৫২৩২

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - গরীবদের ফযীলত ও নবী (সা.) -এর জীবন-যাপন

৫২৩২-[২] মু’আব ইবনু সা’দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সা’দ (রাঃ) নিজের সম্পর্কে মনে করলেন যে, নিম্নশ্রেণির লোকেদের চেয়ে তার অধিক মর্যাদা রয়েছে। তখন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) (তাঁর এ ধারণাটি বুঝতে পেরে) বললেন : তোমাদের মধ্যকার দুর্বল ব্যক্তিদের ওয়াসীলায় এবং তাদের দু’আয় তোমাদেরকে (শত্রুর মোকাবিলায়) সাহায্য করা হয় এবং রিযক্ব দেয়া হয়। (বুখারী)।

الفصل الاول - (بَابُ فَضْلِ الْفُقَرَاءِ وَمَا كَانَ مِنْ عَيْشِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ)

وَعَن مُصعب بن سعدٍ قَالَ: رَأَى سَعْدٌ أَنَّ لَهُ فَضْلًا عَلَى مَنْ دُونَهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «هَلْ تُنْصَرُونَ وَتُرْزَقُونَ إِلَّا بِضُعَفَائِكُمْ؟» . رَوَاهُ البُخَارِيّ

رواہ البخاری (2896) ۔
(صَحِيح)

وعن مصعب بن سعد قال راى سعد ان له فضلا على من دونه فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم هل تنصرون وترزقون الا بضعفاىكم رواه البخاريرواہ البخاری 2896 ۔صحيح

ব্যাখ্যা : সা'দ ইবনু আবী ওয়াক্কাস ছিলেন একজন জালীলুল কদর সাহাবী। সা'দ (রাঃ)-এর এটা ছিল ধারণা বা কল্পনা যে, দরিদ্রদের তুলনায় তিনি হয়তো বেশি মর্যাদার অধিকারী হবেন। কেননা তিনি একাধারে ছিলেন বীরযোদ্ধা এবং দানশীল। রাসূলুল্লাহ (সা.) তার এ ধারণা দূরীকরণের জন্য বললেন, না বরং তোমরা শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধের ময়দানে ঐ দরিদ্রদের কারণেই সাহায্যপ্রাপ্ত হও এবং গনীমাতের সম্পদ লাভ করে থাক। অতএব তাদের সম্মান করবে, তাদের ওপর অহংকার করবে না। (মিক্বাতুল মাফাতীহ; লু'আহ্ ৮ম খণ্ড, ৪৫৬ পৃ.; আল কাশিফ ১০ম খণ্ড, ৩৩১০ পৃ.)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৬: মন-গলানো উপদেশমালা (كتاب الرقَاق)