৬২৯৩

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - এ উম্মতের [উম্মতে মুহাম্মাদী (সা.)-এর] সাওয়াবের বিবরণ

৬২৯৩-[১১] ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: আল্লাহ তা’আলা আমার উম্মতের ভুল-ভ্রান্তিসমূহ ক্ষমা করে দিয়েছেন এবং সে কাজটিও ক্ষমা করে দিয়েছেন, যে কাজটি তাদের দ্বারা জোরপূর্বক করানো হয়। (ইবনু মাজাহ ও বায়হাক্বী)

اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَاب ثَوَاب هَذِه)

وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ وَالنِّسْيَانَ وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ» . رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَالْبَيْهَقِيّ

صحیح ، رواہ ابن ماجہ (2043) و البیھقی فی السنن الکبری (7 / 356) ۔
(صَحِيح لطرقه)

وعن ابن عباس ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ان الله تجاوز عن امتي الخطا والنسيان وما استكرهوا عليه رواه ابن ماجه والبيهقيصحیح رواہ ابن ماجہ 2043 و البیھقی فی السنن الکبری 7 356 ۔صحيح لطرقه

ব্যাখ্যা: ইবনু মাজাহ এ হাদীসের উপর বাধ্য ও ভুলকারী ব্যক্তির ত্বলাক্ব শিরোনামে অধ্যায় রচনা করেছেন। তিনি বলেন, (باب طلاق المكره والناسى) অতঃপর এ হাদীসকে উল্লেখ করেন। এ হাদীস থেকে বুঝা গেল যে, বাধ্য ও ভুলকারী ব্যক্তিকে আল্লাহ তা'আলা ক্ষমা করেন। দুনিয়াবী ক্ষেত্রেও তা ক্ষমার্হ। ভুলক্রমে তালাক দিলে অথবা বাধ্য হয়ে ত্বলাক্ব দিলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। অনুরূপভাবে ভুলক্রমে ঘটে গেলেও। যেমন, মুখে আলহামদুলিল্লা-হ বলার ইচ্ছা করেছে, কিন্তু বের হয়েছে (انتطالق) এক্ষেত্রেও তালাক হবে না। যারা ভুল-ক্রটিকেও ত্বলাক পড়ার পক্ষে মতামত দেন, তাদের সিদ্ধান্ত এ হাদীসের আলোকে সঠিক নয়। (মিশকাতুল মাসাবীহ - মুম্বাই ছাপা, ৫ম খণ্ড, পৃ. ৩০২)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩০: মান-মর্যাদা (كتاب المناقب)