  • ১৫৩৫. যদি কেউ কারো জুলুম মাফ করে দেয়, তবে সে জুলুমের জন্য পুনরায় তাকে দায়ী করা চলবে না
  • ১৫৩৬. যদি কোন ব্যক্তি কাউকে কোন বিষয়ে অনুমতি প্রদান করে তাকে মাফ করে, কিন্তু কি পরিমাণ মাফ করল তা ব্যক্ত করেনি
  • ১৫৩৭. যে ব্যক্তি কারো জমির কিছু অংশ যুল্‌ম করে নিয়ে নেয় তার গুনাহ
  • ১৫৩৮. যদি কোন ব্যক্তি কাউকে কোন বিষয়ে অনুমতি প্রদান করে তবে তা জায়িয
  • ১৫৩৯. মহান আল্লাহ্‌র বাণী- প্রকৃত পক্ষে সে কিন্তু অতি ঝগড়াটে (২:২০৪)
  • ১৫৪০. যে ব্যক্তি জেনে শুনে না হক বিষয়ে ঝগড়া করে, তার অপরাধ
  • ১৫৪১. ঝগড়া করার সময় অশ্লীল ভাষা ব্যবহার
  • ১৫৪২. জালিমের মাল যদি মাজলুমের হস্তগত হয়, তবে তা থেকে সে নিজের প্রতিশোধ গ্রহণ করতে পারে। ইব্‌ন সীরীন (র) বলেন, তার প্রাপ্য যতটুকু, ততটুকু গ্রহণ করতে পারে এবং তিনি (কুরআনুল কারীমের এ আয়াত) পাঠ করেনঃ যদি তোমরা প্রতিশোধ গ্রহণ কর, তবে ঠিক যতখানি করবে, যতখানি অন্যায় তোমাদের প্রতি করা হয়েছে (১৬:২৬)
  • ১৫৪৩. ছায়া-ছাউনী প্রসঙ্গে। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ও তাঁর সাহাবীগণ বণূ সাঈদার ছায়া ছাউনীতে বসেছিলেন
  • ১৫৪৪. কোন প্রতিবেশী যেন তার প্রতিবেশীকে তার দেয়ালে খুঁটি পুঁততে বাঁধা না দেয়
  • ১৫৪৫. রাস্তায় মদ ঢেলে দেওয়া
  • ১৫৪৬. ঘরের আঙ্গিনা ও তাতে বসা এবং রাস্তার উপর বসা।
  • ১৫৪৭. রাস্তায় কূপ খনন করা, যদি তাতে কারো কষ্ট না হয়
  • ১৫৪৯. ছাদ ইত্যাদির উপর উঁচু বা নীচু চিলেকোঠা ও কক্ষ নির্মাণ করা
  • ১৫৫০. যে তার উট মসজিদের আঙ্গিনায় কিংবা মসজিদের দরজায় বেঁধে রাখে
  • ১৫৫১. লোকজনের ময়লা-আবর্জনা ফেলার স্থানে দাঁড়ানো ও পেশাব করা
  • ১৫৫২. যে ব্যক্তি ডালপালা এবং মানুষকে কষ্ট দেয় এমন বস্তু রাস্তা থেকে তুলে তা অন্যত্র ফেলে দেয়
  • ১৫৫৩. লোকজনের চলাচলের প্রশস্ত রাস্তায় মালিকরা কোন কিছু নির্মাণ করতে চাইলে এবং এতে মতানৈক্য করলে রাস্তার জন্য সাত হাত জায়গা ছেড়ে দিবে
  • ১৫৫৪. মালিকের অনুমতি ছাড়া ছিনিয়ে নেওয়া। উবাদা (রাঃ) বলেন, আমরা নবী (সাঃ) এর কাছে এ মর্মে বায়আত করেছি যে, আমরা লুটপাট করব না
  • ১৫৫৫. ক্রুশ ভেঙ্গে ফেলা ও শূকর হত্যা করা
  • ১৫৫৬. যে মটকায় মদ রয়েছে, তা কি ভেঙ্গে ফেলা হবে অথবা মশকে ছিদ্র করা হবে কি? যদি কেউ নিজের লাঠি দিয়ে মূর্তি কিংবা ক্রুশ বা তান্বুরা অথবা কোন অপ্রয়োজনীয় বস্তু ভেঙ্গে ফেলে। শুরাইহ (রহঃ) এর কাছে তান্বুরা ভেঙ্গে ফেলার জন্য মামলা দায়ের করা হলে তিনি এর জন্য কোন জরিমানার ফয়সালা দেন নি।
  • ১৫৫৭. মাল রক্ষা করতে গিয়ে যে ব্যক্তি নিহত হয়
  • ১৫৫৮. যদি কেউ অন্য কারুর পিয়ালা বা কোন জিনিস ভেঙ্গে ফেলে
  • ১৫৫৯. যদি কেউ (কারো) দেয়াল ভেঙ্গে ফেলে, তা হলে সে অনুরূপ দেয়াল তৈরি করে দিবে
  • ৩৯/ অংশীদারিত্ব (كتاب الشركة) ২২ টি | ২৩২১-২৩৪২ পর্যন্ত 39/ Partnership
  • ১৫৬০. আহার্য, পাথেয় এবং দ্রব্য সামগ্রীতে শরীক হওয়া। মাপ ও ওজনের জিনিসপত্র কিভাবে বিতরন করা হবে? অনুমানের ভিত্তিতে না কি মুটো মুটো করে। যেহেতু মুসলিমগণ পাথেয়তে এটা দোষের মনে করে না যে, কিছু ইনি খাবেন আর কিছু উনি খাবেন (অর্থাৎ যার যা ইচ্ছা সে সেটা খাবে) তেমনিভাবে সোনা ও রূপা অনুমানের ভিত্তিতে বণ্টন করা এবং এক সঙ্গে জোড়া জোড়া খেজুর খাওয়া
  • ১৫৬১. যেখানে দু'জন অংশীদার থাকে যাকাতের ক্ষেত্রে তারা উভয়ে নিজ নিজ অংশ হিসাবে নিজেদের মধ্যে আদান প্রদান করে নিবে
  • ১৫৬২. বকরী বণ্টন
  • ১৫৬৩. এক সঙ্গে খেতে বসলে সাথীদের অনুমতি ব্যতীত এক সঙ্গে দুটো করে খেজুর খাওয়া
  • ১৫৬৪. কয়েক শরীকের ইজমালী বস্তুর ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ
  • ১৫৬৫. কুরআর মাধ্যমে বণ্টন ও অংশ নির্ধারণ করা যাবে কি?
  • ১৫৬৬. ইয়াতীম ও ওয়ারীসদের অংশীদারিত্ব
  • ১৫৬৭. জমি ইত্যাদিতে অংশীদারিত্ব
  • ১৫৬৮. শরীকগণ বাড়ীঘর বা অন্যান্য সম্পত্তি বণ্টন করে নেওয়ার পর তাদের তা প্রত্যাহারের বা শুফ'আর অধিকার থাকে না
  • ১৫৬৯. সোনা ও রূপা বিনিময় যোগ্য মুদ্রার অংশীদার হওয়া
  • ১৫৭০. কৃষিকাজে যিম্মী ও মুশরীকদের অংশীদার করা
  • ১৫৭১. ছাগল বণ্টন করা ও তাতে ইনসাফ করা
  • ১৫৭২. খাদ্য-দ্রব্য ইত্যাদিতে অংশীদারিত্ব।
  • ১৫৭৩. গোলাম বাঁদিতে অংশীদারিত্ব
  • ১৫৭৪. কুরবানীর পশু ও উট শরীক হওয়া এবং হাদী রওয়ানা করার পর কেউ কাউকে শরীক করলে তার বিধান
  • ১৫৭৫. যে ব্যক্তি বণ্টনকালে দশটি বকরীকে একটা উটের সমান মনে করে
  • ৪০/ বন্ধক (كتاب الرهن) ৮ টি | ২৩৪৩-২৩৫০ পর্যন্ত 40/ Mortgagging
  • ১৫৭৬. আবাসে থাকা অবস্থায় বন্ধক রাখা। মহান আল্লাহর বাণীঃ যদি তোমরা সফরে থাকো এবং কোন লেখক না পাও, তবে বন্ধক রাখা বৈধ (২ঃ ২৮৩)
  • ১৫৭৭. নিজ বর্ম বন্ধক রাখা
  • ১৫৭৮. অস্র বন্ধক রাখা
  • ১৫৭৯. বন্ধক রাখা প্রানীর উপর আরোহণ করা যায় এবং দুধ দোহন করা যায়।
  • ১৫৮০. ইয়াহুদী ও অন্যান্যদের (অমুসলিমদের) কাছে বন্ধক রাখা
  • ১৫৮১. বন্ধকদাতা ও বন্ধক গ্রহীতার মধ্যে মতভেদ দেখা দিলে বা অনুরূপ কোন কিছু হলে বাদীর দায়িত্ব সাক্ষী পেশ করা আর বিবাদীর দায়িত্ব কসম করা
  • ৪১/ গোলাম আযাদ করা (كتاب العتق) ৪০ টি | ২৩৫১-২৩৯০ পর্যন্ত 41/ Manumission Of Slaves
  • ১৫৮২. গোলাম আযাদ করা ও তার ফযীলত এবং আল্লাহ তা’আলার এ বাণী: গোলাম আযাদ কিংবা দুর্ভিক্ষের দিনে অন্নদান ইয়াতীম আত্মীয়কে ।( ৯০:১৩-১৫)।
  • ১৫৮৩. কোন ধরণের গোলাম আযাদ করা উত্তম?
  • ১৫৮৪. সূর্যগ্রহণ ও (আল্লাহর কুদরতের) বিভিন্ন নিদর্শন প্রকাশকালে গোলাম আযাদ করা মুস্তাহাব
  • ১৫৮৫. দু’ব্যক্তির মালিকানাধীন গোলাম বা কয়েকজন অংশীদারের বাঁদী আযাদ করা।
  • ১৫৮৬. কেউ গোলামের নিজের অংশ আযাদ করে দিলে এবং তার প্রয়োজনীয় অর্থ না থাকলে চুক্তিবদ্ধ গোলামের মত তাকে অতিরিক্ত কষ্ট না দিয়ে উপার্জন করতে বলা হবে।
  • ১৫৮৭. ভুলবশত অথবা অনিচ্ছায় গোলাম আযাদ করা ও স্ত্রীকে তালাক দেওয়া ইত্যাদি। আল্লাহ তা’আলার সন্তুষ্টি ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যে গোলাম আযাদ করা যায় না। নবী (সা) বলেছেন, প্রত্যেক ব্যক্তি তাই পাবে, যা যে নিয়্যত করে। এবং যে ব্যক্তি অনিচ্ছায় বা ভুল বশত কিছু বলে, তার কোন নিয়্যত থাকে না।
  • ১৫৮৮. আযাদ করার নিয়্যতে কোন ব্যক্তি নিজের গোলাম সম্পর্কে সে আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট বলা এবং আযাদ করার ক্ষেত্রে সাক্ষী রাখা।
  • ১৫৮৯. উম্মু ওয়ালাদ প্রসঙ্গ। আবূ হুরায়রা (রা.) নবী (সা) থেকে বর্ণনা করেছেন, কিয়ামতের একটি আলামতের একটি আলামত এই যে, বাঁদী তার মুনিবকে প্রসব করবে।
  • ১৫৯০. মুদাববার বিক্রি করা।
  • ১৫৯১. গোলামের অভিভাবকত্ব বিক্রি বা দান করা।
  • ১৫৯২. কারো মুশরিক ভাই বা চাচা বন্দী হলে কি তাদের পক্ষ থেকে মুক্তিপণ গ্রহণ করা হবে ? আনাস (রা.) বর্ণনা করেছেন, আব্বাস (রা.) নবী (ﷺ)-কে বলেছিলেন, আমি নিজের ও আকীলে মুক্তিপণ আদায় করচি। এদিকে আলী ইবন আবী তালিব (রা.) তার ভাই আকীল ও চাচা আব্বাসের মুক্তিপণ বাবদ প্রাপ্ত গনীমাতের অংশ পেয়েছিলেন।
  • ১৫৯৩. মুশরিক কর্তৃক গোলাম আযাদ করা।
  • ১৫৯৪. কোন ব্যক্তি আরবী গোলাম-বাঁদীর মালিক হয়ে তা দান করলে বা বিক্রি করলে, বা বাঁদীর সাথে সহবাস করলে বা মুক্তিপণ হিসাবে দিলে এবং সন্তানদের বন্দী করলে, (তার হুকুম কি হবে) ? আল্লাহ তা’আলার ইরশাদ: আল্লাহ উপমা দিচ্ছেন অপরের অধিকার ভুক্ত এক গোলামের, যে কোন কিছুর উপর শক্তি রাকে না এবং এমন এক ব্যক্তির, যাকে তিনি নিজ থেকে উত্তম রিযিক দান করেছেন এবং সে তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে। তারা কি একে অপরের সমান? সকল প্রশংসা আল্লাহর প্রাপ্য, অথচ তাদের অধিকাংশই তা জানে না। (১৬:৭৫)
  • ১৫৯৫. আপন বাঁদীকে জ্ঞান ও শিষ্টাচার শিখানোর ফযীলত।
  • ১৫৯৬. নবী (ﷺ)-এর ইরশাদ, তোমাদের গোলামেরা তোমাদেরই ভাই। কাজেই তোমরা যা খাবে তা থেকে তাদেরকেও খাওয়াবে। (এ সম্পর্কে) আল্লাহ তা’আলার বাণী: আর তোমরা আল্লাহর ইবাদত করবে ও কোন কিছুকে তার শরীক করবে না এবং পিতা-মাতা,আত্মীয়-স্বজন,ইয়াতীম,অভাবগ্রস্থ,নিকট প্রতিবেশী, দূরপ্রতিবেশী, সংগী-সাথী,পথচারী এবং তোমাদের অধিকারভুক্ত দাস-দাসীদের প্রতি সদ্ব্যবহার করবে। দাম্ভিক,আত্মগর্বীকে। (৪ঃ ৩৬)
  • ১৫৯৭. গোলাম যদি উত্তমরূপে তার প্রতিপালকের ইবাদত করে আর তার মালিকের হিতাকাংক্ষী হয়
  • ১৫৯৮. গোলামের উপর নির্যাতন করা এবং আমার গোলাম ও আমার বাঁদী এরূপ বলা অপছন্দনীয়। আল্লাহ তা’আলার বাণী এবং তোমাদের গোলাম বাঁদীদের মধ্যে যারা সৎ.....(২৪ঃ ৩২)। তিনি আরো বলেনঃ অপরের অধিাকারভুক্ত এক গোলামের...............(১৬:৭৫) তারা স্ত্রী লোকটির স্বামীকে দরজার কাছে পেলো। (১২ঃ ২৫)। আল্লাহ তা’আলা আরো বলেন, তোমাদের ঈমানদার বাঁদীদের........(৪ঃ ২৫) নবী (সা) বলেন, তোমরা তোমাদের নেতাদের জন্য দাঁড়িয়ে যাও। তোমরা প্রভুর কাছে আল্লাহর কথা বলবে, (১২ঃ ৪২)। অর্থাৎ তোমার মালিকের কাছে।
  • ১৫৯৯. খাদিম যখন খাবার পরিবেশন করে।
  • ১৬০০. গোলাম আপন মনিবের সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণকারী। নবী (ﷺ) সম্পদকে মনিবের সাথে সম্পর্কিত করেছেন।
  • ১৬০১. গোলামের মুখমণ্ডল ে আঘাত করবে না।
  • ৪২/ মুকাতাব (كتاب المكاتب) ৫ টি | ২৩৯১-২৩৯৫ পর্যন্ত 42/ Makttib
  • ১৬০৩. মুকাতাবের উপরে যে সব শর্ত আরোপ করা জায়িজ এবং আল্লাহর কিতাবে নেই এমন শর্ত আরোপ করা। এ বিষয়ে ইবন উমর (রা.) থেকে হাদীস বর্ণিত হয়েছে
  • ১৬০৪. মানুষের কাছে মুকাতাবের সাহায্য চাওয়া ও যাচনা করা।
  • ১৬০৫. মুকাতাবের সম্মতি সাপেক্ষে তাকে বিক্রি করা।
  • ১৬০৬. মুকাতাব যদি (কাউকে) বলে, আমাকে ক্রয় করে আযাদ করে দিন, আর সে যদি ঐ উদ্দেশ্যে তাকে ক্রয় করে।
  • ৪৩/ হিবা (উপহার) প্রদান (كتاب الهبة وفضلها والتحريض عليها) ৬৫ টি | ২৩৯৬-২৪৬০ পর্যন্ত 43/ Gifts
  • পরিচ্ছেদ নাই
  • ১৬০৭. সামান্য পরিমাণ হিবা করা।
  • ১৬০৮. কেউ যদি তার সাথীদের কাছে কোন কিছু চায়। আবূ সাঈদ (রা.) বলেন, নবী (ﷺ) বললেন, তোমাদের সাথে আমার জন্য এক অংশ রেখো।
  • ১৬০৯. পানি চাওয়া। সাহল (রাঃ) বর্ণনা করেন, নবী (ﷺ) আমাকে বললেন, আমাকে পান করাও।
  • ১৬১০. শিকারের গোশত হাদিয়াস্বরূপ গ্রহন কর। আবু কাতাদা (রাঃ) থেকে নবী (ﷺ) শিকারকৃত পশুর একটি বাহু গ্রহন করে ছিলেন।
  • ১৬১১. হাদিয়া গ্রহন করা
  • ১৬১২. সঙ্গীদের হাদিয়া দিতে গিয়ে তার কোন স্ত্রীর জন্য নির্ধারিত দিনে অপেক্ষা করা
  • ১৬১৩. যে সব হাদিয়া ফিরিয়ে দিতে চাই
  • ১৬১৪. যে বস্তু কাছে নেই, তা হিবা করা যিনি জাইয মনে করেন
  • ১৬১৫. হিবার প্রতিদান দেওয়া
  • ১৬১৬. সন্তানকে কোন কিছু দান করা। কোন এক সন্তানকে দান করা বৈধ হবে না, যতক্ষন না ইনসাফের সাথে অন্য সন্তানদের সমভাবে দান করা হয়। অবশ্য এ ক্ষেত্রে উক্ত পিতার বিরুদ্ধে কারো সাক্ষী দেওয়া চলবে না। নবী (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, সন্তানদেরকে কিছু দেওয়ার ব্যাপারে তোমরা ইনসাফপূর্ণ আচরণ করো। কিছু দান করে পিতার পক্ষে ফেরত নেওয়া বৈধ কি? পুত্রের সম্পদ থেকে ন্যায় সঙ্গতভাবে পিতা খেতে পারবে, তবে সীমা লঙ্ঘন করবে না। নবী (সাঃ) একবার উমর (রাঃ) এর কাছ থেকে একটি উট খরিদ করলেন, পরে ইবন উমরকে তা দান করে বললেন, এটা যে কোন কাজে লাগাতে পারো।
  • ১৬১৭. হিবার ক্ষেত্রে সাক্ষী রাখা
  • ১৬১৮. স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে এবং স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে দান করা।
  • ১৬১৯. মহিলার জন্য স্বামী থাকা অবস্থায় স্বামী ছাড়া অন্য কাউকে দান করা বা গোলাম আযাদ করা; যদি সে নির্বোধ না হয় তবে জাইয, আর নির্বোধ হলে জাইয নয়। আল্লাহ্‌ তা'আলা বলেনঃ নির্বোধদের হাতে তোমরা নিজেদের সম্পদ তুলে দিও না। (৪ঃ ৫)
  • ১৬২০. হাদিয়া দানের ক্ষেত্রে কাকে প্রথমে দিবে?
