৬২১৫

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - সমষ্টিগতভাবে মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য

৬২১৫-[২০] আনাস (রাঃ) নবী (সা.) হতে বর্ণনা করেন। তিনি (সা.) বলেছেন, আনসারদের প্রতি ভালোবাসা ঈমানের লক্ষণ, আর আনসারদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ মুনাফিক্বীর (কপটতার) আলমত। (বুখারী ও মুসলিম)

الفصل الاول (بَاب جَامع المناقب)

وَعَنْ أَنَسٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «آيَةُ الْإِيمَانِ حُبُّ الْأَنْصَارِ وَآيَةُ النِّفَاقِ بُغْضُ الْأَنْصَارِ» . مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ

متفق علیہ ، رواہ البخاری (3784) و مسلم (128 / 74)، (235) ۔
(مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)

وعن انس عن النبي صلى الله عليه وسلم قال اية الايمان حب الانصار واية النفاق بغض الانصار متفق عليهمتفق علیہ رواہ البخاری 3784 و مسلم 128 74 235 ۔متفق عليه

ব্যাখ্যা: উক্ত হাদীসের ব্যাখ্যায় ইবনুত তীন বলেন, আনসারদের ভলোবাসার অর্থ হলো সকল আনসারকে ভালোবাসা। অতএব, কেউ যদি কিছু আনসারকে ভালোবাসে আর কিছুকে ভালো না বাসে তাহলে সে আনসারদের ভালোবাসে বলে গণ্য হবে না। এছাড়াও কুরআনে আনসারদের বিভিন্নভাবে প্রশংসা করা হয়েছে। সাথে সাথে তাদের সন্তানদেরকে, তাদের মিত্রদেরকে ও অভিভাবকদেরকেও অন্তর্ভুক্ত করেছে।
এই স্তরে তাদের পৌছার কারণ হলো যে, তারা নবী (সা.)-কে আশ্রয় দিয়েছে এবং সহযোগিতা করেছে। এজন্য তারা তাদের ধন-সম্পদ ও ঘর-বাড়ি মুহাজিরদের সাথে ভাগাভাগি করে নিয়েছে এবং মদীনাকে মুসলিমদের জন্য স্বদেশ ও আশ্রয়স্থল বানিয়েছে। আর এটিই ছিল অন্যান্য আরব ও অনারবদের শত্রুতার কারণ। যেহেতু তারা অমুসলিম ছিল তাই তারা আনসারদের কাজ পছন্দ করেনি। অতএব যারা আনসারদের প্রতি বিদ্বেষ রাখবে এবং তাদের সাথে শত্রুতা করবে, তারাও তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। পূর্ণ মুমিন হতে পারবে না। এজন্য রাসূলুল্লাহ (সা.) সতর্ক করে বলেছেন, ঈমানের আলামত হলো আনসারদেরকে ভালোবাসা আর নিফাকের আলামত হলো আনসারাদের ঘৃণা করা। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩০: মান-মর্যাদা (كتاب المناقب)