৪৮১৮

পরিচ্ছেদঃ ১০. প্রথম অনুচ্ছেদ - জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমন্দ প্রসঙ্গে

৪৮১৮-[৭] আনাস ও আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যদি দু’ ব্যক্তি পরস্পরকে গালি দেয়, তবে গালমন্দের পাপ সে ব্যক্তির হবে যে ব্যক্তি প্রথম গালি দিয়েছে, যতক্ষণ পর্যন্ত না অত্যাচারিত ব্যক্তি সীমা অতিরিক্ত করবে। (মুসলিম)[1]

بَابُ حِفْظِ اللِّسَانِ وَالْغِيبَةِ وَالشَّتَمِ

وَعَن أنس وَأَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الْمُسْتَبَّانِ مَا قَالَا فَعَلَى الْبَادِئِ مالم يعْتد الْمَظْلُوم» . رَوَاهُ مُسلم

وعن انس وابي هريرة ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال المستبان ما قالا فعلى البادى مالم يعتد المظلوم رواه مسلم

ব্যাখ্যাঃ (الْمُسْتَبَّانِ) শব্দটি কর্তৃবাচ্য দ্বিবচন হিসেবে باب افتعال থেকে এসে باب تفاعل এর خاصيت রূপে ব্যবহার হয়ে المتشائمان শব্দের অর্থ প্রদান করেছে। المتشائمان এর অর্থ হলো :

هُمَا اللَّذَانِ سَبَّ كُلٌّ مِنْهُمَا الْآخَرَ দু’জন পরস্পর একজন আরেকজনকে গালি দেয়া এবং পরস্পরের মধ্যে বিদ্যমান লুকায়িত গোপন দোষ-ত্রুটি তুলে ধরা।

পরস্পর গালিদানকারী দু’জনের একজন সূচনাকারী হয়, যে প্রথমে গালি দেয়ার সূচনা করে সে বেশী অপরাধী। তবে প্রথম গালিদানকারী গালি দেয়া শুরু করলে আরেকজন যদি ধৈর্যধারণ করে থাকতে পারে এবং গালিদানের ক্ষেত্রে সীমালঙ্ঘন না করে তাহলে গাল-মন্দের যাবতীয় পাপ প্রথমজনই বহন করবে। কেননা ঝগড়ার সূত্রপাত সেই ঘটিয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন, গালি-গালাজের সম্পূর্ণ গুনাহ সে বহন করবে না বটে, তবে অধিকাংশ গুনাহ সে বহন করবে। কিন্তু দ্বিতীয় ব্যক্তিও যদি ধৈর্যধারণ না করে গালি শুরু করে দেয় এবং সীমালঙ্ঘন করে ফেলে তবে উভয়ের সমান গুনাহ হবে। প্রথমজনের গুনাহের কারণ তো সর্বজনবিদিত, দ্বিতীয়জন গালি দেয়ার কারণে সেও গুনাহগার হবে।

(মিরক্বাতুল মাফাতীহ; শারহুন নাবাবী ১৬শ খন্ড, হাঃ [২৫৮৭]-৬৮; ‘আওনুল মা‘বূদ ৮ম খন্ড, হাঃ ৪৮৮৬; লুম্‘আত)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৫: শিষ্টাচার (كتاب الآداب)