  • ১৬২১. কোন কারণে হাদিয়া গ্রহন না করা।
  • ১৬২২. হাদিয়া পাঠিয়ে কিংবা পাঠানোর ওয়াদা করে তা পৌঁছানোর আগেই মারা গেলে।
  • ১৬২৩. গোলাম বা অন্যান্য সামগ্রী কিভাবে অধিকারে আনা যায়। ইবন উমর (রাঃ) বলেন, আমি এক অবাধ্য উটের উপর সাওয়ার ছিলাম। নবী (ﷺ) সেটি খরিদ করে বললেন, হে আবদুল্লাহ! এটি তোমার।
  • ১৬২৪. হাদিয়া পাঠালে অপরজন গ্রহন করলাম (একথা) না বলেই যদি তা নিজ অধিকারে নিয়ে নেয়
  • ১৬২৫. এক ব্যক্তির কাছে প্রাপ্য ঋণ অন্য কে দান করে দেওয়া। শু'বা (রহঃ) হাকাম (রহঃ) থেকে বর্ণনা করে বলেন যে, তা জায়িয। হাসান ইবন আলী (রাঃ) তার পাওনা টাকা এক ব্যক্তিকে দান করেছিলেন। নবী (ﷺ) বলেছেন, কারো যিম্মায় কোন হক থাকলে তার কর্তব্য সেটা পরিশোধ করে দেওয়া, কিংবা হকদারের নিকট থেকে মাফ করিয়ে নেয়া। জাবির (রাঃ) বলেন, আমার পিতা ঋণগ্রস্ত অবস্থায় শহীদ হলেন। তখন নবী (সাঃ) আমার বাগানের খেজুরের বিনিময়ে তার পিতাকে ঋণ থেকে অব্যাহতি দিতে পাওনাদারদেরকে বললেন
  • ১৬২৬. একজন কর্তৃক এক দলকে দান করা। আসমা কাসিম ইবনু মুহাম্মাদ এবং ইবনু আবূ আতীক (র) কে বলেছেন, আমি আমার বোন আয়িশাহ এর নিকট হতে উত্তরাধিকারসূত্রে গানাহ নামক স্থানে কিছু সম্পত্তি পেয়েছি। আর মু‘আবিয়াহ আমাকে (এর বিনিময়ে) এক লাখ দিরহাম দিয়েছিলেন। এগুলো তোমাদের দু’জনের।
  • ১৬২৭. দখলকৃত বা দখল করা হয় নি এবং বন্টিনকৃত বা বন্টন করা হয় নি এমন সম্পদ দান করা। নবী (সাঃ) ও তাঁর সাহাবীগণ হাওয়াযিন গোত্রের নিকট থেকে যে গণিমত লাভ করেছিলেন, তা বণ্টনকৃত না হওয়া সত্ত্বেও তাদেরকে তা দান করে দিয়েছিলেন। সাবিত (রাঃ) ...... জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নাবী (সাঃ) এর কাছে মসজিদে উপস্থিত হলাম, তিনি আমাকে (পূর্বের মূল্য) পরিশোধ করলেন এবং আরো অতিরিক্ত দিলেন ।
  • ১৬২৮. একদল অপর দলকে অথবা এক ব্যক্তি এক দলকে দান করলে তা জায়িয
  • ১৬২৯. সঙ্গীদের মাঝে কাউকে হাদিয়া করা হলে সেই তার হকদার। ইবনু আববাস হতে উল্লেখ করা হয়েছে, সঙ্গীরাও শরীক থাকবে, কিন্তু তা সহীহ নয়।
  • ১৬৩১. এমন কিছু হাদিয়া করা, যা পরিধান করা অপছন্দনীয়
  • ১৬৩২. মুশরিকদের দেয়া হাদিয়া গ্রহণ করা।
  • ১৬৩৩. মুশরিকদেরকে হাদিয়া দেওয়া। আল্লাহ তাআলার ইরশাদঃ (মুশরিকদের মধ্যে) দ্বীনের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে নি এবং তোমাদের কে স্বদেশ থেকে বের করে নি, তাদের প্রতি মহানুভবতা প্রদর্শন ও ন্যায়বিচার করতে আল্লাহ তোমাদেরকে নিষেধ করেন না। আল্লাহ তো ন্যায়পরায়নদেরকে ভালোবাসেন। (সূরা আল-মুমতাহিনাঃ ৬০:৮)
  • ১৬৩৪. দান বা সদাকাহ করার পর তা ফিরিয়ে নেয়া কারো জন্য বৈধ নয়
  • ১৬৩৫. পরিচ্ছেদ নাই
  • ১৬৩৬. উমরা ও রুকবা عُمْرَى رقْبَى সম্পর্কে যা বলা হয়েছে أَعْمَرْتُهُ الدَّارَ অর্থাৎ বাড়ীটি তাকে (তার জীবনকাল পর্যন্ত) দান করে দিলাম। আল্লাহর বাণীঃ তোমাদেরকে তিনি তাতে বসবাস করিয়েছেন। (সূরা হৃদঃ ১১ঃ ৬১)
  • ১৬৩৭. কারো কাছ থেকে যে ব্যক্তি ঘোড়া, চতুস্পদ জন্তু বা অন্য কিছু ধার নেওয়া
  • ১৬৩৮. বাসর সজ্জার সময় নব দম্পতির কিছু ধার করা
  • ১৬৩৯. মানীহা অর্থাৎ দুধ পানের জন্য উট বা বকরি দেওয়ার ফাযীলত
  • ১৬৪০. প্রচলিত অর্থে কেউ যদি কাউকে বলে এই বাঁদিটি তোমার সেবার জন্য দান করছি, তা হলে তা জায়িয। কোন কোন ফিকাহ্ বিশারদ বলেন, এটা আরিয়ত হবে। তবে কেউ যদি বলে, এ কাপড়টি তোমাকে পরিধান করতে দিলাম, তবে তা হিবা হবে।
  • ১৬৪১. কেউ কাউকে আরোহণের জন্য ঘোড়া দান করলে তা উমরা (عُمْرَى) ও সাদকা বলেই গণ্য হবে। আর কোন কোন ফিকাহ বিশারদ বলেন, দাতা তা ফিরিয়ে নিতে পারে।
  • ৪৪/ শাহাদাত (كتاب الشهادات) ৫০ টি | ২৪৬১-২৫১০ পর্যন্ত 44/ Witnesses
  • ১৬৪৩. কেউ যদি কারো সততা প্রমানের উদ্দেশ্যে বলে, একে তো ভাল বলেই জানি অথবা বলে যে, এর সম্পর্কে তো ভালো ছাড়া কিছু জানি না।
  • ১৬৪৪. অন্তরালে অবস্থানকারী ব্যক্তির সাক্ষ্যদান। আমর ইবনু হওরায়স (র) এ ধরনের সাক্ষ্য বৈধ বলে মত প্রকাশ করেছেন; তিনি বলেন, পাপাচারী মিথ্যুক লোকের বিরুদ্ধে এরূপ সাক্ষ্য গ্রহণ করা যেতে পারে। ইমাম শাবী, ইবনু সীরীন, আতা ও ক্বাতাদাহ (র) বলেন, শুনতে পেলেই সাক্ষী হওয়া যায়। হাসান বসরী (র) বলেন, (এরূপ ক্ষেত্রে সে বলবে) আমাকে এরা সাক্ষী বানায় নি, তবে আমি এরূপ এরূপ শুনেছি।
  • ১৬৪৫. এক বা একাধিক ব্যক্তি কোন বিষয়ে সাক্ষ্য দিলে আর অন্যরা বলে যে, আমরা এ বিষয়ে জানি না সেক্ষেত্রে সাক্ষ্যদাতার বক্তব্য মুতাবিক ফায়সালা করা হবে। হুমায়দী (র) বলেন, এটা ঠিক। যেমন বিলাল খবর দিয়েছিলেন যে, (মক্কা বিজয়ের দিন) নাবী (সাঃ) কাবার অভ্যন্তরে সালাত আদায় করেছেন। পক্ষান্তরে ফযল বলেছেন, তিনি (কা‘বা অভ্যন্তরে) সালাত আদায় করেননি। বিলালের সাক্ষ্যকেই লোকেরা গ্রহণ করেছে। তদ্রুপ দু‘জন সাক্ষী যদি অমুক অমুকের নিকট এক হাজার দিরহাম পাবে বলে সাক্ষ্য দেয় আর অন্য দু‘জন দেড় হাজার পাবে বলে সাক্ষ্য দেয়, তাহলে অধিক পরিমাণের পক্ষেই ফায়সালা দেয়া হবে।
  • ১৬৪৬. ন্যায়পরায়ণ সাক্ষী প্রসঙ্গেঃ আল্লাহ তা‘আলার বাণীঃ তোমরা তোমাদের ন্যায়পরায়ণ দুজন ব্যক্তিকে সাক্ষী রাখবে। (সূরা আত্-ত্বালাক্ব্বঃ ৬৫:২) (আল্লাহর বাণী) সাক্ষীদের মধ্যে যাদের উপর তোমরা রাযী তাদের মধ্যে। (সূরা আল-বাক্বারাঃ ২:২৮২)
  • ১৬৪৭. কারো সততা প্রমাণের ক্ষেত্রে ক’জনের সাক্ষ্য প্রয়োজন
  • ১৬৪৮. বংশধররা, সর্ব অবহিত দুধপান ও পূর্বের মৃত্যু সম্পর্কে সাক্ষ্য দান; নাবী (সাঃ) বলেছেন, সুওয়াইবাহ আমাকে এবং আবূ সালামাহকে দুধপান করিয়েছেন এবং এর উপর দৃঢ় থাকা
  • ১৬৪৯. ব্যাভিচারের অপবাদ দাতা, চোর ও ব্যাভিচারীর সাক্ষ্য। আল্লাহ তাআলার বাণীঃ তাদের সাক্ষ্য কখনো গ্রহণ করবে না। তারাই তো সত্যত্যাগী, তবে যদি অতঃপর তারা তাওবা করে। (সূরা আন নূরঃ ২৪:৪)
  • ১৬৫০. অন্যায়ের পক্ষে সাক্ষী করা হলেও সাক্ষ্য দিবে না
  • ১৬৫১. মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া প্রসঙ্গে। আল্লাহু তাআলার বাণীঃ আর (আল্লাহর খাঁটি বান্দা তারাই) যারা মিথ্যা সাক্ষ্য দেয় না- (সূরা আল ফুরকানঃ ২৫:৭২) এবং সাক্ষ্য গোপন করা প্রসংগে। আল্লাহ তাআলার বানীঃ তোমরা সাক্ষ্য গোপন করো না। যারা তা গোপন করবে তাদের অন্তর অপরাধী আর তোমরা যা কিছু কর, আল্লাহ তা সব জানেন- (সূরা আল-বাক্বারাঃ ২:২৮৩)। তোমরা সাক্ষ্য প্রদানে কথা ঘুরিয়ে বল।
  • ১৬৫২. অন্ধের সাক্ষ্যদান, কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত দান, নিজে বিয়ে করা, কাউকে বিয়ে দেওয়া, ক্রয়-বিক্রয় করা, আযান দেওয়া ইত্যাদি বিষয়ে তাকে গ্রহন করা আওয়াজে পরিচয় করা। কাসিম, হাসান, ইবনু সীরীন, যুহরী ও আত্বা (র) অন্ধের সাক্ষ্যদান অনুমোদন করেছেন। ইমাম শাবী (র) বলেন, বুদ্ধিমান হলে তার সাক্ষ্যদান বৈধ। হাকাম (র) বলেন, অনেক বিষয় আছে, যেখানে তাদের সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য। ইমাম যুহরী (র) বলেন, তুমি কি মনে কর যে, ইবনু আববাস কোন বিষয়ে সাক্ষ্য দিলে তা প্রত্যাখান করতে পারবে? ইবনু আববাস (দৃষ্টি শক্তি হ্রাস পাওয়ায়) জনৈক ব্যক্তিকে পাঠিয়ে সূর্য ডুবেছে কিনা জেনে নিয়ে ইফতার করতেন। অনুরূপভাবে ফজরের সময় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতেন। ফজর হয়েছে বলা হলে তিনি দু‘রাকাআত সলাম আদায় করতেন। সুলাইমান ইবনু ইয়াসার (র) বলেন, একবার আমি আয়িশাহ এর নিকট সাক্ষাতের অনুমতি চাইলাম। তিনি আমার আওয়াজ চিনতে পেরে বললেন, সুলাইমান না কি, এসো! তোমার সঙ্গে পর্দার প্রয়োজন নেই। (কেননা) যতক্ষণ (মুকাতাবাতের দেয় অর্থের) সামান্য পরিমাণও বাকি থাকবে ততক্ষণ তুমি গোলাম। সামূরাহ ইবনু জুনদুব মুখমণ্ডল আচ্ছাদিতা নারীর সাক্ষ্যদান অনুমোদন করেছেন।
  • ১৬৫৩. মহিলাদের সাক্ষ্যদান। আল্লাহ তা‘আলার বাণীঃ যদি দুজন পুরুষ না থাকে তবে একজন পুরুষ ও দু’জন স্ত্রীলোক (সাক্ষী হিসেবে নিয়োগ কর)। (সূরা আল-বাক্বারাঃ ২:২৮২)
  • ১৬৫৪. গোলাম ও বাঁদির সাক্ষ্য। আনাস বলেন, গোলাম নির্ভরযোগ্য হলে তার সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য। শুরাইহ্ ও যুরারা ইবনু আওফাও তা অনুমোদন করেছেন। ইবনু সীরীন (র) বলেন, গোলামের সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য হবে, তবে মনিবের ক্ষেত্রে নয়। অপরদিকে হাসান (বসরী) (র) ও ইবরাহীম (নাখঈ) (র) সাধারণ বিষয়ে তা অনুমোদন করেছেন, আর শুরুইহ (র) বলেন, তোমরা সকলেই (আল্লাহর) দাস ও দাসীরই সন্তান।
  • ১৬৫৫. দুগ্ধদায়িনীর সাক্ষ্য
  • ১৬৫৬. এক মহিলা অপর মহিলার সততা সম্পর্কে সাক্ষ্য দান
  • ১৬৫৭. কারো নির্দোষ প্রমাণের জন্য একজনের সাক্ষীই যথেষ্ট। আবূ জামীলা (র) বলেন, আমি একটা ছেলে কুড়িয়ে পেলাম। উমার (রাঃ) আমাকে দেখে বললেন, ছেলেটির হয়ত অনিষ্ট হতে পারে। মনে হয় তিনি আমাকে সন্দেহ করছিলেন। আমার এক পরিচিত ব্যক্তি বলল, তিনি একজন সৎ ব্যক্তি। উমার (রাঃ) বললেন, এমনই হয়ে থাকে। নিয়ে যাও এবং এর ভরণ-পোষণের দায়িত্ব আমার (বায়তুল মালের)।
  • ১৬৫৮. প্রশংসার ক্ষেত্রে অতিরঞ্জন অপছন্দনীয়। যা জানে সে যেন তাই বলে।
  • ১৬৫৯. বাচ্চাদের প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া এবং তাদের সাক্ষ্যদান। আল্লাহ তাআলার বাণীঃ তোমাদের সন্তন-সন্ততি বয়ঃপ্রাপ্ত হলে তারাও যেন অনুমতি চায়- (সূরা আন্ নূরঃ ২৪:৫৯)।
  • ১৬৬০. শপথ করানোর পূর্বে বিচারক কর্তৃক বাদীকে জিজ্ঞেস করা যে, তোমার কি কোন প্রমাণ আছে?
  • ১৬৬১. অর্থ-সম্পদ ও হদ্দ এর (শরীয়ত নির্ধারিত দান্ড সমূহ) এর বেলায় বিবাদীর কসম করা। নাবী (সাঃ) বলেছেন, দু’জন সাক্ষী পেশ করতে হবে কিংবা তার (বিবাদীর) কসম করতে হবে। কুতায়বা (র) বলেন, সুফইয়ান ইবনু শুবরুমা (র) হতে বর্ণনা করেছেন, আবূ যিনাদ (র) সাক্ষীর সাক্ষ্য এবং বাদীর কসমের ব্যাপারে আমার সঙ্গে আলোচনা করলেন। আমি তাকে বললাম, আল্লাহ তা’আলা বলেছেন : “...সাক্ষীদের মধ্যে যাদের উপর তোমরা রাজী, তাদের মধ্যে দু’জন পুরুষ সাক্ষী রাখবে, যদি দু’জন পুরুষ না থাকে, তবে একজন পুরুষ ও দু’জন স্ত্রীলোক, স্ত্রীলোকদের মধ্যে একজন যদি ভুলে যায়, তবে একজন অন্যজনকে স্মরণ করিয়ে দেয়...” (সূরা আল-বাক্বারা : ২:২৮২)। আমি বললাম, একজন সাক্ষীর সাক্ষ্য আর বাদীর কসম যথেষ্ঠ হলে এক মহিলা অপর মহিলাকে স্মরণ করিয়ে দেয়ার কী প্রয়োজন আছে? এই অপর মহিলাটির স্মরণ করাতে কী কাজ হবে?
  • ১৬৬২. পরিচ্ছেদ নাই
  • ১৬৬৩. কেউ কোন দাবী করলে কিংবা (কারো প্রতি) কোন মিথ্যা আরোপ করলে তাকেই প্রামাণ করতে হবে এবং প্রমাণ সন্ধানের জন্য বের হতে হবে
  • ১৬৬৪. আসরের পর কসম করা
  • ১৬৬৫. যে স্থানে বিবাদীর হলফ ওয়াজিব হয়েছে, সেখানেই তাকে শপথ করানো হবে। একস্থান হতে অন্যস্থানে নেয়া হবে না। মারওয়ান (র) যায়দ ইবনু সাবিত (রাঃ)-কে মিম্বারে গিয়ে হলফ করার নির্দেশ দিলে তিনি বললেন, আমি আমার জায়গায় থেকেই হলফ করব। অত:পর তিনি হলফ করলেন কিন্তু মিম্বারে গিয়ে হলফ করতে অস্বীকার করলেন। মারওয়ান তার এ আচরণে বিস্ময়বোধ করলেন। নাবী (ﷺ) (বাদীকে) বলেছেন, তোমাকে দু’জন সাক্ষী পেশ করতে হবে। নতুবা বিবাদী হলফ করবে। এক্ষেত্রে কোন জায়গা নির্ধাণ করা হয়নি।
  • ১৬৬৬. কতিপয় লোকজন কে কার আগে হলফ করবে তা নিয়ে প্রতিযোগিতা করা
  • ১৬৬৭. আল্লাহ্‌ তা’আলার বাণীঃ যারা আল্লাহর নামে কৃত অঙ্গীকার এবং নিজেদের শপথকে তুচ্ছ মূল্যে বিক্রয় করে
  • ১৬৬৮. কিভাবে হলফ নেয়া হবে? মহান আল্লাহর বাণীঃ “তোমাদের সামনে আল্লাহর কসম খায় যাতে তোমাদের রাজী করতে পারে...” (সূরা তাওবাহ : ৯:৬২)। “অত:পর তারা আপনার কাছে আল্লাহর নামে কসম খেয়ে খেয়ে ফিরে আসবে যে, মঙ্গল ও সম্প্রীতি ছাড়া আমাদের অন্য কোন উদ্দেশ্য ছিল না” (সূরা আন-নিসা : ৪:৬২)। “তারা আল্লাহর নামে হলফ করে বলে যে, তারা তোমাদেরই অন্তর্ভুক্ত...” (সূরা আত-তাওবাহ : ৯:৫৬)। “...অত:পর আল্লাহর নামে কসম খাবে যে, অবশ্যই আমাদের সাক্ষ্য তাদের সাক্ষ্যর চাইতে অধিক সত্য...”(সূরা আল-মায়িদাহ : ৫:১০৭)। কসম করার জন্য ব্যবহৃত হয়: বিল্লাহে, তাল্লাহে, ওয়াল্লাহে। নাবী (ﷺ) বলেন, আর এক ব্যক্তি আসরের পর আল্লাহর নামে মিথ্যা শপথ করেছে। আল্লাহ ব্যতীত আর কারো নামে শপথ করা যাবে না।
  • ১৬৬৯. (বিবাদী) হলফ করার পর বাদী সাক্ষী উপস্থিত করলে। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ হয়ত প্রমাণ উপস্থিত করার ব্যাপারে অপরের চেয়ে অধিক বাকপটু। তাউস, ইবরাহীম ও শুরাইহ (র) বলেন, মিথ্যা হলফের চেয়ে সত্য সাক্ষ্য অগ্রাধিকারযোগ্য।
  • ১৬৭০. ওয়াদা পূরণ করার নির্দেশ দান।
  • ১৬৭১. সাক্ষী ইত্যাদির ক্ষেত্রে মুশরিকদের কিছু জিজ্ঞাসা করা হবে না। ইমাম শা’বী (র) বলেন, এক ধর্মাবলম্বীর সাক্ষ্য অন্য ধর্মাবলম্বীর বিরুদ্ধে গ্রহণযোগ্য নয়। কেননা, আল্লাহ তা’আলা বলেছেন, “...তাই আমি তাদের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ জাগরুক করেছি...” (সূরা আল-মায়িদাহ : ৫:১৪)। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, তোমরা আহলে কিতাবদের সত্যবাদীও মনে কর না আবার মিথ্যাবাদীও মনে কর না। আল্লাহ তা’আলার বাণী : “বরং তোমরা বলবে, আমরা আল্লাহতে ঈমান রাখি এবং যা আমাদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে...” (সূরা আল-বাক্বারা : ২:১৩৬)।
  • ১৬৭২. জটিল ব্যাপারে কুর’আর মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা। মহান আল্লাহর বাণী : “... যখন তারা তাদের কলম নিক্ষেপ করছিল যে, কে প্রতিপালন করবে মারইয়ামকে...?” (সূরা আলে-ইমরান : ৪৪) ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, তারা (কলম নিক্ষেপের মাধ্যমে) কুর’আর [লটারীর] ব্যবস্থা করল, তখন তাদের সবার কলম স্রোতের সাথে ভেসে গেল। শুধু যাকারিয়ার কলম স্রোতের মুখেও ভেসে রইল। তাই তাকে যাকারিয়ার তত্ত্বাবধানে রেখে দিলেন। [ইউনুস (আঃ) সম্পর্কে] আল্লাহ তা’আলার বাণী : (فَسَاهَمَ)-এর অর্থ أقْرَع কুর’আ নিক্ষেপ করল। فَكاَنَ مِنَ الْمُدْحَضِنَ অত:পর তিনি পরাভূত হলেন- (সূরা আস-সফফাত : ১৪১) আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নাবী (ﷺ) একদল লোককে হলফ করার নির্দেশ দিলেন। তারা কে আগে হলফ করবে তাই নিয়ে হুড়াহুড়ি শুরু করল। তখন কুর’আর মাধ্যমে কে হলফ করবে তা নির্ধারণের নির্দেশ দিলেন।
  • ৪৫/ সন্ধি (كتاب الصلح) ১৯ টি | ২৫১১-২৫২৯ পর্যন্ত 45/ Peacemaking
  • ১৬৭৩. মানুষের মধ্যে আপস মিমাংসা করে দেওয়া। মহান আল্লাহর বাণীঃ তাদের অধিকাংশ গোপন পরামর্শে কোন কল্যাণ নেই। তবে কল্যাণ আছে যে খয়রাত, সৎকার্য ও মানুষের মধ্যে শান্তি স্থাপনের নির্দেশ দেয় তার পরামর্শে ... শেষ পর্যন্ত। (৪ঃ ১১৪) মানুষের মধ্যে আপস করিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে সঙ্গীদের নিয়ে ইমামের স্থানে যাওয়া।
  • ১৬৭৪. সেই ব্যক্তি মিথ্যাবাদী নয়, যে মানুষের মধ্যে মীমাংসা করে দেয়
  • ১৬৭৫. চলো আমরা মীমাংসা করে দেই, সঙ্গীদের প্রতি ইমামের এ উক্তি
  • ১৬৭৬. মহান আল্লাহর বাণীঃ তারা উভয়ে আপস নিষ্পত্তি করতে চাইলে তাদের কোন দোষ নেই এবং আপস নিষ্পত্তিই শ্রেয় (নিসাঃ ৪ : ১২৮)
  • ১৬৭৭. অন্যায়ের উপর লোকেরা সন্ধিবদ্ধ হলে তা প্রত্যাখ্যানযোগ্য
  • ১৬৭৮. কিভাবে সন্ধিপত্র লেখা হবে? অমুকের পুত্র অমুক এবং অমুকের পুত্র অমুক লিখাতে হবে। গোত্র বা বংশের দিকে সম্বোধন না করলেও ক্ষতি নেই।
  • ১৬৭৯. মুশরিকেরদের সাথে সন্ধি।
  • ১৬৮০. ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে সন্ধি
  • ১৬৮১. হাসান ইব্‌ন আলী (রাঃ) সম্পর্কে নবী (সাঃ) এর উক্তিঃ আমার এ সন্তনটি নেতৃস্থানীয় । সম্ভবত আল্লাহ্‌ এর মাধ্যমে দু’টি বড় দলের মাঝে সন্ধি স্থাপন করাবেন। আর আল্লাহ্‌ তা’আলার বাণীঃ তোমরা তাদের উভয় দলের মাঝে মীমাংসা করে দাও। (৪৯ঃ ৯)
  • ১৬৮২. আপস মীমাংসার ব্যাপারে ইমাম পরামর্শ দিবেন কি?
