পরিচ্ছেদঃ কেউ কারো কোন অনুগ্রহ করলে, তার জন্য ওয়াজিব হলো তার শুকরিয়া আদায় করা
৩৪০৫. উমার বিন খাত্তাব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, তিনি একবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে গমন করেন, অতঃপর বলেন, “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামে, আমি ওমুক ব্যক্তিকে দেখলাম, সে শুকরিয়া আদায় করছে এবং বলছে যে, আপনি তাকে দুই দীনার প্রদান করেছেন।” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “কিন্তু আমি তো ওমুক ব্যক্তিকে ১০ থেকে ১০০ দিরহাম প্রদান করেছি, কিন্তু সে তার কোন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেনি এবং এই কথা বলেওনি। নিশ্চয়ই তোমাদের মাঝে কোন কোন ব্যক্তি আমার কাছ থেকে তার প্রয়োজনীয় বগলে করে নিয়ে যায়, অথচ সেটা জাহান্নামের আগুন ছাড়া কিছুই নয়।” রাবী বলেন, “আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, তবে কেন আপনি তাদেরকে প্রদান করেন?” জবাবে তিনি বলেন, “তারা আমার কাছে চাইতেই থাকে, অপরদিকে আল্লাহ আমার জন্য কৃপণতা বারণ করে দিয়েছেন।”[1]
ذِكْرُ الْإِخْبَارِ عَمَّا يَجِبُ عَلَى الْمَرْءِ مِنَ الشُّكْرِ لِمَنْ أَسْدَى إِلَيْهِ نِعْمَةً
3405 - أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ سُفْيَانَ قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ طَرِيفٍ الْبَجَلِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ عَنِ الْأَعْمَشِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ: عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ: أَنَّهُ دَخَلَ عَلَي النَّبِيّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ رَأَيْتُ فُلَانًا يَشْكُرُ ذَكَرَ أَنَّكَ أَعْطَيْتَهُ دِينَارَيْنِ فَقَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (لَكِنَّ فُلَانًا قَدْ أَعْطَيْتُهُ مَا بَيْنَ الْعَشَرَةِ إِلَى الْمِئَةِ فَمَا يَشْكُرُهُ وَلَا يَقُولُهُ إِنَّ أَحَدَكُمْ لَيَخْرُجُ مِنْ عِنْدِي بحاجته متأبِّطَها وَمَا هِيَ إِلَّا النَّارُ) قَالَ: قُلْتُ يارسول اللَّهِ لِمَ تُعْطِهِمْ؟ قَالَ: (يَأْبَوْنَ إِلَّا أَنْ يسألوني ويأبى الله لي البخل)
الراوي : عُمَر بْن الْخَطَّابِ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 3405 | خلاصة حكم المحدث: صحيح - ((التعليق الرغيب)) (2/ 8 و 15).
হাদীসটিকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ শক্তিশালী বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আত তা‘লীকুর রাগীব: ২/৮, ১৫)