৪৫৫৭

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৪৫৫৭-[৪৪] ’ইমরান ইবনু হুসায়ন (রাঃ) হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বদনযর কিংবা কোন বিষাক্ত প্রাণীর দংশনের বেলায়ই ঝাড়ফুঁক রয়েছে। (আহমাদ, তিরমিযী ও আবূ দাঊদ)[1]

الْفَصْلُ الثَّانِي

وَعَن عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا رُقْيَةَ إِلَّا مِنْ عَيْنٍ أَوْ حُمَةٍ» . رَوَاهُ أَحْمد وَالتِّرْمِذِيّ وَأَبُو دَاوُد

وعن عمران بن حصين ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال لا رقية الا من عين او حمة رواه احمد والترمذي وابو داود

ব্যাখ্যাঃ খত্ত্বাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ বিষাক্ত প্রাণীর বিষ। বিচ্ছু ও ভিমরুলের হুল ফুটিয়ে দেয়াকে বলে (حُمَةٍ)। এর কারণ হলো এ হুল ফুটানোর সাথে সাথেই বিষ চলে যায় বা ছড়িয়ে পড়ে।

অত্র হাদীসে বলা হলো বদনযর ও বিষাক্ত প্রাণীর দংশনের বেলায় ছাড়া ঝাড়ফুঁক করবে না। এ হাদীস দ্বারা এ দুই অবস্থা ছাড়া অন্য অবস্থায় ঝাড়ফুঁক করা জায়িয নেই সেটা বুঝানো হয়নি, কেননা অন্যান্য ব্যথার কারণে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সাহাবীদেরকে বিভিন্ন সময়ে ঝাড়িয়েছেন বা দু‘আ শিখিয়ে দিয়েছেন। আর তাতে তারা আল্লাহর রহমাতে আরোগ্য লাভ করেছিল। (‘আওনুল মা‘বূদ ৭ম খন্ড, হাঃ ৩৮৮০)

এ হাদীসটির অর্থ হলো কোন উত্তম ও উপকারী ঝাড়ফুঁক নেই, এ দুই ঝাড়ফুঁকের চেয়ে উত্তম।

(মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৩: চিকিৎসা ও ঝাড়-ফুঁক (كتاب الطب والرقى)