  • ১৬৮৩. মানুষের মধ্যে মীমাংসা করার এবং তাদের মধ্যে ন্যায় বিচার করার ফযীলত
  • ১৬৮৪. ইমাম মীমাংসা নির্দশ দেওয়ার পর তা অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ফয়সালা দিতে হবে
  • ১৬৮৫. পাওনাদারদের মধ্যে এবং মৃত ব্যক্তির ওয়ারিসদের মধ্যে আপস মীমাংসা করে দেওয়া। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, দুই অংশীদার যদি সিদ্ধান্ত নেয় যে, একজন বাকী আর একজন নগদ নিবে, তাতে কোন দোষ নেই। আর কারো মাল বিনষ্ট হয়ে গেলে সে তার সাথীর নিকট দাবী করতে পারবে না।
  • ১৬৮৬. ঋণ ও নগদ মালের বিনিময়ে আপস করা
  • ৪৬/ শর্তাবলী (كتاب الشروط) ২১ টি | ২৫৩০-২৫৫০ পর্যন্ত 46/ Conditions
  • ১৬৮৭. ইসলাম গ্রহন, আহকাম ও ক্রয়-বিক্রয় যে সব শর্ত জায়িয
  • ১৬৮৮. তাবীর করার পর খেজুর গাছ বিক্রি করা
  • ১৬৮৯. বিক্রয়ে শর্তারোপে করা
  • ১৬৯০. নির্দিষ্ট স্থান পর্যন্ত সওয়ারীর পিঠে চড়ে যাওয়ার শর্তে পশু বিক্রি করা জায়িয
  • ১৬৯১. বার্গাচাষ ইত্যাদির বিষয়ে শর্তাবলী
  • ১৬৯২. বিবাহ বন্ধনের সময় মাহরের ব্যাপারে শর্তাবলী।
  • ১৬৯৩. চাষাবাদের শর্তবলী
  • ১৬৯৪. বিয়েতে যে সব শর্ত বৈধ নয়
  • ১৬৯৫. দন্ডবিধানে যে সব শর্ত বৈধ নয়
  • ১৬৯৬. মু্ক্তি দেওয়া হবে এ শর্তে মুকাতাব বিক্রিত হতে রাযী হলে তার জন্য কি কি শর্ত জায়িয
  • ১৬৯৭. ত্বালাক্বের ব্যাপারে শর্তাবলী। ইবন মুসাইয়িব, হাসান ও আতা (রহঃ) বলেন, তালাক প্রথমে বলুক বা শেষে বলুক, তা শর্তানুযায়ী প্রযোজ্য
  • ১৬৯৮. লোকদের সাথে মৌখিক শর্তারোপ
  • ১৬৯৯. ওয়ালা এর অধিকার লাভের শর্তারোপ
  • ১৭০০. বর্গাচার্ষের ক্ষেত্রে এ শর্ত আরোপ করা যে, যখন ইচ্ছা আমি তোমাকে বের করে দিব
  • ১৭০১. যুদ্ধরত কাফিরদের সাথে জিহাদ ও সন্ধির ব্যাপারে শর্তারোপ এবং লোকদের সাথে কৃত মৌখিক শর্ত লিপিবদ্ধ করা
  • ১৭০৩. মুকাতব প্রসঙ্গে এবং যে সব শর্ত কিতাবুল্লাহ পরিপন্থী তা বৈধ নয়। জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রাঃ) মুকাতব সম্পর্কে বলেন, গোলাম ও মালিকের মধ্যে সম্পাদিত শর্তই ধর্তব্য। ইবন উমর অথবা উমর (রাঃ) বলেন, আল্লাহর কিতাবের (কুরআনের) বিরোধী যে কোন শর্তই বাতিল তা শত শর্ত হলেও
  • ১৭০৪. শর্ত আরোপ করা ও স্বীকারোক্তির মধ্যে থেকে কিছু বাদ দেওয়ার বৈধ তা এবং লোকদের মধ্যে প্রচলিত শর্তবলী প্রসঙ্গে যখন কেউ বলে যে, এক বা দু’ ব্যতীত একশ? (তবে হুকুম কি হবে)। ইবন আওন ইবন সীরিন (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, এক ব্যক্তি তার (সাওয়ারীর) কেরায়াদারকে বলল, তুমি তোমার সাওয়ারী রাখ আমি যদি অমুক দিন তোমার সঙ্গে না যাই তাহলে তুমি একশ দিরহাম পাবে, কিন্তু সে গেল না। কাযী শুরাইহ (রহঃ) বলেন, যদি কোন ব্যক্তি সেচ্ছায় বিনা চাপে নিজের উপর কোন শর্ত আরোপ করে তাহলে তা তার উপর বার্তায়। ইবন সিরিন (রহঃ) থেকে আইয়ুব (রহঃ) বর্ণনা করেন যে, এক ব্যক্তি কিছু খাদ্যদ্রব্য বিক্রি করল এবং (ক্রেতা) তাঁকে বলল, আমি যদি বুধবার তোমার কাছে না আসি তবে তোমার আমার মধ্যে কোন বেচা-কেনা নেই। তারপ সে এল না। তাতে কাযী শুরায়হ (রহঃ) ক্রেতাকে বললেন, তুমি ওয়াদা খেলাপ করেছ। তাই তিনি ক্রেতার বিরুদ্ধে রায় দিলেন।
  • ১৭০৫. ওয়াক্‌ফের ব্যাপারে শর্তাবলী
  • ৪৭/ অসিয়াত (كتاب الوصايا) ৪০ টি | ২৫৫১-২৫৯০ পর্যন্ত 47/ Wills And Testaments (Wasaayaa)
  • ১৭০৬. ওয়াসিয়াত প্রসঙ্গে এবং নাবী (ﷺ)-এর বাণী, মানুষের অসীয়াত তার নিকট লিখিত থাকবে। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ “তোমাদের কারো যখন মৃত্যুর সময় উপস্থিত হয়, সে যদি কিছু ধন-সম্পদ ত্যাগ করে যায়, তবে তা ন্যায্য পন্থায় তার পিতা-মাতা ও নিকটাত্মীয়দের জন্য ওয়াসীয়াত করার বিধান.... পক্ষপাতিত্ব পর্যন্ত”। (আল-বাক্বারা : ২:১৮০-১৮২) جَنَفًا অর্থ- ঝুঁকে যাওয়া, পক্ষপাতিত্ব করা مُتَجَانِفٌ ঐ ব্যক্তি, যে ঝুঁকে পড়ে, পক্ষপাতিত্ব করে।
  • ১৭০৭. ওয়ারিসদেরকে অন্যের নিকট হাত পাতা অবস্থায় রেখে যাওয়ার চেয়ে মালদার রেখে যাওয়া শ্রেয়
  • ১৭০৮. এক তৃতীয়াংশ অসীয়াত করা প্রসঙ্গে। হাসান বাসরী (র) বলেন, যিম্মির জন্য এক তৃতীয়াংশের বেশী অসীয়াত করা বৈধ নয়। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) কে নির্দেশ দেয়া হয়েছে তিনি যেন আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান অনুযায়ী যিম্মিদের মধ্যে ফয়সালা করেন। আল্লাহ তাআলা বলেন : “ তাদের মধ্যে ফয়সালা কর, আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান অনুযায়ী”। (আল-মায়িদাহ : ৫:৪৯)
  • ১৭০৯. অসীর প্রতি অসীয়তকারীর উক্তিঃ তুমি আমার সন্তানাদির প্রতি খেয়াল রাখবে, আর অসীর জন্য কেমন দাবী জায়িয
  • ১৭১০. কোন রোগাক্রান্ত ব্যক্তি মাথা দিয়ে স্পষ্টভাবে ইশারা করলে তা গ্রহণযোগ্য
  • ১৭১১. ওয়ারিসের জন্য অসীয়াত নেই
  • ১৭১২. মৃত্যুর সময় দান খায়রাত করা
  • ১৭১৩. মহান আল্লাহর বাণীঃ “ঋণ আদায় ও অসীয়াত পূর্ণ করার পর... (মৃতের সম্পত্তি ভাগ হবে)” (আন-নিসা : ৪:১২)।
  • ১৭১৪. মহান আল্লাহর বাণীঃ “ঋণ আদায় ও অসীয়াত পূর্ণ করার পর... (মৃতের সম্পত্তি ভাগ হবে)” (আন-নিসা : ৪:১২) এর ব্যাখ্যা।
  • ১৭১৫. যখন আত্মীয়-স্বজনের জন্য ওয়াকফ বা অসীয়াত করা হয় এবং আত্মীয় কারা? সাবিত আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নাবী (সাঃ) আবূ ত্বালহাকে বলেন, তুমি তোমার গরীব আত্মীয়-স্বজনকে দিয়ে দাও। অত:পর তিনি বাগনটি হাসসান ও উবাই ইবনু কা’বকে দিয়ে দেন। আনসারী (র) বলেন, আমার পিতা সুমামা এর মাধ্যমে আনাস (রাঃ) থেকে সাবিত এর অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। আল্লাহর রসূল (সাঃ) বলেছেন, বাগানটি তোমার গরীব আত্মীয়-স্বজনকে দিয়ে দাও। আনাস (রাঃ) বলেন, আবু ত্বালহা (রাঃ) বাগনটি হাসসান ও উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) কে দিলেন আর তারা উভয়েই আমার চেয়ে তার নিকটাত্মীয় ছিলেন। আবু ত্বালহা (রাঃ)-এর সঙ্গে হাসসান এবং উবাই (রাঃ)এর সম্পর্ক ছিল এরূপ: আবূ ত্বালহা (রাঃ) নাম- যায়দ ইবনু সাহল ইবনু আসওয়াদ ইবনু হারাম ইবনু আমর ইবনু যায়দ যিনি ছিলেন মানাত ইবনু আদী ইবনু আমর ইবনু মালিক ইবনু নাজ্জার। (হাসসানের বংশ পরিচয় হলো:) হাসসান ইবনু সাবিত ইবনু মুনযির ইবনু হারাম। কাজেই হারাম নামক পুরুষে মিলিত হন। যিনি তৃতীয় পিতৃপুরুষ ছিলেন এবং হারাম ইবনু আমর ইবনু যায়দ যিনি মানাত ইবনু আদী ইবনু আমর ইবনু মালিক ইবনু নাজ্জার। অতএব হাসসান, আবু ত্বালহা ও উবাই (রাঃ) ষষ্ট পুরুষে এসে আমর ইবনু মালিকের সঙ্গে মিলিত হন। আর উবাই হলেন উবাই ইবনু কা’ব ইবনু কায়স ইবনু উবাইদ ইবনু যায়দ ইবনু মুআবিয়াহ ইবনু আমর ইবনু মালিক ইবনু নাজ্জার। কাজেই আমর ইবনু মালিক এসে হাসসান আবূ ত্বালহা ও উবাই একত্র হয়ে যায়। কারো কারো মতে নিজের আত্মীয়-স্বজনের জন্য অসীয়াত করলে তা তার মুসলিম পিতা-পিতামহের জন্য প্রযোজ্য হবে।
  • ১৭১৬. স্ত্রীলোক ও সন্তান-সন্ততি (অসীয়তের ক্ষেত্রে) আত্মীয় স্বজনের অন্তর্ভুক্ত হবে কি?
  • ১৭১৭. ওয়াকফকারী তার কৃত ওয়াকফ দ্বারা উপকার হাসিল করতে পারে কি? উমার (রাঃ) শর্তারোপ করেছিলেন, যে ব্যক্তি ওয়াকফের মুতাওয়াল্লী হবে, তার জন্য তা থেকে কিছু খাওয়াতে কোন দোষ নেই। ওয়াকফকারী নিজেও মুতাওয়াল্লী হতে পারে, আর অন্য কেউ ও হতে পারে। অনুরূপ যে ব্যক্তি উট বা অন্য কিছু আল্লাহর নামে উৎসর্গ করে তার জন্যও তা থেকে নিজে উপকৃত হওয়া বৈধ, যেমন অন্যদের জন্য তা থেকে উপকৃত হওয়া বৈধ, শর্তারোপ না করলেও।
  • ১৭২০. যদি কেউ বলে যে, আমার এই জমিটি কিংবা বাগানটি আমার মায়ের পক্ষ থেকে আল্লাহর ওয়াস্তে সদাকাহ তবে তা জাইয, যদিও তা কার জন্য তা ব্যক্ত না করে
  • ১৭২১. কেউ যদি তার আংশিক সম্পদ কিংবা কতিপয় গোলাম অথবা কিছু জন্তু জানোয়ার সাদকা করে বা ওয়াকফ করে তবে তা জায়িয
  • ১৭২৩. আল্লাহ্‌ তা’আলার বাণীঃ মীরাসের মাল ভাগাভাগির সময় যদি কোন আত্মীয়, ইয়াতীম ও মিসকীন হাজির থাকে, তাহলে তা থেকে তাদেরও কিছু দান করেব। (৪ঃ ৮)
  • ১৭২৪. হঠাৎ কেউ মারা গেলে তারপক্ষ থেকে দান-সাদকা করা মুস্তাহাব আর মৃতের পক্ষ থেকে তার মান্নত আদায় করা
  • ১৭২৫. ওয়াকফ, সাদকা ও অসীয়তে সাক্ষী রাখা
  • ১৭২৬. আল্লাহ্‌ তা’আলার বাণীঃ ইয়াতীমদেরকে তাদের ধন-সম্পদ দিয়ে দিবে এবং ভালোর সঙ্গে মন্দ বদল করবে না। তোমাদের সঙ্গে তাদের সম্পদ মিশিয়ে গ্রাস করবে না, তা মহাপাপ। তোমরা যদি আশংকা কর যে, ইয়াতীম মেয়েদের প্রতি সুবিচার করতে পারবে না, তবে বিয়ে করবে নারীদের মধ্যে, যাকে তোমাদের ভালো লাগে। (৪ঃ ২-৩)
  • ১৭২৭. আল্লাহ্‌ তা’আলার বাণীঃ তোমরা ইয়াতীমদের যাচাই করবে, যে পর্যন্ত না তারা বিবাহযোগ্য হয় এবং তাদের মধ্যে ভাল-মন্দ বিচারের জ্ঞান দেখলে তাদের সম্পদ তাদের ফিরিয়ে দেবে। তারা বড় হয়ে যাবে বলে অন্যায়ভাবে ঐ সম্পদ হতে তাড়াতাড়ি খেয়ে ফেলো না। যে অভাবমুক্ত সে যেন তাদের সম্পদ হতে নিবৃত্ত থাকে এবং যে অভাবগ্রস্ত সে যেন সঙ্গত পরিমাণে ভোগ করে। ... এক নির্ধারিত অংশ পর্যন্ত। (৪ঃ ৬-৭) حسيبا অর্থ যথেষ্ট আর অসী ইয়াতীমের মাল কিভাবে ব্যবহার করবে এবং তার শ্রমের অনুপাতে কী পরিমাণ সে ভোগ করতে পারবে
  • ১৭২৮. আল্লাহ্‌ তা’আলার বাণীঃ যারা ইয়াতীমের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করে, তারা তাদের উদরে অগ্নি ভক্ষন করে, তারা জ্বলন্ত আগুনে প্রবেশ করবে। (৪ঃ ১০)
  • ১৭৩০. আবাসে কিংবা প্রবাসে ইয়াতীমদের থেকে খেদমত গ্রহন করা, যখন তা তাদের জন্য কল্যাণকর হয় এবং মা ও মায়ের স্বামী কর্তৃক ইয়াতীমের প্রতি স্নেহদৃষ্টি রাখা
  • ১৭৩১. যখন কোন জমি ওয়াকফ করে এবং সীমা নির্ধারণ না করে তা বৈধ। অনুরুপ সাদ্‌কাও
  • ১৭৩২. একদল লোক যদি তাদের কোন শরীকী জমি ওয়াক্‌ফ করে তা হলে তা জায়িয
  • ১৭৩৩. ওয়াক্‌ফ কিভাবে লেখা হবে?
