৫৭৪৫

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - নবীকুল শিরোমণি -এর মর্যাদাসমূহ

৫৭৪৫-[৭] আবু হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: আমার উপমা ও (আমার পূর্ববর্তী) অন্যান্য নবীদের উপমা হলো এরূপ- যেমন একটি প্রাসাদ, যা সুশোভিত করে তৈরি করা হয়েছে, তবে এক জায়গাতে একটি ইটের জায়গা খালি রাখা হয়েছে। অতঃপর লোকেরা তা ঘুরে দেখে বিস্মিত হয় যে, তার তৈরি কত সুন্দর, কিন্তু একটি ইটের স্থান খালি রয়েছে। তিনি (সা.) বলেন, আমি উক্ত খালি ইটের স্থানটি পূর্ণ করি। আমার দ্বারাই উক্ত প্রাসাদটি সমাপ্ত করা হয়েছে এবং আমার দ্বারাই নবী আগমনের সিলসিলা শেষ করা হয়েছে। অপর এক বর্ণনাতে আছে, আমিই সেই ইট এবং আমিই নবীদের সিলসিলা সমাপ্তকারী। (বুখারী ও মুসলিম)

الفصل الاول (بَابُ فَضَائِلِ سَيِّدِ الْمُرْسَلِينَ)

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَثَلِي وَمَثَلُ الْأَنْبِيَاءِ كَمَثَلِ قَصْرٍ أُحْسِنَ بُنْيَانُهُ تُرِكَ مِنْهُ مَوضِع لبنة فَطَافَ النظَّارُ يتعجَّبونَ من حُسنِ بنيانِه إِلَّا مَوْضِعَ تِلْكَ اللَّبِنَةِ فَكُنْتُ أَنَا سَدَدْتُ مَوْضِعَ اللَّبِنَةِ خُتِمَ بِيَ الْبُنْيَانُ وَخُتِمَ بِي الرُّسُلُ» . وَفِي رِوَايَةٍ: «فَأَنَا اللَّبِنَةُ وَأَنَا خَاتَمُ النَّبِيِّينَ» . مُتَّفق عَلَيْهِ

متفق علیہ ، رواہ البخاری (3534 و الروایۃ الثانیۃ : 3535) و مسلم (21 ، 20 / 2286، (5960) و الروایۃ الثانیۃ 22 / 2286)، (5961) ۔
(مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)

وعن ابي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم مثلي ومثل الانبياء كمثل قصر احسن بنيانه ترك منه موضع لبنة فطاف النظار يتعجبون من حسن بنيانه الا موضع تلك اللبنة فكنت انا سددت موضع اللبنة ختم بي البنيان وختم بي الرسل وفي رواية فانا اللبنة وانا خاتم النبيين متفق عليهمتفق علیہ رواہ البخاری 3534 و الروایۃ الثانیۃ 3535 و مسلم 21 20 2286 5960 و الروایۃ الثانیۃ 22 2286 5961 ۔متفق عليه

ব্যাখ্যা: ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, হাদীসটিতে যে উপমা পেশ করা হয়েছে তা বালাগাত শাস্ত্র মোতাবেক তাশবিহে তামসিলী বা উদাহরণের মাধ্যমে উপমা দেয়া। আল্লাহ তা'আলা যত নবী পাঠিয়েছেন তাদের হিদায়াত, ‘ইলম ও মানুষদেরকে উত্তম চরিত্রের দিকে পথনির্দেশকে একটি দৃঢ় সুন্দর অট্টালিকার সাথে উপমা দেয়া হয়েছে। কিন্তু সেই সুন্দর অট্টালিকায় একটি ইট বাদ পড়ে একটু ত্রুটি রয়ে গেছে। সেই ত্রুটি দূর করে সুন্দরের চূড়ান্ত রূপ দেয়ার জন্য নবী (সা.) -কে পাঠানো হয়েছে। সাথে মূল নির্মাণের ইটের অংশিদারিত্ব রয়েছে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)

রাসূল (সা.) -কে শেষ নবী হিসেবে প্রেরণ করা হয়েছে, তার পরে আর কোন নবী আসবে না। এটা কুরআন সুন্নাহ ও ইজমায়ে উম্মাতের দ্বারা প্রমাণিত। এটা অস্বীকার করা কুফরী। কেননা রাসূল (সা.) -কে নবী বলে অস্বীকার করার অর্থ, কুরআন ও সুন্নাহর অকাট্য স্পষ্ট অনেক বাণী অস্বীকার করা। বর্ণিত হাদীসেও রাসূল (সা.) -এর শেষ নবী হওয়া এবং তারপরে আর কোন নবী আসার সুযোগ না থাকার বিষয়টি একটি উপমার মাধ্যমে রাসূল (সা.) সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন। (সম্পাদকীয়)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৯: চারিত্রিক গুণাবলি ও মর্যাদাসমূহ (كتاب الْفَضَائِل وَالشَّمَائِل)