পরিচ্ছেদঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বক্তব্য “তোমরা আযান দিবে এবং ইকামত দিবে” এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো তোমাদের একজন আযান ও ইকামত দিবে; দুইজনেই আযান, ইকামত দিবে এটা উদ্দেশ্য নয়
২১২৮. মালিক বিন হুরাইরিস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমরা (আমাদের এলাকা থেকে) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে আসি, আমরা ছিলাম কাছাকাছি বয়সের যুবক। অতঃপর আমরা তাঁর কাছে কুড়ি দিন অবস্থান করি। অতঃপর তিনি মনে করলেন যে, আমরা হয়তো আমাদের পরিবারে প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছি। ফলে তিনি আমাদের জিজ্ঞেস করলেন যে, আমরা বাড়িতে কাদের রেখে এসেছি। আমরা তাকে আমাদের বৃত্তান্ত জানাই। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অত্যন্ত দয়ালূ, বন্ধুসুলভ মানুষ ছিলেন। তিনি বললেন, “তোমরা তোমাদের পরিবারের কাছে ফিরে যাও, গিয়ে তাদেরকে দ্বীন শিক্ষা দিবে, তাদের বিভিন্ন আমলের নির্দেশ দিবে এবং ঠিক সেভাবে সালাত আদায় করবে যেভাবে আমাকে সালাত আদায় করতে দেখেছো। আর যখন সালাতের হবে, তখন তোমাদের কেউ যেন আযান দেয় আর তোমাদের মাঝে বয়সে প্রবীণ ব্যক্তি যেন সালাত আদায় করান (ইমামতি করেন)।”[1]
আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বক্তব্য “তোমরা সেভাবে সালাত আদায় করবে যেভাবে আমাকে সালাত আদায় করতে দেখেছো” এটি একটি নির্দেশসূচক শব্দ, যা সালাতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক আচরিত সব কিছুকে বুঝায়। সুতরাং সালাতে আচরিত জিনিসগুলোর মাঝে যদি ইজমা‘ অথবা হাদীস কোন আমলকে নফল হওয়ার উপর প্রমাণ করে, তাহলে সেটা তরক করাতে কোন দোষ নেই, আর যেটাকে ইজমা‘ অথবা হাদীস নফল হওয়ার উপর প্রমাণ না করে, তাহলে সেটা সকল মুখাতাবের (যাদের উপর শরীয়তের আদেশ-নিষেধ বর্তায়, এমন ব্যক্তি) উপর ফরয, তা কোন অবস্থাতেই পরিত্যাগ করা যাবে না।”
ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ قَوْلَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ((فَأَذِّنَا وَأَقِيمَا)) أَرَادَ بِهِ أَحَدَهُمَا
2128 - أَخْبَرَنَا أَبُو خَلِيفَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا مُسَدَّدُ بْنُ مُسَرْهَدٍ عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ أَبِي قِلَابَةَ عَنْ مَالِكِ بْنِ الْحُوَيْرِثِ قَالَ: أَتَيْنَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَنَحْنُ شَبَبَةٌ مُتَقَارِبُونَ فَأَقَمْنَا عِنْدَهُ عِشْرِينَ لَيْلَةً فَظَنَّ أَنَّا قَدِ اشْتَقْنَا إِلَى أَهْلِينَا سَأَلَنَا عَمَّنْ تَرَكْنَا فِي أَهْلِنَا فَأَخْبَرْنَاهُ ـ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَحِيمًا رَفِيقًا ـ فَقَالَ:
(ارْجِعُوا إِلَى أَهْلِيكُمْ فَعَلِّمُوهُم وَمُرُوهُم وَصَلُّوا كَمَا رَأَيْتُمُونِي أُصَلِّي فَإِذَا حَضَرَتِ الصَّلَاةُ فَلْيُؤَذِّنْ أحدكم وَلْيَؤُمَّكُمْ أكْبَرُكُمْ)
الراوي : مَالِك بْن الْحُوَيْرِثِ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 2128 | خلاصة حكم المحدث: صحيح ـ ((الإرواء)) (213).
قَالَ أَبُو حَاتِمٍ ـ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ـ قَوْلُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (صَلُّوا كَمَا رَأَيْتُمُونِي أُصَلِّي) لَفْظَةُ أَمْرٍ تَشْتَمِلُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ كَانَ يَسْتَعْمِلُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي صَلَاتِهِ فَمَا كَانَ مِنْ تِلْكَ الْأَشْيَاءِ خَصَّهُ الْإِجْمَاعُ أَوِ الْخَبَرُ بِالنَّقْلِ فَهُوَ لَا حَرَجَ عَلَى تَارِكِهِ فِي صَلَاتِهِ وَمَا لَمْ يَخُصَّهُ الْإِجْمَاعُ أَوِ الْخَبَرُ بِالنَّقْلِ فَهُوَ أَمْرٌ حتمٍ على المخاطبين كافة لا يجوز تركه بحال.
হাদীসটিকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (ইরওয়াউল গালীল: ২১৩)