  • ১৭৩৪. অভাবগ্রস্ত, ধনী ও মেহমানদের জন্য ওয়াক্‌ফ করা
  • ১৭৩৫. মসজিদের জন্য জমি ওয়াক্‌ফ করা
  • ১৭৩৬. জন্তু জানোয়ার, ঘোড়া, আসবাবপত্র ও সোনারূপা ওয়াকফ করা।
  • ১৭৩৭. ওয়াক্‌ফের তত্ত্বাবধায়কের খরচ
  • ১৭৩৯. ওয়াক্‌ফকারী যদি বলে, আমি একমাত্র আল্লাহ‌র কাছে এর মূল্যের আশা করি, তবে তা জায়িয
  • ১৭৪১. অসীয়াতকারী কৃর্তক মৃতের ওয়ারিসদের অনুপস্থিতিতে মৃতের ঋণ পরিশোধ করা
  • ৪৮/ জিহাদ (كتاب الجهاد والسير) ৩৭৩ টি | ২৫৯১-২৯৬৩ পর্যন্ত 48/ Fighting For The Cause Of Allah (Jihaad)
  • ১৭৪২. জিহাদ ও যুদ্ধের ফযীলত। আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ আল্লাহ মুমিনদের নিকট থেকে তাদের জান ও সম্পদ ক্রয় করে নিয়েছেন এর বিনিময়ে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত। তারা যুদ্ধ করে আল্লাহর রাহেঃ অতঃপর মারে ও মরে। তওরাত, ইঞ্জিল ও কোরআনে তিনি এ সত্য প্রতিশ্রুতিতে অবিচল। আর আল্লাহর চেয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষায় কে অধিক? সুতরাং তোমরা আনন্দিত হও সে লেন-দেনের উপর, যা তোমরা করছ তাঁর সাথে। আর এ হল মহান সাফল্য। তারা তওবাকারী, এবাদতকারী, শোকরগোযার, (দুনিয়ার সাথে) সম্পর্কচ্ছেদকারী, রুকু ও সিজদা্ আদায়কারী, সৎকাজের আদেশ দানকারী ও মন্দ কাজ থেকে নিবৃতকারী এবং আল্লাহর দেওয়া সীমাসমূহের হেফাযতকারী। বস্তুতঃ সুসংবাদ দাও ঈমানদারদেরকে। (আত তাওবাহ : ৯:১১১-১১২)
  • ১৭৪৩. মানুষের মধ্যে সে মুমিন মুজাহিদ, উত্তম, যে স্বীয় জান ও মাল দিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ করে। আল্লাহ বলেনঃ হে মুমিনগণ, আমি কি তোমাদেরকে এমন এক বানিজ্যের সন্ধান দিব, যা তোমাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে মুক্তি দেবে? তা এই যে, তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দ্বারা আল্লাহর পথে জেহাদ করবে ... এ-ই মহাসাফল্য। (আস-সফ : ৬১:১০-১২)
  • ১৭৪৪. পুরুষের এবং নারীর জন্য জিহাদ ও শাহাদাতের দু'আ। উমর (রাঃ) বলেন, হে আল্লাহ আমাকে আপনার রাসুলের শহরে শাহাদাত নসীব করুন।
  • ১৭৪৫. আল্লাহর পথে জিহাদকারীদের মর্যাদা। বলা হয় هَذِهِ سَبِيلِي স্ত্রীলিঙ্গ ও هَذَا سَبِيلِي পুংলিঙ্গ অর্থাৎ উভই ব্যবহার হয়, আবু আবদুল্লাহ (ইমাম বুখারী) (রহঃ) বলেন, غزي এর একবচন হল غاز এবং هم دَرَجَاتِ এর অর্থ لهم دَرَجَاتِ অর্থাৎ তাদের জন্য রয়েছে মর্যাদা
  • ১৭৪৬. আল্লাহ‌র রাস্তায় সকাল ও সন্ধা অতিবাহিত করা জান্নাতে তোমাদের কারোর একটি ধনুক পরিমান স্থান
  • ১৭৪৭. ডাগর চক্ষুবিশিষ্ট হুর ও তাদের গুণাবলী। তাদের দর্শনে দৃষ্টি স্থির থাকে না এবং তাদের চোখের মনি অতীব কালো ও চোখের সাদা অংশ অতীব শুভ্র। (এ জন্যই তাদের হুরে'ঈন বলা হয়) وَزَوَّجْنَاهُمْ بِحُورٍ عِينٍ অর্থ - জান্নাতীদের আমি হুরে'ঈনের সাথে বিয়ে করিয়ে দিব।
  • ১৭৪৮. শাহাদাতের আকাঙক্ষা করা
  • ১৭৪৯. যে আল্লাহ‌র রাস্তায় সওয়ারী থেকে পড়ে মারা যায়, সে জিহাদকারীদের অন্তর্ভূক্ত। আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ وَمَنْ يَخْرُجْ مِنْ بَيْتِهِ مُهَاجِرًا إِلَى اللَّهِ وَرَسُولِهِ ثُمَّ يُدْرِكْهُ الْمَوْتُ فَقَدْ وَقَعَ أَجْرُهُ عَلَى اللَّهِ যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তার রাসুলের পথে হিজরতের উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হয় এবং (পথিমধ্যে) তার মৃত্যু ঘটে তাকে পুরস্কৃত করা আল্লাহর কর্তব্য হয়ে দাঁড়ায় (৪ঃ ১০০)
  • ১৭৫০. যে আল্লাহ‌র রাস্তায় আহত হলো কিংবা বর্শা বিদ্ধ হল
  • ১৭৫১. যে মহান আল্লাহ‌র পথে আহত হয়
  • ১৭৫২. আল্লাহ‌র তা আলার বাণীঃ হে নবী, আপনি বলে দিন, তোমরা কি আমাদের ব্যাপারে দুটি কল্যাণের যে কোন একটি অপেক্ষা করছ? যুদ্ধ হচ্ছে বড় অয়ানি পাত্রের ন্যায়
  • ১৭৫৩. মু’মিনদের মধ্যে কতক আল্লাহর সংগে তাদের কৃত অঙ্গীরকার পূর্ণ করে দেখিয়েছে এবং কেউ কেউ প্রতীক্ষায় রয়েছে। তারা তাদের অঙ্গীকারে কোন পরিবর্তন করেনি। (৩৩ঃ ২০)
  • ১৭৫৪. যুদ্ধের আগে নেক আমল। আবু দারাদা (রাঃ) বলেন, আমল অনুসারে তোমরা জিহাদ করে থাকো। আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ হে যারা ঈমান এনেছ, তোমরা কেন এমন কথা বল, যা তোমরা কর না? তা আল্লাহর দৃষ্টিতে অত্যান্ত অসন্তোষজনক। ... সীসাঢালা প্রাচীরের ন্যায়। (৬১ঃ ২-৩)
  • ১৭৫৫. অজ্ঞাত তীর এসে যাকে হত্যা করে
  • ১৭৫৬. যে ব্যক্তি আল্লাহ‌র কালিমা (দীন) বুলন্দ থাকার উদ্দেশ্যে জিহাদ করে
  • ১৭৫৭. যার দু’পা আল্লাহর পথে ধুলি ধুসরিত হয়, আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ মদীনাবাসী ও তাদের পার্শ্ববর্তী মরুবাসীদের জন্য সঙ্গত নয়, তারা আল্লাহর রাসুলের সহগামী না হয়ে পেছনে থেকে যাওয়া ...... আল্লাহ সৎকর্মশীলদের শ্রমফল নষ্ট করেন না। (৯ঃ ১২০)
  • ১৭৫৮. আল্লাহর পথে মাথায় লাগা ধুলি মুছে ফেলা
  • ১৭৫৯. যুদ্ধের পর ও ধূলিবালি লাগার পর গোসল করা
  • ১৭৬০. আল্লাহ তা’আলার এ বাণী যাদের সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছে, তাদের মর্যাদাঃ যারা আল্লাহর পথে নিহত হয়েছে তাদের কখনো মৃত মনে করো না, বরং তারা জীবিত .... আল্লাহ মুমিনগণের শ্রমফল নষ্ট করে দেন না। (আলে 'ইমরান : ৩:১৬৯ - ১৭১)
  • ১৭৬১. শহীদের উপর ফিরিশতাদের ছায়াদান
  • ১৭৬২. মুজাহিদের দুনিয়ায় ফিয়ে আসার আকাঙ্ক্ষা
  • ১৭৬৩. তরবারীর ঝলকের নীচ জান্নাত।
  • ১৭৬৫. যুদ্ধে বীরত্ব ও ভীরুতা
  • ১৭৬৬. কাপুরুষতা থেকে পানাহ চাওয়া
  • ১৭৬৭. যে ব্যক্তি যুদ্ধকালীন তার নিজের ঘটনাবলী বর্ণনা করে। আবু উসমান (রহঃ) তা সা'দ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন।
  • ১৭৬৯. কোন কাফির যদি কোন মুসলিমকে হত্যা করার পর ইসলাম গ্রহন করে ও দ্বীনের উপর অবিচল থেকে আল্লাহ‌র রাস্তায় নিহত হয়
  • ১৭৭০. যে ব্যক্তি জিহাদকে সওমরে উপর অগ্রাধিকার দেয়
  • ১৭৭১. নিহত হওয়া ছাড়াও সাত প্রকারের শাহাদত রয়েছে
  • ১৭৭২. আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ মুমিনদের মধ্যে যারা অক্ষম নয়; অথচ ঘরে বসে থাকে ও যারা আল্লাহর পথে স্বীয় ধন প্রাণ দ্বারা জিহাদ করে, তারা সমান নয় ....আল্লাহ ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু। (আন-নিসা ৪:৯৫-৯৬)
  • ১৭৭৩. যুদ্ধের সময় ধৈর্যধারণ
  • ১৭৭৪. জিহাদে উদ্ধুদ্ধকরণ, আল্লাহ‌র তা আলার বাণীঃ মু মিনদের জিহাদের জন্য উদ্ধুদ্ধ করুণ। (আল-আনফাল : ৮:৬৫)
  • ১৭৭৫. পরিখা খনন
  • ১৭৭৬. ওযর যাকে জিহাদে যেতে বাধা দেয়
  • ১৭৭৭. আল্লাহ‌র পথে জিহাদের অবস্থায় সওম পালনের ফযীলত
  • ১৭৭৮. আল্লাহ‌র পথে খরচ করার ফযীলত
  • ১৭৭৯. যে ব্যক্তি কোন সৈনিককে সাজ আসবাবপত্র দিয়ে অথবা যুদ্ধে গমনকারী সৈনিকের পরিবার-পরিজনকে সাহায্য করে তার ফযীলত
  • ১৭৮০. যুদ্ধের সময় সুগন্ধি ব্যবহার করা
  • ১৭৮১. শত্রুদের তথ্য সংগ্রহকারী দলের ফযীলত
  • ১৭৮২. একজন তথ্য সংগ্রহকারী পাঠানো যায় কি?
  • ১৭৮৩. দু' জনের ভ্রমণ
  • ১৭৮৪. ঘোড়ার কপালের কেশগুচ্ছে কল্যাণ নিবদ্ধ রয়েছে কিয়ামত পর্যন্ত
  • ১৭৮৫. জিহাদ অব্যাহত থাকবে নেতৃত্বদানকারী সৎ হোক অথবা সীমালংকারী। কেননা নবী (সাঃ) বলেছেন, ঘোড়ার কপালের কেশগুচ্ছে কল্যাণ নিবদ্ধ রয়েছে কিয়ামত পর্যন্ত।
  • ১৭৮৬. যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের উদ্দেশ্যে ঘোড়া প্রস্তুত রাখে। মহান আল্লাহর বাণীঃ وَمِنْ رِبَاطِ الْخَيْلِ যে জিহাদের উদ্দেশ্যে ঘোড়া পালন করে
  • ১৭৮৭. ঘোড়া ও গাধার নামকরণ
  • ১৭৮৮. ঘোড়ার অকল্যাণ সম্পর্কে যা উল্লেখ করা হয়
  • ১৭৮৯. ঘোড়া তিন প্রকার লোকের জন্য। আর আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ তোমাদের আরোহণের জন্য ও শোভার জন্য তিনি সৃষ্টি করেছেন ঘোড়া, খচ্চর ও গাধা। (১৬ঃ ৮)
  • ১৭৯০. জিহাদে যে ব্যক্তি অপরের জানোয়ারকে চাবুক মারে
  • ১৭৯১. অবাধ্য পশু ও তেজস্বী অশ্ব আরোহণ করা। রাশীদ ইবন সা’দ (রহঃ) বলেন, সালফ সালেহীন তেজস্বী অশ্বে আরোহণ করতে পছন্দ করতেন। কেননা এ (শ্রেনীর) ঘোড়া অতি দ্রুতগামী ও খুব সাহসী
  • ১৭৯২. গনীমাতে ঘোড়ার অংশ। মালিক (রহঃ) বলেন, ঘোড়া ও বিশেষ করে তুর্কী ঘোড়ার গনীমতে অংশ দেওয়া হবে। আল্লাহর বাণীঃ তোমাদের আরোহণের জন্য তিনি সৃষ্টি করেছেন ঘোড়া, খচ্চর ও গাধা। (১৬ঃ ৮) একটি ঘোড়ার অধিক হলে এর কোন অংশ দেওয়া হবে না
  • ১৭৯৩. জিহাদে যে ব্যক্তি অন্যের বাহন পরিচালনা করে
  • ১৭৯৪. সাওয়ারীর রিকার ও পা-দানী প্রসঙ্গে
  • ১৭৯৫. গাদিবিহীন ঘোড়ার পিঠে আরোহন
  • ১৭৯৬. ধীরগতিসম্পন্ন ঘোড়া
  • ১৭৯৭. ঘোড়াদৌড় প্রতিযোগিতা
  • ১৭৯৮. প্রতিযোগিতার জন্য অশ্বের প্রশিক্ষন দান
  • ১৭৯৯. প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত অশ্বের দৌড় প্রতিযোগিতার সীমা
  • ১৮০০. নাবী (সাঃ)-এর উষ্ট্রী প্রসঙ্গে। ইবন উমর (রাঃ) বলেন, নবী (সাঃ) উসামাকে কাসওয়া নামক উষ্ট্রীর পিঠে তার পেছনে বসান। মিসওয়ার (রহঃ) বলেব, নবী (সাঃ) বলেছেন তার উষ্ট্রী কাসওয়া কখনো অবাধ্যতা প্রকাশ করেনি।
  • ১৮০১. নাবী (সাঃ)-এর সাদা খচ্চর। আনাস (রাঃ) তা বর্ণনা করেছেন। আবু হুমাইদ (রহঃ) বলেন, আয়লার শাসক নবী (সাঃ) কে একটি সাদা খচ্চর উপহার দিয়েছিলেন
  • ১৮০২. মহিলাদের জিহাদ
  • ১৮০৩. সামুদ্রিক যুদ্ধে মহিলাদের অংশগ্রহন
  • ১৮০৪. কয়েক স্ত্রীর মধ্যে একজনকে নিয়ে জিহাদে যাওয়া
  • ১৮০৫. মহিলাদের যুদ্ধে গমন এবং পুরুষদের সঙ্গে যুদ্ধে অংশগ্রহন
  • ১৮০৬. যুদ্ধে মহিলাদের মশক নিয়ে লোকদের নিকট যাওয়া
  • ১৮০৭. মহিলা কতৃক যুদ্ধাহতদের পরিচর্যা
  • ১৮০৮. মহিলা কর্তৃক আহত ও নিহতদের ফেরত পাঠান
  • ১৮০৯. শরীর থেকে তীর বের করা
  • ১৮১০. মহান আল্লাহর পথে যুদ্ধে পাহারাদারি করা
  • ১৮১১. যুদ্ধে খিদমতের ফযীলত
  • ১৮১২. সফর-সঙ্গির আসবাবপত্র বহনকারীর ফাযীলত
  • ১৮১৩. আল্লাহর রাস্তায় একদিন প্রহরারত থাকার ফযীলাত। মহান আল্লাহর বাণীঃ হে ইমানদারগন! তোমরা ধৈর্যধারন কর, অপরকেও ধৈর্যে উৎসাহিত কর। এবং (প্রতিরক্ষায়) সদা প্রস্তুত থাক ... আয়াতের শেষ পর্যন্ত (৩ঃ ২০০)
  • ১৮১৪. যুদ্ধে যে ব্যক্তি খিদমতের জন্য কিশোর নিয়ে যায়
  • ১৮১৫. সমুদ্র সফর
  • ১৮১৬. দুর্বল ও সৎ লোকদের (দু‘আয়) উসিলায় যুদ্ধে সাহায্য চাওয়া।
  • ১৮১৭. অমুক লোক শহীদ এ কথা বলবে না। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, নবী (সাঃ) বলেছেন, আল্লাহর পথে কে জিহাদ করেছে, তা তিনিই ভাল জানেন এবং কে তার পথে আহত হয়েছে আল্লাহই সমাধিক অবগত আছেন
  • ১৮১৮. তীরন্দাজীর প্রতি উৎসাহিত করা। আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ তোমরা তাদের মোকাবিলার জন্য যথাসাধ্য শক্তি ও অশ্ববাহিনী প্রস্তুত রাখবে, এ দ্বারা তোমরা সন্ত্রস্ত করবে আল্লাহর শত্রুকে এবং তোমাদের শত্রুকে। (৮ঃ ৬০)
  • ১৮১৯. বর্শা বা তদ্রুপ কিছু নিয়ে খেলা করা
  • ১৮২০. ঢালের বর্ণনা এবং যে ব্যক্তি তার সঙ্গির ঢাল ব্যবহার করে
  • ১৮২১. পরিচ্ছেদ নাই
  • ১৮২২. চামড়ার ঢাল প্রসঙ্গে
  • ১৮২৩. খাপ এবং কাঁধে তরবারী ঝুলান
  • ১৮২৪. তলোয়ারে সোনা রুপার কাজ
  • ১৮২৫. সফরে দ্বিপ্রহরের বিশ্রামের সময় তলোয়ার গাছে ঝুলিয়ে রাখা
  • ১৮২৬. শিরস্ত্রান পরিধান করা
  • ১৮২৭. কারো মৃত্যকালে তার অস্ত্র ধ্বংস করা যারা পছন্দ করে না
  • ১৮২৮. দুপুরের বিশ্রামের সময় ইমাম থেকে পৃথক হওয়া এবং গাছের ছায়ায় বিশ্রাম গ্রহণ করা
  • ১৮২৯. তীর নিক্ষেপ প্রসঙ্গে ইবনু উমার (রাঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে উল্লেখ রয়েছে যে, তীরের ছায়াতলে আমার রিযিক রাখা হয়েছে। যে ব্যক্তি আমার নির্দেশের বিরোধিতা করে, তার জন্য অপমান ও লাঞ্ছনা নির্ধারিত।
  • ১৮৩০. নাবী (ﷺ)-এর বর্ম এবং যুদ্ধে ব্যবহৃত তাঁর জামা সম্পর্কিত। নবী (সাঃ) বলেন, খালিদ (ইবন ওয়ালীদ) তো তার বর্মগুলো আল্লাহর পথে (জিহাদের জন্য) ওয়াকফ করে দিয়েছেন
  • ১৮৩১. সফরে এবং যুদ্ধে জোব্বা পরিধান করা
  • ১৮৩২. যুদ্ধে রেশমী কাপড় পরিধান করা
  • ১৮৩৩. ছুরি সম্পর্কে বর্ণনা
  • ১৮৩৪. রোমকদের সাথে যুদ্ধ সম্পর্কে
  • ১৮৩৫. ইয়াহুদীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ
  • ১৮৩৬. তুর্কদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ
  • ১৮৩৭. পশমের জুতা পরিধানকারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ
  • ১৮৩৮. পরাজয়ের সময় সঙ্গীদের সারিবদ্ধ করা, নিজের সওয়ারী থেকে নামা ও আল্লাহর সাহায্য কামনা করা
  • ১৮৩৯. মুশরিকদের পরাজয় ও পর্যুদস্ত করার দু’আ
  • ১৮৪০. মুসলিম কি আহলে কিতাবকে পথপ্রদর্শন করবে কিংবা তাদেরকে কুরআন শিক্ষা দিবে?
