৫০৭০

পরিচ্ছেদঃ ১৯. প্রথম অনুচ্ছেদ - নম্রতা, লজ্জাশীলতা ও উত্তম স্বভাব

৫০৭০-[৩] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আনসারদের এক ব্যক্তির নিকট দিয়ে গমন করছিলেন। সে আনসারী তখন তাঁর ভাইকে লজ্জা সম্পর্কে উপদেশ দিচ্ছিল। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তাকে ছেড়ে দাও। কেননা লজ্জা ঈমানের অংশ। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ الرِّفْقِ وَالْحَيَاءِ وَحُسْنِ الْخُلُقِ

وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّ عَلَى رَجُلٍ مِنَ الْأَنْصَارِ وَهُوَ يَعِظُ أَخَاهُ فِي الْحَيَاءِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «دَعْهُ فَإِنَّ الْحَيَاءَ مِنَ الْإِيمَانِ» . مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ

وعن ابن عمر ان رسول الله صلى الله عليه وسلم مر على رجل من الانصار وهو يعظ اخاه في الحياء فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم دعه فان الحياء من الايمان متفق عليه

ব্যাখ্যাঃ (فَإِنَّ الْحَيَاءَ مِنَ الْإِيمَانِ) ইবনু কুতায়বাহ্ (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ নিশ্চয় লজ্জা তার অধিকারী ব্যক্তিকে অর্থাৎ লজ্জাশীল ব্যক্তিকে অবাধ্য বা পাপের কাজ থেকে বিরত রাখে যেমন ঈমান বিরত রাখে। এজন্যই হাদীসে লজ্জাকে ঈমান বলা হয়েছে। যেভাবে কোন জিনিস অন্য জিনিসের স্থলাভিষিক্ত হলে তাকে সে জিনিসের নামেই নামকরণ করা হয়।

‘আল্লামা রাগিব (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ লজ্জা আত্মাকে মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে। মানুষের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো তার মনে যা চায় সে সব কাজ করে পশুর মতো হবে না। যে পাপ থেকে নিজেকে বিরত থাকার চেষ্টা করবে, আর এ কারণেই লজ্জাশীল ব্যক্তি ফাসিক হয় না। এ কারণেই রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নিশ্চয় লজ্জা করা ঈমানের অঙ্গ। (ফাতহুল বারী ১ম খন্ড, হাঃ ৫০৭০)

হাদীসটির বাস্তবিক শিক্ষা : লজ্জাই মানুষকে নিষিদ্ধ ও পাপের কাজ থেকে বিরত রাখতে পারে। ঈমান যেমন মহান আল্লাহকে না দেখে বিশ্বাস করার নাম, ঠিক তেমনিভাবে আল্লাহকে না দেখে তাকে লজ্জা করে হারাম ও অপছন্দনীয় কাজ থেকে বিরত থাকার নাম হায়া বা লজ্জা। মূলত লজ্জাই ঈমানের বহিঃপ্রকাশ। কাজেই যাবতীয় নিষিদ্ধ কাজ থেকে আল্লাহকে লজ্জা করে বিরত থাকাই হলো ঈমানের দাবী। [সম্পাদক]


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৫: শিষ্টাচার (كتاب الآداب)