৫২১৬

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ

৫২১৬-[৬২] ’আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদিন নাবী (সা.) ভাষণদানকালে বললেন : সাবধান! দুনিয়া একটি অস্থায়ী জিনিস। তা হতে পুণ্যবান ও পাপী উভয় ভোগ করে। সাবধান! পরকাল একটি সত্যিকার নির্দিষ্ট সময়। সেখানে বিচার করবেন এমন এক বাদশাহ যিনি সর্বময় ক্ষমতার মালিক। সাবধান! সার্বিকভাবে সর্বপ্রকার কল্যাণের স্থান হলো জান্নাত এবং সার্বিকভাবে সর্বপ্রকার মন্দের স্থান হলো জাহান্নাম। অতএব তোমরা আমল করো এবং আল্লাহকে ভয় করতে থাকো। আর এ কথাটি ভালোভাবে জেনে রাখো, তোমাদেরকে তোমাদের কৃতকর্মসহ (আল্লাহর সম্মুখে) উপস্থিত করা হবে। “অতএব যে অণু পরিমাণ ভালো কাজ করবে সে তার ফল পাবে এবং যে ব্যক্তি অণু পরিমাণ খারাপ কাজ করবে সে তার ফল পাবে”- (সূরাহ্ আহ্ যিলযাল ৯৯ : ৭-৮)। (শাফিঈ)

اَلْفصْلُ الثَّالِثُ

وَعَنْ عَمْرٍو رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَطَبَ يَوْمًا فَقَالَ فِي خُطْبَتِهِ: «أَلَا إِنَّ الدُّنْيَا عَرَضٌ حَاضِرٌ يَأْكُلُ مِنْهُ الْبَرُّ وَالْفَاجِرُ أَلا وَإِن الآحرة أَجَلٌ صَادِقٌ وَيَقْضِي فِيهَا مَلِكٌ قَادِرٌ أَلَا وَإِنَّ الْخَيْرَ كُلَّهُ بِحَذَافِيرِهِ فِي الْجَنَّةِ أَلَا وَإِنَّ الشَّرَّ كُلَّهُ بِحَذَافِيرِهِ فِي النَّارِ أَلَا فَاعْمَلُوا وَأَنْتُمْ مِنَ اللَّهِ عَلَى حَذَرٍ وَاعْلَمُوا أَنَّكُمْ مَعْرُوضُونَ عَلَى أَعْمَالِكُمْ فَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَيْرًا يَرَهُ وَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ شرا يره» . للشَّافِعِيّ

اسنادہ ضعیف جذا ، رواہ الشافعی فی الام (1 / 202) * فیہ ابراھیم بن محمد بن ابی یحیی : متروک و السند مرسل ۔

وعن عمرو رضي الله عنه ان النبي صلى الله عليه وسلم خطب يوما فقال في خطبته الا ان الدنيا عرض حاضر ياكل منه البر والفاجر الا وان الاحرة اجل صادق ويقضي فيها ملك قادر الا وان الخير كله بحذافيره في الجنة الا وان الشر كله بحذافيره في النار الا فاعملوا وانتم من الله على حذر واعلموا انكم معروضون على اعمالكم فمن يعمل مثقال ذرة خيرا يره ومن يعمل مثقال ذرة شرا يره للشافعياسنادہ ضعیف جذا رواہ الشافعی فی الام 1 202 فیہ ابراھیم بن محمد بن ابی یحیی متروک و السند مرسل ۔

ব্যাখ্যা : দুনিয়া হলো অস্থায়ী সম্পদ বিশেষ, যা থেকে নেককার, গুনাহগার, মু'মিন, কাফির সবাই উপকার ভোগ করে থাকে। আল্লাহ তা'আলা বলেন :
(وَ مَا مِنۡ دَآبَّۃٍ فِی الۡاَرۡضِ اِلَّا عَلَی اللّٰهِ رِزۡقُهَا) “জমিনে বিচরণকারী এমন কোন প্রাণী নেই যার রিযক আল্লাহর যিম্মায় না আছে।” (সূরাহ্ হূদ ১১ : ৬)

হাদীসে উল্লেখিত (الْعَرَضُ) শব্দের অর্থ করতে গিয়ে রাগিব ইস্পাহানী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘আরায (الْعَرَضُ مَا لَايَكُونُ لَهٗ ثَبَاتٌ) ঐ বস্তু যার স্থায়িত্ব নেই।
আখিরাত একটি সুনির্দিষ্ট সত্য এবং অনিবার্য অনুষ্ঠিতব্য সময়। সেদিন মহা ক্ষমতাধর বাদশাহ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা'আলা নেককার-গুনাহগার, মু'মিন-কাফির প্রভৃতি মানুষের মাঝে পুরস্কার ও শাস্তির ন্যায্য ফায়সালা করবেন।
‘আল্লামাহ্ ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন : (الْأَجَلُ) প্রতিশ্রুত সময়ের দৃষ্টান্ত; (الصادق) শব্দ দ্বারা বিশেষণ বর্ণনা করা হয়েছে তা অনুষ্ঠিত হওয়া নিশ্চিত করণার্থে এবং স্থায়িত্বার্থে।
সকল প্রকার কল্যাণ ও কল্যাণের উপাত্ত যা কিছু রয়েছে সবই জান্নাতে বিদ্যমান। আর সকল প্রকার অকল্যাণ এবং অকল্যাণের উপকরণ সবই জাহান্নামে বিদ্যমান। অর্থাৎ জান্নাতে সকল প্রকার সুখ সামগ্রী বিদ্যমান এবং জাহান্নামে দুঃখ-যন্ত্রণার যাবতীয় পথ পন্থা ও উপকরণ বিদ্যমান রয়েছে। এ বাক্য দু'টির পূর্বে আরবী (حَرْفُ التَّنْبِيهَ) তথা সতর্কসূচক অব্যয় (أَلَا) ব্যবহার করা হয়েছে জাহান্নাম ও জান্নাতের সুখ-দুঃখের স্থায়িত্ব বুঝানোর জন্য। অতঃপর প্রত্যেকের সামনে তার ‘আমল পেশ করা হবে তা ক্ষুদ্র বৃহৎ যাই হোক না কেন। এমনকি যারা পরিমাণ ‘আমল হলেও তা প্রত্যক্ষ করবে এবং তার বিনিময়ে জান্নাত-জাহান্নামের কোন একটি নিশ্চিত পাবে।
‘আল্লামাহ্ সুয়ূত্বী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন : (الزَّرَّةُ) (যাররাহ্) হলো ক্ষুদ্র লাল পিঁপড়া। কেউ কেউ বলেছেন, যারাহ্ হলো যার ওযন নেই, অর্থাৎ কোন ওযন যন্ত্রেই যার ভর ধর্তব্য হয় না। এটা ঘরের জানালা অথবা ছিদ্র দিয়ে সূর্য রশ্মির মধ্যে দৃশ্যমান ধূলিকণা বিশেষ, যা দেখা যায় কিন্তু ওযনে আনা যায় না।
(মিক্বাতুল মাফাতীহ; লুআতুত্ তানকীহ ফী শারহি মিশকাতিল মাসাবীহ ৮ম খণ্ড, ৪৪২ পৃ.)


হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৬: মন-গলানো উপদেশমালা (كتاب الرقَاق)