  • ১৮৪১. মুশরিকদের জন্য হিদায়াতের দু'আ, যাতে তাদের মন আকৃষ্ট হয়
  • ১৮৪২. ইয়াহূদী ও খৃষ্টানদের প্রতি ইসলামের দাওয়াত এবং কোন অবস্থায় তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করা যায়? নবী (ﷺ) কায়সার ও কিসরা এর কাছে যা লিখিয়েছেন এবং যুদ্ধের পূর্বে ইসলামের দাওয়াত দেওয়া
  • ১৮৪৩. ইসলাম এ নবুওয়াতের দিকে নাবী (ﷺ) এর আহবান আর মানুষ যেন আল্লাহ ব্যতীত তারে পরস্পরকে রব হিসেবে গ্রহন না করে। আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ কোন ব্যক্তিকে আল্লাহ কিতাব, হিকমত ও নবুয়াত দান করার পর সে মানুষকে বলবে যে, আল্লাহর পরিবর্তে তোমরা আমার বান্দা হয়ে যাও। তা তার জন্য শোভনীয় নয়। আয়াতের শেষ পর্যন্ত (৩ঃ ৭৯)
  • ১৮৪৪. যে ব্যক্তি যুদ্ধ করার ইচ্ছা করে ও অন্যদিকে আকর্ষনের মাধ্যমে তা গোপন রাখে আর যে বৃহস্পতিবারে সফরে বের হতে পছন্দ করে
  • ১৮৪৫. যুহরের পর সফরে বের হওয়া
  • ১৮৪৬. মাসের শেষ ভাগে সফরে বের হওয়া। কুরাইব (রহঃ) ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী (সাঃ) যুল কা'দার পাঁচ দিন থাকতে মদীনা থেকে রওনা হন এবং যুল হিজ্জার ৪ তারিখে মক্কায় পৌঁছেন
  • ১৮৪৭. রমাযান মাসে সফর করা
  • ১৮৪৯. ইমামের কথা শুনা ও আনুগত্য করা যতক্ষন সে গুনাহর কাজের নির্দেশ না দেয়
  • ১৮৫০. ইমামের নেতৃত্বে যুদ্ধ করা ও তাঁর মাধ্যমে নিরাপত্তা লাভ করা
  • ১৮৫১. যুদ্ধ থেকে পালিয়ে না যাওয়ার ব্যাপারে বায়’আত করা। আর কেউ বলেছেন মৃত্যুর উপর বায়আত করা। যেহেতু আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেছেনঃ নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা মুমিনদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন যখন তারা আপনার নিকট বৃক্ষতলে বায়আত গ্রহন করেছিলেন (৪৮ঃ ১৮)
  • ১৮৫২. জনসাধারণের জন্য যথাসাধ্য ইমামের নির্দেশ পালন
  • ১৮৫৩. নাবী (ﷺ) যদি দিনের শুরুতে যুদ্ধ আরম্ভ না করতেন, তবে সূর্য ঢলে যাওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ আরম্ভ বিলম্ব করতেন।
  • ১৮৫৪. কোন ব্যক্তির ইমামের অনুমতি গ্রহন। আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ তারাই প্রকৃত মুমিন যারা আল্লাহ তা'আলা ও তার রাসুল (সাঃ) এর উপর ঈমান এনেছে, আর যখন তারা তার সঙ্গে কোন সমষ্টিগত বিষয়ে একত্রিত হয়, তখন তারা তার অনুমতি ব্যতিরেকে চলে যায় না (২৪ঃ ৬২)
  • ১৮৫৭. ভয়-ভীতির সময় ইমামের (সকলের আগে) অগ্রসর হওয়া
  • ১৮৫৮. ভয়-ভীতির সময় ত্বরা করা ও দ্রুত ঘোড়া চালনা করা
  • ১৮৬০. কাউকে পারিশ্রমিক দানপূর্বক নিজের পক্ষ হতে যুদ্ধ করানো এবং আল্লাহর রাহে সাওয়ারী দান করা। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, আমি ইবন উমর (রাঃ) কে বললাম, আমি জিহাদে যেতে চাই। তিনি বললেন, আমি তোমাকে কিছু অর্থ দিয়ে সাহায্য করতে চাই। আমি বললাম, আমি আল্লাহ তা’আলা আমাকে আর্থিক সচ্ছলতা দান করেছেন। তিনি [ইবন উমর (রাঃ)] বললেন, তোমার সচ্ছলতা তোমার জন্য। আমি চাই আমার কিছু সম্পদ এ পথে ব্যয় হোক। উমর (রাঃ) বলেন, এমন কিছু লোক রয়েছে, যারা জিহাদ করার জন্য (বায়তুল মাল হতে) অর্থ গ্রহন করে, পরে জিহাদ করে না। যারা এরূপ করে, আমরা তার সম্পদে অধিক হকদার এবং আমরা তা ফিরত নিয়ে নিব, যা সে গ্রহন করেছে। তাউস ও মুজাহিদ (রহঃ) বলেছেন, যখন আল্লাহর রাহে বের হওয়ার জন্য তোমাকে কিছু দান করা হয়, তা দিয়ে তুমি যা ইচ্ছা তা করতে পার আর তোমার পরিবার-পরিজনের কাছেও রেখে দিতে পার।
  • ১৮৬১. মজুরী গ্রহণ করে জিহাদে অংশ গ্রহন করা।
  • ১৮৬২. নবী (ﷺ) এর পতাকা সম্পর্কে যা বলা হয়েছে
  • ১৮৬৩. রাসূলুল্লাহ্‌ (ﷺ)-এর উক্তিঃ এক মাসের পথের দুরত্ব থেকে (শত্রুর মনে) ভীতি সঞ্চারের মাধ্যমে আমাকে সাহায্য করা হয়েছে। মহান আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ আমি কাফিরদের অন্তরে ভীতির সঞ্চার করব। যেহেতু তারা আল্লাহর শরীক করেছে। (৩ঃ ১৫১) (এ প্রসঙ্গে) জাবির (রাঃ) রাসুলুল্লাহ (সাঃ) থেকে হাদীস উদ্ধৃত করেছেন
  • ১৮৬৪. যুদ্ধে পাথেয় বহন করা। আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ তোমরা পাথেয়ের ব্যবস্থা কর। আত্মসংযমই শ্রেষ্ঠ পাথেয়। (২ঃ ১৯৭)
  • ১৮৬৫. কাঁধে পাথেয় বহন করা
  • ১৮৬৬. উটের পিঠে আপন ভাইয়ের পেছনে মহিলাকে বসানো
  • ১৮৬৭. যুদ্ধ ও হজ্জে একই সাওয়ারীতে একে অপরের পেছনে বসা
  • ১৮৬৮. গাধার পিঠে একে অপরের পেছনে বসা
  • ১৮৬৯. রিকাব বা অন্য কিছু ধরে আরোহণে সাহায্য করা
  • ১৮৭০. কুরআন মাজিদ সহ শত্রু ভূখণ্ডে সফর করা অপছন্দনীয়। অনুরূপ মুহাম্মাদ ইবন বিশর (রহঃ) ... ইবন উমর (রাঃ) এর মাধ্যমে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। উবায়দুল্লাহ (রহঃ) এর অনুসরণকারী ইবন ইসহাকও ... ইবন উমর (রাঃ) এর মাধ্যমে রাসুলুল্লাহ (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। অবশ্য রাসুলুল্লাহ (ﷺ) ও তার সাহাবীগন (রাঃ) শত্রুর ভূখন্ডে সফর করেছেন এবং তারা কুরআনুল কারীম জানতেন।
  • ১৮৭১. যুদ্ধের সময় তাকবীর বলা
  • ১৮৭২. তাকবীর জোরে জোরে বলা অপছন্দীয়
  • ১৮৭৩. কোন উপত্যকায় আক্রমণ করাকালে তাসবীহ (সুবহানাল্লাহ্‌) পড়া
  • ১৮৭৪. উঁচু স্থানে আরোহণকালে তাকবীর বলা
  • ১৮৭৫. মুসাফিরের জন্য তা-ই লিখিত হবে, যা সে আমল করত ইকামত (আবাস) অবস্থায়
  • ১৮৭৬. একাকী ভ্রমণ করা
  • ১৮৭৭. ভ্রমনকালে তাড়াতাড়ি করা।
  • ১৮৭৮. আরোহণের জন্য ঘোড়া দান করার পর তা বিক্রয় হতে দেখলে
  • ১৮৭৯. পিতামাতার অনুমতি নিয়ে জিহাদে যাওয়া
  • ১৮৮০. উটের গলায় ঘন্টা ইত্যাদি বাঁধা প্রসঙ্গে
  • ১৮৮১. যার নাম জিহাদে জাওয়ার জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে আর তার স্ত্রী হজ্জে বের হওয়ার ইচ্ছা করলে অথবা তার কোন ওজর দেখা দিলে, তবে তাকে (তবে তাকে জিহাদ থেকে বিরত থাকার) অনুমতি দেওয়া হবে কি?
  • ১৮৮২. গোয়েন্দগিরী করা। তাজাসসুস শব্দের অর্থ হচ্ছে খোঁজ খবর নেওয়া। আর আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ তোমরা আমার শত্রু ও তোমাদের শত্রুকে বন্ধুরূপে গ্রহন করো না (৬০ঃ ১)
  • ১৮৮৩. বন্দীদের পোশাক প্রদান
  • ১৮৮৪. যার হাতে কোন ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণ করেছ, তার ফযীলত
  • ১৮৮৫. শৃংখলে আবদ্ধ কয়েদী
  • ১৮৮৬. ইয়াহুদী ও নাসারাদের থেকে যে ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণ করেছে তার মর্যাদা
  • ১৮৮৭. রাত্রীকালীন আক্রমণে মুশরিকদের মহিলা ও শিশু নিহত হলে। পবিত্র কুরআনে উল্লেখিত بَيَاتًا لَنُبَيِّتَنَّهُ بَيِّتُ এ শব্দগুলোর অর্থের মধ্যে রাতের সময় বুঝানো হয়েছে
  • ১৮৮৮. যুদ্ধে শিশুদের হত্যা করা
  • ১৮৮৯. যুদ্ধে মহিলাদের হত্যা করা
  • ১৮৯০. আল্লাহ‌ তা আলার শাস্তি দ্বারা কাউকে শাস্তি দেয়া যাবে না
  • ১৮৯৩. মুশরিক যদি কোন মুসলিমকে আগুনে জ্বালিয়ে দেয় তবে তাকে কি জ্বালিয়ে দেওয়া হবে?
  • ১৮৯৪. পরিচ্ছেদ নাই
  • ১৮৯৫. ঘরবাড়ী ও খেজুর বাগান জ্বালিয়ে দেওয়া
  • ১৮৯৬. ঘুমন্ত মুশরিককে হত্যা করা
  • ১৮৯৭. তোমার শত্রুর মুখোমুখী হওয়ায় আকাঙ্ক্ষা পোষণ করো না
  • ১৮৯৮. যুদ্ধ হল কৌশল
  • ১৮৯৯. যুদ্ধে কথা ঘুরিয়ে বলা
  • ১৯০০. হারবীকে গোপনে হত্যা করা
  • ১৯০২. যুদ্ধক্ষেত্রে কবিতা আবৃত্তি করা ও পরিখা খননকালে স্বর উঁচু করা। এ প্রসঙ্গে সাহল ও আনাস (রাঃ) সুত্রে নবী (সাঃ) থেকে হাদীস বর্ণিত আছে, আর ইয়াযীদ সালামা (রাঃ) থেকেও বর্ণিত আছে
  • ১৯০৩. যে ব্যক্তি ঘোড়ার পিঠে স্থির থাকতে পারে না
  • ১৯০৪. চাটাই পুড়ে যখমের চিকিৎসা করা এবং মহিলা কর্তৃক নিজ পিতার মুখমণ্ডল ের রক্ত ধৌত করা, ঢাল ভর্তি করে পানি বহন করে আনা
  • ১৯০৫. যুদ্ধক্ষেত্রে ঝগড়া ও মতবিরোধ করা অপছন্দনীয়। কেউ যদি ইমামের আবাধ্যতা করে তার শাস্তি। আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ আর তোমরা ঝগড়া-বিবাদ করবে না, করলে তোমরা সাহস হারিয়ে ফেলবে এবং তোমাদের শক্তি বিলুপ্ত হবে। (৮ঃ ৪৬) الرِّيحُ অর্থ যুদ্ধ
  • ১৯০৬. রাতে যখন (শত্রুর) ভয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়
  • ১৯০৭. যে ব্যক্তি শত্রু দেখে উচ্ছস্বরে বলে, “বিপদ আসন্ন!” যাতে লোকদেরকে তা শুনাতে পারে
  • ১৯০৮. তীর নিক্ষেপ কালে যে বলেছে, এটা লও (পালিও না) আমি অমুকের পুত্র। আর সালামা (ইবন আকওয়া (রাঃ) তীর নিক্ষেপকালে) বলেছেন, এটা লও (পালিও না) আমি আকওয়ার পুত্র
  • ১৯০৯. শত্রুপক্ষ কারো মীমাংসা মেনে (দুর্গ থেকে) বেরিয়ে আসলে
  • ১৯১০. বন্দীকে হত্যা করা এবং হাত পা বেঁধে হত্যা করা
  • ১৯১১. স্বেচ্ছায় বন্দীত্ব বরণ করবে কি? এবং যে বন্দীত্ব বরণ করেনি আর যে ব্যক্তি নিহত হওয়ার সময় দু' রাক'আত (সালাত) আদায় করল
  • ১৯১২. বন্দীকে মুক্ত করা। এ বিষয়ে আবু মুসা (রাঃ) কর্তৃক নবী (সাঃ) থেকে হাদীস বর্ণিত রয়েছে
  • ১৯১৩. মুশরিকদের মুক্তিপণ
  • ১৯১৪. হারবী (দারুল হারনের অধিবাসী) যদি নিরাপত্তা ব্যতীত দারুল ইসলামে প্রবেশ করে
  • ১৯১৫. জিম্মীদের নিরাপত্তার জন্য যুদ্ধ করা হবে এবং তাদেরকে গোলাম বানানো যাবে না
  • ১৯১৭. প্রতিনিধি দলকে উপঢৌকন প্রদান
  • ১৯১৮. প্রতিনিধিদলের আগমন উপলক্ষে সুসজ্জিত হওয়া
  • ১৯১৯. কিভাবে শিশু-কিশোরদের নিকট ইসলাম পেশ করা হবে?
  • ১৯২১. যদি কোন সম্প্রদায় দারুল হারবে ইসলাম গ্রহন করে, আর তাদের ধন-সম্পদ ও জমিজামা থাকলে তা তাদেরই থাকবে
  • ১৯২২. ইমাম কর্তৃক লোকদের নাম তালিকাভুক্ত করা
  • ১৯২৩. আল্লাহ‌ তা’আলা মন্দ লোকের দ্বারা কখনো দ্বীনের সাহায্য করেন
  • ১৯২৪. শত্রুর আশংকা দেখা দিলে আমীরের অনুমতি ব্যতীত নিজেই সেনাদলেরে অধিনায়কত্ব গ্রহণ করা
  • ১৯২৫. সাহায্যকারী দল প্রেরণ করা
  • ১৯২৬. শত্রুর উপর বিজয় লাভ করে তাদের বহিরাঙ্গনের তিন দিন অবস্থান করা
  • ১৯২৭. সফর ও যুদ্ধক্ষেত্রে গনীমতের মাল বন্টন করা। রাফে (রাঃ) বলেন, আমরা যুল-হুলাইফা নামক স্থানে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর সঙ্গে ছিলাম । তখন আমরা (গনীমত স্বরূপ) উট ও বকরী লাভ করলাম । রাসূলুল্লাহ (সাঃ) দশটি বকরীকে একটি উটের সমান গন্য করেন।
  • ১৯২৮. যদি মুশরিকরা মুসলিমের মাল লুট করে নেয় তারপর মুসলিমগণ (বিজয় লাভের) মাধ্যমে তা প্রাপ্ত হয়।
  • ১৯২৯. যে ব্যক্তি ফার্সি অথবা অন্য কোন অনারবী ভাষায় কথা বলে। আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ আর তোমাদের ভাষা ও বর্ণের বিভিন্নতার মধ্যে (৩০ঃ ২২) এবং তিনি আরো বলেছেনঃ আর আমি প্রত্যেক রাসুলকেই তার স্বজাতির ভাষাভাষী করে পাঠিয়েছি (১৪ঃ ৪)
  • ১৯৩০. গনীমতের মাল আত্মসাৎ করা। আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ আর যে ব্যক্তি গনীমতের মাল আত্মসাৎ করে, সে কিয়ামতের দিন সেই মালসহ উপস্থিত হবে। (৩ঃ ১৬১)
  • ১৯৩১. গনীমতের সামান্য পরিমান মাল আত্মসাৎ করা। আবদুল্লাহ ইবন আমর (রাঃ) রাসুলুল্লাহ (সাঃ) থেকে এ বর্ণনায় তিনি আত্মসাৎকারীর মালপত্র জ্বালিয়ে দিয়েছেন" কথাটি উল্লেখ করেন নি। আর এটাই বিশুদ্ধ।
  • ১৯৩২. গনীমতের উট ও বকরী (বন্টনের পূর্বে) যবেহ করা মাকরুহ
  • ১৯৩৩. বিজয়ের সুসংবাদ দান করা
  • ১৯৩৫. (মক্কা) বিজয়ের পর হিজরতের প্রয়োজন নেই
  • ১৯৩৬. প্রয়োজনবোধে জিম্মী অথবা মুসলিম মহিলার চুল দেখা এবং তাদের বিবস্ত্র করা, যখন তারা আল্লাহ‌ তা’আলার নাফরমানী করে
  • ১৯৩৭. বিজয়ী যোদ্ধাগণকে অভ্যর্থনা জানানো
  • ১৯৩৮. জিহাদ হতে প্রত্যাবর্তনের সময় যা বলবে
  • ১৯৩৯. সফর থেকে পত্যাবর্তনের পর সালাত আদায় করা
  • ১৯৪০. সফর থেকে প্রত্যাবর্তন করে আহার করা, আর আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌নে উমর (রাঃ) আগত মেহমানের সম্মানে সওম পালন করতেন না
  • ১৯৪১. খুমুস (এক-পঞ্চমাংশ) নির্ধারিত হওয়া
  • ১৯৪২. খুমুস (এক-পঞ্চমাংশ) আদায় করা দ্বীনের অংশ
  • ১৯৪৩. রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-এর ওফাতের পর তাঁর সহধর্মিণীগণের ভরণ-পোষণ
  • ১৯৪৪. নবী (সাঃ)-এর সহধর্মিণীগণের ঘর এবং যে সব ঘর তাঁদের সাথে সম্পর্কিত সে সবের বর্ণনা। আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ তোমরা নিজেদের ঘরে অবস্থান কর। (৩৩ঃ ৩৩) (হে মুসলিমগন) তোমরা নবী (সাঃ) এর ঘরে অনুমতি ব্যতিরেকে প্রবেশ করবে না। (৩৩ঃ ৫৩)
  • ১৯৪৫. নবী (ﷺ)-এর বর্ম, লাঠি, তরবারী, পেয়ালা ও মোহর এবং তার পরবর্তী খলিফাগন সে সব থেকে যা ব্যবহার করেছেন, আর তা যার বণ্টনের উল্লেখ করা হয়নি এবং তার চুল, পাদুকা ও পাত্র নবী (সাঃ) এর ওফাতের পর তার সাহাবীগন ও অন্যরা (বরকত হাসিলে) শরীক ছিলেন।
  • ১৯৪৬. রাসূলুল্লাহ্‌ (ﷺ)-এর সময়ে আকস্মিক প্রয়োজনাদি ও অভাবগ্রস্তদের জন্য গণীমতের এ-পঞ্চমাংশ। যখন ফাতিমা (রাঃ) তার নিকট আটা পিষার কষ্টের কথা জানিয়ে বন্দীদের থেকে তার খেদমতের জন্য দাসী চাইলেন, তখন রাসুলুল্লাহ (ﷺ) আহলে সুফফা ও বিধবাদের অগ্রাধিকার দিয়ে তিনি তাকে আল্লাহর সোপর্দ করেন
  • ১৯৪৭. আল্লাহ‌ তা’আলার বাণীঃ নিশ্চয় এক-পঞ্চমাংশ আল্লাহ‌র ও রাসূলের (সূরা আনফাল ৮:৪১) তা বণ্টনের ইখতিয়ার রাসুলেরই। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, আমি বণ্টনকারী ও হেফাজতকারী আর আল্লাহ তা'আলাই দিয়ে থাকেন
  • ১৯৪৮. নবী (ﷺ) এর বাণীঃ তোমাদের জন্য গনীমতের মাল হালাল করা হয়েছে। আর আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেছেনঃ আল্লাহ তোমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যুদ্ধে লভ্য বিপুল সম্পদের, যার অধিকারী হবে তোমরা। তিনি তা তোমাদের জন্য ত্বরান্বিত করেছিলেন (সূরা ফাতহঃ ২০) [আয়াতের শেষ পর্যন্ত] গনীমত সাধারণ মুসলিমের জন্য ছিল কিন্তু রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তা ব্যাখ্যা করে নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন (যোদ্ধাদের জন্য)
  • ১৯৪৯. গনীমত তাদের জন্য, যারা অভিযানে হাযির হয়েছে
  • ১৯৫০. যে ব্যক্তি গনীমতের উদ্দেশে জিহাদ করে তার সাওয়াব কি কম হবে?
  • ১৯৫১. ইমামের নিকট যা আসে, তা বন্টন করা এবং যে ব্যক্তি সেখানে উপস্থিত হয় নি কিংবা যে দূরে আছে তার জন্য রেখে দেওয়া
  • ১৯৫২. নবী (ﷺ) কিরূপে কুরায়যা ও নাযীরের ধন-সম্পদ বন্টন করেছেন এবং প্রয়োজনে কিভাবে ব্যয় করেছেন
  • ১৯৫৩. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও ইসলামী শাসকদের সঙ্গী হয়ে যুদ্ধ অংশ গ্রহণকারী যোদ্ধাদের সম্পদ, জীবনে ও মৃত্যুর পরে যে বরকত সৃষ্টি হয়েছে
  • ১৯৫৪. ইমাম যদি কোন দূতকে কোন কাজে পাঠান কিংবা তাকে অবস্থান করার নির্দেশ দেন; তবে তার জন্য অংশ নির্ধারিত হবে কিনা?
