৬১৯৯

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - সমষ্টিগতভাবে মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য

৬১৯৯-[৪] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: তোমরা চার লোকের কাছে কুরআন অধ্যয়ন কর- ১. আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ, ২. আবূ হুযায়ফাহ’র স্বাধীন দাস সালিম, ৩. উবাই ইবনু কা’ব ও ৪. মু’আয ইবনু জাবাল । (বুখারী ও মুসলিম)

الفصل الاول (بَاب جَامع المناقب)

وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: استقرؤوا الْقُرْآنَ مِنْ أَرْبَعَةٍ: مِنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ وَسَالِمٍ مَوْلَى أَبِي حُذَيْفَةَ وَأُبَيِّ بْنِ كَعْب ومعاذ بن جبل . مُتَّفق عَلَيْهِ

متفق علیہ ، رواہ البخاری (3706) و مسلم (117 / 2464)، (6335) ۔
(مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)

وعن عبد الله بن عمرو ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال استقرووا القران من اربعة من عبد الله بن مسعود وسالم مولى ابي حذيفة وابي بن كعب ومعاذ بن جبل متفق عليهمتفق علیہ رواہ البخاری 3706 و مسلم 117 2464 6335 ۔متفق عليه

ব্যাখ্যা: ইমাম নবাবী (রহিমাহুল্লাহ) উল্লেখ করেছেন যে, ‘আলিমগণ বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) এই চারজনের থেকে বিশেষভাবে কুরআন শিখতে বললেন, তার কারণ হলো চারজন বেশি স্মৃতিশক্তির অধিকারী ছিলেন। আর যেভাবে কথা শুনতেন সেভাবই হুবহু শব্দ ঠিক রেখে অন্যের কাছে পৌছাতে পারতেন। যদিও কুরআনের অর্থ বুঝার ক্ষেত্রে অনেকেই তাদের থেকে অধিক পারদর্শী ছিলেন। কিন্তু কুরআন শিক্ষা দেয়ার ক্ষেত্রে তারা চারজনই ছিলেন বেশি দক্ষ।
আরেকটি কারণ হলো যে, তারা চারজন সর্বদা সরাসরি রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর মুখ থেকে শুনতেন। কিন্তু অন্যরা মাঝে মধ্যে একে অপরের থেকে শুনেও মুখস্থ করে নিতেন। এছাড়াও তারা নিজেদেরকে অবসর করে রাখতেন যেন অন্যরা তাদের থেকে কুরআন শিক্ষা করতে পারে। অথবা এটিও একটি কারণ হতে পারে যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) জানিয়ে দিতে চেয়েছেন যে, তাঁর মৃত্যুর পর যেন কুরআন শিক্ষা দেয়ার ক্ষেত্রে এই চারজনকে আগে রাখা হয়। কারণ তারা অন্যদের তুলনায় ভালোভাবে কুরআন পড়তে পারে। (শারহুন নাবাবী ১৬শ খণ্ড, ১৮ পৃ., হা. ২৪৬২)

মিরক্বাতুল মাফাতীহ প্রণেতা সালিম সম্পর্কে বলেন যে, তিনি হলেন আবূ হুযায়ফাহ্ ইবনু 'উতবাহ্ ইবনু রবী'আহ্-এর আযাদকৃত দাস সালিম ইবনু মা'কাল। তিনি পারস্যের অধিবাসী আযাদকৃত দাসদের মধ্যে অনেক সম্মানিত ও বড় মাপের সাহাবী ছিলেন। তিনি বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তার থেকে সাবিত ইবনু কায়স এবং ইবনু উমার ছাড়াও অনেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩০: মান-মর্যাদা (كتاب المناقب)