পরিচ্ছেদঃ তাহাজ্জুদ সালাত আদায়কারীর জন্য বৈধ রয়েছে যে, তিনি তার নির্ধারিত নফল ইবাদত শেষ করার পর সুবহে সাদিক উদিত হওয়ার আগে কাত হয়ে শয়ন করবেন
২৬২৭. আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমি একবার আমার খালা মাইমূনা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহার বাড়িতে রাত্রি যাপন করি। এই রাতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উঠে তাঁর হাজত পূরণ করেন। তারপর তিনি তার চেহারা ও হাত ধৌত করেন তারপর তিনি ঘুমিয়ে যান। তারপর তিনি আবার ঘুম থেকে উঠে মশকের কাছে আসেন এবং তার মুখ খুলেন অতঃপর তিনি মাঝারি রকমের ওযূ করেন; অতিরিক্ত করেননি তবে পরিপূর্ণভাবে ওযূ করেন। তারপর তিনি দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করেন। অতঃপর আমিও উঠি এবং আড়মোড় ভাঙ্গি এই শংকায় যে, তিনি আমাকে দেখে ফেলবেন যে, আমি তাঁকে পর্যবেক্ষন করছি। আমি উঠে গিয়ে ওযূ করি।
তিনি সালাত আদায় করার জন্য দাঁড়ান অতঃপর আমি তাঁর বাম পাশে দাঁড়াই। তখন তিনি আমার কান ধরে ঘুরিয়ে তাঁর ডান পাশে নেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সালাত ১৩ রাকা‘আত পূর্ণ হয়। তারপর তিনি শুয়ে ঘুমিয়ে যান এবং নাক ডাকেন। তিনি যখন ঘুমাতেন, নাক ডাকতেন। তারপর বিলাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এসে তাঁকে সালাতের কথা জানান। তখন তিনি উঠে যান এবং সালাত আদায় করেন। কিন্তু নতুন করে ওযূ করেননি। তিনি দু‘আ করতেন: اللَّهُمَّ اجْعَلْ فِي قَلْبِي نُورًا وَفِي بَصَرِي نُورًا وَفِي سَمْعِي نُورًا وَعَنْ يَمِينِي نُورًا وَعَنْ يَسَارِي نُورًا وَفَوْقِي نُورًا وَتَحْتِي نُورًا وَأَمَامِي نُورًا وَخَلْفِي نُورًا وَأَعْظِمْ لِي نُورًا (হে আল্লাহ, আপনি আমার অন্তর নূর দিন, আমার দৃষ্টিতে নূর দিন, আমার শ্রবণশক্তিতে নূর দিন, আমার ডানে নূর দিন, আমার বামে নূর দিন, আমার উপরে নূর দিন, আমার নিচে নূর দিন, আমার সামনে নূর দিন, আমার পিছনে নূর দিন, আমাকে মহান নূর দিন)।
কুরাইব রহিমাহুল্লাহ বলেন, “অতঃপর আমি আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর কোন এক সন্তানের সাথে সাক্ষাত করি। তিনি আমাকে অনুরুপ হাদীস বর্ণনা করেন এবং তিনি আরো উল্লেখ করেন, عَصَبِي ولحمي ودمي وشعري وبشري (আমার স্নায়ু, গোসত, রক্ত, চুল ও চামড়ায় নূর দিন), এবং তিনি আরো দুটি বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করেছেন।”[1]
ذِكْرُ إِبَاحَةِ الِاضْطِجَاعِ لِلْمُتَهَجِّدِ بَعْدَ فَرَاغِهِ مِنْ وِرْدِهِ قَبْلَ طُلُوعِ الْفَجْرِ
2627 - أَخْبَرَنَا أَبُو يَعْلَى قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ قَالَ: حدثنا سفيان عن سلمة بن كهيل عن كُرَيْبٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: بِتُّ عِنْدَ خَالَتِي مَيْمُونَةَ فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ اللَّيْلِ فَقَضَى حَاجَتَهُ ثُمَّ غَسَلَ وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ ثُمَّ نَامَ ثُمَّ قَامَ فَأَتَى الْقِرْبَةَ فَأَطْلَقَ شِنَاقَهَا ثُمَّ تَوَضَّأَ وُضُوءًا بَيْنَ الْوُضُوئَيْنِ لَمْ يُكْثِرْ وَقَدْ أَبْلَغَ ثُمَّ قَامَ فَصَلَّى فَقُمْتُ فَتَمَطَّيْتُ كَرَاهِيَةَ أَنْ يَرَى أَنِّي كُنْتُ أَرْقُبُهُ فَقُمْتُ فَتَوَضَّأْتُ فَقَامَ يُصَلِّي فَقُمْتُ عَنْ يَسَارِهِ فَأَخَذَ بِأُذُنِي فَأَدَارَنِي عَنْ يَمِينِهِ فَتَتَامَّتْ صَلَاةُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثَ عَشْرَةَ رَكْعَةً ثُمَّ اضْطَجَعَ فَنَامَ حَتَّى نَفَخَ وَكَانَ إِذَا نَامَ نَفَخَ فَإِذَا بِلَالٌ فَآذَنَهُ بِالصَّلَاةِ فَقَامَ فَصَلَّى وَلَمْ يَتَوَضَّأْ وَكَانَ فِي دُعَائِهِ: (اللَّهُمَّ اجْعَلْ فِي قَلْبِي نُورًا وَفِي بَصَرِي نُورًا وَفِي سَمْعِي نُورًا وَعَنْ يَمِينِي نُورًا وَعَنْ يَسَارِي نُورًا وَفَوْقِي نُورًا وَتَحْتِي نُورًا وَأَمَامِي نُورًا وَخَلْفِي نُورًا وَأَعْظِمْ لِي نُورًا)
قَالَ كُرَيْبٌ: فَلَقِيتُ بَعْضَ وَلَدِ الْعَبَّاسِ فَحَدَّثَنِي بِهِنَّ وَذَكَرَ: ((عَصَبِي ولحمي ودمي وشعري وبشري)) وذكر خصلتين.
الراوي : ابْن عَبَّاسٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 2627 | خلاصة حكم المحدث: صحيح ـ ((صحيح أبي داود)) (1226): ق.
হাদীসটিকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ বুখারী ও মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (সহীহ আবূ দাঊদ: ১২২৬)