  • ১৯৫৫. যিনি বলেন, এক-পঞ্চমাংশ মুসলিমগণের প্রয়োজন মিটানোর জন্য। এর প্রমান হাওয়াযিন, তাদের গত্রে নবী (ﷺ) এর দুধ পানের সৌজন্যে তারা যে আবেদন করেছিল তারই প্রেক্ষিতে মুসলিমগন থেকে তাদের সে দাবী আদায় করে নেন। নবী (সাঃ) লোকদেরকে ফায় ও গনীমত এর অংশ থেকে খুমুস দানের যে প্রতিশ্রুতি দান করতেন। 'আর যা তিনি আনসারদের প্রদান করেছেন' এবং যা তিনি খায়বারের খেজুরের থেকে জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রাঃ) কে দান করেছেন
  • ১৯৫৬. খুমুস পৃথক না করেই বন্দীদের প্রতি নবী (ﷺ)-এর অনুগ্রহ
  • ১৯৫৭. খুমুস ইমামের জন্য, তাঁর ইখতিয়ার রয়েছে আত্মীয়গণের মধ্যে যাকে ইচ্ছা দিবেন, যাকে ইচ্ছা দিবেন না। এর দলীল এই যে, নবী (ﷺ) খায়বারে খুমুস থেকে বানূ হাশিম ও বানূ মুত্তালিবকেই দিয়েছেন। উমর ইবন আবদুল আযীয (রহঃ) বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) সাধারণভাবে সকল কুরায়শকে দেননি এবং যে ব্যক্তি অধিক অভাবগ্রস্থ তার উপর কোন আত্মীয়কে অগ্রাধিকার দেননি। যদিও তিনি তাদের দিয়েছেন তা এ হিসেবে যে, তারা তার নিকট তার অভাবের কথা তাকে জানিয়েছেন আর এ হিসেবে যে, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর পক্ষ অবলম্বন করায় তারা স্বগোত্র ও স্বজনদের দ্বারা অধিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিলেন।
  • ১৯৫৮. নিহত ব্যক্তি থেকে প্রাপ্ত মাল সামানের খুমুস বের না করা; যে ব্যক্তি কাউকে হত্যা করল, সেক্ষেত্রে নিহত ব্যক্তি থেকে প্রাপ্ত মাল সামানের খুমুস বের না করেই তা তারই প্রাপ্য আর ইমাম কর্তৃক এরূপ আদেশ দান করা
  • ১৯৫৯. নবী (ﷺ) ইসলামের প্রতি যাদের মন আকৃষ্ট করার প্রয়োজন তাদেরকে ও অন্যদেরকে খুমুস ইত্যাদি থেকে দান করতেন। এ বিষয়ে আবদুল্লাহ ইবন যায়দ (রাঃ) নবী (সাঃ) থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন
  • ১৯৬০. দারুল হরবে যে সব খাদ্য সামগ্রী পাওয়া যায়
  • ১৯৬১. যিম্মীদের থেকে জিযিয়া গ্রহণ এবং হারবীদের সাথে যুদ্ধ বিরতি চুক্তি। আর আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ যারা আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে না, এবং শেষ দিনের উপর বিশ্বাস করে না, আর আল্লাহ তা’আলা ও তার রাসুল যা হারাম করেছেন তা হারাম বলে মানে না, তোমরা তাদের সাথে যুদ্ধ কর ... আয়াতের শেষ পর্যন্ত। (৯ঃ ২৯) আয়াতে উল্লেখিত مسكين শব্দের মুল হল مسكنة অর্থ হল অভাবগ্রস্ত اسكن من فلان এর অর্থ সে অমুক থেকে অধিক অভাবগ্রস্থ। এ শব্দটি سكون থেকে নিশপন্ন নয়। صاغرون এর অর্থ লাঞ্চিত। ইয়াহুদি, খ্রিস্টান, অগ্নিপুজক ও আজমীদের থেকে জিযিয়া গ্রহন। ইবন উয়াইনা (রহঃ) (আবদুল্লাহ) ইবন নাজীহ (রহঃ) থেকে বলেন, আমি মুজাহিদ (রহঃ) এর নিকট জিজ্ঞেস করলাম, এর কারন কি যে, সিরিয়া বাসীদের উপর চার দীনার এবং ইয়ামান বাসীদের উপর এক দীনার করে জিযিয়া গ্রহন করা হয়। তিনি বললেন, তা স্বচ্ছলতার প্রেক্ষিতে ধার্য করা হয়েছে।
  • ১৯৬২. ইমাম যদি কোন জনপদের প্রশাসকের সাথে সন্ধি করে তবে কি তা অবশিষ্ট লোকদের বেলায়ও প্রযোজ্য হবে?
  • ১৯৬৩. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে যাদের অঙ্গীকার আছে তাদের সম্পর্কে ওয়াসিয়াত। ذِمَّةُ শব্দের অর্থ অঙ্গীকার-প্রতিশ্রুতি, আর ال শব্দের অর্থ আত্মীয়তার সম্পর্ক
  • ১৯৬৪. নবী (ﷺ) বাহরাইনের ভূমি থেকে যা বন্দোবস্ত দেন ও সম্পদ ও জিযিয়া থেকে যা দেওয়ার ওয়াদা করেন। আর ফায় ও জিযিয়া কাদের মধ্যে বন্টিত হবে?
  • ১৯৬৫. বিনা অপরাধে জিম্মীকে যে হত্যা করে, তার পাপ
  • ১৯৬৬. ইয়াহুদিদের আরব উপদ্বীপ থেকে বহিস্কার করা। উমর (রাঃ) নবী (সাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, যতদিন আল্লাহ তা'আলা তোমাদের (ইয়াহুদিদের) এখানে রাখেন, ততদিন আমি তোমাদের এখানে রাখব
  • ১৯৬৭. মুসলিমদের সঙ্গে যদি মুশরিকরা বিশ্বাসঘাতকতা করে তবে তাদের কি তা ক্ষমা করা যায়?
  • ১৯৬৮. চুক্তি ভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে ইমামের দু’আ
  • ১৯৬৯. মহিলাদের পক্ষ থেকে কাউকে নিরাপত্তা ও আশ্রয় প্রদান
  • ১৯৭০. মুসলিমদের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ও আশ্রয় প্রদান একই পর্যায়ের। কোন সাধারণ মুসলিম নিরাপত্তা দিলে সকলকে তা রক্ষা রক্ষা করতে হবে
  • ১৯৭২. মুশরিকদের সাথে পণ্য-সামগ্রী ইত্যাদির বিনিময়ে সন্ধিচুক্তি এবং যে অঙ্গীকার পূরণ করে না তার গুনাহ। আর (আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ) "তারা (কাফির) যদি সন্ধির প্রতি ঝুঁকে পড়ে তবে আপনিও সন্ধির দিকে ঝুঁকবেন এবং মহান আল্লাহর উপর নির্ভর করবেন, তিনিই সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ (আনফালঃ ৬১)
  • ১৯৭৩. অঙ্গীকার পূর্ণ করার ফযীলত
  • ১৯৭৪. যদি কোন যিম্মী যাদু করে, তবে কি তাকে ক্ষমা করা হবে? ইবন ওহাব (রহঃ) ... ইবন শিহাব (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, যদি কোন যিম্মী যাদু করে, তবে কি তাকে হত্যা করা হবে? তিনি বলেন, আমার নিকট এই হাদিস পৌঁছেছে যে, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে যাদু করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি যাদুকরকে হত্যা করেন নি। সে আহলে কিতাব ছিল।
  • ১৯৭৫. বিশ্বাসঘাতকতা সম্পর্কে সর্তকবাণী। আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ যদি তারা আপনাকে প্রতারিত করতে চায়, তবে আপনার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, তিনি আপনাকে স্বীয় সাহায্য ও মুসলিমদের দ্বারা শক্তিশালী করেছেন ...... (আয়াতের শেষ পর্যন্ত) (৮ঃ ৬২)
  • ১৯৭৬. চুক্তিবদ্ধ সম্প্রদায়ের চুক্তি বিভাবে বাতিল করা হবে? আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ যদি আপনি কোন সম্প্রদায়ের বিশ্বাস ভঙ্গের আশংকা করেন, তবে আপনার চুক্তিও যথাযথ বাতিল করবেন। (৮ঃ ৫৮)
  • ১৯৭৭. যারা অঙ্গীকার করে তা ভঙ্গ করে তাদের গুনাহ এবং আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ আপনি যাদের সাথে অঙ্গীকার করেছেন, তারপর তারা প্রতিবার তাদের অঙ্গীকার ভঙ্গ করে ... (শেষ পর্যন্ত) (সুরা আনফালঃ ৫৬)
  • ১৯৭৮. পরিচ্ছেদ নাই
  • ১৯৭৯. তিন দিন কিংবা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সন্ধি করা
  • ১৯৮১. মুশরিকদের লাশ কূপে নিক্ষেপ করা এবং তাদের বিনিময়ে মূল্য গ্রহণ না করা
  • ১৯৮২. নেক বা বদ যে কোন লোকের সাথে কৃত অঙ্গীকার ভঙ্গীকারীর পাপ
  • ১৭৬৮. জিহাদে বের হওয়া ওয়াজিব এবং জিহাদ ও তার নিয়্যাতের আবশ্যকতা। আল্লাহ্‌ তা’আলার বাণীঃ অভিযানে বের হয়ে পড় হালকা অবস্থায় হউক অথবা ভারি অবস্থায় এবং জিহাদ কর আল্লাহ্‌র পথে তোমাদের সম্পদ ও জীবন দ্বারা। এই তোমাদের জন্য শ্রেয় যদি তোমরা জানতে। আশু লাভের সম্ভাবনা থাকলে এবং সফর সহজ হলে ...... তারা যে মিথ্যাচারী তা তো আল্লাহ্‌ জানেন (৪১ঃ ৪২) আল্লাহ্‌ তা’আলা আরো বলেনঃ হে মু’মিনগণ! তোমাদের কি হল যে, যখন তোমাদের আল্লাহ্‌র পথে অভিযানে বের হতে বলা হয়, তখন তোমরা ভরাক্রান্ত হয়ে ভূতলে ঝুঁকে পড়? তোমরা কি পরকালের পরিবর্তে পার্থিব জীবনে পরিতুষ্ট হয়েছ? পরকালের তুলনায় পার্থিব জীবনের ভোগের উপকরণ তো অতিকিঞ্চিৎকর। (৯ঃ ৩৮) ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে উল্লেখ রয়েছে, فانفروا ثبات অর্থ হলো- বিভিন্ন ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে তোমরা জিহাদের জন্য বেরিয়ে পড়। ثبات শব্দটির একবচন ثبة অর্থ ছোট দল।
  • ৪৯/ সৃষ্টির সূচনা (كتاب بدء الخلق) ১২৭ টি | ২৯৬৪-৩০৯০ পর্যন্ত 49/ Beginning Of Creation
  • ১৯৮৩. মহান আল্লাহর বাণীঃ আর তিনিই সেই সত্তা, যিনি সৃষ্টিকে অস্তিত্বে আনয়ন করেন, আবার তিনিই তা সৃষ্টি করবেন পুনর্বার; আর তা তার জন্য অতি সহজ, (সুরা রুম ২৭) রাবী ইবন খুসাইম এবং হাসান বসরী (রহঃ) বলেন, সব কিছুই তার জন্য সহজ। আর هَيِّنٌ ও هَيْنٌ যার অর্থ সহজ, উচ্চারনের দিক দিয়ে যথাক্রমে لَيِّنٍ ও لَيْنٍ مَيِّتٍ ও مَيْتٍ এবং ضَيِّقٍ ও ضَيْقٍ এর অনুরূপ। أَفَعَيِينَا এর অর্থ আমার পক্ষে কি এটা কঠিন, যখন তিনি তোমাদের পয়দা করেছেন এবং তোমাদের সৃষ্টির সুচনা করেছেন। لُغُوبٌ ক্লান্তি أَطْوَارًا কখনও এ অবস্থায়, আবার কখনও অন্য অবস্থায় عَدَا طَوْرَهُ সে তার মর্যাদা অতিক্রম করল।
  • ১৯৮৪. সাত যমীন। মহান আল্লাহর বাণীঃ আল্লাহ সেই স্বত্বা যিনি সৃষ্টি করেছেন সাত আসমান এবং যমীনও, অদের অনুরূপভাবে (৬৫ঃ ১২) وَالسَّقْفِ الْمَرْفُوعِ আকাশ। سَمْكَهَا এর ভিত্তি। الْحُبُكُ তার সমতা – সৌন্দর্য أَذِنَتْ সে শুনল ও মান্য করল। وَأَلْقَتْ সে (যমীন) তার সকল মৃতকে বের করে দিবে এবং তা খালি হয়ে যাবে ওদের থেকে। طَحَاهَا তাকে সকল দিক থেকে বিছিয়ে দিয়েছে। بالساهرة ভূপৃষ্ঠ যা সকল প্রাণীর নিদ্রা ও জাগরনের স্থান
  • ১৯৮৬. চন্দ্র ও সূর্য উভয়ে নির্ধারিত কক্ষপথে আবর্তন করে। এর জন্য মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, উভয়ের আবর্তন চাকার আবর্তনের অনুরূপ। আর অন্যেরা বলেন, উভয় এমন এক নির্দিষ্ট হিসাব ও স্থানের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত যা তারা অর্থাৎ চন্দ্র ও সূর্য লঙ্ঘন করতে পারে না। حُسْبَانٌ হল حِسَابٍ শব্দের বহুবচন, যেমন شِهَابٍ এর বহুবচন شُهْبَانٍ – ضُحَاهَا এর অর্থ জ্যোতি। أَنْ تُدْرِكَ الْقَمَرَ চন্দ্র সূর্যের এক্তির জ্যোতি অপরটিকে ঢাকতে পারে না, আর তাদের পক্ষে এটা সম্ভব নয়। سَابِقُ النَّهَارِ রাত দিনকে দ্রুত অতিক্রম করে। উভয়ে দ্রুত অতিক্রম করতে চায়। نَسْلَخُ আমি উভয়ের একটিকে অপরটি হতে বের করে আনি আর তাদের প্রতিটি চালিত করা হয় وَاهِيَةٌ এবং وَهْيُهَا এর অর্থ তার বিদীর্ণ হওয়া। أَرْجَائِهَا তার সেই অংশ যা বিদীর্ণ হয়নি আর তারা তার উভয় পার্শ্বে থাকবে। যেমন তোমার উক্তি عَلَى أَرْجَاءِ الْبِئْرِ কূপের তীরে أَغْطَشَ وَجَنَّ অন্ধকার ছেয়ে গেল। হাসান বসরী বলেন كُوِّرَتْ অর্থ লেপটিয়ে দেয়া হবে, যাতে তার জ্যোতি নিঃশেষ হয়ে যাবে। আর বলা হয়ে থাকে وَاللَّيْلِ وَمَا وَسَقَ এর অর্থ আর শপথ রজনীর এবং তার যে জীবজন্তু একত্রিত করল। اتَّسَقَ বরাবর হল। بُرُوجًا চন্দ্র সূর্যের কক্ষ ও নির্ধারিত স্থান। الْحَرُورُ গরম বাতাস যা দিনের বেলায় সূর্যের সাথে প্রবাহিত হয়। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, حَرُورُ রাত্রিবেলার আর سَمُومُ দিনের বেলার লু হাওয়া। বলা হয় يُولِجُ অর্থ প্রবিষ্ট করে বা করবে وَلِيجَةً অর্থ এমন প্রতিটি বস্তু যা তুমি অন্যটির মধ্যে ঢুকিয়েছ।
  • ১৯৮৭. আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ তিনিই আপন অনুগ্রহের পূর্বে সুসংবাদবাহী রূপে বায়ূ প্রেরন করেন (২৫ঃ ৪৮) قَاصِفًا অর্থ যা সব কিছু ভেঙ্গে দেয়। لَوَاقِحَ مَلاَقِحَ শব্দদ্বয় مُلْقِحَةً শব্দের বহুবচন, যার অর্থ বর্ষণকারী। إِعْصَارٌ ঝঞ্চা বায়ূ যা যমীন থেকে আকাশের দিকে স্তম্ভাকারে প্রবাহিত হতে থাকে, যাতে আগুন বিরাজ করে। صِرٌّ অর্থ শীতল। نُشُرًا অর্থ বিস্তৃত।
  • ১৯৮৮. ফিরিশ্তার বিবরণ। আনাস ইবন মালিক (রাঃ) বলেন, আবদুল্লাহ ইবন সালাম (রাঃ) নবী (সাঃ) এর নিকট বললেন, ফিরিশতাকূলের মধ্যে জিবরীল (আঃ) ইয়াহুদীদের শত্রু। আর ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেছেন لَنَحْنُ الصَّافُّونَ এই উক্তি ফিরিশ্তাদের।
  • ১৯৮৯. যখন তোমাদের কেউ "আমীন" বলে আর আসমানের ফেরেশতাগণও আমীন বলেন এবং একের আমীন অন্যের আমীনের সাথে উচ্চারিত হয়, তখন সব গুনাহ মাফ হয়ে যায়
  • ১৯৯০. জান্নাতে বৈশিষ্টের বর্ণনা আর তা সৃষ্টবস্তু। আবুল আলীয়া (রহঃ) বলেন, مُطَهَّرَةٌ মাসিক ঋতু, পেশাব ও থুথু হতে পবিত্র। كُلَّمَا رُزِقُوا যখনই তাদের সামনে কোন এক প্রকার খাদ্য পরিবেশন করা হবে, এরপরই অন্য এক প্রকার খাদ্য পরিবেশন করা হবে। তারা (জান্নাতবাসীরা) বলবে, এগুলো তো ইতিপূর্বেই আমাদেরকে পরিবেশন করা হয়েছে। أُتُوا بِهِ مُتَشَابِهًا তাদেরকে পরস্পর সদৃশ খাবার পরিবেশন করা হবে অথচ সেগুলো স্বাদে হবে বিভিন্ন। قُطُوفُهَا তারা যেভাবে ইচ্ছা ফল ফলাদি গ্রহন করবে। دَانِيَةٌ নিকটবর্তী। الأَرَائِكُ পালঙ্কসমূহ। হাসান বাসরী (রহঃ) বলেন, النَّضْرَةُ চেহারার সজীবতা। আর السُّرُورُ মনের আনন্দ। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন سَلْسَبِيلاً দ্রুত প্রবাহিত পানি। غَوْلٌ পেটের ব্যাথা। يُنْزَفُونَ তাদের বুদ্ধি লোপ পাবে না। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, دِهَاقًا পরিপূর্ণ। كَوَاعِبَ অংকুরিত যৌবনা তরুনী। الرَّحِيقُ -পানীয়। التَّسْنِيمُ জান্নাতবাসীদের পানীয় যা উচু হতে নিঃসৃত হয়। তার মোড়ক হবে কস্তুরি। نَضَّاخَتَانِ দুই উচ্ছলিত (প্রসবন)। مَوْضُونَةٌ সোনা ও মনি মুক্তা দিয়ে তৈরি। এ শব্দটি হতেই وَضِينُ النَّاقَةِ এর উৎপত্তি অর্থাৎ উটের পিঠের গদী। الْكُوبُ হাতল বিহীন পানপাত্র। الأَبَارِيقُ হাতল বিশিষ্ট পানপাত্র। عُرُبًا সোহাগিনী। একবচনে عَرُوبٌ যেমন صَبُورٍ এর বহুবচন صُبُرٍ মক্কাবাসী একে عَرِبَةَ মদীনাবাসী غَنِجَةَ আর ইরাকীরা شَكِلَةَ বলে থাকে। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, رَوْحٌ জান্নাত ও সচ্চল জীবন। الرَّيْحَانُ জীবিকা। الْمَنْضُودُ কলা। الْمَخْضُودُ কাঁদি ভরা এটাও বলা হয়। যার কাটা নেই। الْعُرُبُ স্বামীদের কাছে সোহাগিনী। مَسْكُوبٌ প্রবাহিত। فُرُشٍ مَرْفُوعَةٍ একটির উপর আরেকটি বিছানা لَغْوًا অলীক কথা। تَأْثِيمًا মিথ্যা। أَفْنَانٌ ডালসমূহ। وَجَنَى الْجَنَّتَيْنِ دَانٍ দুই বাগিচার ফল হবে তাদের নিকটবর্তী যা নিকট থেকে গ্রহন করবে। مُدْهَامَّتَانِ এ বাগিচা দু’টি ঘন সবুজ।
