৬১৯২

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পবিত্র স্ত্রীগণের মর্যাদা

৬১৯২-[৯] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল (সা.) এর স্ত্রী সফিয়্যাহ্-এর কাছে এ কথাটি পৌছেছে যে, হাফসাহ (রাঃ) তাঁকে ইয়াহুদী কন্যা বলেছেন। এ কথা শুনে সফিয়্যাহ কাঁদতে লাগলেন। এমন সময় নবী (সা.) তাঁর কাছে গিয়ে দেখলেন, তিনি কাঁদছেন। প্রশ্ন করলেন কি কারণে তুমি কাঁদছ? সফিয়্যাহ্ (রাঃ) বললেন, হাফসাহ আমাকে ইয়াহুদী কন্যা বলেছে। এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, তুমি তো এক নবীর কন্যা, আরেক নবী তোমার চাচা এবং তুমি আরেক নবীর স্ত্রী। অতএব হাফসা কোন কথায় তোমার ওপর গর্ব করতে পারে? অতঃপর তিনি (সা.) বললেন, হে হাফসা! আল্লাহকে ভয় কর। (তিরমিযী ও নাসায়ী)

اَلْفصْلُ الثَّنِ (بَابُ مَنَاقِبِ أَزْوَاجِ)

وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: بَلَغَ صَفِيَّةَ أَنَّ حَفْصَةَ قَالَتْ: بِنْتُ يَهُودِيٍّ فَبَكَتْ فَدَخَلَ عَلَيْهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهِيَ تَبْكِي فَقَالَ: «مَا يُبْكِيكِ؟» فَقَالَتْ: قَالَتْ لِي حَفْصَةُ: إِنِّي ابْنَةُ يَهُودِيٍّ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: «إِنَّك ابْنة نَبِيٍّ وَإِنَّ عَمَّكِ لَنَبِيٌّ وَإِنَّكِ لَتَحْتَ نَبِيٍّ فَفِيمَ تَفْخَرُ عَلَيْكِ؟» ثُمَّ قَالَ: «اتَّقِي اللَّهَ يَا حَفْصَة» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ

اسنادہ صحیح ، رواہ الترمذی (3894 وقال : حسن صحیح غریب) و النسائی فی الکبری (8919) ۔
(صَحِيح)

وعن انس قال بلغ صفية ان حفصة قالت بنت يهودي فبكت فدخل عليها النبي صلى الله عليه وسلم وهي تبكي فقال ما يبكيك فقالت قالت لي حفصة اني ابنة يهودي فقال النبي صلى الله عليه وسلم انك ابنة نبي وان عمك لنبي وانك لتحت نبي ففيم تفخر عليك ثم قال اتقي الله يا حفصة رواه الترمذي والنساىياسنادہ صحیح رواہ الترمذی 3894 وقال حسن صحیح غریب و النساىی فی الکبری 8919 ۔صحيح

ব্যাখ্যা: এ হাদীসে রাসূলুল্লাহ (সা.) সফিয়্যাহ্ (রাঃ)-কে শিখিয়ে দিলেন যে, তুমি হলে একজন নবীর মেয়ে। তার পূর্ব পুরুষ ইসহাক অথবা হারূন (আঃ)-এর দিকে সম্পৃক্ত করে এটি রাসূলুল্লাহ (সা.) তাকে শিখিয়ে দিয়েছেন।
তিনি তাকে শিখিয়ে দিয়েছেন যে, তোমার চাচাও একজন নবী। আর তিনি হলেন ইসমাঈল অথবা মূসা (আঃ)। তিনি তাকে এটিও স্মরণ করিয়ে দিলেন যে, বর্তমানে তুমি একজন নবীর স্ত্রী হিসেবে আছ। অতএব তোমার মর্যাদা কোনভাবেই কম নয়।

এখানে সফিয়্যাহ (রাঃ)-এর তিনটি মর্যাদার বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। তার মধ্য থেকে প্রথম ও শেষটি হাফসার মাঝে আছে। কিন্তু দ্বিতীয়টি শুধু সফিয়্যার মাঝে আছে যা হাফসার মাঝে নেই। এটি হলো সফিয়্যার অতিরিক্ত মর্যাদার বিষয়। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সা.) হাফসাহ্ (রাঃ)-কে উদ্দেশ্য করে বললেন, হে হাফসাহ্! তুমি আল্লাহকে ভয় করো এবং এ জাতীয় জাহিলী যুগের কথাবার্তা ছেড়ে দাও। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩০: মান-মর্যাদা (كتاب المناقب)