পরিচ্ছেদঃ আমরা যা উল্লেখ করলাম, তার বিশুদ্ধতা প্রমাণে দ্বিতীয় হাদীস
২৬৫৪. আবূ সা‘ঈদ খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যখন তোমাদের কেউ তার সালাতে সন্দেহ পোষন করবে, তখন সে সন্দেহকে দূরীভূত করে এবং নিশ্চিতের উপর সালাতকে প্রতিষ্ঠিত করে। যদি সে সালাত পরিপূর্ণ হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হয়, তবে সে দুটো সাহু সাজদা করবে। যদি আদতে সালাত পরিপূর্ণ হয়ে থাকে, তবে অতিরিক্ত রাকা‘আতটি নফল আর সাজদা দুটিও নফল হিসেবে গণ্য হবে আর যদি কম হয়ে থাকে, তবে ঐ রাকা‘আতটি তার সালাতের পূর্ণতা দানকারী আর সাজদা দুটি শয়তানের নাককে ধুলিমলিন (অবমাননা) করবে।”[1]
আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “যে ব্যক্তি হাদীস শাস্ত্রে অনভিজ্ঞ ও সহীহ হাদীসের বিষয়ে ব্যুৎপত্তি অর্জন করে নাই, সে ব্যক্তি কোন কোন সময় এই সংশয়ে নিপতিত হয় যে, সঠিকতা জানতে সচেষ্ট হওয়া আর নিশ্চিতের উপর সালাতকে দাঁড় করানো একই জিনিস। অথচ বিষয়টি এমন নয়। কেননা সঠিকতা জানতে সচেষ্ট হওয়া হলো কোন ব্যক্তি সালাতে সন্দিহান হবে, ফলে সে জানে না যে, সে কী সালাত আদায় করেছে। যখন সে এরকম হবে, তখন তার জন্য জরুরী হলো সঠিকতা জানার জন্য সচেষ্ট হবেন তার নিকট যা প্রাবল্যমান, তার উপর সালাতকে পূর্ণতা দিবেন এবং সালামের পর দুটি সাহু সাজদা দিবেন, যা আব্দুল্লাহ বিন মাস‘ঊদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর হাদীসে বর্ণিত হয়েছে।
আর নিশ্চিতের উপর সালাতকে প্রতিষ্ঠিত করার অর্থ হলো কোন ব্যক্তি সন্দেহ পোষন করবে যে, সে দুই, তিন অথবা তিন, চার সংখ্যার ব্যাপারে সন্দেহ পোষন করবে, যখন এমন হবে, তখন তার জন্য আবশ্যক হলো নিশ্চিতের উপর সালাতকে প্রতিষ্ঠিত করা। নিশ্চিত হলো দুটি সংখ্যার মধ্যে যা নূন্যতম সংখ্যা, তার উপর সালাতকে পূর্ণ করবে তারপর সালাম ফেরানোর আগে দুটি সাহু সাজদা করবে, যা আব্দুর রহমান বিন আওফ ও আবূ সা‘ঈদ খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমার হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। কাজেই এখানে সুন্নাত রয়েছে, যা পরস্পর বিপরীত নয়।”
ذِكْرُ خَبَرٍ ثَانٍ يُصَرِّحُ بِصِحَّةِ مَا ذَكَرْنَاهُ
2654 - أَخْبَرَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ مُصْعَبٍ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ الْأَشَجُّ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الْأَحْمَرُ عَنِ ابْنِ عَجْلَانَ عَنْ زَيْدِ بْنُ أَسْلَمَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
(إِذَا شَكَّ أَحَدُكُمْ فِي صَلَاتِهِ فليُلْقِ الشَّكَّ وَلْيَبْنِ عَلَى الْيَقِينِ فَإِنِ اسْتَيْقَنَ التَّمَامَ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ فَإِنْ كَانَتْ صَلَاتُهُ تَامَّةً كَانَتِ الرَّكْعَةُ نَافِلَةً وَالسَّجْدَتَانِ نَافِلَةً وَإِنْ كَانَتْ نَاقِصَةً كَانَتِ الرَّكْعَةُ تَمَامًا لِصَلَاتِهِ والسجدتان ترغمان أنف الشيطان)
الراوي : أَبُو سَعِيدٍ الْخُدْرِيّ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 2654 | خلاصة حكم المحدث: حسن صحيح ـ ((صحيح أبي داود)) (939).
قَالَ أَبُو حَاتِمٍ ـ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ـ: قَدْ يَتَوَهَّمُ مَنْ لَمْ يُحْكِمْ صِنَاعَةَ الْأَخْبَارِ وَلَا تَفَقَّهَ مِنْ صَحِيحِ الْآثَارِ أَنَّ التَّحَرِّيَ فِي الصَّلَاةِ وَالْبِنَاءَ عَلَى الْيَقِينِ وَاحِدٌ وَلَيْسَ كَذَلِكَ لِأَنَّ التَّحَرِّيَ هُوَ أَنْ يَشُكَّ الْمَرْءُ فِي صَلَاتِهِ فَلَا يَدْرِي مَا صَلَّى فَإِذَا كَانَ كَذَلِكَ عَلَيْهِ أَنْ يَتَحَرَّى الصَّوَابَ وَلْيَبْنِ عَلَى الْأَغْلَبِ عِنْدَهُ وَيَسْجُدْ سَجْدَتَيِ السَّهْوِ بَعْدَ السَّلَامِ عَلَى خَبَرِ ابْنِ مَسْعُودٍ
وَالْبِنَاءُ عَلَى الْيَقِينِ: هُوَ أَنْ يَشُكَّ الْمَرْءُ فِي الثِّنْتَيْنِ وَالثَّلَاثِ أوالثلاث وَالْأَرْبَعِ فَإِذَا كَانَ كَذَلِكَ عَلَيْهِ أَنْ يَبْنِيَ عَلَى الْيَقِينِ وَهُوَ الْأَقَلُّ وَلْيُتِمَّ صَلَاتَهُ ثُمَّ يَسْجُدْ سَجْدَتَيِ السَّهْوِ قَبْلَ السَّلَامِ عَلَى خَبَرِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ وَأَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ:
سُنَّتَانِ غَيْرُ مُتَضَادَّتَيْنِ.
হাদীসটিকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে হাসান-সহীহ বলেছেন। (সহীহ আবূ দাঊদ: ৯৩৯)