  • ১৯৯১. জান্নাতের দরজাসমূহের বিবরণ। নবী (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন জিনিস জোড়া জোড়া দান করবে তাকে জান্নাতের দরজা থেকে আহবান জানানো হবে। এ কথাটি উবাদা (রাঃ) নবী (সাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন।
  • ১৯৯২. জাহান্নামের বিবরণ আর তা সৃষ্টবস্তু। غَسَاقًا প্রবাহিত পুঁজ যেমন কেউ বলে, তার চোখ প্রবাহিত হয়েছে ও ঘা প্রবাহিত হচ্ছে। غَسَاق আর غسيق একই অর্থ। غِسْلِينَ যে কোন বস্তুকে ধৌত করার পর তা থেকে যা কিছু বের হয়, তাকে غِسْلِينَ বলা হয়, এটা غَسْلِ শব্দ থেকে فِعْلِينَ এর ওযনে হয়ে থাকে। ইকরিমা (রহঃ) বলেছেন, حَصَبُ جَهَنَّمَ এর অর্থ জাহান্নামের জ্বালানী। এটা হাবশীদের ভাষা। আর অন্যরা বলেছেন, حَاصِبًا অর্থ দমকা হাওয়া। আর الْحَاصِبُ অর্থ বায়ু যা ছুড়ে ফেলে। এ থেকে হয়েছে حَصَبُ جَهَنَّمَ যার অর্থ হচ্ছে যা কিছু জাহান্নামে ছুড়ে ফেলা হয় আর এগুলোই এর জ্বালানী। الْحَصَبُ আর শব্দটি حَصْبَاءِ শব্দ হতে উৎপত্তি। যার অর্থ কংকরসমূহ। صَدِيدٌ পুঁজ ও রক্ত। خَبَتْ- নিভে গেছে। تُورُونَ তোমরা আগুন বের করছ। أَوْرَيْتُ অর্থ আমি আগুন জালিয়েছি। لِلْمُقْوِينَ মুসাফিরগনের উপকারার্থে। আর الْقِيُّ তরুলতা বিহীন মাঠ। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, صِرَاطُ الْجَحِيمِ অর্থ জাহান্নামের দিক ও তার মধ্যস্থল। لَشَوْبًا তাদের খাদ্য অতি গরম পানির সাথে মিশানো হবে। زَفِيرٌ وَشَهِيقٌ কঠোর চিৎকার ও আর্তনাদ। وِرْدًا পিপাসার্ত। غَيًّا ক্ষতিগ্রস্ত। মুজাহিদ (রহঃ) বলেছেন, يُسْجَرُونَ তাদের দ্বারা আগুন জালানো হবে। আর نُحَاسٌ অর্থ শীশা যা গলিয়ে তাদের মাথায় ঢেলে দেওয়া হবে। বলা হয়েছে, ذُوقُوا এর অর্থ স্বাদ গ্রহন কর এবং অভিজ্ঞতা হাসিল কর। এটা কিন্তু মুখের দ্বারা স্বাদ গ্রহ করা নয়। مَارِجٌ নির্ভেজাল অগ্নি। مَرَجَ الأَمِيرُ رَعِيَّتَهُ আমীর তার প্রজাকে ছেড়ে দিয়েছে, কথাটি এ সময় বলা হয় যখন সে তাদেরকে ছেড়ে দেয় আর তারা একে অন্যের প্রতি অত্যাচার করতে থাকে। مَرِيجٍ মিশ্রিত। مَرَجَ أَمْرُ النَّاسِ যখন মানুষ কোন বিষয় তালগোল পাকিয়ে যায়। আর مَرَجَ الْبَحْرَيْنِ অর্থ তিনি দু’টি নদী প্রবাহিত করেছেন। مَرَجْتَ دَابَّتَكَ এ কথাটি সে সময় বলা হয়, যখন তুমি তোমার চতুষ্পদ জন্তুকে ছেড়ে দাও।
  • ১৯৯৩. ইবলীস ও তার বাহীনীর বর্ণনা। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, يُقْذَفُونَ তাদের নিক্ষেপ করা হবে। دُحُورًا তাদের হাকিয়ে বের করে দেয়া হবে। وَاصِبٌ স্থায়ী। আর ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, مَدْحُورًا হাকিয়ে বের করা অবস্থায়। مَرِيدًا বিদ্রোহীরূপে। بَتَّكَهُ তাকে ছিন্ন করেছে। وَاسْتَفْزِزْ তুমি ভয় দেখাও। بِخَيْلِكَ অশ্বারোহী। وَالرَّجْلُ পাদাতিকগন। এর একবচন رَاجِلٌ যেমন صَاحِبٍ এর বহুবচন صَحْبٍ আর تَاجِرٍ এর বহুবচন تَجْرٍ، - لأَحْتَنِكَنَّ অবশ্যই আমি সমূলে উৎপাটন করব। قَرِينٌ শয়তান।
  • ১৯৯৪. জিন্ন জাতি এবং তাদের সাওয়াব ও আযাবের বর্ণনা। মহান আল্লাহর বাণীঃ হে জিন্ন ও মানব জাতি! তমাদেরই মধ্য থেকে রাসুলগণ কি তোমাদের কাছে আসেন নি? তারা কি তোমাদের সামনে আমার নিদর্শনাবলী বর্ণনা করেন নি? (সুরা আন’আমঃ ১৩০) بَخْسًا ক্ষতি। وَجَعَلُوا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْجِنَّةِ نَسَبًا (৩৭ঃ ১৫৮ আয়াতের তাফসীরে) মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, কুরাইশ কাফিররা ফিরিশতাগণকে আল্লাহর কন্যা এবং তাদের মাতাদেরকে জিন্নের নেতাদের কন্যা বলে আখ্যায়িত করত। মহান আল্লাহ বলেনঃ জিন্নগন অবশ্যই জানে যে, তাদের হিসাবের সময় উপস্থিত করা হবে।
  • ১৯৯৬. মহান আল্লাহর বাণীঃ আর আল্লাহ তথায় (যমীনে) প্রত্যেক প্রকারের প্রাণী ছড়িয়ে দিয়েছেন। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, الثُّعْبَانُ হলো পুরুষ সাপ। বলা হয় সাপ বিভিন্ন প্রকারের হয়, শ্বেত সাপ, মাদী সাপ আর কাল সাপ, آخِذٌ بِنَاصِيَتِهَا অর্থ আল্লাহ তার রাজত্ব ও কর্তৃত্বে সকল জীবকে রেখেছেন, صَافَّاتٍ তাদের ডানাগুলো সম্প্রসারিত অবস্থায়। يَقْبِضْنَ তারা তাদের ডানাগুলো সংকুচিত করে।
  • ১৯৯৭. মুসলিমের সর্বোত্তম সম্পদ ছাগ-পাল, যা নিয়ে তারা পাহাড়ের চুড়ায় চলে যায়
  • ১৯৯৮. পাঁচ শ্রেনীর অনিষ্টকারী প্রানীকে হরম শরীফেও হত্যা করা যাবে
  • ১৯৯৯. তোমাদের কারো পানীয় দ্রব্যে মাছি পড়লে ডুবিয়ে দেবে । কেননা তার এক ডানায় রোগ জীবানু থাকে, আর অপরটিতে থাকে আরোগ্যে
  • ৫০/ আম্বিয়া কিরাম (আঃ) (كتاب أحاديث الأنبياء) ৫৭৩ টি | ৩০৯১-৩৬৬৩ পর্যন্ত 50/ Prophets
  • ২০০০. আদম (আঃ) ও তাঁর সন্তানদের সৃষ্টি।
  • ২০০২. মহান আল্লাহর বানীঃ ‘আর আমি নূহকে তার জাতির নিকট প্রেরণ করেছিলাম’-(হূদ : ১১:২৫) ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, بَادِئَ الرَّأْيِ এর অর্থ যা আমাদের সামনে প্রকাশ পেয়েছে। أَقْلِعِي তুমি থেমে যাও। وَفَارَ التَّنُّورُ পানি সবেগে উৎসারিত হল। আর ইকরিমা (রহঃ) বলেন, تنور অর্থ ভূপৃষ্ঠ। আর মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, الْجُودِيُّ জাযিয়ার একটি পাহাড়। دَأْبٌ অবস্থা। মহান আল্লাহর বাণীঃ আমি নূহকে তার জাতির কাছে প্রেরণ করেছিলাম’ … সুরার শেষ পর্যন্ত-(নুহঃ ১)
  • ২০০৪. ইদ্রিস (আঃ) - মহান আল্লাহর বাণীঃ আর আমি তাকে (ইদ্রিস) উচ্চ মর্যাদায় উন্নীত করেছি। (১৯ঃ৫৭)
  • ২০০৫. (মহান আল্লাহর বাণীঃ) আর আমি আদ জাতির নিকট তাদেরই ভাই হুদকে পাঠিয়েছিলাম ... (সুরা হুদঃ ৫০) এবং আল্লাহর বাণীঃ আর স্মরণ কর (হুদের কথা) যখন তিনি আহকাফ অঞ্চলে নিজ জাতিকে সতর্ক করেছিলেন ... এভাবে আমি অপরাধী সম্প্রদায়কে প্রতিফল দিয়ে থাকি। (সুরা আহকাফঃ ২১-২৫) এ প্রসঙ্গে আতা ও সুলায়মান (রহঃ) আয়শা (রাঃ) সুত্রে নবী (সাঃ) থেকে হাদিস বর্ণিত আছে। আরো মহান আল্লাহর বাণীঃ আদ জাতিকে ধ্বংস করা হয়েছে একটি প্রচণ্ড ঝাঞ্চা বায়ুর দ্বারা। ইবন উয়াইনাহ (রহঃ) বলেন, প্রবাহিত করেছিলেন তিনি যা নিয়ন্ত্রনকারীর নিয়ন্ত্রন থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল বিধায় হীনভাবে সাত রাত ও আট দিন পর্যন্ত। (সেখানে তুমি থাকলে) দেখতে পেতে যে, তারা সেখানে লুটিয়ে পড়ে আছে সারশূন্য বিক্ষিপ্ত খেজুর গাছের কাণ্ডের ন্যায়। এরপর তাদের কাউকে তুমি বিদ্যমান দেখতে পাও কি? (সুরা হাক্‌কাঃ ৫-৮)
  • ২০০৬. ইয়াজুজ ও মাজুজের ঘটনা। মহান আল্লাহর বাণীঃ নিশ্চয়ই ইয়াজুজ মাজুজ পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টিকারী (১৮ঃ ৯৪)
  • ২০০৮. মহান আল্লাহর বাণীঃ আর আল্লাহ ইবরাহীম (আঃ) কে বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছেন। (সূরা নিসা ৪: ১২৫) মহান আল্লাহর বাণীঃ নিশ্চয়ই ইব্রাহীম ছিলেন এক উম্মত, আল্লাহর অনুগত (২৬ঃ ১২০) মহান আল্লাহর বাণীঃ নিশ্চয়ই ইব্রাহীম কোমল হৃদয় ও সহনশীল (৯ঃ ১১৪)। আর আবু মাইসারাহ (রহঃ) বলেন, হাবশী ভাষায় اواه শব্দটি الرَّحِيمُ অর্থে ব্যবহৃত হয়।
  • ২০০৯. يَزِفُّونَ অর্থ দ্রুত চলা।
  • ২০১০. মহান আল্লাহর বাণীঃ (হে মুহাম্মাদ) আপনি তাদেরকে ইবরাহীম (‘আ.)-এর মেহমানগণের ঘটনা জানিয়ে দিন। যখন তারা তাঁর নিকট এসেছিলেন (১৫ঃ ৫১-৫২) لَا تَوْجَلْ ভয় পাবেন না। (মহান আল্লাহর বাণীঃ) স্মরণ করুন যখন ইব্রাহীম (আঃ) বললেন, হে আমার রব! আমাকে দেখিয়ে দিন আপনি কিভাবে মৃতকে জীবন দান করেন। (২ঃ ২৬০)
  • ২০১১. মহান আল্লাহর বাণীঃ এবং স্মরণ করুন এই কিতাবে (কুরআনে) ইসমাঈলের কথা, অবশ্যই তিনি ছিলেন ওয়াদা পালনে সত্যনিষ্ঠ (১৯ঃ ৫৪)
  • ২০১৩. মহান আল্লাহর বাণীঃ যখন ইয়াকূব (‘আ.)-এর মৃত্যুকাল এসে হাযির হয়েছিল, তোমরা কি তখন সেখানে উপস্থিত ছিলে? যখন তিনি তাঁর সন্তানদের জিজ্ঞাসা করেছিলেন। (২ঃ ১৩৩)
  • ২০১৪. (মহান আল্লাহর বাণীঃ) স্মরণ কর লূতের কথা, তিনি তাঁর সম্প্রদায়কে বলেছিলেন; তোমরা কি অশ্লীল কাজে লিপ্ত থাকবে? … এই সতর্ককৃত লোকদের উপর বর্ষিত বৃষ্টি কতইনা নিকৃষ্ট ছিল। (২৭ঃ ৫৪-৫৮)
  • ২০১৫. আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ এরপর যখন আল্লাহর ফিরিশতাগণ লুত পরিবারের নিকট আসলেন, তখন তিনি বললেন, তোমরা তো অপরিচিত লোক। (১৫ঃ ৬১-৬২) أَنْكَرَهُمْ وَنَكِرَهُمْ وَاسْتَنْكَرَ একই অর্থে ব্যবহৃত يُهْرَعُونَ অর্থ দ্রুত চলল। دَابِرٌ অর্থ শেষ صَيْحَةٌ অর্থ ধ্বংস لِلْمُتَوَسِّمِينَ অর্থ প্রত্যক্ষকারীদের জন্য لَبِسَبِيلٍ অর্থ রাস্তার بِرُكْنِهِ অর্থ সঙ্গীদেরসহ কেননা তারাই তাঁর শক্তি। تَرْكَنُوا অর্থ আকৃষ্ট হয়ে পড়েছিল।
  • ২০১৬. আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ আর সামূদ জাতির প্রতি তাদেরই ভাই সালিহকে পাঠিয়েছিলাম-(১১:৬১) আল্লাহ আরো বলেন, হিজরবাসীরা রাসুলগনের প্রতি মিথ্যা আরোপ করেছে। (১৫ঃ ৮০) الْحِجْرُ সামুদ সম্প্রদায়ের বসবাসের স্থান। حَرْثٌ حِجْرٌ অর্থ নিষিদ্ধ ক্ষেত। প্রত্যেক নিষিদ্ধ বস্তুকে حِجْرٌ বলা হয়। আর এই অর্থেই حِجْرٌ مَحْجُورٌ বলা হয়ে থাকে। الْحِجْرُ তুমি যে সব ভবন নির্মাণ কর। তুমি যমীনের যে অংশ ঘেরাও করে রাখ তাও حِجْرٌ। এ কারনেই হাতীমে কা’বাকে حِجْرٌ নামে অবহিত করা হয় তা যেন حَطِيمُ শব্দটি مَحْطُومٍ অর্থে ব্যবহৃত যেমন قَتِيلٍ শব্দটি مَقْتُولٍ অর্থে ব্যবহৃত। ঘোড়ীকেও حِجْرٌ বলা হয়। আর বুদ্ধি বিবেকের অর্থে حِجْرٌ وَحِجًى বলা হয়। তবে حَجْرُ الْيَمَامَةِ একটি স্থানের নাম।
  • ২০১৭. মহান আল্লাহর বাণীঃ যখন ইয়াকুব এর নিকট মৃত্যু এসেছিল, তখন কি তোমরা উপস্থিত ছিলে? (২ঃ ১৩৩)
  • ২০১৮. মহান আল্লাহর বাণীঃ নিশ্চয়ই ইউসুফ এবং তাঁর ভাইদের কাহিনীতে জিজ্ঞাসাকারীদের জন্য অনেক নিদর্শন রয়েছে (১২ঃ ৭)
  • ২০১৯. আল্লাহর বাণীঃ (আর স্মরণ কর) আইয়ুবের কথা। যখন তিনি তাঁর রবকে ডাকলেন … (২১ঃ ৮৩) ارْكُضْ অর্থ আঘাত কর। يَرْكُضُونَ অর্থ দ্রুত বলে।
  • ২০২০. (আল্লাহ তা’আলার বাণী): আর স্মরণ কর কিতাবে মূসার কথা। নিশ্চয়ই তিনি ছিলেন, বিশেষ মনোনীত অন্তরঙ্গ আলাপে (১৯ঃ ৫১-৫২) এই تلقف تلقم একবচন দ্বিবচন ও বহুবচনের ক্ষেত্রেও نَجِيٌّ বলা হয়। خَلَصُوا نَجِيًّا অর্থ অন্তরঙ্গ আলাপে নির্জনতা অবলম্বন করা। এর বহুবচন أَنْجِيَةٌ ব্যবহৃত হয়। يَتَنَاجَوْنَ পরস্পর অন্তরঙ্গ আলাপ করে। تلقف অর্থ গ্রাস করে।
  • ২০২১. মহান আল্লাহর বাণীঃ আপনা নিকট কি মূসার বৃত্তান্ত পৌঁছেছে? তিনি যখন আগুন দেখলেন...... তুমি তুয়া নামক এক পবিত্র ময়দানে রয়েছ। (২০ঃ ৯-১৩) انست نارا অর্থ আমি আগুন দেখেছি। সম্ভবত আমি তোমাদের জন্য তা থেকে কিছু জলন্ত আঙ্গার আনতে পারব ... (২০ঃ১০) ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, الْمُقَدَّسُ অর্থ বরকতময়। طُوًى একটি উপত্যকার নাম। سِيرَتَهَا অর্থ তাঁর অবস্থায়। النُّهَى অর্থ সাবধানতা অবলম্বন। بِمَلْكِنَا অর্থ আমদের ইচ্ছামত هَوَى অর্থ ভাগ্যাহত হয়েছে। فَارِغًا অর্থ মুসার স্মরণ ব্যতীত সব কিছু থেকে শুনা হয়ে গেল। رِدْءًا يُصَدِّقَنِي সাহায্যকারী রূপে যেন সে আমাকে সমরথন করে। এর অর্থ আরো বলা হয় আর্তনাদে সাড়াদানকারী বা সাহায্যকারী। يَبْطُشُ وَيَبْطِشُ একই অর্থ উভয় কিরাত। يَأْتَمِرُونَ অর্থ পরস্পর পরামর্শ করা। دراً অর্থ সাহায্য করা। বলা হয় ارداته على صنعته অর্থাৎ আমি তার কাজে সাহায্য করেছি। جذوة কাঠের বড় টুকরার আঙ্গার যাতে কোন শিখা। سَنَشُدُّ অর্থ অচিরেই আমি তোমার সাহায্য করব। বলা হয়, যখন তুমি কারো সাহায্য করবে তখন তুমি যেন তার পার্শ্বদেশ হয়ে গেলে। এবং অন্যান্যগণ বলেন যে কোন অক্ষর উচ্চারন করতে পারে না অথবা তার মুখ থেকে তা তা ফা ফা উচ্চারিত হয় তাকেই তোতলামী বলে। أَزْرِي অর্থ আমার পিঠ। فَيُسْحِتَكُمْ অর্থ সে আমাদের ধ্বংস করে দিবে। الْمُثْلَى শব্দটি أَمْثَلِ শব্দের স্ত্রী লিঙ্গ। আয়াতে উল্লেখিত بطر يقتكم অর্থ তোমাদের দীন। বলা হয় خُذِ الْمُثْلَى، خُذِ الأَمْثَلَ অর্থ উত্তমটি গ্রহন কর। ثُمَّ ائْتُوا صَفًّا অর্থ তোমরা সারিবদ্ধ হয়ে আস। বলা হয় তুমি কি আজ ছফফে উপস্থিত হয়েছিলে অর্থাৎ যেখানে নামায পড়া হয় সেখানে? فَأَوْجَسَ অর্থ সে অন্তরে ভয় পোষণ করেছে। خِيفَةً মুলে خَوْفًا خاء অক্ষরে যের হওয়ার কারনে واو - ياء তে পরিবর্তিত হয়েছে। فِي جُذُوعِ النَّخْلِ এখানে فِي - عَلَى অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। خَطْبُكَ অর্থ তোমার অবস্থা। مِسَاسَ শব্দটি مَاسَّهُ مِسَاسًا এর মাসদার ; لَنَنْسِفَنَّهُ অর্থ আমি অবশই তাকে উড়িয়ে দিব। -الضَّحَاءُ অর্থ পূর্বাহ্ণ, যখন সূর্যের তাপ বেড়ে যায়। قُصِّيهِ তুমি তার পিছনে পিছনে যাও। কখনো এ অর্থেও ব্যবহৃত হয় যে, তুমি তোমার কথা বলো যেমন نَحْنُ نَقُصُّ عَلَيْكَ এর মধ্যে এ অর্থ ব্যবহৃত হয়েছে। عَنْ جُنُبٍ অর্থ দূর থেকে। جَنَابَةٍ اجْتِنَابٍ একই অর্থে ব্যবহৃত হয়। আর মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, عَلَى قَدَرٍ অর্থ নির্ধারিত সময়ে। لاَ تَنِيَا অর্থ দুর্বল হয়োনা। مكاناً سوى অর্থ তাদের মধ্যবর্তী স্থান। يَبَسًا অর্থ শুকনা। مِنْ زِينَةِ الْقَوْمِ অর্থ যে সব অলংকার তারা ফিরাউনের লোকদের থেকে ধার নিয়েছিল। فَقَذَفْتُهَا অর্থ আমি তা নিক্ষেপ করলাম। أَلْقَى অর্থ বানালো। لنسى موسى অর্থ তারা বলতে লাগলো, মুসা রবের তালাশে ভুল পথে গিয়েছে। أَنْ لاَ يَرْجِعَ إِلَيْهِمْ قَوْلاً অর্থ তাদের কোন কথার প্রতি উত্তর সে দেয় না – এ আয়াতাংশে সামেরীর বাছুর সম্পর্কে নাযিল হয়েছে।
