৬১১৪

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - আশারাহ্ মুবাশশারা রাযিয়াল্লাহু আনহুমা-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য

৬১১৪-[৭] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) (কোন এক অভিযান হতে) মদীনায় আগমনের পর রাত্রিতে (দুশমনের আশঙ্কায়) জেগে রইলেন এবং বললেন, যদি কোন সৎ লোক (এ রাত্রটি) আমাকে পাহারা দিত (তবে কতই না উত্তম হত!)। এমন সময় হঠাৎ আমরা অস্ত্রের শব্দ শুনতে পেলাম। তিনি (সা.) প্রশ্ন করলেন, এই আগন্তক কে? বললেন, আমি সা’দ। তিনি (সা.) প্রশ্ন করলেন, এ সময় এখানে আগমনের উদ্দেশ্য কি? তিনি বললেন, আমার অন্তরে শত্রুদের তরফ হতে রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর প্রতি ভয় সৃষ্টি হয়েছে, তাই আমি তাকে পাহারা দিতে এসেছি। এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ (সা.) তার জন্য দু’আ করলেন। অতঃপর (নির্বিঘ্নে) ঘুমিয়ে পড়লেন। (বুখারী ও মুসলিম)

الفصل الاول (بَابُ مَنَاقِبِ الْعَشَرَةِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ)

وَعَن عَائِشَة قَالَتْ: سَهِرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَقْدِمَهُ الْمَدِينَةَ لَيْلَةً فَقَالَ: «لَيْتَ رَجُلًا صَالِحًا يَحْرُسُنِي» إِذْ سَمِعْنَا صَوْتَ سِلَاحٍ فَقَالَ: «مَنْ هَذَا؟» قَالَ: أَنَا سَعْدٌ قَالَ: «مَا جَاءَ بِكَ؟» قَالَ: وَقَعَ فِي نَفْسِي خَوْفٌ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَجِئْتُ أَحْرُسُهُ فَدَعَا لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ نَامَ. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ

متفق علیہ ، رواہ البخاری (2885) و مسلم (40 / 2410)، (6231) ۔
(مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)

وعن عاىشة قالت سهر رسول الله صلى الله عليه وسلم مقدمه المدينة ليلة فقال ليت رجلا صالحا يحرسني اذ سمعنا صوت سلاح فقال من هذا قال انا سعد قال ما جاء بك قال وقع في نفسي خوف على رسول الله صلى الله عليه وسلم فجىت احرسه فدعا له رسول الله صلى الله عليه وسلم ثم نام متفق عليهمتفق علیہ رواہ البخاری 2885 و مسلم 40 2410 6231 ۔متفق عليه

ব্যাখ্যা: (سَهِرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَقْدِمَهُ الْمَدِينَةَ لَيْلَةً) ‘আল্লামাহ্ ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, নবী (সা.) কোন এক যুদ্ধ হতে মদীনাহ্ আগমনের সময় শত্রুর ভয়ে রাত্র জাগরণ করেছিলেন। (মিরকাতুল মাফাতীহ)।
(لَيْتَ رَجُلًا صَالِحًا يَحْرُسُنِي) মিরক্বাত প্রণেতা বলেন, বাক্যটির অর্থ হলো অবশিষ্ট রাতগুলো আমাকে পাহারা দিবে যাতে আমি আত্মতৃপ্তি ও প্রশান্তির সাথে ঘুমাতে পারি এমনকি কোন মহৎ ব্যক্তি আছে? (মিরকাতুল মাফাতীহ)
হাফিয ইবনে হাজার ‘আসক্বালানী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, উক্ত বাক্য দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, শত্রুর ভয়ে সতর্কতা অবলম্বন ও পাহারাদার নিযুক্ত করা বৈধ। আর মানুষের ওপর দায়িত্ব হলো তাদের রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকার নিহত হওয়ার ভয় থাকলে তাকে পাহারা দেয়া। যে ব্যক্তি উক্ত গুরুদায়িত্ব পালন করে তাকে হাদীসের ভাষায় “সালিহ” বা উত্তম ব্যক্তি বলা হয়েছে।
পাহারাদার নিযুক্ত করা আল্লাহর প্রতি তাওয়াক্কুলের পরিপন্থী নয়। ইবরাহীম আলায়হিস সালাম বলেছিলেন, (وَ لٰکِنۡ لِّیَطۡمَئِنَّ قَلۡبِیۡ) “...কিন্তু আমার আত্মতপ্তির জন্য..."- (সূরা আল বাকারাহ্ ২: ২৬০)।
আর নবী (সা.) বলেন, (اعقلها وتوكل) “আগে উটের রশি বাঁধ”, তারপর আল্লাহর প্রতি ভরসা কর।
‘আলিমগণ বলেন, উক্ত হাদীসটি নিম্নে উল্লেখিত আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পূর্বেকার ঘটনা, আয়াতটি হলো: (وَ اللّٰهُ یَعۡصِمُکَ مِنَ النَّاسِ)“...আল্লাহ আপনাকে মানুষের হাত হতে রক্ষা করবেন...”- (সূরাহ আল মায়িদাহ্ ৫: ৬৭)। নবী (সা.) পাহারাদার ছেড়ে দিয়েছেন যখন এই আয়াত অবতীর্ণ হয়। (শারহুন নাবাবী হা, ২৪১০)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩০: মান-মর্যাদা (كتاب المناقب)