৫০৭১

পরিচ্ছেদঃ ১৯. প্রথম অনুচ্ছেদ - নম্রতা, লজ্জাশীলতা ও উত্তম স্বভাব

৫০৭১-[৪] ’ইমরান ইবনু হুসায়ন (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ লজ্জাশীলতা পুণ্য বৈ কিছুই আনয়ন করে না। অপর এক বর্ণনায় আছে যে, লজ্জাশীলতার সব প্রকারই উত্তম। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ الرِّفْقِ وَالْحَيَاءِ وَحُسْنِ الْخُلُقِ

وَعَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْحَيَاءُ لَا يَأْتِي إِلَّا بِخَيْرٍ» . وَفِي رِوَايَةٍ: «الْحيَاء خير كُله» مُتَّفق عَلَيْهِ

وعن عمران بن حصين قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «الحياء لا يأتي إلا بخير» . وفي رواية: «الحياء خير كله» متفق عليه

ব্যাখ্যাঃ الْحَيَاءُ لَا يَأْتِي إِلَّا بِخَيْرٍ লজ্জা মানুষের কল্যাণই করে। লজ্জা মানুষকে ভয় প্রদর্শন করে, আর সেই কারণে সে তিরষ্কারমূলক কোন কাজে ও পাপের কাজে জড়িত হয় না। ইমাম নাবাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ কতক লোক এ হাদীসটির উপর ইশকাল বা প্রশ্ন উত্থাপন করে যে, লজ্জাশীল ব্যক্তি তো এমন মহান কাজে শরম করে, যে কাজে লোক তাকে বেশি মর্যাদা দিবে। আবার সে সৎকাজের আদেশ ও অসৎ কাজে বাধা দিতেও ভয় পায়। এ কাজ করতে পারে না লজ্জার কারণে। অনেক সময় সে লজ্জার কারণে তার ওপর যাদের হক আছে তাও যথাযথভাবে পালন করতে পারে না, তাহলে লজ্জা কিভাবে সকল কাজে কল্যাণ নিয়ে আসে?

উত্তর : এ প্রশ্নের উত্তরে ‘উলামার একটি দল উত্তর দিয়েছেন, তাদের মধ্য থেকে শায়খ আবূ ‘আমর ইবনুস্ সলাহ (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ এখানে আমরা যে লজ্জার কথা বলেছি তা প্রকৃত লজ্জা নয়। বরং এটি হলো অপারগতা ও সীমালঙ্ঘন। এটাকে শাব্দিক দিক থেকে লজ্জা বলা হয়েছে। শারী‘আতের পরিভাষায় লজ্জার সংজ্ঞা হলো এটা এমন একটা চরিত্রকে বলা হয়, যা মন্দকে পরিহার করার কারণে গড়ে উঠে। আর যাকে যে হক দেয়া দরকার তাকে সে হক প্রদান করতে শেখায়। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৫: শিষ্টাচার (كتاب الآداب)