পরিচ্ছেদঃ আমরা যে অর্থের দিকে ইশারা করলাম তা স্পষ্টকারী হাদীস
২২৪১. আব্দুল্লাহ বিন মাস‘ঊদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমরা (ইসলামের প্রথম দিকে) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সালাম দিতাম, অতঃপর তিনি আমাদের সালামের জবাব দিতেন। -অর্থাৎ সালাতের মধ্যেই- তারপর যখন আমরা নাজাসীর কাছ থেকে ফিরে আসি, তখন আমি তাঁর কাছে যাই এসময় তিনি সালাত আদায় করছিলেন, অতঃপর আমি তাঁকে সালাম দেই, কিন্তু তিনি সালামের জবাব দেননি। এতে প্রচন্ড অস্থিরতা ও দুশ্চিন্তা আমাকে পেয়ে বসে, অতঃপর আমি বসে তাঁর জন্য অপেক্ষা করি। সালাত শেষ হলে আমি তাঁকে বলি, “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আপনি সালাতরত ছিলেন, আমি আপনাকে সালাম দেই কিন্তু আপনি আমার সালাম দেননি।(অন্য বর্ণনায় আছে, “আপনি তো আগে আমাদের সালামের জবাব দিতেন!)” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ যা ইচ্ছা করেন, নতুন বিধান প্রদান করেন। আর তিনি এই বিষয়ে নতুন ফায়সালা দিয়েছেন। সেটা হলো: “আমরা সালাতে কথা বলবো না।”[1]
ذِكْرُ الْخَبَرِ الْمُصَرِّحِ بِمَعْنَى مَا أَشَرْنَا إِلَيْهِ
2241 - أَخْبَرَنَا أَبُو خَلِيفَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ بَشَّارٍ الرَّمَادِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ قَالَ: حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ أَبِي النَّجُودِ عَنْ أَبِي وَائِلٍ , عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: كُنَّا نُسَلِّمُ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ فِي الصَّلَاةِ فَيَرُدُّ عَلَيْنَا قَبْلَ أَنْ نَأْتِيَ أَرْضَ الْحَبَشَةِ فَلَمَّا رَجَعْنَا مِنْ عِنْدِ النَّجَاشِيِّ أتيتُهُ وَهُوَ يُصَلِّي فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيَّ السَّلَامَ فَأَخَذَنِي مَا قَرُبَ وَمَا بَعُدَ فَجَلَسْتُ أَنْتَظِرُهُ فَلَمَّا قَضَى الصَّلَاةَ قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ سَلَّمْتُ عَلَيْكَ وَأَنْتَ تُصَلِّي فَلَمْ تَرُدَّ علي السلام [وفي رواية: إنَّك كنت ترد علينا] ؟! فَقَالَ: (إِنَّ اللَّهَ يُحْدِثُ مِنْ أَمْرِهِ مَا يَشَاءُ وَقَدْ أَحْدَثَ أَنْ لَا نَتَكَلَّمَ فِي الصلاة)
الراوي : عَبْد اللَّهِ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 2241 | خلاصة حكم المحدث: صحيح - ((الصحيحة)) (2870) , ((صحيح أبي داود)) (857).
আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে হাসান বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (সহীহ আবূ দাঊদ: ৮৫৭)