৪৮১৯

পরিচ্ছেদঃ ১০. প্রথম অনুচ্ছেদ - জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমন্দ প্রসঙ্গে

৪৮১৯-[৮] আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ একজন সিদ্দীকের পক্ষ অধিক অভিসম্পাতকারী হওয়া সমীচীন নয়। (মুসলিম)[1]

بَابُ حِفْظِ اللِّسَانِ وَالْغِيبَةِ وَالشَّتَمِ

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يَنْبَغِي لِصِدِّيقٍ أنْ يكونَ لعَّاناً» . رَوَاهُ مُسلم

وعن ابي هريرة ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال لا ينبغي لصديق ان يكون لعانا رواه مسلم

ব্যাখ্যাঃ (صِدِّيقٍ) শব্দ صادق এর মুবালাগাহ্, এর অর্থ অধিক সত্যবাদী। উদ্দেশ্য মু’মিন ব্যক্তি, কারণ প্রকৃত মু’মিন সর্বদাই সত্যবাদী হয়ে থাকে। আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ وَالَّذِينَ آمَنُوا بِاللهِ وَرُسُلِه# أُولٰئِكَ هُمُ الصِّدِّيقُونَ ‘‘যারা আল্লাহ ও তদীয় রসূলের প্রতি ঈমান এনেছে তারাই প্রকৃত সত্যবাদী’’- (সূরাহ্ আল হাদীদ ৫৭ : ১৯)। প্রকৃত মু’মিনের জন্য বৈধ নয় যে, সে অধিক লা‘নাতকারী বা অভিসম্পাতকারী হবে।

লা‘নাতের দ্বারা এখানে উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর রহমত থেকে দূর থাকার দু‘আ করা, যা বদ্দু‘আর অর্থে ব্যবহার হয়ে থাকে। মু’মিনের ক্ষেত্রে এর প্রয়োগ মাত্রা কম হওয়ার কারণে বাক্যটিতে মুবালাগার সীগাহ্ ব্যবহার করা হয়েছে। ইবনু মালিক বলেনঃ মুবালাগার সীগাহ্ ব্যবহারের উদ্দেশ্য হলো অধিক লা‘নাত বুঝানো, কারো থেকে দু’একবার লা‘নাত প্রকাশিত হলে এই নিন্দা তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

‘আল্লামা ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ সিদ্দীকের জন্য এ নিন্দনীয় গুনটি যথার্থ নয়, কেননা সিদ্দীক হলো নুবুওয়াতের পরবর্তী স্তর। আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ ‘‘যারা আল্লাহ এবং তার রসূলের আনুগত্য করে তারা আল্লাহর পক্ষ থেকে নি‘আমাতপ্রাপ্ত নবী, সিদ্দীক্বীন, শুহাদা এবং সলিহীনদের সাথেই থাকবেন’’- (সূরাহ্ আন্ নিসা ৪ : ৬৯)। নবীগণ সৃষ্টির প্রতি রহমতস্বরূপ এবং আল্লাহর দয়া থেকে বিতাড়িত ও দূরে অবস্থানকারী বান্দাদের জন্য নৈকট্য সৃষ্টিকারীরূপে প্রেরিত হয়েছেন। আর অধিক অভিসম্পাতকারী নবীদের নৈকট্য থেকে দূরে অবস্থানকারী। অতএব এই অভিসম্পাত সিদ্দীক হওয়ায় জন্য অন্তরায়। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৫: শিষ্টাচার (كتاب الآداب)