৬১৫৩

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পরিবার-পরিজনদের মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য

৬১৫৩-[১৯] যায়দ ইবনু আরকাম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: আমি তোমাদের মাঝে এমন জিনিস রেখে যাচ্ছি, তোমরা যদি তাকে শক্ত করে ধরে রাখ, তবে আমার পরে তোমরা আর কখনো পথভ্রষ্ট হবে না। তার মধ্যে একটি আরেকটির তুলনায় বেশি গুরুত্বপূর্ণ। একটি হলো আল্লাহর কিতাব, তা একটি লম্বা রশিস্বরূপ। যা আকাশ হতে জমিন অবধি বিস্তীর্ণ। আর দ্বিতীয়টি হলো আমার আপন আহলে বায়ত। এ বস্তু দুটি কখনো বিচ্ছিন্ন হবে না। তারা হাওযে কাওসারে আমার সাথে মিলিত না হওয়া পর্যন্ত। অতএব তোমরা তাদের সাথে কিরূপ আচরণ করছ তার প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রাখবে। (তিরমিযী)

اَلْفصْلُ الثَّنِ (بَابِ مَنَاقِبِ أَهْلِ)

وَعَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنِّي تَارِكٌ فِيكُمْ مَا إِنْ تَمَسَّكْتُمْ بِهِ لَنْ تَضِلُّوا بَعْدِي أَحَدُهُمَا أَعْظَمُ مِنَ الْآخَرِ: كِتَابُ اللَّهِ حَبْلٌ مَمْدُودٌ مِنَ السَّمَاءِ إِلَى الْأَرْضِ وَعِتْرَتِي أَهْلُ بَيْتِي وَلَنْ يَتَفَرَّقَا حَتَّى يَرِدَا عَلَيَّ الْحَوْضَ فَانْظُرُوا كَيْفَ تَخْلُفُونِي فِيهِمَا . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ

ضعیف ، رواہ الترمذی (3788 وقال : حسن غریب) ۔ عطیۃ العوفی ضعیف و الاعمش مدلس و عنعن و حدیث مسلم : (2408) و الطحاوی (مشکل الآثار : 5 / 13 ، ح : 1760) یغنی عنہ

وعن زيد بن ارقم قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اني تارك فيكم ما ان تمسكتم به لن تضلوا بعدي احدهما اعظم من الاخر كتاب الله حبل ممدود من السماء الى الارض وعترتي اهل بيتي ولن يتفرقا حتى يردا علي الحوض فانظروا كيف تخلفوني فيهما رواه الترمذيضعیف رواہ الترمذی 3788 وقال حسن غریب ۔ عطیۃ العوفی ضعیف و الاعمش مدلس و عنعن و حدیث مسلم 2408 و الطحاوی مشکل الاثار 5 13 ح 1760 یغنی عنہ

ব্যাখ্যা: (كِتَابُ اللَّهِ حَبْلٌ مَمْدُودٌ مِنَ السَّمَاءِ إِلَى الْأَرْضِ وَعِتْرَتِي أَهْلُ بَيْتِي) ইমাম তূরিবিশতী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, কোন ব্যক্তির “ইতরাত” বলতে বুঝায় তার পরিবারবর্গের লোক ও তার নিকটস্থ লোকবৃন্দ। ‘ইতরত’ বিভিন্ন দিক থেকে হতে পারে। নবী (সা.) সেটা “আহলে বায়ত” শব্দ দ্বারা ব্যক্ত করেছেন। এর দ্বারা তিনি উদ্দেশ্য নিয়েছেন (১) তাঁর বংশধর (২) নিকটস্থ সকল লোক, (৩) তাঁর স্ত্রীবর্গ।
মুল্লা আলী ক্বারী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, তাদের (আহলে বায়তদের) আঁকড়ে ধরা দ্বারা উদ্দেশ্য (১) তাদের ভালোবাসা, (২) তাদের সম্মান রক্ষা করা, (৩) তাদের মতাদর্শে ‘আমল করা, (৪) তাদের কথাগুলোর উপর নির্ভর করা।
ইমাম ইবন মালিক (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, আল্লাহর কিতাব আঁকড়ে ধরা দ্বারা উদ্দেশ্য হলো- (১) এতে যা রয়েছে তার উপর আমল করা, (২) আল্লাহর নির্দেশগুলো পালন করা, (৩) নিষিদ্ধ বিষয়গুলো হতে বিরত থাকা। আর ‘ইতরত’ আঁকড়ে ধরা দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, (১) তাদের ভালোবাসা (২) তাদের দেখানো পথে চলা, (৩) তাদের চরিত্রে চরিত্রবান হওয়া।
সাইয়িদ জামালুদ্দীন (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, যতক্ষণ দীনের বিপরীত কাজ সংঘটিত না হয়। (তুহফাতুল আহওয়াযী হা. ৩৭৯৮)

‘আল্লামাহ্ ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন: উক্ত হাদীসে ইঙ্গিত রয়েছে যে, নবী (সা.) -এর মৃত্যুর পর কিতাবুল্লাহ ও আহলে বায়ত- এ দুটি জিনিসের সাথে সদাচরণ করতে ও নিজেদের ওপর এ দুটিকে প্রধান্য দিতে উপদেশ দিয়েছেন। যেমন পিতা তার সন্তানদের অধিকারের প্রতি উপদেশ দিয়ে থাকেন। কিতাবুল্লাহ হলো আকাশ হতে জমিন পর্যন্ত প্রসারিত একটি রশি। যে ব্যক্তি উক্ত রশি আঁকড়ে ধরল সে মুক্তি পেল আর যে ব্যক্তি পৃথিবীতে পড়ে থাকল উক্ত রশি আঁকড়ে ধরল না সে ধ্বংস হলো।
যে ব্যক্তি নবী (সা.) -এর উপদেশ পালন করল, আর ঐ দু'টি বিষয়ের সাথে সদাচরণ করল তারা হাওযে কাওসারে নবী (সা.) -এর সাথে থাকবে। যারা বিপরীত কাজ করবে তাদের জন্য রয়েছে বিপরীত প্রতিদান। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩০: মান-মর্যাদা (كتاب المناقب)