৬১৯৭

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - সমষ্টিগতভাবে মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য

৬১৯৭-[২] হুযায়ফাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, গাম্ভীর্য, চালচলন এবং পথ চলার ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর সাথে অধিকতর সদৃশ ছিলেন ইবনু উম্মু আবদ গৃহ হতে বের হওয়ার পর আবার গৃহে প্রত্যাবর্তন করা অবধি। তবে যখন তিনি গৃহের অভ্যন্তরে একাকী থাকতেন, তখন কি অবস্থায় থাকতেন, তা আমাদের জানা নেই। (বুখারী)

الفصل الاول (بَاب جَامع المناقب)

وَعَن حذيفةَ قَالَ: إِنَّ أَشْبَهَ النَّاسِ دَلًّا وَسَمْتًا وَهَدْيًا بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَابْنُ أم عبدٍ مِنْ حِينِ يَخْرُجُ مِنْ بَيْتِهِ إِلَى أَنْ يرجع إِلَيْهِ لَا تَدْرِي مَا يصنع أَهله إِذا خلا. رَوَاهُ البُخَارِيّ

رواہ البخاری (6097) ۔
(صَحِيح)

وعن حذيفة قال ان اشبه الناس دلا وسمتا وهديا برسول الله صلى الله عليه وسلم لابن ام عبد من حين يخرج من بيته الى ان يرجع اليه لا تدري ما يصنع اهله اذا خلا رواه البخاريرواہ البخاری 6097 ۔صحيح

ব্যাখ্যা: উক্ত হাদীসের উল্লেখিত কিছু শব্দের ব্যাখ্যা (دَلَّا) এ শব্দ দ্বারা বুঝানো হয়েছে, কথাবার্তা ও চালচলনের ক্ষেত্রে উত্তমতা অবলম্বন করা।
(سَمْتًا) এ শব্দ দ্বারা বুঝানো হয়েছে, দীনের বিষয়গুলো সুন্দরভাবে পালন করা। আবার কখনো এই শব্দটি বিভিন্ন বিষয়ে মধ্যম পন্থা অবলম্বন করাকেও বুঝায়।
(هَدْيًا) এ শব্দটি বুঝায় দীনের ক্ষেত্রে এবং কোন কল্যাণের বিষয়ে গাম্ভীর্যতা ও প্রশান্তি অবলম্বন করা।  উক্ত হাদীসে (ابْنُ أم عبدٍ) দ্বারা আবদুল্লাহ ইবনু মাস্'উদ (রাঃ)-কে বুঝানো হয়েছে। উক্ত হাদীসে ইবনু মাস্'উদ (রাঃ)-এর মর্যাদা বর্ণনা করা হয়েছে হুযায়ফাহ্ (রাঃ) কর্তৃক তার ব্যাপারে এই সাক্ষ্য দেয়ার মাধ্যমে যে, উল্লেখিত বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর সাথে সবচেয়ে বেশি তিনি সাদৃশ্যপূর্ণ ছিলেন।
আবূ উবায়দ গরীবুল হাদীসে বর্ণনা করে যে, ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস্'উদ (রাঃ)-এর ছাত্ররা তার চালচলন, গাম্ভীর্যতার সাথেও সাদৃশ্য রাখত, হুযায়ফাহ্ (রাঃ)-এর হাদীস যেন তাদেরকে এই বিষয়ে উৎসাহিত করত। ইমাম বুখারী (রহিমাহুল্লাহ) আদাবুল মুফরাদে যায়দ ইবনু ওয়াহব-এর সূত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাউদ (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন যে, তোমরা যেন শেষ যামানায় উত্তম চাল-চলন কর্তৃক ‘আমল থেকে উত্তম রাখ। এসব হাদীসের মাধ্যমেও ইবনু মাস্'উদ (রাঃ)-এর মর্যাদা প্রকাশ পায়।
অন্য হাদীসে বলা হয়েছে যে, ‘উমার (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর সাথে বেশি সাদৃশ্যপূর্ণ ছিলেন। আর ‘উমার-এর সাথে সবচেয়ে বেশি সাদৃশ্যপূর্ণ ছিলেন তার ছেলে আবদুল্লাহ ইবনু উমার। বাহ্যিকভাবে এখানে উভয় হাদীসের মধ্যে সংঘর্ষ দেখা যাচ্ছে।
হাদীস দুটির মাঝে দাউদী সমন্বয় সাধন করেছেন এভাবে যে, ইবনু মাসউদ (রাঃ) চাল-চলনের ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর সাথে বেশি সাদৃশ্যপূর্ণ ছিলেন। আর ‘উমার অন্য দীন মানার বিষয়ে দৃঢ় হওয়ার ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর সাথে সবচেয়ে বেশি সাদৃশ্যপূর্ণ ছিলেন। অথবা, এটিও হতে পারে যে, হুযায়ফাহ্ (রাঃ) ইবনু মা'উদ (রাঃ) সম্পর্কে এ কথা বলেছেন ‘উমার (রাঃ)-এর মৃত্যুর পর। (ফাতহুল বারী ১০ম খণ্ড, ৫৭৪ পৃ., হা, ৬০৯৭)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩০: মান-মর্যাদা (كتاب المناقب)