৬০৪৫

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - উমার ফারূক (রাঃ)-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য

৬০৪৫-[১১] ইবনু আব্বাস (রাঃ) নবী (সা.) হতে বর্ণনা করেন। তিনি (সা.) (দু’আয়) বলেছেন, “হে আল্লাহ! আবূ জাহল ইবনু হিশাম অথবা ’উমার ইবনুল খত্ত্বাব দ্বারা তুমি ইসলামকে শক্তিশালী কর। এ দু’আর পরদিন ভোরে ’উমার (রাঃ) নবী (সা.) -এর কছে উপস্থিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করলেন। এরপর নবী (সা.) মসজিদে (মসজিদুল হারামে) প্রকাশ্যে সালাত আদায় করেছেন। (আহমাদ ও তিরমিযী)

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ ( بَاب مَنَاقِب عمر)

وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «اللَّهُمَّ أَعِزَّ الْإِسْلَامَ بِأَبِي جَهْلِ بْنِ هِشَامٍ أَوْ بِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ» فَأَصْبَحَ عُمَرُ فَغَدَا عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَسْلَمَ ثُمَّ صَلَّى فِي الْمَسْجِدِ ظَاهرا. رَوَاهُ أَحْمد وَالتِّرْمِذِيّ

ضعیف ، رواہ احمد فی فضائل الصحابۃ (1 / 249 ۔ 250 ح 311) [و الترمذی (3683 وقال : غریب) و سندہ ضعیف] * سندہ ضعیف جدًا ، نضر بن عبد الرحمن الخزاز ابو عمر : متروک ، و روی الترمذی (3681) بسند حسن عن ابن عمر ان رسول اللہ صلی اللہ علیہ و آلہ وسلم قال :’’ اللھم اعز الاسکام باحب ھذہ الرجلین الیک : بابی جھل او بعمر بن خطاب ‘‘ وقال :’’ ھذا حدیث حسن صحیح ‘‘ وھو یغنی عنہ ۔
(ضَعِيفٌ)

وعن ابن عباس عن النبي صلى الله عليه وسلم قال اللهم اعز الاسلام بابي جهل بن هشام او بعمر بن الخطاب فاصبح عمر فغدا على النبي صلى الله عليه وسلم فاسلم ثم صلى في المسجد ظاهرا رواه احمد والترمذيضعیف رواہ احمد فی فضاىل الصحابۃ 1 249 ۔ 250 ح 311 و الترمذی 3683 وقال غریب و سندہ ضعیف سندہ ضعیف جدا نضر بن عبد الرحمن الخزاز ابو عمر متروک و روی الترمذی 3681 بسند حسن عن ابن عمر ان رسول اللہ صلی اللہ علیہ و الہ وسلم قال اللھم اعز الاسکام باحب ھذہ الرجلین الیک بابی جھل او بعمر بن خطاب وقال ھذا حدیث حسن صحیح وھو یغنی عنہ ۔ضعيف

ব্যাখ্যা: (اللَّهُمَّ أَعِزَّ الْإِسْلَامَ) ইসলামকে শক্তিশালী কর, সাহায্য কর এবং কাফিরদের ওপর বিজয় দান কর। আবদুল্লাহ ইবনু মাস'উদ (রাঃ) বলেন, ‘উমার (রাঃ)-এর ইসলাম গ্রহণের পর হতে আমরা সর্বদা মর্যাদাবান ছিলাম। তিনি আরো বলেন, ‘উমার (রাঃ)-এর ইসলাম গ্রহণ ছিল সম্মান, তার হিজরত ছিল সাহায্য, শাসন ছিল দয়ার কারণ আল্লাহর শপথ করে বলছি ‘উমার (রাঃ)-এর ইসলাম গ্রহণের আগ পর্যন্ত আমরা কা'বায় প্রকাশ্যে সালাত আদায় করতে সক্ষম ছিলাম না। (তুহফাতুল আহ্ওয়াযী হা. ৩৬৯০)
(أَوْ بِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ) ইমাম সুয়ূত্বী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, অন্যত্রে শুধু 'উমার (রাঃ)-এর কথা বলা হয়েছে আবূ জাহল-এর কথা বলা হয়নি।
ইবনু আসাকির-এর চমৎকার সমাধান দিয়েছেন। তিনি বলেন, নবী (সা.) প্রথমে উভয়ের জন্য দু'আ করেন। পরে যখন ওয়াহী করা হয় যে, আবূ জাহল কখনো ইসলাম গ্রহণ করবে না। তখন শুধু “উমার (রাঃ) এর জন্য দু'আ করেন এবং তা কবুল হয়ে যায়।

দাউদ ইবনু হাসিন ও ইমাম যুহরী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, যখন ‘উমার (রাঃ) ইসলাম গ্রহণ করেন তখন জিবরীল আলায়হিস সালাম অবতরণ করে বলেন, 'উমার-এর ইসলাম গ্রহণে আকাশবাসী অত্যন্ত খুশি হয়েছে।
লেখক (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, “উমার (রাঃ) হলেন কুরায়শী গোত্রের, কুনিয়াত হলো আবূ হাফস্।
তিনি নুবুওয়্যাতের ৬ষ্ঠ অথবা ৫ম বছরে ইসলাম গ্রহণ করেন। চল্লিশ জন পুরুষ ও এগার জন মহিলা ইসলাম গ্রহণের পর আরো বলা হয় তিনি চল্লিশ পূর্ণ করেছেন। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩০: মান-মর্যাদা (كتاب المناقب)