  • ২০২২. মহান আল্লাহর বাণীঃ (হে মুহাম্মাদ) ! আপনার কাছে কি মুসার বৃত্তান্ত পৌঁছেছে? (২০ঃ ৯) আর আল্লাহ মুসার সাথে কথাবার্তা বলেছেন। (সুরা নিসা ১৬৪)। মহান আল্লাহর বাণীঃ ফিরাউন বংশের এক ব্যক্তি যে মুমিন ছিল এবং নিজ ঈমান গোপন রাখত ... সীমালঙ্ঘনকারী ও মিথ্যাবাদী। (৪০ঃ ২৮)
  • ২০২৩. মহান আল্লাহর বাণীঃ আর আমি ওয়াদা করেছিলাম মুসার সাথে ত্রিশ রাতের ... আর আমিই মু’মিনদের মধ্যে সর্বপ্রথম। (৭ঃ ১৪২-৪৩) বলা হয়, دكة অর্থ ভুকম্পন। আয়াতে উল্লেখিত فَدُكَّتَا দ্বিবচন বহুবচন অর্থে ব্যবহৃত। এখানে الْجِبَالَ শব্দটিকে এক ধরে নিয়ে الأَرْضَ সহ দ্বিবচনরূপে دُكَّتَا বলা হয়েছে। যেমন মহান আল্লাহর বাণীঃ كَانَتَا رَتْقًا এর মধ্যে سمَوَاتِ এক ধরে দ্বিবচনে উল্লেখ করা হয়েছে। كُنَّ رَتقا বহুবচন বলা হয়নি। رَتْقًا অর্থ পরস্পর মিলিত। أُشْرِبُوا অর্থাৎ তাদের হৃদয়ে গোবৎস প্রীতি নিশ্চিত করেছিল। বলা হয় ثَوْبٌ مُشَرَّبٌ অর্থ রঞ্জিত কাপড়। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, انْبَجَسَتْ অর্থ প্রবাহিত হয়েছিল। نَتَقْنَا الْجَبَلَ অর্থ আমি পাহাড়কে তাদের উপর উপচিয়ে ছিলাম।
  • ২০২৫. খাযির (আঃ) ও মুসা (আঃ) এর সম্পর্কিত ঘটনা
  • ২০২৬. পরিচ্ছেদ নাই।
  • ২০২৭. মহান আল্লাহর বাণীঃ তারা প্রতিমা পুজায় রত এক জাতির নিকট উপস্থিত হয়। (৭ঃ ১৩৮) مُتَبَّرٌ অর্থ ক্ষতিগ্রস্থ। وَلِيُتَبِّرُوا অর্থ যেন তারা ধ্বংস হয়। مَا عَلَوْا যা অধিকারে এনেছিল।
  • ২০২৯. মুসা (আঃ) এর ওফাত ও পরবর্তী অবস্থার বর্ণনা
  • ২০৩০. মহান আল্লাহর বাণীঃ আর যারা ঈমান এনেছে তাদের জন্য আল্লাহ ফিরআউনের স্ত্রীর দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেন। আর মুলতঃ সে অনুগত লোকদেরই একজন ছিল। (৬৬ঃ ১১-১২)
  • ২০৩২. মহান আল্লাহর বাণীঃ আর নিশ্চয়ই ইউনুস রাসুলগনের অন্তর্গত ছিলেন। ... তখন তিন নিজকে ধিক্কার দিতে লাগলেন। (৩৭ঃ ১৩৯-১৪২) মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, مليم অর্থ অপরাধী المشحرون অরহ বোঝাই নৌযান। (আল্লাহর বাণীঃ) যদি তিনি আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা না করতেন ...। (৩৭ঃ ১৪৩) তারপতকে ইউনুসকে আমি নিক্ষেপ করলাম একত তৃনহীন প্রান্তরে এবং তিনি তখন রুগ্ন ছিলেন। পরে আমি তার উপর এক লাউ গাছ উদ্গত করলাম। (৩৭ঃ ১৪৫- ১৪৬) العراء অর্থ যমিনের উপরিভাগ। يقطين অর্থ কান্ডবিহীন তৃনলতা, যেমন লাউগাছ ও তার সদৃশ। (মহান আল্লাহর বাণীঃ) তাকে আমি এক লাখ বা ততোধিক লোকের প্রতি প্রেরন করেছিলাম এবং তারা ঈমান এনেছিল। ফলে আমি তাদেরকে কিছু কালের জন্য জীবন উপভোগ করতে দিলাম। (৩৭ঃ ১৪৭-৪৮) (মহান আল্লাহর বাণীঃ) আপনি মাছের সাথীর ন্যায় অধৈর্য হবেন না। তিনি বিষদাচ্ছন্ন অবস্থায় কাতর-প্রারথনা করেছিলেন। (৬৮ঃ ৪৮) كظيم অর্থ বিষাদাচ্ছন্ন।
  • ২০৩৪. মহান আল্লাহর বাণীঃ আমি দাউদকে ‘যাবুর’ দিয়েছি। (১৭ঃ ৫৫) الزُّبُرُ কিতাবসমূহ। তার একবচনে زَبُورٌ আর زَبَرْتُ আমি লিখেছি। আর আমি আমার পক্ষ থেকে দাউদকে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছিলাম। হে পর্বত! তার সাথে মিলে আমার তাসবীহ পাঠ কর। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, তার সাথে তাসবীহ পাঠ কর। سَابِغَاتٍ লৌহবর্মসমূহ। আর এ নির্দেশ আমি পাখিকেও দিয়েছিলাম। আমি তার জন্য লোহাকে নরম করে দিয়েছিলাম। তুমু লৌহবর্ম তৈরি করতে সঠিক পরিমাপের প্রতি লক্ষ রেখো। السَّرْدِ পেরেক ও কড়াসমূহ। পেরেক এমন ছোট করে তৈরি করানো যাতে তা ঢিল হয়ে যায়। আর এত বড় করানো। যাতে বর্ম ভেঙ্গে যায়। افرغ অর্থ অবতীর্ণ করা। بسطة বেশীও সমৃদ্ধ। (সুরা সাবাঃ ১০-১১)
  • ২০৩৫. দাউদ (আঃ) এর পদ্ধতিতে সালাত আদায় এবং তার পদ্ধতিতে সাওম পালন আল্লাহর নিকট অধিক পছন্দনীয়। তিনি রাতের প্রথমার্ধে ঘুমাতেন, আর এক ত্তৃতীয়াংশ দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করতেন এবং বাকী ষষ্টাংশ আবার ঘুমাতেন । তিনি একদিন সওম পালন করতেন আর একদিন বিরতি দিতেন। আলী (ইবন মাদীনী) (রহঃ) বলেন, এটাই আয়শা (রাঃ) এর কথা যে, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) সর্বদা সাহরীর সময় আমার কাছে নিদ্রায় থাকতেন।
  • ২০৩৬. মহান আল্লাহর বাণীঃ এবং স্মরণ কর আমার শক্তিশালী বান্দা দাউদ এর কথা, নিশ্চয়ই তিনি অতিশয় আল্লাহ অভিমুখী ছিলেন ... ফায়সালাকারী বাগ্মিতা (৩৮ঃ ১৭-২০)।
  • ২০৩৭. মহান আল্লাহর বাণীঃ এবং দাউদকে সুলায়মান দান করলাম (পুত্র হিসেবে) তিনি ছিলেন উত্তম বান্দা এবং অতিশয় আল্লাহ আভিমুখী (৩৮ঃ ৩০) الأَوَّابٌ অর্থ গোনাহ থেকে ফিরে যে আল্লাহ অভিমুখী হয়। মহানা আল্লাহর বাণীঃ “(সুলায়মান) (আঃ) দু’আ করলেন) হে আল্লাহ ! আমাকে দান করুন এমন রাজ্য যার অধিকারী আমি ছাড়া কেউ না হয়। (৩৮ঃ ৩৫) মহান আল্লাহর বাণীঃ আর ইয়াহুদীরা তারই অনুসরণ করত যা সুলায়মানের রাজত্বকালে শয়তানেরা আবৃত্ত করতো (২ঃ ১০২) মহান আল্লাহর বাণীঃ আমি বায়ুকে সুলায়মানের অধীন করে দিলাম। যা সকালে এক মাসের পথ অতিক্রম করত এবং বিকেলে এক মাসের পথ অতিক্রম করত। আর আমি তার জন্য বিগলিত তামার এক প্রসবন প্রবাহিত করেছিলাম। أَسَلْنَا অর্থ বিগলিত করে দিলাম عَيْنَ الْقِطْرِ অর্থ লোহার প্রসবন – আর কতক জিন তার রবের নির্দেশে তার সামনে কাজ করত। তাদের যে কেউ আমার আদেশ অমান্য করে, তাকে জলন্ত আগুনের শাস্তি আস্বাদন করাব। জ্বিনেরা সুলায়মানের ইচ্ছানুযায়ী তার জন্য প্রাসাদ তৈরি করত। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, مَحَارِيبَ অর্থ বড় বড় দালানের তুলনায় ছোট ইমারত ভাস্কর্য শিল্প প্রস্তুত করতো, আর হাউস সদৃশ বৃহদাকার রান্না করার পাত্র তৈরি করত। যেমন উটের জন্য হাওয থাকে। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, যেমন যমিনে গর্ত থাকে। আর তৈরি করত বিশাল বিশাল ডেকচি যা সুদৃঢ়ভাবে স্থাপিত। হে দাউদের পরিবার আমার কৃতজ্ঞতার সাথে তোমরা কাজ কর। আর আমার বান্দাগণের অল্পই শুকুর গুযারী করে (৩৪ঃ ১২-১৩) إِلاَّ دَابَّةُ الأَرْضِ কেবল মাটির পোকা অর্থাৎ উই পোকা যা তার (সুলায়মানের) লাঠি খেতেছিল। مِنْسَأَتَهُ তার লাঠি। যখন সে (সুলায়মান) পড়ে গেল ... লাঞ্চনাদায়ক শাস্তিতে (৩৪ঃ ১৪) মহান আল্লাহর বাণীঃ সম্পদের মোহে আমার রবের স্মরণ থেকে – আয়াতাংশে عَنْ অর্থ مِن - فَطَفِقَ مَسْحًا অর্থ তিনি (সুলায়মান) ঘোড়াগুলোর গর্দানসমূহ ও তাদের হাঁটুর নলাসমূহ কাটতে লাগলেন। الأَصْفَادُ অর্থ শৃঙ্খলসমূহ। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, الصَّافِنَاتُ অর্থ দৌড়ের জন্য প্রস্তুত ঘোড়াসমূহ। এ অর্থ صَفَنَ الْفَرَسُ থেকে গৃহীত। ঘোড়া যখন দৌড়ের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে এক পা উঠিয়ে অন্য পায়ের খুরার উপর দাঁড়িয়ে যায়, তখন এ বাক্য বলা হয়। الْجِيَادُ অর্থ দ্রুতগামী, جَسَدًا শয়তান, رُخَاءً উত্তম, حَيْثُ أَصَابَ যেখানে ইচ্ছা فَامْنُنْ দান করা بِغَيْرِ حِسَابٍ দ্বিধাহীনভাবে (৩৮ঃ ৩১-৩৮)
  • ২০৩৮. মহান আল্লাহর বাণীঃ নিশ্চয়ই আমি লুকমানকে হিকমত দান করেছি। আর আমি তাকে বলেছি। শিরক এক মহা যুলন। (৩১ঃ ১২-১৩) (মহান আল্লাহর বাণীঃ) হে আমার প্রিয় ছেলে? উহা (পাপ) যদি সরিষার দানা পরিমান ছোটও হয় ... দাম্ভিককে (৩১ঃ ১৬-১৮)। চেহারা ফিরায়ে অবজ্ঞা করো না।
  • ২০৪০. আল্লাহর বাণীঃ এ বর্ণনা হল তার বিশেষ বান্দা যাকারিয়ার প্রতি তোমার রবের রহমত দানের। পূর্বে আমি এ নামে কারো নামকরন করিনি (১৯ঃ ২-৭) ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, سَمِيًّا অর্থ সমতুল্য। যেমন বলা হয়, رَضِيًّا অর্থ مَرْضِيًّا পছন্দনীয়। عُتِيًّا অর্থ عَصِيًّا অর্থাৎ অবাধ্য عات يَعْتُو থেকে গৃহীত। যাকারিয়া বললেন, হে আমার প্রতিপালক কেমন করে আমার ছেলে হবে? আমার স্ত্রী তো বন্ধা! আর আমিও তো বার্ধক্যের শেষ সীমায় পৌঁছেছি। তিনি বললেন, তোমার নিদর্শন হল, তুমি সুস্থ অবস্থায় তিন দিন কারো সাথে বাক্যালাপ করবে না। তারপর তিনি মিহরাব থেকে বের হয়ে তার কওমের কাছে আসলেন, আর তাদের ইশারা করে সকাল-সন্ধায় আল্লাহর তাসবীহ পড়তে বললেন। فَأَوْحَى অর্থ তারপর তিনি ইশারা করে বললেন। (আল্লাহ বললেন) হে ইয়াহইয়া ! এ কিতাব দৃঢ়তার সহিত গ্রহন কর। যে দিন তিনি জীবিত অবস্থায় পুনরুত্থিত হবেন (১৯ঃ ২-১৫) حَفِيًّا - لَطِيفًا অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। অর্থাৎ অতিশয় অনুগ্রহশীল। عَاقِرً (বন্ধ্যা) শব্দটি পুং ও স্ত্রী উভয় লিঙ্গেই ব্যবহার হয়।
  • ২০৪১. মহান আল্লাহর বাণীঃ আর স্মরণ কর, কিতাবে মারিয়ামের ঘটনা। যখন তিনি আপন পরিজন থেকে পৃথক হলেন ... (সুরা মারইয়ামঃ ১৬) মহান আল্লাহর বাণীঃ আর স্মরণ করুন! যখন ফিরিশতাগণ মারিয়ামকে বললেন, হে মারিয়াম! আল্লাহ তোমাকে তার পক্ষ থেকে দেওয়া কালিমার দ্বারা সন্তানের সুখবর দিচ্ছেন। (সুরা আলে ইমরান ৩ঃ ৪৫) মহান আল্লাহর বাণীঃ আল্লাহ আদম (আঃ), নূহ (আঃ) ও ইব্রাহীম (আঃ) এর বংশধর এবং ইমরানের বংশধরদের বিশ্বজগতে মনোনীত করেছেন ... বে-হেসাব দিয়ে থাকেন। (৩ঃ ৩৩-৩৭) ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, আলে ইমরান অর্থাৎ মুমিনগণ। যেমন, আলে ইব্রাহীম, আলে ইয়াসিন, এবং আলে মুহাম্মাদ (সাঃ)। আল্লাহ তা’আলা বলেন, সমগ্র মানুষের মধ্যে ইব্রাহীমের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ হলো তারা, যারা তার অনুসরণ করে। আর তারা হলেন মুমিনগণ। آلَ এর মুল أَهْلُ আর أَهْلُ কে ক্ষুদ্রকরণ করা হলে তা أُهَيْلٌ এ পরিনত হয়।
  • ২০৪২. মহান আল্লাহর বাণীঃ আর স্মরণ কর, যখন ফিরিশতা বলল, হে মারিয়াম! নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাকে মনোনীত করেছেন। মারিয়ামের লালন-পালনের দায়িত্ব তাদের মধ্যে কে গ্রহন করবে। (৩ঃ ৪২-৪৪) বলা হয় يَكْفُلُ অর্থ يَضُمُّ অর্থাৎ নিজ তত্বাবধানে নেওয়া। كَفَلَهَا অর্থ নিজ তত্বাবধানে নিল। লালন পালনের দায়িত্ব গ্রহন করা, ঋন-করযের দায়িত্ব গ্রহনও এ ধরনের কিছু নয়।
  • ২০৪৩. মহান আল্লাহর বাণীঃ আর স্মরণ কর, যখন ফিরিশতাগণ বলল, হে মারিয়াম! আল্লাহ তোমাকে তার পক্ষ থেকে একটি কালিমা দ্বারা (সন্তানের) সুসংবাদ দান করেছেন। যা নাম হবে মাসীহ ঈসা ইবন মারিয়াম ... হএ অমনি তা হয়ে যায়। (৩ঃ ৪৫) يُبَشِّرُكِ আর يَبْشُرُكِ উভয়ের একই অর্থ। وَجِيهًا অর্থ সম্মানিত আর ইব্রাহীম (রহঃ) বলেন, মাসীহ শব্দের অর্থ সিদ্দীক। মুজাহিদ (রহঃ) বলেছেন الْكَهْلُ অর্থ الْحَلِيمُ অর্থ সহনশীল আর الأَكْمَهُ অর্থ হল, রাতকানা যে দিনে দেখে আর রাতে দেখতে পায় না। অন্যেরা বলেন, যে অন্ধ হয়ে জন্মলাভ করেছে (সে হল الأَكْمَهُ)
  • ২০৪৪. মহান আল্লাহর বাণীঃ “হে আহলে কিতাব তোমরা তোমাদের মধ্যে বাড়াবাড়ি করো না ...... অভিভাবক হিসাবে। (৪ঃ ১৭১) আবু উবায়দা (রহঃ) বলেন, আল্লাহর كَلِمَهُ হচ্ছে “হও” অমনি তা হয়ে যায়। আর অন্যরা বলেন, رُوحٌ مِنْهُ অর্থ তাকে হায়াত দান করলেন তাই তাকে رُوحٌ নাম দিলেন। لاَ تَقُولُوا ثَلاَثَةٌ তোমরা (আল্লাহ, ঈসা ও তার মাতাকে) তিন ইলাহ বলো না।
  • ২০৪৫. মহান আল্লাহর বাণীঃ স্মরণ কর এ কিতাবে মারিয়ামের কথা। যখকন সে তার পরিজন থেকে পৃথক হল। (১৯ঃ ১৬) شَرْقِيًّا শব্দটি شرْقَ শব্দ থেকে, যার অর্থ পূর্বদিকে। فَأَجَاءَهَا শব্দটি جِئْتُ হতে فعل এর রূপে হয়েছে। -أَجَأَهَا এর স্থলে أَلْجَأَهَا ও বলা হয়েছে যার অর্থ হবে তাকে অস্থির করে তুললো। تَسَّاقَطْ শব্দটি تَسْقُطْ এর অর্থ দিবে। قَصِيًّا শব্দটি قَاصِيًا এর অর্থে ব্যবহৃত। فَرِيًّا অর্থ বিরাট। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেছেন نِسْيًا অর্থ আমি যেনি কিছুই না থাকি। অন্যেরা বলেছেন, النِّسْيُ অর্থ তুচ্ছ, ঘৃণিত। আবু ওয়ায়েল (রহঃ) বলেছেন, মারিয়ামের উক্তি إِنْ كُنْتَ تَقِيًّا এর অর্থ যদি তুমি জ্ঞানবান হও। ওকী (রহঃ) ... বলেন, বারআ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, سَرِيًّا শব্দটির অর্থ সুরইয়ানী ভাষায় ছোট নদী।
  • ২০৪৬. ঈসা ইবন মারিয়াম (আঃ) এর অবতরণের বর্ণনা
  • ২০৪৭. বনী ইসরাইলের ঘটনাবলীর বিবরণ
  • একজন শ্বেতীরোগী ও অন্ধের বিবরণ সম্বলিত হাদীস
  • ২০৪৯. গুহার ঘটনা
  • ২০৫০. পরিচ্ছেদ নাই
  • ২০৫১. মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য, আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ কে মানুষ! আমি তোমাদিগকে সৃষ্টি করেছি এক পুরুষ ও এক নারী থেকে। এরপর তোমাদিগকে বিভিন্ন জাতিতে বিভক্ত করেছি। (৪৯ঃ ৩) আল্লাহর বাণীঃ আল্লাহকে ভয় কর যার নামে তোমরা একে অপরের নিকট যাঞ্চা করে থাক এবং সতর্ক থাক জ্ঞাতি বন্ধন সম্পর্কে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের উপর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখেন। (৪ঃ১) এবং জাহেলী যুগের কথাবার্তা নিষিদ্ধ হওয়া সম্পর্কে। الشُّعُوبُ পূর্বতন বড় বংশ এবং الْقَبَائِلُ এর চেয়ে ছোট বংশ।
  • ২০৫২. পরিচ্ছেদ নাই
  • ২০৫৩. কুরাইশ গোত্রের মর্যাদা
  • ২০৫৪. কুরআনে কারীম কুরাইশদের ভাষায় অবতীর্ণ হয়েছে
  • ২০৫৫. ইয়ামানবাসীর সম্পর্কে ইসমাইল (আঃ) এর সঙ্গে; তন্মধ্যে আসলাম ইবন আফসা হারিসা ইবন আমর ইবন আমির ও খুযা'আ গোত্রের অন্তর্ভুক্ত
  • ২০৫৬. পরিচ্ছেদ নাই